Social Icons

Monday, July 30, 2018

রাসিক নির্বাচন: অা.লীগ ১,২০,৭১৮: বিএনপি ৫৬,৪৪৯

জাল ভোট, কেন্দ্র দখল আর নানান অনিয়মের মধ্য দিয়ে রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে, এখন চলছে গণনা। সোমবার সকাল ৮ থেকে এই তিন সিটিতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
সিটিগুলোর মেয়র পদে কাগজ-কলমে ১৯ প্রার্থীর নাম থাকলেও নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭ জন। এছাড়া তিন সিটির ৮৭ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৮১ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৪৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তবে ভোট গ্রহণের পর থেকে নানান অনিয়মের অভিযোগ করে আসছেন বিএনপি প্রার্থীরা।
অনিয়মের অভিযোগ এনে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির মেয়রপ্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারসহ চার প্রার্থী। অন্য দুজন হলেন- ইসলামী আন্দোলনের মেয়রপ্রার্থী ওবাইদুর রহমান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) মেয়রপ্রার্থী মনীষা চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির আবুল কালাম আজাদ।
এছাড়া বিএনপির মেয়রপ্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট সিটি কর্পোরেশনে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে।
রাজশাহী সিটি নির্বাচনেও বিএনপির মেয়রপ্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ভোট জালিয়াতির প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সিলেট সিটি নির্বাচনে বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অন্তত ১৫টি ভোটকেন্দ্রের এক বা একাধিক বুথ দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুথ দখল করে জাল ভোট দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
রাজশাহী ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও কয়েকটি ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে তিন সিটিতেই সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহল কবির রিজভী।

বসিক নির্বাচন: আওয়ামী লীগ ৭৯২৫: বিএনপি ৩০০১

জাল ভোট, কেন্দ্র দখল আর নানান অনিয়মের মধ্য দিয়ে রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে, এখন চলছে গণনা। সোমবার সকাল ৮ থেকে এই তিন সিটিতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
সিটিগুলোর মেয়র পদে কাগজ-কলমে ১৯ প্রার্থীর নাম থাকলেও নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭ জন। এছাড়া তিন সিটির ৮৭ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৮১ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৪৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তবে ভোট গ্রহণের পর থেকে নানান অনিয়মের অভিযোগ করে আসছেন বিএনপি প্রার্থীরা।
অনিয়মের অভিযোগ এনে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির মেয়রপ্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারসহ চার প্রার্থী। অন্য দুজন হলেন- ইসলামী আন্দোলনের মেয়রপ্রার্থী ওবাইদুর রহমান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) মেয়রপ্রার্থী মনীষা চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির আবুল কালাম আজাদ।
এছাড়া বিএনপির মেয়রপ্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট সিটি কর্পোরেশনে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে।
রাজশাহী সিটি নির্বাচনেও বিএনপির মেয়রপ্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ভোট জালিয়াতির প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সিলেট সিটি নির্বাচনে বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অন্তত ১৫টি ভোটকেন্দ্রের এক বা একাধিক বুথ দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুথ দখল করে জাল ভোট দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
রাজশাহী ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও কয়েকটি ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে তিন সিটিতেই সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহল কবির রিজভী।

সিসিক নির্বাচন: আওয়ামী লীগ ১৮৪১: বিএনপি ৩৮৮৯

দিনভর বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের ভোট দেওয়া, অনেক কেন্দ্র দখল, ভোট বর্জন, এজেন্ট ঢুকতে না দেওয়া, কেন্দ্র স্থগিতসহ নানান ঘটনার মধ্যে দিয়ে শেষ হলো সিলেট সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহণ। সোমবার সকাল ৮ থেকে এই তিন সিটিতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে নগরের বখতেয়ার বিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে তালহা খান প্রত্যয় নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ব্যাপক ভোট কারচুপির অভিযোগ করে সিলেট সিটি নির্বাচনে বিএনপি’র মেয়রপ্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, এই প্রহসনের নির্বাচন মানি না। এই নির্বাচনে জয়ী হলেও আমি মানি না। এই নির্বাচন বাতিল করে আমি আবারো ভোটগ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, এজেন্টকে বের দেওয়াসহ নানান অনিয়মের অভিযোগে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের দু’টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
কেন্দ্র দু’টি হলো-২৪ নম্বর ওয়ার্ডের হবিনন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কাজী বোরহান উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র।নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি। সিসিক নির্বাচনে মহানগরের খাজদবীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের তিনটি কক্ষের ব্যালট পেপার ছিনতাই ও একটি কক্ষে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের পর কক্ষগুলো তালাবদ্ধ করে দেন সংশ্লিষ্ট দুই প্রিজাইডিং অফিসার। সোয়া ঘণ্টা পর আবার ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
এর আগে জনগণ যে রায় দেবে তা মেনে নেবেন বলে ভোট দিয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন সিসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। আর বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সাংবাদিকদের সংগে আলাপে ভোট প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে নিজের ‘শঙ্কা’র কথা জানান।

Saturday, July 28, 2018

ব্রাজিল সরকার খুব শীঘ্রই অভিবাসীদের নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিবে - বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাড়তে পারে আরো অভিবাসী ।


বাংলাদেশ থেকে আসা বিদেশীদের রিফুজি আবেদনের প্রমান পেয়েছে ব্রাজিল সরকার । ২০০৩ সাল থেকে বাংলাদেশীরা ব্রাজিলে এসে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে ব্রাজিল সরকারের কাছে রিফুজি আবেদন করে । এর পর সরকার মানবিক দৃষ্টি কোণ থেকে প্রথম দিকে অস্থায়ী পার্মানেন্সি ৩ বছরের জন্য দেয় ব্রাজিল সরকার । তারপর ২০১৩ সালে শ্রম মন্ত্রণালয় কে সরকার সকল বিদেশিদের ওয়ার্ক পারমিট যাচাই বাছাই এর দায়িত্ব দেয় । যদিও ব্রাজিল মানবাধিকার কমিশন ২০১৩ সালে গণহারে সকল রিফুজি কে ব্রাজিলে স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য অনুমতি চেয়ে ব্রাজিল সরকারের কাছে একটি আবেদন করে । কিন্তু সেই আবেদন ব্রাজিল উচ্চ আদালত তা খারিজ করে দেন । এরপর ব্রাজিল সরকারের মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রায় অর্ধেক রিফুজিকে ব্রাজিলের পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট দেয়া হয় । ২০১৩ সালে ব্রাজিলে বাংলাদের হাই কমিশন করা হয় । সেই সুবাদে ২০১৬ সালে ব্রাজিল সরকার বাংলাদেশ হাইকমিশনে বাংলাদেশ থেকে আসা অভিবাসীদের সমস্যার কথা জানতে চায় । এবং ব্রাজিল সরকার কি মর্মে ব্রাজিলে বাংলাদেশের অভিবাসীরা আবেদন করেছেন তাও জানায় । বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায় যেসব অভিবাসী ব্রাজিলে রিফুজি আবেদন করেছে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক সমস্যা নেই । তারপর ব্রাজিল সরকার যেসব অভিবাসী ব্রাজিলে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন তাদের মামলা স্থগিত করে । কিন্তু বর্তমান সময়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমস্যা কথা জানতে পারে ব্রাজিল সরকার । সম্প্রতি বাংলাদেশ বিরোধী দলের অনেক নেতাকে মানবতা বিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় । বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপারসনকে বন্দী রাখা হয় । এরমধ্যে গত চার মাসে অন্তত ৩০০ বাংলাদেশী ব্রাজিলে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে নতুন করে আবেদন করেছেন । এসব দিক বিবেচনা করে সরকার নতুন করে সকল বাংলাদেশীদের মামলা আবার পূর্ণ বিবেচনা করার জন্য পাঠিয়েছে ব্রাজিলের উচ্চ আদালতে এ ব্যাপারে সর্ব সম্মতি দিয়েছেন ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি । ব্রাজিল সরকারের ধারণা বাংলাদেশের আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে আরো অনেক অভিবাসী ব্রাজিলে রাজনৈতিক  আশ্রয় নিতে পারেন । সম্প্রতি ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি গণমাধ্যমে জানিয়েছেন আশ্রয় হারা নিরীহ অভাবগ্রস্ত মানুষের পাশে সবসময় ব্রাজিল আছে এবং থাকবে । চলতি বছরের ব্রাজিল সংসদ নির্বাচন । নির্বাচনের পরপরই রিফুজি আবেদন কারীদের মামলা নিষ্পত্তি করবেন ব্রাজিল সরকার । 

ব্রাজিলে ১৭ লাখ মুসলমান যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫-৬ শতাংশ।


আয়তন ও জনসংখ্যার দিক থেকে ব্রাজিল বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম দেশ। দেশটির মোট আয়তন ৮৫ লাখ ১৪ হাজার ৮৭৭ বর্গকিলোমিটার (৫২ লাখ ৯০ হাজার ৮৯৯ বর্গমাইল)। জনসংখ্যা ২০ কোটির বেশি। দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র ও বিশ্বের সর্ববৃহৎ পর্তুগিজভাষী রাষ্ট্র এটি।
মুসলমানের সংখ্যা : ব্রাজিলে ২০ কোটি লোকসংখ্যার বেশির ভাগই ক্যাথলিক খ্রিস্টান। তবে অন্য ধর্মাবলম্বীর পাশাপাশি বেশ কিছু মুসলমানও রয়েছে। যার সংখ্যা ১৭ লাখের মতো। যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫-৬ শতাংশ। এই গাণিতিক হিসাবে লাতিনের সর্ববৃহৎ এই দেশটিতে ইসলাম ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা কম মনে হলেও আনন্দের সংবাদ হচ্ছে, ব্রাজিলে মুসলমানের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সাওপাওলোতেই মাসে গড়ে ছয়জন মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে পাওয়া গেছে। (সূত্র : ‘আল-মুসলিমুনা ফিল ব্রাজিল, ড. খালিদ রিজক তকিউদ্দিন)
ব্রাজিলে ইসলামের আগমন : ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ব্রাজিলে ইসলামের আগমন আমেরিকা মহাদেশ আবিষ্কারের সূচনালগ্ন থেকেই। ১৫০০ খ্রিস্টাব্দের ২২ এপ্রিল বিখ্যাত পর্তুগিজ পরিব্রাজক ও আবিষ্কারক পেড্রো আলভারেস কারব্যাল (Pedro Álvares Carbal) [১৪৬৭-১৫২০] যখন ব্রাজিল উপকূলে জাহাজ নোঙর করেন, তখন তাঁর সঙ্গে বেশ কিছু স্বনামধন্য, দক্ষ, কর্মঠ ও পারদর্শী মুসলিম নাবিক ছিলেন। তন্মধ্যে শিহাবুদ্দিন বিন মাজেদ ও মুসা বিন সাতি অন্যতম। ইতিহাসের বরাত অনুযায়ী তাঁদের হাত ধরেই ব্রাজিলে ইসলাম ও মুসলমানের আগমন ঘটে। (আল-ইসলাম ওয়াল মুসলিমুন ফিল ব্রাজিল, আল-মুজতামা অনলাইন সংস্করণ-২০১)
তবে বিখ্যাত ব্রাজিলিয়ান ইতিহাসবিদ জোয়াকিন হেপিরো (Joaquin Hepiro) ব্রাজিলে ইসলামের আগমনের ব্যাপারে ১৯৫৮ সালে একটি লেকচার দেন এবং পরবর্তী সময়ে ব্রাজিলের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় লেকচারটি প্রকাশ করা হয়। তাতে তিনি অত্যন্ত তাগিদের সঙ্গে উল্লেখ করেন, ‘১৫০০ খ্রিস্টাব্দে পর্তুগিজদের ব্রাজিল আবিষ্কারের অনেক আগে আরব বণিক ও নাবিকরা ব্রাজিল আবিষ্কার করেন। পর্তুগিজরা মূলত জাহাজ চালনা ও নির্মাণশিল্পে দক্ষ এবং বৈশিষ্ট্যপূর্ণ মুসলিম নাবিকদের সহযোগিতায় ব্রাজিলে আগমন করে।’ (সূত্র : http://www.alukah.net/world_muslims/0/4306/)
অন্যদিকে যখন স্পেনে মুসলিম সাম্রাজ্যের পতন হয়, তখন বিপুলসংখ্যক স্প্যানিশ মুসলমান খ্রিস্টানদের নিপীড়ন-নির্যাতন থেকে পালিয়ে ব্রাজিলে হিজরত (আশ্রয় গ্রহণ) করে। ক্রমান্বয়ে ব্রাজিলে স্প্যানিশ মুসলমানের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকলে স্পেনের অনুকরণে ব্রাজিলের তৎকালীন পর্তুগিজ সরকার ব্রাজিলেও ‘অনুসন্ধান-আদালত’ প্রতিষ্ঠা করে এবং অনৈতিক ও মানবিক বিচারের আওতায় এনে বহুসংখ্যক মুসলমানকে জ্বলন্ত আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। মুসলমানদের ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় বিভিন্ন নিদর্শন মুছে ফেলে। (সূত্র : ইসলামওয়েবের বরাতে ‘তারিখুল মুসলিমিন ফি ব্রাজিল’)
ব্রাজিলের জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল-দস্তাবেজের মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে জানা যায়, ব্রাজিলে যেসব আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মুসলিম রয়েছে, তাদের পর্তুগিজরা দাস হিসেবে ব্রাজিলে নিয়ে আসে। তারা পুরোপুরি মুসলিম ছিল এবং আরবি উচ্চারণে কোরআন তিলাওয়াত করতেন।
ব্রাজিলে কৃষ্ণাঙ্গ মুসলিমদের প্রথম বহর আসে ১৫৩৮ খ্রিস্টাব্দে এবং ৪০ বছর পেরোনোর আগেই ১৪ হাজারের বেশি অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মুসলমান আফ্রিকা থেকে ব্রাজিলে স্থানান্তরিত হয়। পর্তুগিজরা পরবর্তী সময়ে কয়েক বছরে নিগ্রো মুসলিমদের বেশি হারে নিয়ে আসতে শুরু করে। এমনকি শুধু অ্যাঙ্গোলা থেকেই ছয় লাখ ৪২ হাজার নিগ্রো মুসলিমকে ব্রাজিলে নিয়ে আসা হয়। এ ছাড়া সুদানের বিভিন্ন অঞ্চল ও পশ্চিম আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে কৃষ্ণাঙ্গ মুসলিমদের ব্রাজিলে নিয়ে যাওয়া হয়।
এসব নিগ্রো মুসলমানকে জোরপূর্বক ব্রাজিলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের হাত-পা শিকলে বেঁধে জাহাজের পাটাতনে ফেলে নিয়ে যাওয়া হতো। নির্যাতন-অবহেলা, অনাহারে ও রোগাক্রান্ত হয়ে যেসব মুসলমান মারা যেত, তাদের মাঝপথে সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হতো। (সূত্র : ব্রাজিল জা-রাহাল মুসলিমুনা ওয়াকতাশাফুহা কাবলাল বুর্তুগালিয়িন)
কৃষ্ণাঙ্গ মুসলমানদের অবদান : বিখ্যাত ঐতিহাসিক গিলবার্টো ফেরেইরি (Gilberto Freyre) [১৫ মার্চ ১৯০০-১৮ জুলাই ১৯৮৭] তাঁর প্রসিদ্ধ গ্রন্থ ‘এ নিউ ওয়ার্ল্ড ইন দ্য ট্রপিক্যাল সফেরেসে’ (A new world in the Tropical Spheres) উল্লেখ করেন, ‘কৃষ্ণাঙ্গ মুসলমানরা ব্রাজিলের সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সক্রিয়তা ও সৃজনশীলতার অন্যতম উপাদান হিসেবে নিজেদের পরিচয়ই  দেয়নি; বরং আমরা অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি, সে সময় ব্রাজিলে যারা এসেছিল, তাদের মধ্যে এই কৃষ্ণাঙ্গ মুসলমানরাই সর্বাধিক চারিত্রিক মাধুর্যের অধিকারী ছিল। যদিও তাদের দাস হিসেবে ব্যবহার করা হতো।
কৃষ্ণাঙ্গ মুসলমানদের প্রতি ব্রাজিল সব সময় ঋণী হয়ে থাকবে। আখ-চিনি, কফি, তুলা, বিভিন্ন ধরনের শস্যদানা, এমনকি প্রয়োজনীয় সব ধরনের কৃষি সরঞ্জামাদি তাঁরা আফ্রিকা থেকে ব্রাজিলে নিয়ে এসেছিল।
তৎকালীন আফ্রিকান কৃষ্ণাঙ্গ মুসলমানদের প্রযুক্তিগত ও কারিগরি জ্ঞান ব্রাজিলিয়ান ও স্বয়ং পর্তুগিজদের চেয়ে উন্নত ছিল। ব্রাজিলের সভ্যতা ও সমাজ গঠনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে এসব কৃষ্ণাঙ্গ মুসলমানের গুরুত্ব ও অবদান অপরিসীম। মজার কথা হলো, দাস মুসলমানরা অন্যান্য কাজের পাশাপাশি তাদের মূর্খ মালিকদের লিখিত বিভিন্ন কাজকর্মেও আঞ্জাম দিত। এমনকি তাদের অজ্ঞ মালিকরা পর্তুগিজদের সঙ্গে কথা বলত মুসলমান দাসদের দোভাষী বানিয়ে। এ ছাড়া নিজের মূর্খ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুর কাছে চিঠি লিখত মুসলমান দাসদের মাধ্যমে এবং সে চিঠিও মূর্খ প্রাপককে পড়ে শোনাতো অন্য মুসলমান দাসরা।’ (সূত্র : http://www.alraimedia.com/Home/Details?Id)
মুসলমানদের অস্তিত্বের লড়াই : মুসলিম দাসদের মধ্যে যারা অন্যদের তুলনায় বয়স্ক ও শিক্ষিত ছিল, তারা অন্যদের ওয়াজ-নসিহত করত এবং কোরআন, ফিকহ, আকিদা ও শরিয়তের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি শিক্ষা দিত। তাদের সঙ্গে বসবাসের অযোগ্য কুটিরগুলোতে থাকত।
যখন ক্রমান্বয়ে মুসলমান দাসের সংখ্যা ও শক্তিমত্তা বৃদ্ধি পেল, তখন তারা বিভিন্ন ইসলামী স্বাধীনতা বিপ্লব সংঘটিত করে। বিপ্লবগুলোর অন্যতম ছিল ১৬০৫ খ্রিস্টাব্দে ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলীয় আলমিরস শহরে মুসলমান দাস বিদ্রোহীদের জড়ো হওয়া। প্রাপ্ত ইতিহাসের মাধ্যমে জানা যায়, সেখানে প্রায় ৩০ হাজার কৃষ্ণাঙ্গ মুসলমান বিদ্রোহে শরিক হয়েছিল এবং তরুণ মুসলিম নেতা জানজা জুম্বার নেতৃত্বে নিপীড়িতদের জন্য একটি আলাদা মুসলিম রাজ্য গঠন করে। দীর্ঘদিন ধরে তারা তাদের রাজ্য জানজা জুম্বার ভাই ও পুত্রদের মাধ্যমে টিকিয়ে রেখেছিল। বিভিন্ন ঐতিহাসিক সূত্র মোতাবেক বলা হয়ে থাকে, জুম্বা ছিলেন পর্তুগিজদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনাকারী কঙ্গোর রাজার নাতি। যদিও কঙ্গোর রাজা পর্তুগিজদের বিপক্ষে সফল হতে পারেননি।
দীর্ঘ সংঘর্ষের পরও যখন মুসলমানদের দমন করা যায়নি, তখন পর্তুগিজরা জুম্বার সঙ্গে সন্ধি করতে চায়। কিন্তু জুম্বি নামের আরেকজন অল্প বয়সী মুসলিম নেতা পর্তুগিজদের চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের আঁচ পেয়ে সন্ধি মানতে নারাজ হন এবং তিনি আমরণ লড়াই চালিয়ে যান। ফলে ১৬৭৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে বীর জুম্বি পর্তুগিজদের বিপক্ষে বেশ কয়েকটি যুদ্ধ পরিচালনা করেন। ফলে অনেক চেষ্টার পরও পর্তুগিজরা মুসলমানদের বিদ্রোহ দমন বা কোণঠাসা করতে পারেনি।
শেষ পর্যন্ত পর্তুগিজরা রাজধানী সাওপাওলো থেকে বিপুল পরিমাণ সামরিক শক্তির সাহায্য নেওয়ার পর ১৬৯৪ খ্রিস্টাব্দে আলমিরস মুসলিম সাম্রাজ্যের পতন হয়। (সূত্র : http://howiyapress.com)
পর্তুগিজরা কঠোর হস্তে মুসলিম বিদ্রোহীদের দমন করে। ফলে কয়েক মাসের মধ্যেই মুসলমানরা পরাজিত হয়। মুসলিম বিদ্রোহীদের লাশগুলো দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার পাশে ও ‘সানসালাত সেলে’ পড়ে পচতে থাকে।
বিদ্রোহ দমনের পর অনেক মুসলমানকে জোরপূর্বক খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়। ধর্মান্তরিত হতে রাজি না হওয়ায় অনেককে হত্যা করা হয়। ফলে কিছু মুসলমানের কাছে ব্রাজিলীয় পৌত্তলিকতা আসতে শুরু করে। এমনকি ব্রাজিলের মুসলমানরা এখনো বিভিন্ন পৌত্তলিকতাপূর্ণ অনুষ্ঠানাদির আয়োজন করে থাকে। (সূত্র : ‘আল-মুসলিমুনা ফিল ব্রাজিল : বাইনাল মাদি ওয়াল হাদির’)
ইংল্যান্ডের চাপে পড়ে ১৮৮৮ সালে ব্রাজিলে দাসপ্রথা বিলুপ্ত করা হয় এবং ব্রাজিলই সর্বশেষ দেশ, যারা দাসপ্রথা বিলুপ্ত করে। কিন্তু এই দাসপ্রথা বিলুপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রায় ১৪ হাজার মুসলমানকে হত্যা করা হয়। ধ্বংস করা হয় অনেক মসজিদ। অনেক মুসলমান খ্রিস্টানদের সঙ্গে মিশে নিজেদের ধর্মবিশ্বাস ও ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলে। তাদের মুসলিম পরিচয়টা পর্যন্ত অবশিষ্ট ছিল না।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে এলসালভাদর ও বাহিয়ার বেশ কিছু গির্জার দেয়ালেও কোরআনের বিভিন্ন আয়াতের নকশা অলংকৃত হচ্ছে। গির্জার ব্যবস্থাপকরা আরবি না জানার কারণে এগুলো কী তা উদ্ঘাটন ও নির্ণয় করতে পারেনি। বস্তুত অনেক গির্জা আগে মসজিদ ছিল এবং খ্রিস্টানরা মুসলমানদের হত্যা ও দমন করে মসজিদগুলোকে গির্জায় রূপান্তরিত করে। (http://www.alukah.net/world_muslims/0/4306/)
ব্রাজিলের মুসলমানদের বর্তমান অবস্থা : ব্রাজিলের মুসলমানদের জন্য সুদিন আসতে শুরু করে ঊনবিংশ শতাব্দী থেকে। লেবানন, ফিলিস্তিন, মিসর ও সিরিয়া থেকে মুসলমানরা ব্রাজিল আসতে থাকে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় ও লেবাননের গৃহযুদ্ধের সময় এবং ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে ব্রাজিল সম্রাট মিসর, লেবানন ও সিরিয়া সফর করার পর থেকে। রাজা দ্বিতীয় পেড্রোর সঙ্গে চুক্তি হয় লেবাননের। লেবানিজরা ব্যবসা করার জন্য আসতে শুরু করে দেশটিতে।
দ্বিতীয় মাত্রায় ১৮১৪ ও তৃতীয় মাত্রায় ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে বিপুলসংখ্যক মুসলমান ব্রাজিলে হিজরত করে। গত শতাব্দীতে ও বর্তমানে ব্রাজিলে হিজরতকারী বেশির ভাগ মুসলমান ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। ব্রাজিলের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখছে মুসলিম ব্যবসায়ীরা। তবে অন্যান্য পেশার সঙ্গে সরকারি বিভিন্ন কার্যক্রম—চাকরি, ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও খেলাধুলায়ও মুসলমানরা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে। অন্যদিকে আরব বসন্তের পর গত কয়েক বছরে চার শতাধিক সিরিয়ান ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ থেকে শতাধিক মুসলিম পরিবার ব্রাজিলে আশ্রয় নিয়েছে।
ব্রাজিলে মসজিদ-মাদরাসা : বর্তমানে ব্রাজিলের প্রতিটি শহরেই মসজিদ আছে। ব্রাজিলে মসজিদের সংখ্যা প্রায় ১৩০টি। ২০০০ সালের তুলনায় মসজিদের সংখ্যা এখন চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া শিশুদের ইসলামী জ্ঞান শিক্ষা দেওয়ার জন্য রয়েছে মক্তব-মাদরাসা ও ইসলামিক স্কুল। সরকার থেকেও নিয়মিত পাচ্ছে সহযোগিতা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা। রিও ডি জেনেইরোয় রয়েছে বৃহৎ ইসলামিক সেন্টার, ইসলামিক স্কুল, বেশ কয়েকটি বড় মসজিদ। সাওপাওলোতেও রয়েছে বিশাল মুসলিম কমিউনিটি।
ব্রাজিলের সাওপাওলো, রিও ডি জেনেইরো ও রিগ্রেন্ডে দে সোল তুলনামূলক মুসলিম অধ্যুষিত শহর। এ ছাড়া পারানা শহরে রয়েছে আরব বংশোদ্ভূত উল্লেখযোগ্য মুসলিম সম্প্রদায়। (সূত্র :http://articles.islamweb.net/media/article&lang57952)
দাওয়াত ও তাবলিগের ফলে ব্রাজিলের পরিবেশ এখন ভিন্ন রকম। মুসলমানরাও ধর্মকর্মে আগের তুলনায় অনেকটা প্রাগ্রসর। প্রতি শনিবার ব্রাজিলের বিভিন্ন মসজিদে স্থানীয়দের নিয়ে ইসলামবিষয়ক ক্লাস করানো হয়। পঞ্চাশটির মতো ইসলামী সংস্থা মুসলমানদের পাশাপাশি অমুসলিমদেরও নিরন্তরভাবে দাওয়াত, শিক্ষা ও সহযোগিতা করে আসছে। ইসলাম সম্পর্কে তাঁদের আগ্রহ ও ঔত্সুক্য ব্যাপক। সাওপাওলোর মসজিদগুলোতে দেখা যায়, প্রতিদিনই ব্রাজিলিয়ান খ্রিস্টান নারীরা ইসলাম সম্পর্কে জানতে আসেন। ব্রাজিলের মাটিকে ইসলাম প্রচারের উর্বর ভূমি মনে করছেন স্থানীয় মুসলমানরা। বিশিষ্ট দার্শনিক ও বিচারপতি মুফতি তকি উসমানি বলেন, ব্রাজিলে ১০ জনকে ইসলামের দাওয়াত দিলে আটজনই দাওয়াত গ্রহণ করেন।’ বেশি হারে দাওয়াতের কাজ চালু থাকলেও বিশ্বের অন্য কিছু অমুসলিম দেশের মতো বিভিন্ন অসুবিধা সেখানে আছে। তবে আশা করা যায়, এ ধারা অব্যাহত থাকলে ব্রাজিল একসময় মুসলিমপ্রধান দেশ হয়ে উঠতে বেশি দেরি হবে না।
লেখক : রিসার্চ ফেলো, সেন্টার ফর ইসলামিক থট, বাংলাদেশ

পাকিস্তানে পরিবারতন্ত্র ভাঙলেন ইমরান

এবারের সাধারণ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে এলিট শ্রেণীর পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক ইমরান খান।
গত কয়েক দশক ধরে দেশটির রাজনীতিতে যে পরিবারতন্ত্র জেঁকে বসেছিল আপাত তার মূলোৎপাটন করেছেন তিনি।
একেবারের জিরো থেকে তার এই অর্জন বিশ্বব্যাপী বিশেষ অর্থনৈতিক ও সামরিক পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার পেয়েছে। তার এ বিজয় নানা দৃষ্টিকোণে তুলে ধরছে মার্কিন মিডিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গ বলেছে, ৬৫ বছর বয়সী সাবেক ক্রিকেট ক্যাপ্টেন শুরু থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার। দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে একজন যোদ্ধা তিনি। এবারের নির্বাচনে তার এ বিজয় নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোপুত্র বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপল’স পার্টির কয়েক দশকের শাসনের অবসান ঘটিয়েছে।
ভুট্টো পরিবারের কয়েকজন সদস্য পাকিস্তানকে প্রায় ১২ বছর শাসন করেছেন। নওয়াজ পরিবারের শরিফ একাই পাকিস্তানকে তিন মেয়াদে প্রায় ৯ বছর শাসন করেছেন।
পত্রিকাটি আরও বলেছে, দুর্নীতির মূলোৎপাটনে তার প্রতিশ্র“তি ভোটারদের কাছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। বিজয় ভাষণেও ইমরান খান বলেছেন, যেখানেই দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যাবে তা তদন্ত করতে প্রস্তুত তিনি।
পাকিস্তানের আধা-সামন্তবাদী বহু স্তরে বিভাজিত সমাজব্যবস্থায় ও রাজনীতিতে পিতৃতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র আর আত্মীয়করণ বিরাজ করে আসছে। গত কয়েক দশক ধরে পরিবারতন্ত্রই রাজনীতির ময়দানে প্রধানরূপে হাজির থেকেছে। প্রধান দুই দল মুসলিম লীগ (নওয়াজ) এবং পাকিস্তান পিপল’স পার্টি উভয়ের ক্ষেত্রেই এটি বাস্তব।
সুপ্রিমকোর্টের রায়ে ‘অযোগ্য’ ঘোষিত হয়ে পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই শাহবাজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর পরিকল্পনার মধ্যেও একই প্রবণতা দেখা গেছে। শাহবাজের পর সিরিয়ালে রয়েছেন নওয়াজকন্যা মরিয়ম নওয়াজ, এরপর মরিয়মের ছেলে জুনায়েদ সফদার।
কেবল নওয়াজ পরিবারই নয়, পাকিস্তানে পরিবারতন্ত্রের ধারা বয়ে নিয়ে যাচ্ছে ভুট্টো পরিবার ও তাদের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান পিপল’স পার্টি (পিপিপি)। ২০০৭ সালে পার্টির নেত্রী এবং পাকিস্তানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর মৃত্যুর পর দলটি দিশা হারিয়ে ফেলে।
পিপিপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বেনজির ভুট্টোর বাবা জুলফিকার আলী ভুট্টো। একসময়ের দুর্দান্ত রাজনৈতিক শক্তি পিপিপি প্রায় চার দশক ধরে পাকিস্তানি রাজনীতিতে আধিপত্য করেছে।
কিন্তু বেনজির ভুট্টোর হত্যাকাণ্ডের পর তার ছেলে বিলাওয়াল দায়িত্ব নিলেও দলটির শক্তি কমতে থাকে। ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে পিপিপি ৭৬টি আসন হারায়। এবার দলটি মাত্র ৪৩টি আসন পেয়েছে।

জার্মানি সফরে যাচ্ছেন এরদোগান

জার্মানি সফরে যাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। আগামী সেপ্টেম্বরের দিকে তার এই সফরের কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে জার্মানির পত্রিকা বিলড।
২০১৪ সালের পর এটাই হবে এরদোগানের জার্মানিতে প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর। ২০১৬ সালের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর তুরস্কের ধরপাকড় অভিযান ও জার্মান নাগরিক ও সাংবাদিকদের আটকের ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্কে বর্তমানে তিক্ততা চলছে।
এ তিক্ততা কাটিয়ে ওঠাই এরদোগানের এ সফরের উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি।
এ রাষ্ট্রীয় সফরে এরদোগানকে সামরিক গার্ড অফ অনারসহ তাকে অর্ভ্যত্থনা জানাবেন জার্মান প্রেসিডেন্ট। এছাড়াও তিনি রাষ্ট্রীয় ভোজসভায় অংশ নেবেন।
জার্মান ও তুরস্ক- দুই দেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গত জানুয়ারিতে জার্মানির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গ্যাবরিয়েল বলেন, তিনিও এ ব্যাপারে একমত যে ন্যাটো জোটভুক্ত দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্য সম্পর্কোন্নয়ন ও ব্যবসায়িক অংশিদারিত্ব বাড়ানো উচিত।
বিল্ডের প্রকাশনার হয়ে কাজ করেন জার্মান-তুর্কি সাংবাদিক ডেনিজ ইউসেল। নিরাপত্তাজনিত কারণে বছরখানেক আটক থাকার পর গত ফেব্রুয়ারিতে তাকে ছেড়ে দিয়েছে তুরস্ক। তার মুক্তিতে দুই দেশের সম্পর্কের একটা অস্বস্তিকর অবস্থা চলে গেছে।

Sunday, July 22, 2018

কেন ফিলিস্তিনি যুবককে তুর্কি পতাকায় দাফন?

২৭ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি যুবক মোহাম্মদ বাদওয়ান। ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে সামনের সারিতে থাকতেন তিনি। গত শুক্রবার ইসরাইলি সেনাদের গুলিত নিহত হয়েছেন মোহাম্মদ।
মোহাম্মদ বাদওয়ানের ইচ্ছা ছিল তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তুরস্কের প্রতি ভালবাসা থেকে তিনি সব সময় তুরস্কের পতাকা সঙ্গে রাখতেন।
কিন্তু এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ তার ভাগ্যে মেলেনি। শুক্রবার ইসরাইলি সেনাদের গুলি তার বুকে বিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থলেই নহিত হন তিনি। নিহত হওয়ার সময়ও তুর্কি পতাকা ছিল তার সঙ্গে। খবর ইয়ানি শাফাকের।
মোহাম্মদ মারা গেলেও তুরস্কের প্রতি তার ভালবাসাকে সম্মান জানিয়েছে তার পরিবার ও ফিলিস্তিনিরা। তুর্কি পতাকার রঙে রঙিন কাপড়ে তাকে দাফন করা হয়েছে।
মোহাম্মদের খালাত ভাই ইহাব বাদওয়ান জানিয়েছেন, শুক্রবার মোহাম্মদ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। প্রেসিডেন্ট এরদোগান এবং তুরস্কের প্রতি তার ভালবাসাকে আমরা সম্মান জানাতে তুরস্কের পতাকায় তাকে দাফন করেছি।
তিনি বলেন, মোহাম্মদ সব সময় বলতেন, এরদোগান ফিলিস্তিনিদের সমর্থন দেন। এরদোগান ফিলিস্তিনিদের প্রকৃত বন্ধ।

মাহমুদুর রহমানকে সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেন ওসি: ফখরুল

কুষ্টিয়ায় মাহমুদুর রহমানকে আদালত থেকে বের করে সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মির্জা ফখরুল এ অভিযোগ করেন।
হামলার নিন্দা জানিয়ে ফখরুল বলেন, মাহমুদুর রহমান আদালতের কাছে প্রোটেকশন চান, কোর্ট থানায় ফোন করে এবং ওসিকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। এরপরেও ওসি সেখানে এসে উপস্থিত হননি। এরপর একেবারে উচ্চ মহলেও যোগাযোগ করা হয়েছে কিন্তু দুভার্গ্যজনকভাবে এই সরকারের পুলিশ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বলা যায়, ওসি তাকে জোর করে বের করে সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেন। তাকে মাথায় আঘাত করেছে, মুখ রক্তাক্ত করেছে।
কুষ্টিয়ায় এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে ফখরুল বলেন, মাহমুদুর রহমান আদালতে যাওয়ার পর অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আদালত এলাকা ঘিরে রাখে ছাত্রলীগ। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় স্থানীয় যুবলীগ।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কুষ্টিয়ায় একটি মানহানি মামলায় জামিন নিতে গিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলার শিকার হন আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
হামলায় তার মাথা ও মুখ জখম হয়েছে। এছাড়া তাকে বহনকারী গাড়িটি ভেঙে দেয় হামলাকারীরা। পরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে আদালত চত্বর ছেড়ে চলে যান মাহমুদুর রহমান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৮০ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম খেলায় আগে ব্যাট করে ২৭৯ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ দল। দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩০ রান করেছেন তামিম ইকবাল। তার ১৬০ কলের ইনিংসটি ১০ চার ও তিন ছক্কায় সাজানো। এছাড়া ৯৭ রান করেন সাকিব আল হাসান। শেষ দিকে ১১ বলে ৩০ রান করে স্কোর মোটাতাজা করেন মুশফিকুর রহিম।
তামিমের ১০ম সেঞ্চুরি
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তামিম ইকবাল। ওয়ানডে ক্রিকেটে দেশে সেরা ওপেনারের এটা ১০ম সেঞ্চুরি।
টেস্টের সাদা পোশাকে এর আগে ৮টি সেঞ্চুরি করেছেন তামিম ইকবাল। আর টি-টোয়েন্টির সংক্ষিপ্ত ফর্মেটে দেশের হয়ে একমাত্র সেঞ্চুরি করেন তামিম। ক্রিকেটের তিন ফর্মেটে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৯টি সেঞ্চুরি করেন তামিম ইকবাল।
ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বশেষ গত বছরের জুনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওভালে সেঞ্চুরি করেছেন (১২৭)। আর টেস্টে সর্বশেষ সেঞ্চুরি পেয়েছেন ২০১৬ সালের অক্টোবরে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকায়।
সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন সাকিব
আক্ষেপ সাকিবের। ভালো খেলেও সেঞ্চুরি পেলেন না বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। মাত্র ৩ রানের জন্য শতরানের দেখা পাননি সাকিব আল হাসান।
৪৫তম ওভারের তৃতীয় বলে দেবেন্দ্র বিশুকে সুইপ শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন সাকিব আল হাসান। সেঞ্চুরির পথে থাকা সাকিব মাত্র ৩ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন। ১২১ বল খেলে ৬ বাউন্ডারিতে ৯৭ রান করে ফেরেন সাকিব।
সেঞ্চুরি না পেলেও অসাধারণ খেলেছেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ইকবালের সঙ্গে ২০৭ রানের জুটির রেকর্ড গড়েন সাকিব।
সাকিব-তামিমের জুটির রেকর্ড
রোববার গায়ানায় টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ দল। স্কোর বোর্ডে এক রান জমা হতেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়।
শুরুর সেই ধকল সামলে ওঠার আগেই বৃষ্টির বাগড়া। বৃষ্টি এবং ক্যারিবীয় পেস আক্রমণ সামলে বাংলাদেশকে পথ দেখান তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান।

Monday, July 2, 2018

আজারবাইজানের জাদুঘরে কোরআনের ক্ষুদ্রতম পাণ্ডুলিপি

ককেশীয় অঞ্চলের দেশ আজারবাইজান। তেল সম্পদের কারণে দেশটি বেশ সমৃদ্ধ এবং এর আঞ্চলিক প্রভাবও বাড়ছে।
রাজধানীর নাম বাকু। দেশটি ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীন হয়। ৮৬ হাজার ৬০০ বর্গকিলোমিটার দেশটির জনসংখ্যা ১ কোটির মতো। 
দেশটির সংবিধানের ৪৮ নম্বর ধারানুযায়ী আজারবাইজান একটি সেক্যুলার রাষ্ট্র এবং এতে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশটিতে ৩-৪ শতাংশ খ্রিস্টানের মধ্যে রাশিয়ান, জর্জিয়ান এবং আর্মেনিয়ান অর্থোডক্সের প্রাধান্য রয়েছে। আর্মেনিয়ানরা আজারবাইজানের নাগর্ন-কারাবাক অঞ্চলে বসবাস করে। 
সম্প্রতি গ্যালপ পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, বিশ্বের মধ্যে কম ধর্মপালনকারী দেশের মধ্যে আজারবাইজানের অবস্থান ওপরের দিকে। জরিপে অংশ নেওয়া দেশের ৫০ শতাংশ নাগরিক জানিয়েছেন, তাদের জীবনে ধর্মে গুরুত্ব খুব কম অথবা একেবারেই নেই। যদিও দেশটির ৯৩ শতাংশ মুসলমান। 
সেই আজারবাইজানের গাঞ্জি শহরের মিনিয়াটুরি জাতীয় জাদুঘরে কোরআনে কারিমের ক্ষুদ্রতম একটি পাণ্ডুলিপি প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে। ১০ গ্রামেরও কম ওজনের এই পাণ্ডুলিপিটির দৈর্ঘ্য ২ সেন্টিমিটার এবং প্রস্থ ৩ সেন্টিমিটার। 
পৃথিবীতে অনেক গ্রন্থই রয়েছে, যেগুলোর আকার এবং নকশার কারণে সবার কাছে আকর্ষণীয়। বিশেষ করে কোরআনে কারিমের এই ক্ষুদ্রতম পাণ্ডুলিপিটি, যা আজারবাইজানের মিনিয়াটুরি মিউজিয়ামে সংরক্ষিত।
আকার এবং ওজনের দিক থেকে কোরআন শরিফের এই পাণ্ডুলিপিটিকে সেদেশের ক্ষুদ্রতম গ্রন্থ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। 
ওই জাদুঘরে সব থেকে প্রাচীন গ্রন্থ এটি। পাণ্ডুলিপিটি ১৬৭২ সালে সৌদি আরবে লেখা হয়েছে। অতি ক্ষুদ্র পবিত্র কোরআনের এই পাণ্ডুলিপিটি স্বর্ণের কালি দিয়ে লেখা হয়েছে।
আজারবাইজানের মিনিয়াটুরি মিউজিয়ামটি ২০১৬ সালের ২১ মার্চ প্রদর্শনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এই মিউজিয়ামে বিভিন্ন বিষয়ে লেখা বিশ্বের ২৯টি দেশের ১০৬৮টি ক্ষুদ্র গ্রন্থ রয়েছে। জাদুঘরটি দেখতে প্রতিদিন প্রচুর দর্শক ভিড় করেন। 

থাইল্যান্ডে নিখোঁজ ফুটবল দলের সন্ধান, সবাই জীবিত

থাইল্যান্ডের পাহাড়ি গুহায় ভ্রমণে গিয়ে নিখোঁজ কিশোর ফুটবল দলের ১২ সদস্য ও তাদের কোচের সন্ধান পাওয়া গেছে। তারা সবাই জীবিত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন আঞ্চলিক গভর্নর।
গত ২৩ জুন চিয়াং রাই প্রদেশের একটি গুহায় প্রবেশের পর নিখোঁজ হয় ফুটবল টিমের সদস্য ও তাদের কোচ। দলের খেলোয়াড়দের বয়স ১১ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে।
গভর্নর জানান, উদ্ধারকারী দল তাদের সন্ধান পেয়েছেন, ১৩ জনই জীবিত রয়েছেন। কাদা ও পানি বেড়ে যাওয়ায় উদ্ধারকাজে ব্যাঘাত ঘটে বলেও জানান তিনি।
উদ্ধারকাজের অংশ হিসেবে গত শনিবার (৩০ জুলাই) ড্রিল করা শুরু করে কর্তৃপক্ষ। তাতে শেষ পর্যন্ত সফলতা পাওয়া গেলো। রক্ষা হলো এতোগুলো তাজাপ্রাণ।
 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates