কালোজিরা খুবই পরিচিত একটি জিরা। অনেক অসুখ থেকে দূরে রাখে কালোজিরা। তাই যদি খাবারে কালোজিরা ব্যবহার করা যায় তবে অনেক উপকার পাওয়া যাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কালোজিরার ফসফরাস রোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর। শরীরের যেকোনো জীবাণুর সঙ্গে লড়ে যেতে কালো জিরের ভূমিকা অসামান্য।
রান্নার শেষে ফোড়নে বলুন আর মচমচে ধরনের খাবার তৈরিতে বলুন, কালোজিরার ব্যবহার চোখে পড়বেই। হালকু তিতকুটে ধরনের এই মশলাটি শুধু যে খাবারের স্বাদ-গন্ধ বাড়ায় তাই নয়, শরীরের অসংখ্য উপকারেও আসে। কালোজিরা শুধু রান্নার উপকরণ হিসেবেই সীমাবদ্ধ নয়। এর রয়েছে হাজারটা গুণ। এই কালোজিরের মধ্যে রয়েছে নাইজেলোন, থাইমোকিনোন, লিনোলিক অ্যাসিড, ওলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিংক, ম্যাগনেশিয়াম ,ফসফেট, সেলেনিয়াম, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-বি ২, নায়াসিন, ভিটামিন-সি, ফসফরাস, কার্বোহাইড্রেট। এছাড়াও জীবাণু নাশক নানা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে কালোজিরার মধ্যে। তাই জেনে নিন সারা বছর সুস্থ থাকার জন্য সবসময় হাতের কাছে কালোজিরা রাখার বিস্তারিত-
১) স্মরণ শক্তি বৃদ্ধিতে কালোজিরার জুড়ি মেলা ভার। এক চা চামচ পুদিনাপাতার রস বা কমলার রস বা এক কাপ লাল চায়ের সঙ্গে এক চা চামচ কালোজিরের তেল মিশিয়ে দিনে তিনবার নিয়মিত খান। স্মরণ শক্তি বাড়বে, সেই সঙ্গে দুশ্চিন্তা দূর হবে।
২) কালোজিরা প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিসেপটিক। নিয়মিত কালোজিরা খেলে মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। কালোজিরার তেল হার্টের রোগীদের জন্যও খুব উপকারি। এক কাপ দুধে এক চা চামচ কালোজিরার তেল এবং প্রতিদিন ২ বার করে খেতে থাকলে হার্টের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যাবে। সাথে কালোজিরার তেল দিয়ে বুকে নিয়মিত মালিশ করতে হবে।
৩) হঠাৎ মাথা ব্যথা শুরু হলে, মাথায় আধ চা চামচ কালোজিরার তেল ভালভাবে মালিশ করুন। ব্যথা নিমেষে গায়েব হয়ে যাবে। এছাড়া, এক চা চামচ কালোজিরার তেলের সঙ্গে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে দিনে তিনবার করে খেতে হবে। টানা ২-৩ সপ্তাহ খেলে মাইগ্রেনের সমস্যা অনেকটাই কমবে!
৪) সর্দি-কাশিতে আরাম পেতে, এক চা চামচ কালোজিরার তেলের সঙ্গে ১ চা চামচ মধু বা এক কাপ লাল চায়ের সঙ্গে আধ চা চামচ কালোজিরের তেল মিশিয়ে দিনে তিনবার খান। পাতলা পরিষ্কার কাপড়ে কালিজিরা বেঁধে শুকালে, শ্লেষ্মা তরল হয়।
পাশাপাশি, এক চা-চামচ কালোজিরার সঙ্গে তিন চা-চামচ মধু ও দুই চা-চামচ তুলসি পাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর, ব্যথা, সর্দি-কাশি কমে। বুকে কফ বসে গেলে কালিজিরে বেটে, মোটা করে প্রলেপ দিন একই সাথে ।
৫) বাতের ব্যাথায় আরাম পেতে, ব্যথার জায়গা ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে কালোজিরার তেল মালিশ করুন। এক চা- চামচ কাঁচা হলুদের রসের সঙ্গে ১ চা চামচ কালোজিরার তেল ও ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে দিনে তিনবার খান। ২-৩ সপ্তাহ টানা খেলে ফল মিলবে হাতেনাতে।
৬) ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে রাখতে প্রতিদিন সকালে দু’কোয়া রসুন চিবিয়ে খেয়ে, সারা শরীরে কালোজিরার তেল মালিশ করে রোদে আধ ঘণ্টা বসে থাকুন। পাশাপাশি ১ চা চামচ কালোজিরার তেলে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলেও ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। কালোজিরা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও খুব উপকারী।
No comments:
Post a Comment