Tuesday, January 17, 2017
শরণার্থীদের জায়গা দেওয়া জার্মানির ভয়ঙ্কর ভুল
রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র হ্রাসে একমত হলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে, ইউরোপের অন্য দেশগুলোও এবার ব্রেক্সিটের পথেই হাঁটবে
বিপুলসংখ্যক শরণার্থীকে দেশে জায়গা দিয়ে 'ভয়ঙ্কর ভুল' করেছে জার্মানি। গত রোববার ইউকে টাইমস ও জার্মানির প্রভাবশালী দ্য বিল্ড পত্রিকায় দেওয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন। আর তিন দিন পরই আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও নেতাদের মনোযোগ এখন তার দিকেই। হোয়াইট হাউসে প্রবেশের আগমুহূর্তে ওই সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বিশ্বপরিস্থিতি তথা নানা দেশ নিয়ে কথা বলেন। এর ভেতর দিয়ে ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতি কেমন হবে, তার একটা আগাম আভাস মেলে। খবর : দ্য গার্ডিয়ান।
জার্মানি প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, দেশটিতে শরণার্থীদের জায়গা দিয়ে অ্যাঙ্গেলা মেরকেল 'ভয়ঙ্কর ভুল' করেছেন। এর জন্য দেশটিকে ভীষণ মূল্য চুকাতে হবে। এ প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, 'আমার মনে হয় সিরিয়াতেই সেফ জোন তৈরি করা গেলে এতে ব্যয় কিছুটা কমত। আমি বলব, সিরিয়ায় সেফ জোন তৈরি করুন।' তবে মেরকেলের প্রতি তার 'অশেষ শ্রদ্ধা' রয়েছে বলেও ট্রাম্প মন্তব্য করেন।
ব্রিটেন ও ব্রেক্সিট :এ সময় ব্রেক্সিটের জন্য জার্মানিকেই দায়ী করেন ট্রাম্প। তার মতে, শরণার্থীদের জার্মানিতে জায়গা দিয়ে মেরকেল দেশে জঙ্গিদের ডেকে এনেছেন। এর ফলেই ব্রেক্সিটে ব্রিটিশরা ইইউ ছাড়ার পক্ষে ভোট দেয়। অন্য দেশগুলোও এবার একই পথে হাঁটবে। ব্রিটেনের সঙ্গে দ্রুত বাণিজ্য চুক্তি করতেও তিনি ব্যাপকভাবে আগ্রহী।
রাশিয়া ও পরমাণু অস্ত্র :অন্যদিকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পারমাণবিক অস্ত্র হ্রাসের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া যদি একমত হতে পারে তবেই রাশিয়ার ওপর থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবেন ট্রাম্প। ওবামা প্রশাসনের প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্প বলেন, 'তারা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল- এখন দেখি আমরা কিছু ভালো চুক্তি করতে পারি কি-না।' রাশিয়া ও জার্মানিকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বিশ্বে নতুন ক্ষমতার সমীকরণ তৈরি করবেন বলেও আভাস দেন।
চীন ও মুক্ত বাণিজ্য :যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যে যে ঘাটতি আছে তা পূরণ করতে, বিশেষত চীনের সঙ্গে মার্কিন ঘাটতি পুষিয়ে নিতে তিনি বিশেষ আগ্রহী। এক্ষেত্রে মুক্তবাণিজ্য নয়, স্মার্ট ট্রেডের ওপর গুরুত্ব দেবেন তিনি।
ইরাক, ইরান, সিরিয়া ও আফগানিস্তান :তিনি মনে করেন, ইরাকে হামলা করা উচিত হয়নি। দেশটিতে হামলার এ সিদ্ধান্ত মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য ঘটনা। এ সময় ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু চুক্তি নিয়ে তিনি খুশি নন বলেও মন্তব্য করেন। তার ভাষায়, এটা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য চুক্তি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও সিরিয়ায় ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আসাদ এবং পুতিনকে ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় ট্রাম্প ওবামা প্রশাসনের সমালোচনা করেন। এদিকে দীর্ঘকাল ধরে সামরিক হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও আফগানিস্তানে মার্কিননীতির ব্যর্থতারও সমালোচনা করেন।
সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা :এতদিন ওবামাকেয়ারের সমালোচনা করে এলেও গতকাল ওয়াশিংটন পোস্টকে ট্রাম্প সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবার কথা বলেছেন। সবার জন্য স্বাস্থ্য বীমা চান তিনি। তবে কীভাবে তা সম্ভব, সে বিষয়ে কিছু বলেননি।
Labels:
আন্তর্জাতিক
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment