দুর্নীতির দায়ে ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট লুয়িজ ইনাসিও লুলা দ্য সিলভাকে আরও ১২ বছর ১১ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।
ব্যাপক দুর্নীতির কেলেঙ্কারিতে জড়িত একটি কোম্পানির কাছ থেকে খামারবাড়ির সংস্কার কাজের সুবিধা নেওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত হন লুলা, খবর বিবিসির।
এক সময়ের জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট লুলা ইতোমধ্যে অপর একটি দুর্নীতির মামলায় ১২ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন।
নতুন এই দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন লুলার আইনজীবী।
লাতিন আমেরিকার প্রভাবশালী এই বামপন্থী নেতা ও সাবেক ট্রেড ইউনিয়ন কর্মী ২০০৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৭৩ বছর বয়সী লুলা। এসব অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার প্রার্থী হওয়া ঠেকাতেই এগুলো সাজানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
লুলা প্রায়ই যেতেন এমন একটি খামারবাড়ির ব্যাপক সংস্কার করে তা নতুন করে সাজিয়ে দিয়েছিল নির্মাণ গ্রুপ ওএএস, জানিয়েছেন ফেডারেল বিচারক গ্যাব্রিয়েলা হারদিচি।
পাল্টা যুক্তিতে লুলার আইনজীবী বলেন, ওই বাড়িটি লুলার নয়, তার বন্ধু ফের্নান্দো বিতার বাড়িটির মালিক।
কিন্তু বিচারক হারদিচি জানান, বাড়িটির মালিকের চেয়ে লুলাই ওই বাড়িতে বেশি বার গিয়েছেন এবং তিনিই সংস্কার কাজের আদেশ দিয়েছিলেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই খামারবাড়িটি সংস্কারের পেছনে ওএএস কোম্পানি দুই লাখ ৭০ হাজার ডলারেরও বেশি অর্থ খরচ করেছিল।
“রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার অবস্থানের কারণেই অভিযুক্ত এই অনৈতিক সুযোগ গ্রহণ করেছিলেন,” রায়ে বিচারক এমনটি বলেছেন বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে।
বিচারক হারদিচি ‘অপারেশন কার ওয়াশ’ নামে বিশাল এক দুর্নীতি তদন্তের নতুন প্রধান। এর সাবেক প্রধান সার্জিও মরো গত বছর ব্রাজিলের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর সরকারে বিচারমন্ত্রী হিসেবে যোগ দেওয়ার পর পদত্যাগ করেন।
ব্রাজিলের দণ্ডিতরা ভাল আচরণেরভিত্তিতে প্রায়ই তাদের কারাদণ্ডের এক তৃতীয়াংশ কাটানোর পর মুক্তি পান। এ হিসাবে লুলার আগামী চার বছর পর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু নতুন দণ্ডের কারণে আরও আট বছর কারাগারে থাকতে হবে তাকে।
গত সপ্তাহে লুলার ভাই মারা গেলেও তার শেষকৃত্যে যোগ দিতে কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়নি সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে।
অক্টোবরে এক ভিডিও বক্তৃতায় লুলা ‘কারাগারে পচবে’ এই আশা করছেন বলে জানালেও এ রায়ের পর বুধবার খবরটি টুইট করা ছাড়া কোনো মন্তব্য করেননি প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো।
No comments:
Post a Comment