ওষুধ কিংবা ফুড সাপ্লিমেন্ট নয়, প্রতিদিনের খাবারে সবথেকে বেশি পাওয়া যায় ভিটামিন-ই।
শাক-সব্জি এমনকি চিংড়ি থেকেও পেতে পারেন এই আবশ্যক ভিটামিনটি৷ ফুড সাপ্লিমেন্টে আংশিক ভিটামিন-ই থাকে, যেখানে অলিভ, আমন্ড কিংবা ব্রকোলিতে সম্পূর্ণ ভিটামিন-ই থাকে৷ এখন প্রশ্ন কেন দরকার এই ভিটামিনটি? উত্তর, ক্যান্সার প্রতিরোধে এর ভূমিকা অনস্বীকার্য৷ তাছাড়া এই ভিটামিন ত্বকের জন্য খুব প্রয়োজনীয়৷ দেহে জারন-বিজারনের মাত্রা নির্ভর করে এই ভিটামিনের উপর৷ তাছাড়া সংবহন এবং চিন্তা কমানোর ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা রয়েছে৷ তাই মানবদেহে এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে৷ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রূপে কাজ করে এই ভিটামিন৷ আমরা জানি যে অক্সিজেন আমাদের শ্বাসবায়ু৷ কিন্ত্ত শরীরের ভিতরে এই বায়ুই বিক্রিয়া ঘটায়, যার ফলে 'অক্সিডেটিভ স্ট্রেস'র সৃষ্টি হয়৷ ভিটামিন-ই এই স্ট্রেস কমায় অন্য কিছু অত্যাবশ্যক উপাদানের(ভিটামিন-সি, গ্লুটাথিওন, সেলেনিয়াম এবং ভিটামিন-বি)সঙ্গে মিলে৷
কি কি খাবার থেকে এই ভিটামিন পাওয়া যায়?
বাদাম, সূর্যমুখী ফুলের বীজ, পালংশাক, তেল (রাইস অয়েল, সানফ্লাওয়ার অয়েল), অ্যাভোকাডো, পেঁপে, চিংড়ি ও সামুদ্রিক কিছু মাছ, ব্রকোলি এবং আরও অনেক প্রাকৃতিক উত্স থেকে পাওয়া যায় এই ভিটামিনটি৷
কিভাবে খাওয়া যায় ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাদ্য?
বাঙালি তেলে ঝোলে থাকতে পছন্দ করলেও, খুব বেশী তেল খাওয়া কখনই স্বাস্থ্য-সম্মত নয়৷ বরং অল্প রাইস অয়েল কিংবা অলিভ অয়েল দিয়ে তৈরি হালকা খাবারে থাকবে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-ই, যা স্বাস্থ্যপযোগী৷ সকালে চটজলদি ব্রেকফাস্টে ব্রেডের সঙ্গে আমন্ড বাটারে দিনের শুরু হবে স্বাস্থ্যকর৷ স্ন্যাক্সে মাছ ভাজা কিংবা কাবাবে সঙ্গে লেটুস খুবই ভালো লাগে খেতে৷ কিংবা মাল্টিগ্রেইন আটার রুটি, তরকারি এবং তার সঙ্গে স্যালাডেই জমে যেতে পারে ডিনারের মেনু৷ স্যালাডে সূর্যমুখী বীজ ছড়িয়ে দিলেই এর পুষ্টিমুল্য দ্বিগুন হয়ে যায়৷ রান্নায় টোম্যাটো ব্যবহার করলে খেতেও ভালো লাগবে আর পুষ্টিও বজায় থাকবে৷ সামুদ্রিক মাছের সঙ্গে জেলাপিনো, সিলান্ট্রো, আদা এবং মরিচও একটা হেলদি স্ন্যাকস৷ ফ্রেস লাইম জুসের সঙ্গে পাকা পেঁপে ডায়েটের ক্ষেত্রে দারুন কম্বো৷ পাস্তা বাড়ির খুদেদের প্রিয়, তাই পাস্তায় অলিভ কেটে ছড়িয়ে দিলে তা যথেষ্ট জনপ্রিয় হবে খুদেমহলে৷ চেষ্টা করুন সন্তাহে অন্তত দু'বার ব্রকোলি সেদ্ধ খেতে৷
রেসিপি (ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাবার)
অ্যাভোকাডো ম্যাকারোনি সালাদ :
উপকরন- পাস্তা, অ্যাভোকাডো, মরিচ, চিনি, নুন, অলিভ অয়েল, মেয়োনিজ, পাতি লেবুর রস, লেটুস পাতা৷ পদ্ধতি- প্রথমে মেয়োনিজ, পাতি লেবুর রস, অ্যাভোকাডো, চিনি, নুন(স্বাদমত) একসঙ্গে ফ্যাটানো হবে৷ ভালো করে মিশে গেলে অলিভ অয়েল ঢেলে ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে৷ অপরদিকে, পাস্তা সেদ্ধ করতে হবে ৫-৭ মিনিট৷ তারপর পাস্তা আর মিক্সচার মেসান হবে৷ মরিচ ছড়িয়ে দিতে হবে স্যালাডের ওপর৷ তারপর লেটুস পাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে৷
Saturday, June 25, 2016
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment