Social Icons

Monday, February 25, 2019

যে কারণে বিমান ছিনতাই করতে চেয়েছিলেন পলাশ

বিমান উড়িয়ে দিয়ে চিত্রনায়িকা সিমলার প্রতি ‘ভালোবাসার নজির’ স্থাপন করতে চেয়েছিলেন মাহাদী ওরফে মাজিদুল ওরফে পলাশ!
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুবাইগামী বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ বিজি-১৪৭ ফ্লাইটি উড্ডয়ন করে মাঝ আকাশে, তখন এক যুবক দৌঁড়ে এসে ক্রু সাগরকে অস্ত্র ঠেকিয়ে তাকে জিম্মি করে।
তখন ক্রু সাগর জানতে চান কেন তিনি (ওই যুবক) এমনটি করছেন। তখন ওই যুবক সাগরকে বলেন, নায়িকা সিমলার সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন আগে তাকে ডিভোর্স দিয়েছেন। সিমলাকে ভালবাসতেন তিনি। সিমলা একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। রাত কাটান। এটি তিনি মানতে পারছেন না। তিনি এর বিচার প্রধানমন্ত্রীকে দিতে চান। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দুই মিনিট কথা বলতে চান। সিমলার সঙ্গে কথা বলতে চান।
এক পর্যায়ে ক্রু সাগরের মোবাইল ফোন কেড়ে নেন জিম্মিকারী যুবক। এরপর তিনি মোবাইল ফোনে (সিমলার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠা সেই ব্যক্তির সঙ্গে ) কথা বলেন।
এ সময় জিম্মিকারী যুবক অন্য প্রান্তে যার সঙ্গে কথা বলছেন তাকে বলতে শোনা যায়, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দুই মিনিট কথা বলার সুযোগ করে দিন। ‘স্ত্রী’ সিমলার সঙ্গে কথা বলার ব্যবস্থা করে দিন।’
জিম্মিদশায় থাকা কেবিন ক্রু সাগরের উদ্ধৃতি দিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিমানবন্দরের একাধিক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, কথা বলার ফাঁকেই একাধিকবার সাগরকে গুলি করার হুমকি দেন জিম্মিকারী যুবক। শার্ট উল্টে বুকের মধ্যে বোমাসদৃশ বেল্ট বেঁধে রাখার দৃশ্য দেখান। ককপিটে যেতে না দিলে বিস্ফোরণের মাধ্যমে উড়োজাহাজ উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন।
এ সময় ক্রু সাগর জিম্মিকারী যুবককে বলেন, একটি মেয়ের জন্য আপনি কেন এমন করছেন। একটি উড়োজাহাজ উড়িয়ে দেয়ার মতো ঘটনা কেন ঘটাতে চাচ্ছেন। দেশে কী মেয়ের অভাব আছে।
তখন উত্তরে জিম্মিকারী যুবক বলেন, তিনি সিমলাকে ভালোবাসেন। ভালোবাসার নজির রাখতে চান এই ঘটনার মধ্যদিয়ে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে প্রথম বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়ে ইতিহাস রচনা করতে চান।
উল্লেখ্য, রোববার বিকালে দুবাইয়ের উদ্দেশে ক্রুসহ ১৪৮ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে বিমানটি।
বিমানের চট্টগ্রামগামী ফ্লাইটটি যখন মাঝ আকাশে, তখন এক ব্যক্তি পাইলটকে অস্ত্র ঠেকিয়ে উড়োজাহাজটি জিম্মি করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের জরুরি অবতরণ করা হয়। জরুরি অবতরণের পরপরই রানওয়েতে বিমানটি ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ।
পরে সব যাত্রীকে নিরাপদে নামিয়ে আনা হলেও একজন ক্রুকে ওই ছিনতাইকারী জিম্মি করে রাখে বলে সূত্রের খবর।
পরে বিমানবন্দরে যায় সোয়াত টিম ও বোম ডিসপোজাল ইউনিট। ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসও।
ঘটনাস্থল থেকে একাধিক সূত্র জানায়, বিমানের বিজি-১৪৭ নম্বর ফ্লাইটটি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা। কিন্তু উড্ডয়নের পরপরই এ ঘটনা ঘটে।
এরপরই দ্রুত ফ্লাইটের সব যাত্রীকে নামিয়ে দেয়া হয়। বিমানটি রানওয়েতে অবস্থান করে এবং সেটি ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
বিমানবন্দরের একাধিক সূত্র জানায়, যাত্রীদের নামিয়ে আনলেও সাগর নামে একজন ক্রু ও ছিনতাইকারী বিমানটির ভেতরে রয়ে যান।
বিমানটি রোববার বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে জরুরি অবতরণ করা হয়। তাৎক্ষণিক সেখানে বিমান ওঠানামা বন্ধ করা হয় বলে জানান বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্লাহ।
পরে সেনা স্পেশাল ফোর্স ও নৌ কমোডর এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমানের নেতৃত্বে নৌ কমোডর দলের অভিযানে সন্দেহভাজন ওই ছিনতাইকারীকে আহতাবস্থায় আটক করা হয় এবং আহতাবস্থায় ক্রু সাগরকে উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া বিমানটির সব যাত্রী-ক্রুরা সুস্থ রয়েছেন। বিমানের কোনো ক্ষতিও হয়নি।
এদিকে রোববার রাত পৌনে ৯টার দিকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিমানের ভেতরে অভিযান চালানোর সময় ওই ব্যক্তিকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয় কিন্তু সে অস্বীকৃতি জানালে গুলি চালানো হয়। পরে তার মৃত্যু হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বিমানে ক্রুসহ ১৪৮ জন যাত্রী ছিলেন। তারা সবাই নিরাপদে বের হয়ে এসেছেন।
এর আগে রাত ৮টার দিকে সিভিল অ্যাভিয়েশনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ৭টা ১৭ মিনিটে অভিযান পরিচালনা করে। এটি শেষ হয় ৭টা ২৫ মিনিটে। এ সময় ছিনতাইকারীকে আহত অবস্থায় আটক করা হয়।
রোববার রাতে নিহত ওই যুবকের পরিচয় নিয়ে একাধিক তথ্য জানানো হয়, যা নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়। প্রথমে বলা হয়, তার নাম মাহাদী। পরে বলা হয় মো. মাজিদুল। তবে টিকিটে তার নাম মো. মাজিদুল লেখা ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়। কিন্তু সোমবার যে তথ্য এল, তাতে দেখা যাচ্ছে তার নাম মাহাদী ও মাজিদুল কোনোটিই নয়; তার নাম মো. পলাশ আহমেদ।
তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুরের দুধঘাটা গ্রামে। তার বাবার নাম পিয়ার জাহান সরদার। সে ওই উড়োজাহাজের ১৭/এ নম্বর আসনের যাত্রী ছিল। গ্রামের সবাই তাকে পলাশ নামেই চিনত। গ্রামের বাইরে পলাশ নিজেকে মাহাদী নামে পরিচয় দিত।

সিঙ্গারা কোন দেশি? জানেন কোথায় জন্ম এই সুস্বাদু পদটির?

বাঙালি-অবাঙালি নির্বিশেষে সিঙ্গারা ভালবাসেন এ হাজার হাজার ভোজন রসিক মানুষ। তবে জানেন তো, এই সিঙ্গারা আদতে কোনও বাঙালি ‘খাবার’ নয়!
একদল ইতিহাসবিদের মতে, ফার্সি শব্দ ‘সংবোসাগ’ থেকেই এই সিঙ্গারা শব্দের উৎপত্তি। তাদের দাবি, গজনবী সাম্রাজ্যে সম্রাটের দরবারে এক ধরনের নোনতা মুচমুচে খাবার পরিবেশন করা হতো। যার মধ্যে কিমা, শুকনো বাদাম জাতীয় অনেক কিছু দেওয়া হতো। এটাই নাকি সিঙ্গারার আদি রূপ।
বিখ্যাত ইরানি ইতিহাসবিদ আবুল ফজল বায়হাকির দাবি, ইরান থেকেই নাকি সিঙ্গারা ভারতীয় উপমহাদেশে এসেছে। অর্থাৎ, তার মতে সিঙ্গারার জন্মস্থান ইরান। আবুল ফজল বায়হাকির ‘তারিখ-এ-বেহাগি’ বইয়েও ‘সাম্বোসা’র উল্লেখ করা হয়েছে। আবুল ফজলের দাবি অনুযায়ী, ইরানের এই ‘সাম্বোসা’ই সিঙ্গারার আদি রূপ। আমির খসরুর রচনাতেও এর উল্লেখ রয়েছে।
তবে সিঙ্গারার জন্মস্থান নিয়ে মতভেদ আর বিতর্ক থাকলেও এ অঞ্চলে আসার পর যে এর স্বাদ আর উপকরণে আমূল পরিবর্তন এসেছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই! যেমন, ষোড়শ শতকে পর্তুগিজরা ভারতের মাটিতে পা রাখার পর এ দেশের মানুষের পরিচয় হয় ‘আলু’ নামের চমৎকার এক সবজির সঙ্গে।
পরবর্তিকালে এই সবজিকে এ দেশের মানু যে কতটা আপন করে নিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য! ষোড়শ শতকের পর থেকে সিঙ্গারার মূল উপকরণ হয়ে ওঠে এই আলু। এ দেশে মাংসের সিঙ্গারা, ফুলকপির সিঙ্গারা, পনিরের সিঙ্গারা, ক্ষিরের সিঙ্গারা ইত্যাদি নানা রকমের বা নানা স্বাদের সিঙ্গারার চল থাকলেও ভেতরে আলুর দেয়া সিঙ্গারাই সবচেয়ে জনপ্রিয়। তাই তো আলু ছাড়া সিঙ্গারার কথা আমরা ভাবতেই পারি না!

ভেনিজুয়েলার বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য আমেরিকাকে সব ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তাব দিবো।

ভেনিজুয়েলার বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য আমেরিকাকে সব ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তাব দিবো। সীমান্তে মার্কিন ত্রাণ নিয়ে সংঘর্ষের জেরে এসব কথা বলেন ভেনিজুয়েলার বিরোধী নেতা হুয়ান গুয়াইদো।
এক টুইটার বার্তায় গুয়াইদো বলেন, শনিবারের ঘটনা আমাকে এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রস্তাব তুলে ধরব যাতে আমাদের দেশের স্বাধীনতা সুরক্ষিত করার জন্য সব ব্যবস্থা নেয়ার পথ খোলা থাকে।
ভেনিজুয়েলার সামরিক বাহিনীর সঙ্গে গত শনিবার তুমুল সংঘর্ষ বাধে গুয়াইদো সমর্থকদের। আমেরিকার দেয়া ত্রাণ ভেনিজুয়েলাতে প্রবেশ করাকে কেন্দ্র করে গুয়াইদোর সমর্থকদের ওপর টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট মাদুরোর অভিযোগ ট্রাম্প প্রশাসন এসব লোক দেখানো ত্রাণ পাঠানোর নামে ভেনিজুয়েলায় সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা করছে। মাদুরো ঘোষণা দেয় কোনভাবেই এসব ত্রাণ ভেনিজুয়েলায় ঢুকতে পারবে না।
ত্রাণ প্রবেশের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবারের সংঘর্ষে ৭ জন নিহত হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।

ভেনিজুয়েলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৫ জন নিহত

ভেনিজুয়েলা সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন নিহত এবং আড়াইশ’র বেশি আহত হয়েছে। কলম্বিয়া থেকে মার্কিন ত্রাণবাহী গাড়ি আনার সময় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। প্রেসিডেন্ট মাদুরো যে কোনো মূল্যে মার্কিন ত্রাণবাহী ট্রাক আটকানোর অঙ্গীকার করেছেন। স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট গুয়াইদো প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে উত্খাতের হুমকি দিয়েছেন। খবর সিএনএন ও রয়টার্সের।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পিও মাদুরোকে ‘অসুস্থ অত্যাচারী শাসক’ বলে উল্লেখ করেছেন। প্রেসিডেন্ট মাদুরো কলম্বিয়ার সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে ভেনিজুয়েলার সঙ্গে যুদ্ধে না জড়াতে ওয়াল স্ট্রিটে সমাবেশ করেছেন একদল বিক্ষোভকারী।
সীমান্তে সংঘাত অব্যাহত
ভেনিজুয়েলা সীমান্তের কাছে কলম্বিয়ার ওয়্যারহাউসে মার্কিন খাবার ও ঔষধবাহী কয়েকটি ট্রাক পৌছেছে। সেখান থেকে ট্রাকগুলো ভেনিজুয়েলায় আনার চেষ্টা করেন গুয়াইদোর সমর্থকরা। এর আগে শনিবার কলম্বিয়া সরকার জানিয়েছিল, সীমান্ত থেকে মানববন্ধনের মাধ্যমে ত্রাণ ভেনিজুয়েলায় পাঠানো হবে। কিন্তু ট্রাকগুলোর সীমান্তে আনার পর প্রেসিডেন্ট মাদুরোর সেনাবাহিনী আটকে দেয়। এই সময় বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুয়াইদোর সমর্থক এবং এমপি আদ্রিয়ানা পিচারডো জানিয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে শনিবার অন্তত ৫ জন নিহত এবং ২৮৫ জন আহত হয়েছে। তবে তা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রভাবশালী মিডিয়া সিএনএন। বিক্ষোভের সময় দুটি ট্রাকে আগুন ধরে যায়। কিভাবে আগুন ধরলো তা জানা যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মুখোশ পরা অনেক বেসামরিক নাগরিককেও বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে দেখা যায়।
মাদুরো-গুয়াইদোর পাল্টাপাল্টি হুমকি
ত্রাণ আটকে দেওয়া এবং হতাহতের ঘটনায় গুয়াইদো এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, শনিবারের ঘটনার পর আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, আমাদের স্বাধীনতা রক্ষায় আন্তর্জাতিক বিশ্বের সব বিকল্প হাতে রাখা উচিত। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, ভেনিজুয়েলা সংকটে সামরিক হস্তক্ষেপসহ সব বিকল্প আমার টেবিলে আছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা বিশ্ব গুয়াইদোকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট মাদুরো মার্কিন ত্রাণকে সামরিক হস্তক্ষেপের একটি ইঙ্গিত বলে উল্লেখ করেছেন। শনিবার কারাকাসে এক সমাবেশে মাদুরো গুয়াইদোকে ভাঁড় এবং যুক্তরাষ্ট্রের পুতুল বলে উল্লেখ করেন। তিনি যে কোনো মূল্যে ত্রাণ আটকে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। কলম্বিয়া সরকার জানিয়েছে, শনিবার সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ৬০ জন সদস্য মাদুরোর পক্ষ ত্যাগ করেছে।
অসুস্থ ও অত্যাচারী শাসক
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাদুরোকে অসুস্থ অত্যাচারী শাসক বলে উল্লেখ করেছেন। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স আজ সোমবার ল্যাতিন আমেরিকার লিমা গ্রুপভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোমবার বোগোতায় হুয়ান গুয়াইদোর সঙ্গে বৈঠক করবেন মাইক পেন্স। লিমা গ্রুপের বৈঠকে গুয়াইদোর প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কথা বলবেন মাইক পেন্স। সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনও টুইটার বার্তায় গুয়াইদোকে সমর্থন জানিয়েছেন। ত্রাণ প্রবেশে বাধা দেওয়ায় কয়েকজন মার্কিন সিনেটর এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন মাদুরোর নিন্দা জানিয়েছেন।
ওয়াল স্ট্রিটে সমাবেশ
প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে সমর্থন জানিয়ে নিউ ইয়র্কের ওয়াল স্ট্রিটের সামনে বিক্ষোভ করেছে একদল প্রতিবাদকারী। তারা ভেনিজুয়েলায় যুদ্ধে না জড়াতে মার্কিন প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছে। ভেনিজুয়েলার আর্থিক সংকটের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে তারা।

পুরো দ্বীপে একাই বসবাস ৮১ বছরের বৃদ্ধার

পুরো দ্বীপে কোন জনবসতি নেই। তবে সেখানে দিব্যি একাই বসবাস করছেন ৮১ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা। দ্বীপে একা থাকতে কোন একাকীত্ব নয় বরং বেশ শান্তিতেই আছেন বলে জানান ওই বৃদ্ধা।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওল থেকে ৪৩৩ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই দ্বীপ। প্রায় ২৩০০ মিটার উঁচু একটি আগ্নেয়গিরি রয়েছে এই দ্বীপের কাছে সমুদ্রের নীচে।
ঘটনার বিস্তারিত সম্পর্কে জানা যায়, ওই দ্বীপে একা বসবাসকারী বৃদ্ধার নাম কিম সিন ইওল (৮১)। ১৯৯১ সাল থেকে স্বামীর সঙ্গে ২৭ বছর ধরে একটি দ্বীপে বাস করতেন। তবে ২০১৮ সালে স্বামী মারা যাওয়ার পর একাই এই দ্বীপের বাসিন্দা কিম।
আরো জানা যায়, কিম একজন ফ্রি-ডাইভারও। ২০১৭ পর্যন্ত সমুদ্রের তলদেশে প্রায় ডুব দিতেন। তবে অসুস্থতার কারণে বছর দু’য়েক আর এই কাজ করেন না।
জাপান এই দ্বীপটিকে তাকেশিমা বললেও কোরীয়রা বলেন ডোকডো দ্বীপ। লিয়ানকোর্টস রক নামেও দ্বীপটি পরিচিত বহির্বিশ্বের কাছে।
পুরো দ্বীপে একাই বসবাস ৮১ বছরের বৃদ্ধার

পুলিশ, নাবিক, পর্যটক, লাইটহাউস অপারেটর অনেকেই এই দ্বীপে বেড়াতে আসেন। বেশিরভাগ সময়ই ঝড়বৃষ্টির আশপাশের জগত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে দ্বীপটি। ৭০-এর দশক নাগাদ ডাইভারদের বেশ কিছু পরিবার এই দ্বীপে থাকতেন।কিন্তু আবহাওয়ার কারণেই আস্তে আস্তে ফাঁকা হতে শুরু করে দ্বীপটি।
কিমের নাতি বলেন, তাঁর দাদীর কাছে এটি শান্তির জায়গা। তাই এখানে থাকতেই ভালবাসেন তিনি।
পুরো দ্বীপে একাই বসবাস ৮১ বছরের বৃদ্ধার

একা এই দ্বীপে কিভাবে সময় অতিবাহিত করেন? এর জবাব হিসেবে কিম জানান, মাছ ধরেই বেশির ভাগ সময় কেটে যায়।
নিজের ছেলে ও পুত্রবধূকেও দ্বীপের বাসিন্দা করতে চান কিম। পর্যটকদের কাছে ডাকটিকিট, সাবান ও সি ফুড বিক্রি করেই দিব্যি চলে যাবে বলে দাবি কিমের।
দক্ষিণ কোরিয়ার দখলে থাকলেও জাপানের সঙ্গে এই দ্বীপের মালিকানা নিয়ে বিবাদ রয়েছে গত ৩০০ বছর ধরে। দ্বীপে দক্ষিণ কোরিয়া একটি লাইটহাউসও বানিয়েছে। তথ্যসূত্র: ফক্স, স্টোরিপিক, আনন্দবাজার।

অস্ট্রেলিয়ার ভিসা পেতে আপন ভাইবোনের বিয়ে

অস্ট্রেলিয়ার ভিসা পেতে আপন ভাইবোনের মধ্যে বিয়ে হয়েছে। এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন। ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ওই মেয়ের ভাই স্থায়ীভাবে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করে আসছিলেন। তাই বোনকেও সে দেশের নাগরিকত্ব পাইয়ে দিতে পরিচয় গোপন করে পাঞ্জাব কোর্টে গিয়ে বিয়ে করেন তারা। এরই মাঝে বোনটির অস্ট্রেলিয়ার ভিসা নিশ্চিত হয়েছে গেছে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনার তদন্তে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা জয় সিংহ বলেন, আমরা তদন্ত করে জানতে পেরেছি মেয়েটি অস্ট্রেলিয়ার ভিসা পেয়ে গেছে। সে এখন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। তারা চাচাতো ভাই-বোনের মিথ্যা পরিচয় দিয়েছিল। এমনকি মেয়েটি কয়েকদিন আগে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলো, সেখানে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ছিল।
তিনি আরো বলেন, কেবল বিদেশে যাওয়ার জন্য তারা সমাজ, আইন ও ধর্মীয় বিধিনিষেধের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। মিথ্যা পরিচয়ের ভিত্তিতে তারা অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষকেও প্রতারিত করেছেন। আমরা তাদের আটকে অভিযান চালাচ্ছি। কিন্তু তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা জয় সিংহ বলেন, মানুষ বিদেশে যাওয়ার জন্য নান ফন্দি করে। কিন্তু এমন প্রতারণার কথা এটাই প্রথম। আমরা আশ্চর্য হয়েছি।

Sunday, February 24, 2019

কলম্বিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে ভেনিজুয়েলা


কলম্বিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরোর সরকার। অন্যদিকে স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুয়াইদো এবং তার সমর্থকরা যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণ দেশের ভেতর আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষও চলছে। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গুয়াইদো কলম্বিয়ায় গেছেন। সীমান্ত অতিক্রমে সেনাবাহিনী সহায়তা করেছে বলে তিনি জানিয়েছেন। খবর বিবিসি ও ব্লুমবার্গের।
প্রেসিডেন্ট মাদুরো জানিয়েছেন, কলম্বিয়া সীমান্তের আংশিক বন্ধ করা হয়েছে। তবে গুয়াইদো জানিয়েছেন, খাবার এবং ঔষধবাহী গাড়ি দেশের ভেতর ঢুকতে দিতে হবে। তিনি এসব ত্রাণ আনার অঙ্গীকার করেছেন। ভেনিজুয়েলার অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, সীমান্তে সেনাবাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, একদল লোক কলম্বিয়ায় প্রবেশ করতে গেলে সেনাবাহিনী তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়। কলম্বিয়ার একটি অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, শনিবার তিন সেনা সদস্য পোস্ট ত্যাগ করেছেন। ত্রাণ প্রবেশে সহায়তা চাইলে তারা পোস্ট ছেড়ে চলে যান। এর আগে শনিবার ব্রাজিল সীমান্তে সেনাবাহিনীর গুলিতে দুইজন নিহত হয়।
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শুক্রবার কলম্বিয়া গেছেন গুয়াইদো। তিনি এসব নিষেধাজ্ঞা মানেন না বলে জানিয়েছেন। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একটি কনসার্টেও অংশ নেন তিনি। গুয়াইদো জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী তাকে কলম্বিয়া যেতে সহায়তা করেছে। কলম্বিয়া সীমান্ত বন্ধ করায় গুয়াইদো নিজ দেশে ফিরে আসতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে তিনি দেশে ফিরে আসার অঙ্গীকার করেছেন, এমনকি গ্রেপ্তারের আশংকা থাকলেও।

কলম্বিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলো ভেনিজুয়েলা


কলম্বিয়ার সঙ্গে সকল ধরণের সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। এছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশটির কূটনীতিকদের ভেনিজুয়েলা ত্যাগ করার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তিনি।
রাজধানী কারাকাসে শনিবার মাদুরো তার সরকারের সমর্থনে আয়োজিত বিশাল জনসমাবেশের ভাষণ দিতে গিয়ে একথা জানান। তিনি বলেন, তার দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মার্কিন হস্তক্ষেপে সহযোগিতা করার কারণে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
কলম্বিয়া সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো ত্রাণ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আটকে আছে। মাদুরোর অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্র এসব লোক দেখানো ত্রাণ পাঠানোর নামে ভেনিজুয়েলায় সামরিক অভ্যুত্থান ঘটাবে।
মাদুরো এসব ত্রাণ কোন ভাবেই ভেনিজুয়েলাতে প্রবেশ করতে পারবে না বলে প্রতিজ্ঞা করেছে।
তবে দেশটির বিরোধী নেতা হুয়ান গুয়াইদো জানিয়েছে যেকোন প্রকারে কলম্বিয়া সীমান্ত দিয়ে ত্রাণ ঢোকাবে। এনিয়ে গতকাল কলম্বিয়া সিমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষ বাধে।
কলম্বিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলো ভেনিজুয়েলা

কলম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সীমান্তে ত্রাণ প্রবেশ নিয়ে সংঘর্ষের জেরে ২৮৫ জন আহত হয়েছেন, হাসপাতালে ভর্তি আছে ৩৭ জন। ভেনিজুয়েলার নিরাপত্তা বাহিনী এসব লোকের ওপর টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে বলে জানান তিনি।
গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ভেনিজুয়েলায় চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। তথ্যসূত্র: বিবিসি, সিএনএন।

উত্তাল ভেনিজুয়েলা, সংঘর্ষে নিহত ২


ভেনিজুয়েলায় মানবিক ত্রাণ গ্রহণ করা নিয়ে ক্ষমতাসীন বাহিনীর সাথে বিরোধীপক্ষের রক্তক্ষয়ী সহিংসতায় দুই জন নিহত হয়েছে। শনিবার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারী বাহিনীর উপর গুলি চালায়। মাদুরোপন্থীরা ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
মাদুরোর অবরোধ সত্ত্বেও বিরোধী দলীয় নেতা হুয়ান গুয়াইদো কলম্বিয়া ও ব্রাজিল সীমান্তে খাবার ও অন্যান্য ত্রাণ সহায়তা গ্রহণের করতে দিন হিসেবে শনিবারকে নির্ধারণ করেন। ক্যারিবিয়ান দ্বীপ কুরাকাওয়েও ত্রাণ আটকে দেয়া হয়েছে।
এই মানবিক ত্রাণ সহায়তা নিয়ে মাদুরো ও ভেনিজুয়েলার জাতীয় পরিষদের নেতা গুয়াইদোর (৩৫) মধ্যে তীব্র মতাবিরোধ ও উত্তেজনা চলছে। এই ত্রাণের সিংহভাগই যুক্তরাষ্ট্র যোগান দিয়েছে।
উল্লেখ্য, এক মাস আগে গুয়াইদো নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পোম্পেও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে ‘ব্যবস্থা নেবে।’ তিনি মাদুরোর সৈন্যদের ‘ঠগ’ অভিহিত করে এই সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানান।
এদিকে, গুয়াইদো সোমবার বগোটায় লিমা গ্রুপ বৈঠকে যোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি মাদুরোর ব্যাপারে সম্ভাব্য ‘সব ধরনের প্রস্তুতি’ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ভেনিজুয়েলায় মানবিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক মন্দা ও মুদ্রাস্ফিতী মানুষকে চরম দারিদ্রতায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
গভর্নর রিকার্ডো রোসেলো বলেন, ভেনিজুয়েলার সেনাবাহিনী গুলিবর্ষণের হুমকি দেয়ায় মার্কিন ভূখ- পুয়ের্তোরিকো থেকে ত্রাণবাহী একটি নৌযানকে ফিরে যেতে হয়েছে। তিনি ভেনিজুয়েলা সৈন্যদের এই আচরণকে ‘মানবিক মিশনের বিরুদ্ধে গুরুতর সংঘনজনিত আচরণ’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
কলম্বিয়া সীমান্তে শত শত স্বেচ্ছাসেবী ত্রাণ নিয়ে ভেনিজুয়েলায় ঢুকতে না পেরে হতাশা ব্যক্ত করেছে। মাদুরোর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে।
উত্তাল ভেনিজুয়েলা, সংঘর্ষে নিহত ২

ভোরবেলা থেকেই বিক্ষোভকারীরা সীমান্তবর্তী শহর উরেনা ও সান অ্যান্টোনিওতে বিক্ষোভ করছে। এসময় ভেনিজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ ঘটে। তারা বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ও রবার বুলেট ছুঁড়ে। কয়েক ঘন্টা ধরে চলা দাঙ্গার সময় গুলির শব্দ শোনা যায়।
কলম্বিয়ার বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, সীমান্ত ক্রসিংয়ে সংঘর্ষে অন্তত ২৮৫ জন আহত হয়েছে।
সংঘর্ষের পর কলম্বিয়াও ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোকে সীমান্ত থেকে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে। যারা ত্রাণের প্যাকেটগুলো ভেনিজুয়েলায় ঢুকানোর চেষ্টা করছিল তাদের অধিকাংশই ভেনিজুয়েলান নাগরিক।
কয়েকশ মাইল দূরে সান্তা এলেনা ডি উয়ারেন ক্রসিং পয়েন্টে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। এটি দক্ষিণাঞ্চলীয় ব্রাজিল সীমান্তের কাছে। এখানে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
ডানপন্থী ফোরো পেনালের মতে, সৈন্যরা প্রবেশপথে বাধা দেয় ও বেসামরিক মানুষের উপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে আরো ৩১ জন আহত হয়।
গুয়াইদো কলম্বিয়ার কুকুটা থেকে সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা সান্তা এলেনা ডি উয়ারেন ও সান অ্যান্টোনিওতে সাধারণ মানুষের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ম্যাসাকার করেছে।’
তিনি কলম্বিয়া থেকে ত্রাণ অভিযানের সমন্বয় করছেন।
এদিকে মাদুরোর সমর্থকরা সীমান্তবর্তী একটি সেতুতে দুটি ত্রাণবাহী ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। ৫০টির বেশি দেশ গুয়াইদোকে ভেনিজুয়েলার অন্তর্বর্তীকালীন নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
গুয়াইদো বলেন, ৩ লাখ ভেনিজুয়েলান নাগরিকের জরুরি ভিত্তিতে খাবার ও ওষুধ প্রয়োজন। দীর্ঘদিন ধরে দেশটিতে এগুলোর তীব্র সংকট চলছে। এতে তারা অপুষ্টিতে ভুগছে। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে প্রতিদিন ভেনিজুয়েলা থেকে প্রায় ৫ হাজার লোক অন্য দেশে পাড়ি জমাচ্ছে।

প্রথমবারের মত নারী রাষ্ট্রদূত নিয়োগ সৌদির

যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে প্রথমবারের মত একজন নারীর নাম ঘোষণা করেছে সৌদি আরব। প্রিন্সেস রিমা বিনতে বন্দর আল সৌদ হবেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত, সৌদি আরবের পক্ষ থেকে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে সৌদির রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ছোটভাই প্রিন্স খালিদ বিন সালমান। তার পদেই প্রিন্সেস রিমাকে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে এবং সালমানের ছোটভাইকে সৌদি আরবের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রিন্সেস রিমা তাঁর বাবার কাজের সুবাদে শৈশবের একটা অংশ ওয়াশিংটন ডিসিতে অতিবাহিত করেছেন। রিমার বাবা বানদার বিন সুলতান আল সৌদ আগে ১৯৮৩ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত মার্কিন দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়াম স্টাডিসের ব্যাচেলর অব আর্টস ডিগ্রিধারী প্রিন্সেস রিমা। রাজকুমারী রিমা সৌদি আরবের বিভিন্ন বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিস্থানের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি সৌদি নারীদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ ও ব্যায়াম করতে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রেখেছেন তিনি।

ভারতে বিষাক্ত মদপানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫০

ভারতের আসামে বিষাক্ত মদপানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো অন্তত ২শ' জন। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, শুক্রবার ভারতের আসাম রাজ্যের গোলাঘাট ও জোড়হাটে এই মদ-বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।রাজ্য সরকার এ ঘটনায় পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে।
পুলিশ জানায়, প্রথম ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার রাতে গুয়াহাটি থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে, গোলাঘাটের সালমোরা চা-বাগানে অন্যটি জোড়হাটের তিতাবরের প্রত্যন্ত গ্রামে। উভয় ঘটনায় হতাহতদের বেশিরভাগই চা-বাগানের শ্রমিক। বেতন পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার তারা স্থানীয়ভাবে বানানো মদ পান করেন।
দেশটির স্থানীয় স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শ্রমিকদের অধিকাংশের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ভারতে বিষাক্ত মদপানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫০

পরিস্থিতি সামাল দিতে ডিব্রুগড় ও তেজপুর মেডিকেল কলেজ থেকে বাড়তি চিকিৎসকদের এই দুই জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল রবিবার গুয়াহাটিতে জরুরি বৈঠক ডাকেন। তিনি এ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া নিহতের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সহযোগিতা দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

 সূত্র: এনডিটিভি, আনন্দবাজার,সিএনএন।

পাকিস্তান-ভারত সম্ভাব্য পারমাণবিক যুদ্ধের কৌশল বাতলে দিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেনারেল পারভেজ মোশাররফ -৫০টি পারমাণবিক বোমা একসঙ্গে মারতে হবে


পাকিস্তান-ভারত সম্ভাব্য পারমাণবিক যুদ্ধের কৌশল বাতলে দিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেনারেল পারভেজ মোশাররফ। তার মতে, ভারতকে জবাব দেয়ার সুযোগ না দিতে ৫০টি পারমানবিক বোমা একসঙ্গে মারা উচিত পাকিস্তানের। খবর পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যম ডন’র।
পারভেজ মোশাররফ বলেন, ‘পাকিস্তান যদি একটি পারমানবিক বোমা ছুড়ে জবাবে ২০টি পারমানবিক বোমা ছুড়বে ভারত। সুতরাং আমাদের উচিত শুরুতেই ৫০টি পারমানবিক বোমা নিক্ষেপ করা। যাতে ভারত ২০টি মারার সুযোগ না পায়।’
তবে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে পারমানবিক যুদ্ধ হওয়া উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেছেন বর্তমানে আরব-আমিরাতে নির্বাসনে থাকা পারভেজ মোশাররফ। শুক্রবার সেখানে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি জানান, পরিস্থিতি অনুকূল মনে হওয়ায় দ্রুত পাকিস্তানে ফিরবেন। অর্ধেক পাকিস্তানি মন্ত্রী তার পক্ষে রয়েছেন।
পাকিস্তানকে ইসরায়েলের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পরামর্শ দেন সাবেক এই সেনাপ্রধান। তার মতে, ইহুদিদের গণমাধ্যম লবি খুবই শক্তিশালী। এর সুফল পাচ্ছে ভারত।
৫০টি পারমাণবিক বোমা একসঙ্গে মারতে হবে: পারভেজ মোশাররফ

কাশ্মীরে গাড়ি বোমা হামলায় ভারতের ৪৯ জন সেনা নিহত হওয়ার পর সপ্তাহ পার হতেই পারমানবিক হামলার কৌশল নিয়ে কথা বললেন জেনারেল মোশাররফ। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ।
হামলার পর ভারত আন্তর্জাতিক মহল থেকে পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। তবে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে ইমরান খান বলেন, ভারত কোনও আক্রমণ চালালে তা প্রতিহত করবে পাকিস্তান।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠন আর্মস কন্ট্রোল এসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতের হাতে ১৩৫টি এবং পাকিস্তানের হাতে ১৪৫টি পারমাণবিক বোমা রয়েছে।

Saturday, February 23, 2019

কাশ্মীরে ১০ হাজার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন ভারতের

কাশ্মীরের পুলওয়ামা হামলার পর পাকিস্তান-ভারতের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। সেনাবাহিনীকে যে কোনো হামলার ছাড়পত্র দিয়ে রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরই মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাশ্মীরে জরুরি ভিত্তিতে ১০ হাজার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের নির্দেশনা দেয়।
শনিবার এনডিটিভি জানায়, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশনার পর রাতেই বিমানে ১০ সহস াধিক সেনা সদস্যকে শ্রীনগরে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতভর অভিযান চালিয়ে কয়েকজন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাসহ দেড় শতাধিক কাশ্মীরিকে আটক করা হয়েছে। ভারতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান- এমন তথ্য প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পর সেনা মোতায়েনের এ খবর সামনে এলো।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, আমাদের সংগ্রাম কাশ্মীরিদের জন্য, তাদের বিরুদ্ধে নয়। কাশ্মীরে শুক্রবার রাতেই অতিরিক্ত ১০০ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী পাঠায় ভারত। আধা সামরিক বাহিনীর একটি কোম্পানিতে সাধারণত ৮০-১৫০ জন সেনা থাকেন। এ হিসাবে সৈন্যসংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ১০ হাজার। যার মধ্যে রয়েছে সিআরপিএফের ৪৫টি কোম্পানি, সীমান্তরক্ষীর ৩৫ এবং সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি) ও ইন্দো-তিব্বত সীমা পুলিশের (আইটিবিপি) ১০টি কোম্পানি। পুলিশ এ অভিযানকে রুটিন তল্লাশি বলে জানিয়েছে। তবে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী লিবারেশন ফ্রন্ট (জেকেএলএফ), তেহরিক-ই-হুরিয়ত এবং তার শাখা সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে এটাই সবচেয়ে বড় অভিযান।
রাতে শ্রীনগরের বাড়ি থেকে প্রথমে গ্রেফতার করা জেকেএলএফ নেতা ইয়াসিন মালিককে। এরপর হানা দেয়া হয় রাজনৈতিক সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের বাড়ি ও ডেরায়। জামায়াতের নেতা আবদুল হামিদ ফায়াজ ও সংগঠনের মুখপাত্র আইনজীবী জাহিদ আলিকে গভীর রাতে বাড়ি থেকে আটক করা হয়। জামায়াতকে জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল মোজাহিদিনের রাজনৈতিক শাখা বলে মনে করে ভারত। আটক করা হয়েছে জামায়াতের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম কাদির লোন, ইসলামাবাদের নেতা আবদুর রউফ, পহেলগাঁও নেতা মুদাসির আহমেদ, দিলগাঁওয়ের বখতিয়ার আহমেদ, ত্রালের মহম্মদ হায়াত, চাদুরার বিলাল আহমেদ, চক সাংরানের মোহাম্মদ দারসহ আরও অনেককে।
গভীর রাতে বাড়ি বাড়ি নিরাপত্তা বাহিনীর হানার তীব্র সমালোচনা করেছেন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতৃত্ব। তাদের দাবি, ৩৫(এ) ধারা নিয়ে এখন পর্যন্ত রায় শোনায়নি সুপ্রিমকোর্ট। তার আগেই গণগ্রেফতারি শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। নিশ্চয়ই এর পেছনে অন্য অভিসন্ধি রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। যাতে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের অনুপস্থিতিতে ওই ধারাটিকে ইচ্ছামতো বিকৃত করতে পারে।
১৯৫৪ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদের নির্দেশে জম্মু-কাশ্মীরের জন্য সংবিধানের ৩৭০ ধারায় ৩৫(এ) অনুচ্ছেদটি যোগ করা হয়। এর আওতায় কারা জম্মু-কাশ্মীরের স্থায়ী নাগরিক বিবেচিত হবেন, তার দায়িত্ব তুলে দেয়া হয় রাজ্য বিধানসভার হাতেই। এ অনুচ্ছেদ নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। সেটি বাতিল করতে ২০১৪ সালে শীর্ষ আদালতে পাঁচটি আবেদন জমা পড়ে।
গত বুধবার এ বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের রায় শোনানোর কথা থাকলেও তা বাতিল হয়ে যায়। সোমবার পরবর্তী শুনানি স্থির হয়েছে। তার আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে কাশ্মীরে সেনা অভিযান শুরু হল। পুলওয়ামায় হামলার পর কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে গোটা দেশ থেকে হিংসার খবর ছড়ানোর পর এই প্রথমবার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী। রাজস্থানের টঙ্ক শহরে এক সভায় শনিবার মোদি কাশ্মীরিদের ওপর হামলার বিরোধিতা করে কঠোর ভাষায় জানালেন, আমাদের লড়াইটা কাশ্মীরের জন্য, কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে নয়। সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে লড়তে লড়তে কাশ্মীরিরা ক্লান্ত, অবসন্ন। গোটা দেশের মানুষের তাদের পাশে দঁঁড়ানো উচিত।’

প্রশান্ত মহাসাগরে রহস্যময় দ্বীপ!


স্যাটেলাইট মারফত বিজ্ঞানীরা জানতে পারেন প্রশান্ত মহাসাগরের টোঙ্গার কাছে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে সেখানে একটি দ্বীপ জেগে উঠছে। দ্বীপটি ঘিরে দেখা দিয়েছে রহস্য। দ্বীপটিকে নিয়ে বিভ্রান্তিতে বিজ্ঞানীরাও। বিজ্ঞানবিষয়ক গণমাধ্যম ‘লাইভসায়েন্স’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, স্যাটেলাইট মারফত বিজ্ঞানীরা জানতে পারেন প্রশান্ত মহাসাগরের টোঙ্গার কাছে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে সেখানে একটি দ্বীপ জেগে উঠছে। পরে দেখা যায়, হুঙ্গা টোঙ্গা ও হুঙ্গা হা’আপেই নামের দুটি পুরনো দ্বীপের মাঝখানে এই নতুন দ্বীপটি জেগে উঠছে।
দ্বীপটি সম্পর্কে বিস্তারিত অনুসন্ধানের জন্য ড্যান স্লেব্যাক নামের এক বিজ্ঞানী নাসা থেকে রিমোট সেন্সিং ডেটা ব্যবহার করে দ্বীপের গজিয়ে ওঠার ব্যাপারটা লক্ষ করছিলেন। তিনি জানান, এই দ্বীপটি এক আশ্চর্য দ্বীপ। সাধারণত এ ধরনের দ্বীপ কয়েক মাস জেগে থাকে। তার পরে তা সমুদ্রে তলিয়ে যায়। কিন্তু এই দ্বীপটি টিকে আছে চার বছর ধরে। গত দেড়শ’ বছরে এই জাতীয় কোনো দ্বীপ এতদিন টিকে থাকেনি। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা দ্বীপটিতে পা রাখেন। স্যাটেলাইট চিত্র থেকে তারা দ্বীপটির যেমন পরিচয় পেয়েছিলেন, দ্বীপটি তেমন নয়। এর উত্থান ভৌগোলিকভাবে বেশ বিস্ময়কর। তারা সেখানকার মাটি ও অন্যান্য নমুনা নিয়ে নাসায় ফিরে যান।
বিজ্ঞানী ড্যান স্লেব্যাক জানিয়েছেন, দ্বীপটি থেকে তারা মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পেতে পারেন। শুনতে অবাক লাগলেও কথাটা সত্য। বিজ্ঞানীদের মতে, মঙ্গলে যখন পানি ছিল, তখন এ ধরনের অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্ট দ্বীপ সেখানেও ছিল। পৃথিবীর এই দ্বীপটি সম্পর্কে বিস্তারিত অনুসন্ধান মঙ্গলের পানিশূন্য হয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানা যাবে।

ভেনেজুয়েলা-ব্রাজিল সীমান্ত বন্ধ


ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ব্রাজিলের সঙ্গে দেশটির সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছেন। বিরোধী দলের ত্রাণ আনা বন্ধ করতে কলম্বিয়ার সঙ্গে দেশটির মূল-সীমান্তটিও বন্ধ করে দেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন নানা সঙ্কটে জর্জরিত এই নেতা।
ভেনেজুয়েলায় মুদ্রাস্ফীতি বাড়ায় খাদ্য ও চিকিৎসার মতো মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য দেশটির নাগরিকরা দেশত্যাগ করছে। তবে প্রেসিডেন্ট মাদুরো সব সঙ্কটের কথা অস্বীকার করার পাশাপাশি ত্রাণসহায়তাকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি পরিকল্পনা বলে দাবি করেছেন।
তার সহযোগী রাষ্ট্র রাশিয়া অভিযোগ করেছে, ভেনেজুয়েলার বিরোধী দলকে অস্ত্র-সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় শুক্রবার দিন শেষে ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়াকে সংযুক্তকারী একটি সেতুর দুই পাশে দুটি কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।
কলম্বিয়ায় অনুষ্ঠিত কনসার্টে ভেনেজুয়েলার জন্য অর্থসংগ্রহ করা হবে। একই সময়ে এখান থেকে মাত্র ৩০০ মিটার দূরে মাদুরো’র সরকার একটি কনসার্টের আয়োজন করেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক গণমাধ্যম ‘বিবিসি’।
প্রকাশ্যে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মাদুরোকে অস্বীকারকারী বিরোধী দলীয় নেতা জুয়ান গুয়াইদো এবং তার সহযোগীরা খাদ্য ও চিকিৎসা-সামগ্রী সংগ্রহ করে শনিবার প্রতিবেশী দেশ ব্রাজিল ও কলম্বিয়ায় জড় করবেন বলে আশা করছেন।

চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে আমুকে দুষলেন দিলীপ

পুরান ঢাকার চকবাজারে ভয়াল অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে দোষারোপ করেছেন আওয়ামী লীগের শরিক সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া।
শনিবার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শনে গিয়ে এ দোষারোপ করেন তিনি। যিনি আমুর আগে ২০১৪ সালে নিমতলীর আগুনের ঘটনার সময় শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্বপালন করেন।
সাংবাদিকদের দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘আমাদের যে শিল্পমন্ত্রী ছিলেন, উনি যদি সিরিয়াসলি কেমিক্যাল গোডাউন ও কারখানা সরানোর বিষয়টি টেকআপ করে নিতেন, তাহলে হয়তো এত দিনে পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গোডাউন রিলোকেট করা সহজ হতো।’
সাবেক এ শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘কেমিক্যাল বিজনেস রিলোকেট করার জন্য আমি মন্ত্রী থাকাকালে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কেমিক্যাল মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং বিসিক মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তারা ঢাকার বাইরে একটি জমিতে স্থানান্তরিত হবে। এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা ছিল। কিছু ডিসক্রিট ব্যাপারের কারণে পুরো ব্যাপারটি এগোয়নি।’
ঢাকাকে বাসযোগ্য ও নিরাপদ করতে যেভাবে গড়ে ওঠার কথা, তা সেভাবে হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি। সাম্যবাদী দলের সম্পাদক বলেন, ‘যারা স্টেকহোল্ডার আছেন, তারা সরকারকে বাধ্য করতে পারেনি। ভবন মালিকদেরও দায় আছে। তারা বেশি ভাড়া পাওয়ার জন্য রাসায়নিকের গোডাউন ভাড়া দেয় এবং ব্যাপারটি লুকিয়ে রাখে।’
রাসায়নিকের মজুদের সনদ দেয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সিটি কর্পোরেশনকে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেন দিলীপ বড়ুয়া।
উল্লেখ্য, বুধবার রাত ১০টার পর রাজধানীর চকবাজার এলাকার নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুড়িহাট্টা মসজিদ গলির রাজ্জাক ভবনের কেমিক্যাল গুদামে আগুন লাগে।
এ ঘটনায় অন্তত ৬৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত ৪১ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জাতিসংঘের শোক

রাজধানীর চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মিশনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় এ শোক প্রকাশ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘নির্মম এ ঘটনায় যাঁরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের পরিবার ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি রইল গভীর সমবেদনা। সেই সঙ্গে যারা আহত হয়েছেন তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্ধার তৎপরতার প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। পাশাপাশি যেকোনো ধরনের সহায়তারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডে ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে ২০১০ সালে নিমতলীতে অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জনের মৃত্যু হয়।

সিরিয়া নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় এরদোগান-ট্রাম্প

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের সাথে সিরিয়া ইস্যুতে ফোনে আলোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের মধ্যে এ আলোচনা হয়।
ফোনে দুই প্রেসিডেন্ট সিরিয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য যৌথ বাহিনী গঠন এবং সঙ্ঘাত নিরসনে রাজনৈতিক সমাধানে সহায়তা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় এরদোগান ও ট্রাম্প দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
গত বছরের ডিসেম্বরের ট্রাম্প এক ঘোষণায় সিরিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানান। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশ পরাজিত হয়েছে দাবি করে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এর কিছুদিন পর এরদোগান জানান, সিরিয়ায় রয়ে যাওয়া অবশিষ্ট সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে তার দেশ। এ সময় সেখানে ওয়াইপিজের শাখা পিকেকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা দেয়।
তুরস্কের এ সিদ্ধান্তে অস্থিরতা শুরু হয় ওয়াশিংটনে। কারণ সিরিয়ায় তারা লড়াইয়ের সময় সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) এর সহায়তা নিয়েছিল। এই এসডিএফের সিংহভাগেই রয়েছে ওয়াইপিজি। তুরস্কে যারা একটি সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত। তুরস্ক দাবি করে, এই দলটি তুরস্কে যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে তাতে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। 
ফলে এ বিষয়টি নিয়ে আঙ্কারা ও ওয়াশিংটনের উত্তেজনা দেখা দেয়।
ওয়াশিংটনের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকায় পিকেকের নাম থাকলেও দায়েশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় তাদের সাহায্যই নিয়েছিল মার্কিন সেনাবাহিনী। এতে তারা ন্যাটোর সহযোগী দেশগুলোর সতর্কবার্তাও উপেক্ষা করে।
সূত্র : ডেইলি সাবাহ

আরো পড়ুন : সন্ত্রাসীদের অস্ত্র দেয় ন্যাটো : এরদোগান
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:১৬
আঙ্কারা অস্ত্র কিনতে চাইলে তা উপেক্ষা করে ন্যাটো। অথচ সন্ত্রাসীদের সমর্থনে তারা হাজার হাজার ট্রাকভর্তি অস্ত্র দিচ্ছে। গত সোমবার তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বর্দুর অঞ্চলে এক নির্বাচনীয় প্রচারণায় এ অভিযোগ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান।

ন্যাটোর প্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন করে তিনি বলেন, ন্যাটো কোন ধরনের জোট। ইরাকের মাধ্যমে ন্যাটো সন্ত্রাসীদের ২৩ হাজার ট্রাকভর্তি অস্ত্র দিয়েছে। কিন্তু তুরস্ক যখন তাদের কাছে অস্ত্র চায়, তখন অর্থের বিনিময়েও তা দিতে রাজি হয় না ন্যাটো। অথচ গৃহযুদ্ধে লিপ্ত সিরিয়ার সাথে তুরস্কের ৯১১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ফলে বেশ ঝুঁকির মুখে রয়েছে তুরস্ক। এসময় অবশ্য এরদোগান অস্ত্রদাতা দেশের নাম উল্লেখ করেননি।

ওই সমাবেশে এরদোগান এরদোগান আশা প্রকাশ করেন, তুরস্ক শীঘ্রই সিরিয়ার মানবিজ অঞ্চল ‘সন্ত্রাসীদের’ কাছ থেকে দখলমুক্ত করে স্থানীয়দের কাছে ফিরিয়ে দিবেন।

২০১৬ সাল থেকে মানবিজ কুর্দি পিপলস প্রটেকশন ইউনিট (ওয়াইপিজি)-এর মিলিশিয়া বাহিনী মার্কিন সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স (এসডিএফ)-এর দখলে রয়েছে।

তুরস্কে ৩০০ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

২০১৬ সালের ব্যর্থ অভ্যুত্থান ও ওই ঘটনার ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত থাকার দায়ে আরো প্রায় ৩০০ সেনা কর্মকর্তাদে গ্রেফতার করা হতে পারে তুরস্কে। শুক্রবার এই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই রাতে এক অভ্যুত্থান চেষ্টায় প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। ওই ঘটনার সাথে জড়িত অনেক সেনা সদস্য ইতোমধ্যে আটক হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা তুর্কি নেতা ফেতুল্লাগুলেনের অনুসারীরা ওই অভ্যুত্থান করতে চেয়েছিল। কিন্তু কর্তব্যরত পুলিশ ও প্রেসিডেন্টর এরদোগানের ডাকে সাড়া দিয়ে সাধারণ জনতা রাস্তায় নেমে এসে সেনা বাহিনীর ওই সদস্যদের প্রতিহত করে।
ইস্তাম্বুলের সরকারি কৌশুলির দফরত জানিয়েছে, ২৯৫ জন সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তুর্কি দৈনিক ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে, এরা ফেতুল্লাহ গুলেনের নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন গুলেনিস্স মুভমেন্টের সাথে জড়িত।
তুর্কি সেনাবাহিনীতে গুলেনপন্থীদের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। দীর্ঘদিনের পরিকল্পনায় তাদের সেনাবাহিনীতে ঢোকানো হয়েছে। সেই সদস্যরাই অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিল। অভ্যুত্থান চেষ্টার পর এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার সেনা সদস্য আটক হয়েছে তুরস্কে।
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া সেনা সদস্যদের নাম প্রকাশ করেনি বিচার বিভাগ। তবে ৮ জন মেজর ও ১০ জন লেফট্যানেন্ট পদমর্যদার কর্মকর্তা রয়েছেন এদের মধ্যে। সেনাবাহিনী ছাড়াও বিমান ও নৌ বাহিনীর সদস্যও রয়েছে এই তালিকায়। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরপরই তাদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates