Social Icons

Sunday, March 31, 2019

ইউক্রেনে নির্বাচন: দৌড়ে এগিয়ে কমেডি অভিনেতা

ইউক্রেনের প্রথম দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। কিয়েভের স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণের জন্য ভোটকেন্দ্র খুলে দেয়া হয়। ভোটকেন্দ্র থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি’র একজন প্রতিনিধি একথা জানিয়েছেন।
জরিপ অনুযায়ী, ৪১ বছর বয়সী কৌতুক অভিনেতা ভোলোদিমির জেলেনস্কি সর্বোচ্চ ভোট পেতে যাচ্ছেন বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোসেনকোর সঙ্গে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। তবে প্রথম দফা নির্বাচন কেউ ৫০ ভাগ ভোট না পেলে আবারও ভোট গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় সময় রাত ৮টায় এই প্রথম দফা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হবে। এর কয়েক ঘন্টা পর আংশিক ফলাফল প্রকাশিত হবে।
এ নির্বাচন বর্জন করেছে ইউক্রেনের রাশিয়াপন্থী দলগুলো। তাই রাশিয়ার প্রভাব রয়েছে এমন অঞ্চলগুলোতে ভোটগ্রহণ কেমন হবে তা স্পষ্ট নয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌঁড়ে প্রার্থী হয়েছেন মোট ৩৯ জন। তবে কেবল তিনজনকে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবা হচ্ছে।

Saturday, March 30, 2019

মডেলের প্রেমে ব্রাজিল তারকা

নেইমার পরবর্তী যুগে ব্রাজিলের নতুন সেনসেশন হিসেবে ধরা হচ্ছে ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে। ১৮ বছর বয়সে জাতীয় দলে ডাক পেয়ে ইনজুরির কারণে কপাল পুড়েছে। তবে ব্রাজিল কোচ তিতে বলেছেন, আসন্ন কোপা আমেরিকায় তার দলে থাকার সম্ভাবনা একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। এর আগেই নতুন এক ঘটনায় নাম জড়াল ভিনিসিয়াসের। ইনস্টাগ্রাম মডেল মারিয়া জুলিয়া মাজালির সঙ্গে নাকি চুটিয়ে প্রেম করছেন তিনি! সম্প্রতি একটি ছবি এই জল্পনাকে উস্কে দিয়েছে। 
মারিয়া জুলিয়া মাজালি এখন বেশ জনপ্রিয় ইনস্টাগ্রাম মডেল। ছবি : ইনস্টাগ্রাআম
সম্প্রতি সোশ্যাল সাইটে ভিনিসিয়াস এবং জুলিয়া স্নানঘরে নিজেদের ছবি পোস্ট করেন। ছবি দুটি আলাদা হলেও স্নানঘরটি যে একই সেটা ছবিতেই স্পষ্ট। ব্রাজিলিয়ান পত্রিকা 'ল্যান্স' দুটি ছবিতেই আয়নার প্রতিবিম্বের মধ্যে সদৃশ খুঁজে পেয়ে দেখিয়েছে, দুজনের ছবি একই স্নানঘরে তোলা! ওই পত্রিকাটাই দাবি করেছে, এই স্নানঘরটি হলো ভিনিসিয়াস মাদ্রিদে যে বাসায় থাকেন সেই বাসার! তার মানে দুজনে 'অন্যরকম' সম্পর্কে জড়িয়েছেন। 
এই দুটি ছবি নিয়েই ছড়িয়েছে জল্পনা। ছবি : ইনস্টাগ্রাম
দুজনে যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এ সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি। গত ডিসেম্বরে এক সাক্ষাৎকারে বান্ধবী আছে কি না, এমন প্রশ্নে নেতিবাচক মন্তব্যই শুনিয়েছিলেন ভিনিসিয়াস, ‘না কেউ নেই। ২৩ বছরের মাজালি ব্রাজিলে এক রিয়্যালিটি টিভি শো দে ফারিয়াস কোম ও এক্সে অংশ নিয়ে বিখ্যাত হয়েছিলেন। ইদানিং দেখা যাচ্ছে, ইনস্টাগ্রামে দুজন দুজনের ছবিতে লাইক দিচ্ছেন, মন্তব্য করছেন। একবার নাকি মাজালির একটি ছবিতে 'হার্ট' ইমোটিকন দিয়েছিলেন ভিনিসিয়াস!

ব্রাজিলিয়ান রিয়েল এখন আন্তর্জাতিক বাজারে ।


আন্তর্জাতিক বাজারে ব্রাজিলিয়ান রিয়েল এর বিক্রি শুরু ।জাপান , চায়না ও বাংলাদেশের বাজারে ব্রাজিলিয়ান মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় করতে দেখা গিয়েছে । যদিও লেতিন আমেরিকার বাজারে আগে থেকেই ব্রাজিলিয়ান মুদ্রা ক্রয় - বিক্রয় হচ্ছে । নতুন করে যুক্ত হল বাংলাদেশ সহ তিন দেশ । ব্রাজিলে নতুন সরকার আসার পর থেকে একের পর এক আইনের পরিবর্তন আসে, সেই সাথে কাজ করে যাচ্ছেন দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে । ইতিমধ্যেই গত কয়েক মাসে ব্রাজিলের নতুন প্রেসিডেন্ট বেশ কয়েকটি দেশের সাথে সম্পর্ক আরও গভীর করতে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করেছে । সেই সাথে সফর করেছেন বেশ কয়েকটি দেশে । ব্রাজিলের বর্তমান প্রেসিডেন্টের নির্বাচনী ওয়াদাতে ছিল দেশকে অর্থনৈতিক সম্মৃদ্ধ করে তুলবেন । তিনি আশা করছেন খুব শীঘ্রই ব্রাজিল পৃথিবীর উন্নত দেশের একটিতে পরিণত হবে ।

চাপে পড়ে নারী অধিকার কর্মীদের মুক্তি দিল সৌদি


আন্তর্জাতিক চাপের মুখে অবশেষে নারী অধিকার কর্মীদের মুক্তি দিল সৌদি আরব। প্রথম ধাপে তিনজনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। নারী অধিকার ও পুরুষ অভিভাবকত্বের বিরুদ্ধে সক্রিয় থাকার কারণে তাদের প্রায় ১ বছর আটকে রাখা হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এ খবর নিশ্চিত করেছে। কারাগারে আটক নারী অধিকার কর্মীদের ওপর অমানবিক অত্যাচার ও ধর্ষণ ঘটনায় সৌদি সরকার সম্প্রতি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাসহ কানাডা ও ব্রিটেনের মতো রাষ্ট্রগুলো এ নিয়ে সৌদি আরবকে চাপ দিতে থাকে। খবর আলজাজিরার।

গণমাধ্যমের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ রাখা দেশটি কোন কোন অধিকার কর্মীকে মুক্তি দিয়েছে তা নিশ্চিত করা যায়নি। তবে বেশ কিছু প্রতিবেদন অনুযায়ী মুক্তি পাওয়া বন্দিদের মধ্যে রয়েছেন ব্লগার ইমান আল-নাফজান, কিং সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক আজিজা আল-ইউসেফ ও আরেক শিক্ষিকা রোকায়া আল-মোহারেব।

বুধবার আদালত তাদের মুক্তি দেন। সেখানে বিদেশি সাংবাদিক ও কুটনীতিকদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। তবে আদালত জানিয়েছেন, মুক্তি দেয়া হলেও তাদের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগের প্রতি নজর রাখা হবে।

ফিলিস্তিনি বন্দিদের জুমার নামাজ নিষিদ্ধ করল ইসরাইল

ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ দেশটির কারাগারে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিদের জুমার নামাজ নিষিদ্ধ করেছে।
ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স অ্যাসোসিয়েশনের বরাতে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদলু এ খবর জানিয়েছে।
ইসরাইল কারা প্রশাসন নতুন এ ঘোষণায় দেশটির সকল কারাগারে শুক্রবার জুমার নামাজ যাতে না হয়, বিষয়টি কার্যকর করার নির্দেশনা দিয়েছে।
তবে কী কারণে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হল, এ বিষয়ে কোনও তথ্য দেয়নি ইসরাইল।
গত জানুয়ারিতে ইসরাইলি বাহিনী কারাগারের কয়েকটি ওয়ার্ডে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি বন্দিকে আহত করেছে। তারপর থেকে ইসরাইল কারাগারে উত্তেজনা চলছে।
ফিলিস্তিনের সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ইসরাইলের কারাগারে ৫ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছে। যাদের মধ্যে ৫০০ জন প্রশাসনিক বন্দি ও ২৩০ জন শিশু।
সূত্র: আনাদলু তুর্কি

ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলায় গাজায় ২ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি

গত সোমবার রাত থেকে চালানো ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজায় মোট ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ফিলিস্তিন।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ফিলিস্তিন গণপূর্ত ও হাউজিং মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাজি সারহান। খবর আনাদলুর।
গাজা তথ্য মন্ত্রণালয়ের সদর দফতরে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে সারহান বলেন, সাম্প্রতিক আগ্রাসনের ফলে প্রায় দেড় মিলিয়ন ডলারের ৩০টি স্থাপনা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং অর্ধ মিলিয়ন ডলারের প্রায় ৫০০টি বসতবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সারহান বলেন, ইসরাইলের সেনাবাহিনী অত্যধিক শক্তিশালী ও ভারী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল, যা লক্ষ্যবস্তু স্থানগুলির আশেপাশের গুরুতর ক্ষতি করেছে।
এ আগ্রাসনের ফলে শত শত ফিলিস্তিনি তাদের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে বলেও জানান নাজি সারহান।
এদিকে গত মঙ্গলবার ফিলিস্তিনের গণপূর্ত মন্ত্রী মুফিদ আল হাসানাহ জানিয়েছিলেন, ইসরাইলের সর্বশেষ বিমান হামলায় গাজা উপত্যকার মোট ৫০০ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত সোমবার সকালে গাজা উপত্যকা থেকে তেল আবিব রকেট হামলা করলে এর জবাবে সন্ধ্যা থেকে দখলদার ইসরাইল বাহিনী প্রচণ্ড হামলা শুরু করে।
মিশরের মধ্যস্থতায় সোমবার রাতে যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত হলেও মঙ্গলবার সকালে ফের হামলা শুরু করে ইসরাইল।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই সীমান্তের কাছকাছি ইসরায়েলিদের লক্ষ্য করে রকেট হামলার শব্দ শোনা গেছে। হামাসের স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি সৈন্যরা।
সোমবার সন্ধ্যা থেকে দখলদার ইসরাইল বাহিনী গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় অর্ধশতাধিক আক্রমণ করেছে। মঙ্গলবার ও বুধবারেও এ হামলা অব্যাহত ছিল। মঙ্গলবার গভীর রাত ও বুধবার সকালে বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মোট ১৯ ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে ইসরাইল।

তুরস্কে নির্বাচনে কঠিন সমীকরণে এরদোগানের দল

তুরস্কের সংসদের পাঁচ দলের বাইরেও আরো সাতটি দল লড়ছে এবারের নির্বাচনে। নির্বাচনী প্রচারণার একটি চিত্র। ছবি: সংগৃহীত
প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি ভোটার আগামী রোববার তুরস্কের স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সংসদের পাঁচ দলের বাইরেও আরো সাতটি দল লড়ছে এবারের নির্বাচনে। তুরস্কে স্থানীয় নির্বাচনও হয় দলীয় ব্যানারে।

ভোটে জেতার লড়াইয়ে টিকে থাকতে ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী দলগুলো জোট করে নির্বাচন করছে। নির্বাচনের মাঠ এখন মূলত দুই ভাগে বিভক্ত। ক্ষমতাসীন জোট এবং বিরোধী জোট।

ক্ষমতাসীন জোটে আছে সরকারি দল একে পার্টি এবং কট্টর জাতীয়তাবাদী দল এমএইচপি। অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল সেক্যুলারিস্ট সিএইচপি জোট করছে ডানপন্থী আই পি (IYI Parti) বা সু পার্টির সঙ্গে।

বড় সিটি কর্পোরেশন এবং গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে পার্টিগুলো জোটবদ্ধ হয়ে প্রার্থী দিয়েছে কোথাও আবার জোটের শরিকদের প্রার্থীর সমর্থনে নিজের প্রার্থীকে তুলে নিয়েছে।

অন্যদিকে বিশাল ভোট ব্যাংকের অধিকারী কুর্দী দল কারো সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনো জোট করেনি কিন্তু বিরোধী জোটকে সমর্থন দিচ্ছে।

লড়াইটা সিটি মেয়র, পৌর কাউন্সিলর, উপজেলা চেয়ারম্যান, গ্রাম মেম্বার ইত্যাদি ইত্যাদি পদের প্রাথী নির্বাচনের জন্য হলেও রাজনৈতিক দলগুলো সংসদ নির্বাচনের আদলে প্রচারণা চালাচ্ছে।

ক্ষমতাসীন দলের প্রধান এবং দেশের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান নির্বাচনী প্রচারে সারা দেশ চষে বেড়াচ্ছেন। প্রতিদিন ২-৩ টি নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিচ্ছেন।

দলের প্রার্থীর পক্ষে ভোট টানতে সব ধরণের রাজনৈতিক কৌশল তিনি ব্যবহার করছেন। কখনও ধর্মীয় অনুভূতি কখনওবা জাতীয়তাবাদের বুলি কখনও আবার পশ্চিমাদের তুলোধুনো করা।

এমনকি তিনি নির্বাচনী সভায় নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলার ভিডিও দেখিয়ে ভোট চেয়েছেন। বিরোধী দলগুলোও কম যায় না। তারাও সরকারকে ঘায়েল করার জন্য সব ধরণের প্রচারণাও চালাচ্ছে।



তবে প্রচার প্রচারণার দিক দিয়ে ক্ষমতাসীন পক্ষ অনেক এগিয়ে। মূলধারার প্রচার মাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমান তালে প্রচারণা চালাচ্ছে। এরদোগান প্রেসিডেন্ট হওয়ার কারণে তার প্রতিটা বক্তব্য সব মূলধারার গণমাধ্যমে সরাসরি প্রচার হয়। যা বিরোধী দলের নেতার জন্য প্রযোজ্য হয় না।

নির্বাচনে ইস্তানবুল, আঙ্কারা, ইজমির এর মতো বড় সিটি কর্পোরেশনগুলোতে ক্ষমতাসীন একে পার্টি হেভিওয়েট প্রার্থী দিয়েছে।

যেমন, ইস্তানবুলের প্রাথী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম, আঙ্কারার প্রার্থী সাবেক সাবেক পরিবেশ ও শহর পরিকল্পনা মন্ত্রী মেহমেত ওজহাসেকি, ইজমিরে লড়ছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী নিহাত জেইবেকচি।

অন্যদিকে বিরোধী জোট অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত প্রার্থী নিয়ে এবারের নির্বাচনে লড়ছে।

তবে বিরোধীদের বিশেষ সুবিধা হচ্ছে বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দা। গত বছর আগস্ট মাস থেকে আমেরিকার সঙ্গে দ্বন্দ্ব দেশে অর্থনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি করে। সরকার বিভিন্নরকম প্রতিশ্ৰুতি দিয়েও সে অবস্থার তেমন কোনো উন্নতি করতে পারেনি। আস্তে আস্তে এর প্রভাব পড়তে শুরু করে সাধারণ মানুষের মাঝে।

সাধারণ জনগণ একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধানের জন্য অপেক্ষা করে। কিন্তু তারা যখন সরাসরি এই মন্দাবস্থায় আক্রান্ত হয় তখন সরকারের বিরোধিতা শুরু করে। আস্তে আস্তে দিন যত যায় তাদের আওয়াজ তত সোচ্চার হয়। পরে তা গণ আন্দোলনে রূপ নেয়।

তুরস্ক এখনও ওই পর্যায়ে পৌঁছায়নি। কিন্তু উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জনমত সকারের অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানে নেয়া পদক্ষেপগুলোর বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে। সরকার যদিও বলছে নির্বাচনের পর তুরস্কের অর্থনীতি আরো ভালো হবে। তবে এই দুরবস্থা খুব শীঘ্রই কাটিয়ে ওঠার কোনো লক্ষণ নেই।

মুদ্রাস্ফীতি প্রায় ২০ শতাংশের ঘরে। বেকারত্বের হার ১১ শতাংশ। ব্যাংকে সুদের হার প্রায় ২০ শতাংশ। তুর্কি লিরার দরপতন হয়ে এখন এক ডলারের দাম ৫.৫ লিরা যা এক বছর আগেও ছিল ৩.৬ লিরা।

সরকার নির্বাচনের পরে সব কিছু ঠিক হয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিলেও এমন অলৌকিক কিছু করতে পারে নাই যা দিয়ে তারা একথা জনগণকে বিশ্বাস করাতে পারছে।

তবে সিরিয়াতে কুর্দি গেরিলা বাহিনীর উত্থান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই কুর্দি গ্ৰুপটিকে অস্র গোলাবারুদ দিয়ে একচেটিয়া সমর্থন, ট্রাম্প প্রশাসনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তুরস্ককে চাপে রাখা এ সব বিষয় নিয়ে জনগণ এরদোগান সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে।

তুর্কি জনগণ খুব ভালো করেই জানে যে এখনও দেশে এরদোগানের প্রতিপক্ষ কেউ নেই। বিরোধী দলও যে রাতারাতি সব ঠিক করে দিবে সে যোগ্যতা এবং কৌশলও তাদের নেই। আর এই স্থানীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন জোটের প্রার্থীরা হারলেও যে ক্ষমতার পট পরিবর্তন হবে তাও না। তবে এরদোগানকে একটা সতর্কবাণী হিসেবে জনগণ এই নির্বাচনে তার দলকে প্রত্যাশিত সমর্থন নাও দিতে পারে।

সর্বশেষ প্রকাশিত জনমত জরিপ গুলোতে দেখা যায়, বড় সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে শুধুমাত্র ইস্তানবুলে এরদোগানের জোট শক্ত অবস্থানে আছে। ইজমির বিরোধী দল সিএইচপির সবচেয়ে শক্তিশালী দুর্গ তাদেরকে সেখানে হটানো অসম্ভব। তবে রাজধানী আঙ্কারা প্রায় ২০ বছর পর এবার ক্ষমতাসীনদের হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।

নির্বাচনের ফলাফলে কুর্দিদের ভোট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কুর্দিদের বিশাল একটি অংশ এতদিন এরদোগানের একে পার্টিকে সমর্থন দিয়ে আসছে। কিন্তু এই নির্বাচনে কুর্দি বিরোধী কট্টর জাতীয়তাবাদী দলের সঙ্গে জোট করায় এরদোগানের পার্টির প্রতি কুর্দিদের সমর্থনে ভাটা পড়েছে।

তবে কুর্দিদের রাজনৈতিক দলটি বিরোধী জোটকে নীরবে সমর্থন দিলেও প্রকাশে কিছু বলতে পারছে না। কারণ বিরোধী জোটে আছে আরেক কুর্দি বিরোধী দল আইপি (IYI Parti)।

সুতরং, সব মিলিয়ে রবিবারের ভোটাভুটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চেয়েও অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে। সরকারি জোট এই নির্বাচনকে তুরস্কের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই বলে ঘোষণা দিয়েছে অন্যদিকে বিরোধীদল এই নির্বাচনকে দেখছে এরদোগানের ক্ষমতার ভিত ধরে টান মারার শেষ সুযোগ হিসেবে। কারণ স্বাভাবিক হিসাব অনুযায়ী আগামী সাড়ে চার বছরে তুরস্কে আর কোনো নির্বাচন হওয়ার কথা না। তবে রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। সবকিছু দেখার জন্য রোববার মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

‘শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদ’ নিষিদ্ধ করছে ফেসবুক

অবশেষে ‘শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদ’ নিষিদ্ধ করছে জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। বুধবার ফেসবুকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী সপ্তাহ থেকে, ফেইসবুক ও ইনস্টাগ্রামে ‘শ্বেত জাতীয়তাবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদকে’ উসকে দেয়, এমন পোস্ট আটকে দেয়া হবে।
এছাড়া বিভিন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় এমন কন্টেন্টের ফেসবুক পাতা ও গ্রুপ মুছে ফেলা হবে। এছাড়া নতুন করে এমন কন্টেন্টের পোস্টও কেউ যাতে ছড়াতে না পারে তার ব্যবস্থাও করবে ফেসবুক।
‘শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদ’ নিষিদ্ধের ব্যাপারে ফেসবুক জানায়, এ বিসয়টি নিয়ে তারা সাধারন মানুষ ও বিশেষজ্ঞদের মতামত ও আলোচনা করেছেন। এরপরই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুইটি মসজিদে হামলা চালায় শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসী ব্রেন্টন টারান্ট।
এতে ৫০ জন মুসল্লি নিহত হন। আহত হয় ৪০ জনের বেশি। হামলার পুরো ঘটনা ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করে টারান্ট। এরপর বিশ্বব্যাপী ওই হামলার ভিডিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
এজন্য ব্যাপক তোপের মুখে পড়ে ফেসবুক। অবশ্য ফেসবুক দাবি করেছে ওই হামলার প্রায় ১৫ লাখ ভিডিও অপসারণ করেছে তারা।

ফের মেক্সিকো সীমান্ত বন্ধের হুমকি ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত ফের বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার টুইটারে দেয়া এক বার্তায় তিনি দাবি করে বলেন, আমেরিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রতিবেশি দেশ মেক্সিকো অবৈধ অভিবাসীদের অবাধে সীমান্ত অতিক্রমের সুযোগ দিচ্ছে। খবর এএফপি’র।
প্রেসিডেন্ট টুইটার বার্তায় লিখেছেন, এ কারণে ‘দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে প্রবেশ করতে চাওয়া অবৈধ অভিবাসীর ঢল বন্ধে সহযোগিতা করার ব্যাপারে মেক্সিকো কিছুই করছে না। এ ব্যাপারে তারা সবকিছু করার কথা বললেও বাস্তবে দেশটি কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।’
‘একইভাবে হন্ডুরাস, গুয়েতেমালা ও এল সালভাদর বছরের পর বছর ধরে আমাদের অর্থ নিলেও তারাও কিছু করছে না। এটা খুবই খারাপ।’
এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্প নতুন করে এ সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিলেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো পৃথক দু’টি দেশ হলেও তাদের মধ্যে ব্যাপক অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক থাকায় বিশ্বের ব্যস্ততম সীমান্তগুলোর অন্যতম হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত।
এদিকে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর ট্রাম্পের এমন সমালোচনা প্রত্যাখান করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা অনেক কিছুই করছি।’
তিনি আরো বলেন, এক্ষেত্রে ‘আমাদের যা কিছু করার সুযোগ রয়েছে আমরা তার সবকিছু করছি। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমরা কোনভাবে বিরোধে জড়াতে চাই না।’
তবে লোপেজ ওব্রাদর বলেন, অভিবাসনের বিভিন্ন কারণ মৌলিকভাবে মোকাবেলা করার ওপর এর সমাধান নির্ভর করছে।

খুঁজে খুঁজে বাংলাদেশিদের তাড়ানো হবে: অমিত শাহ

আবার ক্ষমতায় এলে খুঁজে খুঁজে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের দেশছাড়া করা হবে। আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচনী প্রচারণায় এমন মন্তব্য করেছেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ।
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি বলেন, ‘মোদি সরকার ফের ক্ষমতায় এলেই আমরা বাংলায় ‘জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন’ (এনআরসি) আনব।
এছাড়া তিনি আরো বলেন, আসামের মতো প্রত্যেক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে খুঁজে বের করে বিতাড়িত করা হবে।’ তবে হিন্দু ও বৌদ্ধদের সুরক্ষা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আগামী ১১ এপ্রিল থেকে ভারতে লোকসভা নির্বাচন শুরু হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশটির রাজনৈতিক নেতারা ব্যাপক প্রচারণা শুরু করেছেন।

আরও শক্তিশালী হলো বাংলাদেশি পাসপোর্ট

শক্তিশালী পাসপোর্টের আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়ে ৩ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের ১৯৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশি পাসপোর্টের অবস্থান এখন ৯৭তম। বৃহস্পতিবার তালিকাটি প্রকাশ করে হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স। সংস্থাটি জানিয়েছে, বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিয়ে বিনা ভিসায় ভ্রমণ করা যাবে ৪১টি দেশ। খবর সিঙ্গাপুর ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা স্টেইটটাইসের।
মার্কিন সংস্থা দ্য হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স ১৯৯টি দেশের তথ্যের ভিত্তিতে সূচকটি তৈরি করেছে। তালিকায় সবার উপরে রয়েছে সিঙ্গাপুর, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। বিশ্বে ভিসামুক্ত চলাচল বিষয়ক স্বাধীনতার ওপর গবেষণা করে প্রতিবছর পাসপোর্ট সূচক প্রকাশ করা হয়।
তালিকায় শীর্ষে থাকা এশিয়ার তিন দেশ ভিসা ছাড়াই কিংবা অন অ্যারাইভাল ভিসার মাধ্যমে ১৮৯টি গন্তব্যে যেতে পারবে।
২০১৮ সালের বৈশ্বিক পাসপোর্ট র‌্যাংকিয়ে ১০০ তম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। সে বছরের মার্চে প্রকাশিত ওই তালিকায় একধাপ পতন হয়ে জাপানের কাছে শীর্ষস্থান হারায় সিঙ্গাপুর। এ বছরের মার্চে প্রকাশিত নতুন শীর্ষস্থান ফিরে পেল সিঙ্গাপুর।
১৮৮ টি দেশ বিনা ভিসায় ভ্রমণের সুবিধা নিয়ে সূচকের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে জার্মানির পাসপোর্ট। এর আগে ফ্রান্সের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে ছিল দেশটি। তবে ফান্স একধাপ পিছিয়ে তৃতীয় স্থানে চলে গেছে। ফান্সের সঙ্গে সমান ১৮৭ স্কোর করে তৃতীয় স্থানে আছে ডেনমার্ক, ফিনলান্ড, ইতালি ও সুইডেন।
যৌথভাবে তালিকার চতুর্থ স্থানে লুক্সেমবার্গ ও স্পেন। যুক্তরাজ্যের অবস্থান পঞ্চম। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৫ সালের পর দেশ দুটি কখনোই শীর্ষস্থানে যেতে পারেনি।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সক্রিয় নারী পাচারকারী চক্র

রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে নারী পাচারকারী চক্রের সদস্যরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা এসব পাচারকারীর সঙ্গে সখ্যতা রয়েছে রোহিঙ্গা পাচারকারী চক্রের। ক্যাম্পে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করে বিদেশে পাঠানোর নামে যুবতী নারী সংগ্রহ করছে চক্র গুলো। পরে নিষিদ্ধ পল্লীতে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়া খবর পাওয়া গেছে। এসব নারী পাচারকারীদের খপ্পর থেকে ঢাকা খিলগাঁও থানার পুলিশ চারজন রোহিঙ্গা নারীকে উদ্ধার করে শনিবার সকালে উখিয়া থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে।
শনিবার নারী পাচারকারীদের কবল থেকে রক্ষা পায় কুতুপালং ক্যাম্পের শামশুল আলমের মেয়ে হামিদা বেগম (২২), বালুখালী ক্যাম্পের কলিমুল্লাহর মেয়ে রুমা আকতার (১৬), একই ক্যাম্পের মো. তৈয়বের মেয়ে শামশুন নাহার (১৬) ও আব্দুর রহিমের মেয়ে বুজোয়া আকতার (১৫)।
উখিয়া থানা পুলিশে হস্তান্তরের সময় রুমা আকতার জানান, তাদের দুঃসম্পর্কের আত্মীয় অলি উল্লাহর মাধ্যমে অচেনা দুইজন পাচারকারীর সঙ্গে তাদের সরাসরি কথা হয়। ওই পাচারকারীরা বিনা পয়সায় পাসপোর্ট ভিসা ও বিমান ভাড়া দিয়ে মালয়েশিয়া পাঠানোর লোভ দেখায়। তাদের কথা মতো চলতি মাসের প্রথম দিকে রোহিঙ্গা দালাল অলি উল্লাহর সঙ্গে ওই দুই পাচারকারীসহ তারা ক্যাম্প ত্যাগ করেন।
কক্সবাজার লিংক রোড যাওয়ার পর শহরমূখী গাড়ি পাল্টানোর সময় অলি উল্লাহ উধাও হয়ে যান। এ সময় সন্দেহ হয় রুমা আকতারের। সঙ্গে থাকা দুই দালালের কাছে জানতে চান অলি উল্লাহ কোথায়? জবাবে দালাল চক্র বলেন, তিনি পেছনের গাড়িতে করে আসছেন। ওই দিন রাত ৮টার দিকে তারা চট্টগ্রামে পৌঁছে একটি হোটেলে রাত যাপন করেন। পরদিন ভোরে তাদের নিয়ে ঢাকায় রওনা দেওয়া হয়। বিকেল ৪টার দিকে ঢাকায় পৌঁছে তাদের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। উদ্ধারকারী পুলিশ অফিসার খিলগাঁও থানা ডিএমপি’র উপ-পরিদর্শক মো. জুয়েল মিয়া জানান, বিশ্বস্ত খবরের ভিত্তিতে রেলওয়ে কলোনির একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে চার নারীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দালাল চক্র পালিয়ে যাওয়ার কারণে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল খায়ের জানান, উদ্ধারকৃত চার রোহিঙ্গা নারীকে ক্যাম্প ইনচার্জের নিকট হস্তান্তর করার জন্য নিদেশ দেওয়া হয়েছে।

Wednesday, March 27, 2019

কার ভূমি তুমি কাকে দিচ্ছ: ট্রাম্পকে এরদোগান


অধিকৃত গোলান মালভূমির ওপর ইসরাইলের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিষোদগার করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। ট্রাম্পকে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেছেন, কার ভূমি তুমি কাকে দিচ্ছ, ট্রাম্প? জাতিসংঘের নীতিমালা অনুযায়ী এই জমি তো সিরিয়ার।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকালে ইস্তানবুলে র‌্যালি শেষে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন এরদোগান।
তিনি বলেন, গোলাম মালভূমি ইসরাইলের বলে স্বীকৃতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে সংকট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই স্বীকৃতি দেয়ার আগে শুক্রবার ওআইসির এক জরুরি সভায় যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগের কড়া সমালোচনা করেন এরদোগান। তিনি বলেন, গোলান মালভূমিতে ইসরাইলের দখলদারিত্ব তুরস্ক কোনো দিনই মেনে নেবে না।
তুরস্ক প্রেসিডেন্ট বলেন, ৯ এপ্রিল ইসরাইলের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে গোলানকে ইসরাইলের স্বীকৃতি দেয়ার মধ্য দিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফের ক্ষমতায় আসার সুযোগ করে দেয়া হলো। যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র রাষ্ট্র যে কিনা গোলানকে ইসরাইলের স্বীকৃতি দিল। গোটা বিশ্ব এটিকে দখলীকৃত ভূমি হিসেবেই জানে।
প্রসঙ্গত সোমবার ওয়াশিংটনে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর উপস্থিতিতে গোলান মালভূমি ইসরাইলের ভূখণ্ড এ ঘোষণাপত্রে সই করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের সময় ইসরাইল এ জায়গাটি সিরিয়ার কাছ থেকে দখল করে নিয়েছিল। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেছিলেন- যুক্তরাষ্ট্র জেনেছে গোলান ইসরাইলের সার্বভৌম। আর এ কারণেই গোলান মালভূমিতে ইসরাইলের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেয়া উচিত যুক্তরাষ্ট্রের।
টুইটারে ট্রাম্প বলেন, ৫২ বছর পর গোলান মালভূমিতে ইসরাইলের সার্বভৌমত্বে স্বীকৃতি দেয়ার সময় এটিই।
মালভূমিতে বর্তমানে ২০ হাজার অবৈধ দখলদার বসবাস করছেন। কাজেই এ দখলদারিত্ব কখনই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বীকৃতি দিতে পারে না। এদিকে ট্রাম্পের এমন ঘোষণায় বিশ্বজুড়ে সমালোচনা ও নিন্দা জানানো হয়েছে। এর মধ্যে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, তুরস্ক, ফ্রান্সসহ অনেক দেশ রয়েছে।
১৯৬৭ সালে আরবদের সঙ্গে ছয় দিনের যুদ্ধে সিরিয়ার গোলান মালভূমি দখল করে নেয় ইসরাইল। সেই সময় ইহুদিবাদী বাহিনী ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীর ও গাজা উপত্যকারও নিয়ন্ত্রণ নেয়।
পরে ১৯৮১ সালে গোলান মালভূমিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজ ভূখণ্ড বলে ঘোষণা দেয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহল কখনই ইসরাইলের এই দাবির স্বীকৃতি দেয়নি।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের ১৬ নভেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গোলান মালভূমির মালিকানা সংক্রান্ত এক ভোটাভুটি হয়।
সেখানে উপস্থিত ১৫৩ দেশের মধ্যে ১৫১ দেশ এ ভূখণ্ডের মালিকানা সিরিয়ার বলে স্বীকৃতি দেয়। শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও ইহুদিবাদী ইসরাইল প্রস্তাবটির বিপক্ষে অবস্থান নেয়।
তা সত্ত্বেও গোলানবাসীর ওপর ৫২ বছর ধরে ইহুদিবাদী দখলদারিত্ব আর অত্যাচার একটুও কমেনি; বরং বেড়েই চলছে।
ট্রাম্পের এই স্বীকৃতির প্রশংসা করে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, গোলানের এই স্বীকৃতি ঐতিহাসিক। সিরিয়া এতদিন এটিকে নিজের দাবি করলেও এটি ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে। আমরা কখনই এটি ছাড়ব না।

ফের অন্ধকারের দেশ ভেনেজুয়েলা


ল্যাটিন আমেরিকার সংকটাপন্ন দেশ ভেনেজুয়েলা চলতি মাসেই দ্বিতিয়বারের মতো ব্ল্যাকআউট অর্থাৎ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। রাজধানী কারাকাস আরও একবার যেন পরিণত হলো অন্ধকারের নগরীতে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত সোমবারও টানা চারঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় কাটে দেশটির। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার কারণে শহরের গণপরিবহনে বিপর্যয় নেমে আসে। হাজারো মানুষকে বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে হয়।
রাজধানী কারাকাস ছাড়াও আরও বেশ কিছু অঞ্চলও এমন বিপদের সম্মুখীন হয়েছে। সরকার বলছে, বিরোধী দলের চক্রান্তের কারণেই এমন বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে দেশবাসী।
চলতি মাসের শুরুতে গোটা দেশে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে। আর এই সুযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে লুটতরাজ ডাকাতির পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পায়।
বিরোধীদল অবশ্য এর জন্য ক্ষমতাসীন সমানতান্ত্রিক সরকারকে দুষছে। তাদের দাবি, গত দুই দশকে দেশটির সমাজতান্ত্রিক সরকার বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে ব্যর্থ ও দুর্নীতি বেড়ে যাওয়ার ফল এই বিপর্যয়।
দেশটির ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো ও বিরোধী দলীয় নেতা হুয়ান গুয়াইদোর মধ্যে চলছে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। যার কারণে গত কিছুদিন ধরে দেশটির বিভিন্ন অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। যার ভুক্তভোগী দেশটির সাধারণ মানুষ।
গত সপ্তাহে হুয়ান গুয়াইদোর চিফ অব স্টাফকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার করা হয়। তাকে গ্রেফতারের পর থেকে দেশটির সার্বিক পরিস্থিতির অবনতি চরমে গিয়ে ঠেকেছে।
সূত্র: জাগো নিউজ২৪

‘মুসলিম বিশ্বকে অপমান করেছেন ট্রাম্প’

মুসলিম বিশ্ব ও আরব দেশগুলোকে অপমান করেছেন ট্রাম্প। সম্প্রতি এমন মন্তব্য করেছেন লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর প্রধান সৈয়দ হাসান নাসরুল্লাহ।
মঙ্গলবার এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, গোলান মালভূমির ওপর ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মুসলিম বিশ্ব ও আরব দেশগুলোকে অপমান করেছেন।
বক্তৃতায় নাসরুল্লাহ আরো বলেছেন, এমন পদক্ষেপের মাধ্যমে ট্রাম্প পশ্চিম এশিয়ার শান্তি প্রক্রিয়ার ওপর চরম আঘাত হেনেছেন।
এছাড়া তিনি বলেন, আরব দেশগুলো নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকলে শিগগিরই অধিকৃত জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের ওপরও ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেবে ওয়াশিংটন।
গত সোমবার সিরিয়ার কাছ থেকে দখলকৃত গোলান মালভূমিকে ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় ইসরায়েল এই জায়গাটি সিরিয়ার কাছ থেকে দখল করে নিয়েছিল।
সোমবার হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ওই ঘোষণায় স্বাক্ষর করছিলেন সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
ট্রাম্পের এমন ঘোষণায় বিশ্বজুড়ে সমালোচনা ও নিন্দা জানানো হয়েছে। এর মধ্যে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, তুরস্ক, ফ্রান্সসহ অনেক দেশ রয়েছে।
উল্লেখ, ১৯৬৭ সালে ইসরায়েল গোলান মালভূমি দখল করার পর সিরিয়ান আরব বাসিন্দারা অধিকাংশই পালিয়ে যায়। ১৯৭৩ সালের যুদ্ধে সিরিয়া এটি পুনর্দখল করার চেষ্টা করেও পারে নি।
এরপর ১৯৭৪ সালে ইসরায়েল-সিরিয়া এক যুদ্ধবিরতি হয়, আর ১৯৮১ সালে ইসরায়েল গোলানকে নিজের অংশ করে নেয় একতরফা ভাবে।

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন নিউজিল্যান্ডের তারকা খেলোয়াড়ের মা

ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন নিউজিল্যান্ডের তারকা খেলোয়াড় সনি বিল উইলিয়ামসের মা ‘লি উইলিয়ামস’।
৩৩ বছর বয়সী সনি বিল উইলিয়ামস হলেন নিউজিল্যান্ডের প্রখ্যাত রাগবি খেলোয়াড় ও পেশাদার হেভিওয়েট মুষ্টিযোদ্ধা। তিনি দুইবার রাগবি বিশ্বকাপও জেতেন। ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই মুসলমানদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি কয়েক বছর আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
যুক্তরাজ্যের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, সনি বিল উইলিয়ামসের মা ‘লি উইলিয়ামস’ ঘোষণা দিয়েছেন যে, তিনি মোহাম্মদ (সা.) ও আল্লাহকে বিশ্বাস করেছেন। ক্রাইস্টচার্চের গণহত্যার কম সময়ের মধ্যে তিনি ইসলাম গ্রহণ করলেন। একই সঙ্গে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন নিউজিল্যান্ডের আরেক রাগবি খেলোয়াড় ওফা তুঙ্গাফাসি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সনি বিল উইলিয়ামসের পরিচিত ব্রিটিশ জাজ কণ্ঠশিল্পী জন ফন্টেইন। তিনি টুইটারে লিখেন, ‘আল্লাহু আকবার! সনি বিল উইলিয়ামসের মা ইসলাম গ্রহণ করেছেন। এছাড়া ওফা তুঙ্গাফাসিও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। আল্লাহ তাদের পক্ষে এটিকে সহজ করে দিন এবং তাদের জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন।’
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন নিউজিল্যান্ডের তারকা খেলোয়াড়ের মা

আহতদের পাশে বিশ্বকাপ জয়ী তারকা সনি বিল উইলিয়ামস। ছবি: ডেইলি মেইল
জিম্বাবুয়ে ভিত্তিক একটি মসজিদের ইমাম সাজিদ উমার মঙ্গলবার টুইট করেন। তিনি লিখেন, ‘সমস্ত প্রশংসা এক আল্লাহর জন্য। আমাদের ভাই সনি বিল উইলিয়ামসের মা ও তার বন্ধু ইসলাম গ্রহণ করেছেন। যদিও আমি দূরে থাকি; আমি সত্যি আমার ভাইয়ের জন্য সন্তুষ্ট। আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেছেন।’
গত শনিবার নিউজিল্যান্ডের একটি হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হন ওফা তুঙ্গাফাসি। পরে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। একই দিন সনি বিল উইলিয়ামসের মা ইসলাম গ্রহণ করেন।
ওফা বলেন, ‘হাসপাতালে মুসলিম ভাইদের দেখার অভিজ্ঞতা ছিল অন্যরকম। আমি তাদের থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছি।’
গত ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে অস্ট্রেলিয়ার শ্বেতাঙ্গ এক জঙ্গির বর্বরোচিত হামলায় ৫০ জন মুসলিম নিহত হন। এ নিয়ে সারা বিশ্বে শোকের ছায়া নেমে আসে। ওই হামলার পর শুক্রবার নিউজিল্যান্ডে বিশাল জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
ঘটনার পর বিশ্বকাপ জয়ী সনি বিল উইলিয়ামস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, ‘আমি খবরটি যখন শুনি, তখন খুবই কষ্ট পাই। সে সময় আমার অনুভূতি কতটুকু কষ্টদায়ক ছিল তা শব্দ দিয়ে বুঝাতে পারবো না।’

আমেরিকায় পড়তে যাওয়া বাংলাদেশিরা সুপারস্টার: মার্কিন রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেছেন, ‘আমি বার বার বলতে চাই, যেসব বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আমেরিকায় পড়তে গিয়েছে তারা সবাই সুপারস্টার।’ বুধবার দুপুরে রাজশাহী বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আমেরিকান কর্নার’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমেরিকান কর্নার বাংলাদেশের সিভিল সোসাইটির সঙ্গে আমেরিকার ডেমোক্রেসি শেয়ার করে। পুরো বিশ্বে চার হাজার আমেরিকান কর্নার রয়েছে। বাংলাদেশেও রয়েছে আমেরিকান অ্যাম্বেসি কর্নার, অনলাইন গবেষণা।’
তিনি আরো বলেন, ‘যদি কোনো শিক্ষার্থী চায় আমেরিকায় স্টাডি করতে, তাহলে সে এখানে এসে জানতে পারবে আমেরিকার অনেক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষার প্রসেসগুলো। একাডেমিক সিরিয়াসনেস যারা আমেরিকান সব কলেজেই এপ্লাই করতে পারে। তারা একাডেমিক এবং সোশাল স্টার। ২০১৮ সালে ৭ হাজার ৪৯৬ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আমেরিকায় উচ্চ শিক্ষার জন্য গিয়েছে।’
আর্ল রবার্ট মিলার বলেন, ‘ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেটে আমেরিকান কর্নার রয়েছে। শিক্ষানগরী এবং ঐতিহ্যবাহী রাজশাহীতেও এটি চালু হলো। এর মাধ্যমে রাজশাহীর শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য খুব সহজে পাবে। শিক্ষা এবং ক্যারিয়ারের জন্য এ কর্নার শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কার্যকর হবে। এটি সব শ্রেণি পেশার মানুষেরই কাজে লাগবে। কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার জন্য যাওয়া যেতে পারে, তা এখান থেকে জানা যাবে।’
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া শিক্ষার্থীরা খুবই মেধাবী ও ভালো। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বেশি পরিমাণ শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রদান করে আসছে। আগামীতে এ ধারা আরো বৃদ্ধি করা হবে।’

মসজিদে হামলা: নিউজিল্যান্ডের রাগবি খেলোয়াড়ের ইসলাম গ্রহণ

ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন নিউজিল্যান্ডের রাগবি খেলোয়াড় ওফা তুঙ্গাফাসি। শনিবার ভয়ঙ্কর সেই হামলায় বেঁচে যাওয়া আহত ব্যক্তিদের দেখতে হাসপাতালে যান এই খেলোয়াড়।
ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, নিউজিল্যান্ডের সাউথ আইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হন ওফা তুঙ্গাফাসি। পরে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। একই দিন ওফার বন্ধু ক্রীড়াবিদ সনি বিল উইলিয়ামসের মা ইসলাম গ্রহণ করেন।
এ প্রসঙ্গে ওফা তুঙ্গাফাসি বলেন, ‘হাসপাতালে মুসলিম ভাইদের দেখার অভিজ্ঞতা ছিল অন্যরকম। আমি তাদের থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমি মোহাম্মদ (সা.) ও আল্লাহকে বিশ্বাস করেছি।’
মসজিদে হামলা: নিউজিল্যান্ডের রাগবি খেলোয়াড়ের ইসলাম গ্রহণ

আহতদের পাশে বিশ্বকাপ জয়ী সনি বিল উইলিয়ামস। ছবি: ডেইলি মেইল
জিম্বাবুয়ে ভিত্তিক একটি মসজিদের ইমাম সাজিদ মঙ্গলবার টুইট করেন। তিনি লিখেন, ‘সমস্ত প্রশংসা এক আল্লাহর জন্য। আমাদের ভাই সনি বিল উইলিয়ামসের মা ও তার বন্ধু ইসলাম গ্রহণ করেছেন। যদিও আমি দূরে থাকি; আমি সত্যি আমার ভাইয়ের জন্য সন্তুষ্ট। আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেছেন।’
ব্রিটিশ জাজ কণ্ঠশিল্পী জন ফন্টেইন টুইটারে লিখেন, ‘আল্লাহু আকবার! আজ ওফা তুঙ্গাফাসি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। আল্লাহ তাদের পক্ষে এটিকে সহজ করে দিন এবং তাদের জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন।’
জানা যায়, ক্রাইস্টচার্চের মর্মান্তিক ঘটনার পর রাগবি খেলোয়াড় ওফা ইসলামের বিষয়ে জানার চেষ্টা করে আসছিলেন। সেই সূত্রেই তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন।
মসজিদে হামলা: নিউজিল্যান্ডের রাগবি খেলোয়াড়ের ইসলাম গ্রহণ

মুসলিমদের সঙ্গে সনি বিল উইলিয়ামস। ছবি: ডেইলি মেইল
গত ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে অস্ট্রেলিয়ার শ্বেতাঙ্গ এক জঙ্গির বর্বরোচিত হামলায় ৫০ জন মুসলিম নিহত হন। এ নিয়ে সারা বিশ্বে শোকের ছায়া নেমে আসে। ওই হামলার পরের শুক্রবার নিউজিল্যান্ডে বিশাল জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে সনি বিল উইলিয়ামস শুধু মুসলিমই নন। তিনি নিউজিল্যান্ড রাগবি ইউনিয়ন দলে খেলা প্রথম মুসলিম। এছাড়া নিউজিল্যান্ডের প্রখ্যাত রাগবি খেলোয়াড় ও পেশাদার হেভিওয়েট মুষ্টিযোদ্ধা। তিনি দুইবার রাগবি বিশ্বকাপও জেতেন। ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই মুসলমানদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সনি বিল উইলিয়ামস।

খালেদা জিয়াকে কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‌‘নাজিম উদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কেরানীগঞ্জে নির্মিত অত্যাধুনিক কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
আজ বুধবার বিকেলে সাভারের আশুলিয়ার বঙ্গবন্ধু রোড এলাকায় বোধিজ্ঞান ভাবনা কেন্দ্রে (বৌদ্ধ বিহারে) সদ্ধর্ম দেশনাসহ বিদর্শন ভাবনা অনুশীলন এর সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নাজিম উদ্দিন রোডের কারাগারটি অনেক পুরোনো এবং ঝুকিপূর্ণ। এটিকে আমরা জাদুঘর হিসেবে রুপান্তরের কাজ হাতে নিয়েছি। খুব শিগগিরই জাদুঘরের কাজ শুরু করা হবে। যে কারণে কারাবন্দি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়াকে কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরের কোনো বিকল্প নেই।’ তবে কবে নাগাদ বেগম খালেদা জিয়াকে কেরানীগঞ্জে স্থানান্তর করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘আমরা প্রক্রিয়া শুরু করেছি, শিগগির এই সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন করা হবে।’
এছাড়া শর্ত সাপেক্ষে বেগম খালেদা জিয়াকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে বিদেশ পাঠানো হচ্ছে এমন গুঞ্জনের ভিত্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির তরফ থেকে এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো প্রস্তাব সরকারের কাছে আসেনি। তাছাড়া বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে কারাগারে রয়েছেন। তাকে প্যারোলে মুক্তি পেতে হলে আদালতের মাধ্যমেই তা করতে হবে।’ একই সঙ্গে বিএনপি রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কায়েম করেছিলো বলেই জনগণ তাদের প্রত্যাখান করেছে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা.এনামুর রহমান, আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন মাদবর প্রমুখ।

Saturday, March 23, 2019

জার্মানিতে মুসলিম গর্ভবতী নারীর ওপর হামলা

জার্মানিতে অতি ডানপন্থী সন্ত্রাসবাদের হুমকি বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে গর্ভবতী এক মুসলিম নারীসহ দুই নারীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
হিজাব পরায় ওই দুই নারীর ওপর অজ্ঞাত এক ব্যক্তি হামলা চালিয়ে পালিয়ে গেছে। বুধবার জার্মান গণমাধ্যমে এমন খবর ছাপা হয়েছে বলে জানিয়েছে তুর্কি সরকারি গণমাধ্যম ডেইলি সাবাহ।
জার্মানির রাজধানী বার্লিনের নিউকোলন রেলস্টেশনের কাছে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
খবরে বলা হয়েছে, এক ব্যক্তি তার কুকুর নিয়ে ওই স্টেশনে হাঁটছিল। এ সময় হিজাব পরায় ওই দুই নারীকে সে বিদ্রূপ করতে থাকে।

‘পশ্চিমারা একজন মুসলমানের অপরাধকে দেড়’শ কোটি মুসলমানের ওপর চাপিয়ে দেয়’

পশ্চিমারা একজন মুসলমানের অপরাধকে দেড়’শ কোটি মুসলমানের ওপর চাপিয়ে দেয় বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
শুক্রবার বিকালে ড. মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে যৌথ প্রেস কনফারেন্সে ইসলামফোবিয়ার ভয়াবহতা উল্লেখ করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমা বিশ্ব ইসলামফোবিয়া ছড়িয়েছে। একজন মুসলমানের অপরাধকে তারা দেড়’শ কোটি মুসলমানের ওপর চাপিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
ক্রাইস্টচার্চের নৃশংসতাকে পশ্চিমাদের তৈরি ইসলামফোবিয়ার ফসল উল্লেখ করে ক্রিকেটার থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়া ইমরান খান বলেন, নির্দিষ্ট টার্গেট নিয়েই এতবছর ইসলামফোবিয়া ছড়ানো হয়েছে। ক্রাইস্টচার্চে নির্মমভাবে বৃদ্ধ, নারী ও শিশুদের হত্যার ঘটনাটি খুনি সরাসরি সম্প্রচারও করেছে। এটা পশ্চিমাদের ছড়ানো ইসলামফোবিয়ার ফসল।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের প্রশংসা করে বলেন, এ দু’জনই এখন মুসলিম বিশ্বকে সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
মাহাথিরের পাকিস্তান সফরকে স্বাগত জানিয়ে ইমরান খান বলেন, ড. মাহাথির মোহাম্মদ ও রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানকে মুসলিম বিশ্ব তাদের নেতা হিসেবে বিবেচনা করে। মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় তাদের দৃঢ় নেতৃত্ব একটি প্রতিষ্ঠিত বিষয়।
বড় অনেক মুসলিম দেশ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মুসলিমদের পক্ষে তেমন জোরালো অবস্থান গ্রহণ করে না বলে বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেন ইমরান খান।

ভারতে ঘরে ঢুকে মুসলিম পরিবারকে নির্যাতন (ভিডিও)

ভারতের গুরগাঁওয়ে ঘরে ঢুকে মুসলিম পরিবারের ওপর নির্যাতনে ভিডিও প্রকাশ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকাল ৫টার দিকে গুরগাঁওয়ের ভূপ সিংহ নামক এলাকায় এক মুসলিম পরিবারের সদস্যরা এমন সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়। খবর এনডিটিভির।
ওই মুসলিম পরিবারের ওপর সন্ত্রাসীদের অত্যাচারের ভিডিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির নেট জনতা। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত বিচারের দাবি জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ জনের একটি দল এসে লোহার রড এবং হকি স্টিক দিয়ে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের বেধড়ক পেটাচ্ছে। এসময় তাদেরকে না পেটাতে অনুরোধ জানান পরিবারের নারী সদস্যরা।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, হোলির দিন ক্রিকেট খেলা নিয়ে তৈরি হওয়া বাক-বিতন্ডার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের মদতে এ নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে দাবী জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।
মারধরের সময় দুষ্কৃতিকারীরা 'পাকিস্তানে যা' বলে হুমকি দিচ্ছিল বলে জানান তারা।
গুরগাঁও পুলিশ জানিয়েছে, এ হামলা পরিকল্পিত। ঘটনাস্থলে আমরা পৌঁছার পূর্বেই দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়।
তবে অভিযোগের ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় গুরগাঁও পুলিশ। ভিডিও ফুটেজ দেখে বাকিদের খোঁজ করা হচ্ছে।
গুরগাঁওয়ের এসিপি শামসের সিংহ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে। আক্রান্তেরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। তারা বাড়ির বাইরে ক্রিকেট খেলার সময়ই এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।’
সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর বর্ণবাদীদের হামলা ও অত্যাচার বেশ পরিলক্ষিত। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদী হামলা ঘটনার বিশ্ব স্তব্ধ। সে হামলার লাইভ ভিডিওচিত্র ফেসবুকে প্রকাশ করে উগ্রপন্থী হামলাকারী ব্রেনটন টেরেন্ট।
সেই রেশ কাটতে না কাটতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আবারও এমন ভিডিও প্রকাশ পেল।

দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে শ্বাসরোধে হত্যা

দক্ষিণ আফ্রিকার পিটারমেরীজবার্গ শহরের রিটিপস্ট্রিট এলাকায় জাকের হোসেন নামে এক বাংলাদেশি যুবককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এদিকে ক্ষাউটেং প্রভিন্স শহরের লেনেসিয়া এলাকায় কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হন জুয়েল নামে অপর এক বাংলাদেশি।
সোমবার স্থানীয় সময় রাতে রিটিপ স্ট্রিট এলাকার নিজ দোকান থেকে কম্বল পেচানো অবস্থায় জাকেরের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত জাকের কবিরহাট উপজেলার সোন্দলপুর ইউনিয়নের কালামুন্সি বাজারের পাশে দক্ষিণ সোন্দলপুর গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের নতুন বাড়ির মৃত আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ‘জীবিকার তাগিদে ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় যায় জাকের। সর্বশেষ ২০১৭ সালে বাড়িতে এসে ছয় মাস থেকে আবার আফ্রিকায় ফিরে যায়। আফ্রিকার পিটারমেরীজবার্গ শহরের রিটিপ স্ট্রিট এলাকায় নিজের একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ছিল তার। ওই প্রতিষ্ঠানে জাকেরকে সহযোগিতা করত ভারতের একটি ছেলে। সোমবার আফ্রিকাতে থাকা জাকেরের ভাই ওয়াসিম তার মৃত্যুর বিষয়টি বাড়িতে জানায়।’
ওয়াসিম জানান, ‘জাকের যেখানে ব্যবসা করেন তার আশপাশে কোন বাঙালি থাকত না। গত শুক্রবার থেকে তার দোকান বন্ধ ছিল। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ দোকানের দরজা ভেঙে জাকেরের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। তবে তার দোকানে কর্মরত ভারতের ছেলেটিকে পাওয়া যায়নি।’
এদিকে জাকেরের মৃত্যুর খবরে তার গ্রামের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপরদিকে, সোমবার দুপুরে আফ্রিকার ক্ষাউটেং প্রভিন্স শহরের লেনেসিয়া এলাকার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সেই দেশি সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের গয়েছপুর গ্রামের জুয়েল নামে এক যুবক। বর্তমানে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় একটি হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট তেমের দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার

বড় বাজার লাতিন আমেরিকা

• গত অর্থবছরে মারকোসারের সদস্যভুক্ত চার দেশে রপ্তানি হয় প্রায় ২১ কোটি ডলারের পণ্য
• আমদানি হয়েছে ২৩১ কোটি ৮০ লাখ ডলারের পণ্য
• রপ্তানির ৮৫ শতাংশই হয় ব্রাজিলে
Eprothom Alo
বাংলাদেশি পণ্যের সম্ভাব্য বড় রপ্তানি গন্তব্যস্থল হিসেবে অনুচ্চারিত এক মহাদেশের নাম লাতিন আমেরিকা। সংগত কারণেই এ তালিকায় মহাদেশটির নাম কারও মুখে আসে না। কারণ, লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি হয় সামান্যই। উল্লেখ করার মতো যে দেশে রপ্তানি কিছুটা হয়, তার নাম হচ্ছে ব্রাজিল। যদিও ব্রাজিলে রপ্তানির তুলনায় দেশটি থেকে বাংলাদেশের আমদানি আট গুণ বেশি।

অথচ লাতিন আমেরিকার প্রায় সব দেশই হতে পারে বাংলাদেশি পণ্য বিশেষ করে তৈরি পোশাকের বড় বাজার। বিশেষজ্ঞ ও রপ্তানিকারকেরা বলছেন, লাতিন আমেরিকাকে বড় বাজার বা রপ্তানি গন্তব্যস্থল করতে গেলে কয়েকটি পক্ষকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। পক্ষগুলো হচ্ছে রপ্তানিকারক; বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দেশগুলোতে থাকা বাংলাদেশি মিশন; লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর সরকার এবং ওই সব দেশের আমদানিকারকেরা।
একটি উদ্যোগ অবশ্য শুরু করেছেন ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জুলফিকার রহমান। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক চিঠি দিয়ে জানান যে মারকোসারের সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। ব্রাজিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মহাপরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি এ ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব পেয়েছেন। মারকোসারের সঙ্গে এফটিএর আলোচনা শুরু করতে তিনি আগ্রহপত্র পাঠানোর অনুরোধ করেন।
 মারকোসার হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার এক বাণিজ্য জোট, যে জোটের গুরুত্বপূর্ণ চার সদস্য আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ে। ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত এ জোটে বলিভিয়া, চিলি, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, গায়ানা, পেরু ও সুরিনাম হচ্ছে সহযোগী সদস্য।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অবশ্য ওই চিঠি পাওয়ার পর থেকে সজাগ হয়েছে এবং ট্যারিফ কমিশনকে দিয়ে একটি সমীক্ষাও করিয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে ব্যবসায়ী নেতাসহ আন্তমন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠকও করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বৈঠকে উপস্থিত প্রায় সবারই একই মত। আর সেটা হচ্ছে, রপ্তানি পণ্যে বহুমুখিতা যেমন দরকার, আবার রপ্তানি পণ্যের নতুন বাজারও খোঁজা দরকার। এই সময়ে সম্ভাব্য বড় বাজার হতে পারে দক্ষিণ আমেরিকা এবং আপাতত পছন্দের দেশ হতে পারে মারকোসারের গুরুত্বপূর্ণ চার সদস্য।
ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, মারকোসারের চার দেশের জনসংখ্যা ৩০ কোটি, গড় মাথাপিছু আয় ১০ হাজার ডলারের বেশি এবং মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) চার ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। এফটিএ করা গেলে উভয় পক্ষেরই বাণিজ্য বাড়বে, তবে বেশি লাভবান হবে বাংলাদেশ।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে। তবে এফটিএর ব্যাপারটিই তো দ্বিপক্ষীয়। আমরা যেমন সুবিধা নিতে চাইব, অপর পক্ষকেও সুবিধা দিতে হবে। সুতরাং দর-কষাকষি করার সময় খেয়াল রাখতে হবে, আমাদের প্রধান পণ্য যেন ওই পক্ষের নেতিবাচক তালিকায় না ঢুকে পড়ে।’
মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনকার এফটিএ আলোচনায় বাণিজ্যের সঙ্গে বিনিয়োগের বিষয়ও আসে। মারকোসারের সঙ্গে এফটিএ আলোচনার অগ্রগতি হলে আশা করি বিনিয়োগ আলোচনাও বাদ পড়বে না।’
মারকোসারের সঙ্গে এফটিএ করার ব্যাপারে অনুষ্ঠিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকের কার্যপত্রে বলা হয়েছে, মারকোসারের একটি বিশাল বাণিজ্য অঞ্চল এবং এই অঞ্চলে বাংলাদেশি পণ্যের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু সম্ভাবনা অনুযায়ী রপ্তানির পরিমাণ খুবই কম। কম হওয়ারও কারণ আছে। দেশগুলোতে বাংলাদেশি পণ্য ঢুকতে উচ্চ শুল্ক আরোপ করা আছে। উচ্চ শুল্কের কারণে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি এখন বন্ধ। পাট রপ্তানিও বন্ধের পথে। তবে এফটিএ করে শুল্ক কমানো গেলে বা শূন্য করা গেলে দেশগুলোতে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার অনেক বড় হবে।
ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদন বলছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ মারকোসারের সদস্য চার দেশে ২০ কোটি ৮০ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। এর মধ্যে ব্রাজিলেই রপ্তানি হয় ৮৫ শতাংশ অর্থাৎ ১৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের পণ্য। একই সময়ে দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ ২৩১ কোটি ৮০ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। বাংলাদেশ আমদানি করে চিনি, ভোজ্যতেল, ভুট্টা, গম ও পশুখাদ্য ইত্যাদি। রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে ওষুধ, তামাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং তৈরি পোশাক। এফটিএ হলে উভয় পক্ষের বাণিজ্য বাড়বে ২০ গুণ।
জানা গেছে, বাংলাদেশে এ দেশগুলোর বিনিয়োগের তথ্য ট্যারিফ কমিশন বা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়—কেউই জোগাড় করতে পারেনি। তবে উচ্চ মাথাপিছু আয়ের দেশ হয়েও তাদের দেশে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে কোনো শুল্কমুক্ত বা কোটামুক্ত সুবিধা পাওয়া যায় না। দেশগুলোর সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক কোনো বাণিজ্য চুক্তিও নেই বাংলাদেশের। মারকোসারের দেশগুলো তৈরি পোশাক, জুতা, মাছ ইত্যাদি পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপ করে।
নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘মারকোসারের সদস্যরা বিশেষ করে ব্রাজিল আমাদের পণ্য রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। সব খরচ মিলিয়ে ব্যয় ৬০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। মারকোসারের সঙ্গে এফটিএ হওয়া খুবই দরকার। কারণ, ব্রাজিল, উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে মিলিয়ে বাজারটা আসলেই অনেক বড়।
শুল্ক সুবিধা পাওয়ায় লাতিন আমেরিকার মধ্যে চিলিতে রপ্তানি বাড়ছে জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে পোশাকশিল্প মালিক টিপু মুনশি দায়িত্ব নেওয়ার পর আমরা এ আশা করতেই পারি যে দক্ষিণ আমেরিকাও হবে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশি পণ্যের অন্যতম বড় রপ্তানি গন্তব্যস্থল।’
মারকোসারের সদস্যদেশগুলোর মধ্যে যেসব দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস ও মিশন রয়েছে, সেসব দেশের রাষ্ট্রদূত ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলররা দেশগুলোতে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে কী করেছেন এবং ভবিষ্যতে কী করবেন—এ ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাগিদ দেওয়া জরুরি বলে মনে করেন মোহাম্মদ হাতেম।
এ বিষয়ে অবশ্য বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে যোগাযোগ করলে বাণিজ্যসচিব মো. মফিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মারকোসারের সঙ্গে এফটিএ করতে আমরা আগ্রহী। ঢাকায় ব্রাজিল দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। একটি দলকে মারকোসারের সদস্যদেশগুলোতে পাঠানোর চিন্তা চলছে।’
 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates