পৃথিবীর প্রচলিত মানচিত্র ভুল!!!!!
আমি যদি বলি আপনি এখন পর্যন্ত যত পৃথিবীর যতগুলো মানচিত্র দেখেছেন সবগুলোই একই সাথে ভুল। শুধু ভুলই না অসম্ভব রকমের ভুল। হাস্যকর রকমের ভুল।
কিন্তু আমরা সেই ভুল ম্যাপই বা কেন দেখছি শত বছর ধরে। আসুন জানি পৃথিবীর ম্যাপ সম্পর্কে।
উপরে যে একটা ছোট বিন্দুর মতন পয়েন্ট দেখতেছেনে এটা আমাদের পৃথিবী। ছবিটা তোলা হয়েছে মঙ্গলগ্রহের ভুপৃস্ঠ থেকে। তার মানে আপনি যদি মঙ্গল গ্রহে যেতে পারেন তবে পৃথিবী নামক এই বিশাল গ্রহটাকে দেখতে পাবেন ছোট একটা বিন্দুর মতন।
উপরের ছবিটা বলা হয়ে থাকে চাদের যাওয়া উপগ্রহ এপলো১৭ থেকে তোলা ছবি। খুবই সুন্দর এবং সাজানো গোছানো গোল গাল রঙিন একটা গ্রহ। কিন্তু পৃথিবী আসলে দেখতে কেমন?
প্রথমত যে ভুলটি আমরা করি সেটা হচ্ছে আমরা পৃথিবীর উত্তর দিক কে বা উত্তর মেরুকে উপরের দিক মনে করি। সব সময় আমরা যে ম্যাপগুলো দেখি সেগুলোতে এই কমন ভুলটি আমাদের বুঝিয়ে থাকে যে পৃথিবীর উপরের দিক হচ্ছে উত্তর মেরু আর নিচের দিকে হচ্ছে দক্ষিন মেরু। তাই রাশিয়া উপরের দিকে থাকে আর অস্ট্রেলিয়া নিচের দিকে থাকে। এর প্রধান কারন হচ্ছে প্রথমদিকে যারা পৃথিবীর ম্যাপ তৈরি করতেন তারা বেশিরভাগই ইউরোপের ছিলেন। আর তারা উত্তরদিককে শুভ ভাবতেন। তাই তারা উত্তরদিককেই উপরের দিকে রেখে ম্যাপটি তৈরি করেছেন। কিন্তু আমি যদি বলি নাহ দক্ষিনমেরু উপরের দিকে থাকবে। নাহ তাতে আমার মোটেই ভুল হবে না। যদিও উল্টাে করে দেখা ম্যাপ আপনার কাছে অদ্ভুদ আর হাস্যকর লাগতে পারে। কিন্তু সেটা মোটেই ভুল নয়।
আরো মজার বিষয় হচ্ছে এপলো১৭ এর ক্রুরা যে ছবিটি তুলেছিলেন সেটি ছিল একচুয়ালি আমাদের ম্যাপের ঠিক উল্টো টা। কিন্তু সেটা আমরা মোটেই বুঝতে পারবো না দেখে সেই ছবিটাকে উল্টে আমাদের সামনে প্রকাশ করেছেন নাসার বিজ্ঞানিরা। এই পুরো বিষয়টা আমাদের চোখের দেখার উপরে নির্ভর করে আসলে।
মারাত্মক একটা সমস্যা হচ্ছে আমরা যদিও বিশ্বাস করি যে পৃথিবী একটা গোল গ্রহ কিন্তু আমাদের চোখের সামনে যতদুর যায় পুরোটাই একেবারে সমান বা ফ্লাট। কোথায় কোন গোল বলতে কিছুই নেই। এটার কারন হচ্ছে আমরা থ্রিডাইমেনশনাল বা ত্রিমাত্রিক পৃথিবী সম্পর্কে মোটেই জানি না। আমাদের চোখের সামনে আমরা পৃথিবীর দুইটা ডাইমেনশন এর বেশি দেখতে পাই না। যতদুর চোখ যাবে আপনি দেখতে পাবেন দৈর্ঘ্য আর প্রস্থ। কিন্তু পৃথিবী তো এই দুইটা মাত্রা ছাড়াও আর একটা মাত্রা আছে। আর সেই মাত্রাটার জন্যই এটা সম্পুর্ন গোল। কিন্তু যখনই পৃথিবী থেকে উপরে যাওযা যায় তখনই বোঝা যায় আসলে আমরা একটা দৃস্টিভ্রমের মধ্যে বাস করছি।
এখন পৃথিবীর ম্যাপ করতে গিয়ে বিজ্ঞানিরা এই থ্রিডাইমেনশনাল সমস্যাটার মোকাবেলা করেছেন সবার আগে। কারন গোল ত্রিমাত্রিক একটা পৃথিবীকে যখন একটা ফ্লাট বা সমান কাগজের উপরে আনতে যাবেন তখনই সবচয়েে বড় সমস্যাটা হবে যে সবকিছুই একই সাথে আসবে না। মনে করেন কাগজের উপরে আপনি যদি আফ্রিকা আনতে যান তবে ভুমধ্যসাগর আসবে না। আবার বাংলাদেশ আনতে গেলে আমেরিকা মোটেই আসবে না। কারন এগুলোর দুরত্ব অনুযায়ি একটা আরএকটার উল্টাদিকে বসে আছে।
বিজ্ঞানিরা একটা মজার কাজ করলেন। তারা পুরো পৃথিবীটাকে একটা সিলিন্ডার আকৃতিতে নিয়ে আসলেন। তার পরে সেটার উপরে ম্যাপটা আকলেন। এবং সেটাকে ফ্লাট করে দিলেন। কিন্তু এই সিলিন্ডার করতে গিয়ে কিছু দেশের সাইজ চেঞ্জ করার প্রয়োজন পরল। তখনই বিষয়টা সবার সামনে আনলেন বিশ্ববিখ্যাত ম্যাথামেটিশিয়ান Carl Friedrich Gauss। গাউস হিসাব করে সর্বপ্রথম এই সমস্যার সমাধান করে দিলেন। এরপরই আসলো ফ্লাট ম্যাপ এর ধারনা যেটা বর্তমানে আমরা দেখতে পাই। কিন্তু সত্যিকার অর্থে ফ্লাট ম্যাপ বা সমান মানচিত্র বলতে কিছুই নেই। এই ম্যাপগুলো আসলে এক একটা এক একটা কাজের জন্য বানানো হয়েছিল। তাই সেই ভাবেই এগুলো দেখানো হচ্ছে। এগুলোকে আসলে এক একটা projection বলে। এই projection গুলো মুলত পৃথিবীর ম্যাপকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে। কি বুঝতে কস্ট হচ্ছে??
আচ্ছা ঠিক আছে এবার আমরা তাহলে Mercator projection সম্পর্কে আলোচনা করি। এইটা আসলে আমার লেখার মুল উদ্দেশ্য। আসলে পৃথিবীর ম্যাপটাতে যদি আপনি ভালো করে তাকান তাহলে খেয়াল করুন আফ্রিকা মহাদেশটা অনেক ছোট দেখাচ্ছে। কিন্তু আসলে আফ্রিকা মাহদেশ এর আয়তন যদি আপনি বাস্তবে কোন স্কেলের নিচে রাখেন তবে সেখানে আমেরিকা, ভারত, চিন সহ পুরো উরোপের সবগুলো দেশ আনায়সে আটকে যাবে। আবার যদি আপনি ম্যাপের উপরের দিকে গ্রিনল্যান্ডের দিতে তাকান তবে সেটার সাইজ আর আফ্রিকার সাইজ প্রায় সমান দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবে গ্রিনল্যন্ড নামক ছোট দেশটি আফ্রিকার মধ্যে ১৪ বার আনায়সে সেট হয়ে যাবে। আবার অস্ট্রোলিয়ার যে সাইজ দেখেন বাস্তবে সেটা আরো ঢের অনেক বড়। আমেরিকার আলাস্কার সাইজ দেখতে ব্রাজিলের মতন হলেও ব্রাজিল আলাস্কার থেকে প্রায় ৫ গুন বড়।
ম্যাপটাতে একচুয়ালি যেটা করা হয়েছে তা হচ্ছে গোল পৃথিবীটাকে প্রথমে একটা সিলিন্ডার করে ফেলা হয়েছে। তো সিলিন্ডার আকৃতি আনতে গিয়ে মেরু অঞ্চলের জমির সাইজ বড় করে ফেলা হয়েছে আর বিষুবরেখার অঞ্চলগুলোকে অনেক অনেক ছোট করে ফেলা হয়েছে। বিশ্বাস না হলে এক কাজ করুন আমার নিচের দেয়া লিংকে চলে যান। এটা গুগল ম্যাপস এর পাজল সফ্টওয়ার। এটাতে কিছক্ষন ঘুরোঘুরি করলেই বুঝতে পারবেন আসল ঘটনাটা কোথায়।
https://gmaps-samples.googlecode.com/svn/trunk/poly/puzzledrag.html”>
খেয়াল করুন লাল চিন্হিত অংশগুলো এক একটা দেশের অংশ। তাদেরকে আপনি যখনই মাউস এর কার্সর দিয়ে চেপে ধরে মাঝখানে আনবেন তারা ছোট হয়ে যাবে। আবার যখনই ম্যাপের উপরের দিকে মানে মেরু অঞ্চলের দিকে নিয়ে যাবেন বড় হয়ে যাবে। এটাই মুলত একটা ম্যাপ এর আসল রহস্যা। বিষয়টা আরো ভালেভাবে বোঝার জন্য নিচের ওয়েবসাইটটাতে গিয়ে দেখতে পারেন। নিচর
ম্যানু থেকে Mercator অপশন সিলেক্ট করুন আর দেখুন পৃথিবীর মানচিত্রের আসল মজা।
http://www.jasondavies.com/maps/transition/
এবার উপরের ওয়েবসাইটটির ঠিক নিচের মাঝখানের ম্যানু থেকে Mollweide সিলেক্ট করুন। এবার আপনি দেখতে পাবেন আসলে পৃথিবীর চিত্রটা কেমন আসে। মুলত এটাই পৃথিবীর সত্যিকারের সঠিক মানচিত্র হবে।
এখন যদি এইটাকে সেকশন আকারে ভাগ করা যায় তবে এটা আরো বেশি একুরেট হবে। তবে উপরের ছবিতে সমুদ্রগুলোকে যে কাটাকাটা দেখছেন এটা আসলে আপনার দৃস্টিসিমার অক্ষমতার জন্যই আপনাকে এভাবে দেখানো হচ্ছে। আসলে আমরা মানুষ্যপ্রজাতির দৃস্টি সিমা পৃথিবীর আসল ম্যাপ দেখার মতন সক্ষম নয়।
এবার আরো কিছু মজার বিষয় নিয়ে কথা বলি। সেই পুরোনো প্রশ্ন আসবে যে আমরা যখন এক স্থান থেকে আর এক স্থানে যাই তখন তো আমরা সেটার দুরত্ব হিসাব করি লম্বা একটা লাইন এর মতন হিসাব করে। কিন্তু পৃথিবী তো সম্পুর্ন গোলাকার বা ডিম্বাকার। তো এটা সম্পুর্ন ভুল। আমরা যখন কোন কোন বিশাল দুরত্ব অতিক্রম করি মানে মনে করেন ঢাকা থেকে চিটাগাং পর্যন্ত যাই তখন আসলে আমরা পৃথিবীর বিশাল একটা বৃত্বের একটা ক্ষুদ্রাতিক্ষদ্রাংশ অতিক্রম করি। কিন্তু এই ক্ষদ্রাংশ হিসাব করা তো আমাদের জন্য দুরহ ব্যাপার।
উপরে যে একটা ছোট বিন্দুর মতন পয়েন্ট দেখতেছেনে এটা আমাদের পৃথিবী। ছবিটা তোলা হয়েছে মঙ্গলগ্রহের ভুপৃস্ঠ থেকে। তার মানে আপনি যদি মঙ্গল গ্রহে যেতে পারেন তবে পৃথিবী নামক এই বিশাল গ্রহটাকে দেখতে পাবেন ছোট একটা বিন্দুর মতন।
উপরের ছবিটা বলা হয়ে থাকে চাদের যাওয়া উপগ্রহ এপলো১৭ থেকে তোলা ছবি। খুবই সুন্দর এবং সাজানো গোছানো গোল গাল রঙিন একটা গ্রহ। কিন্তু পৃথিবী আসলে দেখতে কেমন?
প্রথমত যে ভুলটি আমরা করি সেটা হচ্ছে আমরা পৃথিবীর উত্তর দিক কে বা উত্তর মেরুকে উপরের দিক মনে করি। সব সময় আমরা যে ম্যাপগুলো দেখি সেগুলোতে এই কমন ভুলটি আমাদের বুঝিয়ে থাকে যে পৃথিবীর উপরের দিক হচ্ছে উত্তর মেরু আর নিচের দিকে হচ্ছে দক্ষিন মেরু। তাই রাশিয়া উপরের দিকে থাকে আর অস্ট্রেলিয়া নিচের দিকে থাকে। এর প্রধান কারন হচ্ছে প্রথমদিকে যারা পৃথিবীর ম্যাপ তৈরি করতেন তারা বেশিরভাগই ইউরোপের ছিলেন। আর তারা উত্তরদিককে শুভ ভাবতেন। তাই তারা উত্তরদিককেই উপরের দিকে রেখে ম্যাপটি তৈরি করেছেন। কিন্তু আমি যদি বলি নাহ দক্ষিনমেরু উপরের দিকে থাকবে। নাহ তাতে আমার মোটেই ভুল হবে না। যদিও উল্টাে করে দেখা ম্যাপ আপনার কাছে অদ্ভুদ আর হাস্যকর লাগতে পারে। কিন্তু সেটা মোটেই ভুল নয়।
আরো মজার বিষয় হচ্ছে এপলো১৭ এর ক্রুরা যে ছবিটি তুলেছিলেন সেটি ছিল একচুয়ালি আমাদের ম্যাপের ঠিক উল্টো টা। কিন্তু সেটা আমরা মোটেই বুঝতে পারবো না দেখে সেই ছবিটাকে উল্টে আমাদের সামনে প্রকাশ করেছেন নাসার বিজ্ঞানিরা। এই পুরো বিষয়টা আমাদের চোখের দেখার উপরে নির্ভর করে আসলে।
মারাত্মক একটা সমস্যা হচ্ছে আমরা যদিও বিশ্বাস করি যে পৃথিবী একটা গোল গ্রহ কিন্তু আমাদের চোখের সামনে যতদুর যায় পুরোটাই একেবারে সমান বা ফ্লাট। কোথায় কোন গোল বলতে কিছুই নেই। এটার কারন হচ্ছে আমরা থ্রিডাইমেনশনাল বা ত্রিমাত্রিক পৃথিবী সম্পর্কে মোটেই জানি না। আমাদের চোখের সামনে আমরা পৃথিবীর দুইটা ডাইমেনশন এর বেশি দেখতে পাই না। যতদুর চোখ যাবে আপনি দেখতে পাবেন দৈর্ঘ্য আর প্রস্থ। কিন্তু পৃথিবী তো এই দুইটা মাত্রা ছাড়াও আর একটা মাত্রা আছে। আর সেই মাত্রাটার জন্যই এটা সম্পুর্ন গোল। কিন্তু যখনই পৃথিবী থেকে উপরে যাওযা যায় তখনই বোঝা যায় আসলে আমরা একটা দৃস্টিভ্রমের মধ্যে বাস করছি।
এখন পৃথিবীর ম্যাপ করতে গিয়ে বিজ্ঞানিরা এই থ্রিডাইমেনশনাল সমস্যাটার মোকাবেলা করেছেন সবার আগে। কারন গোল ত্রিমাত্রিক একটা পৃথিবীকে যখন একটা ফ্লাট বা সমান কাগজের উপরে আনতে যাবেন তখনই সবচয়েে বড় সমস্যাটা হবে যে সবকিছুই একই সাথে আসবে না। মনে করেন কাগজের উপরে আপনি যদি আফ্রিকা আনতে যান তবে ভুমধ্যসাগর আসবে না। আবার বাংলাদেশ আনতে গেলে আমেরিকা মোটেই আসবে না। কারন এগুলোর দুরত্ব অনুযায়ি একটা আরএকটার উল্টাদিকে বসে আছে।
বিজ্ঞানিরা একটা মজার কাজ করলেন। তারা পুরো পৃথিবীটাকে একটা সিলিন্ডার আকৃতিতে নিয়ে আসলেন। তার পরে সেটার উপরে ম্যাপটা আকলেন। এবং সেটাকে ফ্লাট করে দিলেন। কিন্তু এই সিলিন্ডার করতে গিয়ে কিছু দেশের সাইজ চেঞ্জ করার প্রয়োজন পরল। তখনই বিষয়টা সবার সামনে আনলেন বিশ্ববিখ্যাত ম্যাথামেটিশিয়ান Carl Friedrich Gauss। গাউস হিসাব করে সর্বপ্রথম এই সমস্যার সমাধান করে দিলেন। এরপরই আসলো ফ্লাট ম্যাপ এর ধারনা যেটা বর্তমানে আমরা দেখতে পাই। কিন্তু সত্যিকার অর্থে ফ্লাট ম্যাপ বা সমান মানচিত্র বলতে কিছুই নেই। এই ম্যাপগুলো আসলে এক একটা এক একটা কাজের জন্য বানানো হয়েছিল। তাই সেই ভাবেই এগুলো দেখানো হচ্ছে। এগুলোকে আসলে এক একটা projection বলে। এই projection গুলো মুলত পৃথিবীর ম্যাপকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে। কি বুঝতে কস্ট হচ্ছে??
আচ্ছা ঠিক আছে এবার আমরা তাহলে Mercator projection সম্পর্কে আলোচনা করি। এইটা আসলে আমার লেখার মুল উদ্দেশ্য। আসলে পৃথিবীর ম্যাপটাতে যদি আপনি ভালো করে তাকান তাহলে খেয়াল করুন আফ্রিকা মহাদেশটা অনেক ছোট দেখাচ্ছে। কিন্তু আসলে আফ্রিকা মাহদেশ এর আয়তন যদি আপনি বাস্তবে কোন স্কেলের নিচে রাখেন তবে সেখানে আমেরিকা, ভারত, চিন সহ পুরো উরোপের সবগুলো দেশ আনায়সে আটকে যাবে। আবার যদি আপনি ম্যাপের উপরের দিকে গ্রিনল্যান্ডের দিতে তাকান তবে সেটার সাইজ আর আফ্রিকার সাইজ প্রায় সমান দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবে গ্রিনল্যন্ড নামক ছোট দেশটি আফ্রিকার মধ্যে ১৪ বার আনায়সে সেট হয়ে যাবে। আবার অস্ট্রোলিয়ার যে সাইজ দেখেন বাস্তবে সেটা আরো ঢের অনেক বড়। আমেরিকার আলাস্কার সাইজ দেখতে ব্রাজিলের মতন হলেও ব্রাজিল আলাস্কার থেকে প্রায় ৫ গুন বড়।
ম্যাপটাতে একচুয়ালি যেটা করা হয়েছে তা হচ্ছে গোল পৃথিবীটাকে প্রথমে একটা সিলিন্ডার করে ফেলা হয়েছে। তো সিলিন্ডার আকৃতি আনতে গিয়ে মেরু অঞ্চলের জমির সাইজ বড় করে ফেলা হয়েছে আর বিষুবরেখার অঞ্চলগুলোকে অনেক অনেক ছোট করে ফেলা হয়েছে। বিশ্বাস না হলে এক কাজ করুন আমার নিচের দেয়া লিংকে চলে যান। এটা গুগল ম্যাপস এর পাজল সফ্টওয়ার। এটাতে কিছক্ষন ঘুরোঘুরি করলেই বুঝতে পারবেন আসল ঘটনাটা কোথায়।
https://gmaps-samples.googlecode.com/svn/trunk/poly/puzzledrag.html”>
খেয়াল করুন লাল চিন্হিত অংশগুলো এক একটা দেশের অংশ। তাদেরকে আপনি যখনই মাউস এর কার্সর দিয়ে চেপে ধরে মাঝখানে আনবেন তারা ছোট হয়ে যাবে। আবার যখনই ম্যাপের উপরের দিকে মানে মেরু অঞ্চলের দিকে নিয়ে যাবেন বড় হয়ে যাবে। এটাই মুলত একটা ম্যাপ এর আসল রহস্যা। বিষয়টা আরো ভালেভাবে বোঝার জন্য নিচের ওয়েবসাইটটাতে গিয়ে দেখতে পারেন। নিচর
ম্যানু থেকে Mercator অপশন সিলেক্ট করুন আর দেখুন পৃথিবীর মানচিত্রের আসল মজা।
http://www.jasondavies.com/maps/transition/
এবার উপরের ওয়েবসাইটটির ঠিক নিচের মাঝখানের ম্যানু থেকে Mollweide সিলেক্ট করুন। এবার আপনি দেখতে পাবেন আসলে পৃথিবীর চিত্রটা কেমন আসে। মুলত এটাই পৃথিবীর সত্যিকারের সঠিক মানচিত্র হবে।
এখন যদি এইটাকে সেকশন আকারে ভাগ করা যায় তবে এটা আরো বেশি একুরেট হবে। তবে উপরের ছবিতে সমুদ্রগুলোকে যে কাটাকাটা দেখছেন এটা আসলে আপনার দৃস্টিসিমার অক্ষমতার জন্যই আপনাকে এভাবে দেখানো হচ্ছে। আসলে আমরা মানুষ্যপ্রজাতির দৃস্টি সিমা পৃথিবীর আসল ম্যাপ দেখার মতন সক্ষম নয়।
এবার আরো কিছু মজার বিষয় নিয়ে কথা বলি। সেই পুরোনো প্রশ্ন আসবে যে আমরা যখন এক স্থান থেকে আর এক স্থানে যাই তখন তো আমরা সেটার দুরত্ব হিসাব করি লম্বা একটা লাইন এর মতন হিসাব করে। কিন্তু পৃথিবী তো সম্পুর্ন গোলাকার বা ডিম্বাকার। তো এটা সম্পুর্ন ভুল। আমরা যখন কোন কোন বিশাল দুরত্ব অতিক্রম করি মানে মনে করেন ঢাকা থেকে চিটাগাং পর্যন্ত যাই তখন আসলে আমরা পৃথিবীর বিশাল একটা বৃত্বের একটা ক্ষুদ্রাতিক্ষদ্রাংশ অতিক্রম করি। কিন্তু এই ক্ষদ্রাংশ হিসাব করা তো আমাদের জন্য দুরহ ব্যাপার।
এতক্ষন উপরের যে ওয়েবসাইটটাতে আপনাকে Mercator ঘুরতে বললাম সেটাতে এই সোজা দুরত্বটা দেখা যায় কার্ভ বা গোলাকার হিসাবে। ঠিক পৃথিবীর ব্যাস যেভাবে আসবে। কিন্তু
http://bl.ocks.org/mbostock/3795048
নামক এই ওয়েবসাইটটাতে আপনি খুব সহজেই দেখতে পাবেন আসলে দুরত্বটা কিভাবে সোজা একটা লাইনে কাজ করে। অসাধারন আর রোমাঞ্চকর এই বিষয়টা আমি এই প্রথম জানলাম এবং শিখলাম।
http://bl.ocks.org/mbostock/3795048
নামক এই ওয়েবসাইটটাতে আপনি খুব সহজেই দেখতে পাবেন আসলে দুরত্বটা কিভাবে সোজা একটা লাইনে কাজ করে। অসাধারন আর রোমাঞ্চকর এই বিষয়টা আমি এই প্রথম জানলাম এবং শিখলাম।
এখন যদি আপনি বলেন নাহ আমাকে মোটামুটি পারফেক্ট একটা ম্যাপ দেখাও যেটাতে জমির আয়তন ঠিক থাকবে এবং ম্যাপটাও ফ্লাট বা সমান থাকবে। সেক্ষেত্রে আপনার জন্য ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক একটি ম্যাপ তৈরি করেছে। তাদের এটা ১৯৯৮ সাল থেকে মোটামুটি কাছাকাছি একটা একটা ম্যাপ হয়েছে যেখানে জমির আয়তন এবং ফ্লাট একটা ম্যাপ করা হয়েছে।এখানে শুধু আমি তিন থেকে চারটা প্রজেকশন সম্পর্কে বলেছি। আপনি আর একটু কস্ট করে মার্কিন মহাকাশ গবেষনা সংস্থা নাসার এই ওয়েবসাইটটাতে চলে যান।
http://www.giss.nasa.gov/tools/gprojector/help/projections.html
চাইলে এটাতেও যেতে পারেন
http://www.colorado.edu/geography/gcraft/notes/mapproj/mapproj.html
এখনে এ ধরনের আরো শতাধিক প্রজেকশনের ছবি পাবেন। যেগুলো এক একটা এক এক ধরনের কাজের জন্য ব্যাবহৃত হয়।
যেমন ওয়াটারম্যান প্রজেকশন নামের এই ম্যাপটা পাবেন।
আবার ডাইম্যাক্সিয়ান প্রজেকশন ম্যাপটি পৃথবিকে প্রথমে গোল থেকে ত্রিকোনাকার করে ফেলেছে তার পরে সেটাকে সমান ফ্লাট করে দেখিয়েছে মানুষ কিভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে বিস্তৃত হয়েছে। মানে মানুষ কোথায় পয়দা হয়ে পুরো পৃথিবীতে কিভাবে ছরিয়েছে।
সবার শেষে এই ম্যাপের প্রজেকশনগুলো কিভাবে মানুষকে হেল্প করে এটা সম্পর্কে একটা অসাধারন উদাহরন বলি। আমরা সবাই বলে থাকি পৃথিবীর ভুভাগের সবকিছুই আমাদের নখদর্পনে। আমরা সকল স্থানে গিয়েছি। কিন্তু কিছুদিন আগে একটা বিশ্ববিদ্যাল্যায়ে ভুতত্ব বিভাগের শিক্ষক Dr. Julian Bayliss গুগল আর্থ এর ম্যাপ ব্যাবহার করে আফ্রিকার মোজাম্বিক আমন একটা দেশের ভুভাগ পরিক্ষা করছিলেন। হঠাৎ করে তার চোখে পরে একটা পর্বত যেটার অপর পাশে সবুজ একটা জঙ্গল। তিনি সাথে সাথে তার একটা টিমকে রেডি করে চলে যান মোজাম্বিকে। কারন এই জঙ্গলটা সম্পর্কে কখনো কেউ শুনেনি এবং মোজাম্বিকের ম্যাপেও এর কোন উল্লেখ নেই। পরবর্তিতে তিনি ২০১৩ সালে এসে আবিস্কার করলেন অত্যাশ্চর্য এক জঙ্গল যেটাতে উনার আগে কখনো মানুষের পা পরেনি এমনকি কেউ জানতই না এধরনের একটা জঙ্গল আফ্রিকাতে আছে।
উপরের এই ভিডিওটা দেখলে বুঝতে পারবেন কি অসাধারন জিনিষ আবিস্কার করেছিলেন Dr. Julian Bayliss আর তার দল। আপনার হাতের মোবাইলে থাকা যে ইন্টারনেটের লাইটটি পাচ্ছেন এটি একটি সাবমেরিন ক্যাবলে এসেছে। আর এই সাবমেরিন ক্যাবলটি বসাতে গিয়ে উক্ত প্রকৌশলি দলকে একটা নির্দিস্ট প্রজেকশনটি ব্যাবহার করতে হয়েছে। আপনার বাসায় আসা গ্যাসের কানেকশনটির জন্য একটা প্রজেকশন ব্যাবহার করা হয়েছে। গ্যাসের কুপটি খনন করার জন্য বা তেলের কুপগুলো খনন করার জন্য ব্যাবহার করা হয়েছে একটা প্রজেকশন। আপনার আমার কল্পনার বাইরে যে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কি পরিমানে ব্যাবহারিক দিক আছে এই ম্যাপ প্রজেকশনগুলোর।
আর আমরা আমাদের চোখের সামনে সার্বক্ষনিক একটা অদ্ভুৎ ম্যাপ নিয়ে বসে আছি যেটাতে আমরা নিজেরই জানিনা যে ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুল করে রাখা হয়েছে। এই পৃথিবীতে এখনো আমরাদে দৃস্টির অগোচরে অনেক অনেক জিনিষ রয়েছে যা এখনো আমরা জানিনা বা দেখিনাই। তাই সবকিছু দেখা হয়ে গেছে বা আবিস্কার হয়ে গেছে বলে বসে উপরের ছবির মতন মাথা মাটির নিচে ঢুকিয়ে রাখবেন না। অথবা এটাও মনে করবেন না বেশি জানার প্রয়োজন নাই বেশি জানলে ইমান চলে যাবে। জানার চেস্টা করুন, খুজতে থাকুন। সে আপনি যে বিষয়ের স্টুডেন্ট বা কর্মিই হোননা কেন। সফল আপনি হবেনই কারন অদেখা এই পৃথিবী যত বেশি আমরা দেখবো এবং অজানা কিছু যত বেশি জানবো আমাদের চোখের সামনের অন্ধকার ততই কেটে যাবে।আমি যদি বলি আপনি এখন পর্যন্ত যত পৃথিবীর যতগুলো মানচিত্র দেখেছেন সবগুলোই একই সাথে ভুল। শুধু ভুলই না অসম্ভব রকমের ভুল। হাস্যকর রকমের ভুল।
http://www.giss.nasa.gov/tools/gprojector/help/projections.html
চাইলে এটাতেও যেতে পারেন
http://www.colorado.edu/geography/gcraft/notes/mapproj/mapproj.html
এখনে এ ধরনের আরো শতাধিক প্রজেকশনের ছবি পাবেন। যেগুলো এক একটা এক এক ধরনের কাজের জন্য ব্যাবহৃত হয়।
যেমন ওয়াটারম্যান প্রজেকশন নামের এই ম্যাপটা পাবেন।
আবার ডাইম্যাক্সিয়ান প্রজেকশন ম্যাপটি পৃথবিকে প্রথমে গোল থেকে ত্রিকোনাকার করে ফেলেছে তার পরে সেটাকে সমান ফ্লাট করে দেখিয়েছে মানুষ কিভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে বিস্তৃত হয়েছে। মানে মানুষ কোথায় পয়দা হয়ে পুরো পৃথিবীতে কিভাবে ছরিয়েছে।
সবার শেষে এই ম্যাপের প্রজেকশনগুলো কিভাবে মানুষকে হেল্প করে এটা সম্পর্কে একটা অসাধারন উদাহরন বলি। আমরা সবাই বলে থাকি পৃথিবীর ভুভাগের সবকিছুই আমাদের নখদর্পনে। আমরা সকল স্থানে গিয়েছি। কিন্তু কিছুদিন আগে একটা বিশ্ববিদ্যাল্যায়ে ভুতত্ব বিভাগের শিক্ষক Dr. Julian Bayliss গুগল আর্থ এর ম্যাপ ব্যাবহার করে আফ্রিকার মোজাম্বিক আমন একটা দেশের ভুভাগ পরিক্ষা করছিলেন। হঠাৎ করে তার চোখে পরে একটা পর্বত যেটার অপর পাশে সবুজ একটা জঙ্গল। তিনি সাথে সাথে তার একটা টিমকে রেডি করে চলে যান মোজাম্বিকে। কারন এই জঙ্গলটা সম্পর্কে কখনো কেউ শুনেনি এবং মোজাম্বিকের ম্যাপেও এর কোন উল্লেখ নেই। পরবর্তিতে তিনি ২০১৩ সালে এসে আবিস্কার করলেন অত্যাশ্চর্য এক জঙ্গল যেটাতে উনার আগে কখনো মানুষের পা পরেনি এমনকি কেউ জানতই না এধরনের একটা জঙ্গল আফ্রিকাতে আছে।
উপরের এই ভিডিওটা দেখলে বুঝতে পারবেন কি অসাধারন জিনিষ আবিস্কার করেছিলেন Dr. Julian Bayliss আর তার দল। আপনার হাতের মোবাইলে থাকা যে ইন্টারনেটের লাইটটি পাচ্ছেন এটি একটি সাবমেরিন ক্যাবলে এসেছে। আর এই সাবমেরিন ক্যাবলটি বসাতে গিয়ে উক্ত প্রকৌশলি দলকে একটা নির্দিস্ট প্রজেকশনটি ব্যাবহার করতে হয়েছে। আপনার বাসায় আসা গ্যাসের কানেকশনটির জন্য একটা প্রজেকশন ব্যাবহার করা হয়েছে। গ্যাসের কুপটি খনন করার জন্য বা তেলের কুপগুলো খনন করার জন্য ব্যাবহার করা হয়েছে একটা প্রজেকশন। আপনার আমার কল্পনার বাইরে যে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কি পরিমানে ব্যাবহারিক দিক আছে এই ম্যাপ প্রজেকশনগুলোর।
আর আমরা আমাদের চোখের সামনে সার্বক্ষনিক একটা অদ্ভুৎ ম্যাপ নিয়ে বসে আছি যেটাতে আমরা নিজেরই জানিনা যে ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুল করে রাখা হয়েছে। এই পৃথিবীতে এখনো আমরাদে দৃস্টির অগোচরে অনেক অনেক জিনিষ রয়েছে যা এখনো আমরা জানিনা বা দেখিনাই। তাই সবকিছু দেখা হয়ে গেছে বা আবিস্কার হয়ে গেছে বলে বসে উপরের ছবির মতন মাথা মাটির নিচে ঢুকিয়ে রাখবেন না। অথবা এটাও মনে করবেন না বেশি জানার প্রয়োজন নাই বেশি জানলে ইমান চলে যাবে। জানার চেস্টা করুন, খুজতে থাকুন। সে আপনি যে বিষয়ের স্টুডেন্ট বা কর্মিই হোননা কেন। সফল আপনি হবেনই কারন অদেখা এই পৃথিবী যত বেশি আমরা দেখবো এবং অজানা কিছু যত বেশি জানবো আমাদের চোখের সামনের অন্ধকার ততই কেটে যাবে।আমি যদি বলি আপনি এখন পর্যন্ত যত পৃথিবীর যতগুলো মানচিত্র দেখেছেন সবগুলোই একই সাথে ভুল। শুধু ভুলই না অসম্ভব রকমের ভুল। হাস্যকর রকমের ভুল।
No comments:
Post a Comment