Social Icons

Saturday, February 9, 2019

ব্রাজিল: বর্ণবাদ নাকি বর্ণবৈচিত্র্যের রাজা?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতিগত গঠনকে 'মেল্টিং পট' আর কানাডার গঠনকে বলা হয় 'কালচারাল মোজাইক'। মেল্টিং পটে যেমন নানারকম ধাতু গলিয়ে সংকর ধাতু গড়া হয়, মোজাইকে যেমন নানা রঙের পাথরের সংমিশ্রণ ঘটে, তেমনি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডার মতো দেশেও নৃতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক সম্মীলন ঘটেছে নানা জাতির। তবে জাতিগত সংকরায়নের দিক থেকে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে যে দেশটি, তার নাম ব্রাজিল।
ব্রাজিলে নানা বর্ণের এ সংমিশ্রণকে তেমন কোনো গালভরা নাম দিতে গেলে যে শব্দটি বলতে হবে, তা হলো 'দেমোক্রেসিয়া রেসিয়াল' বা বর্ণময় গণতন্ত্র। আজ বলবো সেই দেশটিরই বর্ণবৈচিত্র্যের কথা।
একটি প্রশ্ন আসতে পারে। এত বর্ণের মিশেল যে ব্রাজিলে, সেখানেও কি সাদাদের 'উৎকৃষ্টতর' মানার প্রবণতা প্রবল? বিস্ময়করভাবে উত্তরটি হলো, হ্যাঁ। অধিকাংশ ব্রাজিলীয়র চিন্তাভাবনা অনেকটা গড়পরতা উপমহাদেশীয়দের মতোই। তাদের কাছে অবস্থাদৃষ্টে কালোও সুন্দর হতে পারে, তবে ফর্সা হলে সবসময়ই একধাপ এগিয়ে। এমনকি কোঁকড়া কালো চুলকে তারা সরাসরি 'অসুন্দর চুল' বলেন। ঔপনিবেশিক ধ্যানধারণার প্রভাব যে ভালোই স্পষ্ট তা না বললেও চলছে।
প্রগতিশীল ব্রাজিলিয়ানরা দাস-পরবর্তী যুগে ভাবা শুরু করেছিল, এ দেশে একক বিশুদ্ধ বর্ণই নেই, তাই অসমতা নিয়ে এখানে আলোচনাও নিষ্প্রয়োজন। সবাই এখানে সমান! কিন্তু আসলেই কি সমান? বর্তমানটা জানতে একটু অতীতেও পিছু ফিরতে হবে।
দাসপ্রথার ফেলে যাওয়া চিহ্ন আজও বহন করে চলেছে ব্রাজিল, লাতিনের দেশটিতে তাই বহাল তবিয়তে আজো বইছে আফ্রিকান রক্ত। ১৮ শতকে আফ্রিকা থেকে দাস হয়ে আটলান্টিক পাড়ি দেওয়া ২০ ভাগ কৃষ্ণাঙ্গেরই (প্রায় ৫০ লক্ষ) ঠাঁই হয়েছিলো ব্রাজিলে। ৪ লাখের মত দাস অবশ্য পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় চলে গিয়েছিলো। 
১৮ শতকে ফ্রেঞ্চ চিত্রকরের তুলিতে ব্রাজিলের দাস-অধ্যায়ের প্রতিচ্ছবি; Image Source: The Global and Mail
সমুদ্রপথে উত্তর আমেরিকার বদলে ব্রাজিলে আসা তুলনামূলক সহজ ও কম খরুচে ছিলো। তাই ব্রাজিলের শ্রমবাজারে দাস ছিলো সস্তা ও সহজলভ্য। এ কারণে দাসদের মৌলিক চাহিদা পূরণে একেবারেই মনোযোগী ছিলেন না কিপ্টে মালিকেরা। ফলশ্রুতিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া দাসদের তুলনায় ব্রাজিলের দাসদের বেশিদিন বাঁচার সৌভাগ্যও হতো না! রিও শহরে এখনো বেশ কিছু গণকবর আছে, যেখানে ঠাঁই হতো আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে জীবিত অবস্থায় লাতিনে পা রাখতে ব্যর্থ হওয়া দাসদের। সেগুলোকে অবশ্য কবর বলার থেকে ভাগাড় বলাই ভালো। লাশগুলোকে স্তুপ করে ফেলা হতো সেখানে, আর নতুন লাশ এলে আগের স্তুপটা হালকা করা হতো আগুনে পুড়িয়ে! কিন্তু এই দাসরাই খনিজ, আখ ও কফি শিল্পে ব্রাজিলকে অভূতপূর্ব অগ্রগতি দিয়ে যায়। উল্লেখ্য, সর্বশেষ দেশ হিসেবে ব্রাজিলই ১৮৮৮ সালে দাসপ্রথা রহিত করে।
এই দাসপ্রথা বিলোপের পর দেখা গেলো ব্রাজিলে সাদাদের থেকে কালো আর মিশ্র-বর্ণীয়রাই সংখ্যায় বেশি! এই মিশ্র-বর্ণীয়রা এলো কোত্থেকে?
৩২২ বছরের পর্তুগিজ উপনিবেশকালে ব্রাজিলে স্থায়ী বসতি কেবল শ্বেতাঙ্গ-পর্তুগিজ পুরুষেরাই গড়েছে। সম্মতিক্রমে বা বলপূর্বক এদের দ্বারা গর্ভধারণ করেছিলেন আদিবাসী নারীরা। মূলত এই মিশ্র-বর্ণীয়দের দিয়ে খামারি কাজে পোষাচ্ছিলো না বলেই পর্তুগিজ প্রভুরা আমদানি করেছিলেন আফ্রিকান দাসদের। উল্লেখ্য, আফ্রিকান দাসরাও নিয়মিতই প্রভুদের যৌন লালসা মেটাতে বাধ্য হতেন!
শিল্পীর তুলিতে ব্রাজিলে পর্তুগিজদের অনুপ্রবেশ; Image Source: Ancient Origins
যখন দাসপ্রথাও বিলোপ হলো আর কৃষ্ণাঙ্গরাও শ্বেতাঙ্গদের সংখ্যালঘু বানিয়ে দিলো, তখন শাসকগোষ্ঠীর মাথায় খেললো নতুন ভাবনা। গরিব ইউরোপিয়ানদের শ্রমশক্তি হিসেবে আমদানি করতে চাইলেন তারা। দুটো কারণ- 'উন্নত জিন' বিস্তার করতে এবং কালোদের সংখ্যাধিপত্য রোধ করতে।
নতুন অভিবাসন আইন করা হলো। মূলভাব হলো- এমনভাবে অভিবাসী আনতে হবে, যাতে করে জনসংখ্যায় সমতা আর বৈশিষ্ট্যের সামঞ্জস্যতায় ইউরোপীয় কর্তৃত্ব অক্ষুণ্ন থাকে।
যা-ই হোক, এবারে আসছি আধুনিক ব্রাজিলের 'অত্যাধুনিক বর্ণবাদ' এর অধ্যায়ে! দাসবিলোপের পর ১৮৯০ সালে দেশটিতে যে প্রথম আদমশুমারী হয়, তাতে বর্ণ (Race) না থাকলেও রঙ (Color) নথিভূক্ত হয়েছিলো। অর্থাৎ মানুষকে উল্লেখ করতে হয়েছিলো যে সে সাদা নাকি কালো, না বাদামী, না হলুদ (মঙ্গলয়েড), নাকি লাল (আদিবাসী)!
এরপর থেকে 'রেস' এর বদলে 'কালার' দিয়েই এগোচ্ছে দেশটি। কিন্তু তাতেও এলো নতুন উৎপাত! যে যার খুশিমত নিজের রঙের ব্যাখ্যা দিচ্ছে, রঙকে করছে আরো বিশেষায়িত। এটি দেখে ১৯৭৬ সালে ব্রাজিল সরকার এক জরিপ চালালো। জনমানুষ থেকে রঙের বিভিন্ন প্রকরণের নাম সংগ্রহ করলো তারা। ১৩৬টি প্রকরণের মধ্যে ছিলো 'পোড়ামতন হলুদ, 'দারুচিনি', 'চিনাবাদামী' ইত্যাদি বিচিত্র সব রঙের নাম! এগুলোই বর্তমানে সরকারিভাবে স্বীকৃত শনাক্তকারী রঙের প্রকরণ।
সব রঙ মিশেছে যেখানে! Image Source: Insight Guides
ব্রাজিলে মিশ্র-বর্ণীয় বা পার্দোদের রয়েছে প্রধান কিছু প্রকরণ। যেমন- মুলাট্টো,  মেস্টিজো, কাফুজো ইত্যাদি। মুলাট্টো হলো তারা, যাদের বাবা-মায়ের যেকোনো একজন ককেশীয়, অপরজন আফ্রো। মেস্টিজো বা 'ক্যাবোক্লো' তারা, যাদের বাবা-মায়ের একজন ককেশীয় ও অপরজন আদিবাসী আমেরিন্ডিয়ান। আফ্রো ও আদিবাসীদের সংকরদের বলা হয় কাফুজো। জাপানি বা মঙ্গলয়েডের সাথে ককেশীয় সংকরকে বলে আইকনো। আর যেকোনো তিন বর্ণের সংকরকে বলে জুকারা। উত্তরাধিকার সূত্রে যারা আফ্রো ও ককেশীয় উভয় রক্তই বহন করেন, তাদের গায়ের রঙে কালোর পাল্লা ভারী হলে তারা 'প্রেতো' বা কালচে হিসেবে অভিহিত হন, নতুবা তাদেরকে ফর্সা বা সাদাই ধরে নেওয়া হয়। তাদের অনেকেই ধবধবে সাদা এবং নীল চোখ বিশিষ্ট হলেও রক্ত 'বিশুদ্ধ' না থাকার দরুন নিজ দেশের বাইরে গেলে তাদেরকে 'অশ্বেতাঙ্গ' জনগোষ্ঠীর কাতারেই ফেলা হয়!
সাম্বা নৃত্য, কাপেইরা মার্শাল আর্টের মতো কৃষ্ণাঙ্গদের নিজস্ব ঐতিহ্যও ব্রাজিল আপন করে নিয়েছে নিজেদের সংস্কৃতিতে। নৃতাত্ত্বিকভাবে বহুরূপী ব্রাজিল এভাবেই সাংস্কৃতিকভাবে ধারণ করেছে একই অভিন্ন রঙ! তারা এখন ভাবতে পছন্দ করেন, ইউরোপীয়রা ব্রাজিলকে দিয়েছেন আধুনিকতা এবং আফ্রিকানরা দিয়েছেন উচ্ছ্বাস আর সৃজনশীলতা।
এখন সাম্বায় অশ্বেতাঙ্গরাও নাচেন; Image Source: Amauta Spanish
বিগত এক যুগে অনেক এগিয়েছে ব্রাজিল। জনসংখ্যার ৬ ভাগের ১ ভাগ মানুষ হতদরিদ্র থেকে পরিণত হয়েছে নিম্ন-মধ্যবিত্তে। বাম ঘরানার অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় আনীত এ সাফল্যে সকলে অবশ্য সমান অংশীদার হতে পারেনি। কারাগারে যান, দেখবেন অস্বাভাবিকভাবে কালো বর্ণের লোকের সংখ্যাই বেশি। রেস্তোরাঁয় যান, দেখবেন ক্যাশবক্সে বসে আছেন ফর্সা মতন কেউ, আর বেয়ারাগিরি করছেন কৃষ্ণকায়রা। হাস্যকর হলেও এটাই সত্য, সাধারণত গায়ের রঙের গাঢ়ত্ব বৃদ্ধি আর শিক্ষা-সামর্থ্যের বৃদ্ধি এখানে ব্যস্তানুপাতিক। এখনো সাদা হিসেবে নথিভূক্তদের গড় আয় অশ্বেতাঙ্গদের থেকে প্রায় ৪২ ভাগ বেশি! সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী শতকরা ৫১ ভাগ ব্রাজিলীয় নিজেদের অশ্বেতাঙ্গ হিসেবে নথিভূক্ত করেছেন। অথচ মন্ত্রিসভায় মাত্র একজন কৃষ্ণাঙ্গ, তা-ও অবশ্য বর্ণ-সমতা মন্ত্রণালয়ের! ব্রাজিলের কেন্দ্রীয় স্টক এক্সেঞ্জের নথিভূক্ত ৩৮১টি কোম্পানির সিইওদের মধ্যে কালো বা মিশ্র বর্ণের কেউ নেই! মেধার ভিত্তিতে মূল্যায়ণ হচ্ছে, এমনটা ধরে নিলেও একটি প্রশ্ন থেকেই যায়। তা হলো, মেধাবিকাশের সুযোগটা সাদারাই বেশি পাচ্ছে, নাকি মেধার অতিমূল্যায়ণ হচ্ছে? নেতিবাচক অসমতার পাশাপাশি আছে ইতিবাচক অসমতাও। শিক্ষায় পিছিয়ে থাকা অশ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠীর জন্য ২০০৪ সাল থেকে ব্রাজিলের বাহিয়া ফেডারেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৬% কোটা সংরক্ষিত রয়েছে। স্থানভেদে আরো অনেক জায়গাতেই অশ্বেতাঙ্গদের জন্য আছে কোটা। 
ব্রাজিলে আন্তঃবর্ণীয় বিয়ের হার পুরো বিশ্বে সর্বোচ্চ। ২২ কোটি লোকের দেশটিতে তিন ভাগের এক ভাগ বিয়েই হয় আন্তঃবর্ণীয়। এই হার যে আসলে ঠিক কতটা চড়া, তা বুঝতেই পরের বাক্যটি। কানাডার ভ্যাঙ্কুবার ও টরন্টো, যে শহরটি দুটিকে ভাবা হয় পৃথিবীর অসংখ্য জাতিগোষ্ঠীর মিলনমেলা, সেই শহরেও আন্তঃবর্ণীয় বিয়ের হার ৫% এর বেশি নয়।  
আন্তঃবর্ণের বিয়ের জয়জয়কার দেখে ব্রাজিলকে এখনই বর্ণবাদমুক্ত ভেবে বসার কারণ নেই! কেননা এখানেও আছে সূক্ষ্ম বর্ণবাদ। রিও স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কার্লোস রিবেইরোর গবেষণা মতে, আন্তঃবর্ণের বিয়ের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, তুলনামূলক যিনি কৃষ্ণকায়, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বা আর্থিক সঙ্গতি শ্রেয়তর। যেহেতু তার যোগ্যতা আছে, সুতরাং তিনি যোগ্যতার বদলে সঙ্গীর চামড়ার 'সৌন্দর্য' বা সামাজিক অবস্থান দেখেন। সোজা বাংলায়, যার যেটার অভাব, সে সেটা খুঁজে এনে সমতাবিধান করেন। এ কারণে বিয়ের ক্ষেত্রে দেখা যায়, কালো ছেলেদের কেউ একটু সমাজে ডাকাবুকো হলেই কালো মেয়ে আর বিয়ে করতে চায় না কেউ। তবে ব্যতিক্রমও আছে।
পেলে ও তাঁর প্রথম স্ত্রী রোজমেইরা। উল্লেখ্য, তাঁর পরবর্তী স্ত্রীরাও কেউ কৃষ্ণাঙ্গ নন; Image Source: Footth Ball
মিশ্র বর্ণীয়দের মধ্যে রয়েছে আরেক মজার প্রবণতা। ধরুন, আপনি একটু ঘন শ্যামলা। আপনি যদি উজ্জ্বল শ্যামলা বা ফর্সা কাউকে সঙ্গী হিসেবে বেছে নেন, তবে আপনাকে বাহবা দেওয়া হবে! কেন জানেন? কারণ আপনি আপনার বংশকে 'উজ্জ্বল' করতে যাচ্ছেন। মানে অশ্বেতাঙ্গরা অলিখিতভাবে সাদাকেই একরকম শ্রেষ্ঠত্ব দিয়ে রেখেছেন। কালোরাও নিজেদের মধ্যে যারা বেশি কালো, তাদের সাথে তুলনা দেন 'মেকাকা' (বানর) কিংবা 'ফুমাসা'র (ধোঁয়া)!
অধ্যাপক রিবেইরো তুলে ধরেছেন আরো একটি বিচিত্র দিক! মিশ্র বর্ণের লোকেরা যখন কোনো ক্ষেত্রে সুউচ্চ খ্যাতিলাভ করেন, তখন নাকি তাদের নিজ নিজ বর্ণের বলে দাবি করতে কাড়াকাড়ি পড়ে যায় সাদা ও কালোদের মধ্যে। তবে এখানেও রয়েছে বিভাজন। ব্রাজিলে শ্বেতাঙ্গদের জয়ক্ষেত্র মানা হয় শিল্প-বাণিজ্য আর কৃষ্ণাঙ্গদের জয়ক্ষেত্র মানা হয় খেলা ও সঙ্গীত। আর তাই মিশ্র বর্ণীয় শিল্পপতি রবার্তো মারিনিয়ো পেয়ে যান 'সাদা'র তকমা আর নেইমার পেয়ে যান 'কালো'র তকমা! অথচ কেউই পুরোপুরি সাদা বা কালো নন!
নিচের ছবিটি দেখুন।
বাঁ থেকে জোনাতোস দস প্রেতারেস, তার মেয়ে সারা অ্যাশলে ও স্ত্রী দানিয়েলা দ্য আরাউহো; Image Soource: The Global and Mail
দানিয়েলার বাবা ছিলেন কালো, মা সাদা। কিন্তু তার গাত্রবর্ণে কালোর ভাগ বেশি হওয়ায় তিনি সরকারিভাবে 'কালো' বা 'প্রেতো' হিসেবেই নথিভূক্ত। অন্যদিকে তার স্বামী জোনাতোসের বাবা-মা সাদা-কালো হলেও তিনি হয়েছেন 'সাদা'। দানিয়েলা তো সারার জন্মের আগে থেকে প্রার্থনা অবধি করেছেন, মেয়েটা যেন সাদা হয়! অবশেষে মেয়ে যখন এলো, দেখা গেলো মেয়ে হয়েছে স্বামী-স্ত্রী দুজনের রঙের মাঝামাঝি, আমরা যাকে বলি শ্যামলা! কিন্তু গায়ের গোলাপি আভা আর সোজা-চুলের জন্য মেয়ে যখন 'সাদা' হিসেবেই নথিভূক্ত হলো, দানিয়েলার খুশি দেখে কে! বংশকে 'উজ্জ্বল' করতে পারার আনন্দে তিনি উদ্বেল।
ব্রাজিলের এই বৈচিত্র্য ভরা স্বাতন্ত্রের অনেক নেতিবাচক দিক থাকতে পারে। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে, ব্রাজিলের সৌন্দর্যও ঠিক এখানেই, এই রঙেই। পুরো দেশটি রিও কার্নিভালের থেকেও বর্ণিল আর সেই বর্ণ অবশ্যই অকৃত্রিম! আমাজানের থেকে কি কম বিস্ময়ের পসরা সাজিয়েছে এই জনবৈচিত্র্য?

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates