মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের শ্রমবাজার মন্দার কারণে এখন সকলের চোখ এখন দক্ষিণ আমেরিকার দিকে । দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশ ব্রাজিল ।ফুটবলের দেশ হিসেবে আমরা সবাই ব্রাজিলকে চিনি। দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটি বিশাল, এখানে রয়েছে অ্যামাজন বন, কৃষিপ্রধান এই দেশে জাপানের পর জাপানীদের দ্বিতীয় পছন্দের দেশ ব্রাজিল । লক্ষ লক্ষ জাপানি বহু বছর ধরে বাস করছেন এক ব্রাজিলে । সেই সাথে সিরিয়া,পাকিস্তানি, ইন্ডিয়ান , চাইনিজ নাগরিক , আফ্রিকান সহ ইউরোপিয়ান নাগরিক ও সেই সাথে যুক্ত হয়েছে কিছু বাংলাদেশি নাগরিক । ব্রাজিল মূলত ব্যবসা করার জন্য উপযুক্ত দেশ ,যেখানে ব্যবসা করতে অনেক বেশি মুল্ধন প্রয়োজন হয়না । সেই সাথে পাওয়া যায় সরকারী সহযোগিতা । নিজের নামে ব্যবসা নিজেই করা যায় । ব্রাজিলে বেশ কয়েক জন বাংলাদেশী নাগরিক আছেন যারা ব্যবসা করে আজ প্রতিষ্ঠিত । এখানে সহজেই পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি কার্ড পাওয়া যায় ।তাই চাইলেই পরিবার নিয়ে বসবাস করতে পারেন সকলেই ।
ব্রাজিলের বাণিজ্যিক শহর সাও পাওলোতে প্রতিদিনই কর্মের খোঁজে ,উন্নত জীবন যাপনের আশায় আসছেন বাংলাদেশীরা ।নিজে এম্বেসী মুখী না হয়ে দালালের মাধ্যমেই বেশী লোক ব্রাজিলে এসেছেন । খুব কম লোকই নিজে ব্রাজিল হাই কমিশনে ভিসা আবেদন করে ভিসা নিয়েছেন । আর দালালের মাধ্যমে ব্রাজিলে আসলে মোটা অংকের টাকা খরচ করতে হয় ।অবশ্য ২০১৮ সাল থেকে ব্রাজিল সরকার ভিসা নীতি সহজ করায় পর্যটক রা সহজেই ভিসা পাচ্ছে । মনে সাহস আর কথা বলার মত ইচ্ছা থাকলেই ব্রাজিলে ভ্রমন ভিসা পেতে পারেন সহজেই ।ব্রাজিলে ইতিমধ্যেই গড়ে উঠেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন । বিশেষজ্ঞদের মতে বসবাসের জন্য ব্রাজিল হতে পারে পৃথিবীর একমাত্র নিরাপদ দেশ ।
No comments:
Post a Comment