Social Icons

Showing posts with label রেসিপি. Show all posts
Showing posts with label রেসিপি. Show all posts

Tuesday, March 12, 2019

জেনে নিন বাসি রুটির উপকারিতা


বাসি খাবার খেলে শরীরে নানা অসুখ বাসা বাঁধতে পারে, এমনটাই ধারণা সবার। এটি অনেকক্ষেত্রে ঠিকও। তাইতো কোনোরকম বাসি খাবার জমলে আমরা ফেলে দেই। এমনকি ফ্রিজে রেখে দিনের পর দিন একই খাবার খেলে তাও অসুখের কারণ হতে পারে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, এতকিছুর ভিড়ে বাসি রুটি খেলে তো আপনার অপকার হবেই না বরং মিলবে উপকার!
রাতে রুটি খাওয়ার অভ্যাস আছে অনেক বাসায়ই। আর হিসেবমতো গুনেগুনে রুটি কে-ইবা তৈরি করতে পারে! দু-একটা কম-বেশি তো হয়ই। আর তাতেই অতিরিক্ত খাবারটুকু রয়ে যায়। বেশিরভাগ সময়েই আমরা বাসি রুটি ফেলে দেই। কিন্তু নিচের উপকারিতগুলো জানলে আর ফেলবেন না-
শক্তি জোগায়
সকালে একটু আগেভাগে বাসা থেকে বের হতে হলে কিছুই মুখে না দিয়ে বের হয়ে পড়েন অনেকেই। খাবার তৈরি করার সময় না থাকলে দেখুন আগের রাতের রুটি রয়ে গেছে কিনা। থাকলে সেই রুটি নিয়ে এক গ্লাস দুধ দিয়ে খেয়ে নিন। দেখবেন এতে পেট ভর্তিও থাকবে, আবার আপনি অনেক ক্ষণ ধরে এনার্জিও পাবেন।
হজমশক্তি বাড়ায়
প্রতিদিন নানা ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে হজমে সমস্যা লেগেই থাকে আমাদের। বাসি রুটি খেলে এই হজমের সমস্যার সমাধান হয়। কারণ রুটিতে থাকা ফাইবার সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও শক্তিশালী হয়। তাই এবার থেকে বাসি রুটি না ফেলে সকালে খেয়ে নিন।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
বাসি রুটি আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। ঠান্ডা দুধ দিয়ে বাসি রুটি খেলে শরীরের সোডিয়াম বা লবণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। আর তাই রক্তচাপও ঠিক থাকে।

সৌন্দর্য বৃদ্ধি
বাসি রুটি আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে পারে। কারণ বাসি রুটির মধ্যে থাকা জিঙ্ক শরীরের থেকে টক্সিন দূর করে। সেইসঙ্গে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়তে থাকে। তাই ত্বকও হয়ে ওঠে সুন্দর।
ওজন কমায়
বাসি রুটির মধ্যে থাকা ফাইবার অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে আমাদের ক্ষুধা কম পায়। আর ক্ষুধা কম পায় বলে আমরা কম খাই আর আমাদের শরীরের ওজন আর বাড়ে না। তাই ওজন কমাতে চাইলে বাসি রুটি খান।
হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমায়
বাসি রুটির ফাইবার হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া কারডিওভাসকুলার নানা রোগও কম হয়। তাই সার্বিকভাবে হার্ট ভালো থাকে।
অ্যাজমার প্রকোপ কমায়
বাসি রুটির মধ্যে থাকা ম্যাগনেশিয়াম আর ভিটামিন ই অ্যাজমার মতো রোগের প্রকোপ অনেক কমায়। অ্যাজমার সমস্যা থাকলে তাই বাসি রুটি খেয়ে দেখতে পারেন।

শরীর শীতল রাখে
গরমে আপনার শরীর ভিতর থেকে ঠান্ডা রাখতে আপনি বাসি রুটিকে সঙ্গী করতেই পারেন। দেখা গেছে, বাসি রুটি সুন্দরভাবে আমাদের শরীর ঠান্ডা রাখে।

Wednesday, December 26, 2018

ঘরেই তৈরি করুন ইলিশ বল

ইলিশ মাছ দিয়ে মজার অনেক খাবার তৈরি করে থাকি। তেমনই একটি পদ হলো ইলিশ বল। সাধারণত আমরা যেভাবে ফিশবল তৈরি করি এটি অনেকটা সেভাবেই করতে হয়।
আসুন জেনে নেই কীবাবে তৈরি করবেন ইলিশ বল।
উপকরণ
ইলিশ মাছ ৬ টুকরা, সয়াসস ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, আদা বাটা ১ চা-চামচ, রসুন বাটা আধা চা-চামচ। সব উপকরণ দিয়ে মাছ সেদ্ধ করে কাঁটা বেছে নিতে হবে। সেদ্ধ ডিম ২টা, গাজর কুচি সিকি কাপ, আলু কুচি আধা কাপ, বরবটি কুচি সিকি কাপ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, মাখন ৫০ গ্রাম, জিরার গুঁড়া ১ চা-চামচ, ডিম ২টা, ব্রেডক্রাম প্রয়োজনমতো, তেল (ভাজার জন্য) প্রয়োজনমতো, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি
সেদ্ধ ডিম দুটি মিহি কুচি করে নিতে হবে। সবজিগুলো অল্প লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। ডিম ও ব্রেডক্রাম ছাড়া সব উপকরণ একসঙ্গে মাখাতে হবে। এবার বলের মতো বানিয়ে ডিমে চুবিয়ে ক্রামে গড়িয়ে ডুবো তেলে ভাজতে হবে। গরম গরম সসের সঙ্গে পরিবেশন।

Wednesday, August 1, 2018

রেসিপি : মুরগি দিয়ে মুগ ডাল

বাঙালিদের ডাল খুব পছন্দের খাবার। প্রায় প্রতিদিনই ভাতের সঙ্গে পানীয় ডাল খাওয়া হয়। তবে এই ডাল দিয়ে একটু ভিন্ন স্বাদের আইটেম করলে কেমন হয়! মনে হয় মন্দ হবে না, তাই মুগ ডাল দিয়ে মুরগির মাংসের রেসিপি হয়ে যাক।
উপকরণ  
মুরগির মাংস এক কেজি, শুকনো খোলায় ভেজে নেওয়া মুগের ডাল (সেদ্ধও করে নিতে পারেন) ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কয়েকটি, শুকনা মরিচের গুঁড়ো, আদা ও রসুন বাটা এক চামচ করে, হলুদ, জিরে, ধনে গুঁড়ো এক চামচ করে, লবণ এক চামচ, একটি পাতিলেবুর রস, চিনি দুই চামচ, সাদা তেল দুই কাপ, তেজপাতা একটা, লবঙ্গ তিন-চারটে, ছোট এলাচ তিনটে, দারুচিনি টুকরো, টমেটো কুচি এক কাপ, সামান্য ধনেপাতা কুচি, কিছু গরম পানি।
প্রণালি
মুরগির মাংসের সঙ্গে পেঁয়াজ কুঁচি, টমেটো কুঁচি, আদা বাটা, রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়ো, শুকনো মরিচের গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, লবণ, পাতিলেবুর রস দিয়ে ভাল করে মেখে নিন। এরপর প্যানে তেল দিয়ে তেজপাতা, লবঙ্গ, ছোট এলাচ, দারুচিনি দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। পাঁচ মিনিট পর আঁচ কমিয়ে দিন। দশ মিনিট পর ডাল দিয়ে কষুন। এতে দুই চামচ চিনি দিন। এখন পানি দিয়ে ঢেকে দিন। দশ মিনিট পর আঁচ বাড়িয়ে টমেটো কুচি ও কাঁচা মরিচ চিরে দিন। এরপর ধনেপাতা ছড়িয়ে লেবুর রস দিয়ে নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিন।
এখন গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। এছাড়া রুটি দিয়েও পরিবেশন করতে পারেন।
সূত্র : রান্না ঘর।

Monday, May 28, 2018

সেহরিতে গরুর কালা ভুনা


গরুর মাংস দিয়ে রান্নাযোগ্য পদগুলোর মধ্যে গরুর কালা ভুনা অনেকের কাছেই বেশ জনপ্রিয়। রাতে সেহরিতে থাকতে পারে মুখরোচক এ খাবারটি। পোলাও থেকে শুরু করে সাদা ভাত, রুটি, পরোটা, পাউরুটি সব দিয়েই খেতে পারেন।
আসুন জেনে নেই কীভাবে তৈরি করবেন গরুর কালা ভুনা
উপকরণ
গরুর মাংস ১ কেজি, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, টক দই আধা কাপ, মরিচ গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, ভাজা মেথি গুঁড়া ১ চা চামচ, তেল ১০০ গ্রাম, পাঁচফোড়ন
১ টেবিল চামচ, কালো গোল মরিচের গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণ মতো, পেঁয়াজ কুচি এক কাপ, এলাচ
৬-৭টা, দারুচিনি ৩-৪ টুকরা, তেজপাতা ২-৩টি। গরম মশলা গুঁড়া।
যেভাবে করবেন
প্রথমে মাংস ধুয়ে নিন। এরপর পানি ঝরিয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে মাংস নিয়ে এর সঙ্গে সব উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিন।
মেথি, গোল মরিচ, পাঁচফোড়ন বাদে। এরপর অল্প আঁচে চুলোয় ৩০ মিনিট রান্না করুন। এবং মেথি, কালো গোলমরিচ, পাঁচফোড়ন-মাংসে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
কিছুক্ষণ রাখুন। তেল মাংসের উপরে উঠে এলে পরিবেশন ডিশে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

ইফতারে ডিমের চপ

পবিত্র রমজান মাসে ভাজাপোড়া ছাড়া কি ইফতার জমে। পেঁয়াজু, আলুর চপ, পাকোড়া, বেগুনি ছাড়াও অনেক ভাজাপোড়া খাবার দৈনিক ইফতার মেন্যুতে থাকতে দেখা যায়।
ইফতারে খেতে পারেন ডিমের চপ। ডিম দিয়েও তৈরি করা যায় মজাদার চপ। খেতে ভীষণ সুস্বাদু আর তৈরি করতে সময়ও লাগে কম।
আসুন জেনে নেই কীভাবে তৈরি করবেন ডিমের চপ।
উপকরণ
আলু ৫০০ গ্রাম, সেদ্ধ ডিম ২টি, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, কাঁচামরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, পুদিনাপাতা কুচি ১ চা-চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ (টেলে নেওয়া মরিচ), ধনে গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, বিস্কুটের গুঁড়া প্রয়োজনমতো, একটি ডিম ফেটানো এবং তেল ভাজার জন্য।
প্রণালি
প্রথমে আলু সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে ভর্তা করে নিন। ডিমও একইভাবে সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে ভর্তা করে নিন।
তারপর ভর্তা করা ডিম ও আলুর সঙ্গে একে একে সব মসলা ও পেঁয়াজ কুচি ভালো করে মাখিয়ে হাত দিয়ে গোল গোল বা চ্যাপ্টা করে প্রথমে ফেটানো ডিমে মাখিয়ে নিন।
তারপর বিস্কুটের গুঁড়ায় গড়িয়ে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন। তারপর চপগুলো গরম গরম ডুবন্ত তেলে ভেজে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

Sunday, May 27, 2018

স্প্যানিশ ফিস প্রয়োজনীয় উপকরণ


প্রয়োজনীয় উপকরণ:
১ কেজি মাছের ফিলেট, ৫০ গ্রাম ময়দায় লবণ ও গোলমরিচ মেশানো, ৬ টেবিল চামচ তেল, ৫০০ গ্রাম টমেটো, ২টি ক্যাপসিকাম বীজ ছাড়িয়ে কুচি করে রাখা, ২টি কাঁচা মরিচ কুচি, ৪ কোয়া রসুন থেঁতো করা, ২ টেবিল চামচ টমেটো প্যিউরি৷

প্রস্তুত প্রণালী:
মাছের ফিলেটকে টুকরো করে কেটে ময়দা মাখিয়ে নিন৷ এবার একটি বড় কড়ায় তেল গরম করুন৷ এবার মাছের টুকরোগুলো দিয়ে ভেজে নিন৷ বাদামী রঙ ধরে তুলে আলাদা করে রেখে দিন৷ এবার টমেটো কুচি করে রস সমেত কড়ায় দিয়ে দিয়ে তাতে মরিচ, ক্যাপসিকাম, রসুন, লবণ ও গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে দিন৷ এবার এটিকে বেশ খানিকক্ষণ কষিয়ে নিন যাতে সেদ্ধ হয়ে যায়৷ এবার ভেজে রাখ মাছের টুকরো দিয়ে দিন৷ ঢাকনা দিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন৷ এবার এতে টমেটো প্যিউরি ঢেলে আরও পাঁচ মিনিট নাড়িয়ে নিন৷ স্প্যানিশ ফিশ তৈরি৷ ইচ্ছেমতো গার্নিশ করে গরম গরম পরিবেশন করুন৷

Saturday, May 26, 2018

গাজরের কয়েকটি রেসিপি

গাজরের সুপ
উপকরণ : কেনোলা অয়েল ৩ টেবিল চামচ, কারি পাউডার ২ চা চামচ, গাজর ৮টি, (খোসা ফেলে পাতলা স্লাইস করে কাটা), ধনেপাতাকুচি ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ (কুচি করে কাটা) ১ টেবিল চামচ, চিকেন স্টক ৫ কাপ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, লবণ আধা চা চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ।
প্রণালী : একটি বড় সসপ্যানে তেল গরম করে তাতে কারি পাউডার ঢেলে দিন। ৫ মিনিট পর এতে গাজর, পেঁয়াজ, লবণ ও ধনেপাতাকুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন। মিনিট দশেক ভাজার পর এতে চিকেন স্টক ঢেলে জ্বাল দিতে থাকুন। ফুটতে শুরু করলে জ্বাল কমিয়ে ঢেকে রান্না করুন গাজর সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত। এবার নামিয়ে ঠাণ্ডা করুন। ঠাণ্ডা হলে পুরো মিশ্রণ ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। আবার পুরো লিকুইড প্যানে দিয়ে জ্বাল দিন। মাঝারি আঁচে মিনিট ১০ জ্বাল দিয়ে নামিয়ে নিন। লেবুর রস ও গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। ধনেপাতা ও লবঙ্গ দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

গাজরের কেক
উপকরণ : আনারসকুচি ১ কাপ, ময়দা ২ কাপ, বেকিং সোডা ২ চা চামচ, লবণ আধা চা চামচ, দারুচিনি (গুঁড়া) ২ চা চামচ, ডিম ৪টি, চিনি দেড় কাপ, দুধ ১ কাপ, গলানো মাখন আধা কাপ, ভ্যানিলা এসেন্স ১ চা চামচ, গাজর কুচি ২ কাপ, নারকেল কোরানো সিকি কাপ, আখরোট (শুকনা ভেজে কুচি করে নেয়া) আধা কাপ।
ফ্রস্টিংয়ের জন্য : ক্রিম চিজ ১২ আউন্স (নরম করা), আইসিং সুগার আধা কাপ, ভ্যানিলা এসেন্স দেড় চা চামচ, নারকেল কোরানো ২ টেবিল চামচ, (রোস্ট করে নেয়া)।
প্রণালী : ওভেন ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াম তাপমাত্রায় প্রিহিট করে নিন। একটি বড় বোলে আনারসের (রস ছাড়া) টুকরোগুলো নিন। তবে রস ফেলে দেবেন না। অন্য বোলে ময়দা, বেকিং সোডা, লবণ ও দারুচিনি গুঁড়া ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। আরেকটি বাটিতে প্রথমে ডিম ফেটুন। ভালোভাবে ফেটা হলে এতে চিনি, দুধ, তেল, ভ্যানিলা এসেন্স ও আনারসের রস (সিকি কাপ) দিয়ে চিনি গলে যাওয়া পর্যন্ত ফেটাতে থাকুন। এবার এতে আনারসের টুকরো, গাজর কুচি, নারকেল (সিকি কাপ) দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর ময়দার মিশ্রণ ঢালুন। ভালোভাবে মেশান পুরো উপকরণ। কেকের ট্রেতে মাখন মেখে গ্রিজ করে নিন। উপরে কিছুটা শুকনো ময়দা ছড়িয়ে দিন। এবার কেকের পুরো উপকরণ ঢেলে ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট বেক করুন। ওপরটা হালকা বাদামি রঙ ধরলে নামিয়ে নিন। ঠাণ্ডা করুন। ফ্রস্টিংয়ের সব উপকরণ একসাথে নিয়ে ইলেকট্রিক মিক্সচার দিয়ে বিট করতে থাকুন মসৃণ হয়ে আসা পর্যন্ত। কেকের ওপর ফ্রস্টিং ছড়িয়ে পরিবেশন করুন। ওপরে নারকেলও ছড়িয়ে দিতে পারেন।

গাজরের সালাদ
উপকরণ : কেনোলা অয়েল ২ টেবিল চামচ, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, মধু ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, লবণ আধা চা চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া সিকি চা চামচ, গাজরকুচি ২ কাপ, আপেলকুচি ১ কাপ, কিশমিশ সিকি কাপ, আখরোট (কুচি করা) সিকি কাপ।
প্রণালী : একটি বাটিতে কেনোলা অয়েল, লেবুর রস, মধু, লবণ, গোলমরিচের গুঁড়া একসাথে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার এর সাথে গাজর কুচি, পেঁয়াজ কুচি, আপেলকুচি, কিশমিশ ও আখরোট সামান্য রোস্ট করে এর সাথে মিশিয়ে নিন। ভাত বা রুটির সাথে অথবা এমনি এই সালাদ খেতে পারেন।

Thursday, May 17, 2018

সেহরিতে যে খাবারগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন

গরমের দিনে রোজায় সেহরিতে খাবার অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সেহরির খাবার মুখরোচক, স্বাস্থ্যসম্মত হওয়া যেমন প্রয়োজন, তেমনি সহজে যেন হজম হয় ও সারা দিন সুস্থ রাখতে সাহায্য করে সে বিষয়গুলো দরকারি। আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক সেহরিতে যে খাবারগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকলে শরীর ভালো থাকবে।
(১) তেহারি, বিরিয়ানি, পোলাও—এই জাতীয় গুরুপাক খাবারগুলো সেহরিতে খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন, যা আপনার হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে,পেটে গ্যাস তৈরি হতে পারে।
(২) যেকোনো রকম, শাক বা আঁশ জাতীয় সবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এটি আপনার বদহজম তৈরি করতে পারে।
(৩) সেহরিতে শুঁটকি মাছ রান্না ও ভর্তা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন,এটি আপনার হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
(৪) অধিক মসলা জাতীয় তৈলাক্ত খাবার দিয়ে রান্না সেহরিতে খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
(৫) আগে থেকে রান্না করা মুরগির মাংস সেহরির সময় গরম করে খাবেন না। মুরগির মাংস রান্নার পরে নতুনভাবে গরম করে খেলে একধরনের বিষাক্ত গ্যাস সৃষ্টি হতে পারে, যা আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
(৬) সেহরিতে মিষ্টি জাতীয় খাবার, মিষ্টি দই খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন, এগুলো বদহজম তৈরি করতে পারে।
(৭) সেহরি খাওয়ার পর সফ্ট ড্রিঙ্কস খাবেন না ।

Friday, May 11, 2018

খুব সহজেই রান্না করুন ইলিশ দিয়ে কচুশাক ।


                             উপকরনঃ

• ইলিশ মাছঃ ৫ পিস বা ইলিশের মাথা ও লেজঃ ২ টি করে
• কচু শাকঃ ১/২ কেজি
• সরিষার তেলঃ ১/৪কাপের
• পেয়াজকুচিঃ ১/৪কাপ
• রসুন বাটাঃ ১/২চা চামচ
• লাল মরিচ গুড়োঃ ১চা চামচ
• হলুদের গুড়োঃ ১/২চা চামচ
• জিরা বাটাঃ ১চা চামচ
• কাচা মরিচঃ ৩ টি
• লবন পরিমান মত
• চিনিঃ ১/২চা চান
প্রনালীঃ

কচুশাক ধুয়ে লবন পানিতে ১০ মিনিট সিদ্ধ করে নিন।তারপর পানি ছেকে নিন।
ইলিশের সাথে হলুদ ও লবন মাখিয়ে রাখুন।প্যানে ২ টেবিলচামচ তেল দিয়ে মাছ ভেজে তুলুন।
কড়াইতে তেল দিয়ে পেয়াজ দিন।পেয়াজ নরম হলে বাটা ও গুড়ো মশলা দিন।পানি দিয়ে মশলা কষিয়ে নিন।মাছ দিন।মশলার সাথে মাছ মিশিয়ে ঢেকে অল্প আচে ৫ মিনিট রান্না করুন।১/২কাপ পানি ও সিদ্ধ কচু দিন।আস্তে করে মিশিয়ে নিন।কাচামরিচ ও লবন দিয়ে ঢাকনা দিয়ে অল্প আচে রাখুন।মাখা মাখা হলে চিনি ছিটিয়ে দিন।চুলা বন্ধ করুন।
গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।

ভিন্ন স্বাদের মজার চিকেন টেরিয়াকি ।

প্রয়োজনীয় উপকরণ:
  • ৮টি বোনলেস চিকেনের ব্রেস্ট।

টেরিয়াকি সস তৈরির জন্য:
  • ২ টেবিল চামচ আদাবাটা, ২ টেবিল চামচ রসুনবাটা, ৪ টেবিল চামচ গুড়, ১০০ গ্রাম তেঁতুল বাটা, ৫০০ মিলি পানি, ১৫০ মিলি মাশরুম সোয়া সস, ১৫০ মিলি ভিনিগার, ২ চা চামচ লাল মরিচ বাটা৷

প্রস্তুত প্রণালী:
চিকেনের ব্রেস্টগুলিকে ধুয়ে পরিষ্কার করে অর্ধেক করে নিন৷ তেঁতুল বাটা ১৫ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন৷ এবার পানি আলাদা করে নিন৷ একটি বাটিতে আদা, গুড়, তেতুল বাটা, পানি, সোয়াসস, ভিনিগার, লাল মরিচ বাটা ও আলাদা করে রাখা তেঁতুলের পানি একসঙ্গে মিশিয়ে নিন৷ এবার এতে মাংসগুলি প্রায় ৩০ মিনিট বা তার বেশি সময় ধরে ম্যারিনেড করে রাখুন৷ এবার চিকেনগুলি শিকে গেঁথে গ্রিল কাম বারবিকিউ ট্রেয়ের উপর রাখুন৷ এবার ওভেন কে ২৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াস উষ্ণতায় প্রহিট করে নিন৷ ট্রেটিকে ওভেনের সবচেয়ে উপরের র‌্যাকে রেখে ব্রয়েল সেটিংয়ে দিয়ে দিন৷ এবার চিকেনগুলি ২৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াস উষ্ণতায় ৩০ মিনিট ব্রয়েল করে নিন৷ এবার ম্যারিনেডের বাকি অংশগুলি চিকেনের উপর ভাল করে মাখিয়ে আরও খানিকক্ষণ ওভেনে রাখুন৷ মাংস সেদ্ধ ও নরম হলে বের করে নিন৷ স্যালাড ও সসের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন৷

Friday, April 27, 2018

শবেবরাতে হালুয়ার ৩ পদ

শবেবরাত। ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য এই দিনটির অপেক্ষা করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। আর এই দিনে রুটি আর হালুয়া খাওয়ার কোনো নিয়ম না থাকলেও একটু মিষ্টিমুখ তো করাই যেতে পারে।
তবে নামাজের জন্য হাতে যেন সময় থাকে, সে জন্য মজার হালুয়া খেতে হলে আগে তৈরি করে রাখতে পারেন।
আসুন জেনে নিই শবেবরাতের তিন পদের হালুয়া সম্পর্কে-
ছোলার ডালের হালুয়া
উপকরণ
ছোলার ডাল ৫০০ গ্রাম, দুধ ১ লিটার, চিনি ৭৫০ গ্রাম, ঘি চার ভাগের এক কাপ, এলাচ গুঁড়ো , দারুচিনি, গোলাপজল ১ টেবিল চামচ। কিসমিস ৩ টেবিল চামচ, পেস্তা বাদাম কুচি ৩ টেবিল চামচ।
প্রণালি
ছোলার ডাল, দুধ দিয়ে সিদ্ধ করে শুকিয়ে গেলে গরম অবস্থায় বেটে নিতে হবে। কড়াইতে ঘি দিয়ে ডাল বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে চিনি দিন। এলাচ, দারুচিনি গুঁড়ো দিতে হবে। হালুয়া তাল বেঁধে উঠলে কিসমিস, গোলাপজল দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে-চেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। বড় থালায় ঘি লাগিয়ে পেস্তা বাদাম কুঁচি ছিটিয়ে গরম হালুয়া ঢেলে সমান করতে হবে। ঠাণ্ডা হলে ছাঁচে বসিয়ে বিভিন্ন নকশা করে পরিবেশন করুন।
ডিমের হালুয়া
উপকরণ
ডিম ৮টি, চিনি পৌনে ২ কাপ, দুধ ঘন ১ কাপ, ঘি ১ কাপ, এলাচ ২টি, দারুচিনি ২ সেমি ২ টুকরো, গোলাপজল ২ টেবিল চামচ, জাফরান সামান্য।
প্রণালি
গোলাপজলে জাফরান আধঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। ডিম কাঁটা চামচ দিয়ে ফেটে দিন। সব উপকরণ একত্রে মেশান। মৃদু আঁচে চুলায় দিয়ে নাড়তে থাকুন। খুব সাবধানে নাড়তে হবে যেন তলায় না লাগে। ডিম জমাট বেঁধে মিহিদানার মতো হবে। পানি শুকিয়ে ঘি বের হলে চুলা থেকে নামিয়ে নাড়ুন। বেশিক্ষণ ভাজলে হালুয়া শক্ত হয়ে যাবে। পরিবেশন পাত্রে ঢেলে ওপরে মাওয়া, বাদাম কুঁচি দিয়ে সাজিয়ে দিন।
বাদামের হালুয়া
উপকরণ
কাজু বাদাম ২ কাপ, ছানা ২ কাপ, চিনি ২ কাপ, এলাচ গুঁড়া সিঁকি চা চামচ, ঘি আধা কাপ, ময়দা ১ টেবিল চামচ, কিসমিস ১ টেবিল চামচ, কাজু ও পেস্তা বাদাম সাজানোর জন্য।
প্রণালি কাজু বাদাম হালকা ভেজে তিন-চার ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পানি থেকে তুলে কাজু বাদাম ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এবার চুলায় পাত্রে ঘি দিয়ে কাজু বাদাম ও ছানা দিয়ে নাড়তে থাকুন এবং চিনি দিন। ময়দা, এলাচ গুঁড়া দিন। হালুয়া হয়ে এলে প্লেটে ঢেলে পিস করে নিন, সবশেষে সাজিয়ে ওপরে কিসমিস, কাজু ও পেস্তা বাদাম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

Saturday, April 14, 2018

অতিথি আপ্যায়নে ইলিশ কাবাব

কথায় আছে মাছের রাজা ইলিশ।পহেলা বৈশাখ বলে কথা, তাই ইলিশ মাছে না হলে কি চলে। ইলিশ মাছ দিয়ে নানা পদের খাবার তৈরি করে থাকেন আপনি। কখনো কি তৈরি করেছেন ইলিশের কাবাব। ইলিশের কাবাব একটি সুস্বাদু খাবার।
স্বাদে-গন্ধে ইলিশের জুড়ি নেই। আমরা সবাই হয়তো কমবেশি ইলিশ পছন্দ করি। ইলিশের বিভিন্ন রেসিপির মধ্যে সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদ আনবে ইলিশ কাবাব। পহেলা বৈশাখে অতিথি আপ্যায়ন আর পরিবারের সদস্যদের জন্য ঘরেই তৈরি করতে পারেন ইলিশের কাবাব।
আসুন জেনে নেই কীভাবে তৈর্ করবেন ইলিশের কাবাব।
উপকরণ
ইলিশ মাছ আস্ত একটি, গোলমরিচ গুঁড়া এক টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১/২ কাপ, কাঁচামরিচ কুচি এক টেবিল চামচ, টমেটো সস দুই টেবিল চামচ, আলু ম্যাশড এক কাপ, ধনেপাতা কুচি দুই টেবিল চামচ, রসুন দুই কোয়া (কুচি), লেবুর রস এক টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ১/২ কাপ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ১/২ কাপ, লেবুর খোসা (গ্রেট করা) কোয়ার্টার চা চামচ, টোস্ট বিস্কুটের গুঁড়া এক কাপ।
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে মাছের মাথা ও লেজ কেটে আলাদা করুন। এরপর সামান্য হলুদ, মরিচ গুঁড়া ও পরিমাণমতো লবণ মাখিয়ে মাথা ও লেজ হালকা ভেজে নিন। এরপর বাকি মাছ লবণ, লেবুর রস ও সামান্য পানি দিয়ে সেদ্ধ করে কাঁটা বেছে নিন।
এবার কড়াইতে তেল গরম করে রসুন ও পেঁয়াজ কুচি হালকা ভেজে মাছের কিমা দিয়ে নাড়তে থাকুন। এরপর দু-এক মিনিট পর সেদ্ধ আলু দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করে, একে একে গোলমরিচ গুঁড়া, কাঁচামরিচ কুচি, স্বাদমতো লবণ, টমেটো সস দিয়ে রান্না করে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন। এরপর অন্য একটি প্যানে সামান্য তেল দিয়ে বিস্কুটের গুঁড়া বাদামি করে ভেজে নিন। এরপর রান্না করা কিমার সঙ্গে ধনেপাতা কুচি, লেবুর খোসা ও বেরেস্তা ভেঙে আলতো করে মাখিয়ে নিন। এরপর সার্ভিং ডিশে দুই পাশে ভাজা লেজ ও মাথা রেখে, মাঝখানে মাখানো কিমা সাজিয়ে আস্ত মাছের মতো বানিয়ে নিন। এরপর সাজানো কিমার ওপর ভাজা বিস্কুটের গুঁড়া ছড়িয়ে চেপে দিন। কিমার ওপর চা চামচ দিয়ে মাছের আঁশের মতো বানিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার ইলিশ কাবাব।

পহেলা বৈশাখে মুখরোচকর ভর্তার ৭ পদ

পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৱসব। বৈশাখের প্রথম প্রহরে পান্তা, ইলিশ আর নানা পদের ভর্তা না খেলে কি বৈশাখ জমে। বৈশাখের খাবারে মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভর্তা সবারই প্রিয়। তাই পান্তা ভাতের সঙ্গে কয়েক পদের ভর্তা দিয়ে করতে পারেন অতিথি আপ্যায়ন।
আসুন দেখে নেই পহেলা বৈশাখে মুখরোচকর ভর্তার ৭ পদ।
কালিজিরা ভর্তা
কালিজিরার আধা কাপ, রসুনের কোয়া ২ টেবিল-চামচ, কাঁচামরিচ ৮টি, পেঁয়াজ কুঁচি ৪ টেবিল-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, সরিষার তেল ২ টেবিল-চামচ।
রসুন, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ কাঠখোলায় টেলে নিতে হবে। তেল বাদে সব উপকরণ পাটায় বেটে তেল দিয়ে মেখে ভর্তা করুন।
বেগুন ভর্তা
উপকরণ
বড় গোলবেগুন ১টি, সরিষা বাটা ১ চা চামচ, নারকেল মিহি বাটা ২ চা চামচ, টমেটো কুঁচি১ কাপ, পেঁয়াজ কুঁচি আধা কাপ, মেথি আধা কাপ, রাধুনী সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ কুঁচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো।
প্রণালী
বেগুনের গায়ে তেল মাখিয়ে পুড়িয়ে নিন। এবার পানিতে রেখে খোসা ছাড়িয়ে মেখে নিন। কড়াইয়ে তেল দিয়ে মেথি ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুঁচি দিন। পেঁয়াজ একটু নরম হলে টমেটো সরিষা, নারকেল, কাঁচামরিচ ও লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে বেগুন দিন। কড়াইয়ের তলা ছেড়ে এলে এবং একটু আঠালো হলে নামিয়ে নিতে হবে।
আলু ভর্তা
আলু আধা কেজি সিদ্ধ করে চটকে নিন। এবার পাত্রে ২ টেবিল চামচ তেল দিয়ে শুকনা মরিচ ভেজে পেঁয়াজ কুঁচি দিন। পেঁয়াজ বাদামী রং হলে পেঁয়াজ মরিচ লবণ দিয়ে চটকে আলু দিন এবার ধনেপাতা কুঁচি দিয়ে মেখে ভর্তা বানিয়ে নিন।
ছুরি শুঁটকি ভর্তা
উপকরণ
ছুরি শুঁটকি ছোট করে কাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুঁচি ২ কাপ, শুকনা মরিচের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, চিনি আধা চা চামচ, লেবুর রস ১ চা চামচ, তেল আধা কাপ, আদা বাটা আধা চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, তেজপাতা ১টি, কাঁচামরিচ চার টুকরা করে কাটা ৬টি।
প্রণালী
শুঁটকি ভালো করে ধুয়ে সেদ্ধ করে বেটে নিতে হবে। তেল গরম করে আদা-রসুন দিয়ে ভালো করে ভুনে শুঁটকি দিয়ে ভুনতে হবে। হলুদ, ধনে, মরিচের গুঁড়া, তেজপাতা, লবণ দিয়ে মাঝারি আঁচে ৮-১০ মিনিট ভুনে পেঁয়াজ দিয়ে ভুনতে হবে। পেঁয়াজ নরম হয়ে এলে চিনি, লেবুর রস, কাঁচামরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নামাতে হবে।
ধনেপাতার চাটনি
উপকরণ
টাটকা ধনেপাতা বড় ২ আঁটি, রসুন ২ কোয়া, তেঁতুল ১ টেবিল চামচ। কাঁচামরিচ ১টি, চিনি, লবণ স্বাদমতো।
প্রণালী
ধনেপাতার কচি ডগা ও পাতা বেছে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। ধনেপাতা, রসুন, কাঁচামরিচ, তেঁতুল, লবণ ও চিনি সব একসঙ্গে মিশিয়ে মিহি করে বেটে নিন। সামান্য ঝাল, মিষ্টি ও টকটক স্বাদ হবে।
সরিষা ভর্তা
উপরকণ
লাল সরিষা ৪ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ ১টি, লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালী
সরিষা ভালো করে বেছে ধুয়ে কাঁচামরিচ এবং লবণ দিয়ে শিলপাটায় বেটে নিন।
টমেটোর চাটনি
উপকরণ
দুটি বড় সাইজের টমেটো (কিউব করে কাটা), আখের গুঁড় চার টেবিল চামচ, সাদা সিরকা দুই টেবিল চামচ, আস্ত জিরা ১/৪ চা চামচ, তেজপাতা দুটি, শুকনা মরিচের খাকি এক চা চামচ, চিনি তিন টেবিল চামচ, সরিষার তেল দুই টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণ মত।
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে নিন। এরপর গরম তেলে আস্ত জিরা, তেজপাতা ও শুকনা মরিচের খাকি দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে এগুলো বাদামি করে ভেজে নিন। এরপর এর মধ্যে টমেটোগুলো দিয়ে দিন। টমেটোগুলো ভালো করে মসলার সঙ্গে মিশিয়ে নিন এবং পাঁচ মিনিট রান্না করুন। এরপর এর মধ্যে গুড়, চিনি ও হালকা একটু লবণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে সাত মিনিট রান্না করুন। এরপর ঢাকনা তুলে আর একটু নেড়ে এর মধ্যে দিয়ে দিন সিরকা। সিরকার সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর ঢেকে চুলায় উচ্চ তাপে আরো তিন মিনিট রান্না করুন। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন টক ঝাল মিষ্টি টমেটোর চাটনি।

Monday, April 2, 2018

ঘরেই বসেই বানান হাড়ি কাবাব

বারবিকিউ মেকার কিংবা কয়লার চুলা সচরাচর হাতের কাছে পাওয়া যায় না। কিন্তু হাড়ি কাবাব বানাতে কিন্তু এইসব ঝক্কি পোহাতে হয় না। নাম শুনেই বুঝতে পারছেন, হাড়ি কাবাব বানাতে পারবেন হাড়িতেই। তার মানে কাবাবের জন্য আর কাবাবের দোকানে যেতে হবে না। খেতে অন্যান্য কাবাবের চেয়ে কোন অংশেই কম হবে না। চলুন জেনে নেই কীভাবে রান্না করবেন মজাদার এ খাবারটি।
রান্নায় যা লাগবে
হাড় ছাড়া গরুর মাংস-১ কেজি, টক দই-১ কাপ,  পেয়াজ বাটা-১ কাপ, পেয়াজ কুচি-২ টেবিল চামচ (বেরেস্তার জন্য), রসুন বাটা-২ টেবিল চামচ, আদা বাটা-১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ বাটা-১/২ চা চামচ, জয়ত্রী বাটা-১/৪ চা চামচ (পরিমাণ মতো), জায়ফল বাটা-১/৪ চা চামচ (পরিমাণ মতো), গোল মরিচের গুঁড়া-১/২ চা চামচ, লাল মরিচ গুঁড়া-২ চা চামচ,  জিরা গুড়া-১ চা চামচ,  ধনে গুঁড়া(টেলে গুড়া করা)-২ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া-১ চা চামচ, কাঁচামরিচ-২ টা (পরিমাণ মতো, চিনি-১ চা চামচ(স্বাদ অনুযায়ী),  ভিনেগার (অথবা লেবুর রস)-১ টেবিল চামচ, তেল-১ কাপ,  তেজপাতা-২ টি, এলাচ-৩ টি, দারুচিনি-৪ টুকরা, লবঙ্গ-৪/৫ টি, লবণ-পরিমাণ মত

কীভাবে রান্না করবেন
মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার বাটিতে মাংসের টুকরাগুলোতে আস্ত কাঁচামরিচ আর ভিনেগার বাদে বাকি সমস্ত মশলা এবং অন্য উপকরণগুলো দিয়ে ভাল করে মেখে নিন মেরিনেট করার জন্য।  ভাল করে মশলা মাখানো হলে এবার ভিনেগার (অথবা লেবুর রস) মেশান। এ অবস্থায় মাখানো মাংস ২ ঘণ্টা (৫-৬ ঘণ্টা রাখলে আরও ভালো) ফ্রিজে রাখুন (ডিপ ফ্রিজে রাখবেন না)। রান্নার জন্য এবার হাড়িতে দেড় কাপ তেল দিয়ে গরম হলে পেয়াজ কুচি দিয়ে বাদামী করে ভেজে বেরেস্তা করুন। হাফ বেরেস্তা আলাদা একটি পাত্রে তুলে রাখুন পরে কাবাবের উপর ছড়িয়ে দিতে হবে। এবার হাড়িতে বাকি তেলের উপর মেরিনেট করা মাংস ছেড়ে দিয়ে খানিকক্ষণ নাড়ুন। কয়েক মিনিট পরে আস্ত কাঁচামরিচ ও সামান্য পানি দিয়ে দিন। নেড়ে ভালো করে মিশিয়ে দিয়ে পাতিলে ঢাকনা তুলে দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। এ অবস্থায় রান্না হয়ে মাংস সিদ্ধ হবে। মাঝে মাঝে ঢাকনা তুলে নেড়ে দিবেন। মাংস সিদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে এলে আরেকবার নেড়ে দিন, তুলে রাখা বেরেস্তা দিয়ে কিছুক্ষণ দমে রাখুন। কিছুক্ষণ পর মাংসের উপর তেল উঠে এলে কাবাবের হাড়ি চুলা থেকে নামিয়ে রাখুন। হাড়ি কাবাব তৈরি। পোলাওয়ের বা নানের সাথে এই কাবাব বেশ যায়।

Friday, March 30, 2018

লাউ-দুধের পায়েস


লাউ শীতের সবজি হলেও এখন প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। লাউ সাধারণত সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। লাউয়ের খোসা, বিচি, শাক, ডগা ইত্যাদি সবই উপকারী। গবেষণায় জানা গেছে, দুধে যেসব উপাদান রয়েছে, লাউয়ের মধ্যেও সেসব উপাদান আছে। লাউ হার্টের জন্য বেশ উপকারী। যক্ষ্মা রোগেও লাউয়ের ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া লাউ ঠাণ্ডা জাতীয় সবজি তাই পেটের অসুখেও বেশ উপকার।
তাই লাউ শুধু সবজি হিসেবে নয়, বিভিন্ন পদের রান্নাতে ব্যবহার করেও খাওয়া যেতে পারে। এমনি একটি আইটেম লাউ-দুধের পায়েস। লাউ-দুধের পায়েস যেমন উপকার তেমনি খেতেও খুব সুস্বাদু।
একুশে টিভি অনলাইনে লাউ-দুধের পায়েসের রেসিপি দেওয়া হলো-
উপকরণ :
১) কচি লাউ একটি।
২) দুধ দুই কেজি।
৩) আধা কাপ ঘি।
৪) চিনি পরিমাণ মতো।
৫) এলাচ ও দারচিনি।
৬) কাজু বাদাম।
৭) লবণ পরিমাণ মতো।
৮) কিশমিশ।
প্রণালি :
প্রথমে লাউয়ের খোসা ছাড়িয়ে লাউয়ের বিচিসহ নরম অংশটুকু কেটে বাদ দিন। এরপর লাউ কুচি কুচি করে কেটে নিন। কুচি করে কাটা লাউ গরম পানিতে দশ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। পরে পানি থেকে চিপে নিয়ে কড়াইতে ঘি দিয়ে হালকা ভেজে নিতে পারেন। ভেজে না নিলেও সমস্যা নেই। এখন একটি পাত্রে দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিন। ঘন হয়ে এলে চিনি, এলাচ, দারচিনি ও লবণ পরিমাণ মতো দিয়ে নাড়তে থাকুন। এখানে কাজু বাদাম কুচি করে কেটে দিন। এখন ভেজে নেওয়া লাউ দুধে ছেড়ে দিন। অল্প কিছুক্ষণ সিদ্ধ করে নিন। মিশ্রণটি বেশ ভারী হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন।
ব্যচ খুব সহজেই হয়ে গেল লাউ-দুধের পায়েস। এখন পরিবেশন পাত্রে ঢেলে এর ওপরে কিশমিশ ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।
তথ্যসূত্র : রান্নাবান্না।

Saturday, March 10, 2018

ছোট চিংড়ির দোপেঁয়াজা

চিংড়ির নাম শুনলে কার না জল জিভে আসে। গলদা চিংড়ি, বাগদা চিংড়ির হরেক রকম পদ আমরা কমবেশি সবই খেয়েছি। এটা জানেন কি ছোট চিংড়ি দিয়েও করা যায় দেশি স্টাইলের মজাদার দোপেঁয়াজা। আজ আমরা জেনে নিবো কীভাবে রান্না করবেন মজাদার এ খাবারটি।
যা যা লাগবে
চিংড়ি মাছঃ ১/২ কেজি, আদা বাটাঃ ১ টেবল চামচ, রসুন বাটাঃ ২ টেবল চামচ, জিরা বাটাঃ ১ টেবল চামচ, পিঁয়াজ বাটাঃ ২ টেবল চামচ, হলুদ গুঁড়াঃ ১/২ চা চামচ, কাঁচামরিচ: ৭-৮ টা, দেশি পেঁয়াজ কুচি এক কাপ, সাদা এলাচ ২ টা, দারুচিনি ১ টা, তেজপাতা ১ টা, লবণ পরিমাণ মতো, তেল পরিমাণ মতো
কীভাবে হবে রান্না
প্রথমে তেল গরম করে চিংড়ি মাছ বিভিন্ন মশলা দিয়ে ভেজে বাটা মশলা (আদা, রসুন, জিরা, পিঁয়াজ) থেকে সামান্য করে মশলা দিতে হবে। স্বাদ অনুযায়ী লবণ দিতে হবে। ভেজে রং আসলে এবং চিংড়ি মাছ সিদ্ধ হলে নামিয়ে রাখতে হবে। এবার কড়াইয়ে নতুন করে তেল দিয়ে সাদা এলাচ, দারচিনি, তেজপাতা, পিঁয়াজ কুচি দিয়ে লাল করে ভেজে নিয়ে কয়েক পিস কাঁচা মরিচ চিরে দিয়ে একে একে বাটা মশলা গুলো (আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরা বাটা) দিয়ে হলুদ ও লবণ দিয়ে কষাতে হবে। তারপরে পানি দিয়ে ঢেকে মসলা কষাতে হবে। পানি শুকিয়ে আসলে চিংড়ি ছেড়ে দিয়ে আবার একটু পানি দিতে হবে। তারপর বলক তুলে নামাতে হবে। নামানোর পরে ভাজা জিরা গুঁড়া ছিটিয়ে দিতে হবে।
ব্যাস হয়ে গেল ছোট চিংড়ির মজাদার দোপেঁয়াজা।

Monday, March 5, 2018

সবজি দিয়ে তৈরি সুস্বাদু খাবার

শীতকালে সাশ্রয়ে ও খুব সহজে পাওয়া যায় নানারকম সবজি। অতিথি আপ্যায়নে কিংবা নিজেদের খাওয়ার জন্য সবজির নানারকম সুস্বাদু খাবার ঘরে বসে অনায়াসে তৈরি করতে পারেন।
বাঁধাকপি-গরুর মাংস
উপকরণ : বাঁধাকপি মাঝারি আকারের একটি, গরুর মাংস এক কেজি, মরিচগুঁড়া দুই চা-চামচ, হলুদগুঁড়া এক চা-চামচ, ধনে গুঁড়া এক চা-চামচ, পেঁয়াজ বাটা + রসুন বাটা দুই টেবিল চামচ, আদা বাটা এক টেবিল চামচ, জিরাগুঁড়া এক চা-চামচ, গরম মসলা (দারুচিনি, এলাচ, গোলমরিচ) এক টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ আস্ত চার থেকে পাঁচটি, সয়াবিন তেল ও পানি পরিমাণমতো, লবণ স্বাদমতো।
প্রস্তুতপ্রণালি : বাঁধাকপি কেটে ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। চুলায় পাত্র দিয়ে প্রথমে তেল দিন, এরপর পেঁয়াজকুচি বাদামি রঙে ভেজে এতে জিরাগুঁড়া বাদে সব মসলা দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে মাংস দিয়ে দিন। মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে তাতে বাঁধাকপি দিন। রান্না হয়ে এলে কিছুক্ষণ দমে রেখে গরম গরম পরিবেশন করুন।
সবজি পোলাও
উপকরণ : পোলাও চাল (বাসমতি চাল) ৫০০ গ্রাম, ফুলকপি আধাকাপ, ব্রকলি আধাকাপ, গাজর কিউব করে কাটা আধাকাপ, আলু কিউব করে কাটা আধাকাপ, মটরশুঁটি আধাকাপ, সবজির স্টক সাড়ে তিন কাপ, আদা বাটা এক টেবিল চামচ, রসুন বাটা এক চা-চামচ, পেঁয়াজ বাটা এক টেবিল চামচ, জিরা বাটা এক চা-চামচ, পোস্তদানা বাটা এক টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, লেবুর রস দুই টেবিল চামচ, চিনি এক চা-চামচ, দুধ আধাকাপ, কাঁচামরিচ ১০ থেকে ১২টি, তেল আধাকাপ, লবঙ্গ চারটি, দারুচিনি চার টুকরা, তেজপাতা দুইটি, এলাচ চারটি, ঘি তিন টেবিল চামচ।
প্রস্তুতপ্রণালি : ফুটন্ত পানিতে লবণ দিয়ে সব সবজি আলাদাভাবে আধা সেদ্ধ করে নিতে হবে। চাল ধুয়ে পানি ঝরাতে হবে। তেল গরম করে গরম মসলা ও তেজপাতা ফোঁড়ন দিয়ে সব বাটা মসলা কষিয়ে সবজির স্টক দিতে হবে। পানি ফুটলে লেবুর রস ও চাল দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে দুধ, চিনি ও কাঁচামরিচ দিয়ে ৫ থেকে ৭ মিনিট আঁচে রাখতে হবে। সব সবজি দিয়ে সবজির ওপর ঘি দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট দমে রাখতে হবে। সবজি পোলাও ভাজা, কাবাব ও মাংসের সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।
বাঁধাকপি-গরুর মাংস

Tuesday, February 27, 2018

স্বাদের কুমড়ো ফুলের বড়া

নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় একাধিক পদ রান্না করা বেশ কঠিন। তাই মাঝে মাঝে পরিবারের সদস্যদের চমকে দেয়ার জন্য দিনের যেকোনো সময়েই ভেজে ফেলুন মচমচে কুমড়ো ফুল ভাজা। কোনোরকম ঝক্কিঝামেলা ছাড়াই অল্প সময়ে তৈরি করে ফেলুন এ মজাদার খাবারটি।
কি কি লাগবে
১০টি কুমড়ো ফুল৪ চামচ চালের গুঁড়া৪ চামচ বেসন১টা ডিম১টা মাঝারি আকারের পেঁয়াজকুচি১ চামচ ধনেপাতাকুচি২-৩টি কাঁচামরিচকুচি১ চামচ হলুদগুঁড়া১ চামচ লবণতেল ও পানি পরিমাণমতো।
কীভাবে বানাবেন
একটি পাত্রে চালের গুঁড়াবেসন ও ডিম দিয়ে ভালোভাবে ফেটে নিন। এরপর সামান্য তরল মিশ্রণের জন্য প্রয়োজনমতো পানির পাশাপাশি এর মধ্যে পেঁয়াজকুচিকাঁচামরিচহলুদগুঁড়াধনেপাতা ও লবণ দিয়ে নাড়ুন। সব উপকরণ একসঙ্গে ভালোভাবে মিশে গেলে আধাঘণ্টা রাখুন।
এবার প্যানে তেল গরম করুন। তেল গরম হয়ে গেলে মিশ্রণের মধ্যে কুমড়ো ফুল ডুবিয়ে তা একে একে তেলে ছাড়তে থাকুন। হালকা বাদামি না হওয়া পর্যন্ত এপিঠ-ওপিঠ করে ফুলগুলো ভাজতে থাকুন।
ব্যাসতৈরি হয়ে গেল কুমড়ো ফুলের বড়া। গরম গরম ভাতের সঙ্গে অথবা বিকেলবেলার নাস্তা হিসেবে মচমচে বড়া পরিবেশন করুন।
বিভিন্নভাবে রান্না করা ছাড়াও কুমড়োর স্যুপ তৈরি করা যায়। এর ভর্তাও খেতে পারেন। কুমড়োতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এসিবি-কমপ্লেক্সম্যাগনেশিয়ামপটাশিয়ামবিটা ক্যারোটিন রয়েছে। এটি স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।

Monday, February 19, 2018

জিভে জল আনে মাংসের শুঁটকি


মাংসের শুঁটকি সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই জানি।বিশেষ করে কোরবানির ঈদের সময় অনেকে মাংস শুঁটকি করে কৌটায় সংরক্ষণ করেন। তবে আবার অনেকে ঈদ ছাড়াও খাওয়ার জন্য মাংস শুঁটকি করে থাকেন।
আজ যুগান্তর পাঠকের জন্য থাকছে মাংসের শুঁটকি রান্না-
উপকরণ ১/২ কেজি মাংসের শুঁটকি, ১/২ কাপ পেঁয়াজ কুচি (মোট করে কাটা), ১ টেবিল চামচ পেঁয়াজ বাটা, ১ টেবিল চামচ রসুন বাটা, ১ টেবিল চামচ আদা বাটা, ১ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো, ১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, ১ চা চামচ ধনিয়া গুঁড়ো, ১/২ চা চামচ জিরা বাটা (গুঁড়োও দিতে পারেন), ২টা কাঁচামরিচ (গন্ধের জন্য), ৩টা এলাচ, ৩টা দারুচিনি টুকরো, ৩-৪টা তেজপাতা, ১/৩ কাপ তেল, লবণ পরিমাণমতো
প্রণালি শুঁটকিগুলো গরম পানিতে ধুয়ে নিন। প্রেসার কুকারে সামান্য পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। ৮-৯টা সিটি দিলে নামিয়ে নিন এবং চালনিতে পানি ঝরিয়ে নিন। একটি প্যানে তেল দিয়ে গরম মসলাগুলো দিয়ে গন্ধ ছড়ানো পর্যন্ত ভেজে নিন। পেঁয়াজ কুচি দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভেজে সব মসলা দিয়ে কসিয়ে নিন। শুঁটকি দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। ১ কাপ পানি দিয়ে/স্টক দিয়ে ঢেকে দিন। পানি শুকিয়ে তেল ওপরে ভেসে উঠলে নামিয়ে নিন। একদম ভুনা মাংসের স্বাদ পাবেন।

Sunday, February 18, 2018

কমলার রস দিয়ে কৈ মাছের রেসিপি

কমলার রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই রসালো ফল ছোট-বড় সবাই খেতে পছন্দ করে। কমলার রস ত্বকের পরিচর্যার জন্যও খুব উপকার। এছাড়া এর রস দিয়ে মজাদার রান্নাও করা যায়। রস দিয়ে রান্না করা খাবারগুলো থেতে খুব সুস্বাদু হয়।
আজ একুশে টেলিভিশন অনলাইনে কমলার রস দিয়ে কৈ মাছের ভুনার রেসিপি তুলে ধরা হলো-
উপকরণ-
১) কৈ মাছ এক কেজি।
২) কমলার রস এক বাটি।
৩) পেঁয়াজ কুচি এক কাপ ও পেঁয়াজ বাটা এক কাপ।
৪) জিরা বাটা এক চামচ।
৫) রসুন বাটা এক চামচ।
৬) শুকনো মরিচের গুড়া এক চামচ।
৭) হলুদ গুঁড়া এক চামচ।
৮) কাঁচা মরিচ চার/পাঁচটি।
৯) তেল ও লবণ পরিমাণ মতো।
প্রণালি-
প্রথমে কৈ মাছগুলো কেটে লবণ পানিতে ধুয়ে নিন। এখন মাছগুলোতে এক চিমটি লবণ, হলুদ ও মরিচের গুড়া মেখে তেলে ভেজে নিন। এবার অন্য একটি কড়াইতে তেল দিয়ে সেখানে কুচি করা পেঁয়াজ হালকা ভাজুন। এখন অল্প পানি দিয়ে পিঁয়াজ বাটা, জিরা বাটা, রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া ও লবণ ‍দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিন। ভালো করে কষিয়ে তেল উঠিয়ে ফেলুন। এখন কিছু পানি দিয়ে ভাজা কৈ মাছগুলো ঢেলে দিন। কিছুক্ষণ ঢাকনা দিয়ে রেখে দিন। পানিটা একটু শুকিয়ে মাখা মাখা হয়ে গেলে কমলার রস এর ওপরে ঢেলে দিন। চার/পাঁচটি কাঁচা মরিচ দিয়ে আরও কিছুক্ষণ আঁচে রেখে নামিয়ে ফেলুন।
এটি গরম ভাতের সঙ্গে খেতেও যেমন স্বাদ তেমনি এর থেকে ভিটামিন ‘সি’ ঘাটতি পূরণ করবে।
সূত্র : রান্নাবান্না।
 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates