Social Icons

Tuesday, June 28, 2016

জুমআর নামাজের আজানের পরে কেনা-বেচা করা হারাম, কিন্তু কেন!

হে ঈমানদারগণ! জুমআ দিবসে যখন ছালাতের জন্য আহবান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও এবং বেচা-কেনা ছেড়ে দাও। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর যদি তোমরা জ্ঞান রাখ। [জুমআ : ৯]

আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِيَ لِلصَّلاَةِ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ–
হে ঈমানদারগণ! জুমআ দিবসে যখন ছালাতের জন্য আহবান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও এবং বেচা-কেনা ছেড়ে দাও। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর যদি তোমরা জ্ঞান রাখ। [জুমআ : ৯]
অত্র আয়াতদৃষ্টে আলিমগণ আযান হতে ফরয ছালাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেনা-বেচা ও অন্যান্য সকল কাজকর্ম হারাম বলে উল্লেখ করেছেন। অনেক দোকানদারকে দেখা যায় তারা আযানের সময়ও নিজেদের দোকানে কিংবা মসজিদের সামনে কেনা-বেচা চালিয়ে যেতে থাকে। যারা এ সময় কেনা-কাটায় অংশ নেয়, তারাও তাদের সাথে পাপে শরীক হয়। এমনকি তুচ্ছ একটি মিসওয়াক কেনা-বেচা করলেও ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই তাতে গোনাহগার হবে। আলিমগণের জোরালো মতানুসারে এ সময়ের কেনা-বেচা বাতিল বলে গণ্য হবে।
অনেক হোটেল, বেকারী, ফ্যাক্টরী, কলকারখানা ইত্যাদির লোকেরা জুমআর ছালাতের সময় তাদের শ্রমিকদের কাজ চালিয়ে যেতে বাধ্য করে। তাতে বাহ্যতঃ তাদের কিছু লাভ দেখা গেলেও প্রকৃত প্রস্তাবে ক্ষতিই বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে শ্রমিকদের রাসূলুল্লাহ [সা.]-এর নিম্নোক্ত উক্তি মোতাবেক আমল করা কর্তব্য- لاَ طَاعَةَ لِمَخْلُوقٍ في مَعْصِيَةِ الخَالِقِ স্রষ্টার অবাধ্যতায় সৃষ্টির কোন আনুগত্য নেই। [বুখারী, মুসলিম, আহমাদ হা/১১৬৫; মিশকাত হা/৩৬৯৬।]

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates