স্যাটেলাইট মারফত বিজ্ঞানীরা জানতে পারেন প্রশান্ত মহাসাগরের টোঙ্গার কাছে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে সেখানে একটি দ্বীপ জেগে উঠছে। দ্বীপটি ঘিরে দেখা দিয়েছে রহস্য। দ্বীপটিকে নিয়ে বিভ্রান্তিতে বিজ্ঞানীরাও। বিজ্ঞানবিষয়ক গণমাধ্যম ‘লাইভসায়েন্স’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, স্যাটেলাইট মারফত বিজ্ঞানীরা জানতে পারেন প্রশান্ত মহাসাগরের টোঙ্গার কাছে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে সেখানে একটি দ্বীপ জেগে উঠছে। পরে দেখা যায়, হুঙ্গা টোঙ্গা ও হুঙ্গা হা’আপেই নামের দুটি পুরনো দ্বীপের মাঝখানে এই নতুন দ্বীপটি জেগে উঠছে।
দ্বীপটি সম্পর্কে বিস্তারিত অনুসন্ধানের জন্য ড্যান স্লেব্যাক নামের এক বিজ্ঞানী নাসা থেকে রিমোট সেন্সিং ডেটা ব্যবহার করে দ্বীপের গজিয়ে ওঠার ব্যাপারটা লক্ষ করছিলেন। তিনি জানান, এই দ্বীপটি এক আশ্চর্য দ্বীপ। সাধারণত এ ধরনের দ্বীপ কয়েক মাস জেগে থাকে। তার পরে তা সমুদ্রে তলিয়ে যায়। কিন্তু এই দ্বীপটি টিকে আছে চার বছর ধরে। গত দেড়শ’ বছরে এই জাতীয় কোনো দ্বীপ এতদিন টিকে থাকেনি। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা দ্বীপটিতে পা রাখেন। স্যাটেলাইট চিত্র থেকে তারা দ্বীপটির যেমন পরিচয় পেয়েছিলেন, দ্বীপটি তেমন নয়। এর উত্থান ভৌগোলিকভাবে বেশ বিস্ময়কর। তারা সেখানকার মাটি ও অন্যান্য নমুনা নিয়ে নাসায় ফিরে যান।
বিজ্ঞানী ড্যান স্লেব্যাক জানিয়েছেন, দ্বীপটি থেকে তারা মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পেতে পারেন। শুনতে অবাক লাগলেও কথাটা সত্য। বিজ্ঞানীদের মতে, মঙ্গলে যখন পানি ছিল, তখন এ ধরনের অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্ট দ্বীপ সেখানেও ছিল। পৃথিবীর এই দ্বীপটি সম্পর্কে বিস্তারিত অনুসন্ধান মঙ্গলের পানিশূন্য হয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানা যাবে।
No comments:
Post a Comment