শবেবরাত। ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য এই দিনটির অপেক্ষা করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। আর এই দিনে রুটি আর হালুয়া খাওয়ার কোনো নিয়ম না থাকলেও একটু মিষ্টিমুখ তো করাই যেতে পারে।
তবে নামাজের জন্য হাতে যেন সময় থাকে, সে জন্য মজার হালুয়া খেতে হলে আগে তৈরি করে রাখতে পারেন।
আসুন জেনে নিই শবেবরাতের তিন পদের হালুয়া সম্পর্কে-
ছোলার ডালের হালুয়া
উপকরণ
ছোলার ডাল ৫০০ গ্রাম, দুধ ১ লিটার, চিনি ৭৫০ গ্রাম, ঘি চার ভাগের এক কাপ, এলাচ গুঁড়ো , দারুচিনি, গোলাপজল ১ টেবিল চামচ। কিসমিস ৩ টেবিল চামচ, পেস্তা বাদাম কুচি ৩ টেবিল চামচ।
প্রণালি
ছোলার ডাল, দুধ দিয়ে সিদ্ধ করে শুকিয়ে গেলে গরম অবস্থায় বেটে নিতে হবে। কড়াইতে ঘি দিয়ে ডাল বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে চিনি দিন। এলাচ, দারুচিনি গুঁড়ো দিতে হবে। হালুয়া তাল বেঁধে উঠলে কিসমিস, গোলাপজল দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে-চেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। বড় থালায় ঘি লাগিয়ে পেস্তা বাদাম কুঁচি ছিটিয়ে গরম হালুয়া ঢেলে সমান করতে হবে। ঠাণ্ডা হলে ছাঁচে বসিয়ে বিভিন্ন নকশা করে পরিবেশন করুন।
ডিমের হালুয়া
উপকরণ
ডিম ৮টি, চিনি পৌনে ২ কাপ, দুধ ঘন ১ কাপ, ঘি ১ কাপ, এলাচ ২টি, দারুচিনি ২ সেমি ২ টুকরো, গোলাপজল ২ টেবিল চামচ, জাফরান সামান্য।
প্রণালি
গোলাপজলে জাফরান আধঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। ডিম কাঁটা চামচ দিয়ে ফেটে দিন। সব উপকরণ একত্রে মেশান। মৃদু আঁচে চুলায় দিয়ে নাড়তে থাকুন। খুব সাবধানে নাড়তে হবে যেন তলায় না লাগে। ডিম জমাট বেঁধে মিহিদানার মতো হবে। পানি শুকিয়ে ঘি বের হলে চুলা থেকে নামিয়ে নাড়ুন। বেশিক্ষণ ভাজলে হালুয়া শক্ত হয়ে যাবে। পরিবেশন পাত্রে ঢেলে ওপরে মাওয়া, বাদাম কুঁচি দিয়ে সাজিয়ে দিন।
বাদামের হালুয়া
উপকরণ
কাজু বাদাম ২ কাপ, ছানা ২ কাপ, চিনি ২ কাপ, এলাচ গুঁড়া সিঁকি চা চামচ, ঘি আধা কাপ, ময়দা ১ টেবিল চামচ, কিসমিস ১ টেবিল চামচ, কাজু ও পেস্তা বাদাম সাজানোর জন্য।
প্রণালি কাজু বাদাম হালকা ভেজে তিন-চার ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পানি থেকে তুলে কাজু বাদাম ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এবার চুলায় পাত্রে ঘি দিয়ে কাজু বাদাম ও ছানা দিয়ে নাড়তে থাকুন এবং চিনি দিন। ময়দা, এলাচ গুঁড়া দিন। হালুয়া হয়ে এলে প্লেটে ঢেলে পিস করে নিন, সবশেষে সাজিয়ে ওপরে কিসমিস, কাজু ও পেস্তা বাদাম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
No comments:
Post a Comment