স্কটল্যান্ডের এডিনবরায় আজ শুরু হতে যাওয়া আইসিসির ঐতিহাসিক সভা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সভায় এমন কিছু প্রস্তাব পেশ করা হবে, যা বাস্তবায়ন হলে বদলে যেতে পারে বিশ্ব ক্রিকেটের বর্তমান কাঠামোর খোলনলচে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল, ক্রিকেটে দুই স্তরের কাঠামো। দুটি স্তরে ভাগ হয়ে ১২টি দেশ খেলবে টেস্ট ম্যাচ। ওয়ানডে খেলবে ১৩টি দেশ। উত্তরণ ও অবনমনের ব্যবস্থা থাকবে।
বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বেশি চিন্তার বিষয়, দুই স্তরের টেস্ট চালু হলে বড় দলগুলোর বিপক্ষে পাঁচদিনের ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা কমে যাবে মুশফিকুরদের। তবে একেবারেই শীর্ষ দলগুলোর সঙ্গে যে টেস্ট খেলা যাবে না, তা নয়। তবে তা নির্ধারিত হবে অন্য দেশের বোর্ডগুলোর সঙ্গে বিবিসির আলোচনার ভিত্তিতে। এ জন্যই সামনের দিনগুলোতে ক্রিকেট, কূটনীতির প্রয়োজনীয়তা বাড়বে।
এদিকে একদিবসী ক্রিকেটও হবে দ্বিস্তরের। সেখানে ১২টির বদলে ১৩টি দল থাকতে পারে। এই ওয়ানডে লীগের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে কোন দেশগুলো খেলবে বিশ্বকাপে। ওয়ানডে লীগ তাই বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে পরিণত হবে।
টেস্ট ক্রিকেটকে ভাগ করা হবে দুটি স্তরে। প্রথমস্তরে থাকবে বর্তমান র্যাংকিংয়ের শীর্ষ সাত দল। পাঁচটি দলকে নিয়ে হবে দ্বিতীয় স্তর। বর্তমান টেস্ট খেলুড়ে ১০টি দেশের বাইরে থাকা আয়ারল্যান্ডের স্বপ্ন এর মধ্যদিয়ে পূরণ হতে চলেছে। লীগ পদ্ধতিতে দুই স্তরের দলগুলো নিজ নিজ স্তরের প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলবে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে। সেই সিরিজের ফল ও পয়েন্টের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে র্যাংকিংয়ে দলগুলোর অবস্থান। দুই বছরের চক্রে শেষ হবে একটি লীগ।
এদিকে দুটি স্তরেই থাকবে উত্তরণ ও অবনমন। দুই বছরে সব দেশ যখন হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে সবার সঙ্গে খেলে ফেলবে, তারই ভিত্তিতে চ্যাম্পিয়ন হবে শীর্ষে থাকা দল। আর র্যাংকিংয়ে সবার নিচে থাকা দল দ্বিতীয় স্তরে নেমে যাবে। প্রথম স্তরে উঠে আসবে দ্বিতীয় স্তরের শীর্ষ দল। দুই বছর পরপর এভাবে উত্তরণ ও অবনমন প্রক্রিয়া চলবে।’ ওয়েবসাইট।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment