Social Icons

Thursday, January 26, 2017

‘ব্রাজিল দু’হাত বাড়িয়ে শরণার্থীদের স্বাগত জানাবে ---- মিচেল তেমের

আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসী ঠেকাতে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ করা হবে বলে ঘোষনা করেছেন। তার কিছুক্ষন পর ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট মিচেল তেমের একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন সিরিয় সহ মুসলিম শরণার্থীদের তার দেশ হাত বাড়িয়ে  স্বাগত জানাবে। ‘যারা নিজ দেশ থেকে পালিয়ে আসছে তাদের স্বাগত জানাতে ব্রাজিলের আগ্রহের কথা আমি পুনর্ব্যক্ত করতে চাই। তারা এখানে এসে বাস করুক এবং ব্রাজিলের শান্তি ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখুক।’ তিনি আরো বলেন, ‘বিশেষত এই সংকটে আমরা হাত বাড়িয়ে তাদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রয়েছি।’বর্তমানে ব্রাজিলে শরণার্থী দের  বেশির ভাগই মুসলিম। 

ঐশ্বর্যের দিক থেকে ব্রাজিলের কোনো তুলনা হয় না।


ব্রাজিল দেশটা যত দেখছি, রহস্য ততই ঘনীভূত হচ্ছে। রিও ডি জেনিরো থেকে এলাম ব্রাসিলিয়া। সেখান থেকে সাও পাওলো।

১৯৬০-এর দশকে তারা রাজধানী শহর ব্রাসিলিয়াকে বানিয়েছে একটি পরিকল্পিত শহর। স্থপতির নাম ব্রাজিল ফুটবল দলের দুই খেলোয়াড়ের নামে, অস্কার নিয়েমের। ওটাকে নেইমার বললেই চলে। আরেকজন স্থপতির নাম লুসিও কস্টা। ষাটের দশকের এই আধুনিকতা বাংলাদেশের স্থপতিদের কাজের ওপরও হয়তো ছাপ ফেলে থাকবে। আমাদের স্থপতিদের বানানো ভবনগুলোর সঙ্গে কোথায় যেন মিল আছে।
ব্রাজিল বাংলাদেশের চেয়ে ৬০ গুণ বড়, লোকসংখ্যা ২০ কোটি ৬০ লাখের  মতো। এদের জনসংখ্যা ৯৬০ কোটি হলে ঘনত্বটা বাংলাদেশের সমান হতে পারত। কাজেই জায়গা কোনো সমস্যা নয়, ব্রাসিলিয়ার গারিঞ্চা স্টেডিয়ামের চারদিকে কত জায়গা যে ফাঁকা রাখা হয়েছে।
ব্রাসিলিয়া থেকে উড়ে এলাম সাও পাওলো। কোকাকোলার সৌজন্যে একটা সিটি টুরও দেওয়া হলো। গাইড ভদ্রলোক আদিতে জার্মানি। তিনি ঘুরে ঘুরে দেখালেন শহরটা। এখানে অনেক বিলিয়নিয়ারের বাস। পৃথিবীর সবচেয়ে দামি গাড়ির শোরুম আছে এখানে। এমন সুপার মল আছে, যেখানে শপিং করে ফেরার জন্য হেলিকপ্টার ভাড়া পাওয়া যায়, আপনার শপিং ব্যাগ বহন করার জন্য উর্দিপরা লোকেরা পেছনে ঘুরে বেড়ায়। এসব এলাকায় সাধারণের প্রবেশ নিষেধ। অনেকটা নিউইয়র্কের মতো এই সাও পাওলো। ওরা অবশ্য বলেন, সান পাওলো। 
এই শহরে লাভস্টোরি নামে একটা ব্যাপার আছে, ছেলেমেয়েরা কোনো একটা জায়গায় জড়ো হয়, সেখান থেকে অচেনা কাউকে বাছাই করে নিয়ে যায়, এক রাতের জন্য বন্ধুত্ব করে, তারপর ভোরবেলা যে যার পথে নাকি চলে যায়। বিয়ে নামের প্রতিষ্ঠানটা ভেঙে পড়ছে। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিক সার্জারি করে ব্রাজিলের মেয়েরা।

ব্রাজিলের বেশির ভাগ ফুটবলারই এসেছেন  দরিদ্র পরিবারগুলো থেকে। বিমানের টেলিভিশনে ব্রাজিলের বর্তমান টিমের সদস্যদের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র দেখছিলাম। অস্কারের স্কুল দেখলাম, গুস্তাভোর ছেলেবেলা। সবাই প্রায় গ্রামগঞ্জ শহরতলির সাধারণ ঘরের ছেলে। তাদের স্কুল, বাবা-মায়ের বাড়িঘর—সবই সাধারণ।
ব্রাজিলের ১৯৭০ সালের চ্যাম্পিয়ন দলের একজন সদস্য তার সোনার মেডেল বিক্রি করে দিয়েছিলেন সংসার চালানোর জন্য।
এক দিকে চরম দারিদ্র্য, আরেক দিকে সম্পদের পাহাড়।
আর ক্ষমতাসীন নেতার মেয়ে সবচেয়ে বড়লোকদের একজন, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট দেশের চার নম্বর শীর্ষ ধনী। সে কারণেই দেশের মানুষ বি‌ক্ষোভ করেছে, তাদের বিক্ষোভ ফুটবলের বিরুদ্ধে নয়।
অন্যদিকে মাত্র ৫০০ বছর আগেও আমেরিকা মহাদেশটা অনাবিষ্কৃতই রয়ে গেল উপনিবেশকদের কাছে। পর্তুগিজরা আসার আগে দেশে নাকি ৩০-৪০ লাখ আদিবাসী ছিল, এখন আছে বড়জোর তিন লাখ। পর্তুগিজরা এল, এর ভাষা বানাল পর্তুগিজ, রোমান ক্যাথলিকদের ধর্ম হলো এখানকার ধর্ম। সারা ইউরোপ থেকে অভিবাসীরা এসেছে এখানে। আরব প্রভাবও আছে।  ১৮০৭ সালে নেপোলিয়ান পর্তুগাল আক্রমণ করলে পর্তুগালের রাজা ব্রাজিল চলে আসেন। তারপর ছেলের হাতে ভার দিয়ে তিনি ফিরেও যান ১৮২০ সালে। সেই ছেলেকে তিনি পর্তুগালে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিলে ছেলে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। ১৮২২ বা ১৮২৫ থেকে এরা স্বাধীন। ২৫-৩০ হাজার মুসলিম আছে এখানে। কত বিচিত্র রঙের মানুষই না আছে এখানে। সাদা-কালো, কালোদের আনা হয়েছিল ক্রীতদাস হিসেবে, আফ্রিকা থেকে। বাদামি, খয়েরি।
  প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বলুন, আর মানুষের তৈরি ‘ওয়ান্ডার’ বলুন, ঐশ্বর্যের দিক থেকে ব্রাজিলের কোনো তুলনা হয় না। আমাজন থেকে শুরু করে করকাভো পাহাড়ের ওপরে স্থাপিত ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার নামের বিশাল ভাস্কর্য। সেখান থেকে রিও শহরটাকে যে কী সুন্দর লাগে।
সাও পাওলো নেইমারেরও জন্মস্থান। বাবা ছিলেন পেশাদার ফুটবলার। নেইমারেরও শুরুটা রাস্তায় ফুটবল খেলেই, ১১ বছর বয়স থেকেই আনুষ্ঠানিক ফুটবল প্রশিক্ষণ নেওয়া। ১৪ বছর বয়সেই ডাক এসেছিল রিয়াল মাদ্রিদ থেকে।
নেইমারের এক বোন আছে, তিনি মডেলিং করছেন।
নেইমারের খেলার মধ্যে একটা অন্য রকমের সৌন্দর্য আছে। প্রজাপতির মতো মনের আনন্দে ঘুরে ঘুরে খেলছেন। খেলতে খেলতে দুষ্টুমি করেন। চোখ টেপেন। এর ওর ঘাড়ে চড়ে বসেন। শারীরিক শক্তি দিয়ে নয়, খেলেন মেধা দিয়ে। আবার সেরা ফুটবলারদের যে ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়টা থাকে, নেইমারের সেটা খুব সক্রিয় ও প্রবল, ঠিক জায়গায় ঠিক মারটা ঠিকই মারেন। কত দূর থেকে কী নির্ভুল শট।

বিমান দুর্ঘটনার শোক কাটিয়ে মাঠে ফিরেছে ব্রাজিলের ক্লাব শাপেকোয়েন্সে

নেটো (বাম পাশের ব্যক্তি), জ্যাকসন ফোলম্যান (ডান দিক থেকে দ্বিতীয় জন) এবং অ্যালান রুশেল (ছবির ডান দিকের ব্যক্তি) ম্যাচের শুরুতে মাঠে প্রবেশ করছেন। এরা তিনজন বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে যান।
গত বছরের ২৯শে নভেম্বরে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় ব্রাজিলের ক্লাব শাপেকোয়েন্সের বেশিরভাগ সদস্য নিহত হবার পর প্রথম ম্যাচ খেলেছে দলটি।
শনিবার নিজেদের মাঠ অ্যারেনা কোন্ডায় ব্রাজিলের লিগ চ্যম্পিয়ান পালমেইরাসের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামে তারা।
ওই বিমান দুর্ঘটনায় ১৯ খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাসহ ৭১ জন মারা যাওয়ার পর ক্লাব শাপেকোয়েন্সে নতুন ২২ জন ফুটবলারের সাথে চুক্তি করে।
খেলা শুরুর আগেই দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া শাপেকোয়েন্সের তিন ফুটবলার নেটো, জ্যাকসন ফোলম্যান ও অ্যালান রুশেলের হাতে কোপা সুদামেরিকানার ট্রফিও তুলে দেয়া হয়। ওই বিমান দুর্ঘটনায় ছয়জন বেঁচে গিয়েছিলেন।
ম্যাচের ৭১ মিনিটের সময় বিরতি দিয়ে, দু'দলের খেলোয়াড় ও দর্শক দাড়িয়ে করতালি দিয়ে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের সম্মান জানায়।
ম্যাচটি দেখতে মাঠে হাজির হন শাপেকোয়েন্সের প্রায় বিশ হাজার দর্শক। ২-২ গোলে ড্র হয় খেলাটি। শাপেকোয়েন্সের হয়ে গোল করেন ডগলাস গ্রোলি ও আমারাল।

ব্রাজিল জিতেছে, হারেনি কলম্বিয়াও


আজ ভোররাতে রিও ডি জেনিরোতে এক প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল-কলম্বিয়া। দুই দেশের স্থানীয় লিগ থেকে বেছে নেওয়া খেলোয়াড়দের ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছে ব্রাজিল। ৪৭ মিনিটে পালমেইরাস মিডফিল্ডার দুদুর দেওয়া গোলটি ফেরাতে পারেনি সফরকারী দল। তবে জয় পরাজয় এ ম্যাচে মুখ্য ছিল না। দুই মাস আগে ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনায় প্রায় ধ্বংস হতে বসেছিল ব্রাজিলীয় ফুটবল ক্লাব শাপেকোয়েনস। ৭১ জনের মৃত্যু ঘটেছিল সে দুর্ঘটনায়। ২২ জন ফুটবলারের মাঝে বেঁচে ফেরেন মাত্র তিনজন। সে ঘটনায় বেঁচে ফেরাদের সাহায্যের জন্যই আয়োজিত হয়েছিল এ ম্যাচ। আজ তো আসলে জয় হয়েছে মানবতার।
ম্যাচের শুরুটাই হলো শাপেকোয়েনসের হারিয়ে যাওয়া ফুটবলারদের স্মরণ করে। ছবি: এএফপি। 
ছবি: এএফপিসেই ভয়ংকর দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা তিনজন— (বাঁ থেকে) গোলকিপার জ্যাকসন ফলম্যান, উইঙ্গার অ্যালান রুশেল এবং ডিফেন্ডার জ্যাম্পিয়ের নেতো। ছবি: এএফপি। 
ছবি: এএফপিঅদম্য এই সাহসীদের হাতে তুলে দেওয়া হলো ক্রেস্ট। ছবি: এএফপি। 
ছবি: এএফপিম্যাচের আগে কলম্বিয়া দলের সবাই হাত মেলালেন ফলম্যান, রুশেলদের সঙ্গে। ছবি: এএফপি। 
ছবি: এএফপিজাতীয় সংগীত বাজানোর সময় ব্রাজিল দলের সঙ্গী তাঁরা তিনজন। ছবি: এএফপি। 
ছবি: এএফপিদুই দলের করমর্দনেও তাই থাকল অন্যরকম সৌহার্দ্য। ফুল দিয়ে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন সবাই। ছবি: এএফপি। 
ছবি: এএফপিহেড থেকে দুদুর গোল। ব্রাজিলের জার্সিতে নিজের প্রথম গোল তাঁর। ছবি: এএফপি। 
ছবি: এএফপিম্যাচ শেষে জয়ের নায়ক হাত মেলাতে এলেন সত্যিকারের নায়কদের সঙ্গে। দুদুর সঙ্গী ব্রাজিলের অন্য খেলোয়াড়েরা। ছবি: এএফপি।

বর্ডারে দেয়াল তৈরির খরচ দেব না : মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট


মেক্সিকান বর্ডারে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়াল তৈরির সিদ্ধান্তে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বাক্ষরের পর আরো একবার বিষয়টি নিয়ে কথা বললেন মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নিয়েতো। আগেই জানিয়েছিলেন, এই দেয়ালের কোন খরচ দেবে না মেক্সিকান সরকার। বিষয়টি আরো একবার নিশ্চিত করে তিনি বলেন, মেক্সিকো দেয়ালে বিশ্বাস করে না। কোন দেয়ালের জন্য মেক্সিকো অর্থ খরচ করবে না।
 
হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী এক মাসের মধ্যে মেক্সিকান বর্ডারে দেয়াল তৈরির কাজ শুরু হবে। বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকোর মধ্যে শীতল সম্পর্ক চললেও ওয়াশিংটনে সফর বাতিল করেননি প্রেসিডেন্ট এনরিকে।
 
টুইটারে প্রকাশিত এক ভিডিওতে তিনি বলেন, মেক্সিকো দেয়ালে বিশ্বাস করে না। এ কথা আগেও বলেছি। কোন দেয়ালের জন্য মেক্সিকো অর্থ খরচ করবে না। তিনি সেখানে আরো জানান, কূটনীতিকেরা ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক শেষ করার পর মেক্সিকোর পদক্ষেপ জানানো হবে।
 
 
এনরিকে পেনে নিয়েতে নিজ দেশের নাগরিকদের রক্ষায় বদ্ধপরিকর বলেও জানান। তিনি বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে নির্দেশ দেয়া আছে। তারা মেক্সিকানদের রক্ষার জন্য নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অভিবাসীদের সহায়তার জন্য যে সংস্থাগুলো রয়েছে, তাদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করার জন্যও বলা হয়েছে।
 
যুক্তরাষ্ট্রে থাকা মেক্সিকোর ৫০টি কনস্যুলেটের মাধ্যমে মেক্সিকান অভিবাসীদের সহায়তা করা হবে বলেও জানান তিনি। সিএনএন।

দক্ষিণ আমেরিকার চিলিতে দাবানলে ৬ জনের মৃত্যু


চিলির মধ্যাঞ্চলে দাবানল ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ছয় জন প্রাণ হারিয়েছেন। এদের মধ্যে চারজন দমকলকর্মী ও দুইজন পুলিশ। বুধবার কর্মকর্তারা একথা জানান।
 
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মারিও ফার্নান্ডেজ মাউলে নদীতে চিলির দুই দমকল কর্মীর লাশ পাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ছয় জনে। 
 
ন্যাশনাল ফরেস্টি কর্পোরেশন এক বিবৃতিতে জানায়, কয়েকটি স্থানে দাবানল এক লাখ ৯০ হাজার হেক্টর এলাকাকে গ্রাস করেছে। আতঙ্কিত স্থানীয়রা তাদের বাড়িঘর, গবাদিপশু ও ক্ষেত-খামার রক্ষায় আগুন নিয়ন্ত্রণে দমকল কর্মীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।
 
মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট মিশেল বাচেলেট দাবানল মোকাবেলায় আরো অর্থ ছাড়ের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি একে দেশের স্মরণকালের ভয়াবহতম দাবানল হিসেবে অভিহিত করেন।
 
মঙ্গলবার জাতীয় জরুরি অফিস জানায়, এই ঘটনায় অন্তত চার হাজার লোককে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।-এএফপি/বাসস

তুষারপাত ও প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় আফগানিস্তানে ২৭ শিশুর মৃত্যু


তুষারপাত ও প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় জৌযান প্রদেশের দারজাব অঞ্চলে ২৭ শিশু মারা গেছে। বৃহস্পতিবার জেলা গভর্নর রহমতুল্লাহ হাশার একথা জানান।
 
সিনহুয়াকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমাদের তথ্যানুসারে ২৭ জন শিশু মারা গেছে। প্রচণ্ড তুষার ঝড়ের কারণে রাস্তা বন্ধ থাকায় তাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। চিকিৎসা সেবা না পেয়ে শিশুরা জীবন হারাল।
 
কয়েকদিন আগে শুরু হওয়া এই তুষারপাতে বিপর্যস্ত আফগানিস্তান। দেশটির কোন কোন স্থানে ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত তুষার জমে আছে। বিশেষত গ্রামগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এই তুষার ঝড়ে। জাতিসংঘের কো-অর্ডিনেশন অব হিউমেনেটরিয়ান অ্যাফেয়ার্স আফগানিস্তানের এরূপ পরিস্থিতিতে সহায়তার জন্য ৫৫ কোটি মার্কিন ডলার চেয়েছে। দ্রুত সেখানে কাজ শুরু করা না হলে এই পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। সিনহুয়া।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর নাগরিকরা আর আমেরিকার ভিসা পাবেন না --প্রতিবাদে নিউইয়র্কে বিক্ষোভ।


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সীমান্ত দেয়াল নির্মাণ এবং অভিবাসন পরিকল্পনার নিন্দা জানাতে বুধবার শত শত লোক নিউইয়র্কের রাজপথে বিক্ষোভ করেছে।
 
মার্কিন এ নেতা দিনের প্রথম ভাগেই যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত বরাবর দেয়াল নির্মাণের পরিকল্পনার কাজ শুরু করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। এদিকে তিনি সিরিয়াসহ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো থেকে আসা শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ অস্থায়ীভাবে স্থগিত রাখার ঘোষণা দেন।
 
বিকেল ৫ টার পর থেকেই বিক্ষোভকারীরা ম্যানহাটনের ওয়াশিংটন স্কয়ারে জড়ো হতে থাকায় এক পর্যায়ে এটি একটি বিশাল সমাবেশে রূপ নেয়।
 
সেখানে বিক্ষোভকারীরা চিৎকার করে বলতে থাকে ‘কোন নিষেধাজ্ঞা নয়, কোন দেয়াল নির্মাণ নয়, নিউইয়র্ক সবার জন্য।’
 
এ সময় তাদের অনেকে মুসলমানদের অধিকার রক্ষা এবং সিরিয়া ও সংঘাত পূর্ণ অন্যান্য মুসলিম দেশ থেকে আসা শরণার্থীদের গ্রহণ অব্যাহত রাখারও আহবান জানায়। 

বাসস।

নিজেকে মুসলিম হিসেবে নিবন্ধন করতে প্রস্তুত :সাবেক মার্কিন স্বরাষ্ট্র সচিব মেডেলিন অলব্রাইট


সাবেক  মার্কিন স্বরাষ্ট্র সচিব মেডেলিন অলব্রাইট বলেছেন তিনি ’ট্রাম্পের আমেরিকায়’ নিজেকে মুসলিম হিসেবে নিবন্ধন করতে প্রস্তুত।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মার্কিন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে নির্বাহী পর্যায়ের পদক্ষেপ নেয়ার পরিকল্পনার প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর মেডেলিন এ কথা বললেন।

মেডেলিন অলব্রাইট টুইটারে সম্প্রতি বলেন, আমি বড় হয়েছি ক্যাথলিক হিসেবে, বিশপ হয়েছি। পরে জানতে পেরেছি আমার পরিবার ইহুদি ছিল। এখন আমি নিজেকে মুসলিম হিসেবে নিবন্ধন করতে প্রস্তুত।

ইতালিতে তুষারধসে বিধ্বস্ত হোটেলে আরও ২ মৃতদেহ উদ্ধার


ইতালির পার্বত্যাঞ্চলে ছয় দিন আগে ভয়াবহ এক তুষারধসে চাপা পড়েছিল বিলাসবহুল হোটেল রিগোপিয়ানো। তুষারধসে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার টন ওজনের বরফ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে নিচে নেমে আসে।

গত কয়েকদিনে উদ্ধার তৎপরতায় ২৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। গতকাল সর্বশেষ এক পুরুষ ও এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৯।

দুর্ঘটনার সময় হোটেলে ৪০ জন লোক ছিল। উদ্ধার তৎপরতা চালানোর সময় চার শিশুসহ ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গিয়েছিল। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে দুইজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী পাউলো জেনতিলনি  তুষারধসের বিষয়টি নিয়ে প্রথমে তদন্ত করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু বুধবার পার্লামেন্টে এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, এই বিপর্যয়ের জন্য কে দায়ী এখন সেটা খুঁজতে গিয়ে সময় নষ্ট করা ঠিক হবে না।

শাহবাগে ২ সাংবাদিককে পিটুনি: পুলিশের এএসআই ক্লোজ


তেল-গ্যাস-বিদ্যুত্-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ডাকা অর্ধদিবস হরতাল চলাকালে রাজধানীর শাহবাগে বেসরকারি টিভি চ্যানেল এটিএন নিউজের দুই সংবাদকর্মীকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় পুলিশের এএসআই এরশাদ মণ্ডলকে ক্লোজ করা হয়েছে।
 
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, এটিএন নিউজের স্টাফ রিপোর্টার এহসান বিন দিদার ও ক্যামেরাম্যান আব্দুল আলীম। বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে দুইটায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
 
আহত সাংবাদিক এহসান বিন দিদার জানান, হরতালের সংবাদ কাভার করার জন্য তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছিলেন। এ সময় শাহবাগ থানার এএসআই এরশাদ মণ্ডলের নেতৃত্বে চার-পাঁচজন পুলিশ সদস্য তাদের ওপর হামলা চালায়। কি কারণে হামলা চালিয়েছিল তা তারা বুঝতে পারেননি।
 
হামলায় ক্যামেরাম্যানের চোখের ওপরের অংশ কেটে গেছে। ক্যামেরা ভেঙে গেছে। রিপোর্টারের হাত এবং পা ভেঙে গেছে। তারা এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।
 
এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, সেখানকার ভিডিও ফুটেজটি পর্যবেক্ষণ করে অভিযুক্ত এএসআই এরশাদ মণ্ডলকে ক্লোজ করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে যুক্ত করা হয়েছে।

Tuesday, January 24, 2017

হারানো আস্থা খুঁজে পেতে


পারস্পরিক বিশ্বাসের মধ্যেই সম্পর্কের ভিত নিহিত। কিন্তু কোনো কারণে সেই আস্থার জায়গা নড়বড়ে হলে সম্পর্কে চিড় ধরবেই। এ সমস্যার সমাধান করে নতুনভাবে দাম্পত্য শুরু করার কিছু ভাবনা নিয়ে লিখেছেন নওশীন শর্মিলী
 
গত মাসটা দুঃস্বপ্নের মতো কেটেছে নীলার। হঠাৎ একদিন এক বান্ধবীর মাধ্যমে সে জানতে পারে, তার স্বামী হৃদয় অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে। কথাটি শুনে নীলা উত্তেজিত হলেও পরক্ষণে নিজেকে শান্ত করে ঘটনাটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য। তাই হূদয়ের প্রতিদিনের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করা শুরু করে। সপ্তাহ খানেক পর বিষয়টির সত্যতা সে বুঝতে পারে। বিষয়টি নিয়ে নীলা সরাসরি হূদয়কে প্রশ্ন করলে তার স্বামী সত্যটা স্বীকার করে এবং জানায় মেয়েটি তার সহকর্মী। নীলা তখন মেয়েটির সঙ্গে সবরকম সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলে। কিন্তু এতে হূদয় রাজি হয়নি। আর তখনই দুজনার মধ্যে ঝগড়া, কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কয়েকদিন এভাবে চলার পর সংসারে চরম অশান্তি দেখা দেয়। এর কারণ হিসেবে হূদয় নীলাকেও দোষারোপ করে তার প্রতি উদাসীনতার জন্য। একসময় একে অপরের প্রতি বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায়। ফলে দুজনের আচার-আচরণে পরিবর্তন আসে। এর প্রভাব পড়ে ৩ বছর বয়সী কন্যা উর্মিলার ওপর। সংসারের এই সমস্যার সমাধান কীভাবে হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে নীলা। পুরো বিষয়টি ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে নীলা সিদ্ধান্ত নেয় তাকেই আগে পদক্ষেপ করতে হবে। তাই নিজের ভুলভ্রান্তির জন্য হূদয়ের কাছে ক্ষমা চায় এবং স্বামীর প্রতি তার দায়িত্ব-কর্তব্য ও টেককেয়ার বাড়িয়ে দেয়। এতে কয়েকদিনের মধ্যে হূদয়ও নিজের ভুল বুঝতে পারে। সেও নীলার কাছে ক্ষমা চায়। সেই সঙ্গে সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কও ছিন্ন করে। হূদয়ের অনুতপ্ত চেহারা দেখে নীলা তাকে ক্ষমা করে দেয়। কিন্তু অনেক স্বামী-স্ত্রী নিজেদের পারস্পরিক বিশ্বাস কীভাবে ফিরিয়ে আনবেন, তা বুঝতে পারে না।
 
নতুন ভাবনা:
 
আপনার সঙ্গী যদি তার ভুল মেনে নিয়ে দাম্পত্য জীবনে এক নতুন অধ্যায় শুরু করতে চান, তা হলে তাকে সেই সুযোগ দিন। এ ব্যাপারে সাহায্য না করলে আপনিও কিন্তু পরোক্ষভাবে তাকে ঠকাচ্ছেন।
 
সে আস্থা নিয়ে তিনি আপনার দিকে হাত বাড়াচ্ছেন তার যোগ্য চাহিদা না দিলে আপনিও কিন্তু আস্থাভঙ্গের দায়ে দায়ী হবেন।
 
মনে রাখবেন, ভুল স্বীকার করা কিন্তু সহজ নয়। আপনার সঙ্গী যদি সেই কঠিন কাজটা করতে পারেন, আপনিও বা কেন পিছিয়ে থাকবেন?
 
নিজেকে কিছুটা সময় দিন। সঙ্গীর বিশ্বাসভঙ্গ সহজে মেনে নেওয়া যায় না। নিজের সম্পর্কে বিচার-বিবেচনা করে দেখুন গলদটা ঠিক কোথায়?
 
কোনো বিশ্বাসভাজন বন্ধু বা কাউন্সিলের সঙ্গে কথা বলুন। অনেক সময় তৃতীয় ব্যক্তি সহজেই নিজস্ব ভঙ্গিতে পরিস্থিতি বুঝে প্রয়োজনীয় সমাধান খুঁজে দিতে পারেন।
 
নানা দৃষ্টিকোণ থেকে ঘটনা বিশ্লেষণ করুন। দেখবেন সমস্যার সহজ সমাধান হয়ে গেছে।
 
কী করবেন:
একে অপরকে আরও একটু বেশি সময় দিন। হয়তো সম্পর্কে এমন কিছু ফাঁক ছিল যা আস্থা হারানোর জন্য দায়ী।
 
নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ান। আপনার সঙ্গীকে শুধু আপনার স্বামী বা স্ত্রী অথবা সন্তানের অভিভাবক না ভেবে একজন আলাদা মানুষ হিসেবে দেখুন। অপ্রয়োজনীয় খুঁটিনাটির মধ্যে থেকে খুঁজে পেতে পারেন এক সম্পূর্ণ নতুন অনুষঙ্গকে নতুন বন্ধুকে।
 
অন্যান্য কাজের চাপ থাকলেও দাম্পত্যকে গুরুত্ব দিন। দাম্পত্যের জন্য হাতে কিছুটা সময় রাখা জরুরি।
 
নিজের দিকে নজর দিন। নিজেকে নিজের ভালো না লাগলে সম্পর্কে ও তার কুপ্রভাব পড়তে বাধ্য।
 
সঙ্গী সময় করে উঠতে না পারলেও নিজের পছন্দের অবসরকে বাদ দেবেন না। বন্ধু-বান্ধবীর সঙ্গে কিংবা একই বেড়াতে যান বা শপিং করুন।
 
চেহারার যত্ন নিন। অনেক নারীই মা হওয়ার পর অন্য সবদিক ভুলে যান। নিজেকে ফিটফাট রাখলে নিজের মন ভালো থাকবে এবং স্বামীও খুশি হবেন।

দীর্ঘ সময় বসে কাজ করায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি

জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে অফিস বা ব্যবসা ক্ষেত্রে আমাদের দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে হয়। অনেকক্ষণ বসে থাকার ফলে ধীরে ধীরে শরীরে বাঁধতে শুরু করে নানা রোগ ব্যাধি যা কখনো মারাত্মক রূপও ধারণ করতে পারে।
 
গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোমরে চর্বিজমা, রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল, হার্টের সমস্যা, ওজন বৃদ্ধি পাওয়া ইত্যাদি সমস্যা  যারা বসে কাজ করেন তাদের মধ্যে বেশি। এছাড়াও যারা ডেস্কে বসে বেশিক্ষণ কাজ করেন তারা কোমর ও ঘাড় ব্যথায় বেশি ভোগেন। কিন্তু জীবন এর তাগিদে নিত্য দিনের কাজ ত্যাগ করা সম্ভব নয়। তাই প্রতিদিন কাজের ফাঁকে কিছু অভ্যাস তৈরি করা উচিত। যেমন এক ঘণ্টা পর পর চেয়ার থেকে উঠে কিছুক্ষণ হাঁটা, লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি দিয়ে উঠা-নামার অভ্যাস করা, চেয়ারে সোজা হয়ে বসা।
 
এছাড়াও কিছু ছোটখাটো ব্যায়াম আছে যা চেয়ারে বসেই করা যায়, কাজের ফাঁকে এই ব্যায়ামগুলো করা। মনে রাখতে হবে আমাদের শরীর প্রতিদিন যেই পরিমান ক্যালোরি গ্রহণ করে, তা কাজে লাগাতে হবে। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করতে হবে। পাশাপাশি নাশতায় ভাজাপোড়া বা ফাস্টফুডের পরিবর্তে মৌসুমী ফল বা বাদাম জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। গ্রীন টি আমাদের শরীরে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, তাই চা বা কফির পরিবর্তে গ্রিন টি খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া কোনো প্রকার স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে। 

লেখক : ত্বক, লেজার এন্ড এসথেটিক বিশেষজ্ঞ

ওবামার নির্বাহী আদেশ বাতিল করবেন ট্রাম্প: ভেনিজুয়েলার প্রত্যাশা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনিজুয়েলার সাথে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নে তার পূর্বসূরি বারাক ওবামার চেয়ে আলাদা পদক্ষেপ নেবেন বলে প্রত্যাশা ভেনিজুয়েলার।

রবিবার ভেনিজুয়েলার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডেলসি রদ্রিগুয়িজ টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, ‘আমরা আশা করছি ট্রাম্প অযৌক্তিক কোন পথে হাঁটবেন না এবং তিনি এটা বুঝবেন, আগের সরকারের কার্যকর করা নির্বাহী আদেশ তাকে বাতিল করতে হবে।’

ওবামা একটি নির্বাহী আদেশ জারি করে বলেন, দক্ষিণ আমেরিকার এ দেশ যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি।’ এমন কথা ঘোষণার পরপরই এ নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তিনি বলেন, আশা করা হচ্ছে ট্রাম্প বার্ষিক সংশোধনের সময় এ নির্দেশ আর নবায়ন করবেন না।

তিনি বলেন, ভেনিজুয়েলা মতপার্থক্য দূর করার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সংলাপ অব্যাহত রাখবে। উল্লেখ্য, ওবামার এ বিতর্কিত নির্বাহী আদেশ ২০১৫ সালের মার্চ মাসে জারি করা হয়। এএফপি।

যেকোন পরিস্থিতির জন্য সেনবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান পাকিস্তানের

যেকোনো ধরনের ‍হুমকি মোকাবেলায় সবাইকে প্রস্তুত থাকতে বললেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া। সোমবার মুলতান গ্যারিসনে কমান্ডো বাহিনীর স্ট্রাইক কোর পরিদর্শনের সময় তিনি এ আহ্বান জানান।
 
জেনারেল বাজওয়া বলেন, সেনারা যেমন হয় সেনাবাহিনীও সে রকমই হয়। সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াইয়ের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী যুদ্ধের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। তিনি একে রণপ্রস্তুতির ক্ষেত্রে মূল্যবান অর্জন হিসেবে অভিহিত করেন।
 
তিনি সেনাসদস্যদের সবরকম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের আর্মি বিশ্বসেরা। আমি তাদের নিয়ে গর্ব করি।
 
গত নভেম্বরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করেন বাজওয়া। হিন্দুস্তান টাইমস

ইতালিতে ছয় আরোহী নিয়ে উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত

ইতালিতে ছয় আরোহী নিয়ে উদ্ধারকারী একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
 
ক্যাম্পো ফেলিস স্কি স্টেশনে একজন আহত স্কিয়ারকে উঠিয়ে নেয়ার পরেই বিধ্বস্ত হয় হেলিকপ্টারটি। তবে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
 
সিভিল প্রটেকশন এজেন্সির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পেয়েছেন কিন্তু বিস্তারিক জানা এখনই সম্ভব হয়নি।  বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের স্থানে উদ্ধারকাজে আরেকটি হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে।

 বিবিসি

ব্রেক্সিট ইস্যুতে ভোট নিতে হবে পার্লামেন্টের


ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ত্যাগ করার প্রক্রিয়া শুরু করার আগে ব্রিটেনের সরকারকে অবশ্যই পার্লামেন্টের অনুমোদন নিতে হবে বলে রায় দিয়েছে দেশেটির সুপ্রিম কোর্ট।
 
গত বছর ২৩শে জুন এক গণভোটে ব্রিটেনের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটাররা ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে যাবার পক্ষে ভোট দেয়। এর পর ব্রিটিশ সরকারের বক্তব্য ছিল যে ইইউ ত্যাগের প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করতে সরকারকে প্রদত্ত রাজকীয় ক্ষমতাই যথেষ্ট - এ জন্য পার্লামেন্টের অনুমোদন নেবার দরকার নেই।
 
একে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্ট-এ করা এক আপিল মামলায় বিচারপতিরা এই রায় দিলেন।
এগারোজন বিচারপতির মধ্যে আট জনই মত দিয়েছেন যে, ইইউ ত্যাগের ফলে ব্রিটেনের আইনে পরিবর্তন ঘটবে - তাই এ ব্যাপারে পার্লামেন্টের অনুমোদন অবশ্যই নিতে হবে।
 
ইইউ ত্যাগের প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করার অর্থ হচ্ছে, লিসবন চুক্তির ৫০ ধারা সক্রিয় করা - অর্থাৎ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো যে ব্রিটেন ইউনিয়ন ত্যাগ করতে যাচ্ছে। গণভোটের পর এটাই ছিল সরকারের করণীয়।
 
রায়ের পর প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে'র কার্যালয় থেকে জানানো হয়, তারা মার্চের শেষে এ প্রক্রিয়া শুরু করতে চান, এবং এ ব্যাপারে এমপিদের ভোটের ব্যবস্থা করে শিগগিরই একটি আইন করা হবে।
 
তবে ইইউ ত্যাগের পক্ষে ভোটাররা গণভোটে যে রায় দিয়েছেন - তা এমপিরা উল্টে দেবেন এমনটা মনে করা হচ্ছে না। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা অবশ্য সর্বসম্মতভাবে রায় দিয়েছেন যে ব্রিটিশ সরকারকে এ জন্য যুক্তরাজ্যের অন্যান্য রাজ্য অর্থাৎ স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের সাথে পরামর্শ করার দরকার নেই।
 
সুপ্রিম কোর্টে এই আইনি চ্যালেঞ্জ করেছিলেন জিনা মিলার নামে একজন ব্যবসায়ী মহিলা। তার করা মামলার প্রথম রায়েও একই রুলিং হয়েছিল এবং তার পর সরকার এর বিরুদ্ধে আপিল করলে সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণ বেঞ্চে এর শুনানি হয়।
 
দ্বিতীয় রায়েও আগের রায়ই বহাল থাকলো, এবং সরকারের করা আপিল হেরে গেল। জিনা মিলার রায়ের পর বলেছেন, এতে প্রতিভাত হয়েছে যে পার্লামেন্টই সার্বভৌম।

 বিবিসি

ইয়েমেনে বন্দর দখলের লড়াইয়ে অন্তত ৪০ জন নিহত


লোহিত সাগর উপকূলে অবস্থিত ইয়েমেনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর দখলের লড়াইয়ে সরকারি সেনা ও বিদ্রোহী মিলিয়ে অন্তত ৪০জন নিহত হয়েছে। সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা মঙ্গলবার একথা জানান।

সরকার অনুগত বাহিনী সোমবার জানিয়েছিল, তারা প্রায় তিন সপ্তাহের লড়াইয়ে ইয়েমেনের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল থেকে হুতি বিদ্রোহী ও তাদের মিত্রদের হটিয়ে দিয়ে মোখাবন্দরটি দখল করে নিয়েছে। তবে তাদের সঙ্গে মোখার দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে লুকিয়ে থাকা বিদ্রোহীদের গুলি বিনিময় হয়েছে।

নগরীর দক্ষিণ ও পূর্ব প্রান্তে মঙ্গলবারও সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। এক সামরিক কর্মকর্তা  বলেন, উল্লেখযোগ্য সংখ্রক প্রাণহানি সত্ত্বেও হুতি বিদ্রোহীরা এখনো মোখার কেন্দ্রস্থলে অবস্থান করছে। বিদ্রোহীরা সরকার অনুগত বাহিনীর অগ্রযাত্রা মন্থর করে দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

সামরিক ও চিকিৎসা কর্মকর্তারা মঙ্গলবার জানান, বিগত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ বিদ্রোহী ও ১২ সরকারি সৈন্য নিহত হয়েছে। এতে করে অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা প্রায় ২০০ জনে দাঁড়াল। 

এএফপি।

পশ্চিমতীরে আরো ২৫০০ ইহুদি বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিল ইসরাইল


দখলকৃত পশ্চিমতীরে আরো ২হাজার ৫০০ ইহুদি বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ইসরাইল। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগদর লিয়েবারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দাবি তারা আবাসিক সমস্যার সমাধানে এই পরিকল্পনা অনুমোদন দিয়েছেন।


ফিলিস্তিন এই বসতি স্থাপনের পরিকল্পনার সমালোচনা করে বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপন প্রক্রিয়া ব্যাহত করার সর্বশেষ আঘাত এটি। ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পরে ইসরাইল দ্বিতীয় ইহুদি বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা ঘোষণা করল।

ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি ইহুদি বসতি স্থাপনের বিষয়ে ওবামার চেয়ে বেশি ইসরাইলের প্রতি সমবেদী হবেন এবং ইসরাইলি বসতি স্থাপন সমর্থনকারী ব্যক্তিকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। গত মাসে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ এবং শান্তির জন্য হুমকি এই বিষয়ক প্রস্তাব পাশের জন্য ওবামার সমালোচনা করেন ট্রাম্প।

১৯৬৭ সালে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমের দখল নেয়ার পর থেকে ১৪০টি ইহুদি বসতি স্থাপন করেছে ইসরাইল যেখারে ৫ লক্ষ ইহুদি বাস করে। এই বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনানুযায়ী অবৈধ কিন্তু ইসরাইল সেটি মানতে রাজি নয়। বিবিসি।

‘ছাত্র রাজনীতি করার আগে শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে’


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতার হত্যার মধ্যে দিয়ে ৭১’এর পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়েছিল আলবদরদের দোসররা। ৭৫’এর পর মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল।
 
আজ মঙ্গলবার বিকালে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে যাই। এর জন্য চাই শিক্ষা। আমরা রাজনীতি করবো তবে শিক্ষাটা হচ্ছে বড় কাজ। প্রত্যেককে শিক্ষা অর্জন করতে হবে। শিক্ষা হচ্ছে চলার পথে সবচেয়ে বড় পাথেয়। ছাত্র রাজনীতি করার আগে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। অশিক্ষিতদের হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া যায় না।
 
তিনি বলেন, একের পর এক যারা দেশ পরিচালনায় এসেছে তারা সবাই দেশ ধ্বংস করেছে। আমি মনে করি অন্ধকারের দিন পার করে এসেছি। 
 
তিনি আরো বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের হাতে যারা পতাকা দিয়েছে তাদের শাস্তি হয়েছে। আর যারা যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দিয়েছে তাদেরও বিচার হবে।

Sunday, January 22, 2017

আজকের ব্রাজিল মুদ্রা থেকে বাংলাদেশী টাকা।

আজকের ব্রাজিল মুদ্রা থেকে বাংলাদেশী টাকা। 


                 Currency Converter: BRL to BDT

1 BRL =24.9534BDT
Brazilian Real1 BRL = 24.9534 BDT
Bangladeshi Taka1 BDT = 0.0400747 BRL
Live mid-market rate 2017-01-23 07:51 UTC

BRL - Brazilian Real

Country:Brazil
Region:South America
Sub-Unit:1 Real = 100 centavo
Symbol:R$
The real, meaning 'royal, was first introduced by Portugese settlers and became Brazil's official currency in 1690. It was not sub-divided in smaller units. The modern real (plural reais) was introduced on July 1, 1994.

BDT - Bangladeshi Taka

Country:Bangladesh
Region:Asia
Sub-Unit:1 ৳ = 100 paisa
Symbol:
The Taka (টাকা) is the currency of Bangladesh and is subdivided into 100 poisha. The most commonly used symbol for the Taka is Tk and ৳. In Bengali, the word "taka" is also used to mean any money, currency, or notes. Thus, colloquially, a person speaking Bengali may use "taka" to refer to money regardless of what currency it is denominated in.

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates