Saturday, April 15, 2017
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট মিশেল তেমের বলেছেন গর্ভপাত আইন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ওপর কথা বলা ঠিক নয় ।
ব্রাজিলে গর্ভপাত নিষেধ করে দেশের সংবিধানের ১২৪ ও দণ্ডবিধি ১২৬ এর ১৯৪০ সালের আইন করা হয় ।এই আইনে বলা হয় যদি ব্রাজিলের কোন নাগরিক নিজের ইচ্ছায় বা কারো সহযোগিতায় গর্ভপাত
ঘটায় তাহলে ব্রাজিলের সংবিধানের ১২৪/১২৬ দণ্ডবিধি আইনে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হবে।
কিন্তু সম্প্রতি ব্রাজিলে এই আইন নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। দেশের যুব সমাজ এই আইন পরিবর্তনের আহ্বান করে আসছে।
আজ দেশের আইন জীবীদের নিয়ে এই বিষয়ে একটি অনুষ্ঠানে দেশের যুব সমাজের প্রতি প্রেসিডেন্ট মিশেল তেমের বলেন গর্ভপাত বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বাহিরে কথা বলা ঠিক নয়।
সম্প্রতি দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সভাপতি রোসা ওয়েবার এই বিতর্কিত আইনটি নিয়ে শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ করে একটি মামলা দায়ের করেন । এই মামলায় বলা হয় প্রথম ১২ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত আহ্বান গর্ভাবস্থা আইনগত তৈরি করা হওক।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অ্যাটর্নি জেনারেল গ্রেস মেনডনকা, প্রেসিডেন্ট মিশেল তেমের এর উপস্থিতিতে
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। বিচারপতি লুইস রবার্তো বলেন মালাটি ভুল ছিল।
ব্রাজিলের নারীদের শাস্তি দেওয়া ঠিক নয় বলে উল্লেখ রয়েছে পিটিশনে। উল্লেখ্য ২০১২ সাল থেকে ব্রাজিলে স্বাস’্য ঝুঁকি কিংবা ধর্ষণের ঘটনা বাদে গর্ভপাত অবৈধ।
ব্রাসিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক দেবোরা দিনিজ বিবিসিকে বলেন, ‘জিকার কারণে আমাদের দেশের অনেক নারীই এখন গর্ভবতী হওয়ার আতঙ্কে আছেন এবং গর্ভধারণ করার পর কী হবে তা নিয়ে একরকম অনিশ্চয়তায় আছেন তারা।’ গর্ভের সন্তান মাইক্রোসেফালি বা বিকৃত আকৃতির মাথা নিয়ে জন্মানোর সম্ভাবনা আছে কিনা তা স্ক্রিনিং পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন দিনিজ।
তার মতে এটি কেবল গর্ভপাতের প্রশ্ন নয়, এটি নারী অধিকারের প্রশ্ন। এদিকে ল্যাটিন আমেরিকান দেশগুলোতে জিকা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ থেকে ৪০ লাখ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে (ডব্লিউএইচও)।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)


No comments:
Post a Comment