Social Icons

Thursday, June 30, 2016

ইস্তাম্বুল হামলায় অল্পের জন্য বেঁচেছেন হৃতিক

তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরের আতাতুর্ক বিমানবন্দরে গুলিবর্ষণ ও আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। ওই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেও আতাতুর্ক বিমানবন্দরে দুই ছেলেকে নিয়ে অবস্থান করছিলেন বলিউড তারকা হৃতিক রোশন। তবে ঘটনার আগেই তিনি ছেলেদের নিয়ে বিমানবন্দর ছাড়েন।
হৃতিক রোশন টুইটারবার্তায় বলেছেন, ঘটনার সময়ও তাঁদের বিমানবন্দরে থাকার কথা ছিল। তবে ভাগ্যক্রমে এর আগেই তাঁরা বিমানবন্দর ছেড়েছেন।
হৃতিক লিখেছেন, কানেক্টিং ফ্লাইট মিস করায় তিনি দুই ছেলে রেহান ও রিদানকে নিয়ে ইস্তাম্বুলের বিমানবন্দরে আটকে যান। পরবর্তী ফ্লাইটটি ছিল পরদিন। তবে ইকোনমি ক্লাসের টিকেটেই তিনি সন্তানদের নিয়ে বিমানে ওঠেন এবং ঘটনার আগেই তাঁদের বিমান আতাতুর্ক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
অপর এক টুইটারবার্তায় হৃতিক লিখেছেন,  ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরের স্টাফরা তাঁকে সহায়তা করেছিলেন। পরে তিনি হৃদয়বিদারক ঘটনাটি জানতে পারেন, যেখানে ধর্মের জন্য নিরপরাধ মানুষ হত্যা করা হয়েছে।
টুইটারবার্তায় হৃতিক রোশন সন্ত্রাসবাদ রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
ইস্তাম্বুল আতাতুর্ক বিমানবন্দরে প্রধান ফটকের সামনে গুলিবষর্ণ করে বন্দুকধারীরা। পুলিশ পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে তাঁরা আত্মাঘাতী বোমা হামলা চালায়। এ ঘটনায় অন্তত ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ১৪৭ ব্যক্তি।

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন দুতের্তে

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন মাভেরিক রদ্রিগো দুতের্তে। আগামী ছয় বছরের জন্য দেশটির সরকার পরিচালনা করবেন তিনি। 
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় প্যালেস রিজাল হলে শপথবাক্য পাঠ করেন রদ্রিগো। দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিয়েনভেনিদো রিয়েস তাঁকে শপথবাক্য পড়ান।  
প্রতিবেদনে বলা হয়, রদ্রিগো দুতের্তের কৌশল দেশটির অর্থনৈতিক চাকার গতি বাড়াতে নতুন উদ্যম সৃষ্টি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পুনর্বহালের ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন তিনি। পাশাপাশি অপরাধী পালানোর চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গুলির অনুমতি দিতে চান তিনি। এর ফলে এশিয়ার এই গণতান্ত্রিক দেশে নাগরিকদের মধ্যে মৃত্যু আতঙ্ক সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে বলেও শঙ্কা তাঁদের।
দীর্ঘদিন ধরে ফিলিপাইনের ডাভাও নগরীর মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন ৭১ বছর বয়সী সাবেক আইনজীবী রদ্রিগো দুতের্তে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত ৯ মে জাতীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হন তিনি।

পেনাল্টি ‘অমানবিক’: ব্রাজিল কোচ

পেনাল্টি শুটআউটে কত দলের যে কান্না লুকিয়ে আছে তার ইয়ত্তা নেই। ভালো খেলেও শেষে ট্রাইব্রেকারের ফাঁড়ায় পড়ে বিদায় নিয়েছে অনেক দল। সম্প্রতি এর জলজ্যান্ত উদাহরণ আর্জেন্টিনা। কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিলির চেয়ে বেশি আক্রমণ করেও টাইব্রেকারে হার মানতে হয়েছে মেসির দলকে। আর এরপরই আন্তজার্তিক ফুটবলকে বিদায় বলে দিয়েছেন মেসি।

তবে মেসির এই বিদায়কে ভালোভাবে স্বাগত জানায় নি কেউই। মেসিভক্তরা চাইছে মেসি যেন অবসরের ঘোষণা ভেঙে আবার ফিরে আসে। দেশটির প্রেসিডেন্ট মেসিকে অননুরোধ জানিয়েছেন আবার দেশের হয়ে খেলার জন্য ও কিংবদন্তী ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনাও খুব করে চাইছেন মেসি যেন আবার ফিরে আসেন।

কেবল মিত্ররাই নয় মেসির জন্য সহানূভূতির হাত বাড়িয়েছে শত্রুপক্ষও। ব্রাজিলের নতুন কোচ টিটেও চাইছেন মেসি যেন আবার ফিরে আসেন। তবে পেনাল্টি শুট আউট পদ্ধতির সমালোচনা করেছেন তিনি। এটিকে ‘অমানবিক’ বলেও ব্যাখা করেছেন ব্রাজিল কোচ।

‘পেনাল্টি শুটআউট সব সময়ই ‘নির্দয়’ হয়। মেসির জন্য খারাপ লাগছে। আমার মতে টাইব্রেকার দিয়ে ফুটবল ম্যাচের শেষ হতে পারে না। আমাদের অন্য কোনো পদ্ধতি ভাবা উচিত।’ তবে কি সেই পদ্ধতি তা অবশ্য জানেন না তিনি। তবে জানান অবশ্যই এই ‘নির্দয়’ পদ্ধতির পরিবর্তন করা দরকার।

ব্রাজিলের নতুন এই কোচ আরো বলেন, ‘টাইব্রেকারে শট নিতে দক্ষতা ও মানসিক শক্তি দুটোই থাকতে হয়। তবুও পেনাল্টি মিস হতে পারে। টাইব্রেকার মিস করায় মেসিকে অপরাধী ভাবা হচ্ছে। এটা মোটেও ঠিক নয়। যে কারো ক্ষেত্রেই এমনটা হতে পারে।’

আগস্টেই ফিরছেন মেসি?

অভিমান ভেঙে ফিরছেন মেসি, এর চেয়ে সুখের খবর খুব সম্ভবত আর্জেন্টিনা ভক্তদের জন্য আর কিছু হতে পারে না। মেসিভক্তদের জন্য এমন সুখবর দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মার্সিও মার্সি। তিনি জানিয়েছেন ফোনে মেসির সাথে কথা হয়েছে তার। আগামী সপ্তাহে বার্সা সুপার স্টারের সাথে দেখা হবার কথা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘মেসি ঈশ্বর প্রদত্ত একটি উপহার। আমরা ভাগ্যবান যে এমন একজনকে পেয়েছি। তার সাথে কথা হয়েছে, বলেছি, সমালোচকদের কথায় কান দিও না। আমরা তোমাকে নিয়ে খুশি।’

আজ কেবিনেট মিটিং শেষে এভাবেই কথাগুলো বলেন আর্জেন্টাইন প্রেসিডেন্ট। তিনি মনে করেন দেশবাসীর আবেদন ফেলতে পারবেন না মেসি এবং খুব তাড়াতাড়িই ফিরে আসার ঘোষণা দেবেন।

প্রেসিডেন্ট জানান, মেসির সাথে দেখা করার পরই ইতিবাচক খবর দিতে পারবেন তিনি। তবে স্পেনের প্রভাবশালী দৈনিক মার্কা জানিয়েছে, আগস্টে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের আগে নিজের সিদ্ধান্ত বদলাবেন মেসি।’

আপাতত রোজারিওতে পরিবারের সঙ্গে ছুটিতে আছেন মেসি। রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে মেসির ব্রোঞ্জের একটি মূর্তি স্থাপন করেছেন মেয়র লারেতা রদ্রিগুয়েজ।

সেখানে কয়েকশ’ মানুষ মেসির দশ নম্বর জার্সি পরে সমবেত হন। মেসিকে ফেরাতে দেশজুড়ে যে ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে, সেখানে একাত্মতা প্রকাশ করেন মেয়র। সূত্র: ইয়াহু ও মার্কা

রাস্তায় নামছে লাখো আর্জেন্টাইন

ভাবতে পারেন, মেসিকে ফেরাতে আর্জেন্টিনার ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী দল ক্যাম্পেইনে নেমেছে! আর্জেন্টিনার সেই দলের স্ট্রাইকার জর্জি ভালদানো তো বলেই দিয়েছেন, জনগণই শক্তি!
ভালদানো সমালোচকদের কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, 'আমরা জাতিগতভাবেই বোধহয় প্রতিষ্ঠানের চেয়ে ব্যক্তির কাছে প্রত্যাশা করি বেশি। ম্যারাডোনা থেকে মেসি_ একই ভুল করে যাচ্ছি। যেখানে গোটা দলের কাছে আমাদের শিরোপা চাওয়ার কথা, সেখানে আমরা সেটা চাচ্ছি শুধু মেসির কাছে। প্রতিটি টুর্নামেন্টেই মেসি সেরা হয়েছে, অথচ তাকেই আমরা দুষছি কি-না শিরোপা না পাওয়ার জন্য!' তিনি মনে করেন, কোনো ব্যক্তি মেসিকে তার সিদ্ধান্ত থেকে টলাতে পারবেন না। তবে কেউ পারলে সেটা আর্জেন্টিনার আপামর জনগণই পারবে, 'মেসির অবসরের ঘোষণার পর গোটা দেশে যে সামাজিক আন্দোলন শুরু হয়েছে তা মেসি উপেক্ষা করতে পারবে না। হয়তো কিছুটা সময় নেবে, কিন্তু সে ফিরবেই।' 
স্পেনের প্রভাবশালী দৈনিক মারকা জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরে উরুগুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচের আগে মেসি তার সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেন। 
গতকালই আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে মেসির ব্রোঞ্জের একটি মূর্তি স্থাপন করেছেন মেয়র লারেতা রদ্রিগুয়েজ। সেখানে কয়েকশ' মানুষ মেসির দশ নম্বর জার্সি পরে সমবেত হন। মেসিকে ফেরাতে দেশজুড়ে 'ডোন্ট গো মেসি' নামে যে ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে, সেখানে একাত্মতাও প্রকাশ করেন মেয়র। ইতোমধ্যেই দেশটির প্রেসিডেন্ট মেসিকে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন। '৮৬ বিশ্বকাপের মহানায়ক ম্যারাডোনাও বলেছেন 'ফিরে এসো'। মেসিকে ফেরাতে আদতেই একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠছে আর্জেন্টিনায়। যার পাটাতন হিসেবে সবচেয়ে বড় কাজটা করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমই। এরই মধ্যে ফেসবুকে 'ফিরে এসো মেসি' ইভেন্টে এক লাখের ওপর ভক্তানুরাগী যাওয়ার জন্য স্বাক্ষর দিয়েছেন। 
তাকে ফেরাতে আগামী শনিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক অবিলিস্ক স্কয়ারে হাজারো মেসিভক্তের সমবেত হওয়ার কথা রয়েছে। সেখান থেকেই মেসিকে ফেরানোর গণদাবি তুলবেন আর্জেন্টিনার ফুটবলপ্রেমীরা। মেসি সেই ডাক ফেলতে পারবেন না বলে বিশ্বাস সবারই। যাদের তালিকায় আছেন খোদ দেশটির প্রেসিডেন্ট মার্সিও মার্কি। 
প্রেসিডেন্ট মার্কির সঙ্গে দেশে ফেরার পরই কথা হয়েছে মেসির। প্রেসিডেন্ট তাকে ফোন করেই ফিরে আসার আহ্বান জানান। আগামী সপ্তাহেই প্রেসিডেন্টের আহবানে সাড়া দিয়ে তার সঙ্গে মেসি দেখা করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন মার্কি। বুধবার কেবিনেট মিটিং শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'মেসি আমাদের ঈশ্বর প্রদত্ত এক উপহার। আমরা ভাগ্যবান যে ঈশ্বর প্রদত্ত এমন একজনকে আমরা পেয়েছি, যে কি-না বিশ্বফুটবলের সেরা। সে আমাদের প্রতিটি আর্জেন্টিনা নাগরিককে গর্বিত করেছে। তাকে আমাদের যত্ন করতে হবে, এটা আমাদের দায়িত্ব। মেসির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, তাকে বলেছি, স্টুপিড সমালোচকদের কথা কানে নিও না। তুমি সত্যটা জেনে রেখো যে, আমরা তোমাকে নিয়ে খুশি।' এভাবেই মেসিকে ফেরানোর ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট। তার বিশ্বাস, আপামর আর্জেন্টনাইনদের আবেদন মেসি ফেরাতে পারবেন না। আগামী সপ্তাহেই মেসির সঙ্গে দেখা হওয়ার পর একটা ইতিবাচক খবর দিতে পারবেন তিনি।

মেসির সাথে দেখা করবেন প্রেসিডেন্ট

ফুটবলের জাদুকর লিওনেল মেসির সাথে দেখা করবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মারিসিও মাসরি। আর দেখা করে তাকে জাতীয় দলে ফিরে আসতে রাজি করাবেন। আগামী সপ্তাহে সাক্ষাৎ হতে পারে তাদের। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট এ কথা জানিয়েছেন। সোমবার কোপা আমেরিকায় চিলির কাছে পরাজয়ের পর জাতীয় দল থেকে আকস্মিক বিদায়ের ঘোষণা দেন মেসি। এর থেকে তাকে ফেরাতে অনুরোধ করেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মারিসিও মাসরি। ফোন করে তাকে অনুরোধ করেন এবং পরবর্তীতে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। ওই দিন রাতেই দেশে ফিরেন মেসিসহ পুরো দল। তবে তার অবসরের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে এখনো সবার সামনে মুখ খোলেননি। মারিসিও মাসরি জানান, আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে আকস্মিক অবসরের ঘোষণার পর তিনি মেসির সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন। এর আগে মেসিকে ফোনে তিনি বলেন, কোনো ধরণের সমালোচনা গায়ে না মাখাতে। জাতীয় দলে তার অসাধারণ পারফরমেন্সে প্রেসিডেন্টে যে খুব গর্বিত সে কথাও বলেন। সূত্র : ডেইলি মেইল

ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের

প্রশান্ত মহাসাগরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া শেষ করেছে আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। মার্কিন নৌ বাহিনী এক বিবৃতিতে এ খবর জানিয়েছে।
চলতি মাসের গোড়ার দিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব অ্যাশ্টন কার্টার বলেছিলেন, তার ভাষায় পিয়ংইয়ং-এর উস্কানির বিরুদ্ধে সমন্বয় উন্নয়ন করার লক্ষ্য নিয়ে ত্রিদেশীয় এ মহড়া চালানো হবে।
মার্কিন নৌবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে প্যাসিফিক ড্রাগন বা পিডি নামের দ্বিবাৎসরিক মহড়া তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে। চলতি মাসের ২০ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত মহড়া চলেছে। হাওয়াইয়ের কাউয়াই'এর প্রশান্ত মহাসাগরীয় ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্র বা পিএমআরএফ চালানো এ মহড়ার সমাপ্তি ঘোষণা করেন মার্কিন তৃতীয় নৌবহরের কমান্ডার ।
অ্যাজিস ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার সক্ষমতার পাশাপাশি যোগাযোগ ও ডাটা সংগ্রহের সক্ষমতা মহড়ায় পরীক্ষা করা হয়েছে। অবশ্য মহড়া চলাকালে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
পিয়ংইয়ং-এর সফল হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা এবং কক্ষপথে উপগ্রহ স্থাপনসহ ক্ষেপণাস্ত্র তৎপরতাকে কেন্দ্র করে চলমান উত্তেজনার মুখে এ মহড়া চালানো হলো।
সূত্র : রেডিও তেহরান

প্রতিদিন ৪০০০ রোজাদারকে বিরিয়ানি খাওয়ান তিনি

বিকেল ৪টার মধ্যেই আবু ধাবি কোনিচের ৫৯ নম্বর ভিলার কাছে বিপুল লোকের সমাবেশ ঘটে। বিরিয়ানির খুশবুতে চারদিক ভরে যায়। লোকজন প্লাস্টিকের বাক্স, ধাতব পাত্র, ম্যালামাইনের প্লেট, এমনকি হটপট পর্যন্ত নিলে লাইনে দাঁড়িয়ে যান। সবাই অপেক্ষায় থাকেন বিরিয়ানির জন্য।
রান্নাঘরের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল কাদের বলেন, তারা রমজান মাসে প্রতিদিন চার হাজারের বেশি লোককে বিনা মূল্যে বিরিয়ানি খাইয়ে থাকেন।
তিনি বলেন, এই বাড়ির মালিক ১০ বছর ধরে এই কাজটি করে যাচ্ছেন। 
আবদুল কাদির এই মালিকের অধীনে কাজ করছেন ৪০ বছর ধরে। ভারতের কেরালায় তার আদি নিবাস। তার বিরিয়ানি তৈরি এবং অন্যান্য কাজে সহায়তা করেন ২৫ জন।
চার হাজার লোকের জন্য তিনি ৪৫০ কেজি চাল, ৪০০ কেজি গোশত (মুরগি, খাশি বা গরু) এবং ১০০ কেজি সব্জি প্রয়োজন হয়।
সেই ভোর ৫টায় তারা কাজ শুরু করেন। বিকেল ৩টার মধ্যে বিরিয়ানি তৈরি হয়ে যায়।
কারা আসেন এখানে বিনামূল্যের খাবার খেতে? প্রধানত বিদেশী শ্রমিকেরা। দুবাইতে নানা পেশায় কর্মরত এসব শ্রমিকের কাছে এই খাবার বিরাট কিছু। 
আর যার অর্থে এত লোকের খাবারের ব্যবস্থা হচ্ছে, তিনি কিন্তু দৃশ্যপটে আসছেন না। আমিরাতি ওই ভদ্রলোক তার নাম পর্যন্ত প্রকাশ করতে চান না। তিনি বলেন, ধর্মের নির্দেশনায় তিনি এই কাজ করছেন। আমাদের ধর্ম গরিব ও বঞ্চিতদের সহায়তা করতে উৎসাহিত করা হয়।
সূত্র : গালফ নিউজ 

কখন কী ঘটে এই আশঙ্কায় সরকার সবসময় দেশকে অস্থিতিশীল রাখতে চায়: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার জঙ্গিবাদের নেটওয়ার্ক উচ্ছেদে অনাগ্রহী বলেই জঙ্গিরা নির্বিঘ্ন তাদের অপতৎপরতা চালু রেখেছে। এতেই প্রমাণিত হয়-জঙ্গিরা সরকারেরই সৃষ্টি। সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলকে জঙ্গিবাদের সাথে যুক্ত করার জন্যই নিজেরা জঙ্গি সৃষ্টি করে দেশব্যাপী খুনোখুনি করাচ্ছে। এ ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জনগণের মনের আওয়াজের প্রতিধ্বনি করছেন বলে দাবি করেন তিনি।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাদারীপুরে শিক্ষককে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার জঙ্গি ফাইজুল্লাহ ফাহিম পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর তার জন্য খালেদা জিয়া কেন এতো মায়াকান্না করছেন? এ থেকেই বোঝা যায় গুপ্তহত্যার সঙ্গে তাদের একটা সম্পর্ক রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যর প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, একজন অভিযুক্ত আসামীকে রিমান্ডে থাকাকালীন কারাগারের থেকে নিরাবিচ্ছন্ন থাকে। ফাহিম সে রকম একজন অভিযুক্ত আসামী। রিমান্ডে সে অস্ত্র পেল কোথায়, আর যুদ্ধ করলো কিভাবে? সেখানে তাকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হলো। একজন লোককে বিনা বিচারে হত্যা কলা হলে জনগণের নেত্রী কথা বলবেন না। তাই বেগম খালেদা জিয়া জনগণের নিরাপত্তায় জনগণের মনের আওয়াজের প্রতিধ্বনি করছেন। 
আজ দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এসময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বেই বাংলাদেশের রক্তধারা বৃষ্টিধারার স্থলাভিষিক্ত হয়েছে। গোটা জাতিকে জিম্মি করতে গিয়ে যে সহিংস সন্ত্রাস কাঠামো নির্মান করেছেন শেখ হাসিনা। এখন ক্ষমতাসীন রাঘব-বোয়ালরা গোটা দেশটাকেই গিলে খাচ্ছে। শেখ হাসিনার সরকার যেহেতু জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন অবৈধ, সেইজন্য তিনি জনগণকে শত্রুজ্ঞান করেন। আর সেই কারনেই শত্রু নিধনে (সাধারণ নিরীহ জনগণ) তিনি সবচাইতে পারঙ্গমতা দেখিয়েছেন, হত্যা, গুপ্তহত্যা ও বিচারবহির্ভূত হত্যার মাধ্যমে। 
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি যে কর্মকান্ডই করুন না কেন মানুষ সেটি বিশ্বাস করেনা। দেশের যেকোন হত্যাকান্ডে আপনার আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যে বিজ্ঞপ্তি দেয়, সেটিও মানুষ বিশ্বাস করেনা। কারন জনগণ মনে করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ী বিবৃতি দেয়। যে কারনে উগ্রবাদ, জঙ্গীবাদসহ দেশের যেকোন হত্যাকান্ডে সরকারী বক্তব্যকে মানুষ মনে করে এটি একটি ধুর্মজাল সৃষ্টি করা। 
সরকার তার অবৈধ স্বত্ত্বা নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, কখন কী ঘটে যায়-এই আশঙ্কায় সরকার সবসময় দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখতে চায়। নৈরাজ্য এবং অস্থিতিশীলতা সরকারের টিকে থাকার গ্যারান্টি। সেইজন্যই তথাকথিত বর্তমান সেক্যুলার সরকারের আমলেই সংখ্যালঘুদের জীবন সর্বকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশী বিপন্ন হয়ে পড়েছে। তাদের অঝোরে রক্ত ঝরছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জনপদে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই সারাদেশে তারা গডফাদার তৈরী করে। বর্তমানে দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় গডফাদার তৈরী হয়েছে। এরা অধিকাংশই এখন ভোটারবিহীন সরকারের মন্ত্রী-এমপি। শাসকদলের এমপিদের হাতে গুলিবিদ্ধ হচ্ছে শিশুরাও, এদের হাতে মায়ের পেটের শিশুরাও নিরাপদ থাকতে পারেনি। শাসকদলের অস্ত্রের ঝনঝনানীতে সারাদেশ আজ প্রকম্পিত। হত্যাকান্ড নিয়ে যখন প্রধানমন্ত্রীর মুখে মৃদুমন্দ হাসি ফুটে উঠে, সেই হাসি কী হায়েনার হাসি নয় ? 
সরকার জঙ্গীবাদ দমনের নামে জনগণের ওপর বেপরোয়া ক্র্যাকডাউন চালানোর পরও উগ্রবাদীদের তৎপরতা তো কোন অংশেই কমেনি বলে দাবি করে তিনি বলেন, রাজধানীর সবুজবাগে ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের প্রধানকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। এর আগে যে নামে রামকৃষ্ণ মিশনের ধর্মগুরুকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল, সেই এ বি সিদ্দিকীর নাম ব্যবহার করে এবারও বৌদ্ধ মহাবিহারের প্রধানকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। জঙ্গীদের অপতৎপরতার বৈশিষ্ট্যের মধ্যেই প্রমানিত হয়-জঙ্গীরা সরকারেরই সৃষ্টি। 
তিনি জানান, রাজধানীর সবুজবাগে বৌদ্ধ মহাবিহারের প্রধানকে হত্যার হুমকিতে বিএনপি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে, সরকারের রহস্যজনক ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং অবিলম্বে উক্ত বৌদ্ধ মহাবিহারের প্রধানকে যথাযথ নিরাপত্তা বিধানের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছে।

তুরস্কে হামলার দায় স্বীকার করেনি কেউ

তুরস্কে বিমানবন্দরে সন্ত্রাসী হামলায় হতাহতের ঘটনায় দেশটিতে গতকাল বুধবার জাতীয় শোক পালন করা হয়েছে। হামলার দায় এখনো কেউ স্বীকার করেনি। আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইন ও বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সন্ত্রাসী হামলা হয়। এতে বিদেশি নাগরিকসহ অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে দুই শতাধিক। জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এই হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা তুরস্কের। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) প্রধান জন ব্রেনানও এই হামলার জন্য আইএসের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। হামলাকারীদের পরিচয় নিশ্চিত করতে তুরস্কের তদন্তকারীরা সিসিটিভি ফুটেজ, মোবাইল ফোনের ভিডিও ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান যাচাই-বাছাই করছেন। হামলাকারীরা ভিন্ন দেশের নাগরিক হতে পারেন বলে ধারণা কর্তৃপক্ষের। তবে তা নিশ্চিত নয়। তুরস্কের কর্মকর্তাদের ভাষ্য, হামলায় অন্তত তিনজন অংশ নেয়। তারা একটি ট্যাক্সিতে করে আসে। প্রথমে তারা নির্বিচারে গুলি ছুড়তে শুরু করে। পুলিশ তাদের পাল্টা গুলি করলে হামলাকারীরা বোমায় নিজেদের উড়িয়ে দেয়। হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান গতকাল এক দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেন। রক্তক্ষয়ী এই ঘটনায় তুরস্কের মানুষ শোকে মুহ্যমান। হামলার ঘটনায় এরদোয়ানকে পৃথকভাবে ফোন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁরা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। 

ফালুজায় বিমান হামলায় আইএসের ২৫০ জঙ্গি নিহত

ইরাকের ফালুজায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট ধারাবাহিক বিমান হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অন্ততপক্ষে ২৫০ জন সন্দেহভাজন জঙ্গি নিহত হয়েছেন। বুধবার চালানো এসব হামলায় জঙ্গিদের ব্যবহৃত অন্ততপক্ষে ৪০টি গাড়ি ধ্বংস হয়েছে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করেছেন। মার্কিন কর্মকর্তাদের দেওয়া এই পরিসংখ্যান নিশ্চিত হলে তা হবে জঙ্গিগোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে চালানো হামলাগুলোর মধ্যে সবচে প্রাণঘাতী। নামপ্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তারা অভিযানের বর্ণনা দিয়ে ক্ষয়ক্ষতির হিসাবকে প্রাথমিক এবং পরিবর্তনযোগ্য বলে জানিয়েছেন। ফালুজার দক্ষিণাংশে এই ধারাবাহিক বিমান হামলাগুলো চালানো হয়। সেখানকার বেসামরিক নাগরিকেরা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস সাম্প্রতিক সময়ে ইরাক ও সিরিয়ায় স্বঘোষিত খিলাফত রক্ষার ক্ষেত্রে ক্রমশ মার খাচ্ছে। তবে দখলকৃত ভূমি হারালেও জঙ্গিগোষ্ঠীটির বিদেশের মাটিতে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে সামর্থ্যের ব্যাপারে উদ্বেগ এখনো কাটেনি। বুধবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলের প্রধান বিমানবন্দরে তিনটি আত্মঘাতী বোমা হামলা ও গুলি চালিয়ে ৪২ জনকে হত্যার ঘটনায় তুর্কি কর্তৃপক্ষ আইএসের দিকেই আঙুল তুলেছে। সিআইএর প্রধান জন ব্রেনান বলেন, আমি মনে করি, আমাদের জোটের মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে আমরা ইরাক ও সিরিয়ায় যেখানে আইএসের অধিকাংশ সদস্যরা রয়েছেন সেখানে উল্লেখযোগ্য কিছু অগ্রগতি অর্জন করেছি। আইএস মধ্যপ্রাচ্যে দায়েশ নামেও পরিচিত। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোকে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন অভিযান নতুন গতি পেয়েছে। এরই মাঝে ফালুজায় ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে জয় ঘোষণা করেছে ইরাক সরকার।

ধর্ষিতার সঙ্গে সেলফি তুলে বিতর্কে রাজস্থান মহিলা কমিশন

সেলফি ম্যানিয়া অতিক্রম করল মানবিকতার সীমা। রাজস্থানের এক ধর্ষিতার সঙ্গে সেলফি তুলে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন রাজস্থান রাজ্য মহিলা কমিশনের এক সদস্য, সোমিয়া গুরজার। সেই সেলফি তোলার মুহূর্তে সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজস্থান রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন সুমন শর্মাও। এই কাজের ফলে রাজ্য মহিলা কমিশনের থেকে লিখিত জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে। উত্তর জয়পুরের এর ধর্ষিতার সঙ্গে বুধবার দেখা করতে যায় রাজ্য মহিল কমিশন। প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সুমন শর্মা জানিয়েছেন তিনি যখন ধর্ষিতার সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন তাঁর অজান্তেই সেলফি তোলেন সোমিয়া গুরজার। এ বিষয়ে তিনি কোনোভাবেই জড়িত নন। একটি নয়, সোমিয়া গুরজারের তোলা দুটি সেলফি ভাইরাল হয়ে যায় রাতারাতি। তবে সুমন শর্মা যতই দায় এড়াতে চান না কেন, ছবি ভুল বলে না। সোমিয়া গুরজার যখন সেলফি তুলছিলেন, তখন ফ্রেমে ছিলেন সুমনও। আর শুধু ছিলেনই না, রীতিমতো মোবাইলের ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে ছিলেন। রাজস্থানের আলওয়ার জেলায় ৩০ বছরের এই মহিলাকে ধর্ষণ করেন তাঁর স্বামী ও দেকর। তাঁর একমাত্র অপরাধ ছিল বিয়ের সময়ে ৫১ হাজার টাকার পণ দিতে পারেনি তাঁর পরিবার। 

অ্যারিজোনা আদালত ভবনের বাইরে গুলি, দুই নারী নিহত

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের আদালতে শুনানির পর ওই ভবনের বাইরে এক ব্যক্তির গুলিতে দুই নারী নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আইনি বিবাদের জের ধরে ওই দুই নারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে অ্যারিজোনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। কাউন্টি কর্মকর্তারা জানান, হামলাকারীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁরা জানান, গুলিবর্ষণকারী ওই ব্যক্তিকে নাভাজো কাউন্টির সুপিরিয়র আদালতের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুনানি শেষে ওই আদালত ভবনের বাইরেই দুই নারীকে গুলি করেন তিনি। নাভাজো কাউন্টি শেরিফের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিবদমান একটি বিষয় নিয়ে আদালতে শুনানির পর আদালতের বাইরে আলোচনার সময় এক পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর গুলি চালায়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহত দুই নারী ও গুলিবর্ষণকারীর পরিচয় প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ। 

ক্যামেরুনে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ১০

আফ্রিকার ক্যামেরুনের উত্তরাঞ্চলে আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়েছে। এতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আরও বেশ কিছু লোক। আজ বৃহস্পতিবার দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। এ হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনো সংগঠন। তবে ওই অঞ্চলে বোকো হারামসহ কিছু উগ্রবাদী সংগঠন তৎপর রয়েছে। 

উত্তর কোরিয়ার নতুন শীর্ষ পদ পেলেন কিম জং উন

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আরও ক্ষমতাবান হয়েছেন। দেশের নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য ক্ষমতাধর সুপ্রিম গভর্নিং কমিশন গঠন করে তার চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছে তাকে। এতে রাষ্ট্রের প্রতিটি পর্যায়ে নীতিনির্ধারণে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ থাকবে এই নেতার। গতকাল বুধবার রাষ্ট্রের আইন পরিষদ সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলির (এসপিএ) সদস্যদের ভোটে সর্বসম্মতিক্রমে কিম জং উন হেড অব দ্য স্টেট অ্যাফেয়ার্স কমিশন (রাষ্ট্রবিষয়ক কমিশনের প্রধান) হয়েছেন। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএর তথ্যের বরাত দিয়ে এ খবর জানানো হয়। রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণে সরকারের সর্বোচ্চ বিভাগ জাতীয় প্রতিরক্ষা কমিশনের স্থলাভিষিক্ত হবে নতুন এই সংস্থা। কিম জং উনকে এই পদে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে এসপিএর প্রেসিডেন্ট কিম ইয়ং-নাম বলেন, কিম জং উনের প্রতি জনগণ ও রাষ্ট্রের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অগাধ বিশ্বাস ও অবিচল আস্থাই তাকে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত করেছে। নতুন কমিশনে কিম জং উনের অধীনে থাকবেন তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান। সামরিক বাহিনী, রাজনৈতিক দল ও শাসনব্যবস্থাসংক্রান্ত প্রত্যেক ক্ষেত্রে কমিশনের সুস্পষ্ট প্রভাব থাকবে।

গুগলে আর বিরক্তিকর বিজ্ঞাপন দেখতে হবে না

নতুন এক পদক্ষেপে সার্চ জায়ান্ট গুগল ব্যবহারকারীদের কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখাবে কিংবা কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখাবে না, তা নিয়ন্ত্রণের সুযোগ করে দিচ্ছে। এতে গুগলের যেকোনো ব্যবহারকারী তার ডিভাইসে বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণ ও ব্যক্তিগত তথ্য গোপন করার সুযোগ পাবে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। গুগলের বিজ্ঞাপন প্রচারের ধরনটা মূলত ব্যবহারকারী নির্ভর। ব্যবহারকারীর অনলাইনে বিভিন্ন কার্যক্রম ও অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়। এ ক্ষেত্রে স্মার্টফোন, কম্পিউটার ও অন্যান্য ডিভাইসকেও ব্যবহার করে গুগল। নতুন প্রাইভেসি টুল পুরোপুরি চালু হলে গুগলের এক বিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী, যারা গুগলের সার্চ ইঞ্জিন ও অন্যান্য সেবা ব্যবহার করেন তারা বিভিন্ন বিজ্ঞাপন ব্লক করে দিতে পারবেন। এতে ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে সে বিজ্ঞাপনটি আর আসবে না। এ বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রত্যেক ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করতে হবে গুগলকে। সম্প্রতি গুগলের সার্চ ইঞ্জিন, জিমেইল ও ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহারকারীরা নতুন এ ব্যবস্থার নোটিশ পাওয়া শুরু হয়েছে। তবে সব ব্যবহারকারীর হাতে এ পদ্ধতি যাওয়ার আগে আরও কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছে গুগল। গুগলের বিজ্ঞাপনগুলোকে নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহারকারীরা 'মাই অ্যাকটিভিটি' নামে একটি ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন। এ ফিচারে ব্যবহারকারীরা তাদের অনলাইন অ্যাকটিভিটিজের রেকর্ড মুছতে পারবেন। এ ছাড়া অনলাইনে কোন বিষয়টি সার্চ করছেন কিংবা ইউটিউবে কোন ভিডিও দেখছেন তাও গুগলের রেকর্ড থেকে মুছে ফেলা যাবে। গুগলের নতুন উদ্যোগের ফলে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞাপন ও প্রাইভেসি নিয়ে যে সমালোচনা রয়েছে, তা কিছুটা হলেও লাঘব হবে বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি।

Tuesday, June 28, 2016

মাথার পেছনের দিকে ব্যথা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

স্ট্রেস, ঘুমের সমস্যা, হরমোনের উঠানামা, ধুমপান, খাবার বাদ দেয়া, তীব্র গন্ধ, চুল বাঁধার ধরণ এবং অত্যধিক আলো মাথাব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। মাথা ব্যথা মারাত্মক কোন স্বাস্থ্যসমস্যার পূর্বলক্ষণও হতে পারে। মাথাব্যথা দেখা দিলে বেশিরভাগ মানুষই পেইনকিলার খেয়ে বা ঘুমিয়ে ব্যথা কমানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু মাথার পেছনের দিকের ব্যথাকে অবহেলা করা উচিৎ নয়, কেন তা জেনে নিই চলুন।
১। সারভিকোজেনিক হেডেক বা মাথার পেছনের দিকের ব্যথা সম্পর্কে ভুল করা হয় কারণ এর লক্ষণগুলো মাইগ্রেন, টেনশন হেডেক ও ক্লাস্টার হেডেকের লক্ষণের সাথে মিলে যায়। সারভিকোজেনিক হেডেক হয় মাথার মাসেল টেনশনের কারণে।
২। ঘাড়ে আঘাত পেলেও মাথার পেছনের দিকে ব্যথা হতে পারে। এই ধরণের ব্যথা মাথার একপাশে শুরু হয় এবং আস্তে আস্তে মাথার পেছনের দিকে কানের কাছাকাছি পর্যন্ত ছড়িয়ে পরে।
৪। টেম্পোরাল আরটারাইটিস- ৫০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের হয়ে থাকে এই ধরণের মাথাব্যথা। মাথায় রক্ত সরবরাহকারী রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্থ হলে ও প্রদাহ হলে টেম্পোরাল আরটারাইটিস হয়। এ ধরণের মাথাব্যথায় মাথার একপাশে কম্পন হতে পারে এবং মাথার তালুতে ছড়িয়ে পরে ব্যথা। ঘাড়ের উপরের দিকে মেরুদন্ডের ধমনীর ব্যাবচ্ছেদ করা হলে এরকম ব্যথা হতে পারে।
৫। সাবআরকানয়েড হেমোরেজ হলে মস্তিস্কের পর্দার ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়।
মাথাব্যথা নিরাময়ের জন্য যা করতে পারেন :
-   ঠান্ডা বা গরম জলে গোসল করুন
-   মাথায় ম্যাসাজ করলেও ব্যথা কমে
-   হালকা আলোতে বিশ্রাম নিন
-   খুব বেশি মাথা ব্যথার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া ও ফিজিওথেরাপি নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। মাথাব্যথার চিকিৎসা বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে যেমন- মাথাব্যথার ধরণ, কখন হয় এবং কী কারণে হয়? কারো কারো  চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না এমনিতেই ভালো হয়। যাদের চিকিৎসা শুরু করা প্রয়োজন তাদেরকে ঔষধ গ্রহণ, কাউন্সেলিং, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট এবং বায়োফিডব্যাক নিতে হয়। আপনার প্রয়োজনের উপর নির্ভর করেই ডাক্তার আপনার চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করবেন।
-   চিকিৎসা শুরু হওয়ার পর আপনার কিরকম উন্নতি হচ্ছে তা খেয়াল রাখতে হবে আপনাকে। এজন্য একটি ডায়েরিতে আপনার পরিবর্তনগুলো লিখে রাখুন। তাতে আপনার ডাক্তার আপনার চিকিৎসার পদ্ধতি নির্ণয় করতে পারবেন। ধৈর্য ধারণ করতে হবে আপনাকে।  
-   চিকিৎসার পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম এবং সঠিক খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে মাথাব্যথার সমস্যা থেকে মুক্ত হতে পারবেন আপনি।

জাপানের দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে জানুন

পৃথিবীর জনপ্রিয় ভ্রমন স্থানগুলোর মধ্যে জাপান অন্যতম। এশিয়ার এই উন্নত দেশটি ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেলের অপূর্ব নিদর্শন। এখানে যেমন প্রাচীন ভবন ও মন্দির আছে তেমনি আধুনিক স্থাপত্য ও প্রকৌশল প্রযুক্তির অসামান্য সাফল্যও দেখতে পাওয়া যায়। ঐতিহাসিক স্থানগুলো তাদের মূল উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হলেও সেগুলো জনসাধারণের জন্য খোলা রাখা হয়েছে। সারা বছরই জাপানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। তাছাড়া জাপান পৃথিবীর সবচেয়ে কম অপরাধ প্রবণ দেশ। তাই পর্যটকদের জন্য জাপান আদর্শ স্থান। জাপানের কিছু দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জেনে নিই চলুন।
১। গোল্ডেন প্যাভিলিয়ন
জাপানের জনপ্রিয় পর্যটন স্থান হচ্ছে গোল্ডেন প্যাভিলিয়ন মন্দির। যাকে কিনকাকু-জি ও বলা হয়। এই প্যাভিলিয়নটি নির্মাণ করা হয় ১৪ শতকে শোগান আশিকাগা ইয়োশিমিটসু এর অবসর যাপনের জন্য। এই পটমন্ডপটি ১৯৫০ সালে একজন তরুণ সন্ন্যাসী পুড়িয়ে ফেলে। পাঁচ বছর পরে এটি পুনরায় নির্মাণ করা হয়। এই ভবনটি এবং এর চারপাশের বাগানটির একে অপরের সাথে সঙ্গতি রেখেই নির্মাণ করা হয়েছে। এই প্যাভিলিয়নটি সোনার পাত দিয়ে আচ্ছাদিত। যার ফলে পুকুরে এর প্রতিচ্ছবি প্রতিফলিত হয়।
২। ফুজি পর্বতমালা
জাপানের সর্বোচ্চ পর্বতমালা এই মাউন্ট ফুজি। যার উচ্চতা ১২৩৮৮ ফুট। এর ব্যাতিক্রমি আগ্নেয়গিরিটি জাপানের প্রতীক হিসেবে সুপরিচিত। এটি পর্বতারোহী ও দর্শনার্থীদের জন্য আকর্ষণীয় একটি স্থান। প্রতিবছর ২ লক্ষ মানুষ এই পর্বত আরোহণের জন্য যায় যার মধ্যে ৩০% ই বিদেশী পর্যটক। এই পরবতে আরোহণ করতে ৩ থেকে ৮ ঘন্টা সময় লাগে এবং অবতরণের জন্য সময় লাগে ২ থেকে ৫ ঘন্টা।
৩। টোকিও ইম্পেরিয়াল প্যালেস
জাপানের সম্রাটের বাসভূমি এই টোকিও ইম্পেরিয়াল প্যালেস। এটি প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং মিউজিয়াম হিসেবেও ব্যবহৃত হয় যেখানে জাপানের শিল্প ও  ইতিহাসের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। এই প্রাসাদের পুরনো ভবনটি আগুন লেগে বা যুদ্ধের সময় ধ্বংস হয়ে যায়। নতুন প্রাসাদটিতে পুরনো যুগের নকশার উপাদান ব্যবহার করা হয়। প্রাসাদটি ঐতিহ্যগত জাপানী বাগান দিয়ে ঘেরা। অতিথি ও দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাতে বিভিন্ন অভ্যর্থনা কক্ষ আছে প্রাসদটিতে।
৪। টোকিও টাওয়ার
প্রযুক্তির অগ্রগতি ও আধুনিক জীবনের সাক্ষী এই টোকিও টাওয়ার। আইফেল টাওয়ারের নকশা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাণ করা হয় এটি। এটি জাপানের দ্বিতীয় উচ্চতম মানুষ দ্বারা নির্মিত টাওয়ার যা যোগাযোগ ও পর্যবেক্ষণের কাজে ব্যবহার হয়। দর্শনার্থীরা এই টাওয়ারে চড়ে টোকিও ও এর আশেপাশের অঞ্চলের দৃশ্য অবলোকন করতে পারে এবং এর দোকান ও রেস্টুরেন্টে ঘুরতে পারে।
৫। হিরোশিমা পিস মেমোরিয়াল
১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমাতে আনবিক বোমায় নিহত মানুষদের স্মরণে নির্মাণ করা হয়েছে এই স্মৃতিসৌধ। গম্বুজাকার এই স্মৃতি সৌধটি একটি পার্কে অবস্থিত। বোমা বিস্ফোরনের পর এই অঞ্চলে শুধুমাত্র একটি ভবন দাড়িয়ে ছিল। যুদ্ধের বিধ্বংসিতা মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য এবং নিহতদের প্রতি সম্মান জানাতেই এই সৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। মানুষের জীবনের মূল্য উপলব্ধি করতে পারেন এই স্থানটির দর্শনার্থীরা।
তাছাড়া জিগোকুডানি মাংকি পার্ক, কিয়োমিজু ডেরা, হিমেজি ক্যাসেল, গ্রেট বুদ্ধা অফ কামাকুরা, টুডাইজি মন্দির, ঐতিহাসিক কায়োটো শহর, মন্দিরের শহর নারা, অসাকা ক্যাসেল, নাগুয়া শহরের আটসুটা মন্দির এবং টোকিওর মধ্যে শিঞ্জুকু, গিঞ্জা, শিবুয়া ও হারাজুকু ইত্যাদি স্থানগুলো জাপানের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান।  

ঘুরে আসুন জীব বৈচিত্র্যের দেশ কেনিয়া থেকে (পর্ব-২)

চোখ ধাঁধানো চমৎকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের দেশ কেনিয়া। এটি বিখ্যাত সাভানা সাফারির জন্য। এখানে আছে মরুভূমি, আলপাইন তুষারপাত, বন আবার চমৎকার সমতল, নাইরোবি মহানগরী আর রঙ্গিন আদিবাসী সংস্কৃতি। আরও আছে স্বচ্ছ পানির লেক, কোরাল রিফ। বন্য পাণীদের সাফারিগুলো এখানকার মূল পর্যটক আকর্ষণ। কিন্তু এর পাশাপাশি আপনি কেনিয়া পর্বতে ট্রেকিং করতে পারবেন, ভারত মহাসাগর উপকূলে স্নোর কেলিং করতে পারবেন। কেনিয়ায় আকর্ষণ বহুমূখী। আসুন জেনে নিই তাদের কথা। আজ ২য় পর্ব-
 
মাসাইমারা ন্যাশনাল পার্ক
তাঞ্জানিয়ার বর্ডারে এর অবস্থান। দুই দেশের বন্য পানীদের মাঝে বর্ডার টেনে দিয়েছে এই পার্ক। পার্কটির নামকরণ হয়েছে রেড-ক্লকড মাসাই জনগোষ্ঠীর নামে। তাদের জনবসতীকে আবিষ্ট করেই এই পার্ক, তারা এখানেই থাকেন এবং প্রাণীদের সাথে তাদের জীবন তেমনিই চলছে যেমন চলে আসছিল বহু শতাব্দী ধরে। তাদের ভাষায় 'মারা' মানে 'বহুবর্ণে চিত্রবিচিত্র'। সম্ভবত নামের ক্ষেত্রে তাদের এই শব্দের ব্যবহারের কারণ আফ্রিকার গাছেদের আলো আর আধারির খেলা এবং আকাশের মেঘ বিশাল ঘাসের জমিতে যে ছায়া ফেলে তার অপূর্ব সৌন্দর্য্য।
 
জুলাই থেকে অক্টোবারে হাজারো বন্য পশু, জেব্রা আর থমসন্স গ্যাজেলে সেরেঙ্গেতি থেকে এখানে চলে আসে। মারা নদীতে চোখে পড়ে হিপো আর কুমির। এখানে আরও আছে বিশালসংখ্যক সিংহ, চিতা এবং লোপার্ড। এখানকার আবহাওয়াও চমৎকার, মৃদু এবং কমনীয়।
 
এম্বসেলি ন্যাশনাল রিজার্ভ
এটি কেনিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটক আকর্ষণ। এম্বসেলি শব্দটি একটি মাসাই শব্দ যার অর্থ 'লবণাক্ত ধূলা'। বিশাল সংখ্যক হাতি একত্রে কাছ থেকে দেখার জন্য এটাই মোক্ষম জায়গা। অন্যান্য প্রাণীরাও আছে এখানে যেমন- চিতা, সিংহ, ইম্পালা, ইল্যান্ড, ওয়াটারবাক, গ্যাজেল এবং প্রায় ৬০০ প্রজাতির পাখি। প্রকৃতিপ্রেমীরা পার্কটিকে খুবই পছন্দ করেন, তারা এক্সপ্লোর করেন শুষ্ক মৌসুমের এম্বসেলি লেক, জলাভূমির সালফার স্প্রিংস, বৃক্ষহীন তৃণভূমি আর উডল্যান্ড। মাসাই জনগোষ্ঠীর বিচিত্র জীবনযাত্রা দেখতেও ভাল লাগবে আপনার।
 
সাভো ন্যাশনাল পার্ক
কেনিয়ার সবচেয়ে বড় পার্ক এটি। দুই ভাগে বিভক্ত পার্কটি, সাভো ওয়েস্ট এবং সাভো ইস্ট। একত্রে পার্কটি কেনিয়ার সমগ্র এলাকার ৪ শতাংশ জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। নদীতে ঘেরা পার্কটিতে দেখতে পাবেন জলপ্রপাত, সাভানাহ, আগ্নেয় পর্বত, বিশাল আগ্নেয় শিলা পাথর এবং অবশ্যই বিচিত্র বন্য জীবন।
নাইরোবি এবং মোম্বাসার মাঝে পূর্ব সাভো বেশি খ্যাত এর চমৎকার প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য। হাতিদের সাথে ছবি তোলা আর লাল বালি নিয়ে খেলা করা পর্যটকদের প্রিয় কাজ এখানে। গালানা নদী পার্কটিতে যোগ করেছে আরও নয়নাভিরাম সৌন্দর্য্য। পাশের ঘন বন, কোথাও আবার সমতল, বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ লাভা ফ্লো- ইয়াট্টা প্লাটিউ, মুদান্দা পাথর এবং লুগার্ড ফলস যা গিয়ে পড়েছে কুমির ভরা পুকুরে - সব মিলিয়ে সাভো যেন নানান রঙের রোমাঞ্চের আরেক নাম।
 
সাভো পশ্চিমকে আরও বিচিত্র করেছে জিমা স্প্রিংসগুলো। প্রাকৃতিক স্প্রিন্সের সাথে দেখা মিলবে অসংখ্য হিপো, কুমির, চাইমু ক্রাটার, বিচিত্র প্রজাতির পাখির। গভীর বনাঞ্চলের জন্য প্রণীদের দেখা পাওয়া একটু কঠিন এখানে। কিন্তু সেটা বাদ দিলেও এখানকার প্রকৃতি মন ভরিয়ে দেবে আপনার।

হজরত ইউনুস [আ.] কেন সমুদ্রে নিক্ষিপ্ত হলেন এবং মাছ কেন তাকে গিলে ফেললো?

ইউনুস [আ.]-এর ব্যাপারে পবিত্র কুরআনের মোট ৬টি সুরার ১৮টি আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে। সুরা ইউনুসের ৯৮ আয়াতে তাঁর নাম ইউনুস, সুরা আম্বিয়ার ৮৭ আয়াতে ‘যুন-নূন’ (ذو النون) এবং সুরা ক্বলম ৪৮ আয়াতে তাঁকে ‘ছাহেবুল হূত’ (صاحب الحوت) বলা হয়েছে। ‘নূন’ ও ‘হূত’ উভয়ের অর্থ মাছ। যুন-নূন ও ছাহেবুল হূত অর্থ মাছওয়ালা। একটি বিশেষ ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি উক্ত নামে পরিচিত হন।
ইউনুস [আ.]-এর ব্যাপারে পবিত্র কুরআনের মোট ৬টি সুরার ১৮টি আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে। সুরা ইউনুসের ৯৮ আয়াতে তাঁর নাম ইউনুস, সুরা আম্বিয়ার ৮৭ আয়াতে ‘যুন-নূন’ (ذو النون) এবং সুরা ক্বলম ৪৮ আয়াতে তাঁকে ‘ছাহেবুল হূত’ (صاحب الحوت) বলা হয়েছে। ‘নূন’ ও ‘হূত’ উভয়ের অর্থ মাছ। যুন-নূন ও ছাহেবুল হূত অর্থ মাছওয়ালা। একটি বিশেষ ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি উক্ত নামে পরিচিত হন। ঘটনাটি এমন- ইউনুস [আ.] বর্তমান ইরাকের মসুল নগরের কাছাকাছি নিনাওয়া নামের এক জনপদের পাপাচারী বাসিন্দাদের প্রতি প্রেরিত হন। তাফসির ও ইতিহাস গ্রন্থসমূহে তার পিতার নাম বলা হয়েছে ‌‌‌‘মাত্তা’। তিনি দীর্ঘদিন তার সম্প্রদায়কে সৎপথের দাওয়াত দেন। তারা তার কথায় কর্ণপাত না করায় আল্লাহ তাদের ওপর গজব অবতীর্ণ করার ঘোষণা দেন। তিনি আল্লহার গজব পতিত হওয়ার আগে কওম ছেড়ে দূরে চলে যান। ইত্যবসরে তার কওম তওবা করে এবং আল্লাহ তাদের ক্ষমা করেন। আল্লাহর নবি নিজের করা ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যা হওয়ার ভয়ে আর সেখানে না ফিরে যাওয়ার মনস্থ করেন। কিন্তু আল্লাহ তাআলা তার এই একক সিদ্ধান্তকে অপছন্দ করেন। ফলে তিনি তাকে পরীক্ষায় ফেলার সিদ্ধান্ত নেন।
স্বাভাবিক দৃষ্টিতে যদিও এটা কোনো অপরাধ ছিলো না কিন্তু পয়গম্বর ও নৈকট্যশীলগণের মর্যাদা অনেক ঊর্ধ্বে। তাই আল্লাহ তাদের ছোট-খাট ত্রুটির জন্যও পাকড়াও করেন। ফলে তিনি আল্লাহর পরীক্ষায় পতিত হন। নিজ সম্প্রদায় থেকে হিজরতকালে নদী পার হওয়ার সময় মাঝ নদীতে হঠাৎ নৌকা ডুবে যাবার উপক্রম হলো। তখন নৌকার মাঝি বললো, একজনকে নদীতে ফেলে দিতে হবে। নইলে সবাইকে ডুবে মরতে হবে। এজন্য লটারি হলে লটারিতে পরপর তিনবার তাঁর নাম আসে। ফলে তিনি নদীতে নিক্ষিপ্ত হন। সাথে সাথে আল্লাহর হুকুমে বিরাটকায় এক মাছ এসে তাঁকে গিলে ফেলে। কিন্তু মাছের পেটে তিনি হজম হয়ে যাননি। বরং এটা ছিল তাঁর জন্য নিরাপদ কয়েদখানা। [ইবনে কাসির, আম্বিয়া ৮৭-৮৮]
ইমাম মাওয়ার্দি বলেন, মাছের পেটে অবস্থান করাটা তাঁকে শাস্তিদানের উদ্দেশ্যে ছিলো না বরং আদব শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে ছিলো। যেমন পিতা তার শিশু সন্তানকে শাসন করে শিক্ষা দিয়ে থাকেন’। [তাফসিরে কুরতুবি, আম্বিয়া ৮৭]
কুরআনে ঘটনাটি কয়েক স্থানে বর্ণিত হয়েছে-
وَإِنَّ يُونُسَ لَمِنَ الْمُرْسَلِيْنَ- إِذْ أَبَقَ إِلَى الْفُلْكِ الْمَشْحُوْنِ- فَسَاهَمَ فَكَانَ مِنَ الْمُدْحَضِيْنَ- فَالْتَقَمَهُ الْحُوْتُ وَهُوَ مُلِيْمٌ
‘আর ইউনুস ছিলো পয়গম্বরগণের একজন। যখন সে পালিয়ে যাত্রী বোঝাই নৌকায় গিয়ে পৌঁছলো। অতঃপর লটারীতে সে অকৃতকার্য হলো। অতঃপর একটি মাছ তাকে গিলে ফেললো, এমতাবস্থায় সে ছিল নিজেকে ধিক্কার দানকারী।’ [সুরা ছাফফাত, আয়াত ১৩৯-১৪২]

জুমআর নামাজের আজানের পরে কেনা-বেচা করা হারাম, কিন্তু কেন!

হে ঈমানদারগণ! জুমআ দিবসে যখন ছালাতের জন্য আহবান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও এবং বেচা-কেনা ছেড়ে দাও। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর যদি তোমরা জ্ঞান রাখ। [জুমআ : ৯]

আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِيَ لِلصَّلاَةِ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ–
হে ঈমানদারগণ! জুমআ দিবসে যখন ছালাতের জন্য আহবান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও এবং বেচা-কেনা ছেড়ে দাও। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর যদি তোমরা জ্ঞান রাখ। [জুমআ : ৯]
অত্র আয়াতদৃষ্টে আলিমগণ আযান হতে ফরয ছালাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেনা-বেচা ও অন্যান্য সকল কাজকর্ম হারাম বলে উল্লেখ করেছেন। অনেক দোকানদারকে দেখা যায় তারা আযানের সময়ও নিজেদের দোকানে কিংবা মসজিদের সামনে কেনা-বেচা চালিয়ে যেতে থাকে। যারা এ সময় কেনা-কাটায় অংশ নেয়, তারাও তাদের সাথে পাপে শরীক হয়। এমনকি তুচ্ছ একটি মিসওয়াক কেনা-বেচা করলেও ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই তাতে গোনাহগার হবে। আলিমগণের জোরালো মতানুসারে এ সময়ের কেনা-বেচা বাতিল বলে গণ্য হবে।
অনেক হোটেল, বেকারী, ফ্যাক্টরী, কলকারখানা ইত্যাদির লোকেরা জুমআর ছালাতের সময় তাদের শ্রমিকদের কাজ চালিয়ে যেতে বাধ্য করে। তাতে বাহ্যতঃ তাদের কিছু লাভ দেখা গেলেও প্রকৃত প্রস্তাবে ক্ষতিই বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে শ্রমিকদের রাসূলুল্লাহ [সা.]-এর নিম্নোক্ত উক্তি মোতাবেক আমল করা কর্তব্য- لاَ طَاعَةَ لِمَخْلُوقٍ في مَعْصِيَةِ الخَالِقِ স্রষ্টার অবাধ্যতায় সৃষ্টির কোন আনুগত্য নেই। [বুখারী, মুসলিম, আহমাদ হা/১১৬৫; মিশকাত হা/৩৬৯৬।]

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হার, শিরোপা অস্ট্রেলিয়ার

ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫৮ রানে হারিয়ে শিরোপা তুলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

রোববার (২৬ জুন) রাতে বার্বাডোজের ফাইনালটি ছিল ওয়ানডে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ লিগ পর্বে অস্ট্রেলিয়াকে হারালেই ফাইনালে পেরে ওঠেনি। আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৭০ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। জবাবে, ক্যারিবিয়ানরা ৪৫.৪ ওভারে ২১২ রানে গুটিয়ে যায়। ডান হাতি ফাস্ট বোলার মার্শ ১০ ওভারে ৩২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়।

সিরিজের সেরা খেলোয়াড় অস্ট্রেলিয়ারই আরেক পেসার জস হ্যাজলউড। ফাইনালে ৫০ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন। তারপরও ৩ উইকেট নিয়ে মার্শ সেরা। আসলে দারুণ হিসেবী বোলিংয়ের পাশাপাশি ক্যারিবিয়ানদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার জন্যই এই পুরস্কার মার্শের। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ড্যারেন ব্রাভোকে (৬) দাঁড়াতে দেননি মার্শ। পরের ওভারেই আরেক বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান মারলন স্যামুয়েলসকে (৬) ফিরিয়েছেন। ঠিক পরের ওভারটিতেই উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া ওপেনার জনসন চার্লসকে (৪৫) এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেছেন। ৭২ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর আর ফেরা হয়নি স্বাগতিকদের।

দিনেশ রামদিন (৪০), অধিনায়ক জ্যাসন হোল্ডার (৩৪), সুনীল নারিনরা (২৩) নীচের দিকে লড়াইয়ের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু হ্যাজলউডরা পার্টনারশিপ গড়তে দেননি। ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচারের পর রামদিন, কার্লোস ব্রাথওয়েট (১৪) হয়েছেন হ্যাজলউডের শিকার। শেষের আরো দুই উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে থামিয়ে দেওয়ার কৃতিত্ব হ্যাজলউডের।

এর আগে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটাও প্রত্যাশিত ভালো হয়নি। উসমান খাজা (১৪) দ্রুত বিদায় নিয়েছেন। অন্য ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ দ্রুত ৪৭ রান করেছেন। কিন্তু ফিরেছেন দলের ৬৯ রানে। অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ খেলেছেন ৪৬ রানের ইনিংস। তবে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস লড়াই করার চেহারা পায় সাত নম্বরে নেমে ইনিংসের একমাত্র ফিফটি তুলে নেওয়া উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ম্যাথু ওয়াডের কারণে। ৫২ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত থেকেছেন তিনি। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের জবাব খুঁজে না পেয়ে শিরোপা জিততে না পারার কষ্টে ডুবেছে ক্যারিবিয়ানরা।

স্পেনকে হারিয়ে প্রতিশোধ ইতালির

স্পেনকে হারিয়ে গত আসরের প্রতিশোধ নিল ইতালি। ইউরোর শেষ ষোলোর ম্যাচে ইতালি ২-০ গোলে হারিয়েছে স্পেনকে। গিয়ের্গিও চিয়েল্লিনি ও গ্র্যাজিয়ানো পেল্লে আজ্জুরিদের দুই গোলদাতা। এই জয় ইতালিকে নিয়ে গেল শেষ আটে।

ইউরো ২০০৮-এ স্পেনের কাছে হেরেছিল ইতালি। ২০১২-র ফাইনালে ৪-০ গোলে একই প্রতিপক্ষের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিল আজ্জুরিরা। এবার আন্তনিও কন্তের শিষ্যরা সেই দুটি হারের বদলা নিল সুদে-আসলে।

ম্যাচের ৩৩ মিনিটে গোলের খাতা খোলেন ডিফেন্ডার গিওর্গিও চিয়েল্লিনি। গোলের ব্যবধানটা আরও হতে পারতো, কিন্তু গোলকিপার ডেভিড ডি গিয়ার দুরন্ত নৈপুণ্যের কারণে বারবার বেঁচে যায় ইনিয়েস্তারা। জয়ের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে আক্রমণের পর আক্রমণ শানায় স্পেন। কিন্তু তাদের সব আক্রমণ বাধাগ্রস্ত হয় ইতালির রক্ষণদুর্গে। ইনজুরি টাইমে প্রতি-আক্রমণ থেকে গোল পেয়ে যান গ্রাজিয়ানো পেল্লে।

কোয়ার্টার ফাইনালে ইতালির প্রতিপক্ষ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। আগামী শনিবার বর্দোয় এই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

ইমরান হাসমির সঙ্গে অভিনয়ে না ঐশ্বরিয়ার!

ছবির মুখ্য চরিত্রে তার থাকার কথা ছিল অজয় দেবগণের সঙ্গে। ইমরান হাসমির সঙ্গেও ছিল কয়েকটি দৃশ্য। তাই ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন!

হঠাৎ কী এমন হল ইমরানের সঙ্গে, যার জন্য এমন একটা সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি?

জানা গেছে, অজয় দেবগণের সঙ্গে মিলন লুথরিয়ার পরবর্তী ছবিতে অভিনয়ের অফার পান শ্রীমতী বচ্চন। জয়পুরের মহারানি গায়ত্রীদেবীর আদলে তৈরি হয়েছিল তার চরিত্রটি। কিন্তু, যেই শুনলেন তার সঙ্গে কয়েকটি দৃশ্যে রয়েছেন বলিউডের সিরিয়াল কিসার, সঙ্গে সঙ্গে তিনি বলে দেন, ইমরান থাকলে ওই ছবিতে তিনি নেই কোনও মতেই।

কিন্তু, কেন ইমরানকে এতটা অপছন্দ তার? শুনলে হয়তো আপনি অবাক হয়ে যাবেন! দু’বছর আগে করণ জোহরের টক শোতে তাকে ‘প্লাস্টিক’ বলেছিলেন ইমরান হাসমি। তার পর দু’বছর কেটে গেলেও ঐশ্বরিয়ার রাগ কিন্তু এখনও পড়েনি!

সালমানের ধর্ষণকাণ্ডে মুখ খুললেন প্রিয়াংকা

বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের ধর্ষণকাণ্ডে এবার মুখ খুললেন আবেদনময়ী নায়িকা প্রিয়াংকা চোপড়া।

তিনি বলেছেন, সালমানের বিতর্ক আর না বাড়িয়ে দেশের আসল সমস্যা নিয়েই মাথা ঘামানো উচিত।

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে ভাইজানের বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ‘বেওয়াচ’ নায়িকা বলেন, আমার মনে হয়, যে কমেন্টটি করেছে সবার আগে তাকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা উচিত। শুধু শুধু এই বিতর্ককে টেনে বাড়ানো উচিত নয়। প্রকৃত সমস্যার দিকে নজর দিতে হবে আমাদের।

এর পর বিহারের ধর্ষণের প্রসঙ্গ টেনে এনে দেশি গার্ল বলেন, এর চেয়েও মারাত্মক ঘটনা ঘটছে দেশ জুড়ে। বিহারের সেই মেয়েকে নৃসংশভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে। কেন কেউ সেই বিষয় নিয়ে কথা বলছে না? সালমান ছাড়াও অনেক বিষয় আছে কথা বলার মতো। আমার মনে হয়, দেশের মেয়েদের প্রকৃত সমস্যা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় এসেছে।

প্রথম থেকেই সালমান খানের বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে কার্যত দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল গোটা বলিউড।

এবার সোনা মহাপাত্র, কঙ্গনা রানাউতের সঙ্গে গলা মেলালেন পিগি চপসও। কিছু দিন আগে ‘সুলতান’-এর শুটিংয়ের সময় তার অমানুষিক পরিশ্রমের কথা বোঝাতে গিয়ে নিজেকে ‘ধর্ষিত মহিলা’র সঙ্গে তুলনা করেছিলেন সালমান। এর পর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফ থেকে সালমানকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হলেও এই মন্তব্যের জন্য এখনও ক্ষমা চাননি মিস্টার খান।

সিআইএ’র অস্ত্র জর্ডানের কালোবাজারে

সিরিয়ার বিদ্রোহীদের জন্য মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এবং সৌদি আরব যে অস্ত্রের চালান পাঠিয়েছিল সেগুলো ব্লাক মার্কেট বা কালোবাজারে বিক্রি হয়ে গেছে। অস্ত্র বহনকারী জাহাজটি জর্ডানে পৌঁছার পরই এগুলো চুরি করে নেয় দেশটির গোয়েন্দা বাহিনী। পরে তারা সেগুলো কালোবাজারের অস্ত্র ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেয়। মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

পত্রিকাটি বলছে, গেল নভেম্বরে আম্মানের পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বন্দুক হামলায় দুই মার্কিন নাগরিকসহ যে পাঁচজনকে হত্যা করা হয়েছিল, সেখানে ওই চুরি যাওয়া অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। জর্ডানের এক পুলিশ কর্মকর্তা ওই হামলা চালিয়েছিল। হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের দুই নিরাপত্তা ঠিকাদার, একজন আফ্রিকান প্রশিক্ষক এবং দুই জর্ডান নাগরিক প্রাণ হারিয়েছিলেন।

মার্কিন ও জর্ডানি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস আরও জানিয়েছে, গেল বছরের শেষদিকে সিরিয়ার বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্যই ওই অস্ত্রগুলো জর্ডানে পাঠানো হয়েছিল।

কিন্তু জর্ডানে পৌঁছার পরপরই সেগুলো চুরি হয়ে যায়। ফলে সেখানকার কালোবাজারে নতুন নতুন আগ্নেয়াস্ত্রের জোয়ার তৈরি হয়। জর্ডানের সরকারি কর্মকর্তারা এসব অস্ত্র বিক্রির টাকা দিয়ে আইফোন ও গাড়িসহ নানা বিলাসী সামগ্রী কেনাকাটা করেছে বলেও পত্রিকাটি জানিয়েছে। তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি সিআইএ।

এক রাতেই পরমাণু অস্ত্র বানাতে পারে জাপান!

রাতারাতি পরমাণু শক্তিধর হওয়ার ক্ষমতা রাখে জাপান। তাই উত্তর কোরিয়াকে এখনই সামলানো জরুরি। না হলে বিপদ হতে পারে।

চীনকে এমনই কড়া বার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশটির গণমাধ্যমকে এ কথা বলেছেন।

এমনকি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকেও এই বার্তা দেয়া হয়েছে বলে বাইডেন জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যেভাবে উত্তর কোরিয়া একের পর এক পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন।

চীনের পরোক্ষ প্রশ্রয়েই উত্তর কোরিয়ার এই যুদ্ধের হুংকার দিচ্ছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন বাইডেন। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন যদি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে বিপদ বাড়বে।

বাইডেনের কথায়, 'যদি জাপান আগামীকাল পরমাণু অস্ত্র বানিয়ে ফেলে, তাহলে কী হবে? আক্ষরিক অর্থেই রাতারাতি পরমাণু অস্ত্র তৈরির ক্ষমতা রাখে তারা।'
 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates