Social Icons

Friday, April 29, 2016

শিশু ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার ট্রাম্পের

শিশু ধর্ষণের অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান মনোনয়ন প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি রিপাবলিকান এই নেতার বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়।
 
মঙ্গলবার ধর্ষণের শিকার ওই নারী ক্যালিফোর্নিয়ার সেন্ট্রাল জেলা আদালতে ১০০ মিলিয়ন ডলারের মামলা করেন। ধর্ষণের শিকার ওই নারীর নাম কেট জনসন।
 
তিনি অভিযোগ করেন, মডেলিং ও টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। মাত্র ১৩ বছর বয়সেই যৌন নিপীড়নের শিকার হন তিনি। আর এবিষয়টি গোপন রাখার জন্য জীবনের হুমকিও দেয়া হয়েছিল তাকে।
 
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প।

প্রথমবার সরকারকে তথ্য দিল ফেসবুক

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য চেয়ে করা অনুরোধে সাড়া দিয়েছে ফেসবুক। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তথ্য নিয়ে ২৮ এপ্রিল ফেসবুকের প্রকাশিত ‘গভর্নমেন্ট রিকোয়েস্ট রিপোর্ট’ এ বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ওই সময় ১২টি অনুরোধে ৩১টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) চারটি কনটেন্ট সরিয়ে ফেলার অনুরোধ করে। 
 
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাদেশের অনুরোধে সাড়া দিয়েছে তারা। অনুরোধে সাড়া দেয়ার হার ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ ছাড়া চারটি কনটেন্ট সরিয়ে ফেলা হয়েছে। 
 
২০১৫ সালের প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো অনুরোধে সাড়া না দিলেও এবারই প্রথম বাংলাদেশ সরকারের কোনো অনুরোধে সাড়া দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। 
 
২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর ফেসবুক প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওই বছরের জানুয়ারি থেকে জুন এই ছয় মাসে ফেসবুকের কাছে তিনটি অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য চেয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। তিনবার অনুরোধের মাধ্যমে এই তিনজনের তথ্য জানতে চাওয়া হয়। তখন সরকারের ওই অনুরোধে ফেসবুক সাড়া দেয়নি। এর আগে ২০১৪ সালের শেষ ছয় মাসে পাঁচটি অনুরোধের মাধ্যমে পাঁচজনের অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য জানতে চেয়েছিল সরকার। ওই বছরের প্রথম ছয় মাসে ফেসবুকের কাছে ১৭টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। মোট সাতটি অনুরোধের মাধ্যমে এই তথ্য চাওয়া হয়েছিল। ২০১৩ সালের আগস্টে ১২ জনের তথ্য চাওয়া হয়েছিল।

শিগগিরই বিদেশি শ্রমিক নিবে মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়ায় আবারো বিদেশি শ্রমিক নেয়ার বিষয়ে শিগগিরিই ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানালেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামিদি। বৃহস্পতিবার রাতে মালয়েশিয়া রিটেইল চেইন অ্যাসোসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানে হামিদি একথা বলেন।
 
তিনি বলেন, ‘বিদেশি শ্রমিকদের বিষয়টি নিয়ে আমি অবগত। আমি জানি যে, অনেক খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সরকার তাদের বক্তব্য শুনছে এবং যথাসময়ে এ বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা আসবে।’
 
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানির গুরুত্বপূর্ণ বাজার। বর্তমানে প্রায় ছয় লাখ বাংলাদেশি সেখানে বিভিন্ন পেশায় রয়েছেন।
 
আগামী পাঁচ বছর বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের সরকারে মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। তবে এর পরদিনই বিদেশি শ্রমিক নেওয়া স্থগিতের ঘোষণা দেয় দেশটির সরকার।

যেখানে সবাইকে ছাড়িয়ে মুস্তাফিজ...

বাংলাদেশী বিস্ময় পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের বন্দনা চলছেই। পুরো ক্রিকেট বিশ্বই যেন তার গুণর্কীতনে বিভোর। 
  
আর হবেই বা না কেন, পরিসংখ্যানই বলছে, বিশ্বসেরা বোলারদের মধ্যে মুস্তাফিজই এখন সবাইকে ছাড়িয়ে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। 
  
এরই ধারাবাহিকতায় জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইন 'দ্য ফিজ ইন মুস্তাফিজুর' নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। 
  
এতে বলা হয়, খুব অল্প সময়, মাত্র ১২ মাসে মুস্তাফিজ নিজেকে বিশ্বের প্রথম সারির বোলার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। অধিনায়করা এখন তাকে দলের সবচেয়ে কঠিন সময়ে বোলিংয়ের দায়িত্ব দিচ্ছেন। 
  
প্রতিবেদনের শুরুতেই এ ধরনের বক্তব্যে ফুঁটে ওঠে মুস্তাফিজের শক্ত অবস্থানের বিষয়টি। এতে দেয়া বিভিন্ন ম্যাচের পরিসংখ্যান আর ফিরিস্তিতে এটাই বোঝা যায় যে, আগামী দিনগুলো মুস্তাফিজেরই। 
  
পাকিস্তানের বিপক্ষে টি ২০ ম্যাচ দিয়ে গত বছর ২৪ এপ্রিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন মুস্তাফিজ। এখন অব্দি বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সিতে মোট ২টি টেস্ট, ৯টি ওয়ানডে ও ১৩টি টি ২০ ম্যাচ খেলেছেন। 
  
টেস্টে ১৪.৫০ গড় ও ২.৫৫ ইকোনমি রেটে উইকেট নিয়েছেন ৪টি। ৯ ওয়ানডেতে ১২.৩৪ গড় ও ৪.২৬ ইকোনমি রেটে উইকেট সংখ্যা ২৬। 
  
অন্যদিকে, ১৩ টি ২০ ম্যাচে ১৩.৯৫ গড় ও ৫.৯৮ ইকোনমি রেটে উইকেট নিয়েছেন ২২টি। 
  
পরিসংখ্যান বলছে, ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে মুস্তাফিজ বর্তমানে বিশ্বসেরা বোলারদের একজন। বিশেষত ব্যাটসম্যানদের জন্য দাপট দেখানোর খেলা টি ২০ ক্রিকেটে মুস্তাফিজ এক অন্যন্য বোলার। 
  
ইএসপিএনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত বছরের ২৪ এপ্রিল থেকে এখন অব্দি টি ২০ ক্রিকেটে (আন্তর্জাতিক নয়) কম করেও ৭৫ ওভার বোলিং করেছেন, এমন বোলারদের মধ্যে গড়ের হিসাবে মুস্তাফিজই সেরা। 
  
অন্যদিকে, সেরা ইকোনমির বোলারদের মধ্যে তিনে রয়েছেন মুস্তাফিজ। আর ডেথ ওভার তথা ১৫ থেকে ২০ ওভারে বোলিং করার ক্ষেত্রে সফলতায় নিজেকে সবার উপরে টেনে নিয়েছেন মুস্তাফিজ। 
  
গত ১ বছরে ৪৮ জন বোলার যারা কমপক্ষে ৭৫ ওভার বল করেছেন, (টি ২০ ক্রিকেটে) তাদের নিয়ে গড়া পরিসংখ্যানে মুস্তাফিজকেই শীর্ষে রাখা হয়। তার বোলিং গড় ১৫.২৭, ইকোনোমি রেট ৫.৯২। 
  
গড়ের হিসাবে পরের দুটি স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে জিম্বাবুয়ের গ্রামার ক্রেমার (গড় ১৫.৪৮) ও ইংল্যান্ডের রবি বোপারা (গড় ১৫.৫৮)। 
  
এছাড়া ১৬.১৩ গড় নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেভিন কুপার এবং ১৬.৩৪ গড়ে নিয়ে বাংলাদেশের আরেক পেসার আল আমিন হোসেন রয়েছেন যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে। 
  
সেরা ইকোনোমি রেটের (টি ২০ ক্রিকেটে) বোলারদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনার সুনীল নারিন (৫.৭১) ও দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে আরেক স্পিনার, ভারতের রবীচন্দ্রন অশ্বিন (৫.৭১)। 
  
আর ৫.৯২ ইকোনমি রেট নিয়ে মুস্তাফিজ রয়েছেন তিন নম্বরে। টি ২০ ক্রিকেটে তাই পেসারদের মধ্যে সেরা ইকোনমি রেটও কিন্তু মুস্তাফিজুর রহমানেরই। 
  
গত এক বছরে টি ২০ ক্রিকেটে উইকেট নেয়ার ক্ষেত্রেও বেশ এগিয়ে রয়েছেন বাঁ হাতি পেসার মুস্তাফিজ। তিনি ৪৩টি উইকেট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন। প্রথম ও দ্বিতীয়স্থানে যথাক্রমে রয়েছেন পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ সামি (৪৫ উইকেট) এবং বাংলাদেশের আল-আমিন (৪৪ উইকেট)।

শিশুকে বিয়ের দাবি করে শ্লীলতাহানি, কারাগারে ইমাম

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় সপ্তম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত এক শিশুকে (১৪) প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ের দাবি করে শ্লীলতাহানি করার ঘটনায় এক ইমামকে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার রাতে ইমামকে কারাদণ্ড দেয় আাদালত। পরে শুক্রবার সকালে তাকে নীলফামারী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। দণ্ডিত ইমামের নাম আবদুল লতিফ। তিনি ডিমলা সদর ইউনিয়নের কুটিরডাঙ্গা গ্রামের মৃত কছির উদ্দিনের পুত্র ও কুটিরডাঙ্গা উত্তরপাড়া জামে মসজিদের ইমাম। জানা গেছে, আবদুল লতিফ ডিমলা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর এক ছাত্রীর ছবি দিয়ে আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে তাকে বিয়ে করেন। তবে ছাত্রীটি এ ব্যাপারে কিছুই জানত না। এক পর্যায়ে ইমাম তাকে স্ত্রী দাবি করে শ্লীলতাহানি করে। প্রতারণামূলক বিয়ে ও শ্লীলতাহানির ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করে ওই ছাত্রী। পরে বৃহস্পতিবার রাতে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী  ম্যাজিষ্ট্রেট রেজাউল করিম দণ্ডবিধির ৫০৯ ধারা অনুযায়ী ইমামকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। ডিমলা থানার ওসি রহুল আমিন খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ইমামকে শুক্রবার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মাঝ আকাশে বিমানেই জন্ম নিল শিশু

মাঝ আকাশেই জন্ম নিল নবীনতম বিমান যাত্রী। বিমানের নামেই তার নাম রাখা হয়েছে সও জেট স্টার। দিন কয়েক আগের ঘটনা। সিঙ্গাপুর থেকে রেঙ্গুনগামী এক বিমানে উঠেছিলেন মিয়ানমারের এক মহিলা। মাঝ আকাশের লেবার পেইন শুরু হয় তার। খবর পেয়ে বিমানটি ইমারজেন্সি ল্যান্ড করানোর তোরজোড়ও শুরু হয়। কিন্তু নবীনতম সও জেট স্টার আর মোটেই অপেক্ষা করতে চাইছিল না। মাঝ আকাশেই জন্ম নেয় সে। জেট স্টারের এক কর্তা জানান, ওইদিন ভাগ্যক্রমে বিমানে কয়েকজন চিকিৎসকও ছিলেন। তারাই ওই মহিলার দেখভাল করেন। বাচ্চাটি জন্ম নেয়ার পর বিমানের সব যাত্রীরা আনন্দে চিৎকার করে ওঠেন। বাচ্চা এবং তার মা দু’জনেই সুস্থ রয়েছে বলে জানা গেছে। নবজাতককে উপহার হিসাবে জেট স্টারের পক্ষ থেকে ৫০০ পাউন্ড দেয়া হয়েছে।

Wednesday, April 27, 2016

পিরিয়ড বন্ধ হলেই কি বুঝতে হবে যে আমার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা?

আজকের প্রশ্নঃ পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলেই কি বুঝতে হবে যে আমার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা?


উত্তরঃ না, পিরিয়ড বন্ধ হলেই যে একজন নারী গর্ভবতী হয়ে থাকেন তা না। বিভিন্ন কারণে পিরিয়ড বন্ধ হতে পারে, কারও কারও অনিয়মিতভাবেই পিরিয়ড হয়ে থাকে। তবে বেশিদিন বন্ধ থাকা ভালো না। তারপরও সন্দেহ হলে আপনার স্ত্রীকে প্রেগনেন্সি স্ট্রিপ দিয়ে ঘরেই প্রেগনেন্সি টেস্ট করাতে পারেন। বিশেষ প্রয়োজনে একজন গাইনি বিশেষজ্ঞের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। ধন্যবাদ


এশিয়ায় অবস্থিত বিশ্বের সেরা ৫টি হানিমুন স্পট

নিলয় দেওয়ান জীবন -
নতুন বিয়ে করেছেন? হানিমুনে যাবার পরিকল্পনা আছে? তাহলে আপনার জন্যই আজকের এই লেখাটা। আসুন পরিচিত হই বিশ্বসেরা ৫ হানিমুন জায়গার সাথে যেগুলো এশিয়াতেই অবস্থিত। আমরা অনেকেই মনে করে থাকি পৃথিবীর সব সুন্দর সুন্দর জায়গা ইউরোপে অবস্থিত। কিন্তু আমাদের এশিয়াতেই আছে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা যা ইউরোপকেও হার মানিয়ে দেয়। আসুন চিনে নেই এশিয়ার সেরা ৫ হানিমুনের জায়গাগুলো ।
থাইল্যান্ডঃ এশিয়ার মধ্যে বিশ্বসেরা হানিমুন স্পটের প্রথম সারিতে আছে থাইল্যান্ডের নাম। এয়ারপোর্ট থেকে কিনে নিতে পারেন থাই ম্যাপ বা আপনার মোবাইলের ইন্টারনেটের মাধ্যমে থাইম্যাপ নামিয়ে নিতে পারেন। থাই ম্যাপ থাকলে আপনার রাস্তা হারানোর ভয় থাকবে না। সম্পূর্ণভাবে গাইডের ওপর নির্ভর করা লাগবে না। এশিয়ার অন্যতম রোমান্টিক সমুদ্র সৈকত পাতায়া থাইল্যান্ডে অবস্থিত। রাতের গভীরতা যত বাড়ে, আলোর ঝলকানিও সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে যায়। তালে তালে চলে সংগীতের মূর্ছনা। পাতায়ায় আছে অসংখ্য কোরাল দ্বীপ। এর একটি দ্বীপ কোলহার্ন। চারদিকে অসীম জলরাশির মধ্য দিয়ে ছুটে চলে স্ক্রুবা ড্রাইভ, সার্ফিং, ফিশিং আপনাদের দেবে সীমাহীন আনন্দ ।
বালি দ্বীপঃ পর্যটকদের পছন্দের জায়গাগুলোর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপ অন্যতম। এশিয়ার হানিমুন স্পট হিসাবে এটি সমান জনপ্রিয়। সুন্দর, পরিচ্ছন্ন ছবির মত দেখতে বালি দ্বীপটি। এখানকার মানুষেরা তাদের দ্বীপ পরিষ্কার রাখার ব্যাপারের দারুন সচেতন। আপনি চাইলে সম্পূর্ণ একটা বীচ নিজের জন্য ভাড়া করে নিতে পারেন। ইন্দোনেশিয়া পৃথিবীর সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মুসলিম বসবাসকারী দেশ হলেও বালির চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। এখানে বেশিরভাগ হিন্দু ধর্মালম্বী মানুষ বাস করে থাকে। এখানে রয়েছে অনেক দৃষ্টিনন্দন মন্দির। বালির বিশ্ববিখ্যাত কুটা সমুদ্রসৈকত না দেখলে বালি দেখাই বৃথা হবে। কুটা সমুদ্রসৈকতের পানির রঙ গাঢ় নীল।
মালয়েশিয়াঃ এশিয়ার অপূর্ব শোভামন্ডিত ছোট্ট একটি দ্বীপ রাষ্ট্র মালয়েশিয়া। প্রকৃতির আপন খেয়ালে গড়া সমস্ত দেশ জুড়ে রয়েছে বিস্তৃত পাহাড়। আর সেই পাহাড়ের কোলঘেঁষে গড়ে উঠেছে আধুনিক যুগের চকচকে শহর। আঁকাবাঁকা উঁচুনিচু সবুজ পাহাড় ঘেরা পরিস্কার একটি শহর মালয়েশিয়া। না শীত না গরম- সব মিলিয়ে চমৎকার একটা আবহাওয়ায় বিদ্যমান মালশিয়ায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, জাকজমকপূর্ণ ঐতিহ্য আর  প্রাচুর্যে ভরা শহর মালয়েশিয়ার পেনাং। ‘প্রাচ্যের মুক্তা’ হিসাবে পরিচিত পেনাং এশিয়ার বিখ্যাত দ্বীপ। সেখানে রয়েছে প্রচুর রেস্তোরাঁ, রাস্তার পাশে ক্যাফে, ডিপার্টমেন্টাল স্টোরস এবং অকৃত্রিম সমুদ্র সৈকত।
শ্রীলঙ্কাঃ ভারতের দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত শ্রীলঙ্কা এশিয়ার অন্যতম হানিমুন স্পট। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সম্বলিত সমুদ্রসৈকত, সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য শ্রীলঙ্কাকে সারা পৃথিবীর পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় করেছে। প্রাচীনকাল থেকেই শ্রীলঙ্কা বৌদ্ধ ধর্মাম্বলীদের তীর্থস্থান। এখানে রয়েছে অনেক সুন্দর সুন্দর মন্দির। স্বল্প খরচে ঘুরে আসতে পারেন এই সুন্দর দেশটি থেকে।
মালদ্বীপঃ এশিয়ায় আরেকটি নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপ। ছোট হলেও সৌন্দর্যের দিক থেকে অনেক উপরে এই দ্বীপটি। প্রতি বছর বিশ্বের না প্রান্ত থেকে লাখ লাখ পর্যটক মালদ্বীপের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসেন। দেশটির উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম মিলে রয়েছে প্রায় আড়াই হাজার ছোট ছোট দ্বীপ। আর এই দ্বীপ গুলোকে নিয়ে সৃষ্ট মালদ্বীপ। এখানে রয়েছে অনেকগুলো রিসোর্ট আর প্রতিটা রিসোর্ট গড়ে উঠেছে আলাদা আলাদা দ্বীপে। তাই নিজের পছন্দের দ্বীপটিতে ভাড়া করে নিতে পারেন থাকার রিসোর্টটি।

ফোন করলেই পৌঁছে যাবে পুরুষ যৌনকর্মী!

যৌনতা কি এখন শুধুই ছেলেদের জন্যে! না এমন ধারণা থাকলে অবশ্যই বদলে ফেলুন। প্রত্যেকদিন সাহসী হচ্ছে বিশ্ব। যৌনতার ক্ষেত্রে তো অবশ্যই। আর এক্ষেত্রে ছেলেদেরকে হার মানাচ্ছে মহিলারা। বিশেষত বিশ্বের প্রথম দেশগুলিতে তো বটেই। যৌনতার সুখ খুঁজতে মেয়েরাও পুরুষ যৌনকর্মী ভাড়া করে জীবন উপভোগ করছেন। ‘উইমেন হু পে ফর সেক্স’ শিরোনামে বিবিসি ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
সাংবাদিক হান্নাহ বারনেসের লেখা ফিচারধর্মী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটেনে এমন অনেক মহিলা আছেন যারা বার কিংবা নাইটক্লাবে গিয়ে পুরুষ সঙ্গী খোঁজা পছন্দ করেন না। যৌনতা উপভোগের জন্য তাঁরা ‘এসকর্ট এজেন্সির’ সাহায্য নেন। এসব এজেন্সির কাছে ফোনে ‘এসকর্ট’ চাইলেই তাঁরা মহিলা গ্রাহকদের কাছে পুরুষ ‘এসকর্ট’ পাঠিয়ে দেয়।
ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডের একটি বিলাসবহুল এসকর্ট এজেন্সির মালিক নিকোল। মহিলাদের জন্য তিনি একটি বিলাসবহুল এবং বড় আকারের বাংলো তৈরি করে রেখেছেন। যেটি শহর থেকে প্রায় অনেকটাই দূরে! এই বাড়ির ভিতরে কী চলছে সেটা বাইরে থেকে কোনভাবেই বোঝার উপায় নেই।
নিকোল জানাচ্ছেন, ‘মহিলা ক্লায়েন্টরা নিজেদের পরিচয় গোপন রাখতে চান। এটা তাদের নিজস্ব পৃথিবী, এই গোপনীয়তা তাদের জীবনেরই অংশ।’ ছেলে যৌনকর্মীরা জানেন তাঁদের কাছে আসা মহিলারা অবিবাহিত বা একাকী নন। তাদের মধ্যে এমনই একজন পুরুষ যৌনকর্মী জানাচ্ছেন, কিছু মহিলা মনে করেন যৌনতার জন্য অর্থ ব্যয় কোনও প্রতারণা নয়। এটি প্রেম বা এরকম অন্যান্য সম্পর্কের মতোই স্বাভাবিক ব্যাপার।
যেসব মহিলার বয়ফ্রেন্ড বা স্বামী রয়েছে, তাঁদের জন্য বারে কিংবা অন্য কোনও প্রকাশ্য জায়গায় অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গ খুবই বিপদজ্জনক। নিকোলের মতে, ‘তাঁদের জন্য এমন জায়গা দরকার যেখানে প্রতিবেশী বা পরিচিত কেউ তাঁদের দেখে ফেলবে না।’ সেজন্যে তাঁর তৈরি বাড়ি ইতিমধ্যে বেশ জনপ্রিয়। অনেক মহিলা আসেন, যারা সুখ খোঁজেন। টাকার বিনিময়ে চলে অবাধ যৌনতা।
পুরুষ যৌনকর্মীরা বিবিসিকে জানাচ্ছেন, মহিলারা নানা কারণেই যৌনতার জন্য অর্থ ব্যয় করতে চান। যৌনতায় আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া, নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা ইত্যাদি। এছাড়াও কর্পোরেট মহিলারা সময়ের অভাবে তাদের স্বামীর সঙ্গে মিলিত হতে পারেন না। ফলে তারাও এই বাড়িতে আসেন কিংবা ডেকে নেন তাঁর নিরাপদ স্থানে। ইতিমধ্যে ব্রিটেনে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে এই ‘পরিষেবা’। ছেলেরাও আসছেন এই পেশায়। নিকোল জানাচ্ছে, ইংল্যান্ডে বেকারত্ব সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন ঘন্টাপ্রতি ৬০ পাউন্ডে পুরুষ যৌনকর্মী ভাড়া পাওয়া যায়। যা কিনা ভারতীয় মুদ্রায় মাত্র সাড়ে ৫ হাজারের মতো। কিন্তু এরকম যৌনকর্মী পেতে মেয়েদের কী রকম খরচ করতে হয়? গড়পড়তায় ঘন্টায় সর্বনিম্ন ১০০ পাউন্ড খরচ করলেই মিলবে সর্ব-সুখ! ভারতীয় মুদ্রায় যা কিনা দশহাজারের মতো।

ফেসবুকে স্বকামীরাই বেশি সেলফি পোস্ট করে !

সাম্প্রতিক সময়ে সেলফির জোয়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর বেড়ে গেছে। কিন্তু এ ধারা ভিন্ন একটি বিষয়কে জানান দিচ্ছে। বিষয়টি যদি সত্যি হয় তাহলে তা উদ্বেগজনকও বটে। কারণ, সেলফি প্রমাণ করতে পারে আপনি স্বকামী নাকি স্বকামী নন। কারণ সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, স্বকামী মানুষেরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি পরিমাণে সেলফি দেন। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
সাম্প্রতিক এ গবেষণার ফল বিষয়টিকে নতুন করে চিন্তা করতে বাধ্য করছে। গবেষণাটি করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার কোরিয়া ইউনিভার্সিটি। এতে জানা গেছে, স্বকামী ব্যক্তিরা ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি সেলফি পোস্ট করেন। এছাড়া সে সেলফিগুলোতে কী মন্তব্য আসে, তা নিয়েও এ ধরনের মানুষেরা খুব আগ্রহী থাকেন।
গবেষকরা দেখেছেন, স্বকামী ব্যক্তিরা শুধু নিজেদের সেলফিই অনলাইনে পোস্ট করেন এবং তা নিয়ে নানাভাবে অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এক্ষেত্রে তার ছবিতে কী মন্তব্য আসছে এসব বিষয় নিয়ে তারা আগ্রহী থাকেন। কিন্তু অন্যদের সেলফি বিষয়ে তারা মোটেও আগ্রহী হন না। তবে এ প্রবণতা উচ্চমাত্রায় স্বকামীদের মাঝে বেশি থাকে।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান ডিয়াগোর ইন্টারঅ্যাকটিভ মিডিয়া ইন্সটিটিউটের গবেষক ব্রেন্ডা কে ওয়াইডারহোল্ড বলেন, ‘সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রযুক্তিতেই (স্বকামী ও স্বকামী নয় এমন ব্যক্তিদের মাঝে তুলনায়) দেখা গেছে স্বকামীরা বেশিমাত্রায় নিজের গুণকীর্তন করে।’
এ বিষয়ে গবেষণাটির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে সাইবারসাইকোলজি, বিহ্যাভিওর অ্যান্ড সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং জার্নালে

ইতালিতে ফ্যামিলি ভিসা ছাড়া কিভাবে দ্রুত স্বামী/স্ত্রী কে টুরিস্ট ভিসায় নিয়ে আসা যায়? জেনে নিন বিস্তারিত।

আসলে আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা পরিপূর্ণ নিয়ম কানন ও সঠিক দিক নির্দেশনা না পাওয়ার কারনে প্রবাস জীবনে অনেকে বিষয় থেকেই বঞ্চিত হয়ে থাকেন। আবার আমাদের বাঙ্গালীদের মধ্যে একটি বিষয় রয়েছে যে অনেকে কোন একটা বিষয় জেনে থাকলেও আপনাকে কখনোই জানাবে না!
যাইহোক কাজের কথায় আসি। আমরা যারা ইতালিতে বৈধ ভাবে কাগজ নিয়ে আছি তারা চাইলে তাদের স্বামী/স্ত্রী কে খুব সহজেই ট্যুরিস্ট ভিসায় ভ্রমণ করার জন্য আবেদন করে নিয়ে আসতে পারেন। আর এর জন্য আপনাকে বছরের পর বছর ফ্যামিলি ভিসার মত অপেক্ষার প্রহর গুনতে হবে না, এবং এর জন্য তেমন মহামারী কাগজ পত্রের ও প্রয়োজন হয় না। খুব সহজেই আপনি আপনার জীবনসঙ্গী কে আপনার কাছে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ইতালিতে ঘুরতে নিয়ে আসতে পারেন। আর এর জন্য যা যা প্রয়োজন হয়!! সেই সকল কাগজ পত্র আপনি চাইলেই খুব সহজে সংগ্রহ করতে পাড়বেন। তাহলে আসুন জেনে নেই বিস্তারিত।
প্রথমেই আপনাকে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, আপনি ইতালি আপনার স্বামী অথবা স্ত্রী কে দুই ভাবে নিয়ে আসতে পারেন। ১- স্থায়ী ভাবে ফ্যামিলি ভিসার আবেদনের মাধ্যমে আর ২- অস্থায়ী ভাবে বা ট্যুরিস্ট ভিসায়।
আর মজার বিষয় হচ্ছে এই দু’টি ভিসার আবেদন সম্পূর্ণ ভিন্ন, ফ্যামিলি ভিসায় নানা ধরনের কাগজ পত্র চাওয়া হয়ে থাকে যা আমাদের অনেকের পক্ষেই সংগ্রহ করা সম্ভব হয়ে উঠে না তেমনি ফ্যামিলি ভিসার কার্যক্রম সম্পন্ন হতে দীর্ঘ সময় নিয়ে অপেক্ষা করতে হয়। আমাদের জানা মতে আনেককে এই ফ্যামিলি ভিসায় আবেদন করে ১ থেকে ২ বছর এর বেশি সময় ধরেও জমা দিয়ে এখন পর্যন্ত দিন গুনতে হচ্ছে। তদ্রূপ ট্যুরিস্ট ভিসায় খুব সহজেই এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে সকল কাগজ পত্র তৈরি করে দূতাবাসে আবেদন করা যায় এবং মাস তিনেক এর মধ্যে ভিসাও পাওয়া যায়। বন্ধুরা তাহলে আসুন জেনে নেই কিভাবে ইতালিতে আপনি আপনার স্ত্রী অথবা স্বামী কে ট্যুরিস্ট ভিসায় নিয়ে আসতে পারেন? এবং আপনাকে এর জন্য কি কি করতে হবে? ও কি কি কাগজ পত্র লাগবে?
এই ভিসায় আবেদনের জন্য ইতালিতে আপনার যা যা লাগবে?
১- আপনার ভ্যালিড বাংলাদেশী এমএরপি তথা ডিজিটাল পাসপোর্ট
২- আপনার স্বামী/স্ত্রীর ভ্যালিড বাংলাদেশী এমএরপি তথা ডিজিটাল পাসপোর্ট
৩- ভ্যালিড পেরমেসসো দি সৌজর্ন্য অথবা কার্টা দি সৌজর্ন্য
৪- রেসিডেন্স কার্ড তথা কার্টা দি ইদেন্তিতা (থাকলে ভালো না থাকলেও আবেদন করা যায় )।
৫- বাৎসরিক আয়ের কাগজ পত্র তথা কারো অধিনে কাজ করলে কুদ এবং নিজের ব্যবসা করতে উনিকো বা রেদ্দিতো ( ঊল্লেক্ষো যদি আপনার বাৎসরিক আয় না থাকে তাহলে আপনার কোন বন্ধু বা পরিচিতদের সাহায্য নিতে পারেন)।
৬- ব্যাংক গ্যারান্টি এই ক্ষেত্রে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলেও হয়।
৭- স্বাস্থ্য বীমা করাতে হবে।
৮- রিটার্ন এয়ার টিকেট বুকিং তথা টিকেট বুকিং পিএনআর নাম্বার এর (মূল ও ফটোকপি দিতে হবে)
৯- উক্ত বিষয় গুলো করিয়ে সেই বিষয় গুলো দিয়ে আমন্ত্রণপত্র তৈরি করা।
উক্ত বিষয়গুলো সর্বচ্চ এক সপ্তাহের মধ্যে করিয়ে নেওয়া যায়। এগুলো করা হয়ে গেলে সকল কাগজ পত্র “অরিজিনাল” দেশে পোস্ট অথবা লোক মারফৎ পাঠিয়ে দিতে হবে এবং এই অরিজিনাল কাগজ পত্র সহ আপনার সহধর্মিণী ইতালিয়ান দুতাবসে গিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করবে। তবে সেই ক্ষেত্রে দেশে তার কি কি লাগবে?
এই ভিসায় আবেদনের জন্য দেশে আপনার স্ত্রী অথবা স্বামীর যা যা লাগবে?
১- তাদের ভ্যালিড বাংলাদেশী এমএরপি তথা ডিজিটাল পাসপোর্ট
২ – “সি”(C) টাইপ ভিসা ফরম ( সম্পূর্ণরুপে সম্পন্ন এবং আবেদনকারী কর্তৃক স্বাক্ষরিত )
৩- পাসপোর্ট কমপক্ষে ১৮০ দিন পর্যন্ত বৈধ এবং অন্তত উভয় দিকে ফাঁকা ১টি খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে সাথে ( সকল ভিসা পেজ এর কপি- যদি এর আগে অন্য কোন দেশের ভিসায় ভ্রমন করে থাকে )।
৪- সম্প্রতিক সময়ে তোলা পাসপোর্ট সাইজ ও ধরনের দুই কপি রঙ্গিল ছবি। ( ৬ মাসের মধ্যে তোলা ছবি হতে হবে এবং ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই সাদা হতে হবে )
৫- নিকাহ নামা তথা বিয়ের সার্টিফিকেট
৬- ইতালি দূতাবাস প্রয়োজনে আরও ডকুমেন্টশনের জন্য আনুরোধ করার অধিকার সংরক্ষণ করে।
৭- ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কমপক্ষে ৩০ ক্যালেন্ডার দিন প্রয়োজন হতে পারে। তবে বর্তমানে এর চাইতেও বেশি সময় নিয়ে থাকে দূতাবাস।
বন্ধুরা আশা করি আপনাদের বুঝাতে পেড়েছি, যে কত সহজেই আপনারা আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে খুব স্বল্প সময়ের মদ্ধেই ইতালিতে ট্যুরিস্ট ভিসায় নিয়ে আসতে পাড়ছেন। আর উক্ত বিষয়ে সকল ধরনের কাগজ পত্র সহ সকল বিষয় আপনারা আমিওপারি টিম এর মাধ্যমে ইতালির যেকোনো প্রান্ত থেকেই করিয়ে নিতে পাড়বেন।
তবে হ্যাঁ আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে ট্যুরিস্ট ভিসায় আসার পর অবশ্যই আপনার সঙ্গীকে উক্ত সময়ের মধ্যে দেশে ফেরত যেতে হবে, যদি না যায় তাহলে পরে স্থায়ী ভিসা তথা ফ্যামিলি ভিসায় আবেদন করলে দূতাবাস ভিসা দিতে সমস্যা করবে।


*****লেখাটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ!*****

ঘরে বসেই তৈরি করুন জিভে জল আনা বোরহানি

অনেকেই মনে করেন বোরহানি বানানো হয়তো কোনো কঠিন কাজ। কিন্তু বোরহানি বানানো অত্যন্ত সহজ। আসুন কিভাবে বোরহানি বানাতে হবে তা জেনে নেই।

বোরহানি তৈরির উপকরণ
  • টক দই ১ কেজি
  • মিষ্টি দই ১০০ গ্রাম
  • সাদা সরিষা বাটা সোয়া ১ টেবিল চামচ
  • ধনিয়া এবং পুদিনা পাতা বাটা ২ টেবিল চামচ
  • কাঁচা মরিচ বাটা ১ টেবিল চামচ
  • জিরা গুড়া ১চা চামচ
  • চিলি সস ১চা চামচ
  • সাদা গোল মরিচ গুড়া হাফ চা চামচ
  • সাদা লবণ, বিট লবণ এবং পানি পরিমাণ মতো
  • চিনি টক মিষ্টি ঝালের উপর নির্ভর করে
 
ধনে পাতা, পুদিনা পাতা ডাটাসহ মিহি করে বেটে নিতে হবে। সাদা সরিষাও মিহি করে বেটে নিতে হবে। সরিষা, কাঁচা মরিচ, ধনে পাতা এবং পুদিনা পাতার সাথে পানি মিশিয়ে পাতলা সাদা মার্কিন কাপড়ে ছেকে নিয়ে দইয়ের সাথে মিশ্রণ করতে হবে। জিরা গুড়া, বিট লবণ, সাদা গোল মরিচ, চিলি সস এবং চিনি একসাথে মিশিয়ে ফেটতে হবে। বেশি ঘস হলে প্রয়োজন মতো পানি মেশান। মিশ্রণের পর মশারির নেটে ছেকে চিনি ও লবণ নিজের রুচিমতো বাড়ানো কমানো যাবে।এবার বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

রাগ করলে শরীরের যেসব ক্ষতি হয়

রাগ মানুষের স্বাভাবিক আবেগের মধ্যে একটি। তবে অতিরিক্ত রাগ সম্পর্কের অবনতি ঘটায়, অন্যের কাছে অপ্রিয় করে তোলে আপনাকে। শুধু তা-ই নয়, শরীরেও কিন্তু এর বাজে প্রভাব পড়ে।  
যাঁদের অতিরিক্ত রেগে যাওয়ার প্রবণতা আছে, তাঁদের হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি থাকে। আর একটু ভেবে দেখুন, রেগে গেলে কিন্তু আপনার নিয়ন্ত্রণ অন্যের হাতে চলে যায়, তাই নয় কি? তাই রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে কিছু কৌশল অবলম্বন করুন। প্রয়োজনে মনোবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট এভরিডে হেলথ জানিয়েছে রাগ করলে শরীরে কী কী সমস্যা হতে পারে সেগুলোর কথা।    
১. হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়
অতিরিক্ত রাগ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, টানা দুই ঘণ্টা যদি কেউ বিক্ষিপ্ত অবস্থায় থাকে, তাহলে তাঁর হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায় বহুগুণে। 
২. স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে
অতিরিক্ত রাগ কিন্তু স্ট্রোকেরও ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। যদি আপনার হুট করে রাগ উঠে যায় এবং তা অনেকক্ষণ ধরে স্থায়ী, তবে দ্রুত সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। কেননা, এটি মস্তিষ্কের ওপর চাপ ফেলে। এতে মস্তিষ্কের রক্তনালিগুলো বন্ধ হয়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।  
৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়
আপনি যদি সব সময় রেগে থাকেন বা স্বাভাবিকভাবে আচরণ করতে না পারেন, দেখবেন কেমন যেন দুর্বল লাগছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, টানা ছয় ঘণ্টা মন-মেজাজ খারাপ থাকলে বা রেগে থাকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এতে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ হয় শরীরে। 
৪. বিষণ্ণতা বাড়ায়
অতিরিক্ত রাগ বা মেজাজ মানুষের মধ্যে বিষণ্ণতা তৈরি করে। কোনো বিষয়ে রেগে গেলে এবং বিষয়টি সমাধান করতে না পারলে আমাদের মধ্যে বিষণ্ণতা তৈরি হয়। তাই রাগ নিয়ন্ত্রণ করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা  করুন। রাগ দেখিয়ে কিন্তু সমস্যার সমাধান করা যায় না। শুধু শুধু মানুষের কাছে অপ্রিয় হতে হয়। 
৫. আয়ু কমিয়ে দেয়
রাগ মানুষের আয়ু কমিয়ে দেয়। গবেষণায় বলা হয়, সুখী মানুষ দীর্ঘদিন বাঁচে। সব সময় ক্ষেপে গেলে বা অল্পতেই রাগ করার প্রবণতা থাকলে আপনি কিন্তু নিজের সুখকেই নষ্ট করছেন। 

ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দু' শিক্ষককে কারাদণ্ড

বাংলাদেশের বাগেরহাটের চিতলমারীতে ধর্ম সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগে দু’জন শিক্ষককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযুক্তরা হলেন চিতলমারীর হিজলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণপদ মহলী ও বিজ্ঞান শিক্ষক অশোক কুমার ঘোষাল। অভিযোগ অনুযায়ী স্কুলের বিজ্ঞান শিক্ষক গত ২৪শে এপ্রিল ধর্ম সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করেছেন বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ তোলে প্রধান শিক্ষকের কাছে। পরে প্রধান শিক্ষক বিজ্ঞান শিক্ষকের পক্ষ নেয় বলে জানায় তারা। পরে শিক্ষার্থীরা অভিভাবকদের জানালে তারা পরদিন ২৫শে এপ্রিল স্কুলে আক্রমণ করে এবং এক পর্যায়ে দু’শিক্ষককে লাইব্রেরি কক্ষে আটকে রাখে। উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ জানান তিনিসহ প্রশাসনের লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। পরে তাৎক্ষনিকভাবে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের ছয় মাসের জেল দেয়া হয় বলেন জানান পারভেজ। তবে প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণপদ মহলীর স্ত্রী উজ্জলা রাণী দাশ বিবিসিকে জানান স্কুলের সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এসব পরিকল্পনা করে ঘটনা হয়েছে। তারা এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন বলেও জানান তিনি। বিবিসি 

শেষ বলের রোমাঞ্চ তিন ম্যাচেই

মাশরাফি বিন মর্তুজা পারেননি, পারেননি রাজিন সালেহও; কিন্তু পেরেছেন মুক্তার আলী। ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে গতকাল এঁদের তিনজনের সামনেই ব্যাট হাতে নিজ নিজ দলকে জিতিয়ে ‘শেষ বলের নায়ক’ হওয়ার সুযোগ উন্মুক্ত ছিল। প্রথম দুজন সেই সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলেও পেরেছেন শেষের জন। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আবাহনীর বিপক্ষে জেতার জন্য শেষ বলে ৫ রান দরকার ছিল ২৮৭ রান তাড়া করতে নামা শেখ জামাল ধানমণ্ডির। যদিও ওপেনার মাহবুবুল করিমের ১৩০ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে তাঁদের সহজ জয়ের প্রত্যাশা টানটান উত্তেজনায় বদলে দেন আবাহনীর তাসকিন আহমেদ। এ পেসারেরই ফুল লেন্থে করা ম্যাচের শেষ বলটি সোজা ব্যাটে ছক্কার ঠিকানায় পাঠিয়ে জামালকে ৪ উইকেটের জয় এনে দেওয়া মুক্তার এরপর সতীর্থদের সঙ্গে আনন্দে এমন চিত্কার-চেঁচামেচি করেছেন যে গলা ভেঙে চৌচির! জয়ের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কথাই বলতে পারছিলেন না ঠিকমতো। ফতুল্লায় মুক্তারের মতো দলকে জেতাতে পারলে নিশ্চয়ই একই রকম উল্লাসে গলা ফাটাতেন মাশরাফিও। কারণ এবার যে তাঁর ঠাঁই হয়েছে কলাবাগান ক্রীড়াচক্রে, যেটি শিরোপা সম্ভাবনায় থাকা দল ছিল না কখনোই। আর এমন দলে খেলাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেওয়া সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের অধিনায়ক দ্বিতীয় ম্যাচেই জয়ের মুখ দেখার খুব কাছেই চলে গিয়েছিলেন। নাসির হোসেনের (৭৫ বলে ৯৭) সেঞ্চুরি বঞ্চনার দিনে ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেনের (৭৩) ফিফটিতে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব ২৮৭ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করানোর পরও। শেষ বলে কলাবাগানের চাই ৬ রান আর ব্যাটিংয়ে মাশরাফি। ওদিকে দোলেশ্বরের বোলার মাশরাফিরই জাতীয় দল সতীর্থ আল-আমিন হোসেন। জিততে হলে যেখানে ছক্কা মারতেই হবে, সেখানে মাশরাফি ১ রান নিয়ে আরেকটি নিতে গিয়ে রানআউট। তাই দোলেশ্বরের ৪ রানের জয়ে কলাবাগানের হতাশা। বিকেএসপিতে একই হতাশা ক্রিকেট কোচিং স্কুলেরও (সিসিএস)। সাইফ হাসান (১০০) ও সালমান হোসেনের (১১০) সেঞ্চুরিতে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের ২৫৭ তাড়া করে জেতা তো কেবলই সময়ের ব্যাপার বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু সেখান থেকে ম্যাচ নিজেদের দিকে ঘোরানোয় প্রাইম ব্যাংকের পেসার রুবেল হোসেনের ভূমিকাও কম নয়। শেষ ওভারে সিসিএসের দরকার ছিল ১৫ রানের। এর মধ্যে প্রথম ৫ বলেই ৯ উঠে যাওয়ায় শেষ বলে দরকার ৬ রানের। ব্যাটিংয়ে সিসিএস অধিনায়ক রাজিন সালেহ আর বোলার রুবেল। এ পেসার ব্যাটসম্যানকে শেষ বলে অবশ্য কোনো রানই নিতে দিলেন না। তাতে দ্বিতীয় ম্যাচে এসে প্রাইম ব্যাংকের প্রথম জয়টি ৫ রানের। আর আবাহনীর এটি দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম হার। মুক্তারের পূর্ব অভিজ্ঞতাও যে হার নিশ্চিতকরণে কাজে দিয়েছে খুব। শেষ বলে মারা ছক্কায় আবাহনীর বিপক্ষে নিজ দলকে জেতানোর সাফল্যের পুনরাবৃত্তিই বলা যেতে পারে এটিকে। কারণ গতকাল বিকেলেও ২০১২-১৩ মৌসুমে শেষ বলে ছক্কা মেরে আবাহনীর বিপক্ষে গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্সকে জয় এনে দেওয়ার সুমধুর স্মৃতি রোমন্থন করছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটের পরীক্ষিত এ পারফর্মার। তাঁর ২ বলে অপরাজিত ৭ রানের মূল্যবান ইনিংস শেখ জামালকে টানা দ্বিতীয় জয়ের বৈতরণী পার করে নিলেও এর ভিত্তিটা তৈরি করে দেওয়া মাহবুবুল করিমের। যাঁর চলতি প্রিমিয়ার লিগ খেলার পেছনেও আছে আবাহনীর ছোঁয়া। প্লেয়ার্স বাই চয়েস নামের লটারিভিত্তিক দলবদলের খেলোয়াড় তালিকায় এ ওপেনারের নাম শুরুতে ছিলই না। পরে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বৃত্তান্ত বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলছিলেন, ‘শুরুতে আমার নাম তালিকায় ছিল না। পরে আমি একটা ব্যবস্থা করার জন্য আবাহনী কর্মকর্তা জালাল ইউনুস ভাইকে (বিসিবি পরিচালক) অনুরোধ করি। আমার এবারের লিগ খেলার পেছনে তাই ওনার অনেক বড় ভূমিকা।’ মাত্র ৩০ বলে দুই ছক্কা ও আট বাউন্ডারিতে ফিফটি করে ফেলার পর জালালও এ আশঙ্কাই করছিলেন যে মাহবুবুল আবার একাই আবাহনীকে হারিয়ে দেন কি না! মাত্র ৮১ বলে ১১ বছর পর প্রিমিয়ার লিগে আরেকটি সেঞ্চুরি করা মাহবুবুল ১১০ বলে ৫ ছক্কা ও ১৫ বাউন্ডারিতে ১৩০ রান করে যাওয়ার পর সেই আশঙ্কা সত্যি হতে খুব বাকিও ছিল না। তাই আবাহনী অধিনায়ক তামিম ইকবালের ৯০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস কিংবা ভারতীয় ক্রিকেটার উদয় কাউল (৬৩) কিংবা নাজমুল হোসেনের (৫২*) ফিফটিও বিফলে যাওয়ার পথে ছিল। সেখান থেকে তাসকিনের বোলিংয়ে ম্যাচ ঘুরলেও আবাহনীর শেষ রক্ষা হতে দেননি মুক্তার!

রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ ৩২১ ভবন অপসারণের নির্দেশ

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চিহ্নিত  ঢাকায় অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৩২১টি ভবন এক মাসের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে ভূমিকম্প প্রস্তুতি ও সচেতনতা বৃদ্ধি কমিটি। এছাড়া অন্যান্য সিটি করপোরেশনের অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোও একই সময়ের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে কমিটি। আজ বুধবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সভাপতিত্বে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সভায় এ নির্দেশ দেওয়া হয়। সভায় আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স, বিভিন্ন সিটি করপোরেশন, রাজউক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়সহ অর্ধশতাধিক সরকারি-বেসরকারি সংস্থার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। রাজউক ও সিটি করপোরেশনকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণ করে কমিটিকে জানানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সভায়। সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. শাহ কামাল এ নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, পাশাপাশি এ ভবনগুলোর বর্তমান পরিস্থিতির একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিতে পেশ করতে হবে। সভায় চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ সব ভবনের গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে দিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে, পানির লাইন বন্ধ করতে ওয়াসাকে এবং হোল্ডিং নম্বর বাতিল করার জন্য সিটি করপোরেশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সভায় জানানো হয়, বড় ধরনের ভূমিকম্পে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য বিদ্যুৎ ও গ্যাস লাইনের সংযোগ স্থলে সেন্সর লাগানো হচ্ছে। দুর্যোগ পরবর্তী সাময়িক আবাসনের জন্য ১০০ কোটি ৮৬ লাখ টাকার তাবু কেনা হয়েছে। অস্থায়ী বা মোবাইল হাসপাতাল তৈরির যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে বলে সভায় জানানো হয়। সভায় আরও জানানো হয়, অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতার জন্য ১৫৯ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে।

রাবি অধ্যাপক শফিউল হত্যা মামলায় যুবদল নেতার আত্মসমর্পণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম শফিউল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি রাজশাহী জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তিনি ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন। আজ বুধবার রাজশাহী মহানগর হাকিম আদালত-১-এ তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালতের বিচারক মোকসেদা আজগর তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আনোয়ার হোসেনের আইনজীবী রইসুল ইসলাম বলেন, আজ দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আনোয়ার আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে দুপুর ২টার দিকে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।  প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে খুন হন এ কে এম শফিউল ইসলাম। এ ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এন্তাজুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক রেজাউস সাদিক গত বছরের ৩০ নভেম্বর ১১ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।  ১১ জন আসামিরা হলেন- আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, আবদুস সামাদ পিন্টু, আরিফুল ইসলাম মানিক, সিরাজুল ইসলাম, সবুজ, আল-মামুন, আরিফ, সাগর, জিন্নাত আলী, ইব্রাহিম খলিল ও নাসরিন আখতার রেশমা। এদের মধ্যে আরিফ, সাগর ও জিন্নাত আলী পুলিশের হাতে আটক হন। আর নাসরিন আখতার রেশমাকে আটক করে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এই সকল আসামিদের বরাত দিয়ে র‌্যাব জানিয়েছিল, নাসরিনের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করার কারণে শিক্ষক শফিউল ইসলামকে হত্যা করা হয়। নাসরিন যুবদল নেতা আবদুস সামাদ পিন্টুর স্ত্রী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার। তবে আটক এই ব্যক্তিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক কোনো জবানবন্দী দেয়নি। আসামিদের মধ্যে নয়জন কারাগারে আটক ছিলেন। তাঁদের মধ্যে যুবদল নেতা আবদুস সামাদ পিন্টু এখনো কারাগারে আটক আছেন। বাকিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।

চাকরি থাকা বা না থাকার ক্ষেত্রে ডিভোর্সের সম্ভাবনা কতটুকু?

আপনি এখনো বেকার আছেন কিংবা চাকরি করছেন। যাই হোক না কেন, এর সঙ্গে দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদের কোনো সম্পর্ক রয়েছে কি? তা ছাড়া আপনার বংশগত ইতিহাস বা শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখে কি অনুমান করা যায় যে, আপনার সম্পর্কে ছেদ ঘটবে? ক্যালিফোর্নিয়ার এক পরিসংখ্যানবিদ নাথান ইয়াও। তিনি আমেরিকান দম্পতিদের বিচ্ছেদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে একটি গ্রাফ তৈরি করেছেন। সেখানে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে, বয়স, লিঙ্গ, শিক্ষা এবং কর্মজীবনের ওপর ভিত্তি করে ডিভোর্সের সম্ভাবনা কিভাবে কাজ করে। ইয়াও জানান, সবচেয়ে অবাক করেছে এ বিষয়ে নারী-পুরুষের অবস্থার পার্থক্য। বেশিরভাগ বিচ্ছেদের ঘটনার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের একই অবস্থা আশা করা হয়েছিল। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দুজনের মধ্যে বিস্তর ফারাক। গবেষণায় দেখা গেছে, কর্মজীবীদের ক্ষেত্রে নারীদের ডিভোর্সের সম্ভাবনা পুরুষদের অপেক্ষা ৫ শতাংশ বেশি। এই নারীদের দাম্পত্য জীবনে অন্তত একবার বিচ্ছেদ ঘটেছে। আর বেকার নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে ডিভোর্সের ঘটনা ও সম্ভাবনা উভয়ের ক্ষেত্রে সমানভাবে দেখা যায়। গবেষক বলেন, আমার ধারণা পুরুষরা সুবিধাগত দিক থেকে একটু এগিয়ে। কারণ তারা নারীদের চেয়ে বেশি বয়সে বিয়ে করেন এবং মৃত্যুও হয় তাদের আগে। কাজেই এ ঘটনা ঘটার ক্ষেত্রে তাদের সুযোগ ও সময় অনেক কম। আমেরিকানদের ওপর পরিচালিত এ গবেষণায় দেখা গেছে, নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে ডিভোর্সের সম্ভাবনা ৪৫ শতাংশের বেশি হয়। ওদিকে, ব্রিটিশদের ক্ষেত্রে এ সম্ভাবনা ৪২ শতাংশ। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ব্রিটেনে ২০১২-২০১৩ সালের মধ্যে দম্পতিদের বিচ্ছেদের ঘটনা ২.৯ শতাংশ কমেছে। আর ৪০-৪৪ বছর বয়সী নারী-পুরুষের মধ্যে ডিভোর্সের হার সবচেয়ে বেশি। মনোবিজ্ঞানী ও সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ জন গটম্যান জানান, সম্পর্কে বিচ্ছেদ অনেক ঘটনায় ঘটে। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী হয়ে ওঠে বিষাক্ত উপাদানগুলো। যখন সঙ্গী-সঙ্গিনী বুঝতে পারেন যে আপনি তার প্রতি বিরক্ত, তখন এ ধারণা থেকে তাকে বের করে আনা খুব কঠিন কাজ। সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট 

ভারতে খরায় চৌচির বহু রাজ্য, যাচ্ছে পানির বিশেষ ট্রেন

ভারতের ভয়াবহ খরার শিকার হচ্ছে তেত্রিশ কোটি মানুষ যা দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ। অনেক রাজ্যের পানির জলাধার আর কুয়োগুলো শুকিয়ে গেছে। জরুরী তহবিল বরাদ্দ করে পরিস্থিতি সামলানেরা চেষ্টা করছে সরকার। তারই অংশ হিসাবে খরা পীড়িত একটি জেলা লাতুরে পানি নিয়ে একটি রওনা হচ্ছে একটি বিশেষ ট্রেন। ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের একটি খরা পীড়িত জেলায় একটি গ্রামে গিয়ে বিবিসির সংবাদদাতা দেখতে পান গ্রামটির পানির একমাত্র উৎস, একটি কুয়ার পানির স্তর এত নীচে নেমে গেছে যে, নিজেদের পাত্রগুলো ভরতে প্রতিদিন এখানকার মেয়েদের এটির নেচে নেমে যেতে হয়। তার চেয়েও কষ্টকর ব্যাপার হলো, ভারি পানির কলসগুলো নিয়ে পিচ্ছিল পাথর বেয়ে বেয়ে তাদেরে আবার উঠে আসতে হয়। এই এলাকার অনেক কুয়া এর মধ্যেই শুকিয়ে গেছে। দুইবছর ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় এই এলাকার লাখ লাখ বাসিন্দা সংকটে পড়েছে, শুধু মানুষই নয়, পশু প্রাণীও। প্রচণ্ড তাপ আর খরা থেকে বাচাতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় বেশকিছু খামার তৈরি করা হয়েছে, যেখানে কৃষকরা তাদের পশু প্রাণীগুলো নিয়ে আসতে পারেন। পরিস্থিতি সামলাতে প্রায় তিনশ কিলোমিটার দুরের এলাকা থেকে পানি নিয়ে আসছে বিশেষ ট্রেনগুলো। একটি গভীর কুয়ায় পাইপ থেকে পানি নামিয়ে রাখা হচ্ছে। সরকারিভাবে পরিশোধন করার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে প্রতি চারদিনে একবার, এই পানি দেয়া হবে। এনজিও কর্মী পরিনীতা দান্ডেকর বলছেন, এটাই হয়তো সরকারের শেষ চেষ্টা। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, এ বছর স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হবে। কিন্তু সেজন্য আরো অন্তত দুইটি শুষ্ক মাস সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে। হাজার হাজার পরিবার তাদের গ্রামের ঘরবাড়ি ফেলে শহরে আশ্রয় নিতে চলে গেছে। যারা এখনো এখানে রয়ে গেছে, প্রতিটি দিনই তাদের জন্য কষ্টের।

কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে নাবালিকাকে তিন মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগ

ক্লাস ফাইভের ছাত্রীকে তিন মাস ধরে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি পুরাতন মালদার মহানন্দা কলোনির। অভিযুক্ত কমল মণ্ডল পলাতক। জানা গেছে, ওই কংগ্রেস নেতার বাড়িতে ছবি আঁকা শিখতে যেত ওই নাবালিকা। পরিবারের অভিযোগ, এই সুযোগে প্রায় তিন মাস ধরে তার ওপর যৌন নির্যাতন চালায় ওই কংগ্রেস নেতা। এরপর গতকাল অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। স্থানীয় মোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁকে ভর্তি করা হয়। জানাজানি হয় যৌন নির্যাতনের কথা। এই ঘটনায় মালদা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছে অভিযুক্তের পরিবার। সূত্র: জিনিউজ

দেশে গুম-খুন চলছে, মানুষের নিরাপত্তা নেই: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সারাদেশে গুম-খুন চলছে। মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই। আজ দেশের সকল মানুষ নির্যাতিত-নিপীড়িত। শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার, পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। রাজধানীর নয়াপল্টন ভাসানী ভবন মিলনায়তনে আজ বুধবার দুপুরে এক যৌথসভা শেষে তিনি এ সব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে মহান মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিক সমাবেশ করার লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস। মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কেবল ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে জনগণ ও শ্রমিক ভাইদের অধিকার ফিরিয়ে আনা সম্ভব। শ্রমিক দিবসের সমাবেশ সফল করতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, সমাবেশের দিন সকল ওয়ার্ড, থানা থেকে আপনারা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে উপস্থিত থেকে সমাবেশ সফল করবেন। যৌথসভায় আরও উপিস্থত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী আসাদুজ্জামান, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা কাজী আবুল বাসার, ইউনুস মৃধা, হারুনুর রশিদ হারুন, ইকবাল হোসেন চৌধুরৗ, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। এ ছাড়াও বিএনপি ও দলের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সরকারের একার পক্ষে হত্যাকাণ্ড রোধ সম্ভব নয়: মার্কিন রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশ সরকার ও পুলিশের একার পক্ষে সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডগুলো রোধ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট। হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে চায় বলেও জানান তিনি। আজ বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ সব মন্তব্য করেন বার্নিকাট। উল্লেখ্য, গত সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কলাবাগানের বাসায় ঢুকে মার্কিন দূতাবাসের সাবেক প্রটোকল কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয়কে হত্যা করে পালিয়ে যায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর ওইদিন রাতেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান বার্নিকাট। সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে খুনীদের গ্রেপ্তারের আহ্বান জানান। এর দুদিনের মাথায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

২৪ ঘণ্টা খোলা থাকছে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সেল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

চলমান জঙ্গি সন্ত্রাস মোকাবেলায় ২৪ ঘণ্টার জন্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সেল খুলছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অতিরিক্ত সচিব (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এই সেলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলেও জানা গেছে। আজ বুধবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ কথা জানান। এর আগে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাটের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস মোকাবেলায় বাংলাদেশের প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।   বৈঠকে দুই দেশের সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে আলোচনায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় রাজধানীর কলাবাগানে সমকামী অধিকার পত্রিকা রূপবানের সম্পাদক জুলহাস মান্নান এবং তার বন্ধু তনয় হত্যাকাণ্ড ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিম সিদ্দিকীর হত্যাকাণ্ডসহ অন্যান্য বিভিন্ন সন্ত্রাস নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় বাংলাদেশের দুই নাগরিক দম্পতি গোলাম রাব্বী ও শামীমা রাব্বীকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্মমভাবে খুনের বিষয়টিও উঠে আসে।   এসব আলোচনার পর দুই দেশ যৌথভাবে সন্ত্রাস দমনে এক হয়ে কাজে সম্মত হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, চলমান সন্ত্রাস মোকাবেলায় ২৪ ঘণ্টার জন্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সেল দ্রুতই শুরু হচ্ছে।

শফিক রেহমান কারাগারে

সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাঁচদিনের রিমান্ড শেষেবুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম এসএম মাসুদ জামানের আদালতে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ছাড়া শফিক রেহমানের স্ত্রী তালেয়া রেহমানকে শফিক রেহমানের সঙ্গে আদালতের হাজতখানায় ১৫ মিনিটের জন্য দেখা করার অনুমতি দেন আদালত। এর আগে গত ২২ এপ্রিল পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে শফিক রেহমানকে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে ফের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার হাসান আরাফাত। ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদুল হাসান শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। প্রথম দফায় ১৬ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম ৫ দিনের রিমান্ড প্রদান করেন শফিক রেহমানকে। ওইদিন রাজধানীর ইস্কাটনের নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের আগে যে কোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাস-এর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন।

কাতারে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ বাংলাদেশির মৃত্যু

কাতারের রাজধানী দোহায় সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও তিন জন। দোহার বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, হতাহতদের বাড়ি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বর্ধান, আমরপুর, গাছবাড়ি ও কাতানপুর গ্রামে। কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জানান, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকালে  মাইক্রোবাসে করে কাজে যাওয়ার সময় দোহার কাছে আল শামাল রোডে এই বাংলাদেশিরা দুর্ঘটনায় পড়েন। দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসে থাকা দুই ভাই ইসলাম উদ্দিন ও মঈন উদ্দিন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। কুরুব উদ্দিন, মো. মুহিবুর রহমান ও ফরিদ উদ্দিনের মৃত্যু হয় হামাদ মেডিকেল হাসপাতালে। আহত রিয়াজউদ্দিন, হেলাল উদ্দিন ও মো. হুসাইনকে একই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের দুই এক দিনের মধ্যে চিকিৎসকরা ছেড়ে দিতে পারে বলে  আশা করছেন রাষ্ট্রদূত। ওই মাইক্রোবাসের মিশরীয় চালকও এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি। আশুদ আহমেদ বলেন, নিহতদের লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে কয়েক দিনের মধ্যে আমরা দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। চাকরি সূত্রে নিহত বাংলাদেশিদের কোনো সুবিধা প্রাপ্য হয়ে থাকলে দূতাবাসের পক্ষ থেকে সে বিষয়গুলোর ফয়সালা করা হবে বলে রাষ্ট্রদূত জানান।   

Tuesday, April 26, 2016

ইউক্রেন স্মরণ করল চেরনোবিল দুর্ঘটনার ৩০তম বছর

 পৃথিবীর পরমাণু ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়ের নাম চেরনোবিল। ইউক্রেন স্মরণ করল এই দুর্ঘটনার ৩০তম বছর। ১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল চেরনোবিল পাওয়ার প্ল্যান্টের ৪ নম্বর রিঅ্যাক্টরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের আওতাধীন ইউক্রেন ও বেলারুশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। ঘটনাটি ঘটে মূলত আনুমানিক রাত দেড়টার কাছাকাছি সময়ে।
 
বলা হয়ে থাকে, নিরাপদ শীতলীকরণের উপর একটি সাধারণ পরীক্ষা চালানোর সময়, কর্তৃপক্ষের ভাষ্য মতে, কর্তব্যরত কর্মীদের অবহেলার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু এই দুর্ঘটনা নিয়ে অনেক রহস্য আজও অমীমাংসিত অবস্থায় রয়ে গেছে। দুর্ঘটনার ৩০ বছর পর আজও চেরনোবিল এলাকা মানুষ শূন্য। তবে ‘কারেন্ট বায়োলজি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রবন্ধ অনুসারে, মানুষের জন্য নিষিদ্ধ ওই এলাকাটি বলগাহরিণ, হরিণ, নেকড়ে, শূকর ও বন বেড়ালসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
 
কিন্তু এখনও এই অঞ্চল তেজস্ক্রিয় পদার্থের কারণে উত্তপ্ত অবস্থায় আছে। বিস্ফোরণ স্থলের ৩০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে এখনও নির্ধারিত পোশাক ছাড়া কারো প্রবেশ নিষেধ করেছে দুই দেশের সরকার। বিস্ফোরণের আগে ওই অঞ্চলে প্রায় ৬০ হাজার মানুষের বসবাস ছিল। কিন্তু বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজন মারা ও অনেক মানুষ তেজস্ক্রিয়তার শিকার হলে সকল অধিবাসীকে ওই অঞ্চল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।
 
চেরনোবিলের এই দুর্ঘটনা শুধু ইউক্রেন ও বেলারুশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। ইউরোপের ১৫টি দেশের অর্ধেক এলাকা তেজস্ক্রিয় মেঘে দূষিত হয়ে যায়। এই বিপর্যয়ের কারণেই মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ পারমাণবিক জ্বালানি উৎপাদন বিস্তার পরিকল্পনার লাগাম টেনে ধরে। তবে আক্ষরিক অর্থে যে ওই পরিকল্পনা কোনো কাজে লাগেনি তা আমরা জাপানের ফুকুশিমার দুর্ঘটনার দিকে তাকালেই দেখতে পাই।
 
চেরনোবিল দুর্ঘটনা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কম রাজনীতি হয়নি। ওই দুর্ঘটনায় যেহেতু সরাসরি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ মারা যায়নি তাই পারমাণবিক জ্বালানির পক্ষের বিশেষজ্ঞরা একে আমলে না আনার জন্য বিভিন্ন মহলে বক্তব্য দিতে থাকেন। কিন্তু চেরনোবিল দুর্ঘটনার ফলে দীর্ঘমেয়াদে মানুষের শরীরে যে ক্যান্সার সৃষ্টি হচ্ছে সেটা বেমালুম চেপে যাওয়া হয় দীর্ঘদিন। এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চেরনোবিলের কারণে সৃষ্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রায় এক লক্ষাধিক মানুষ মারা যায় বিভিন্ন সময়। এখনও অনেক মানুষ আছেন যারা ফুসফুস এবং থাইরয়েড ক্যান্সার নিয়ে ওই দুর্ঘটনাকে সাক্ষী মেনে বেঁচে আছেন।
 
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের কিছু কিছু এলাকায় এখনও সুস্থ-সবল শিশু ২০ শতাংশেরও কম। বহু শিশু বিকলাঙ্গতা অথবা স্নায়ুতন্ত্রের গোলযোগ নিয়ে জন্মাচ্ছে। চেরনোবিলের দুর্ঘটনা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় বেশ কয়েক দফা বিশ্ব নেতৃবৃন্দ আন্তর্জাতিক তহবিল গঠনের কথা জানায়। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ২০০৪ সালে একবার চেরনোবিল কমিটি অর্থসংক্রান্ত এক বৈঠকের আহ্বান জানায়। সেই বৈঠকে ইউরোপের নেতারা তহবিল গঠনের শতভাগ আশ্বাস দিলেও ২০১১ সালেও সেই তহবিল গঠিত হয়নি। এমনকি, দুর্ঘটনার কারণ যে ৪ নম্বর রিঅ্যাক্টর থেকে, সেই রিঅ্যাক্টরের শরীরে এখনও ফাটল রয়ে গেছে, যা এখনও ঠিক করা হয়নি।
 
গবেষকদের প্রকাশিত তথ্য মতে, চেরনোবিল দুর্ঘটনা হিরোশিমায় ফেলা আণবিক বোমার চেয়ে চারশ’ গুণ বেশি তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়েছিল। বর্তমানে সেই দুর্ঘটনাস্থলটিকে অন্যতম পর্যটক স্পট হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
 
ইউক্রেনের বাৎসরিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চেরনোবিল অঞ্চলে প্রতি বছর প্রায় বিশ হাজার পর্যটক আসেন স্থানটি ঘুরে দেখতে। কিন্তু এই পর্যটকদের নিরাপদে ঘুরে বেড়ানোর এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকায় অনেক পর্যটকই পরবর্তীতে বিভিন্ন রোগের মুখোমুখি হচ্ছেন। এমনও দেখা গেছে যে, চেরনোবিল থেকে ফিরে আসার পর শরীরে ক্যান্সার ধরা পরেছে।
 
এদিকে 'নিষিদ্ধ এলাকায়' চালানো পূর্ববর্তী গবেষণাগুলোতে বন্যপ্রাণীদের উপর তেজস্ক্রিয়তার বড় ধরনের প্রভাব ও বন্যপ্রাণীর সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার সুস্পষ্ট নজির দেখা গিয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চালানো জরিপে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, স্তন্যপায়ীর সংখ্যা ফের বৃদ্ধি পেয়ে দুর্ঘটনার আগের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে।
 
সাম্প্রতিক জরিপ ও গবেষণায় ওই এলাকায় বলগাহরিণ, স্থানীয় আরেক ধরনের হরিণ, লাল হরিণ এবং বন্য শূকরের প্রাচুর্যতা তুলনামূলক ভাবে ইউক্রেনের অন্যান্য সংরক্ষিত প্রাকৃতিক বনাঞ্চলগুলোর সমপর্যায়ে পৌঁছে গেছে বলে দেখা গেছে। তবে চেরনোবিল এলাকায় সবচেয়ে বেশি বেড়েছে নেকড়ের সংখ্যা, আর তা একই ধরনের যে কোনো সংরক্ষিত প্রাকৃতিক বনের নেকড়ের সংখ্যা থেকে সাতগুণেরও বেশি। বিবিসি।







তেল নির্ভর অর্থনীতি থেকে সরছে সৌদি আরব

তেল রফতানির মুনাফা নির্ভর অর্থনীতি বদলে ফেলার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে সৌদি আরবের মন্ত্রিসভা।
 
সোমবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর দেশটির ৭০ ভাগেরও বেশি আয় তেল রফতানি থেকে হয়েছিল। কিন্তু মূল্য পড়ে যাওয়ায় তেল রফতানি থেকে দেশটির আয় কমে যাচ্ছে।
 
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বৃহৎ তেল কোম্পানি আরামকোর শেয়ার বিক্রি করে সার্বভৌম একটি তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
 
দেশটির ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান তাদের দেশের অর্থনীতি তেলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।
 
সৌদি নিউজ চ্যানেল আল-আরাবিয়াকে ভিশন-২০৩০ সম্পর্কে বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে তার দেশের তেলের ওপর নির্ভরশীলতার অবসান ঘটবে।
তিনি যে সব সংস্কারের কথা ঘোষণা করেছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, আরামকোর ৫% শেয়ার বিক্রি করা হবে, যার মূল্য ২.৫ ট্রিলিয়ন ডলার। এই বিক্রি থেকে যে তহবিল গঠিত হবে তার আকার দুই ট্রিলিয়ন ডলার। নতুন ভিসা প্রথা চালু করা হবে, যার মধ্য দিয়ে মুসলমান এবং আরবরা সৌদি আরবে দীর্ঘমেয়াদে কাজ করতে পারবেন। খনি এবং সমরাস্ত্র প্রস্তুত খাতে বিনিয়োগ করা হবে। কাজের ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো হবে।
 
বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক সৌদি আরব সম্প্রতি তেলের মূ্ল্য পড়ে যাওয়ায় বাজেট ঘাটতিতে পড়েছে।
 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates