ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫৮ রানে হারিয়ে শিরোপা তুলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
রোববার (২৬ জুন) রাতে বার্বাডোজের ফাইনালটি ছিল ওয়ানডে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ লিগ পর্বে অস্ট্রেলিয়াকে হারালেই ফাইনালে পেরে ওঠেনি। আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৭০ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। জবাবে, ক্যারিবিয়ানরা ৪৫.৪ ওভারে ২১২ রানে গুটিয়ে যায়। ডান হাতি ফাস্ট বোলার মার্শ ১০ ওভারে ৩২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়।
সিরিজের সেরা খেলোয়াড় অস্ট্রেলিয়ারই আরেক পেসার জস হ্যাজলউড। ফাইনালে ৫০ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন। তারপরও ৩ উইকেট নিয়ে মার্শ সেরা। আসলে দারুণ হিসেবী বোলিংয়ের পাশাপাশি ক্যারিবিয়ানদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার জন্যই এই পুরস্কার মার্শের। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ড্যারেন ব্রাভোকে (৬) দাঁড়াতে দেননি মার্শ। পরের ওভারেই আরেক বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান মারলন স্যামুয়েলসকে (৬) ফিরিয়েছেন। ঠিক পরের ওভারটিতেই উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া ওপেনার জনসন চার্লসকে (৪৫) এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেছেন। ৭২ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর আর ফেরা হয়নি স্বাগতিকদের।
দিনেশ রামদিন (৪০), অধিনায়ক জ্যাসন হোল্ডার (৩৪), সুনীল নারিনরা (২৩) নীচের দিকে লড়াইয়ের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু হ্যাজলউডরা পার্টনারশিপ গড়তে দেননি। ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচারের পর রামদিন, কার্লোস ব্রাথওয়েট (১৪) হয়েছেন হ্যাজলউডের শিকার। শেষের আরো দুই উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে থামিয়ে দেওয়ার কৃতিত্ব হ্যাজলউডের।
এর আগে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটাও প্রত্যাশিত ভালো হয়নি। উসমান খাজা (১৪) দ্রুত বিদায় নিয়েছেন। অন্য ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ দ্রুত ৪৭ রান করেছেন। কিন্তু ফিরেছেন দলের ৬৯ রানে। অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ খেলেছেন ৪৬ রানের ইনিংস। তবে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস লড়াই করার চেহারা পায় সাত নম্বরে নেমে ইনিংসের একমাত্র ফিফটি তুলে নেওয়া উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ম্যাথু ওয়াডের কারণে। ৫২ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত থেকেছেন তিনি। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের জবাব খুঁজে না পেয়ে শিরোপা জিততে না পারার কষ্টে ডুবেছে ক্যারিবিয়ানরা।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment