Social Icons

Showing posts with label ভ্রমণ. Show all posts
Showing posts with label ভ্রমণ. Show all posts

Monday, February 4, 2019

এই শীতে ঘুরে আসুন চায়ের শহর শ্রীমঙ্গলে

দেশের বিখ্যাত পর্যটন নগরী হল মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল। শহরের চারদিকে সবুজের সমারোহ, পাহাড় আর উঁচু টিলার শেষ নেই। চোখ ঘুরালেই শুধু সবুজ। শহরের বেশির ভাগটা জুড়েই রয়েছে চা-বাগান। দেশে দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, সুন্দরবন, বান্দরবনে ঘুরেছেন।
কিন্তু ভ্রমণ করেননি দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক লীলাভূমি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল। এখানে আপনি যে দিকে-ই তাকাবেন দু'চোখ জুড়ে দেখবেন চায়ের বাগান। যা দেখলে চোখ জুড়ে খেলে যাবে এক অপরূপ সুন্দর ও সবুজের সমারোহ। তাই হয়তোবা ভাবছেন কিভাবে যাবেন শ্রীমঙ্গলে!
বাংলাদেশে চা-বাগান মানেই শ্রীমঙ্গলে। সাধারণত মে মাস থেকে চাপাতা সংগ্রহের মৌসুম শুরু হয় চলে অক্টোবর পর্যন্ত। এ সময় বাগানও থাকে সবুজ-সতেজ আর কর্মচঞ্চল। আর এ সময়টাকেই আপনি বেছে নিতে পারেন ভ্রমণের জন্য।
‘চা-কন্যা’ ভাস্কর্য দেখে শ্রীমঙ্গলের চা-বাগান ভ্রমণ শুরু করতে পারেন। বাগানে চা পাতা তুলছে এক তরুণী শ্রমিক। এই আদলে তৈরি সাদা ভাস্কর্যটি শ্রীমঙ্গলের প্রবেশ পথেই দৃষ্টি কেড়ে নেবে। মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন দৃষ্টিনন্দন এ ভাস্কর্যটি তৈরি করেছে সাতগাঁও চা-বাগানের সহযোগিতায় ‘চা-কন্যা’র সামনেই বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সাতগাঁও চা-বাগান।
‘চা-কন্যা’ থেকে শ্রীমঙ্গল শহরের দূরত্ব বেশি নয়। ছোট্ট শহরকে পিছু ফেলে ভানুগাছ সড়কে উঠলেই চোখে পড়বে ফিনলের চা-বাগান।
চা গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বিটিআরআই) ভেতর থেকে দক্ষিণামুখী সড়কটি ধরে এগিয়ে গেলে ফিনলের চা-বাগান, এ ছাড়া আছে বিটিআরআইর নিজস্ব বাগান। ভানুগাছ সড়কের টি-রিসোর্ট ফেলে সামনে দুটি বাঁক ঘুরে হাতের ডানের সড়ক ধরে কয়েক কিলোমিটার গেলেই জেরিন টি-এস্টেট।
লাউয়াছড়ার আগে হাতের ডানে জঙ্গলঘেরা পথটি চলে গেছে নূরজাহান টি-এস্টেটের দিকে। এ পথে দেখা মিলবে আরো বেশ কিছু বাগান। শ্রীমঙ্গল থেকে কমলগঞ্জের দূরত্ব প্রায় ১২ কিলোমিটার। পথের মধ্যেই লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। কমলগঞ্জ থেকে আরো পাঁচ কিলোমিটার গেলে পাহাড় ঘেরা চা-বাগানের মধ্যে বিশাল মাধবপুর লেক।
তবে চা-বাগান দেখতে দেখতেও মাধবপুর যাওয়া যায়। এর জন্য ধরতে হবে নূরজাহান টি-এস্টেটের পথ। বাহন হিসেবে অবশ্যই নিতে হবে জিপ। এখান থেকেও চা-বাগান দেখতে দেখতে ভিন্নপথে ফিরতে পারেন। ধলাই সীমান্ত থেকে ফিরতি পথে সামান্য এগিয়ে হাতের বামে বেশ পুরনো চা-বাগানের বাংলোর পাশ ঘেঁষা রাস্তা ধরে চললে, চা-বাগানের বাঁকে বাঁকে ফেরা যাবে শ্রীমঙ্গল শহরে।
শ্রীমঙ্গলে এসে যা দেখতে পারবেন সবুজ চায়ের বাগান, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, বধ্যভূমি-৭১, ডিস্ট্রেন সিমেট্রি, ভাড়াউড়া লেক, মিনি চিড়িয়াখানা, বিটিআরআই চা গবেষণা কেন্দ্র, হাইল হাওর, বাইক্কা বিলসহ আরও ভ্রমণ উপযোগী বিভিন্ন স্থান।

Friday, May 11, 2018

সর্বপ্রথম পোর্টেবল দ্বীপ


যারা বিশাল ধনী ব্যক্তি তারা চাইলেই এখন একটি ব্যক্তিগত দ্বীপের মালিক হতে পারবেন। শুধু পছন্দের লোকেশন জানিয়ে দিলেই তৈরি করা দেয়া হবে আপনার ব্যক্তিগত দ্বীপ। এমনটি স্বপ্ন মনে হলেও এখন আর তা স্বপ্ন নয়। কারণ বাস্তবেই জানা গেছে বিশ্বের প্রথম পোর্টেবল দ্বীপ তৈরির পরিকল্পনার কথা।
এই পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্বীপগুলো হবে পরিবেশ বান্ধব এবং নিজে নিজেই টিকে থাকতে সক্ষম। ফলে যারা অত্যন্ত ধনী, তারা পৃথিবীর যেকোন স্থানে তাদের অবসর যাপনের স্থান তৈরি করে নিতে পারবে।
দ্বীপের প্রতিটি বাড়ি তার গ্রাহকের সুযোগ-সুবিধায় পরিপূর্ণ থাকবে। যেমন সুইমিং পুল, নৌকার পোতাশ্রয়, সবুজ বাগান এসব কিছুই থাকবে সেখানে। এছাড়া প্রতিটি দ্বীপের পরিবেশগত প্রভাব সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
এই পরিকল্পনা বা উদ্যোগের পেছনে রয়েছে আমিল্লারাহ প্রাইভেট আইল্যান্ড। এর তত্ত্বাবধানে রয়েছে ডাচ ডকল্যান্ডস নামের একটি নির্মাণ (ভাসমান স্থাপনা) কোম্পানি। যারা আপনাকে যেকোন আকার ও আকৃতির দ্বীপ অফার করবে।
ডাচ ডকল্যান্ডস এই প্রোজেক্টের জন্য ক্রিস্টিস ইন্টারন্যাশনাল রিয়াল এস্টেটের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে কাজ করছে।
ক্রিস্টিস ইন্টারন্যাশনাল রিয়াল এস্টেটের প্রধান নির্বাহী ড্যান কন বলেন, ‘সত্যি সত্যিই পানির উপর ব্যক্তিগত দ্বীপ তৈরির সুযোগ এই ক্ষেত্রে ডাচ ডকল্যান্ডসের দক্ষতার প্রমাণ বহন করে।’
তিনি বলেন, ‘বিস্তৃত পরিসরের বিভিন্ন লোকেশনে ক্রেতারা তাদের বাসস্থানের আকার, আকৃতি ও ধরণ পরিবর্তন করতে পারবে। শুরুতেই মালদ্বীপে তারা এই সুযোগ পেতে যাচ্ছে।’
কোম্পানিটি ইতোমধ্যে মালদ্বীপ সরকারের সহায়তায় ১০টি স্থাপনা তৈরির কাজ শুরু করেছে। দ্বীপগুলোর ডিজাইন করেছেন বিখ্যাত ডাচ আর্কিটেক্ট কোয়েন অলথিয়াস।
পৃথিবীর যেকোন স্থানে দ্বীপ তৈরির কথা বললেও সংশ্লিষ্ট দেশের জলসীমায় এরূপ স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি বা আইনগত দিক সম্বন্ধে কোন কিছু জানায়নি কোম্পানিটি।

ঘুরে আসুন বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম ‘পানতুমাই’

পানতুমাই সিলেট জেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের একটি গ্রাম। যা ভারত সীমান্তের মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। পানতুমাই গ্রামের স্থানীয় নাম “পাংথুমাই” কিন্তু সঠিক উচ্চারণ “পানতুমাই”।
এটিকে বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম বলার যথেষ্ঠ কারন রয়েছে। নয়নাভিরাম, অপূর্ব, অসাধারন, নান্দনিক, হৃদয়স্পর্শী, এই সবগুলো শব্দও যদি এই নামের সঙ্গে লাগানো হয় তারপরও “পানতুমাই” সৌন্দর্যের বিশ্লেষণ করা শেষ হবে না।
অবশ্য বাংলাদেশেই যে এত চমৎকার, নৈর্সগিক একটি গ্রাম আছে তা অনেকেরই অজানা! দেশ বিদেশের বিভিন্ন অঞ্চল, শহর, নগরীর সৌন্দর্যের খেতাব থাকলেও বাংলাদেশের ছোট্ট অথচ অনিন্দ্য সুন্দর এই গ্রামের কোন খেতাব নেই।
আমাদের প্রতিবেশী ভারতের মেঘালয়ের গহীন অরণ্যের কোল ঘেঁসে বাংলাদেশের বুকে নেমে এসেছে অপরূপ সুন্দর এক ঝর্ণাধারা।  যার কুল কুল ধ্বনিতে মন নাচিয়ে আপনাকে নিয়ে যাবে প্রকৃতির পানে। ঝর্ণাটির স্থানীয় নাম ফাটাছড়ির ঝর্ণা, কেউ কেউ একে ডাকেন বড়হিল ঝর্ণা বলে।
ঝর্ণাটি প্রতিবেশী দেশ ভারতের মধ্যে পড়লেও পিয়াইন নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে খুব কাছ থেকে উপভোগ করা যায় ঝর্ণাটির অপূর্ব রূপ সুধা। পাশেই বিএসএফ ক্যাম্প, আর বরইগাছের সারি দিয়ে দুই দেশের সীমানা ভাগ করা। অবশ্য বিজিবির কোনো চৌকি নেই এখানে, তাই সীমানার কাছাকাছি যাওয়া চিন্তা না করাই মঙ্গলজনক। সীমান্তের কাছাকাছি না গিয়েও ঝর্ণাটির মোহনীয় সৌন্দর্য্য রস উপভোগ করতে পারবেন প্রাণভরে বাধাহীন।
গ্রামের শেষে, পাহাড়ি গুহা বেয়ে উচ্ছল ভঙ্গিমায় ছুটে চলছে হরিণীর মতোই লীলায়িত নাম না জানা ঝর্ণার জলরাশি। ছিটকে পড়ে মেলে ধরেছে নিজের রূপের মাধুরী। তবে সাবধান, ঝর্ণার কাছাকাছি যাওয়া নিষেধ। অনেক আগে ঝর্ণার কাছে যদিও যাওয়াও যেত, ঝর্ণার পানিতে নেমে গোসলও করা যেত, কিন্তু সেই সময় বিএসএফ এর ক্যাম্প ছিল না। তবে ভ্রমন পিপাসুরা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে এর অপরূপ নৈর্সগিক সৌন্দর্য্য অবলোকন করতে পারবেন।
সিলেটের আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সিএনজি নিয়ে যাবেন গোয়াইনঘাট থানা সংলগ্ন বাজারে। ভাড়া পড়বে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা। সেখান থেকে আরেকটি সিএনজিতে পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের পাংথুমাই বা পানতুমাই যেতে ভাড়া লাগে মাত্র ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।
পানতুমাইয়ে কোনো খাবার হোটেল বা থাকার ব্যবস্থা না থাকায় শুকনা খাবার অবশ্যই সাথে রাখতে হবে। রাতে থাকতে চাইলে স্থানীয়দের সহায়তা নিয়ে থাকাই উত্তম। তবে এক্ষেত্রে আপনার ২০০-৩০০ টাকা ব্যয় হতে পারে।

লাদাখ-সিকিমের দরজা খুলছে বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য


 বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর যে লাখ লাখ পর্যটক ভারতের নানা প্রান্তে বেড়াতে আসেন, তাদের জন্য বিরাট সুখবর। অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, লাদাখ কিংবা হিমাচল প্রদেশের লাহুল-স্পিটি বা কিন্নর উপত্যকার মতো যে সব এলাকা এতদিন তাদের জন্য নানা বিধিনিষেধে ঘেরা ছিল, সেই সব জায়গাতেও এখন অতি সহজে ও বিনা পারমিটে তারা যেতে পারবেন বলে ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) এক একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘চীন আর পাকিস্তান ছাড়া বাকি সব দেশের পর্যটকদের জন্যই আমরা এই সুবিধা চালু করতে যাচ্ছি। আর ভারতে এখন যে দেশটি থেকে সবচেয়ে বেশি পর্যটক আসেন সেটি হলো বাংলাদেশ; কাজেই বাংলাদেশি নাগরিকরাই এতে সবচেয়ে লাভবান হবেন ধরে নেওয়া যায়।’
আসলে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এমন বেশ কয়েকটি জায়গা আছে যেখানে বিদেশি পর্যটকরা ইচ্ছেমতো যেতে বা চলাফেরা করতে পারেন না। নানা ধরনের স্পর্শকাতরতার কারণে অরুণাচল প্রদেশ বা সিকিমের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হলে তাদের ‘ইনার লাইন পারমিট’ নিতে হয়।
কিন্তু এই পারমিটের আবেদন করা ও তা পাওয়ার প্রক্রিয়াটি এতই জটিল ও সময়সাপেক্ষ যে অরুণাচলের তাওয়াং-বমডিলা কিংবা সিকিমের ইয়ুমথাং ভ্যালি ও গুরুডংমার লেক প্রায়শই তাদের সফরসূচির বাইরে রয়ে যায়। একই কথা খাটে হিমাচলের ছবির মতো কিন্নর ভ্যালি কিংবা জম্মু ও কাশ্মীরের অন্তর্গত অনিন্দ্যসুন্দর লাদাখের ক্ষেত্রেও।

কিরেন রিজিজু বলেন, ‘এই পারমিট প্রথা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলোর সঙ্গে ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। পারমিট ছাড়াই ভিনদেশি পর্যটকদের স্বাগত জানাতে সবচেয়ে উৎসাহী অরুণাচল, কাজেই নতুন পদ্ধতি সম্ভবত সবচেয়ে আগে চালু হবে ওই রাজ্য থেকেই। তাওয়াংয়ের বৌদ্ধ মনাস্টারি বা সুংগেটসের লেক দেখতে বিদেশিদের আর কোনও পারমিটের প্রয়োজন হবে না।’
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নিজের রাজ্য অরুণাচলের পর একে একে সিকিম, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং রাজস্থানের নানা এলাকাকেও পারমিট-মুক্ত ভ্রমণের আওতায় নিয়ে আসা হবে। নতুন ব্যবস্থায় বিদেশি পর্যটকদের গতিবিধির ওপর কীভাবে নজর রাখা হবে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন ওই সব রাজ্যের সঙ্গে সে বিষয়ে আলোচনা চালাচ্ছে।
পাকিস্তানি ও চীনা পর্যটকদের কেন এই সুবিধার বাইরে রাখা হচ্ছে, তা বোঝা অবশ্য মোটেও শক্ত নয়। কিন্তু বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য এই সুবিধা সম্প্রসারিত করার বিষয়টিকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, এতকাল কিন্তু ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এ দেশে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের কিছুটা ‘সন্দেহের চোখেই’ দেখে এসেছে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, ভারত থেকে বিদেশিরা যখন ফিরে যান তখন ভারতীয় মুদ্রায় সর্বোচ্চ ১০ হাজার রুপি পর্যন্ত তারা সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন। কেবল দুটি দেশের নাগরিকরা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত; আর সেগুলো হলো পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। আর ঠিক এই কারণেই ২০১৬ সালে ভারত যখন পাঁচশ’ ও হাজার রুপির নোট বাতিল ঘোষণা করেছিল, তখন বাংলাদেশিরা তাদের সঙ্গে নিয়ে যাওয়া নোটগুলো বৈধপথে পাল্টে নেওয়ার সুযোগ পাননি; অথচ নেপাল ও ভুটানের লোকজন ঠিকই সেটা করতে পেরেছিলেন।
ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকে ওই নির্দেশিকায় পাকিস্তানি ও বাংলাদেশি নাগরিকদের এক কাতারে ফেলা হলেও পারমিট-মুক্ত ভ্রমণের ক্ষেত্রে অবশ্য বাংলাদেশকে কিছুতেই বঞ্চিত করার কথা ভাবতে পারছে না ভারত।
‘প্রথম কথা হলো, ভারতে এখন সবচেয়ে বেশি বিদেশি পর্যটক আসেন বাংলাদেশ থেকেই; সংখ্যাটা বছরে ১৬ থেকে ১৮ লাখের মতো। দু’বছর হলো তারা আমেরিকাকে টপকে এই জায়গাটা দখল করে নিয়েছে, আর সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়ছেই। কাজেই বাংলাদেশিদের এই সুবিধার বাইরে রাখার মানে হলো গোটা পরিকল্পনার উদ্দেশ্যটাই ব্যর্থ হওয়া’, বলেছেন ভারতের পর্যটন সচিব রশ্মি ভার্মা।      
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজুও মনে করছেন বাংলাদেশ ও ভারতের পিপল টু পিপল কনটাক্ট বা দুদেশের মানুষের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে এই উদ্যোগ খুবই ফলপ্রসূ হবে।
‘ভারতে এমন বহু অপূর্ব নৈসর্গিক জায়গা আছে, যা পারমিটের কড়াকড়ির কারণে এতদিন তাদের নাগালের বাইরেই রয়ে গিয়েছিল। আমি নিশ্চিত নতুন ব্যবস্থা চালু হলে ভারতের এক নতুন দিগন্ত তাদের কাছে উন্মোচিত হবে’, বলেন তিনি।

Tuesday, April 17, 2018

বিমানবন্দরে যেসব কাজ করতে নেই

কোনো দেশের যোগাযোগব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হলো বিমানবন্দর। যাত্রী ওঠানামা থেকে শুরু করে আকাশপথে যোগাযোগের পুরো ব্যবস্থাই নিয়ন্ত্রিত হয় বিমানবন্দর থেকে। এমন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তার কড়াকড়ি থাকবে—এটাই স্বাভাবিক। আর জঙ্গিবাদের উত্থান ও যুক্তরাষ্ট্রের ৯/১১ ঘটনার পর থেকে বিশ্বের প্রায় সব দেশের বিমানবন্দরেই নিরাপত্তা আরো কঠোর হয়েছে। শুধু এ কারণেই নয়, নিরাপদ বিমানযাত্রা ও যাত্রীর নিজের নিরাপত্তার স্বার্থেই বিমানবন্দরে যাত্রীদের কিছু নিয়মকানুন কঠোরভাবে মানতে হয়। বিমানবন্দরের এসব নিয়মকানুন না মানা হলে নির্দিষ্ট ব্যক্তি যেমন অন্যের কাছে বিরক্তি ও ঝামেলার পাত্র হন, তেমনটি নিজের দেশ ও জাতীয়তাকেও লজ্জার মুখে ফেলেন।
বাণিজ্যের প্রসার ও বিদেশে বিশাল শ্রমবাজার সৃষ্টি হওয়ায় বর্তমানে প্রতিদিনই হাজার হাজার বাংলাদেশি দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দর হয়ে বিদেশে যান এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দর হয়ে দেশে ফেরেন। অনেক ক্ষেত্রেই বিমানবন্দরের নিয়ম না জানার কারণে তাঁরা নিজেরা যেমন নাজেহাল হন, তেমনটি নিজের অজান্তেই বাংলাদেশিদের সম্পর্কে বিদেশিদের কাছে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি করেন। বিমানবন্দরে ও বিমানে চলাচলের ক্ষেত্রে নিয়মকানুনসহ মেনে চলার বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো।
‘বোম আছে’, ‘উড়িয়ে দেব’ এমন কৌতুক কখনোই নয়
বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে নিরাপত্তা নিয়ে কৌতুক করতে যাবেন না। ‘বোমা আছে’ বা ‘উড়িয়ে দেব’ এমন কৌতুক কখনোই নয়। এর পরিণামে বিমানযাত্রা বাতিল তো হবেই, এমনকি কারাভোগও করতে হতে পারে। সম্প্রতি সঙ্গে বোমা আছে এমন কৌতুক করে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন নাগরিক দেশটিতে কারাভোগ করছে। একটি বিষয় মনে রাখা বিশেষ প্রয়োজন, বিমানবন্দরে আপনি হয়তো কৌতুক করার মুডে আছেন কিন্তু নির্দিষ্ট নিরাপত্তাকর্মী তাঁর কাজ নিয়ে উদ্বিগ্ন। আর ওই কাজের অন্যতম একটি হলো কোনো অবস্থাতেই বিমানে বিস্ফোরক কোনো বস্তু ওঠাতে না দেওয়া। 
লাগেজে তরল পদার্থ বহনে নিয়ম মানুন 
বিমানে চলাচলের ক্ষেত্রে লাগেজের মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি শ্যাম্পু, সুগন্ধিসহ তরল পানীয় বা অন্য কোনো পদার্থ বহন করা যায় না। কোনো লাগেজ বেল্টে ওঠানোর পরও এর মধ্যে তরল থাকলে তা ধরা পড়ে। তখন বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা ওই লাগেজ খুলে সব মালপত্র বের করে তরল পদার্থের বোতলটি পরীক্ষা করবেন। পরিমাণে বেশি মনে হলে এটি ফেলেও দিতে পারেন তাঁরা। এই প্রক্রিয়ায় সময় নষ্ট হওয়ায় লাইনে থাকা অপর যাত্রীদের মধ্যে আপনার প্রতি বিরক্তি দেখা যেতে পারে। তাই এমন ক্ষেত্রে লাগেজ বা হাতব্যাগে রাখা তরলের পাত্র ওপরের দিকে রাখতে হবে যেন সহজেই তা বের করে নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে দেওয়া যায়। বিমানে তরল ওষুধ বা দুগ্ধপোষ্য শিশুর জন্য কোনো পাত্রে নেওয়া মায়ের দুধের ক্ষেত্রে তরল পদার্থ বহনের নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হয়।
সব বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি পরীক্ষা করা হয় না
অনেকেই বিমানবন্দরে নিরাপত্তাকর্মীদের বাধা পার হওয়ার সময় নিজের সব বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বের করেন এবং সবগুলোই এক্সরে মেশিনে দেন। বিমানবন্দরে সব বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির পরীক্ষা করা হয় না। ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এবং প্লে-স্টেশন, এক্সবক্স বা নিনডোর মতো ক্যাসেট ব্যবহৃত যন্ত্র এক্সরে করার প্রয়োজন হয়। মোবাইল, স্মাটফোন, ট্যাব বা ইরিডারের মতো যন্ত্র এক্সরে করার প্রয়োজন নেই, শুধু নিরাপত্তাকর্মীদের বাধা পার হওয়ার সময় পকেট থেকে বের করে দেখালেই হলো।
নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে ঝামেলায় গিয়ে লাভ নেই
কোনো মালপত্র নেওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে ঝামেলায় গিয়ে লাভ নেই। আগেরবার বিমানযাত্রায় কেউ ‘না’ করেনি এবার কেন নিষিদ্ধ করা হলো—এমন কোনো ঝামেলায় গিয়ে শুধু সময়ই নষ্ট হবে। কারণ আপনার বিমান ধরার তাড়া, আর নির্দিষ্ট কর্মীদের হাতেই ওই সময় সব ক্ষমতা। যতটা সম্ভব আপসে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলুন এবং নিরাপত্তাকর্মীদের নির্দেশমতো কাজ করুন।
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কুকুর থেকে সাবধান
পোষা প্রাণী পছন্দ করেন। কুকুর, বিড়াল বা এমন গৃহপালিত প্রাণী দেখলেই আদর করেন। তবে বিমানবন্দরের কাজে ব্যবহৃত কুকুরের বিষয়ে এমন মনোভাব দেখাবেন না। এই কুকুরগুলো বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তাই আপনার আদর বোঝার চেয়ে আপনাকে সন্দেহ করে বসতে পারে। সে ক্ষেত্রে মাদকের সন্ধানে নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে নাজেহাল হওয়ার আশঙ্কা আছে।
নিরাপত্তাকর্মীদের পার হওয়ার সময় অস্বাভাবিক আচরণ নয়
নিরাপত্তাকর্মীদের সামনে দিয়ে পার হচ্ছেন। কর্মীরা ধাতব শনাক্তকরণ যন্ত্র দিয়ে শরীর খুঁজে দেখছে। এমন সময় জ্যাকেট বা প্যান্টের পকেটে হাত দেওয়া ঠিক নয়। নিরাপত্তাকর্মীরা অস্ত্র বা অন্যকিছু আছে বলে ভেবে বসতে পারেন। এমন ক্ষেত্রে হাত দুটি ওপরের দিকে তুলে রাখা বাঞ্ছনীয়। আর অন্যান্য স্থানের চেয়ে বিমানবন্দরে ব্যক্তির কাপড়চোপড়ে ধাতব কোনো বস্তুর অস্তিত্ব খোঁজায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বিমানবন্দরে বা বিমানে সানগ্লাস পরবেন না
বিমানবন্দরে প্রবেশ ও বিমানে ওঠার পর সানগ্লাস না পরাটাই ভালো। অনেক ক্ষেত্রে কোনো স্থান থেকে পালানো বা চেহারা লুকোনোর ক্ষেত্রে সানগ্লাস ব্যবহৃত হয়। বিমানবন্দরে নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে শীর্ষ সন্ত্রাসী বা রাষ্ট্রীয় নির্দেশে আটকের জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের তালিকা ও ছবি থাকে। বিমানবন্দরে থাকা যাত্রীদের সঙ্গে এসব চেহারা মেলানোর চেষ্টা করেন নিরাপত্তাকর্মীরা। তাই সানগ্লাসে চেহারা ঢেকে রাখলে নিরাপত্তাকর্মীদের সন্দেহ হতে পারে।
লাইন ভাঙবেন না
নিরাপত্তাকর্মীদের বাধায় নির্দিষ্ট লাইন থাকে। ওই লাইন ধরে সেখানে আগাতে হবে। মনে রাখবেন লাইনে দাঁড়ানো সবারই তাড়া আছে। তাই, এই লাইন ভেঙে ভিন্নপথে সামনে আগানোর চেষ্টা করে অনেকেরই বিরক্তির কারণ হতে পারেন।
উচ্চ শব্দে ভিডিও দেখা বা গেম খেলা নয়
ফ্লাইট ছাড়ার আগে কিছু সময় পেয়েছেন। এই সময় কাটানোর জন্য গান, ভিডিওগান বা গেম ছাড়লেন। তবে অবশ্যই এর শব্দ কমিয়ে রাখবেন যেন অন্য কেউ এর দ্বারা বিরক্ত না হয়। আর এসব ক্ষেত্রে ইয়ারফোন ব্যবহার করবেন না, কারণ এতে বিমানবন্দরে ঘোষিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এড়িয়ে যেতে পারে।
মেজাজ হারানো যাবে না
বিমানবন্দরে রাগান্বিত হওয়ার মতো অনেক ঘটনাই ঘটতে পারে তবে মেজাজ হারানো যাবে না। বিমান দেরি হওয়ার কারণ নিয়ে বিমানবন্দরের কর্মীদের সঙ্গে রাগারাগি করে কোনো লাভ নেই।
বিমানবন্দরের নারী কর্মীর সঙ্গে খাতির জমানো নয়
বিমানবন্দরের কোনো নারী কর্মী হাসিমুখে কিছু বললেন এর মানে এই নয় যে আপনি তাঁর সঙ্গে খাতির জমাতে পারেন। হাসিমুখে কিছু বলা তাঁর কাজেরই অংশ এবং তিনি প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের সঙ্গেই হাসিমুখে কথা বলেন। তাই বাড়তি কথা বলতে গিয়ে বিরক্তির কারণ হতে পারেন।
অপেক্ষা করতে গিয়ে ঘুমানো যাবে না
প্রচণ্ড ক্লান্ত। বিমান ছাড়তে এখনো ঘণ্টাখানেক বাকি। একটু ঘুমিয়ে নেওয়া যাক- বিমানবন্দরে ঢোকার পর এমন চিন্তা কখনোই করবেন না। একটু ঘুমাতে গিয়ে ফ্লাইট মিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর নির্দিষ্ট ফ্লাইট মিস হওয়া মানে পুরো বিমানযাত্রা প্রক্রিয়া পুনরায় করতে হবে।
মাতাল হওয়া যাবে না
অধিকাংশ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মদের তেমন কোনো কড়াকড়ি নেই এবং সেখানে এটি সহজলভ্যও। তবে বিমানবন্দর ও বিমানের মধ্যে কোনোভাবেই মাতাল হওয়া যাবে না। এর ফলে নিজের যাত্রা ঝুঁকিপূর্ণ করার পাশাপাশি অন্যের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারেন।
হাতেই রাখুন বোডিং পাস ও পরিচয়পত্র
নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে যাওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায়ই বোডিং পাস ও পরিচয়পত্র হাতে নিতে হবে। এতে নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে যাওয়ার পর আনুষঙ্গিক কাজ দ্রুত হবে এবং লাইনে থাকা সবাই এতে উপকৃত হবেন।
বেল্ট, ঘড়ি, জ্যাকেট ও জুতা খোলার জন্য তৈরি থাকুন
আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে শুধু ১২ বছরের নিচে ও ৭৫-ঊর্ধ্ব বয়সের ব্যক্তি জুতা ও হালকা জ্যাকেট পরেই নিরাপত্তাকর্মীদের বাধা পার হতে পারবেন। অন্য সবার ক্ষেত্রেই জুতা, ঘড়ি, জ্যাকেট ও বেল্ট খুলতে হবে। তাই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায়ই এসব খোলার প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন। নিরাপত্তাকর্মীদের কাছাকাছি এলে এগুলো খুলে ফেলুন। এতে আপনার কাজও দ্রুত শেষ হবে এবং লাইনও দ্রুত এগোবে।  
সঠিক লাইন খুঁজে নিন
অধিকাংশ বিমানবন্দরে অনেকগুলো লাইন থাকে। কিছু লাইন থাকে নিয়মিত বা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ যাত্রীদের জন্য। আবার বড় পরিবারের জন্যও বিশেষ লাইন থাকে। সঠিক লাইন খুঁজে বের করে দাঁড়ান। ভুল লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ সময় নষ্ট করার কোনো মানে হয় না। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিমানবন্দরে নির্দিষ্ট অ্যাপ ব্যবহার করে দ্রুত এগোচ্ছে এমন লাইন খুঁজে নিতে পারেন।
বিমানবন্দরের নিয়মকানুন বারবার পড়ুন
নির্দিষ্ট বিমানবন্দরে নিয়মকানুন বারবার পড়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন। কোন টার্মিনালে যেতে হবে, কোন কোন জিনিস হাতে রাখতে হবে, কী কী কাগজপত্র দেখাতে হবে এই বিষয়গুলো নিয়ে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিন। এতে বিমানবন্দরের কাজ নির্বিঘ্নে শেষ করা যাবে।
ফ্লাইটের জন্য সদা প্রস্তুত
ফ্লাইটের জন্য নির্দিষ্ট গেটে যাওয়ার ঘোষণার ব্যাপারে কান পেতে থাকতে হবে। এমন ঘোষণা শোনার সঙ্গে সঙ্গে নিজের গেট খুঁজে নিতে হবে। আধুনিক এই যুগে সিট নির্দিষ্ট করা থাকলেও বিমানে ওঠার জন্য এই দ্রুততার কারণ সিটের ওপরের কেবিনেটে খালি পাওয়া। কয়েক মিনিটের দেরিতেই দীর্ঘ লাইনের শেষে পড়তে হতে পারে। আর সিটে এসে দেখবেন ওপরের সব ক্যাবিনেট সহযাত্রীদের মালপত্রে বোঝাই।
হাসিঠাট্টার মাত্রা বজায় রাখুন
বিমানবন্দরে হাসিঠাট্টার মাত্রা বজায় রাখুন। এখানে অধিকাংশ মানুষই ব্যস্ত। এমন ব্যস্ততার মধ্যে অনেকেই ঠাট্টাকে ভালোভাবে নেবে না। আর নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে ঠাট্টা করতে যাওয়ায় হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
বিমান দেরি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন
বিমানবন্দরে পৌঁছার পর নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত রাখুন, যে কোনো কারণে বিমানের দেরি হতে পারে। বিমানের অপেক্ষায় থেকে খেতে বসেছেন ওই সময় ঘোষণা হলো বিমান ছাড়ার সময় হয়েছে। খুব তাড়াহুড়ো করতে যাবে না। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় গেটের কাছে এসে দীর্ঘ লাইন বা ফ্লাইট ছাড়তে আরো কিছুক্ষণ দেরি হবে।

মেয়াদ শেষের আগেই অচল হতে পারে পাসপোর্ট !

জলিল সাহেব দু-তিনদিনের জন্য নির্দিষ্ট একটি দেশে যেতে চান। সব কাগজপত্র তৈরি। পাসপোর্ট করেছেন কয়েক বছর আগেই। এখনো কয়েক মাস মেয়াদ আছে। সব কাগজপত্র নিয়ে তিনি নির্দিষ্ট দেশটির দূতাবাসে হাজির হলেন। সবকিছু দেখার পর দূতাবাস তাঁর ভিসার আবেদন গ্রহণ করেনি। কারণ হিসেবে বলা হলো, তাঁর পাসপোর্টে মেয়াদ ন্যূনতম ছয় মাস থাকতে হবে। কিন্তু তাঁর ক্ষেত্রে এর কয়েকদিন কম আছে।
বিষয়টি জলিল সাহেব ঘুণাক্ষরেও চিন্তা করেননি। অবশেষে কয়েকদিনের মধ্যে পাসপোর্ট নবায়ন করে ভিসার আবেদন করলেন তিনি।
শুধু না জানার কারণে অনেককেই পাসপোর্টের মেয়াদস্বল্পতায় কোনো কোনো দেশে ভিসার আবেদন করতে পারেন না। প্রতিটি দেশই ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে পাসপোর্টের মেয়াদ দেখে। দেশ ছাড়ার তারিখ থেকে ভিসার মেয়াদ ছয় মাসের কম হলে অনেক দেশ ভিসা দেয় না।
বাংলাদেশেও বিদেশিদের কিছুদিন থাকার ভিসা আবেদন করতে পাসপোর্টের ন্যূনতম মেয়াদ ছয় মাস হতে হয়। ইউরোপের শেনজেন অঞ্চলের দেশসহ অনেক দেশের ক্ষেত্রেই এই সময়সীমা তিন মাস। আবার অনেক দেশের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা না থাকলেও মেয়াদ দেখা হয়। তাই কোনো দেশের ভিসার আবেদনের সময় এই শর্ত পূরণ হয়েছে কি না তা যাচাই করে নিতে হবে।
ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রে পাসপোর্টের সময়সীমার বিষয়টি অনেকের কাছেই অজানা। দীর্ঘদিন ধরেই এ নিয়ম আছে। তবে আগে এর প্রয়োগে তেমন কড়াকড়ি ছিল না। সম্প্রতি পাসপোর্টের ন্যূনতম সময়সীমা বেশ কড়াকড়িভাবে দেখা হয়।
কোনো দেশের ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে পাসপোর্টের সময়সীমার বিষয়টি সব দেশের জন্যই সাধারণত একই হয়। এখান নির্দিষ্ট কোনো দেশের পাসপোর্টধারীদের ভিসার আবেদনে বাড়তি কোনো সুযোগ নেই। আবার অনেক ক্ষেত্রে ভিসা ছাড়াই নির্দিষ্ট সময় ভ্রমণের সুযোগ থাকা কোনো দেশে পৌঁছানোর পর শুধু পাসপোর্টের মেয়াদের কারণে জটিলতায় পড়তে হয়। নির্দিষ্ট দেশে পৌঁছে বিমানবন্দর থেকেও ফিরে আসার নজির আছে। তাই ভিসা ছাড়া ভ্রমণের সুযোগ থাকা দেশের ক্ষেত্রেও পাসপোর্টের মেয়াদের বিষয়টি জেনে রাখা জরুরি।
যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্যমতে বিভিন্ন দেশে ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে পাসপোর্টের ন্যূনতম সময়ের বিষয়টি তুলে ধরা হলো। এসব তালিকায়, বাংলাদেশিদের কাছে গুরুত্ব অনুযায়ী নির্দিষ্ট দেশগুলোকে ওপরে অবস্থান দেওয়া হয়েছে।
ভিসার আবেদনে পাসপোর্টে মেয়াদ ন্যূনতম ছয় মাস হতে হবে (ভিসার আবেদন অথবা ওই দেশের যাওয়ার জন্য নির্ধারিত সময় থেকে)
ভারত
নেপাল
ভুটান
শ্রীলঙ্কা
মিয়ানমার
চীন
থাইল্যান্ড
ভিয়েতনাম
মালয়েশিয়া
যুক্তরাষ্ট্র
ফ্রান্স
আয়ারল্যান্ড
মেক্সিকো
রাশিয়া
সৌদি আরব
ইরান
ইরাক
সিরিয়া
জর্ডান
সংযুক্ত আরব আমিরাত
ওমান
কাতার
ইন্দোনেশিয়া
লাওস
কম্বোডিয়া
পূর্ব তিমুর
মঙ্গোলিয়া
মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র
শাদ
কঙ্গো
আইভরি কোস্ট
ইথিওপিয়া
ইসরায়েল
জেরুজালেম
দক্ষিণ সুদান
সুদান
উগান্ডা
জিম্বাবুয়ে (শিথিলযোগ্য)
ভিসা পেতে পাসপোর্টে মেয়াদ ন্যূনতম তিন মাস হতে হবে
জার্মানি
স্পেন
ইতালি
সুইডেন
অস্ট্রিয়া
সাইপ্রাস
চেক রিপাবলিক  
ফিনল্যান্ড
পোল্যান্ড
পর্তুগাল
সুইজারল্যান্ড
ডেনমার্ক
আইসল্যান্ডস
হাঙ্গেরি
নেদারল্যান্ডস
লিথুয়ানিয়া
লুক্সেমবার্গ
মেসিডোনিয়া
নরওয়ে
ফিজি
লেবানন
ভিসার আবেদনে কোনো দেশে অবস্থানের সময় উল্লেখ করতে হয়। কোনো কোনো দেশে ওই সময়কেই পাসপোর্টের ন্যূনতম মেয়াদ হিসেবে ধরা হয় 
যুক্তরাজ্য
অস্ট্রেলিয়া
জাপান
স্কটল্যান্ড
গুয়াতেমালা
চিলি
ভিসা পেতে পাসপোর্টের মেয়াদ থাকতে হবে, তবে ন্যূনতম মেয়াদ উল্লেখ নেই
কানাডা
নিউজিল্যান্ড
রোমানিয়া
ইউক্রেন
মিসর
মরক্কো
তিউনিসিয়া
আফগানিস্তান
ফিলিপাইন
দক্ষিণ কোরিয়া
উত্তর কোরিয়া
অ্যান্টার্কটিকা
আর্জেন্টিনা
কিউবা
ঘানা
হাইতি
মালি
সিয়েরা লিওন
জ্যামাইকা
লাইবেরিয়া
পেরু
* দক্ষিণ আফ্রিকা ও হংকং  (ভিসা পেতে পাসপোর্টের মেয়াদ ন্যূনতম এক মাস থাকতে হয়)
*তুরস্ক (ভিসা পেতে পাসপোর্টের মেয়াদ ন্যূনতম আট মাস থাকতে হয়)  
উল্লিখিত তালিকার বাইরে কোনো দেশের ভিসার জন্য পাসপোর্টের ন্যূনতম মেয়াদ জানতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এই ওয়েবপেজটি সহায়ক হতে পারে।

Monday, April 16, 2018

ট্রানজিট যাত্রীদের জন্য ভ্রমণ ভিসা চালু করছে আমিরাত

মধ্যপ্রাচ্যের মরুময় দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। পারস্য উপসাগর তীরবর্তী দেশটি এবার ট্রানজিট যাত্রীদের জন্য ভ্রমণ ভিসা চালু করতে যাচ্ছে। দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশেই এ ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। সোমবার দেশটির মন্ত্রিসভা এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 
জানা গেছে,  বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম প্রধান ট্যুরিস্ট গন্তব্য আমিরাত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণকারী যাত্রীদের মধ্যে যারা দুবাইয়ে ট্রানজিট নেন, তারা যাতে আমিরাতও ভ্রমণ করতে পারেন সেজন্য এ উদ্যোগ নিচ্ছে দেশটির সরকার।  
খবরে বলা হয়, দেশটির পর্যটন স্পটের মধ্যে দুবাইয়ের ১৬০ তলা ভবন বুর্জ খলিফা ও বিলাস বহুল হোটেল-মোটেল আকৃষ্ট করছে পর্যটকদের। এর মধ্যে রাজধানী আবুধাবি ছাড়াও আজমান, ফুজিরাহ, শারজাহ, দুবাই, রাস আল-খাইমাহ এবং উম আল কাইওয়াইন। 
খালিজ টাইমস বলছে, ২০১৭ সালে ৭০ শতাংশেরও বেশি যাত্রী ট্রানজিট হিসেবে আমিরাতের বিভিন্ন বিমানবন্দর ব্যবহার করেছেন; যারা বিশ্বের নানা দেশ ভ্রমণ করেন। এর আগে গত মাসে ট্রানজিট যাত্রীদের জন্য দুবাই বিমানবন্দরের বাইরেও শহরে ঘোরার অনুমতি দেয় দেশটির কর্তৃপক্ষ।

Thursday, March 22, 2018

স্বর্গসুখ পেতে চাইলে ঘুরে আসুন শিমলা-মানালী-লাদাখ

স্বচ্ছ-শুভ্র বরফ নিয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে খুঁনসুটিতে মেতে উঠতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন ভারতের কলকা, শিমলা, মানালী ও লাদাখ। সেখানে বাবুই পাখির মত বরফের ঘর বানাতে পারবেন। স্বপ্ন বুনতে পারবেন। প্রিয়জনকে নিয়ে স্বর্গসুখে গা এলিয়ে দিতে পারবেন। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নবদম্পত্তিরা মধুচন্দ্রিমা আসেন এখানে। হিম-শীতল আবহাওয়ায় এক ধরনের রোমাঞ্চ অনূভব করেন।

শিমলা-মানালীর চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য যে কোনো পর্যটকের মাথা ঘুরিয়ে দিতে পারে। একবার গেলে জীবনে কখনোই ভুলবেন না। কলকা থেকে সিমলা যাওয়ার সময় আপনি দেখতে পাবেন ১০২ টি সুরঙ্গ এবং রেল লাইনে রয়েছে ৮৬৪ টি সেতু। আর সিমলায় গিয়ে দেখতে পারেন -জাখু পাহাড় ও জাখু মন্দির, ভ্যাইসরিগেল লজ , সামার হিল , ম্যানরভিল্যে ম্যানশন হল, দ্য রিজ বা শৈলশ্রেণী, মল রোড,  ক্রাইস্ট চার্চ, সেন্ট মাইকেল ক্যাথিড্রাল, গেইটি থিয়েটার, কোটগড়, সিমলা জল-অববাহিকা অভয়ারণ্য,  কুফরি, ফাগু। আর নির্মল প্রকৃতির বুক চিড়ে গড়ে উঠা মানালিতে গিয়ে ঘুরে দেখতে পারেন হাদিম্বা দেবী মন্দির, মল এরিয়া, তিব্বতীয় মনস্ট্রিসহ আরো অসাধারণ সব জায়গা।
আকাশে উড়ার বাসনা থাকলে সেটিও পূরণ হবে। প্যারাগ্লাইডিংয়ের মাধ্যমে আপনার সেই সাধ ধরা দেবে। আরও দেখে আসতে পারেন আপেল বাগান, বরয়ের শুভ্রতা, আর মেঘতো আছেই। রয়েছে সোলাং ভ্যালি, রোথাংপাস, হাদিমবা টেম্পল, মনিকারন । বরফের মাঝে স্কেটিং করতে যেতে পারেন সোলং ভ্যালি । স্কেটিং করতে না পারলেও বরফে গড়াগড়ি দিতে চাইলে ঘুরে আসুন মানালি।
জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের একটি অংশ লাদাখ । লেহ্ ও কারগিল দুটি  জেলা নিয়ে লাদাখ গঠিত। লেহ্ প্রায় ৩৫০৫ মিটার উচ্চতায় এবং কারগিলের উচ্চতা হল প্রায় ২৭৫০  মিটার। লাদাখে তিব্বতী সংস্কৃতির প্রভাবের কারণে অনেকেই এটিকে ‘ছোট তিব্বত’ বলে ডাকেন । লাদাখে রয়েছে বিরল প্রজাতির উদ্ভিদ। রয়েছে মধ্য এশিয়ার অনুরুপ প্রাণিকুল। এই এলাকায় শীত যাপন করতে আসে উষ্ণ অঞ্চলের পাখি। ইচ্ছে করলে যাওয়ার সময় অথবা আসার সময় কলকাতাও ঢু মেরে আসতে পারেন। এতে করে একই ভ্রমণে কয়েকটা জায়গা দেখা হয়ে গেলো।
কলকাতা থেকে থেকে কলকা

কলকাতার নিউমার্কেট এলাকায় রাত্রিযাপনের জন্য অনেক হোটেল রয়েছে। আপনি ইচ্ছে করলে একদিন যাত্রাবিরতি দিয়ে কলকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে পারেন। কলকাতার হাওড়া থেকে কলকা যেতে হবে হাওড়া কলকা মেইল ট্রেনে, ট্রেনটি হাওড়া থেকে সন্ধা সন্ধা ৭.৪০টায় ছেড়ে ৩য়দিন ভোড় ৫টা নাগার কলকা পৌছবে।
কলকা থেকে সিমলা

কলকা-সিমলা ন্যারোগেজ (২ ফুট ৬ইঞ্চি) রেলওয়েটি আশপাশের গ্রাম, পাহাড়-পর্বতের জন্য বিখ্যাত । এবং এই রেলওয়েটি কলকা রেলওয়েটি সিমলা ভ্রমনের সবচেয়ে পর্বতময় রেলওয়ে। এই রেলওয়ে সোলান গ্রামের মধ্যে দিয়ে যায় যা ছোট সিমলা নামে পরিচিত। ট্রোন রাস্তার দুধারের  প্রকৃতি ভ্রমন পিপাসুদের মুগ্ধ করে। এই রাস্তাটির বিশেষ আকর্ষন কলকার সিভালিক মালভূমির বিভিন্ন স্থান ।
বর্তমানে কলকা সিমলা রেলওয়েতে মোট ১০২টি সুরঙ্গ পথ কার্যকর রয়েছে, বারোগেও সবচেয়ে দীর্ঘ সুরঙ্গ হলেও সিমলায় আবস্থিত শেষ সুরঙ্গ পরিণত হয়েছে বিখ্যাত স্থাপনায়। এছাড়া এই রেললাইনে রয়েছে ৮৬৪টি সেতু, আর্ক গ্যালারী নামে পরিচিত ৪৯৩সেতুটি তিনস্তরের গ্যালারী পাথরের তৈরি। কলকা থেকে সিমলায় যাতায়াতের জন্য রয়েছে কয়েকটা ট্রেন।
কলকা থেকে টয় ট্রেনের টিকেট করে আপনার সুবিধামতো সময়ে যেতে পারেন সিমলা। উনবিংশ শতকের মাঝামাঝি থেকে আজ পর্যন্ত কলকা থেকে সিমলা যাওয়ার জন্য টয় ট্রেন ব্যাবহার হচ্ছে। এটি খুবই ধির গতির এবং জনপ্রিয় যাতায়াত ব্যাবস্থা।
সিমলায় যা দেখবেন
জাখু পাহাড় ও জাখু মন্দির: এই স্থান টি ভ্রমণকারীদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। আশ্চর্য সব দৃশ্য দেখতে যেতে পারেন সিমলার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ পারেন জাখু পাহাড়ে, পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে জাখু মন্দির ।
ভ্যাইসরিগেল লজ: সূর্যাস্তা এবং সূর্যোদয়ের আশ্চর্য দৃশ্য দেখতে হলে যেতে হবে ভ্যাইসারিগেল লজ। লজটি অবসারভেটরি পাহাড়ের ওপর অবস্থিত। ভবনটি নির্মিত হয়েছিল ১৮৯৮সালে। ভবনটি ব্যবহৃত হতো ভারতের ভাইসরয়, লর্ড ডাফরিনের সরকারি বাসভবন হিসেবে।
সামার হিল: পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় স্থান সামার হিল। ওক, সেডার, রডোডেনড্রন এবং আরোও অনেক গাছপালাসহ প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে যেতে পারেন সামার হিলে। এছাড়া এখানে রয়েছে বিখ্যাত ভবন ম্যানরভিল্যে ম্যানশন হল অবস্থিত। যেখানে  মহাত্মা গান্ধী সিমলা ভ্রমণের সময় ছিলেন।
দ্য রিজ: এটি একটি উন্মুক্ত স্থান। দ্য রিজ্ বা শৈলশ্রেণীতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্ক আছে এবং বেশ কিছু কার্যক্রম আয়োজনের পাশাপাশি এখান থেকে পার্শ্ববর্তী পর্বতগুলির এক সুন্দর দৃশ্য পরির্শনেরও প্রস্তাব দেয়। শহরের এই অংশটি সিমলার জনজীবনের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটির  নীচের জলাশয় শহরের একটি প্রধান অংশে জল সরবরাহের দায়ভারে রয়েছে।
ক্রাইস্ট চার্চ:
উত্তর ভারতের ২য় প্রাচীন গির্জা ক্রাইস্ট চার্চ। এটি নির্মিত হয়েছিল ১৮৪৪সালে। এটি নকশায়িত কাচের জানালার জন্য জনপ্রিয়। 
সেন্ট মাইকেল ক্যাথিড্রাল: সিমলার প্রথম ক্যাথলিক গির্জা সেন্ট মাইকেল ক্যাথিড্রাল। যা নির্মিত হয়েছিল ১৮৫০ সালে। এখানের ৫টি মার্বেলে বেদী ১৮৫৫ সালে ইতালি থেকে আনা হয়েছিল। এখানে নকশায়িত কাচেঁর জানালও রয়েছে।
গেইটি থিয়েটার: ১৮৮৭ সালে সিমলায় ব্রিটিশ বাসিন্দাদের বিনোদনের জন্য গেইট থিয়েটার বা নাট্যমঞ্চটি নির্মিত করা হয়েছিল। সূক্ষ শিল্পপ্রেমীরা অবশ্যই দর্শনীয় স্থানটি দেখে আসবেন। এখানে একটি প্রদর্শনী সভা, একটি আ্যম্ফিথিয়েটার ও অন্যান্য বহু সুযোগ- সুবিধা সহ একটি শৈল্পিক গ্যালারি রয়েছে।
কোটগড়: আপেল বাগানের জন্য প্রসিদ্ধ কোটগড়। হিমাচল প্রদেশের প্রথম ফলের বাগান স্থাপিত হওয়ার পরবর্তী সময়ে প্রধান আপেল রপ্তানীকরক স্থান হয়ে উঠে এটি।
সিমলা জল-অববাহিকা অভয়ারণ্য:  ১০.২৫ কিঃ মিঃ বিস্মৃত এলাকাটি বাদামী ভাল্লুক, কৃষ্ণকায় হরিণ, ভারতীয় লাল শেয়াল ও ডোরা-কাটা হায়নার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
কুফরি : সিমলা জেলার ক্ষুদ্র হিলস্টেশন কুফরি। কুফরি শব্দটি এসেছে কুফ্র থেকে যার অর্থ লেক। এখানে রয়েছে ‘হিমালায়ান ওয়াইল্ড লাইফ  জু’। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারী মাসে উইন্টার স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয় যা দেখতে দেশ বিদেশ হতে হাজারো পর্যটক আসেন।
ফাগু : প্রায় ২৫০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র ফাগু। শীতে স্কীয়িং, উইন্টারে স্পোর্টস, গ্রীষ্মে পিকনিক স্পট হিসেবে এটি খুবই জনপ্রিয়।
সিমলায় মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত স্প্রিং, তখন তাপমাত্রা থাকবে ১০ডিঃসেঃ থেকে ২০ডিঃসেঃ। মে থেকে জুন মাস পর্যন্ত সামার, তখন তাপমাত্রা থাকবে ১৬ডিগ্রি সেঃ থেকে ২৮ডিঃসেঃ। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মনসুন, তখন তাপমাত্রা থাকবে ১৩ডিঃসেঃ থেকে ২০ডিঃসেঃ।  অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস অটাম, তখন তাপমাত্রা থাকবে ১০ডিঃসেঃ থেকে ২৩ডিঃসেঃ। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়াবী মাস উইন্টার, তখন তাপমাত্রা থাবে -৭ডিঃসেঃ থেকে ১০ডিঃসেঃ।
কোথায় থাকবেন
সিমলায় থাকার জন্য বিভিন্ন মানের বিভিন্ন দামের হোটেল রয়েছে, সিমলায় থাকতে চাইলে চলে যান মল রোডে।  ভাড়া ৫০০রুপী থেকে ১০০০টার মধ্যে হোটেল পেয়ে যাবেন। অনলাইনে হোটেল বুক করতে চাইলে booking.com, agoda, makemytrip সহ আরো অনেক ওয়েসবাইট রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি সহজেই হোটেল ‍বুক করতে পারনেব।  
সিমলা থেকে মানালি

সিমলা থেকে মানালির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় হিমাচল রোড ট্রান্সপোর্টের কয়েকটা গাড়ি, গাড়ি ভাড়া ৩৮০রুপি,  সকাল ১০.৩০মিনিটে সন্ধা ৭টা ,রাত ৮.৪৫মিনিটের বাস ছাড়াও রয়েছে আরো ২টি বাস রাত ১০টায় ছেড়ে যায় যার ভাড়া ৪০০রুপি। আপনি ইচ্ছে কররে একটু বেশি টাকা খরচ করে হিমাচল প্রদেশ ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের বাসেও যেতে পারেন, এই সর্ভিসের বাস সকাল ৭.৩০মিনিটে ছেড়ে যায়, ভাড়া লাগবে ৫৫০রুপি, হোটেল খরচ বাচানোর জন্য। আপনি যদি ভ্রমনের সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে চান তাহলে রাতের বেলায় গাড়িতে উঠে লম্বা একটা ঘুম দিয়ে সকালে রওনা দিতে পারেন মানালির উদ্দেশ্যে। আপনি যদি সিমলায় রাত কাটাতে না চান তাহলে রাতের যেকোনো গাড়িতে রওনা হয়ে যান মানালির উদ্দেশ্যে। অন্যথায় সিমলায় বাজেটের মধ্যে একটা হোটেলে উঠে চমৎকার একটা ঘুম দিয়ে বিশ্রাম নিন, সকালে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে রওয়ানা দিন মানালির উদ্দেশ্যে। রাতের গাড়িতে মানালী রওনা দিলে সকালে লেহ যাওয়ার বাস না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাই শরীরকে বিশ্রাম দিতে এবং পরিবেশের সঙ্গে শরীরটাকে মানিয়ে নিতে রাতে মানালিতেই থাকুন।
মানালিতে ঘুরে দেখুন হাদিম্বা দেবী মন্দির, মল এরিয়া, তিব্বতীয় মনস্ট্রিসহ আরো অনেক সুন্দর জায়গা। পরেরদিন, মানালি থেকে লেহ’র উদ্দেশ্যে বাসের টিকিট কিনুন।
গরম পানির ঝরনা দেখতে  চাইলে চলে যান মানিকারন। সময়টাকে স্মরণীয় করে রাখতে চাইলে বরফ শীতল আবহাওয়ার গোসল করতে পারেন গরম পানির ঝরনায়। এখানে একটি মন্দির রয়েছে । এটি ভারতের তীর্থ যাত্রীদের কাছে খুবই পবিত্র।
দেখে আসতে পারেন আপেল বাগান, বরফের শুভ্রতা, আর মেঘতো আছেই। আরো রয়েছে সোলাং ভ্যালি, রোথাংপাস, হাদিমবা টেম্পল, মনিকারণ তার । বরফের মাঝে স্কেটিং করতে যেতে পারেন সোলং ভ্যালি ।
স্কেটিং করতে না পারলেও বরয়ে গড়াগড়ি দিতে হলেও চলে যান সেখানে।
কোন সময়ে যাবেন
এখানের একেক সময় একেক পরিবেশ বিরাজ করে। তাই প্রথমে ভাবুন কী দেখবেন। সেই হিসেব কষে ভ্রমণে যান । প্রথমে ভেবে দেখুন মানালী গিয়ে আপনি কি দেখতে চান, বরফ দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে । এই সময়টাতে পর্যটকের সংখ্যা বেশি থাকায় সব কিছুরই দাম বেশি হবে। বরফ দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে ডিসেম্বর থেকে  জানুয়ারীর মধ্যে। অল্প খরচে ঘুরে আসতে চাইলে জানুয়ারী – ফেব্রয়ারীতে যান। ঘরে বসে দেখতে পাবেন ভারী তুষারপাত।  মোটামুটি কম খরচেই ঘুরে আসতে চাইলে সেপ্টেম্বর এর মাঝ থেকে নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত যেতে পারেন। তখন দেখতে পাবেন সবুজ পাইন বন, ক্রিস্টমাস ট্রীর বাহার, বরফ ছাড়া  পাহাড়। পাহাড়ে মেঘের ঠুকাঠুকি  দেখতে হলে চলে যান জুন মাসের শেষ দিকে, এই সময়টাতে বৃষ্টির কারণে রাস্তা বিপজ্জনক হয়ে উঠে । 
মানালীতে কোথায় থাকবেন
মানালি শহরটি সিমলার মতো আটঁসাঁট না হওয়ায় মূল রাস্তার পাশেই গড়ে উঠেছে অনেক হোটেল। মানালীতে কম খরচেও থাকতে পারেন, বেশি খরচেও থাকতে পারেন। মূলশহর থেকে সোলং ভ্যালি পর্যন্ত হোটেল রয়েছে থাকতে পারনে দৈনিক খরচ ১হাজার ৫০০ থেকে ৪হাজার রুপির মধ্যে।

শেই প্যালেস

লে থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত শেই প্যালেস। শেই প্যালেসটি হলো রাজ পরিবারের সামার প্যালেস। প্রথম লাদাখি রাজা এই প্যালেসটি তৈরি করেছিলেন। প্যালেসের ভেতর রয়েছে শেই গুম্ফা। আর গুম্ফাতে আছে শাক্যমুনি বুদ্ধের ১২ ফুট দীর্ঘ মূর্তি।

নীল সরোবর

প্যাংগং সো আর সো-মোরারি লাদাখের দুটি বিখ্যাত সরোবর। তিব্বতি ভাষায় সো বলতে বোঝানো হয় সরোবর। ৫/৬জন বাসার মত ছোট গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে আসতে পারেন সরোবর থেকে। আর বাসে যেতে চাইলে নির্দিষ্ট সময়ে বাস স্টেশনে যেতে হবে।

মসজিদে নববীর সৌন্দর্য

মিয়া মিজানুর রহমান কাজল। একজন ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। বর্তমানে তিনি রয়েছেন সৌদি আরবে। সেখানে তিনি ওমরা পালন করছেন। সব ব্যস্ততার পাশাপাশি নিজের চোখে দেখা সৌদি আরবের বিশেষ বিশেষ দর্শনীয় ও পবিত্র স্থানগুলো শেয়ার করছেন সবার সঙ্গে। সৌদি আরবে বসে একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে দেওয়া তার আজকের প্রতিবেদন ‘রিয়াজুল জান্নাহ’।
রিয়াজুল জান্নাহ। এটি পৃথিবীতে জান্নাতের একমাত্র অংশ। যেটিকে বলা হয়- জান্নাতের বাগান। নবী করিম (সাঃ) হিযরতের পর যখন মদিনাতে আসলেন তখন এই এলাকাটির সকলেই তার উটের রশি ধরে টানাটানি করতে থাকলেন, যেন তাদের বাসায় নবীজি অবস্থান করেন।
নবীজি সবাইকে বললেন, ‘আমার উটের রশি ছেড়ে দাও এবং উটটি যে বাড়ীর সামনে বসবে আমি তারই মেহমান হবো।’
উটটি একটি বাসায় বসার পরে নবীজি তার মেহমান হলেন এবং পাশের দুই এতিম বালকের কাছ থেকে একটি জায়গা কিনে তিনি মসজিদ ও বসবাস করতে থাকলেন। ‘মসজিদে নববী’ পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ মসজিদ হলেও এর ভিতরের এই অংশটুকুই (ভিডিওতে) সেই নবীজির ক্রয় করা অংশ এবং তিনি এখানেই নামাজ পড়াতেন।
এর বাম পাশেই নবীজি শায়িত আছেন। বৃহৎ এই মসজিদের ভিতর জুড়ে লাল কার্পেট, আর শুধুমাত্র এই অংশে সবুজ কার্পেট। এই অংশে নামাজ পড়া মানে আপনি জান্নাতে বসে নামাজ পড়লেন। এই অংশের সোজা উপরেই হাসর হবে। পৃথিবীর ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা দুই রাকাত নামাজ পড়তে এখানে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেন। দুই রাকাত নামাজের পড়া হলেই পুলিশ সড়িয়ে দেন। অনেকে সেখান পর্যন্ত যেতেও পারেনা।
আমি এই মসজিদে আলহামদুলিল্লাহ সারারাত কাটিয়েছি এবং এই অংশে প্রতিদিন গিয়ে অধিক রাকাত নামাজ পড়তে পেরেছি। এখানে আমি একঘণ্টা দাঁড়িয়ে ইবাদত করেছি যা অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার।
পুলিশ আমাকে সরিয়ে দেয়নি, কারণ তখন মাগরিবের ওয়াক্ত ছিল আর এজন্য সেই সময়ে যারা অবস্থান করছিল তারা সবাই থাকতে পেরেছে। আমার স্ত্রীও যেতে পেরেছেন একদিন। তবে মেয়েদের সময় ভিন্ন। আমি এখানে দাঁড়িয়ে নিজের সহ আপনাদের সকলের জন্য কেঁদে কেঁদে দোয়া চেয়েছি।
মসজিদে নববীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
[মসজিদে নববী। মুহাম্মদ (সাঃ) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মসজিদ। যা বর্তমান সৌদি আরবের মদিনায় অবস্থিত। গুরুত্বের দিক থেকে মসজিদুল হারামের পর মসজিদে নববীর স্থান। মুহাম্মদ (সাঃ) হিজরত করে মদিনায় আসার পর এই মসজিদ নির্মিত হয়। এটি পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ মসজিদ। মসজিদ দিনরাতের সবসময় খোলা থাকে।
মুহাম্মদ (সাঃ) এর বাসগৃহের পাশে এই মসজিদ নির্মিত হয়েছিল। তিনি নিজে ব্যক্তিগতভাবে মসজিদের নির্মাণকাজে অংশ নিয়েছিলেন। সেসময় মসজিদ সম্মিলনস্থল, আদালত ও মাদ্রাসা হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে। পরবর্তীকালের মুসলিম শাসকরা মসজিদ সম্প্রসারণ ও সৌন্দর্যবর্ধন করেছেন।
১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে আরব উপদ্বীপের মধ্যে এখানেই সর্বপ্রথম বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালানো হয়। মসজিদ খাদেমুল হারামাইন শরিফাইনের নিয়ন্ত্রণে থাকে। মসজিদ ঐতিহ্যগতভাবে মদিনার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। মসজিদে নববী অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান বিধায় হজ্জের সময়ে আগত হাজিরা হজ্জের আগে বা পরে মদিনায় অবস্থান করেন।
উমাইয়া খলিফা প্রথম আল ওয়ালিদের শাসনামলে সম্প্রসারণের সময় মুহাম্মদ (সাঃ) এবং প্রথম দুই খুলাফায়ে রাশেদিন আবু বকর ও উমরের কবর মসজিদের অংশ হয়। মসজিদের দক্ষিণপূর্ব দিকে অবস্থিত সবুজ গম্বুজ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এটি আয়িশার বাড়ি ছিল। এখানে মুহাম্মদ (সাঃ) এবং তার পরবর্তী শাসক দুইজন খলিফাকে দাফন করা হয়। ১২৭৯ খ্রিষ্টাব্দে কবরের উপর একটি কাঠের গম্বুজ নির্মিত হয়। এটি পরবর্তীতে ১৫শ শতাব্দীতে কয়েকবার এবং ১৮১৭ খ্রিষ্টাব্দে একবার পুনর্নির্মিত ও সৌন্দর্য‌বর্ধি‌ত করা হয়।
বর্তমান গম্বুজটি ১৮১৭ খ্রিষ্টাব্দে উসমানীয় সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদ কর্তৃক নির্মিত হয়। ১৮৩৭ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম সবুজ রং করা হয় ফলে এর নাম সবুজ গম্বুজ হয়েছে।]
চলবে ...

Monday, March 12, 2018

মালয়েশীয় ভিসা আবেদনের নিয়ম


কেবলমাত্র বিমানবন্দরের মাধ্যমে বৈধভাবে মালয়েশিয়া প্রবেশ করা যায়।

মালয়েশিয়া সরকার প্রধানত দুধরনের ভিসা দেয়:

রেফারেন্স ছাড়া ভিসা (Visa Without Reference, VWTR): বিভিন্ন দেশে মালয়েশীয় মিশন থেকে এ ধরনের ভিসা ইস্যু করা হয়।
রেফারেন্স সহকারে দেয়া ভিসা (Visa with reference, VWR): মালয়েশীয় ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের অনুমোদনের মাধ্যমে ভিসা ইস্যু করা হয়।

কিছু বিশেষ তথ্য
  • মালয়েশিয়া প্রবেশের আগেই মালয়েশিয়া কনস্যুলেট বা দূতাবাস থেকে ভিসা সংগ্রহ  করতে হবে।
  • কেবলমাত্র বিমানবন্দরের মাধ্যমে মালয়েশিয়া প্রবেশ করা যায়।
  • মালয়েশীয় ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের মহাপরিচালক বা উপ মহাপরিচালকের অনুমোদন ছাড়া সোস্যাল বা বিজনেস কার্ডের মেয়াদ বাড়ানো যায় না।

রেফারেন্স ছাড়া ভিসার শর্ত
  • রেফারেন্স ছাড়া ইস্যু করা ভিসার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৪ দিন অবস্থানের অনুমতি দেয়া হয়,  মেয়াদ বৃদ্ধির কোন সুযোগ নেই। আর ট্রানজিট ভিসার মেয়াদ অনেক কম থাকে।
  • যিনি মালয়েশিয়া ভ্রমণে যাচ্ছেন তিনি কোন দেশ থেকে যাচ্ছেন বা তিনি যে দেশে বসবাস করেন সে দশে ফেরার বিমান টিকেট থাকতে হবে। অবশ্য যদি মালয়েশিয়া ভ্রমণের পর অন্য দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে তবে সে দেশে যাওয়ার বিমান টিকেট দেখালেই হবে।

রেফারেন্সসহ ভিসার শর্ত
  • কেবলমাত্র ব্যবসা ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে এই  ভিসা ইস্যু করা হয়।
  • ভ্রমণটি মালয়োশীয় কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে স্পন্সর করতে হবে। যে প্রতিষ্ঠান স্পন্সর করবে সেটিকে অবশ্যই একটি প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান হতে হবে এবং ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টে ফর্ম ৯, ২৪ এবং ৪৯ জমা দিতে হবে।
  • স্পন্সরকে জনপ্রতি দুই হাজার মালয়েশীয় রিঙ্গিত জামানত হিসেবে জমা দিতে হবে।
  • ভ্রমণকারী সর্বোচ্চ ৩০ দিন অবস্থান করতে পারবেন এবং মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ নেই।


মালয়েশিয়ায় ভিসা আবেদনের জন্য যেসব কাগজপত্র লাগবে

ভিসা আবেদন ফরমটি www.imi.gov.my সাইট থেকে ডাউনলোড করে নিয়ে যথাযথভাবে পূরণ করে জমা দিতে হবে। সরাসরি ভিসা আবেদন গ্রহণ করা হয় না। ২৫টি অনুমোদিত এজেন্সীর মাধ্যমে ভিসা আবেদনপত্রটি জমা দিতে হবে। আর ভিসা ইস্যু করার বিষয়টি দূতাবাসের ওপর নির্ভরশীল।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি:
  • সাদা পটভূমিতে (ব্যাকগ্রাউন্ড) দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি; ছবিগুলোর স্টুডিও প্রিন্ট হতে হবে।
  • পাসপোর্টের মেয়াদ অন্তত ৬ মাস হতে হবে এবং পাসপোর্টে অন্তত তিনটি ধারাবাহিক খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
  • পাসপোর্টের ফটোকপি ও মূলকপি।
  • আগে মালয়েশিয়া ভ্রমণ করে থাকলে ভিসার কপি।
  • ফিরতি বিমান টিকেটের কপি।
  • আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ হিসেবে অন্তত তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট, সাথে ব্যাংক সলভেন্সি স্টেটমেন্ট। বাংলাদেশর বাইরে অবস্থানরতদের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড।
  • ভ্রমণের কারণ উল্লেখ করে করা আদেনপত্র।
  • কারো আমন্ত্রণে মালয়েশিয়া গেলে আমন্ত্রণপত্র বা রেফারেন্স লেটার।
  • বাংলাদেশে বসবাস করছেন অথচ বাংলাদেশী নন এমন আবেদনকারীর ক্ষেত্রে চাকরি এবং বাংলাদেশে থাকর অনুমতিপত্র দেখাতে হয়।

ভিসা ফি:
  • বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীদের ক্ষেত্রে ৩,১০০ টাকা,
  • চীনা পাসপোর্টধারীদের ক্ষেত্রে ৩,৩০০ টাকা,
  • ভারতীয় পাসপোর্টধারীদের ক্ষেত্রে ৩,৮০০ টাকা,
  • অন্যান্য দেশের পাসপোর্টধারীদের ক্ষেত্রে, ৩,১০০ টাকা।

অন্যান্য:
ভিসা আবেদন সকাল ৮:৪৫ থেকে ১০:৩০ এই সময়ের মধ্যে জমা দিতে হয়।
ভিসা ডেলিভারীর সময় দুপুর ৩ টা থেকে বিকাল ৫ টা।
ভিসা আবেদনের পর ভিসা পেতে ১০ দিনের মত সময় লাগে।

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates