Social Icons

Wednesday, May 31, 2017

সম্পর্ক ভাঙে যেসব কারণে


পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর একটি সম্পর্ক হচ্ছে ভালোবাসার সম্পর্ক। ভালোবাসার কাঁধে ভর করেই দাঁড়িয়ে থাকে একেকটি সম্পর্ক। আর তাতে আস্তর হিসেবে প্রলেপ পরে বিশ্বাসের আর অনুভূতির। ভালোবাসা এভাবেই জুড়ে থাকে জগত-সংসারে। প্রত্যকটি সম্পর্কের মাঝে লুকিয়ে থাকে ভালোবাসা। যখন কোনো সম্পর্কে বকাঝকা বেশি হয় কিংবা চোখে চোখে বেশি রাখা হয় তার মানে এই না যে সেই মানুষটি আপনাকে বিশ্বাস করে না। বরং এর মানে এই যে, সেই মানুষটি আপনাকে খুব বেশি ভালোবাসে বলে সব সময় আপনার সুরক্ষা চায়।

তবুও সম্পর্কের মাঝে অবিশ্বাস জন্মায়। তাতে নানাভাবে আরেকটি মানুষের জায়গা হয়ে যায়। যাকে একটি সময় জীবনের সবচেয়ে কাছের আর আপন মানুষ মনে করতেন সেই মানুষটিই চোখের পলকে পাল্টে যায়। আচরণে আসে অনেক পরিবর্তন। যা হচ্ছে সম্পর্ক ভেঙ্গে যাবার পূর্বাভাস। যে মানুষটিকে সে ভালোবাসতো সেই মানুষটিতে কি তাহলে পরিবর্তন এসছে! আপনার মনের অজান্তেই কি আপনি পাল্টে যাচ্ছেন। সম্পর্কের কোনো মোড়ে এসে এটি তার রূপ পাল্টাচ্ছে। কারণ যাই হোক ফলাফলের খাতায় যার কোন মানে নেই সেই জীবনের সমীকরণ দিয়ে জীবনতরী পার করা যায় না। তাই সম্পর্কে ভাঙন ধরার আগেই কি কারণে সম্পর্ক ভাঙতে পারে তা জেনে নিন।
বোরিং কথা আর কথা না বলার বাহানা
আপনি নানা কারণেই ক্লান্ত থাকতে পারেন। কখনো তা পড়াশুনার আবার কখনো ব্যক্তিগত কারণে। তাই বলে আপনি আপনার ভালোবাসার মানুষের সাথে কথা না বলার বা কম বলার বাহানা খুঁজতে পারেন না। আপনার এই বাহানা প্রথম দিকে মানুষটি হয়তো খুব মারাত্মক আকারে নেবে। এরপরেই শুরু হবে সমস্যা। সে আপনাকে তার জন্য সময় বের করতে বলতে গিয়েও বলতে পারবে না। সময় কাটাতে খুঁজবে আরেক সঙ্গী। অন্যদিকে আপনি যখন কাজ করবেন তখন শুধুই কাজ করুন। কাজ আর ভালোবাসার মানুষের সাথে কথা একই সাথে করতে যাবেন না। ফলে যা হবে তা হচ্ছে আপনি না পারবেন কাজের দিকে মন দিতে না পারবেন তার দিকে। হা হুম ছাড়া কথা হবে না কিছু। আর সম্পর্কের মাঝে সৃষ্টি হবে দূরত্ব।
যা চাচ্ছেন তা বোঝাতে না পারা
সম্পর্ক ভাঙার ক্ষেত্রে এটি একটি অনেক বড় কারণ। আপনি যা বোঝাতে চাচ্ছেন ঠিক যদি তার বিপরীতটি বোঝান তাহলে আর কিছু অবশিষ্ট থাকবে না। ভুল বোঝাবুঝি যেমন হবে তেমনি তাতে আপনার মনে বাজে মনোভাব জন্মাবে। আর তাতে আপনার ভালোবাসা হারিয়ে যাবে।
কথা লুকিয়ে রাখা

আপনার কাছে থেকে যখন কেউ কথা কিংবা যেকোনো কিছু লুকিয়ে রাখে আপনার সেই সময় নিশ্চয়ই রাগ হয়। আপনার কাছে নিজেকেই নিজের অবহেলিত লাগে! ঠিক এমনটিই ঘটে আপনার ভালোবাসার মানুষটির সাথে। আপনি যখন তার থেকে কথা কিংবা যেকোনো কিছু লুকিয়ে রাখেন তখন তারও মনে হয় আপনার জীবনে তার গুরুত্ব নেই। এভাবে চলে আসে দূরত্ব। এর এই দূরত্ব থেকেই সম্পর্কে ভাঙন।
তার সম্পর্কে অভিযোগ
কোনো মানুষই তার জায়গা থেকে একদম নিপুণভাবে তৈরি না। আপনার কাছে আপনার ভালোবাসার মানুষটির যেকোনো কিছুই খারাপ লাগতে পারে। তবে আপনি তা তার বন্ধুদের সাথে ভাগাভাগি করতে পারেন না। তাদের কাছে এর সমাধান চাইতে পারেন না। আপনার উচিৎ তার সাথে সরাসরি কথা বলা। সম্পর্কের মাঝে কাউকে আসার সুযোগ করে না দেওয়া। এতে সম্পর্ক ভাঙে কম এর তার স্থায়িত্ব হয় বেশি।

রোজা অবস্থায় ভুলে কোনো কিছু খেয়ে ফেললে যা করবেন

মানুষ রোজা অবস্থায় খেয়ালের ভুলে অনেক সময় সামনে পাওয়া খাদ্যবস্তু খেয়ে ফেলে। যখনেই স্মরণ হয় যে, সে রোজাদার, তখন রোজাদার কী করবে? অনেকে রোজা ভেঙে গেছে ভেবে পরিপূর্ণ খাবার খেয়ে ফেলে। অথচ অনিচ্ছাকৃত খেয়ালের ভুলে পানাহার করে ফেললে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না।

বেখেয়ালে কোনো কিছু খেয়ে ফেললে ওই মূহুর্তে করণীয় সম্পর্কে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুস্পষ্ট ভাষায় হাদিসে বর্ণনা করেন-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে রোজা অবস্থায় ভুল করে কিছু খেয়েছে বা পান করেছে। ওই ব্যক্তি যেন তার রোজা পূর্ণ করে। কেননা আল্লাহই তাকে পান করিয়েছেন। (বুখারি ও মুসলিম, মিশকাত)
হাদিসের আলোকে করণীয়
>> রোজা পালনকারী ভুলে পানাহার করলে তার করণীয় হলো রোজাকে পূর্ণ করা। কারণ বেখেয়ালের পানাহারে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না।
>> খাওয়া অবস্থায় যখনই রোজার কথা স্মরণ হবে; সঙ্গে সঙ্গে পানাহার ত্যাগ করতে হবে।
>> মুখে খাবার থাকলে রোজার কথা স্মরণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা মুখ থেকে ফেলে দিতে হবে।
>> কেউ যখন রোজা পালনকারীকে (বেখেয়ালে) পানাহার করতে দেখবে; তখন ওই ব্যক্তির উচিত পানাহারকারীকে রোজার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। রোজার দিনে সব ধরনের ভুল ও পেরেশানি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।

বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার থেকে দ্বিতীয় দফা বাড়ছে গ্যাসের দাম

বৃহস্পতিবার থেকে দ্বিতীয় ধাপে বাড়তি গ্যাসের দাম কার্যকর হচ্ছে। গত ২৩ ফেব্রয়ারি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) ভোক্তা পর্যায়ে দুই দফায় গ্যাসের দাম বাড়িয়েছিল।

দুই ধাপে তারা ৮ খাতে গড়ে ২২.০৭ শতাংশ দাম বাড়িয়েছিল। প্রথম দফার দাম কার্যকর হলেও আদালতের রায়ে আটকে যায় দ্বিতীয় দফার (১ জুন) দাম। শেষ পর্যন্ত আদালতের রায়ে আবার সে আদেশ স্থগিতও হয়ে যায়।

বিইআরসি বলছে, এই অবস্থায় দ্বিতীয় দফায় গ্যাসের দাম বাড়াতে আর কোনো বাধা নেই।

দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস গ্যাস অ্যান্ড ট্রান্সমিশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর মশিউর রহমান যুগান্তরকে জানান, ১ জুন থেকেই তারা দ্বিতীয় দফায় বাড়তি  গ্যাসের দাম কার্যকর করবেন। বিইআরসির নির্দেশনা অনুযায়ী তারা এই দাম কার্যকর করবেন বলেও জানান তিনি।

দ্বিতীয় দফায় দাম বৃদ্ধি কার্যকর হওয়ায় দুই চুলার গ্যাসের দাম পড়বে ৯৫০ টাকা আর এক চুলা ৯০০ টাকা। বাণিজ্যিকে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম হবে ১৭.০৪ টাকা, সিএনজির দাম প্রতি ঘনমিটার হবে ৪০ টাকা।

ক্যাপটিভ পাওয়ার প্রতি ঘনমিটার ৯.৬২ টাকা, বিদ্যুৎ খাতের গ্যাসের দাম হবে ৩.১৬ টাকা, চা-বাগানে গ্যাসের দাম হবে ৭.৪২ টাক, সার কারখানায় ২.৭১ টাকা, শিল্পে ৭.৭৬ টাকা। এ ছাড়া গৃহস্থালি কাজে মিটার ব্যবহারকারীদের দাম হবে ১১.২০ টাকা।

জানা গেছে, দ্বিতীয় দফায় মূল্য বৃদ্ধির আদেশ কার্যকর হওয়ার ফলে বছরে সরকারের অতিরিক্ত আয় হবে ৪ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা। এর ৮১ শতাংশ অর্থ যাবে সরকারি কোষাগারে। বাকি ১৯ শতাংশ অর্থ যাবে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্যাস কোম্পানির কোষাগারে। অন্যান্য কোম্পানির আয় দিয়ে সরকারের বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করার পরও সরকার তিন মাসের ব্যবধানে গ্যাসের দাম পরপর দুই দফায় বাড়ানোর অযৌক্তিক আদেশ চাপিয়ে দেয়ায় ভোক্তা পার্যায়ে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে শিল্প প্রতিষ্ঠানের ওপরও। বেড়ে যাবে উৎপাদিত পণ্যের মূল্য।

শিল্পোদ্যোক্তা ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, গ্যাসভিত্তিক শিল্পে গ্যাসের দর বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকারের দীর্ঘমেয়াদি নীতিমালা থাকা উচিত। এটি নিশ্চিত করা গেলে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা নেয়া সহজ হয়।

শিল্পে ব্যবহার করা গ্যাসের (ক্যাপটিভ) দাম ৮.৩৬ থেকে বেড়ে ৯.৬২ টাকা হওয়ায় অনেকগুলো শিল্প প্রতিষ্ঠান লোকসানের মুখে পড়বে। অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হবে। তাদের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে।

বস্ত্র খাতের উদ্যোক্তাদের গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ অর্থাৎ ক্যাপটিভ পাওয়ারের ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু দাম বৃদ্ধির কারণে অনেকের জন্য সুতা কিংবা বস্ত্র উৎপাদন লাভজনক হবে না বরং লোকসান গুনতে হবে।

ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, গ্যাসচালিত ক্যাপটিভ জেনারেটর দিয়ে স্পিনিং মিলে উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের দাম পড়ে ৪ টাকা ২০ পয়সা। মূল্যবৃদ্ধির ফলে এখন দাম পড়বে সাড়ে ৯ টাকার বেশি। এতে প্রতি কেজি সুতার দাম ৪০ থেকে ৫০ সেন্ট (ডলার হিসেবে) বেড়ে যাবে।

জানা গেছে, মূল্যবৃদ্ধির ফলে গত ১ মার্চ থেকে আবাসিক খাতে দুই চুলার জন্য হয় ৮০০ এবং এক চুলার জন্য ৭৫০ টাকা দিতে হচ্ছে। কিন্তু তিন মাস যেতে না যেতে দ্বিতীয় ধাপে বৃহস্পতিবার থেকে দাম আরও বাড়বে। এসময় থেকে দুই চুলার জন্য ৯৫০ এবং এক চুলার জন্য ৯০০ টাকা দিতে হবে।

মার্চের আগে এক চুলার জন্য ৬০০ টাকা এবং দুই চুলার জন্য ৬৫০ টাকা দিতে হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে এক লাফে দাম বেড়ে গেছে ৩০০ টাকা।

এছাড়া অন্যান্য খাতে যেমন বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ পাওয়ার, সার, শিল্প, চা-বাগান, বাণিজ্যিক, সিএনজি ও গৃহস্থালিতে মিটার ব্যবহারকারীদের জন্যও একই হারে দাম বাড়ানো হয়েছে।

বাণিজ্যিকে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের জন্য ১১.৩৬ টাকা থেকে বেড়ে মার্চে হয়েছিল ১৪.২০ টাকা। এখন জুন থেকে হবে ১৭.০৪ টাকা। সিএনজির দাম ৩৫ টাকা থেকে বেড়ে মার্চে হয়েছিল প্রতি ঘনমিটারে ৩৮ টাকা। এখন জুনে আরও বেড়ে হচ্ছে ৪০ টাকা।

ক্যাপটিভ পাওয়ারে ১ মার্চ থেকে প্রতি ঘনমিটারের দাম বেড়ে হয়েছিল ৮.৯৮। এখন ১ জুন থেকে হবে ৯.৬২ টাকা। বিদ্যুৎ খাতের গ্যাসের দাম মার্চ থেকে বেড়ে হয়েছিল ২.৯৯ টাকা আর জুন থেকে হচ্ছে ৩.১৬ টাকা।

চা-বাগানে গ্যাসের দাম মার্চ থেকে বেড়ে হয়েছিল ৬.৯৩ টাকা আর ১ জুন থেকে হচ্ছে ৭.৪২ টাকা। সার কারখানায় মার্চে বেড়ে হয়েছিল ২.৬৪ টাকা এবং জুন থেকে হচ্ছে ২.৭১ টাকা। শিল্পে গ্যাসের দাম মার্চে বেড়ে হয়েছিল ৭.২৪ টাকা আর জুনে হচ্ছে ৭.৭৬ টাকা।

এছাড়া গৃহস্থালি কাজে মিটার ব্যবহারকারীদের দাম বেড়ে মার্চে হযেছিল ৯.১০ টাকা। এখন ১ জুন থেকে হচ্ছে ১১.২০ টাকা।

উল্লেখ্য ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বরও গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন দুই চুলার বিল ৪৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা আর এক চুলার বিল ৪০০ টাকা থেকে বড়িয়ে ৬০০ টাকা করা হয়েছিল।

বিইআরসির আইন অনুযায়ী কোনো সংস্থা এক বছরের মধ্যে মাত্র একবার দাম বাড়ানোর আবেদন করতে পারবে।

গ্যাসের দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, এভাবে দফায় দফায় গ্যাসের এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বড় ধরনের অন্যায় ও অনিয়ম।

তিনি বলেন, গণশুনানিতে খোদ বিইআরসির টেকনিক্যাল কমিটি কোম্পানিগুলোর দাম বাড়ানোর প্রস্তাবনাকে অযৌক্তিক বলে মত দিয়েছিল। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত বিবেচনায় নেয়া হয়নি।

দ্বিতীয় দফায় দাম বাড়লে গণপরিবহনের ভাড়া বেড়ে যাবে আবার। এখন রমজমান মাস। গ্যাসের দাম বাড়ানোর ফলে এই মাসেও একই হারে বাড়বে নিত্যপণ্যের দাম। শিল্প খাতে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে।

গ্যাসের নতুন মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আদলতে একটি রিট করেন। পরে ২৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ১ জুন থেকে দ্বিতীয় ধাপে কার্যকর হতে যাওয়া গ্যাসের নতুন মূল্য নির্ধারণের সিদ্ধান্ত ছয় মাসের জন্য স্থগিতের আদেশ দেন।

গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের এই আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেন চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। আবেদনটি আগামী ৫ জুন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

এর ফলে বিইআরসির সিদ্ধান্ত অনুসারে বৃহস্পতিবার থেকে দ্বিতীয় দফার বর্ধিত মূল্য কার্যকর হতে বাধা নেই বলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

বিমান ছাড়ার প্রাক্কালে দরজা খুলে লাফ

যাত্রী হেনস্থায় বার বার খবরের শিরোনামে এসেছে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের নাম। কখনও যাত্রীকে মারতে মারতে রক্তাক্ত অবস্থায় টেনেহিঁচড়ে বিমান থেকে নামান, কখনও বা শিশুসহ মহিলাকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে এই বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে। এবার ঘটল উল্টো ঘটনা।

আমেরিকান এয়ারলাইন্সের এক বিমানকর্মীকে আঁচড়ে-কামড়ে, জোর করে বিমান থেকে ঝাঁপ মেরে একেবারে হুলুস্থুল কাণ্ড বাধালেন এক যাত্রী। খবর এপির।

গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটলেও সম্প্রতি তা প্রকাশ্যে এসেছে। বছর বাইশের ওই অভিযুক্ত যাত্রীর নাম টুন লন সেইন। তিনি উঠেছিলেন আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে।

ওই বিমান সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বিমান যখন ওড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ঠিক তখনই টুন নিজের আসন থেকে আচমকাই লাফ দিয়ে উঠে পড়ে বিমানের মূল দরজা খোলার চেষ্টা করতে শুরু করেন। তার কাণ্ডকারখানা দেখে এক বিমানকর্মী ও দুই যাত্রী তাকে বাধা দিতে গেলে টুন ওই বিমানকর্মীকে কামড়ানোর চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। আচমকা ওই হামলার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না কেউই। যতক্ষণে তারা হামলার ধাক্কা সামলে উঠেছেন, তার আগেই দরজা খুলে বিমান থেকে লাফিয়ে পড়েন টুন।

দুর্নীতির অভিযোগে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট মিশেল তেমেরকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছে ব্রাজিলের আদালত।

দুর্নীতির অভিযোগে একটি মামলার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট মিশেল তেমারকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছে ব্রাজিলের আদালত। মঙ্গলবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এই আদেশ জারি করে বলে জানা গেছে। 
 
আদালতের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি মামলার ব্যাপারে ফেডারেল পুলিশের প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। এই মামলায় ব্রাজিলের বৃহত্তম মাংস প্যাকেটজাতকারী কোম্পানি জেবিএস জড়িত। আদালত জানিয়েছে, পুলিশ এ ব্যাপারে তদন্ত চালাচ্ছে। তাই তেমারের সাক্ষ্য জরুরি।
স্থানীয় পত্রিকা ও গ্লোবো’র প্রতিবেদনে বলা হয়, একজন জ্যেষ্ঠ ব্যবসায়ীর সঙ্গে তেমারের কথোপকথনের রেকর্ড রয়েছে তাদের কাছে। প্রেসিডেন্ট দুর্নীতি মামলার সাক্ষী রাজনীতিবিদ এদুয়ার্দো চুনহার মুখ বন্ধ করতে অর্থ দেয়ার জন্য ওই ব্যবসায়ীকে বলেছিলেন। দুর্নীতি, অর্থপাচার এবং কর ফাঁকি দেয়ার দায়ে গত মার্চে কারাগারে পাঠানো হয় চুনহাকে। 
 
ও গ্লেবোর প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ব্রাজিলের বৃহত্তম মাংস প্যাকেটজাতকারী কোম্পানি জেবিএসের চেয়ারম্যান জয়েসলি বাতিস্তা ও প্রধান নির্বাহী ওয়েসলি বাতিস্তা একটি গোপন কথোপকথনের রেকর্ডিং উপস্থাপন করেছেন, যেখানে দেশটির সবচেয়ে বড় দুর্নীতির তদন্তে ব্রাজিল কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের সাবেক স্পিকার কুনহাকে ঘুষ দেয়ার প্রস্তাবে তেমার সমর্থন করেছেন বলে প্রমাণ আছে।
এদিকে গোপন কথোপকথনের রেকর্ডিংয়ের খবর প্রকাশের পর প্রেসিডেন্ট মিশেল তেমারকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ করছে হাজার হাজার লোক। প্রেসিডেন্ট তার পদত্যাগের বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন। 

এএফপি।

ভেনিজুয়েলায় বিক্ষোভকালে তিন হাজার লোক গ্রেফতার

ভেনিজুয়েলায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভকালে গত দুই মাসে প্রায় তিনহাজার লোককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দেশটির ক্রিমিনাল জাস্টিস ফোরামের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি মঙ্গলবার এখবর জানায়।
 
দেশটির বিরোধী পক্ষ অভিযোগ করেছে, প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো আন্দোলনকারীদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছেন। অপরদিকে প্রেসিডেন্টের পাল্টা অভিযোগ, বিরোধী পক্ষ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে উৎখাতের চেষ্টা চালাচ্ছে।
ফোরো প্যানেল নামের ক্রিমিনাল জাস্টিস ফোরাম পরিচালক আলফ্রেডো রোমিরো সংবাদ সম্মেলনে জানান, এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৯৭৭ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৩৫১ জনকে আটকাদেশ প্রদান করা হয়।
ফোরামের আইনজীবী এলনসো মেডিনা বলেন, দেশটির সামরিক আদালত ১৯৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। আইনজীবীগণ জানান, গত ১ এপ্রিলের পর থেকে এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী আন্দোলনে ৬০ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
দেশটির সরকার ও বিরোধী পক্ষ একে অপরকে আন্দোলনে কর্মীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে সন্ত্রাস তৈরির অভিযোগ করেছে। বিরোধী পক্ষ অভিযোগ করেছে, মাদুরোর সরকার অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করছে। খাদ্যদ্রব্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সরবরাহ সংকট তৈরি করছে। অপরদিকে সোশ্যালিস্ট প্রেসিডেন্ট মাদুরো বলেন, যা সংকট তা যুক্তরাষ্ট্রের মদদে সৃষ্ট। 
এএফপি।

প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তির মামলায় ইমরানকে আদালতে তলব

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারকে তলব করেছে আদালত। তার সঙ্গে গণজাগরণ মঞ্চের আরেক কর্মী সনাতন উল্লাসকে ১৬ জুন আদালতে হাজির হতে বলা হয়। বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম এস এম মাসুদ জামান এ আদেশ দেন।
 
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ‘কটূক্তিমূলক’ স্লোগান দেয়ার অভিযোগে ইমরান এইচ সরকারসহ অজ্ঞাত ৫০ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই নালিশি মামলা করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম রাব্বানী।
 
মামলার আরজিতে বলা হয়, সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদে ২৮ মে সন্ধ্যায় শাহবাগে মশালমিছিল বের করে গণজাগরণ মঞ্চ। ওই মিছিল থেকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তিমূলক স্লোগান দেয়া হয়। এ-সংক্রান্ত খবর গণমাধ্যমে এসেছে। এতে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে ইমরানসহ অন্য আসামিরা কটূক্তিমূলক স্লোগান দিয়েছেন। তাঁদের স্লোগান মানহানিকর।

সন্তান হচ্ছে না, করণীয় কী? জেনে নিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ পোস্টটি সেয়ার করুন… অনেক মানুষের উপকার হবে।


আমার স্ত্রীর বয়স যখন ১২-১৩ বছর তখন তারঅ্যাপেন্ডিসাইটিসের অপারেশন করা হয়। সে সময় তারজরায়ু নালী কিছুটা কেটে গিয়েছিল। বর্তমানে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে কোনো সমস্যা ধরা পড়েনি। কিন্তু এখন আমাদের বাচ্চা হচ্ছে না, কী করতে পারি?
প্রশ্নটি আমাদের ফেসবুক পেজে করেছেন:নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন।
উত্তর
বিশেষজ্ঞের উত্তর:প্রথমেই বলে নিই, জরায়ুর নালী অল্প একটু কেটে গেলেও তা জোড়া লাগানো সম্ভব এবং একপাশের নালী সম্পূর্ণ কেটে গেলেও অপরপাশের ডিম্বাশয় যদি সুস্থ থাকে তাহলে তা দিয়ে গর্ভধারণ সম্ভব। শুধুমাত্র আল্ট্রাসনোগ্রাম স্বাভাবিকতাই পূর্ণ সুস্থতার নিশ্চয়তা নয়, অন্য সমস্যার কারণেও বাচ্চা হতে সমস্যা হতে পারে।
যেমন:
১. স্বামীর শুক্রাণুর সমস্যা, স্বামীর শুক্রাণুতে যথেষ্ট পরিমাণ শুক্র না থাকলে এমনটা হতে পারে।
২. স্বামী বা স্ত্রী কিংবা উভয়ের কোনো রোগ থাকলে।
৩. স্ত্রীর ওজন বেশি হলে, হরমোন কিংবা মাসিকের সমস্যা থাকলে।
৪. স্ত্রী অপুষ্টিতে ভুগলে।
৫. যথাযথ সময়ে যৌনমিলন না হলে।
৬. পূর্বে দীর্ঘমেয়াদী কোনো জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি নিয়ে থাকলে।
এছাড়া আরও অনেক কারণে আপনাদের সন্তান ধারণে সমস্যা হতে পারে। তাই সবচেয়ে ভালো হয়, আপনারা একজন গাইনী ডাক্তারের কাছে গিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষাগুলো করিয়ে নেন এবং সমস্যা আদৌ আছে কি না বা সমস্যা থাকলে কী করণীয় এ বিষয়ে নিশ্চিত হোন। ধন্যবাদ, আপনাদের জন্যে শুভ কামনা।

উঠে যাচ্ছে পাসপোর্টের বহুল সমালোচিত “পুলিশ ভেরিফিকেশন” সিস্টেম


বাংলাদেশের নাগরিকদের পাসপোর্ট সেবা পেতে আর পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রথা থাকছে না বলে জানিয়ে পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান বলেন, পাসপোর্ট সেবা পেতে জনগণ হয়রানি ও দুর্নীতির শিকার হচ্ছে। পাসপোর্ট তৈরিতে যেসব সমস্যা হচ্ছে এর বেশিরভাগই পুলিশ ভেরিফিকেশনের কারণে। শিগগিরই সত্যায়ন ও পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রথা তুলে নেয়া হবে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি মিলনায়তনে মঙ্গলবার পাসপোর্ট অধিদফতরের ওপর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আয়োজিত এক গণশুনানিতে তিনি এ কথা জানান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দালালদের হাত থেকে পাসপোর্ট অফিস মুক্ত করতে হবে। পাসপোর্ট নিয়ে মানুষের নানা ভোগান্তি এখনো রয়ে গেছে। এগুলো দূর করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
সম্প্রতি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) পরিচালিত এক গবেষণায় উঠে আসে, সেবা খাতের মধ্যে পাসপোর্ট করতে এসে সবচেয়ে বেশি মানুষ দুর্নীতি ও ভোগান্তির শিকার হন।
উল্লেখ্য, রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পাসপোর্ট অফিসে প্রতিদিন পাচঁ হাজার নাগরিককে সেবা দেয়া হয়। এই সেবা কার্যক্রমের ওপর অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে অংশ নেয় ভুক্তভোগী ও দুর্নীতির শিকার জনগণ।

Tuesday, May 30, 2017

ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাহিয়া প্রদেশে মানুষের রক্ত খাচ্ছে বাদুড় !


রক্তচোষা বাদুড়ের (ভ্যাম্পায়ার ব্যাট) আক্রমণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাহিয়া প্রদেশের বাসিন্দারা। এই বাদুড়ের আক্রমণে এরই মধ্যে মৃত্যু হয়েছে একজনের। এ ছাড়া এই বাদুড়ের কামড়ে ‘র‍্যাবিস’ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে আরো ৪০ জন।
সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নিহত ওই ব্যক্তির নাম ইদিভালসন ফ্রানসিসকো সোউজা (৪৬)। তিনি বাহিয়ার পারামিরিম শহরের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে ডেইলি মেইল জানায়, খামারে গরুর দুধ দোহন করছিলেন সোউজা। সে সময় একটি রক্তচোষা বাদুড় তাঁকে কামড়ে দেয়। এতে র‍্যাবিসে আক্রান্ত হন তিনি। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সোউজার। ২০০৪ সালের পর তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি বাদুড়ের কামড়ে মারা গেলেন।
স্থানীয় সময় শনিবার ওই বাদুড় দমনে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বাদুড় ধরে ও সেগুলোর গায়ে বিষাক্ত মলম লাগিয়ে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিন মাস ধরেই বাদুড় বিভীষিকা ছড়াচ্ছে। রাতের বেলা শুরু হয় তাদের আক্রমণ। অনেকেই ঘুম ভেঙে দেখতে পান বিছানা রক্তে ভেসে গেছে। পায়ের আঙুল, গোড়ালি ও হাতের কনুইতে বাদুড়ের কামড় থেকেই ওই রক্তের উৎপত্তি।
রক্তচোষা বাদুড়ের আক্রমণের শিকার ম্যাথিউস আন্দ্রাদে জানান, চলতি মে মাসেই তাঁকে তিনবার বাদুড় কামড়েছে। তবে প্রথমে তিনি বুঝতে পারেননি। দ্বিতীয় দিন কামড় খেয়ে টের পান যে সেগুলোর জন্য দায়ী বাদুড়। রক্তচোষা বাদুড় কামড়ালে কোনো ব্যথা অনুভূত হয় না বলেও জানান ম্যাথিউস।
রক্তচোষা এই বাদুড়গুলো প্রায় আট ইঞ্চি লম্বা হয়। সেগুলো মানুষ ও পশুর দেহ থেকে রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে। শুধু আমেরিকা অঞ্চলে এই বাদুড় দেখতে পাওয়া যায়।

বাংলাদেশে ইফতারির শত বছরের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে পুরান ঢাকার চকবাজার।

ঢাকা থেকে আমাদের ফটো সাংবাদিক মোঃ নুর হুসাইন --------
******************************************
ইফতারির শত বছরের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে পুরান ঢাকার চকবাজার। প্রতিবারের মতো এবারও জমে ওঠেছে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ইফতারির বাজার। বাহারি ইফতারির পসরা সাজানো এ স্থানটিতে। বৈচিত্র্য আর ভিন্ন স্বাদের জন্য পুরো রাজধানীতে এখানকার ইফতারি বিশেষভাবে সমাদৃত।

নানা স্বাদের মুখরোচক খাবারের মনকাড়া সুবাস চারদিকে। পাশাপাশি বিক্রেতার হাঁকডাক ‘বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙ্গায় ভইরা লইয়া যায়’। পুরান ঢাকার চকের ইফতারির বাজারের সেই পরিচিত দৃশ্য। এ এক অন্যরকম আমেজ।

 সরেজমিনে চকবাজারে ঘুরে দেখা যায়, দোকানিরা বৈচিত্র্যে ভরপুর ঐতিহ্যবাহী ইফতার সামগ্রী থরে থরে সাজিয়ে রেখেছেন টেবিলে। রয়েছে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। রাস্তার ওপর বসা চকবাজার ইফতারির দোকানে মাথার ওপর নানা রঙের শামিয়ানা। চারদিকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের হৈ-হুল্লোড় আর হাঁকডাক।

বিক্রেতারা জানান, পুরান ঢাকার বাসিন্দারা বাড়ির তৈরি ইফতারির চেয়ে দোকানে তৈরি ইফতারি দিয়েই ইফতার করতে অভ্যস্ত। যে কারণে পুরো রমজান জুড়েই চকের ইফতারির বাজার থাকে সরগরম। তবে শুধু পুরান ঢাকার বাসিন্দারাই নন, রাজধানীর অন্যান্য এলাকার বাসিন্দারাও রমজানে চকবাজার থেকে ইফতার সামগ্রী কিনতে আসেন। এবার নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় ইফতার সামগ্রীর দাম বেড়েছে বলে বিক্রেতারা জানান।
 এবার চকবাজারের চারদিকে কয়েক শত ইফতারির দোকান বসেছে। এসব দোকানে বিশাল শিকের সঙ্গে জড়ানো সুতি কাবাব, জালি কাবাব, শাকপুলি, টিকা কাবাব, ডিম চপ, কাচ্চি, তেহারি, মোরগ পোলাও, কবুতর ও কোয়েলের রোস্ট,খাসির রানের রোস্ট, দইবড়া, মোল্লার হালিম, নূরানী লাচ্ছি, পনির, বিভিন্ন ধরনের কাটলেট, পেস্তা বাদামের শরবত, লাবাং,ছানামাঠা, কিমা পরোটা, ছোলা, মুড়ি, ঘুগনি, বেগুনি, আলুর চপ, জালি কাবাব, পিঁয়াজু, আধা কেজি থেকে ৫ কেজি ওজনের জাম্বো সাইজ শাহী জিলাপিসহ নানা পদের খাবার সাজিয়ে বসে পড়েছেন বিক্রেতারা।

এ ছাড়া আতা, আনারস, আম, মালটা, খেজুরসহ বিভিন্ন ধরনের ফল, ঘোল, পিঠা-পায়েস, মিষ্টিসহ ইফতারের নানা সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে এ বাজারে।


তবে এ বাজারে সব থেকে আলোচিত পণ্য হচ্ছে 'বড় বাপের পোলায় খায়'। পুরান ঢাকার শত বছরের ঐতিহ্যবাহী খাবার এটি। এ খাবারটি মোট ৩৬টি পণ্য ও ১৮টি মসলা দিয়ে তৈরি করা হয়। গরুর মগজ, গরুর কলিজা, মুরগির মাংসের কুচি, সুতি কাবাব, মাংসের কিমা, ডিম, আলু, ঘি, বুটের ডালসহ নানা পদের খাবার ও নানা ধরনের মসলার মিশ্রণে খাবারটি তৈরি করা হয়। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪২০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খাবারের মধ্যে খাসির কাবাব প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, গরুর কাবাবের কেজি ৬০০ টাকা। খাসির রানের রোস্ট প্রতি পিস ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, দেশি ছোট মুরগি রোস্ট ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা,  কবুতরের রোস্ট ১৩০ টাকা, কোয়েলের রোস্ট ৭০ থেকে ৮০ টাকা, চিকন জিলাপি কেজি ১২০ টাকা, বড় শাহী জিলাপি ২০০ টাকা, দইবড়া কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, চিকেন স্টিক ৭০ থেকে ৯০ টাকা, জালি কাবাব ২০ থেকে ৪৫ টাকা (প্রতি পিস), বিফ স্টিক ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কিমা পরোটা ৩০ থেকে ৫০ টাকা, টানা পরোটা ২০ টাকা পিস, হালিম (বাটির আকারভেদে) ৬০ থেকে ৩০০ টাকা, ডিম চপ ১৫ টাকা, সমুচা ৫ থেকে ১০ টাকা, পনির সমুচা ৫ টাকা, পিঁয়াজু ৫ টাকা, আলুর চপ ৫ টাকা, বেগুনি ৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

অন্যদিকে ডাবাব খেজুর ১৬০ টাকা কেজি, বড়ই খেজুর প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, তিনিশীল খেজুর কেজি ৫০০ ও চুপরি খেজুর ৪৫০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন দোকানিরা।

ঐতিহ্যবাহী ইফতারি কিনতে উত্তরা থেকে চকবাজারে এসেছেন মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, এখানকার ইফতার সামগ্রী অন্য সব জায়গার থেকে আলাদা। এখানের ইফতারি যে খায়নি সে বুঝবে না। তবে এবার ইফতার সামগ্রীর দাম গত বারের তুলনায় বেশি বলেও জানান তিনি।

আজিমপুর থেকে ইফতারি কিনতে আসা আসিফ সরদার বলেন, এখন ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বাহারি ইফতারি বিক্রি হয়। তারপরও রমজানের যেকোনো একদিন চকবাজারে আসি ইফতারি কিনতে। কারণ, এখানে আসলে কেন জানি আলাদা এক ধরনের ভালো লাগা কাজ করে। আর এখানে না এলে মনে হয় রমজানই শুরু হয়নি।



সৌদিকে ‘উপেক্ষা’ করেই এক হতে চলেছে ইরান, ওমান, কুয়েত ও কাতার !


ইরান বিরোধী জোট গঠনের জন্য রিয়াদে অনুষ্ঠিত আরব-আমেরিকান বৈঠকের দশদিন পর ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তেহরান-মাস্কাট সম্পর্ক অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ ও আন্তরিক। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের কোনো ঘটনাবলীই ইরান-ওমান সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবে না।
ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউসুফ বিন আলাভি আরবি ভাষায় সম্প্রচারিত বিবিসি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেন, ইরানে ইসলামী বিপ্লবী সরকার প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত সব বিষয়ে আমরা অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে আসছি। রিয়াদ বৈঠকের পর কাতারের আমির শেইখ তামিম বিন হামাদ আলে সানি ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে টেলিফোন সংলাপে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন ইরানের ব্যাপারে ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যেও একই সুর লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
কাতার ও ওমান ইরানকে সমর্থন জানানো থেকে বোঝা যায়, সৌদি আরব এ অঞ্চলে কেবল তার বিদ্বেষী নীতি চরিতার্থ করার চেষ্টা করছে এবং এ লক্ষ্যে অন্য আরব দেশকে নিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে জোট গঠনের চেষ্টা করছে। কাতারের আমির ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টেলিফোন সংলাপে বলেছেন, তার দেশ মনে করে কোনো কিছুই তেহরান-দোহা সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না। অন্যদিকে কুয়েতও ইরানের ব্যাপারে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে।
এসব পরিস্থিতির আলোকে বিশ্লেষকরা বলছেন, ওমান, কাতার ও কুয়েত ইরানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করা থেকে তাদের বুদ্ধিমত্তা ও দূরদৃষ্টির পরিচয় পাওয়া যায়, যারা কিনা ঐক্য ও গঠনমূলক সহযোগিতাকে আঞ্চলিক নানা সমস্যা ও পারস্পরিক ভুল বোঝাবুঝি অবসানের একমাত্র পথ বলে মনে করে।
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান বহুবার বলেছে, পররাষ্ট্র ক্ষেত্রে তাদের মূল নীতি হচ্ছে, সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিত এ অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে গঠনমূলক সহযোগিতা গড়ে তোলা। ইরানের প্রেসিডেন্ট কাতারের আমিরের সঙ্গে টেলিফোন সাক্ষাতে এ বিষয়ে ইরানের অবস্থান তুলে ধরেন।
ইরান সবসময়ই সাম্প্রদায়িকতা ও জাতীয়তার ঊর্ধ্বে উঠে আরব দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা ও সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার কথা বলে এসেছে। কেবল এ ধরণের সহযোগিতাই ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী নিরাপত্তা ও সবার স্বার্থ রক্ষা করতে পারে। তেহরান মনে করে কয়েকটি দেশের কল্পিত শত্রু সৃষ্টি বিশেষ করে ইরানভীতি ছড়ানোর চেষ্টা এ অঞ্চলের সবার স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এর ফলে কেবল মুসলিম বিশ্ব বিভক্ত হয়ে পড়বে এবং শত্রুরা এর সুযোগ নেবে।
ইরান আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে গত ২১মে রিয়াদে এমন সময় আরব ও অন্যান্য মুসলিম দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে যখন ইরান এ অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমেরিকা কেবল নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থে এবং অশুভ রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের জন্যই রিয়াদে ওই বৈঠকের আয়োজন করেছিল। হাজার হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্য করা এবং নিজেদের অর্থনীতির চাকাকে সচল করার জন্য আমেরিকা ইরানভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করে আসছে বহুদিন ধরে।
তাই রিয়াদ বৈঠক এ অঞ্চলের দেশগুলোর স্বার্থে অনুষ্ঠিত হয়নি এবং এতে কেবল আরব ও ইরানের অভিন্ন শত্রুরাই লাভবান হবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

কাতারে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি যুবক নিহত


কাতারে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মো. আকরাম হোসেন (২৭) নামে এক বাংলাদেশি যুবক মারা গেছেন। সোমবার কাতারে আল খোর রোডে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আকরাম হোসেন চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ থানার মাইটভাঙ্গা ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের শেখ সুকানির বারী মোক্তাদের জামানের ছেলে।
তিনি কাতারে বিন শুক গ্রুপ কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।
জানা যায়, সন্ধ্যায় ইফতার করে বাসা থেকে আল খোরে ঘুরতে যাওয়ার পথে হাইওয়ে রোডে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তার ভাইয়ের মৃত্যু হয়। রাতে বাসায় না ফেরায় ও মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ার কারণে মঙ্গলবার সকালে কাতারের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করা হয়। এরপর কাতার পুলিশের সাহায্য নিলে আল খোর হামাদ হাসপাতালে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় কুমিল্লার এক পরিবারের তিনজন নিহত


সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার দূর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের গুনানন্দী গ্রামের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন নারী ও শিশুসহ আরো তিনজন। এদিকে পরিবারের তিন সদস্যকে হারিয়ে ওই বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। 
 
জানা যায়, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার কোটবাড়ি মাঝিপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী শাহানারা বেগম তার নাতি ও নাতনি নিয়ে ওমরা হজ্ব পালন করার উদ্দেশ্যে গত শনিবার রাতে সৌদি আরবে বসবাসরত মেয়ে শাম্মি আক্তার ও জামাতা তোফাজ্জলের নিকট যাচ্ছিলেন। গত রবিবার তারা সৌদি আরবে পৌঁছালে শাশুড়িসহ অন্যদের আনতে স্ত্রীকে নিয়ে বিমানবন্দরে তোফাজ্জল হোসেন। ওখান থেকে ফেরার পথে সকাল সাড়ে ৭টায় তাদের বহনকারী গাড়িটি জেদ্দা-আলবাহার সড়কের বাতুয়ায় পৌঁছালে সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান প্রবাসী তোফাজ্জল হোসেন, তার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে শাহরিয়ার হোসেন ও শাশুড়ি শাহনারা বেগম। ওই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয় তোফাজ্জলের মেয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী নিহা ও তিন বছর বয়সের মেয়ে আফনান এবং স্ত্রী শাম্মি আক্তার।
 
তোফাজ্জল হোসেনের বড় ভাই আবুল কালাম ও আবুল খায়ের জানান, তার ভাই তোফাজ্জল হোসেন স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে সৌদি আরবে আছেন। দেশ থেকে যাওয়া তার শাশুড়ি ও ২ সন্তানকে বিমানবন্দর থেকে নিয়ে বাসায় ফেরার পথে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন।
 
এ বিষয়ে আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম টুটুল জানান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নিহতদের মরদেহ দেশে আনতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।   

অস্ট্রেলিয়ায় সন্তান হত্যায় মায়ের ২৬ বছরের কারাদণ্ড

অস্ট্রেলিয়ায় তিন শিশুকে হত্যা ও চতুর্থ শিশুকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মঙ্গলবার তাদের মাকে ২৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তিনি আদালতে তার অপরাধ স্বীকার করেন।
আকোন গুয়োডে নামের ওই নারী দক্ষিণ সুদানে গৃহযুদ্ধের কারণে পালিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসেন । ২০১৫ সালে মেলবোর্নের উপকণ্ঠে একটি হ্রদে গাড়ি উল্টিয়ে ফেলে দেন তিনি। গাড়ির ভেতর চার সন্তানসহ তিনি নিজেও ছিলেন। এতে তার একবছর বয়সী ছেলে বোল ও চারবছর বয়সী যমজ হ্যাঙ্গার ও ম্যাডিট প্রাণ হারায়।
উদ্ধারকর্মীরা ডুবন্ত গাড়ি থেকে তাকে ও তার পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে আলুয়ালকে উদ্ধার করে। আসামীপক্ষের আইনজীবী আদালতকে জানায়, গুয়োডে সোমালিয়ায় গৃহযুদ্ধের কারণে মারাত্মক মানসিক আঘাত পান। 

এএফপি।

ব্রাজিলে বন্যায় ৭ জনের মৃত্যু, ৪৮ হাজার গৃহহীন


ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলে বন্যার কারণে সাতজন মারা গেছে এবং ৪৮ হাজার লোক গৃহহীন হয়ে পড়েছে। সোমবার দেশটির কর্তৃপক্ষ একথা জানায়।
 
বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পার্নামবুকো রাজ্যে দু’জন মারা গেছে এবং ৪৪ হাজারের বেশী লোক গৃহহীন হয়ে পড়েছে। বন্যার কারণে সেখানে ২ হাজার ৬শ’ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে রোববার এ রাজ্যের ১৫টি শহরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। এছাড়া আলাগোয়াস রাজ্যে এক শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
 
গত কয়েকদিন ধরেই পার্নামবুকো ও আলাগোয়াস রাজ্যে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এরফলে পারাইবাসহ কয়েকটি রাজ্যে ভূমিধ্বসের ঘটনা ঘটে।
 
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট মিশেল তেমার রবিবার বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং পার্নামবুকো রাজ্যের গভর্নর পাউলো কামারার সঙ্গে সাক্ষাত করেন। সিনহুয়া।

পানামার সাবেক সামরিক একনায়ক ম্যানুয়েল নরিয়েগার মৃত্যু

পানামার সাবেক সামরিক একনায়ক জেনারেল ম্যানুয়েল এন্তোনিও নরিয়েগা মারা গেছেন। তিনি ৮৩ বছর বয়সে মারা যান বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
 
সম্প্রতি তার মস্তিষ্কে একটি সার্জারি করা হয়েছিলো বলে জানা গেছে। এর আগে, খুন, দুর্নীতি ও জালিয়াতির বিভিন্ন অভিযোগে তিনি কারাবাসে ছিলেন। গত জানুয়ারিতে অপারেশনের জন্য আদালত থেকে সাময়িক ছাড়া পান তিনি।
 
পানামার যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব ম্যানুয়েল ডোমিনগুয়েজ এক বিবৃতিতে নরিয়েগার মৃত্যুর খবর জানান।
 
জানা গেছে, একসময়ের মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইয়ের চর জেনারেল নরিয়েগার শাসনের (১৯৮৩-১৯৮৯) অবসান ঘটে দেশটিতে ১৯৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানের পর। নরিয়েগার শাসনকালকে পানামার অন্ধকার সময় বলে অভিহিত করা হয়। সে সময় শত শত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হত্যা করেন নরিয়েগা। নরিয়েগার পতনের মধ্য দিয়ে দেশটিতে তিন দশকের সামরিক শাসনের অবসান ঘটে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে কারাবাসের পর নরিয়েগাকে ফ্রান্সে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে অর্থ পাচারের মামলায় তার সাজা হয়। ২০১১ সালে তাকে আবার ফেরত পাঠানো হয় পানামায়। দেশে এসে হত্যা, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় নরিয়েগার ৬০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিবিসি।

অবিলম্বে ঘূর্ণিঝড়-দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পাঠানোর আহ্বান খালেদা জিয়ার


অবিলম্বে ঘূর্ণিঝড়-দুর্গত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত জনগণ বিশুদ্ধ খাবার পানি, খাবার, ওষুধ ও আশ্রয়ের সংকটে নিপতিত হয়ে পড়েছেন। তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন জেনে দেশবাসীর ন্যায় আমিও উদ্বিগ্ন। মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন খালেদা জিয়া।

খালেদা জিয়া বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে দেশের উপকূলীয় এলাকায় সাতজনের করুণ মৃত্যু এবং কয়েক হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে কয়েক লক্ষ মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। এ দুঃখজনক খবরে আমি গভীরভাবে ব্যথিত হয়েছি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে যোগাযোগব্যবস্থা ছাড়াও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত ও নাজুক হয়ে পড়েছে।

খালেদা জিয়া আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আক্রান্ত উপদ্রুত এলাকাগুলোর মানুষদের পাশে দাঁড়ানোসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এখন অত্যন্ত জরুরি। এখন পর্যন্ত সরকার উল্লেখযোগ্য ত্রাণতৎপরতা চালাতে ব্যর্থ হয়েছে, এটা খুবই দুঃখজনক।

বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, অনতিবিলম্বে দুর্গত মানুষদের উদ্ধার এবং তাদের মধ্যে বিশুদ্ধ খাবার পানি, ওষুধ ও ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানোর ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। এ ছাড়া, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে ঘরবাড়িহারা অসহায় মানুষদের জন্য অবিলম্বে আবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতেও সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ওই সমস্ত দুর্গত অঞ্চলে ত্রাণতৎপরতা শুরু হয়েছে। উপদ্রুত এলাকাগুলোর জনগণের পাশে আরো বেশি করে দাঁড়ানোর জন্য বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকাহত পরিবার-পরিজনদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।

৩০ লাখ টাকায় বিএনপি নেতা মিঠুকে হত্যা: খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি


৩০ লাখ টাকার বিনিময়ে পরিকল্পিতভাবে খুলনা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলাউদ্দিন মিঠুকে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ড. মামুন রহমান যিনি বিদেশে থাকেন, তিনি এই টাকা ফুলতলা থানা বিএনপির সদস্য সচিব হাসনাত রিজভী মার্শালকে দিয়েছেন বলে মঙ্গলবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি দিদার আহমেদ এ কথা জানিয়েছেন।
 
ডিআইজি দিদার আহমেদ আরও জানান, মার্শাল এই টাকা হত্যাকারীদের মধ্যে লেনদেন করেছেন। আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও পারিবারিক বিরোধের কারণে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরদার আলাউদ্দিন মিঠু ও ড. মামুন রহমান দু'জনই খুলনা-৫ (ফুলতলা-ডুমুরিয়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী হওয়ার জন্য চেষ্টা করছিলেন। এজন্য মিঠু হত্যায় বিএনপি নেতা ড. মামুন হত্যাকারীদের পারিবারিক বিরোধকে কাজে লাগিয়েছেন। তবে তদন্তে মিঠু হত্যাকাণ্ডে অন্য কোনো রাজনৈতিক দল বা নেতার সম্পৃক্ততা এখনো পাওয়া যায়নি।
 
রেঞ্জ ডিআইজি দিদার আহমেদ বলেন, 'বিএনপি নেতা সরদার আলাউদ্দিন মিঠুসহ জোড়া হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ, এনআইসি ডিএসবি, ডিবি ও র‌্যাব সম্মিলিতভাবে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ ও তথ্যের ভিত্তিতে নিহত মিঠুর দেহরক্ষী ফুলতলা উপজেলার দামোদর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে শিমুল হাওলাদার, মৃত জিন্নাহ ভুঁইয়ার ছেলে মুশফিকুর রহমান রিফাত, একই গ্রামের মৃত আব্দুল হান্নান ভুঁইয়ার ছেলে ফুলতলা থানা বিএনপির সদস্য সচিব হাসনাত রিজভী মার্শালকে গ্রেফতার করা হয়।
 
গত ২৮ মে এই তিনজন খুলনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালালের আদালতে হত্যাকাণ্ডের সাথে নিজেদের সম্পৃক্ত করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। উক্ত আসামিদের জবানবন্দির ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দামোদর পশ্চিমপাড়ার ওমর আলীর ছেলে তাইজুল ইসলাম রনিকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত শটগান সদৃশ একটি দেশীয় কাটা বন্দুক ও ১ রাউন্ড কার্তুজসহ গত সোমবার ভোররাতে গ্রেফতার করা হয়। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে ফুলতলা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে পুলিশ রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
 
তিনি বলেন, 'মিঠু হত্যাকাণ্ডে সরাসরি শিমুল হাওলাদার, রেহান, রনি ও মার্শালসহ আটজন জড়িত রয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে বাকি চারজনের নাম এখুনি বলা যাচ্ছে না। কিলিং মিশনে মোট পাঁচজন সরাসরি অংশ নিয়েছে। মিঠু হত্যাকাণ্ডে চরমপন্থি দল নেতা শিমুল ভুঁইয়া মূল ভূমিকা পালন করেছে। শিমুল ভুঁইয়া মিঠুর পিতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবুল কাশেম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত ছিল। মূলত যারা মিঠুর পিতা ও ভাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তারাই এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
 
প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাব-৬এর অধিনায়ক খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন) মো. একরামুল কবির, অতিরিক্ত ডিআইজি (অপরাধ) হাবিবুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, র‌্যাব-৬'র স্পেশাল কোম্পানি কমান্ডার এনায়েত হোসেন মান্নান উপস্থিত ছিলেন। এদিকে নিহত মিঠুর ভাই সরদার সেলিম অভিযোগ করে বলেন, 'তার ভাই মিঠু হত্যাকাণ্ডের মদদ ও অর্থযোগানদাতা ক্ষমতাশীল দলের একজন প্রভাবশালী নেতা ও জনপ্রতিনিধি এবং  হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত দামোদর ইউপি চেয়ারম্যান চরমপন্থি দল নেতা শিমুল ভুঁইয়ার ভাই শিপলু  ভুঁইয়াকে বাঁচানোর জন্য পুলিশ মামলাটি ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা করছে।'
 
উল্লেখ্য, ২৫ মে রাতে দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে মিঠু ফুলতলার দামোদরে তার নিজ অফিসে বৈঠক করছিলেন বিএনপি নেতা মিঠু। এ সময় ডিবির পোশাক পরে ৪টি মোটর সাইকেলযোগে সাত/আটজন লোক সেখানে প্রবেশ করে মিঠুর মাথায় গুলি করে। এরপর তারা এলোপাথাড়ি গুলি করতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় মিঠুর দেহরক্ষী নওশের গাজী অফিসের দরজার শাটার বন্ধ করার চেষ্টা করলে তারা নওশেরকেও গুলি করে। তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাতেই তিনি মারা যান।

Monday, May 29, 2017

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট মিশেল তেমের এর অনুমোদনের পর মাইগ্রেশন আইনে পার্মানেন্ট ডকুমেন্ট পাচ্ছে প্রবাসীরা ।


সম্প্রতি ব্রাজিলে মাইগ্রেশন আইন নিয়ে সংসদে পক্ষে বিপক্ষে বাক বিতর্কের পর চুরান্ত ভাবে

"রাষ্ট্রপতির সম্মতি স্বাক্ষরের অপেক্ষায় ছিল। ২৪/৫ এ ব্রাজিলের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মিশেল তেমের ১৩,৪৪৫/২০১৭ মাইগ্রেশন আইন গেজেটে স্বাক্ষর করেন।

২৫ মে অফিসিয়াল গেজেটে প্রকাশিত হয়। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট মিশেল তেমের বলেন - যে সকল অভিবাসী ৬ জুলাই ২০১৬ সালের মধ্যে ব্রাজিলে প্রবেশ করে রিফুজি আবেদন করেছেন তাদের আবেদনের ১ বছরের মধ্যে তারা পার্মানেন্ট ডকুমেন্ট পাবেন। অবৈধ ভাবে ব্রাজিলে যারা প্রবেশ করেছে তাদের সকলকে সাধারন ক্ষমা করা হল ।

ব্রাজিলের সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে বলা হয় ৩০ দিনের মধ্যে রিফুজি আবেদন করিদের যাচাই বাছাই করা হবে।
তবে রিফুজি আবেদন করিদের সঠিক তথ্য দিতে হবে - কিভাবে কোন পথে কোন তারিখে সে ব্রাজিলে প্রবেশ করেছে। ভুল তথ্য দিলে  পার্মানেন্ট ডকুমেন্ট পেতে জটিলতা দেখা দিতে পারে।

ব্রাজিল এ ইমিগ্রেশন ন্যাশনাল এসোসিয়েশন এর সভাপতি ও ইমিগ্রান্টস (ANEIB) ডঃ গ্রোভার কালদেনহ বলেন - মাইগ্রেশন আইন ১৩,৪৪৫/২০১৭ এর সাথে কিছু মিল আছে পুরানো  অভিবাসী আইনের। তবে ব্রাজিল সব সময় আইনের প্রতি শ্রুদ্ধা শীল ।

রিয়াল ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন ব্রাজিলের রোনালদো

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates