সৌদি আরবের বিভিন্ন কারাগারে থাকা দুই হাজার ১০৭ জন পাক কারাবন্দিকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। পাকিস্তানে প্রথমবারের মতো সফরে এসে সোমবার সকালে তিনি এই প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি আরও বলেন, সৌদিতে বসবাসকারী পাক নাগরিকদের জন্য যতটুকু সম্ভব কাজ করে যাবে তার দেশ।
সৌদি যুবরাজের পাক কারাবন্দিদের মুক্তির নির্দেশ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী। তিনি জানান, 'সৌদির বিভিন্ন জেলে থাকা দুই হাজারের বেশি পাক নাগরিককে তাৎক্ষণিক মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান'।
এছাড়াও সৌদি যুবরাজের দেশটির বিভিন্ন কারাগারে থাকা পাক বন্দিদের তাৎক্ষণিক মুক্তির নির্দেশের কথা নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি। তিনি জানান, 'যারা মুক্তি পাচ্ছেন না তাদের মামলা পর্যালোচনা করা হবে'।
এর আগে রবিবার রাতে পাকিস্তানে পৌঁছান সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর সালমানকে বহনকারী গাড়ি নিজেই চালিয়ে বাসভবনে নিয়ে যান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এরপর সৌদি যুবরাজকে পাকিস্তানে স্বাগত জানিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার বাসভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করেন। সেখানে সৌদিতে অবস্থানরত পাকিস্তানি শ্রমিকদের কষ্টের কথা তুলে ধরেন এবং তাদেরকে আপন করে দেখার জন্য যুবরাজের প্রতি অনুরোধ জানান ইমরান খান।
ইমরান খান বলেন, 'বর্তমানে প্রায় তিন হাজার পাকিস্তানি বন্দী সৌদির বিভিন্ন কারাগারে রয়েছেন। আমরা আপনাকে এটা মনে করিয়ে দিতে চাই যে, এরা খুবই দরিদ্র। এদের সবাই নিজেদের পরিবার-পরিজনকে রেখে সৌদিতে পাড়ি দিয়েছেন কাজের খোঁজে'।
এর উত্তরে সৌদি যুবরাজ জানান, 'আমরা পাকিস্তানকে না করতে পারি না। আমাদের পক্ষে যা করা সম্ভব আমরা করবো'।
সৌদিতে কর্মরত প্রায় ২৫ লাখ পাকিস্তানিদের নিজের লোক হিসেবে দেখার জন্য যুবরাজকে আহ্বান জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এর প্রেক্ষিতে যুবরাজ বলেন, 'সৌদিতে আমাকে পাকিস্তানের দূত হিসেবে বিবেচনা করুন'। নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক টুইট বার্তায় ইমরান খান এ তথ্য জানান।
ইত্তেফাক/জেডএইচডি
No comments:
Post a Comment