একটু ভালো থাকতে কে না চায়। ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় বাবা-মা, স্ত্রী, সন্তান ছেড়ে প্রতিনিয়ত মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন অনেকে।সৌদি আরব এর ব্যতিক্রম নয়। দেশটির শ্রমবাজারের বড় অংশ জুড়ে রয়েছেন বাংলাদেশি শ্রমিক। কিন্তু সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা।
নিয়মের বেড়াজালে হাজারো সমস্যায় পড়ছেন দেশটিতে থাকা প্রায় ১৮ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি। তাঁদের দিন কাটছে অজানা আতঙ্কে। এই আতঙ্কের মধ্যেও প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে প্রবাসমুখী হচ্ছেন শ্রমিকরা। অথচ এদের বেশিরভাগই সৌদি আরবে গিয়ে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন না।
অন্যদিকে, ২০১৭ সাল থেকে আবারও সৌদি আরবে ভিসা চালু হওয়ার পর থেকেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী গ্রামের মানুষদের প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাঠাচ্ছে। কিন্তু শেষ পযর্ন্ত ভিসার সঙ্গে থাকছে না কাজের মিল। ফলে শ্রমিকরা পড়ছেন নানান সমস্যায়।
এমনই এক এজেন্সি ‘রাজ ওভারসীজ লিমিটেড’। এই এজেন্সি সৌদি আরবে ইঞ্জাজ নামক একটি কোম্পানিতে টি-বয় এবং ক্লিনারের কাজ দেয়ার কথা বলে প্রায় ১৫০ বাংলাদেশির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কিন্তু সৌদিতে যাওয়ার পর ওই শ্রমিকদের অধিকাংশই এখন বেকার বসে আছেন।
প্রায় ৭০ জন প্রবাসী এই প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করেন, সৌদি আরবে কাজের অভাবে অনেক দিন না খেয়েও কাটাতে হচ্ছে তাঁদের। এমনকি অনেকে নিরুপায় হয়ে দেশ থেকে খাওয়া খরচ পযর্ন্ত আনছেন।বঞ্চিত-প্রতারিত প্রবাসীরা এ বিষয়ে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে অভিযোগ করলে দূতাবাস থেকে জানানো হয়, ঐ এজেন্সির সার্ভার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর পরপরই ওই এজেন্সি প্রতারণার শিকার শ্রমিকদের দায়িত্ব নেয়। তবে, তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানো বা সেখানে চাকরি দেয়ার বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি এখনো। ভুক্তভোগীদের অনেকেই জানান, চড়া সুদে কিংবা টাকা ধার করে বিদেশে এসে এখন ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দিশাহারা তাঁরা। এ অবস্থায় দূতাবাসের আরও কাযর্কর সহযোগিতা চান এসব প্রবাসী বাংলাদেশি।
No comments:
Post a Comment