ব্রাজিলের জনপ্রিয় ফুটবল ক্লাব ফেমেংগোর যুবদলের অনুশীলন কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ১০ জন ফুটবলার নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো তিনজন।
গতকাল শুক্রবার ভোররাতে রিও ডি জেনিরোতে ক্লাবটির একটি ডরমিটরিতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ দিকে নিউইয়র্ক টাইমমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের সময় যুবদলের খেলোয়াড়রা ঘুমিয়ে থাকায় হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যায়। যারা নিহত হয়েছেন তাদের বয়স ১৪ থেকে ১৭ এবং এরা সবাই ফুটবলার।
ফ্লেমেংগো ব্রাজিলের একটি স্বনামধন্য ফুটবল ক্লাব। একটি হোম ম্যাচ খেলার জন্য ক্লাবটির সদস্যরা রিও ডি জেনিরোতে অবস্থান করছিল।
ব্রাজিলের সংবাদ সংস্থা এজেন্সিয়া বাজিলের প্রতিবেদনে জানানো হয়, নিহত খেলোয়াড়দের স্মরণে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে ব্রাজিল সরকার।
এরই মধ্যে দলটির কর্তৃপক্ষ নিহত খেলোয়াড়দের লাশ শনাক্ত করতে পেরেছে। নিহতরা হলো, ক্রিশ্চিয়ান এসমেরিও ক্যানডিডো, অ্যাথিলা ডি সুজা পাইজাও, আর্থার ভিনিসিয়াস ডি ব্যারস সিলভা, বার্নার্ডো পিসেটা, পাবলো হ্যানরিক ডা সিলভা ম্যাতস, ভিতো ইসাইয়াস, জেডসন সান্তোস, জর্জ এদুয়ার্দো সান্তোস, রিক্যালমো ডি সুজা ভিয়ানা, স্যামুয়েল থমাস রোসা।
আহত তিন খেলোয়াড় হলেন জনাথন ক্রুস ভেনচুরা, এমানুয়েল গোমেজ নুনেজ ও ফ্রানসিসকো ডিয়োগো বেনতো।
হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা চলছে বলে জানান ব্রাজিলের জনস্বাস্থ্য সচিব বেটরিজ।
তিনি আরো জানান, আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
ফ্লেমেংগো ফুটবল ক্লাবের প্রেসিডেন্ট রডলফ ল্যান্ডিম বলেছেন, ক্লাবটির ১২৩ বছরের ইতিহাসে এ রকম মর্মান্তিক ঘটনা এর আগে ঘটেনি।
ফ্লেমেংগো ফুটবল ক্লাব থেকে গত বছর জনপ্রিয় ফুটবল ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়া ভিনিসিয়াস জুনিয়র বলেন, ক্লাবে থাকার সময় অনুশীলন কেন্দ্রে কাটানো দিন-রাতের কথাই মনে পড়ছে শুধু।
ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবল খেলোয়াড় পেলে গতকাল একটি টুইট বার্তায় বলেন, দিনটি শুরু হলো ফ্লেমেংগো অনুশীলন কেন্দ্রে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা শুনে, যেই ক্লাবে যুবকরা তাদের স্বপ্ন পূরণের উদ্দেশে যায়।
আজ শনিবার মারাকানা স্টেডিয়ামে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ফ্লুমিনেন্সের সঙ্গে ফ্লেমেংগো একটি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। ব্রাজিলবাসীর কাছে এটি সবচেয়ে উত্তেজনার ম্যাচগুলোর একটি। কিন্তু গতকালের মর্মান্তিক ঘটনায় পেছাতে হলো খেলাটি।
No comments:
Post a Comment