শুক্রবার রাত ৯টা। সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সব কর্মকর্তা ডিউটিসহ দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত। এ সময় এক ব্যক্তি থানার ওসির (তদন্ত) রুমে ঢুকেই বলতে থাকেন, ‘স্যার আমি সাজাপ্রাপ্ত আসামি, আমাকে গ্রেফতার করুন এবং জেলে পাঠান’।
এ কথা শুনে প্রথমে ওই কর্মকর্তাসহ উপস্থিত অন্যরা ওই ব্যক্তিকে পাগল মনে করে। কারণ কোন সাজাপ্রাপ্ত আসামি স্বেচ্ছায় থানায় আত্মসমর্পণ করতে এসেছে এটা তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়নি। পরে ওই ব্যক্তির কথা শুনে এবং থানার রাখা গ্রেফতারি পরোয়ানার তালিকা দেখে পুলিশ কর্মকর্তারা নিশ্চিত হন যে, আত্মসমর্পণকারী ওই ব্যক্তি সাভার পৌর এলাকার ইমান্দিপুর মহল্লার বাসিন্দা অছিল উদ্দিন (৪০)।
সাভার মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সওগাতুল আলম বলেন, ‘২০০৭ সালে দিনাজপুর জেলার সদর থানার দ্রুত বিচার আইনের একটি ছিনতাই মামলায় ২০০৮ সালে ইমান্দিপুর এলাকা থেকে অছিল উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ তিন বছর জেল খেটে সে জামিনে বের হয়। কিন্তু পরবর্তীতে আর সে আদালতে হাজিরা দেয়নি। মামলার আর কোন খোঁজ-খবর রাখেনি। ফলে তার অনুপস্থিতিতেই আদালত ওই মামলায় তাকে চার বছর সাজা প্রদান করেন। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয়।’
ছিনতাই মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি থানা হাজতে আটক অছির উদ্দিন বলেন, ‘মামলার রায় হওয়ার পর দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। তাই স্বেচ্ছায় থানায় আত্মসমর্পণ করার সিদ্ধান্ত নিই।’
No comments:
Post a Comment