রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যেন রহস্যপুরুষ। তারা জীবন নিয়ে জানার জন্য সারা পৃথিবীর মানুষ উন্মুখ হয়ে থাকে। পুতিন যেমন ঝানু রাজনীতিবিদ তেমনি তিনি এডভেঞ্চারকেও ভালবাসেন। সব বিতর্ক, রাজনীতি পিছনে ফেলে তিনি ছুটে যান মেরু অঞ্চলে। গভীর, শীতল পানিতে ডুব দিয়ে আলোচনায় আসেন। কখনো ঘোড়ার পিঠে খালি গায়ে যেন তিনি ‘কাউ বয়’। বিচিত্র স্বভাব। বিচিত্র তার আচরণ। কখনো বা তিনি প্রেমিক। আলোচনায় উঠে আসে একজন যুবতী অ্যাথলেটের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। নিজের জীবনকে উপভোগ সম্ভবত এতটা এডভেঞ্চারে পূর্ণ করেন নি ক্ষমতায় থাকার কোনো রাষ্ট্রপ্রধান।
সর্বশেষ গত সপ্তাহে তাকে দেখা গেছে সাইবেরিয়ার তুভা অঞ্চলে। সেখানে পাহাড়ের পা ছুঁয়ে বিস্তৃত একটি লেকে দেখা গেছে খালি গায়ে ভ্লাদিমির পুতিনকে। তিনি প্যান্ট পরে হাতে বড়শি নিয়ে নেমে পড়েছেন লেকের পানিতে। উরু সমান পানিতে দাঁড়িয়ে তিনি বড়শি ধরে আছেন হাতে। এক পর্যায়ে তাতে মাছ ধরে। পুতিন অভিজ্ঞ মাছ শিকারিদের মতো বড়শির সুতা ছেড়ে, কখনো টেনে সেই মাছ নিজের হাতে তোলেন পানি থেকে। এ সময় তার মুখে হাসির রেখা দেখা যায়। বিশ্বজুড়ে এ ছবি প্রকাশ হয়েছে। তার সঙ্গে এ সময় ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। তাদেরকে এক পর্যায়ে দেখা গেছে একটি ছোটখাট নৌযানে সবুজে ঘেরা ওই লেকে বসে খালি গায়ে সূর্য্যস্নান করছেন। পুতিনের এডভেঞ্চার এবারই প্রথম নয়। তিনি নিয়মিত তুভা অঞ্চল সফওের যান, যদিও সেটা অনেক পর্যটকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নি।
এর আগে ২০০৯ সালে তাকে দেখা গেছে খালি গায়ে ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হয়েছেন। তিনি কেন মাঝে মাঝেই এমন এডভেঞ্চারে মেতে ওঠেন! এর উদ্দেশ্য কি! রাজনৈতিক বোদ্ধারা এর মাঝেও খুঁজে দেখেছেন রাজনীতি। তারা বলছেন, ছুটি পেলেই পুতিন এডভেঞ্চারে মেতে ওঠেন। খালি গায়ে পোজ দিয়ে ছবি তোলেন। তা প্রকাশ করেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি জাতিকে দেখাতে চান তিনি কতটা সুস্থ, শক্তিশালী। তিনি জাতিকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য যথেষ্ট যোগ্যতা রাখেন দীর্ঘ সময়ের জন্য। সিএনএন।
No comments:
Post a Comment