প্রায়শই রোগীরা বলে থাকেন ডাক্তার সাহেব আমি তো সারাদিন প্রায় কিছু খাই না। একটু চা, কপি, বিস্কুট আর রাতে বাসায় ফিরে একটু ভাত, মাছ, মাংস তরকারি এই তো। তার পরও ওজন কেন কমছে না। অনেক মহিলা বলে থাকেন সারাদিন শুধু একটু শসা বা গাজর খাই। রাতে ভাত। অনেকে আবার রাতে তেমন কিছু খান না। অনেকে দুপুরে ভাত খান। আর আইসক্রিম, ফাস্টফুড এসব খাবার মেনুর বাইরে থাকে। কেমন হওয়া উচিত খাবার তালিকা। এসব নিয়েও অনেকে প্রশ্ন করেন, আমি মাঝে মাঝে ডায়েট চার্ট দেই। আমি ওজন কমানোর জন্য কাউকে ক্রাশ ডায়েটিং বা না খেয়ে শুকাতে বলি না। বরং ক্যালরি ঠিক রেখে যতটা খাদ্য নির্বাচন করা যায় ততই ভালো। তাই আমি ডায়েট নিয়ে যখন কথা বলি তখন যথাসম্ভব বিজ্ঞানসম্মত তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি সব সময় তথ্যগুলো বিশ্বাসযোগ্যভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করি।
যাহোক, ফিরে আসি রাতের খাবার প্রসঙ্গে। একজন চিকিত্সক হিসেবে যতখানি তথ্য পেয়েছি তাতে রাতে অধিক আহারের সপক্ষে কোনো যুক্তি পাইনি। বরং রাতে হালকা খাবার আহারের পক্ষে বেশিরভাগ পুষ্টি বিজ্ঞানী। রাতে অধিক আহারে সমস্যা কোথায়। এব্যাপারটিও জানা দরকার। রাতে সাধারণত আমাদের কোনো ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটি বা পরিশ্রমের প্রয়োজন পড়ে না। তাই আমরা আহার থেকে যে খাদ্যশক্তি পাই তা শরীরে জমা হয়। ফলে আমাদের শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া রাতে বেশি আহার করলে সকালে ঘুম থেকে উঠতেও বিলম্ব হয়। এছাড়া অনেকে লেট নাইটে আহার করেই বিছানায় শরীর এলিয়ে দেন। ফলে খাবার পেটের উপরিভাগে উঠে ডায়াফ্রাম বা মধ্যচ্ছেদায় চাপ দেয়। তখন বুকে ব্যথা হতে পারে। যাকে বলা হয় হার্ট বার্ন বা বুক জ্বালা-পোড়া। অনেকে এধরনের বুকের ব্যথাকে হার্টের সমস্যা মনে করেন। রাতে খাবার পরিমিত বা কম আহার করলে একদিকে যেমন স্বাস্থ্যকর, অন্যদিকে ওজন আধিক্য থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।
লেখক : চুলপড়া, এলার্জি, চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ
No comments:
Post a Comment