Social Icons

Showing posts with label বিদেশে উচ্চ শিক্ষা. Show all posts
Showing posts with label বিদেশে উচ্চ শিক্ষা. Show all posts

Wednesday, May 9, 2018

জাপানের ভিসা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ।


যেকোন বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী জাপানের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফার লেটার পেলে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। ভিসার অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম বাংলাদেশে অবস্থিত জাপান দূতাবাসে এবং তাদের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। আবেদন পত্র সঠিক ভাবে পূরণ করে জমা দিলে ভিসা প্রসেসিং শুরু হবে।
ভিসার আবেদনের জন্য যে কাগজপত্র গুলো লাগবে
  • বৈধ পাসপোর্ট (ন্যূনতম ৬ মাসমেয়াদআছেএমন)
  • পুরাতন পাসপোর্ট (যদি থাকে)
  • দুই কপি ছবি, সাইজ ৩.৫×৪.৫ (ছবি বিগত ৬ মাসের ভেতর তোলা এরকম হতে ল্যাব প্রিন্ট হবে)
  • জাপানে অধ্যয়ন করতে যাওয়ার কারন সমূহ বর্ণনা করে একটি কভারলেটার সহ পূর্ণাঙ্গ জীবন বৃত্তান্ত
  • জাপানের যে প্রতিষ্ঠানে পড়তে যাবেন তার Letter of Acceptance
  • জাপানের বিচারমন্ত্রণালয় থেকে ইস্যুকৃত Certificate of Eligibility
  • মূল একাডেমীক সার্টিফিকেট
  • ভিসা প্রার্থিরআর্থিকসচ্ছলতার সনদ
  •  
সঠিক ভাবে পূরণ কৃতফর্মটিপ্রতিকার্য দিবসে সকাল ৯ টা থেকে ১১.৩০ টার মধ্যে জমা দিতে হবে। 
সাক্ষাৎকারপর্ব
  • দূতাবাস থেকে প্রদানকৃত রশিদে যে তারিখ উল্লেখ থাকবে সেদিন সকাল ৯:৩০ থেকে ১১:৩০ এর মধ্যে আপনার সাক্ষাৎকার নেয়া হবে।
  • যদি নির্দিষ্ট দিনে আপনি কোন কারনে দূতাবাসে পৌছাতে অসমর্থ হন তবে পরবর্তী যেকোন কর্মদিবসে আপনি আসতে পারেন।
  • প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট সাক্ষাৎকারের সময় জমা দিতে হবে। অন্যাথায় সাক্ষাৎকার নেয়া হবেনা।


ভিসাপ্রদান
  • পরবর্তী কর্মদিবসেসাধারণভিসাপ্রদানকরাহয়।
  • কোন কোন ক্ষেত্রে আপনাকে আরো কিছু কাগজপত্রসহ পুনরায় সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হতে পারে।
  • অ্যাম্বেসী বরাবর প্রদানকৃত ডকুমেন্ট ছাড়া অন্যসব ডকুমেন্ট আপনাকে পাসপোর্টের সাথে ফেরত দেয়া হবে।

ভিসা ফি
বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা আবেদন করতে কোন প্রকার ফি প্রয়োজন হয় না।

ভিসাসংক্রান্তপরিষেবারসময়সূচী

ভিসাআবেদনফর্মেরবন্টন

সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা
রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার
ভিসা আবেদন পত্র জমা
সকাল ৯ টা থেকে সকাল ১১.৩০ টা
রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার
ভিসাআবেদনকারীদেরজন্যগেটবন্ধ
সকাল ১১.২০
রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার
ভিসাআবেদনকারীরসাক্ষাৎকার
সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা
সাধারণত যে দিন কাগজপত্র জমা দেওয়া হয় ঐ দিন
ভিসাপাসপোর্টডেলিভারি
দুপুর ২.৩০ থেকে বিকাল ৩.৩০
সাধারণত সপ্তাহের সাত দিনই, সাক্ষাৎকারের পর

ঠিকানা
Embassy of Japan Consular & Visa Section
Plot No.  5 & 7, Dutabash Road, Baridhara, Dhaka
Phone: (02)-984-0010     
Fax: (02)-984-1591 

Saturday, March 31, 2018

কানাডা বর্তমান বিশ্বে 'অন্যতম' শ্রেষ্ঠ শিক্ষিত দেশ

বর্তমান বিশ্বে কানাডা অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষিত দেশ। আর এই কৃতিত্বের দাবিদার প্রধানত অভিবাসীদের প্রাপ্য। নতুন আসা ইমিগ্রেন্টরা শুধু যে নিজেরাই উচ্চ শিক্ষিত তাই নয়, তারা কানাডায় আসার পর তাদের ছেলে-মেয়েদেরকেও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলছেন। আর এ কারণেই ইমিগ্রেন্টদের মধ্যে উচ্চ শিক্ষার হার মূলধারার কানাডিয়ানদের তুলনায় বেশি। সম্প্রতি সরকারের এক অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধানে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
 
অর্গানাইজেশন ফর ইকনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভলাপমেন্ট, ইমিগ্রেশন অফ কানাডা, কানাডিয়ান স্টাডিজের তথ্য এবং জরিপ মোতাবেক টরন্টো স্টার নিউজের সূত্র ধরে এ খবর জানিয়েছে প্রবাসী কণ্ঠ।
 
অনুসন্ধানে দেখা গিয়েছে ইমিগ্রেন্ট পরিবারের ৩৬% ছেলে-মেয়ের (যাদের বয়স ২৫-৩৫ এর মধ্যে) ইউনিভার্সিটি ডিগ্রি রয়েছে। আর এই একই বয়সের মূলধারার কানাডিয়ান ছেলে-মেয়েদের মধ্যে ইউনিভার্সিটি ডিগ্রি রয়েছে ২৪% জনের।
 
সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ইমিগ্রেন্ট এসেছে যে কয়টি দেশ থেকে তার মধ্য আছে চীন ও ভারত। আর এই দেশগুলো থেকে আসা ইমিগ্রেন্টে পরিবারের ছেলে-মেয়েদের মধ্য ইউনিভার্সিটি ডিগ্রিধারীর সংখ্যা শতকরা ৫০ ভাগেরও বেশি। ফিলিপাইন থেকেও কানাডায় প্রচুর সংখ্যক ইমিগ্রেন্ট এসেছেন। ঐ সকল পরিবারের ছেলে-মেয়েদের মধ্য ইউনির্ভর্সিটি ডিগ্রিধারীর সংখ্যা শতকরা প্রায় ৩৩ ভাগ।
 
পশ্চিম ইউরোপ থেকে এসেছেন এমন ইমিগ্রেন্ট পরিবারের ছেলে-মেয়েদের মধ্যেও উচ্চ শিক্ষার হার মূলধারার কানাডিয়ান ছেলে-মেয়েদের তুলনায় বেশি। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ৩০ থেকে ৩৭ % পশ্চিম ইউরোপের ছেলে-মেয়ে ইউনিভার্সিটির ডিগ্রিধারী। এর পরের অবস্থানে আছে ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চল থেকে আসা ইমিগ্রেন্ট পরিবার। এই সকল পরিবারের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে ইউনিভার্সিটি ডিগ্রিধারীর হার ২৩ থেকে ২৮%।
 
উল্লেখ্য যে, অর্গানাইজেশন ফর ইকনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভলাপমেন্টে কানাডাকে দ্বিতীয় স্থানের মর্যাদা দিয়েছে উচ্চ শিক্ষিতের দেশ হিসাবে। কানাডায় সার্বিকভাবে ৬০% অধিবাসীর পোস্ট-সেকেন্ডারি ডিগ্রি রয়েছে। প্রথম স্থানে আছে দক্ষিণ কোরিয়া। এই হিসাব ২০১৬ সালের। টপ টেনে এর পরের অবস্থানে (উপর থেকে নিচে) আছে জাপান, লিথুনিয়া, যুক্তরাজ্য, লুক্সেমবার্গ, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে এবং ইউনাইটেড স্টেট অব আমেরিকা।
 
ইমিগ্রেশন কানাডার মুখপাত্র গার্নেট পিকট বলেন, কানাডার ইমিগ্রেশন পলিসির দীর্ঘ মেয়াদী পারফরমেন্স কি এবং কানাডায় ইমিগ্রেন্ট পরিবারের সন্তানেরা শিক্ষায় ও অর্থনীতিতে কতটুকু সাফল্য ও অবদান রাখছে তা দেখার জন্য এই অনুসন্ধান চালানো হয়।
 
অন্য এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে ২০১১ থেকে ২০১৬ সালে আসা ৩৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী ইমিগ্রেন্টদের মধ্যে শতকরা ৫৪.২ জনের ব্যাচেলর ডিগ্রি রয়েছ। ১৯৯০ এর দশকে এই হার ছিল শতকরা ৩০.৫ ভাগ।
 
ইমিগ্রেন্টদের মধ্যে যেখানে শতকরা ৫৪.২ জন এর ব্যাচেলর ডিগ্রি রয়েছে, সেখানে নন-ইমিগ্রেন্ট অর্থাৎ মূলধারার কানাডিয়ানদের মধ্যে এই হার শতকরা ২৭.৯ ভাগ। এই অনুসন্ধানটি চালান এসোসিয়েশন অব কানাডিয়ান স্টাডিজ এর গবেষক জ্যাক জেকব।
 
জ্যাক জেকব এর অনুসন্ধানে দেখা গেছে কানাডায় দৃশ্যমান সংখ্যা লঘুদের মধ্যে ৪৬.৫% মহিলা ও ৪৫% পুরুষের ইউনিভার্সিটি ডিগ্রি রয়েছে। অন্যদিকে শ্বেতাঙ্গ কানাডিয়ানদের মধ্যে এই হার যথাক্রমে ৩৩.৮% ও ২৫%।
 
জ্যাকব বলেন, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ইউনিভার্সিটি ডিগ্রিধারী রয়েছে কানাডায়। দৃশ্যত এর পিছনে অবদান রয়েছে ইমিগ্রেন্টদের।

Sunday, March 11, 2018

কানাডার নাগরিক হওয়ার শর্ত ও আবেদনের নিয়ম

কানাডার নাগরিক হতে গেলে কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। তা হলঃ বয়স, স্থায়ী বাসিন্দা, কানাডায় বসবাসের স্থায়িত্ব, ইনকাম ট্যাক্স ফাইল করা, কানাডায় বসবাসের মনস্থ করা, ভাষার দক্ষতা, এবং কানাডা সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান।

বয়স (Age)

কানাডার নাগরিক হিসেবে আবেদন করতে বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুর জন্য নাগরিকত্বের আবেদন করার নিয়মঃ

১। আপনাকে সন্তানের বাবা-মা, দত্তক পিতা বা মাতা বা আইনগত অভিভাবক হতে হবে,

২। সন্তানের কানাডায় স্থায়ী বাসিন্দা (Permanent Resident) হতে হবে, এবং

৩। একজন অভিভাবককে অবশ্যই কানাডিয়ান নাগরিক হতে হবে অথবা একই সময়ে নাগরিকত্বের জন্য আবেদনকারী হতে হবে। (দত্তক অভিভাবকের ক্ষেত্রেও এটি  প্রযোজ্য)

স্থায়ী বাসিন্দা  (Permanent Resident Status)

কানাডায় স্থায়ী বাসিন্দা (পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট) অবস্থায়  থাকতে হবে এবং পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট স্ট্যাটাস কোনো আইনি প্রশ্নের মুখে থাকতে পারবেনা। অর্থাৎ,

  • জালিয়াতির  কারণে  অভিবাসন (ইমিগ্রেশন) পর্যালোচনার অধীনে থাকা

  • রিমুভ্যাল অর্ডার (দেশ ত্যাগ) এর অধীনে থাকা

  • পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট স্ট্যাটাস এর শর্তাবলী পূরণ না করা

কানাডায় বসবাস করার স্থায়িত্ব (Time you have lived in Canada)

* আবেদনের তারিখের ঠিক আগে বিগত ছয় বছরের মধ্যে অন্তত ১৪৬০ দিন স্থায়ী বাসিন্দা (পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট) হিসেবে কানাডায় শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে হবে।

* এছাড়া ছয় বছরের মধ্যে চার ক্যালেন্ডার বছরে কমপক্ষে প্রতিবছর ১৮৩ দিন করে শারীরিকভাবে কানাডায় উপস্থিত থাকতে হবে। এই প্রয়োজনীয়তা ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য প্রযোজ্য হবে না।

* PR (পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট) কার্ডের মেয়াদের তারিখ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও আপনি সিটিজেনশিপ এর জন্য আবেদন করতে পারেন।

ইনকাম ট্যাক্স ফাইল করা (Income Tax File)

* আবেদনের সময় গত ছয় বছরের মধ্যে কমপক্ষে চার বছরের পার্সোনাল ইনকাম ট্যাক্স  ফাইল করার শর্ত পূরণ করতে হবে।

* কানাডায় বসবাসের জন্য মনস্থ করা (Intend to Reside)



ভাষা (Language Ability)

কারো বয়স যদি ১৮ থেকে ৬৪ বছরের মধ্যে হয়ে থাকে তবে আবেদনের সময় Language ability proof (ইংলিশ অথবা ফ্রেঞ্চ; কানাডার দাপ্তরিক ভাষার যে কোনো একটি) জমা দিতে হবে। এই Language ability proof অবশ্যই সিটিজেনশিপ এন্ড ইমিগ্রেশন কানাডা কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।

কানাডা সম্পর্কে জ্ঞান (How Well You Know Canada)

কারো বয়স  যদি ১৮ থেকে ৬৪ এর মধ্যে হয়ে থাকে, তবে কানাডার নাগরিক হতে গেলে অবশ্যই কানাডার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে (আবেদন করার পর সিটিজেনশিপ এবং ইমিগ্রেশন কানাডা একটি গাইড প্রদান করবে যাতে কেউ সিটিজেনশিপ টেস্ট এর জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন)। এই টেস্ট এর উদ্দেশ্য হলো নাগরিকত্ব পেতে হলে কানাডা সম্পর্কে কতটুকু জ্ঞান রয়েছে তা যাচাই করা। এটি সাধারণত একটি লিখিত পরীক্ষা।  তবে কখনো কখনো মৌখিক আকারেও সিটিজেনশিপ অফিসার এই পরীক্ষা নিয়ে থাকেন।

নিষেধাজ্ঞা (Prohibition)

কানাডা অথবা কানাডার বাইরে অন্য দেশে কোনো অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে জেলে থাকলে ওই সময় কানাডার নাগরিকত্বের আবেদন করা যাবেনা।

আবেদন করতে কী কী লাগবেঃ

১। নির্ধারিত সিটিজেনশিপ আবেদনপত্র (Citizenship form) এবং শারীরিক উপস্থিতি প্রমাণপত্র (Physical Presence form CIT 0407) জমা দিতে হবে।

এছাড়া কানাডার কোন নাগরিক যদি সরকারি চাকরির সুবাদে তার পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট স্বামী/স্ত্রী’কে নিয়ে কানাডার বাইরে অবস্থান করেন, তখন নাগরিকত্ব পেতে Resident Outside Canada Form (CIT 0177) পূরণ করে জমা দিতে হবে।

২। ইমিগ্রেশন ডকুমেন্টস ( Immigration Documents)

  • রেকর্ড অফ ল্যান্ডিং (Record of Landing (IMM 1000) অথবা

  • Confirmation of Permanent Residence (IMM 5292 or IMM 5688), এবং

  • পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট কার্ড (Permanent Resident Card)

এই পেপারগুলোর  শুধু পরিষ্কার ফটোকপি লাগবে।  সত্যায়িত করার প্রয়োজন নাই।

৩। ভাষার দক্ষতা (Language Ability)

ভাষার দক্ষতার প্রমাণপত্রঃ-

যেমনঃ IELTS, CELPIP, অথবা কানাডার পোস্ট সেকেন্ডারি ডিপ্লোমা (post secondary diploma ) ইত্যাদি।  ফটোকপি জমা দিতে হবে।

৪। গত ছয় বছরে ব্যবহৃত সকল পাসপোর্টের পরিচ্ছন্ন ফটোকপি।

  • পাসপোর্টের বায়োগ্রাফিক্যাল পেইজের কপি। এটি হল, যে পাতাগুলোতে নাম, ছবি, পাসপোর্ট নম্বর, ইস্যুর এবং মেয়াদউত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ আছে।

  • যদি পাসপোর্টের ভ্যালিডিটি এক্সটেনশন (Validity Extension) হয়ে থাকে তবে সেই পাতাগুলোরও ফটোকপি দিতে হবে।

এক্ষেত্রেও শুধু পরিষ্কার ফটোকপি লাগবে। সত্যায়িত করার প্রয়োজন নাই।

৫। দুইটি আইডেন্টিটি ডকুমেন্ট এর ফটোকপি (পার্সোনাল আইডেন্টিফিকেশন)

যেমনঃ

  • কানাডিয়ান ড্রাইভারস লাইসেন্স

  • কানাডিয়ান হেলথ ইন্সুরেন্স কার্ড

  • পাসপোর্টের বায়োলজিক্যাল পেইজের ফটোকপি

-শুধু পরিষ্কার ফটোকপি লাগবে।  সত্যায়িত করার প্রয়োজন নাই।

৬। দুই কপি সিটিজেনশিপ ফটো

৭। আবেদনপত্র বাবদ পরিশোধিত অর্থের (পেমেন্ট) মূল রশিদ (Receipt)

৮। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স (Police Clearence) সার্টিফিকেটঃ

আবেদনের সময়ের ঠিক পূর্বের গত চার বছরে কানাডা ছাড়া যদি অন্য কোনো দেশে ১৮৩ দিনের বেশি কেউ থেকে থাকেন, তাহলে তাকে সেই দেশের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের মূল্য কপি আবেদনের সময় জমা দিতে হবে।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ আবেদনের শর্ত ও নিয়মাবলী সময়ের সাথে সাথে নিয়মিত পরিবর্তিত হতে দেখা যায়। আবেদনের সময় সঠিকভাবে শর্ত ও তথ্যাবলী জেনে নির্দিষ্ট ফর্মে আবেদন করতে হবে।

Wednesday, February 28, 2018

লাটভিয়া থেকে ইউরোপের অন্যান্য দেশে চলে যাচ্ছে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা

বাল্টিক সাগরের পূর্ব তীরে লিথুনিয়া ও এস্তোনিয়ার মধ্যবর্তী ছোট্ট দেশ লাটভিয়া।উচ্চশিক্ষায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছুটে চলা বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীদের বড় একটি অংশ দেশটিতে আসলেও, পরবর্তীতে ইউরোপের বিভিন্ন  দেশে পালিয়ে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করছে, ফলে সেসব দেশে অবৈধ হয়ে দিন কাটাচ্ছে।অথচ ২/৩বছর পড়াশুনা করেই ইউরোপের যেকোন দেশে বৈধ ও স্থায়ীভাবে থেকে যেতে পারে এসব শিক্ষার্থীরা ।কিন্তু সেপথ অনুসরণ না করে তাড়াহুড়া করে উচ্চশিক্ষার গন্ডি না পেরোতেই অনেকেই চলে যাচ্ছে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোতে। যার কারণে একদিকে যেমন বাংলাদেশের প্রতি বিরুপ ধারণা হচ্ছে, অন্যদিকে দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যত থাকলেও সেপথ তারা নষ্ট করে দিচ্ছে।এমনটি জানিয়েছেন লাটভিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থী তারেক আহম্মদ। যিনি সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে লাটভিটার ‘একা ইউনিভার্সিটি’র ব্যবস্থাপনা বিভাগে পড়াশুনা করেছেন। পাশাপাশি কনসালটেন্সি খুলে দেশটিতে শিক্ষার্থী নিয়ে যাচ্ছেন এই তরুণ।ভয়েস বাংলার সাথে কথা হলে জানান, সেখানকার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের এমন কার্যকলাপের কথা।
তিনি জানান, ‘লাটভিয়ায় আগে যেসব শিক্ষার্থীরা এসেছে তাদের অনেকেই ইউরোপের অন্যান্য দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার আশায় পালিয়ে গেছে। ফলে, বাংলাদেশিদের সম্পর্কে ইউরোপিয়ানদের মধ্যে বিরুপ ধারণা দিন দিন বাড়ছে।আর এ কারণে বাংলাদেশ থেকে আগে শিক্ষার্থী আনলেও এখন তিনি শ্রীলংকা কিংবা ভারতীয় শিক্ষার্থী ছাড়া অন্যকোন দেশের শিক্ষার্থী আনেন না।কারণ এ দু’দেশের শিক্ষার্থীদের পালিয়ে যাওয়ার মনোভাব খুবই কম’। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিষয়ে পরামর্শের কথা জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘যদি তারা দেশটিতে উচ্চশিক্ষা পুরোপুরি শেষ না করে, তাহলে যেন দেশটিতে প্রবেশ না করে। আর যদি কেউ আসে তাহলে বলবো পড়াশুনা শেষ করলে জব ভিসা নিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ভালো চাকুরি বা স্থায়ীভাবে থেকে যেতে পারবে এবং ভালো ভবিষ্যৎ গড়ার পাশাপাশি বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশিদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে পারবে’।

Sunday, February 25, 2018

ভাগ্য নয় যোগ্যতাই কানাডা ইমিগ্রেশনের একমাত্র শর্ত


বাংলাদেশে এখন আলোচিত বিষয় কানাডা ইমিগ্রেশন। সব কিছু শুনে মনে হবে কানাডা, আমেরিকার মতো ডিভি চালু করেছে! আসলে বিষয়টি এমন নয়। প্রকৃত যোগ্য দক্ষ কর্মী এবং পেশাজীবীরাই কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাস ও কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। পূর্বেও অনেকে স্থায়ী হয়েছে কিন্তু বর্তমানে শর্ত অনেক শিথিল হওয়ায় যাবার সুযোগ বেড়ে গেছে। অধিক দক্ষ লোকজনের প্রয়োজন পড়ায় আগামী তিন বছরে তারা প্রায় ১০ লাখ নতুন অভিবাসীদের বসবাস ও কাজ করার সুযোগ তৈরী করে দিবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
ঢাকা ও আশেপাশের শহরে গজিয়ে উঠা কনসালট্যান্সি ফার্ম গুলো এই সুযোগে সাধারণ মানুষদের প্রতারিত করছে। কেউ জব ভিসার নামে শুধু মেডিকেল করাচ্ছে, কেউবা প্রসেসিং ফিস নামে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কানাডা ইমিগ্রেশন সম্পর্কে পরিস্কার হতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ও কোম্পানী আইন বিশেষজ্ঞ আ্যাডভোকেট আলহাজ্ব শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন দ্ক্ষ ও সংশ্লিষ্ট পেশায় অভিজ্ঞ লোক ছাড়া কোন অবস্থাতেই কানাডায় জব পাওয়া সম্ভব না। সেই ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৬ মাস হতে ৩ বছরের ট্রেড স্কিল সার্টিফিকেট ও ১ হতে ৩ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোকজন প্রপার প্রক্রিয়া অনুসরন করলেই আবেদন করতে পারে। সেখানেও রয়েছে নির্দিষ্ট ক্যাটাগরি। নুন্যতম ৫-৬ মাস সময় লাগে একটি প্রক্রিয়াকে সফলভাবে সমাপ্ত করতে। কারন বাংলাদেশি আবেদনকারীগনের ক্ষেত্রে অনেক সময় কানাডার অ্যাম্বাসী নতুন করে সাপোর্টিং ডকুমেন্টস চায়, সেই ক্ষেত্রে সময় আর একটু বেশী লাগে।
প্রচলিত এক্সপ্রেস এন্ট্রি, নতুন নতুন পি.এন.পি এবং ট্রেড স্কিল প্রোগ্রামের আওতায় কানাডা সরকার তাদের চাহিদা পূরণ করবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। দক্ষ ও অভিজ্ঞ বাংলাদেশি লোকজনদের এই সুযোগটি নেয়া উচিত। আগ্রহী লোকজন একজন অভিজ্ঞ ইমিগ্রেশন আইনজীবীর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পরামর্শ গ্রণি ও ফাইলটি প্রসেস করতে পারেন। নিজ নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী সঠিক প্রোগ্রাম নির্বাচন এবং সঠিক সময়ে সঠিকভাবে আবেদন ও ফলোআপ করার মধ্যেই সাফল্য পাবার সম্ভবনা থাকে।
কানাডা ইমিগ্রেশনের খুটিনাটি বিষয়াদি জানতে Worldwide Migration Consultants Ltd এর চীফ কনসালট্যান্ট আলহাজ্ব শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মূলত ট্রেড স্কিল্ড ও হাই স্কিল্ড ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশি যোগ্য লোকজন কানাডায় যাওয়ার সুযোগ পেতে
হাই স্কিল্ড ইমিগ্রেশন:
এক্সপ্রেস এন্ট্রি ও পি.এন.পি দুই উপায়ে আবেদন করে স্থায়ীভাবে কানাডায় বসবাস করার সুযোগ পাওয়া যায়। বয়স-৩৫, আই.ই.এল,টি.এস ৭, মাস্টার্স বা অনার্স ডিগ্রি এবং সাথে এক বছরের সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে অনেক কম খরচে এক্সপ্রেস এন্টির মাধ্যমে স্বল্প সময়ে পরিবারসহ কানাডায় স্থায়ী হওয়া যায়।
আই.ই.এল,টি.এস এ স্কোর কম থাকলে এবং বয়স একটু বেশী হলে নির্দিষ্ট কিছু পেশাজীবীরা পি.এন.পি প্রোগ্রামের মাধ্যমেও আবেদন করতে পারেন। এই বিষয়ে দক্ষ আইনজীবীর সহায়তার কোন বিকল্প নাই।
ট্রেড স্কিল্ড  প্রোগ্রাম:
অতি সম্প্রতি কানাডার প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা মতে আগামী তিন বছরে এই প্রোগ্রামসহ অন্যান্য প্রোগ্রামে প্রায় ১০ লাখ লোক কানাডায় কাজ করার সুযোগ পাবে। তবে যেহেতু কানাডায় ট্রেড স্কিল্ড এ কাজের সুযোগ বেশী এবং প্রচুর লোকজনের প্রয়োজন হয় সুতরাং শুধুমাত্র এই ক্যাটাগরিতেই সর্বাধিক সংখ্যক লোকজন অভিবাসনের সুযোগ পাবে। এটি একটি নিশ্চিত প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রামে আবেদন করতে আবেদনকারীগণের IELTS এর প্রয়োজন পড়বে না। শুধুমাত্র শিক্ষাগত যোগ্যতা এস.এস.সি পাশ এবং সংশ্লিষ্ট কাজের ট্রেড স্কিল্ড সার্টিফিকেট, পুলিশ ও মেডিকেল ক্লিয়ারেন্স থাকতে হবে। তবে আবেদনকারীগণের বয়স ৩৯ বছরের মধ্যে হতে হবে। প্রচুর বেতন, থাকা খাওয়ার সুবিধা, ভালো কাজের পরিবেশ, সামাজিক নিরাপত্তা, স্থায়ী হবার অপার সম্ভবনা ইত্যাদি বিষয়াদি বিবেচনা করলে এই প্রোগ্রামটি অনেকের জন্যই একটি উপযুক্ত একটি প্রোগ্রাম।
বাংলাদেশের বিভিন্ন পেশাজীবীদের আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। এই বিষয়ে দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আলহাজ্ব শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ এর। এই বিষয়ে তার মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধুমাত্র প্রকৃত পক্ষেই যারা যোগ্যতা রাখে তাদের আর দেরী করা ঠিক হবে না। ২০১৮ সালে যেহেতু দক্ষ ও অভিজ্ঞ লোকজনের কোঠা অনেক বেশী, সুতরাং  আবেদন করতে ইচ্ছুক লোকজনদের সবকিছু জেনে প্রস্তুতি নেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, অযোগ্য ব্যক্তিরা অযথাই আবেদন করে দেশের ভাবমুর্তি নষ্ট করবেন না। আগ্রহী ব্যক্তিরা এই বিষয়ে সরাসরি আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক আইন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
আপনার পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত পাঠাতে পারেন এই ই-মেইল info@worldwidemigration.org ঠিকানায়। এ ছাড়া ভিজিট করুন www.wwbmc.com. ওয়েবসাইটে। ঢাকার উত্তরায় ৭ নম্বর সেক্টরের ৫১ সোনারগাঁও জনপথে অবস্থিত খান টাওয়ারে ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন লিমিটেডের অফিসেও সরাসরি এসে খোঁজ নিতে পারেন। ফোনে প্রাথমিক তথ্যর জন্য কথা বলতে পারেন 01966041555, 01904036899, 01993843340, 01904036898, 01966041333 নাম্বারে।

Friday, February 16, 2018

ইউরোপের ক্ষুদ্র দেশ নেদারল্যান্ড ভিসা ।


ইউরোপের ক্ষুদ্র দেশ নেদারল্যান্ড। ইউরোপের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ এটি। দেশটি ইউরোপের সেনজেন এলাকাভুক্ত হওয়ায় স্বল্প মেয়াদী ভ্রমণের ক্ষেত্রে (সর্বোচ্চ ৯০ দিন) সেনজেন ভিসা নিয়েই নেদারল্যান্ড যাওয়া যায়, আর দীর্ঘ মেয়াদে যেতে হলে সাধারণ ভিসা নিতে হবে।
ঢাকাস্থ নেদারল্যান্ড দূতাবাস থেকে সেনজেন ভিসা দেয়া হয় না। নেদারল্যান্ড যেতে সেনজেন ভিসা নিতে হবে সুইডেন দূতাবাস থেকে। তবে চাকরি, পড়াশোনা বা অন্য কোন প্রয়োজনে নেদারল্যান্ডের দীর্ঘমেয়াদী (৯০ দিনের বেশি) ভিসার জন্য আপনাকে নেদারল্যান্ড দূতাবাসেই যেতে হবে।
সেনজেন ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সেনজেন ভিসা সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি দেখুন।

নেদারল্যান্ড ভ্রমণের জন্য সেনজেন ভিসা আবেদনপত্র জমা দেয়ার সময় যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হবে:
  • পূরণকৃত সেনজেন ভিসা আবেদন ফরম, এটি দূতাবাসে বিনামূল্যে দেয়া হয় এবং ওদের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
  • পাসপোর্ট বা অন্য কোন ধরনের অনুমতিপত্র:
    • পাসপোর্টের ফটোকপি: ব্যক্তিগত তথ্যের পৃষ্ঠা, আগে ভিসা ইস্যু হয়ে থাকলে সে পৃষ্ঠা এবং পুরনো পাসপোর্ট থাকলে তার কপি,
    • অন্যান্য শর্ত: পাসপোর্ট ১০ বছরের বেশি পুরনো হওয়া যাবে না। সেনজেন এলাকা ছাড়ার সময় পাসপোর্টের মেয়াদ অন্তত ৩ মাস থাকতে হবে। পাসপোর্টে অন্তত দু’টি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
  • সাক্ষরসহ কোন পরিচিতিপত্র,
  • কোন অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু একা কিংবা বাবা-মায়ের কোন একজনের সাথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আরও কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে:
    • জন্মসনদের কপি,
    • বাবা-মা প্রত্যেকের আলাদা আলাদা পরিচিতিপত্র (সাক্ষরসহ),
    • শিশুর ভ্রমণে সম্মতি আছে এই মর্মে বাবা-মা উভয়ের সাক্ষরিত সম্মতিপত্র,
    • এছাড়া কোন কোন ক্ষেত্রে বাবা অথবা মা কে শিশুর দায়িত্ব নিতে পারবেন এই মর্মে আদালতের নির্দেশের কপি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি মঞ্জুর করেছে এই মর্মে অনুমতিপত্র প্রয়োজন হতে পারে।
  • ছয় মাসের বেশি পুরনো নয় এমন পাসপোর্ট সাইজের (৩৫×৪৫ মিলিমিটার) ছবি।
  • ট্রাভেল রিজার্ভেশন (টিকেট নয়)। প্রয়োজনে বাতিল করে দেয়া যায় এমন রিজার্ভেশন দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
    • আপনি সেনজেন এলাকা ভ্রমণে শেষে কোথায় যাবেন সেটি জানাতে হবে। এজন্য পাসপোর্ট, অন্যদেশের ভিসা বা অন্য কোন ট্রাভেল ডকুমেন্ট দেখাতে পারেন।
  • আপনার নামে হেলথ ইনস্যুরেন্সের থাকার প্রমাণ দিতে হবে। এই ইনস্যুরেন্স সেনজেন এলাকায়ও প্রযোজ্য হতে হবে এবং অন্তত ৩০,০০০ ইউরো মূল্যের ইনস্যুরেন্স হতে হবে। হাসপাতাল ও চিকিৎসার খরচ, জরুরি চিকিৎসার খরচ এবং প্রয়োজনে দেশ ফেরত আসার খরচ ইনস্যুরেন্সের আওতায় থাকতে হবে। আপনার হেলথ ইনস্যুরেন্সের আওতায় এসব খরচ বহনের কথা না থাকলে আলাদাভাবে ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স প্রয়োজন হবে।
  • নিজ দেশে ফেরার নিশ্চয়তা হিসেবে:
    • চাকুরিদাতার কাছ থেকে নিজ দেশে চাকরি থাকার প্রমাণ দিতে হবে,
    • শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে নিজে দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে এমন প্রমাণ দিতে হবে,
    • নিজ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্তানেরা পড়াশোনা করছে এমন প্রমাণ দিতে হবে,
    • স্থাবর সম্পদ আছে এমন প্রমাণ দেখাতে হবে।
  • ভ্রমণের সময় হোটেল রিজার্ভেশনের প্রমাণ দিতে হবে।
  • ৩ টি সাম্প্রতিক ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিতে হবে।
  • চাকুরীজীবী হলে ছুটি দেয়া হয়েছে এই মর্মে ঘোষণাপত্র প্রয়োজন হবে।
পরিবারের সদস্য বা বন্ধুবান্ধবদের সাথে দেখা করতে সেনজেন ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রে আরও যেসব কাগজপত্র লাগবে:
  • সেখানে আপনাকে ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এর প্রমাণপত্র এবং থাকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত তথ্য। এ সংক্রান্ত একটি ফরম পূরণ করে নেদারল্যান্ডের সংশ্লিষ্ট অফিসে জমা দিতে হবে (আপনার স্পন্সর জমা দেবেন)।
  • স্পন্সরের ভ্রমণ ব্যয় বহন করার সংগতি আছে এরূপ প্রমাণ প্রয়োজন হবে। তার অন্তত ১২ মাস চাকরির মেয়াদ আছে এমন প্রমাণ প্রয়োজন হবে। স্পন্সরের সর্ব-সাম্প্রতিক তিনটি পে স্লিপ অথবা উপার্জনের অন্য কোন প্রমাণপত্রও প্রয়োজন হবে।
  • আপনি নিজে ভ্রমণ ব্যয় বহন করলে আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রয়োজন হবে।
  • যার সাথে দেখা করতে যাচ্ছেন তার সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকলে তার প্রমাণপত্র প্রয়োজন হবে।
ব্যবসা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, খেলাধুলা বা এধরনের কাজে সেনজেন ভিসার আবেদন করলে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হবে:
  • হোটেলে থাকার পরিকল্পনা করলে হোটেল রিজার্ভেশনের প্রমাণপত্র,
  • নেদারল্যান্ড যাওয়ার আমন্ত্রণপত্র,
  • আপনার চাকুরী এবং নেদারল্যান্ড যাওয়ার উদ্দেশ্যে উল্লেখ করে চাকুরীদাতার দেয়া পত্র,
  • সর্বোপরি ভ্রমণব্যায় আপনি না আমন্ত্রণকারী কে বহন করছেন তা স্পষ্ট হতে হবে,
  • সেলফ এমপ্লয়েড হলে ট্যাক্স নম্বর, বিজনেস লাইসেন্স এবং আয়কর রিটার্নের কপি প্রয়োজন হবে।
নেদারল্যান্ডের ভিসা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে দেখুন:

Friday, February 9, 2018

ব্রিটেনের স্টুডেন্ট ভিসা দুই ধরণের।

ব্রিটেনের স্টুডেন্ট ভিসা দুই ধরণের। ৬ মাসের কম এবং ৬ মাসের বেশি অর্থাৎ প্রার্থী যদি কোন ডিগ্রী বা কলেজ কোর্স করতে যায় । যার জন্য ৬ মাসের বেশি সময় লাগবে। তবে তাকে study visa আবেদন করতে হবে। ১৮ বছরের কম হলে child study visa এবং কোন কোর্স যেমন- ১১ মাসের ইংরেজি ভাষা শিখার এবং ৬ মাসের কম কোন কোর্স হলে study visit ভিসা আবেদন করতে হবে। যা Tier 4 (General) student visa এর আওতাভুক্ত। আবেদনের পূর্বে সকল প্রার্থীদের স্টুডেন্ট ভিসা সংক্রান্ত পলিসি জেনে নিতে হবে।

স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদনের শর্তাবলী
কাগজপত্র
আবেদনের জন্য প্রার্থীকে যে সব কাগজপত্র সরবরাহ করতে হবে -
  • পাসপোর্ট
  • স্বাক্ষরযুক্ত পাসপোর্ট সাইজ ছবি ২ কপি
  • অর্থনৈতিক ভাবে সচ্ছলতার প্রমাণ
  • বয়স ১৮ এর নিচে হলে আইনগত অভিভাবকের প্রমাণ
  • টিবি পরীক্ষার রিপোর্ট
  • পাসপোর্টে অন্তত একটি ফাঁকা পেজ থাকতে হবে
  • সকল পরীক্ষার সার্টিফিকেট এবং মার্ক-সিটের ফটোকপি
  • IELTS এর স্কোর সর্বনিম্ন ৫.৫
  • One year study in English Certificate এর ফটোকপি (যদি IELTS করা না থাকে)
  • যে প্রতিষ্ঠানে পড়তে যাবেন এবং যে বিষয়ের উপরে পড়বেন তার উপর ভিত্তি করে অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।

ভিসা প্রসেসিং এর সময়
  • যে প্রতিষ্ঠানে পড়তে যাবেন সেখানে ক্লাস শুরু হওয়ার তিন মাস আগেই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন
  • স্টুডেন্ট ভিসার প্রসেসিং এর কাজ শেষ হতে প্রায় ১ মাস সময় লাগে

ভিসা ফী
  • ভিসা প্রসেসিং এর জন্য প্রত্যেক আবেদনকারীকে ৩২২ ব্রিটিশ পাউন্ড (প্রায় ৩৮,৩৩৪ টাকাভিসা ফী হিসেবে জমা দিতে হবে।
  • হেলথ-কেয়ার চার্জ হিসেবে নির্দিষ্ট ফী প্রদান করতে হবে। বিভিন্ন কারণের উপর ভিত্তি করে হেলথ-কেয়ার চার্জ বিভিন্ন হয়ে থাকে। আপনার হেলথ-কেয়ার চার্জ কত হবে তা জানতে, প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরণ করলেই হেলথ-কেয়ার চার্জের পরিমাণ কত তা জানা যাবে।
  • হেলথ-কেয়ার চার্জ জমা দিতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন -
                            হেলথ-কেয়ার চার্জ
  • বায়োমেট্রিক তথ্য’ যেমন – ‘আঙ্গুলের ছাপ এবং আবেদনকারীর একটি ছবি’ ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর সময় প্রদান করতে হবে।

স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ
  • ৬ মাসের কোর্সের ক্ষেত্রে কোর্স শুরু হওয়ার ১ সপ্তাহ আগে যুক্তরাজ্যে যেতে পারবেন
  • ৬ মাসের বেশি সময়সীমার কোর্সের ক্ষেত্রে কোর্স শুরু হওয়ার ১ মাস আগে যুক্তরাজ্যে যেতে পারবেন
  • যুক্তরাজ্যে কত দিন পর্যন্ত অবস্থান করতে পারবেন তা নির্ভর করবে কোর্সের ধরণের উপরে এবং যে যে কোর্স করে আপনি যুক্তরাজ্যে গিয়েছেন তার উপর।
স্টুডেন্ট ভিসা যা অনুমোদন দেয়
  • পড়াশুনা করা
  • Student union sabbatical officer হিসেবে কাজ করা
  • স্পন্সর ও কোর্স ভিত্তিতে অন্যান্য কাজের সুবিধা
  • ভিসার মেয়াদ বাড়ানো এবং ধরণ পরিবর্তন করা
  • শর্ত সাপেক্ষে এবং বিশেষ ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাজ্যে নেয়া যাবে

স্টুডেন্ট ভিসা যা অনুমোদন দেয় না
  • পাবলিক ফান্ড
  • পেশাগত খেলোয়াড়, কোচ হতে পারবেন না

স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ বাড়ানো
স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর প্রয়োজন হলে সুনির্দিষ্ট কারণ দেখানোর মাধ্যমে ভিসার মেয়াদ বাড়ানো যায়। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করতে হবে। কোর্স শেষ হওয়ার পূর্বেই যদি ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায় তবে নির্দিষ্ট ফী প্রদান করে স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ বাড়াতে হবে।
  • আবেদনকারীকে ব্রিটেনে অবস্থান করতে হবে
  • স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয়তা যোগ্যতা এবং কারণ সমূহ থাকতে হবে
  • ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করার পূর্বে ‘Tier 4 Guidance’ টি আবেদনকারীকে পরে নিতে হবে।
  • স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য প্রত্যেক আবেদনকারীকে ৪৩৯ ব্রিটিশ পাউন্ড (প্রায় ৫২,০৫০ টাকা) ফী হিসেবে জমা দিতে হবে।
  • হেলথ-কেয়ার চার্জ হিসেবে নির্দিষ্ট ফী প্রদান করতে হবে। বিভিন্ন কারণের উপর ভিত্তি করে হেলথ-কেয়ার চার্জ বিভিন্ন হয়ে থাকে। আপনার হেলথ-কেয়ার চার্জ কত হবে তা জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরণ করলেই হেলথ-কেয়ার চার্জের পরিমাণ কত তা জানা যাবে।
  • হেলথ-কেয়ার চার্জ জমা দিতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন -
                            হেলথ-কেয়ার চার্জ
  • বায়োমেট্রিক তথ্য’ যেমন – ‘আঙ্গুলের ছাপ এবং আবেদনকারীর একটি ছবি’ ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর সময় প্রদান করতে হবে। এ সময় প্রত্যেক আবেদনকারীকে ১৯.২০ ব্রিটিশ পাউন্ড (প্রায় ২,২৭৬ টাকা) ফী হিসেবে জমা দিতে হবে।


Wednesday, February 7, 2018

পর্তুগালে ট্যুরিজম ব্যবসায় ভালো করছে বাংলাদেশিরা


আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূলে দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের অন্যতম দেশ পর্তুগাল। দেশটিতে প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার বাংলাদেশি রয়েছে। যার অধিকাংশই রাজধানী লিসবনে বসবাস করে। উচ্চশিক্ষা ও ব্যবসা বাণিজ্যের উদ্দেশ্য বাংলাদেশিরা দেশটিতে পাড়ি জমাচ্ছে। তবে এসব অধিকাংশই এখন বাণিজ্যের দিকে ঝুঁকছে। যার মধ্যে অন্যতম ট্যুরিজম বা পযর্টন ব্যবসা।
প্রাকৃতিক সৌন্দয আর ঐতিহাসিক বিভিন্ন স্থাপনার জন্য পর্তুগাল এ প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক লাখ পযর্টক ভিড় জমাচ্ছে। আর এসব র্পযটকদের জন্য দেশটিতে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন হোটেল, পযটন মোটেল ও রেস্টুরেন্ট। আর এসব ব্যবসার বড় একটি অংশ জুড়ে আছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপে মন্দাভাব থাকলেও পযর্টন শিল্পে পর্তুগালে খুব একটা প্রভাব পড়েনি বলে জানান পর্তো সিটির ডেপুটি স্পিকার শাহ আলম কাজল।
সম্প্রতি ভয়েস বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, পর্তুগালে বাংলাদেশিরা পযটন শিল্পে বেশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।তিনি জানান, পযটন শিল্প পর্তুগালে একটি লাভজনক ব্যবসা।ক্ষুদ্র অর্থ বিনিয়োগ করে ব্যবসায়ীরা বেশ মোটা অঙ্কের টাকা উপার্জন করতে পারে।তাই সেখানে যারা বাংলাদেশি রয়েছে তাদের অনেকেই এখন এ ব্যবসায় বেশি ঝুঁকছে।

Tuesday, February 6, 2018

ফিনল্যান্ডের অর্থনীতি যেমন সমৃদ্ধ তেমনই এর জীবনযাপন ব্যবস্থাও উন্নত।


ফিনল্যান্ডের অর্থনীতি যেমন সমৃদ্ধ তেমনই এর  জীবনযাপন ব্যবস্থাও উন্নত। পাশাপাশি এখানে শিক্ষার সুযোগ-সুবিধাও আধুনিক ও উন্নতমানের। বাংলাদেশে ফিনল্যান্ডের কোন দূতাবাস না থাকায় বাংলাদেশী নাগরিকদের ফিনল্যান্ড যেতে হলে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে অবস্থিত ফিনল্যান্ডের দূতাবাসে আবেদন করতে হয়। পড়াশুনার জন্য ইউরোপের যে দেশগুলোতে টিউশন ফি ছাড়া উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা যায় তাদের মধ্যে একটি ফিনল্যান্ড। তাই এ দেশে প্রতি বছর এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়।
ভিসা প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
  • পূরণ-কৃত আবেদন ফরম
  • ১টি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • বৈধ পাসপোর্ট যার কমপক্ষে ২ টি ফাঁকা পৃষ্ঠা রয়েছে
  • ফেরত টিকেট
  • থাকার জন্য যথেষ্ট তহবিল থাকর প্রমাণপত্র
  • ভিসা ফি জমা দেয়ার রশিদ
  • স্বাস্থ্য বীমার কাগজপত্র
ভিসা আবেদনের নিয়ম:
ভিসা আবেদন ফরমের দুই পাশের শূন্যস্থানগুলো সঠিকভাবে পূরণ করে জমা দিতে হবে। আবেদন ফরমের কপি জমা দেওয়ার খেয়াল রাখতে হবে যেন তারিখ ও স্বাক্ষরের ঘর ফাঁকা না থাকে।
স্টুডেন্ট ভিসা:
বাংলাদেশে ফিনল্যান্ডের কোন দূতাবাস না থাকায় স্নাতক স্তরে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিংবা স্নাতকোত্তর স্তরে অফার লেটার পাওয়া শিক্ষার্থীদের ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে অবস্থিত ফিনল্যান্ড দূতাবাসে ভিসার আবেদনপত্র জমা দিতে হয়। ভিসা আবেদনপত্রের ওয়েবসাইট:  http://www.migri.fi
স্টুডেন্ট ভিসার জন্য নির্ধারিত ফর্ম ডাউনলোড করে স্পষ্ট অক্ষরে প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী দিয়ে পূরণ করতে হবে।আবেদনপত্র জমাদানের সময় জমা দিতে হবে
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট ও মার্ক-শিটগুলোর মূল কপি,
  • বীমাপত্রের মূল কপি,
  • জন্ম-নিবন্ধন সনদপত্র,
  • ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার সনদপত্র (টোফেল অথবা আইইএলটিএস),
  • ব্যাংক সার্টিফিকেট ও তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্টের মূল কপি দেখাতে হবে।
  • আবেদনপত্র এবং অন্যান্য কাগজপত্রের ২ সেট ফটোকপি ভিসার জন্য নির্ধারিত সাইজের ৪ কপি ছবিসহ জমা দিতে হবে।
  • এর সাথে লাগবে সর্বশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র, রেফারেন্স লেটার ও পাসপোর্টের ফটোকপি।
এছাড়াও যা দরকার হতে পারে—
  • ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের নিজ নামে খোলা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৬,০০০ ইউরো সমপরিমাণ অর্থ জমা রাখা প্রয়োজন হতে পারে,
সকল দলিল অবশ্যই একজন নোটারি পাবলিক কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে।
টুরিস্ট ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
  • সেনজেন এলাকার এবং ফিনল্যান্ডের ভিসা।
  • বৈধ পাসপোর্ট যার ভ্রমণ শেষ হওয়ার তারিখ হতে কমপক্ষে ৯০ দিন মেয়াদ রয়েছে এবং এর ফটোকপি।
  • পাসপোর্টের কমপক্ষে ২ টি ফাঁকা পৃষ্ঠা অবশিষ্ট থাকতে হবে।
  • ভিসা আবেদন ফরম সঠিকভাবে পূরণ করে জমা দিতে হবে যার তারিখ ও স্বাক্ষরের ঘর অবশ্যই পূরণ করতে হবে
  • সম্প্রতি তোলা ৩৬×৪৭ মি.মি. আকারের ১ কপি রঙিন ছবি যার পটভূমি হবে হালকা রঙের এবং তা আবেদন ফরমের সাথে যুক্ত হবে না।
  • প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পেশাগত কাজের বর্ণনা।




Monday, February 5, 2018

কানাডার স্টাডি পারমিট

কানাডার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনা করতে হলে স্টুডেন্ট ভিসা বা স্টাডি পারমিট প্রয়োজন। ধরে নিচ্ছি কানাডার ভিসা সংক্রান্ত সাধারণ তথ্য নিয়ে লেখা প্রতিবেদনটি (কানাডার ভিসা) আপনি এরই মধ্যে পড়ে নিয়েছেন, তাই কিছু প্রসঙ্গ বাদ দিয়েই লিখছি।

কানাডায় পড়াশোনার জন্য স্টাডি পারমিট নেয়ার আগে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে, যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আপনি পড়াশোনা করতে চলেছেন সেটিকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তি করার অনুমতি আদৌ দেয়া হয়েছে কিনা। কারণ স্টাডি পারমিটের আবেদনপত্র জমা দেয়ার সময় সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তরফে দেয়া লেটার অব অ্যাকসেপ্টেন্স জমা দিতে হবে। কানাডার সকল প্রাইমারী এবং সেকেন্ডারি স্কুল আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতে পারে। তবে মাধ্যমিক পরবর্তী বা পোস্ট সেকেন্ডারি লেভেলে পড়াশোনার ক্ষেত্রে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটির অন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন আছে কিনা সেটা জেনে নিতে হবে। এ সম্পর্কে জানা যাবে এই লিংকে: http://www.cic.gc.ca/english/study/study-institutions-list.asp

কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল ক্যাম্পাসের অনুমোদন থাকলে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন, তাদের যেকোনো ক্যাম্পাসে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারবে।

আর্থিক সচ্ছলতা:
  • কানাডায় পড়াশোনার জন্য স্টাডি পারমিট পাওয়ার অন্যতম শর্ত আর্থিক সচ্ছলতা। টিউশন ফি, দেশে ফিরে আসার খরচ এবং কানাডায় জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহের সঙ্গতি আছে এটা অবশ্যই শিক্ষার্থীকে প্রমাণ করতে করতে হবে।
  • এছাড়া সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া, কানাডার নিয়মকানুন মেনে চলা এসব শর্ত তো রয়েছেই।
 
যেসব ক্ষেত্রে স্টাডি পারমিট লাগে না:
  • ছয় মাস বা তার চেয়ে কম মেয়াদী কোর্স করতে স্টাডি পারমিট লাগে না, তবে শর্ত হচ্ছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কোর্সটি শেষ করতে হবে।
  • কূটনীতিক বা বিদেশী প্রতিনিধিদলের সদস্যদের স্টাডি পারমিট প্রয়োজন হয় না। স্টাডি পারমিট লাগবে কিনা সেটা কানাডার বাংলাদেশ দূতাবাস সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করে নিশ্চিত করবে।
  • ‘ভিজিটিং আর্মড ফোর্সেস আইনের’ অধীনে কানাডায় যাওয়া বিদেশী সামরিক বাহিনীর সদস্যদের স্টাডি পারমিট প্রয়োজন হয় না।

স্টাডি পারমিট পরিবর্তন:
প্রাইমারী পর্যায়ে পড়াশোনা শেষ করে হাইস্কুল পর্যায়ে পড়াশোনা শুরুর সময় স্টাডি পারমিট পরিবর্তন করতে হবে। আবার হাইস্কুল পর্যায়ে পড়াশোনা শেষ করে পোস্ট সেকেন্ডারি পর্যায়ে পড়াশোনা শুরুর সময় স্টাডি পারমিট পরিবর্তন করতে হবে। তবে পোস্ট সেকেন্ডারি পর্যায়ে এসে কোর্স পরিবর্তন বা ব্যাচেলর পর্যায় শেষ করে মাস্টার্স কোর্স শুরু সময় নতুন করে স্টাডি পারমিট নিতে হবে না।






Monday, January 29, 2018

ব্রিটেনে আইন শিথিল হচ্ছে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য

নতুন বছরে বাংলাদেশ থেকে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রিটেন সরকার নিয়ম-নীতি আরও শিথিল করেছে। এতদিন সেখানকার ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ব্রিটিশ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারত। তবে এখন থেকে আবেদন করা যাবে ২৭টিতে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে ব্রিটেনে আগের তুলনায় বাইরের দেশের শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ বাড়ার পাশাপাশি, কাজের ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাবে।
বাংলাদেশিসহ এশিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পরই ব্রিটেন স্বপ্নের দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এবার সেই স্বপ্নই পূরণের পথ আরও সুগম হতে চলেছে। আগে সেখানকার মাত্র চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা দেয়া হলেও, চলতি বছর এ সংখ্যা বাড়িয়ে ২৭ করা হয়েছে। এছাড়া মাস্টার্স শেষে ব্রিটেনে চাকরি খোঁজার জন্যও সুযোগ মিলবে আরও ৬ মাস।
আইনজীবী ব্যারিস্টার তারেক চৌধুরী বলেন, 'শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ অন্যান্য বিষয়াদি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই যাচাই করবে। মনোনীত হলে তারা ভর্তির আবেদন গ্রহণ করবে। ভর্তি চূড়ান্ত করতে পারলেই এই পাইলট প্রজেক্টের নিয়ম অনুযায়ী ভিসা প্রাপ্তি অনেকটাই নিশ্চিত বলে জানান এই আইনজীবী।'
তবে এই সুযোগের যেন অপব্যবহার না হয়, সে দিকেও খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। স্টুডেন্ট এডমিশন কনসালটেন্ট শামস খান সুমন বলেন, 'সারাবিশ্বে বিদেশি শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় পছন্দের দেশ ব্রিটেন। ২০১০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী হার বেড়েছে ২৪ শতাংশ। আর ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ৪৬ শতাংশই আসে মাস্টার্স পড়তে।'


বিদেশে উচ্চশিক্ষা নেয়ার অাগে জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

কার না মন চাই বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে। তবে এর জন্য ভালো প্রস্তুতিও দরকার। জিআরই, স্যাট, আইইএলটিএস বা টোফেল করা, প্রয়োজনীয় ভাষা শেখা, দরকারি কাগজপত্র জোগাড়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদন, স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন ছাড়াও আছে নানা ঝামেলা। সামলাবেন কীভাবে?

এইচএসসির পর বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ভিনদেশে পাড়ি জমান অনেক শিক্ষার্থী। পড়াশোনার অনেক সুযোগ আছে বাইরের দেশগুলোতে। দরকারি তথ্য না জানার কারণে যোগ্যতা থাকার পরও উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন না অনেকে। বেশ কয়েকটি ধাপ পেরোনোর পর মেলে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ। তবে সব তথ্য জানা থাকলে তা সামাল দেওয়া কঠিন নয়। যোগ্যতা থাকলে সিদ্ধান্ত এখনই

যুক্তরাজ্যের লন্ডন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির পরিচালক মার্ক বিকারটন জানান, “যোগ্য শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয় আগের সব পরীক্ষার ফলাফল, আইইএলটিএস ও আর্থিক সামর্থ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে। ব্যাচেলর পর্যায়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সাধারণত উচ্চ মাধ্যমিকে সিজিপিএ ৩.০ এবং আইইএলটিএসে ৫.৫ থাকতে হয়। তবে মাস্টার্সের ক্ষেত্রে ৬.০ থাকতে হবে আইইএলটিএসে।”


বিদেশে ভর্তির বেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচনে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন অভিজ্ঞরা। ভুল তথ্য জেনে নামসর্বস্ব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে উচ্চশিক্ষা তো অনিশ্চিত হবেই, সেই সঙ্গে অর্থ আর সময়ও নষ্ট হবে। সংশ্লিষ্ট দেশের শিক্ষাবিষয়ক সরকারি ওয়েবসাইট কিংবা কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেই দরকারি সব তথ্য পাবেন। যে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চান সেটির মান কেমন, দেশটিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির র‌্যাংকিং কত, তা জেনেই ভর্তির সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

কেমন খরচ হবে, কোনো আর্থিক সুবিধা পাওয়া যাবে কি না, খণ্ডকালীন কাজের অনুমতি মিলবে কি না-সব জেনে তবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দরকারি সব তথ্যই পাওয়া যাবে অনলাইনে। পূর্ণাঙ্গ তথ্য জেনে নিজের যোগ্যতা ও আর্থিক সামর্থয অনুযায়ী বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়া শুরুর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে উচ্চশিক্ষাবিষয়ক সাইটগুলোতে।

বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশন শুরুর কয়েক মাস আগে থেকেই ভর্তি আবেদনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন অভিজ্ঞরা। বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করতে ফরমের সঙ্গে সাধারণত পাসপোর্ট আকারের ছবি, সব পরীক্ষার সনদ, নম্বরপত্রের ফটোকপি (নোটারি করা কপি পাঠাতে হয় অনেক ক্ষেত্রে), সুপারিশপত্র, পারিবারিক আয়ের তথ্য, পাসপোর্ট, মেডিক্যাল সনদ ইত্যাদি যুক্ত করতে হয়।

বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি আবেদনের অন্যতম একটি শর্ত হচ্ছে ‘ভাষা দক্ষতা’। ভাষা দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য প্রচলিত আছে আইইএলটিএস, টোফেল, স্যাট, জিম্যাট প্রভৃতি পরীক্ষা। এসব পরীক্ষার মধ্যে প্রার্থীর কোনটি দরকার, কত স্কোর লাগবে তা নির্ভর করে দেশ ও কোর্সের ওপর। 

বেশির ভাগ দেশে আইইএলটিএস চাওয়া হয়, থাকতে হয় ৫.৫ থেকে ৬ পয়েন্ট। তবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ কিছু কিছু দেশে টোফেল (আইবিটি/পিবিটি) গ্রহণযোগ্য। আইবিটিতে সাধারণত ৯০-১০৫ অথবা পিবিটিতে থাকতে হয় ৫০০-৬২০ স্কোর। এ বিষয়ে আগে খোঁজ নিয়েই তবে আইইএলটিএস বা টোফেল করা উচিত। ভাষা দক্ষতার এ পরীক্ষায় এমন সময় অংশ নেওয়া উচিত, যাতে ফল খারাপ হলেও পরে আবার পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যায়। এসব পরীক্ষার ব্যাপারে তথ্য পাওয়া যাবে বাংলাদেশে অবস্থিত ব্রিটিশ কাউন্সিল ও আমেরিকান সেন্টারে।

বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় দেশভেদে সাধারণত বছরে দুই থেকে তিনবার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারেন। ভর্তিপ্রক্রিয়া শুরু করতে হয় সেশন শুরু হওয়ার দুই থেকে তিন মাস আগে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আবেদন ফরম সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফিসহ আবেদন করতে হয়।

শিক্ষার্থীদের পাঠানো আবেদনপত্র ও কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর যোগ্য শিক্ষার্থীদের ঠিকানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভর্তি শাখা’ ডাকযোগে ভর্তির অনুমতিপত্র বা ‘অফার লেটার’ পাঠিয়ে থাকে। একাডেমিক পরীক্ষায় ফল ভালো হলে ভর্তির অনুমতি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অন্যান্য যোগ্যতা বা কাগজপত্রের গুরুত্বও কম নয়। ইংরেজি ভাষা দক্ষতা পরীক্ষায় ভালো স্কোর থাকলে ভর্তি সহজ হয়ে যায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে।

বিদেশি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার পেলেই যে দেশটিতে পড়ার সুযোগ মিলবে তা কিন্তু নয়। স্টুডেন্ট ভিসা না পেলে সব পরিশ্রমই বৃথা যাবে। অফার লেটার পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসে। বিভিন্ন দেশ স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে বিভিন্ন শর্ত জুড়ে দেয়। তবে আবেদনপ্রক্রিয়া প্রায় একই।

ভিসা পেতে কিছু দেশে সাক্ষাৎকারের মুখোমুখি হতে হয়। তবে বেশির ভাগ দেশেই এখন সাক্ষাৎকারের প্রয়োজন হয় না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ‘অফার লেটার’ পাঠালেই কোনো কোনো দেশের স্টুডেন্ট ভিসা প্রায় নিশ্চিত। আবার কোনো দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার পাওয়া সহজ হলেও ভিসা পাওয়া কঠিন।

কিছু বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস বা কর্তৃপক্ষ ভিসা দেয়। ‘আবেদনকারী পড়াশোনা শেষে নিজ দেশে ফিরে আসবে কি না’-এমন প্রশ্নের জবাবে সদুত্তর দিতে না পারলে ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

বিভিন্ন উচ্চশিক্ষাবিষয়ক সাইটের পরামর্শ, অবৈধ বা ভুয়া স্পন্সর দেখানো, সঠিক তথ্য না দেওয়া বা আবেদনপত্রে ভুল তথ্য থাকার কারণে ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান বা বাতিল হতে পারে। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের কোনোটি বাদ পড়া, একাডেমিক ফল ভালো না হওয়া, অফার লেটার পাঠানো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান ভালো না থাকা, কাগজপত্র ইংরেজির পরিবর্তে অন্য কোনো ভাষায় থাকা, সনদসহ জমা দেওয়া বিভিন্ন কাগজপত্রের অনুলিপি ঠিক না থাকার কারণেও এমনটি হতে পারে।

প্রতিবছরই অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার বৃত্তি নিয়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন। ভালো ফলাফল থাকলে খুব সহজেই মেলে এসব শিক্ষাবৃত্তি।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য তুলনামূলক বেশি বৃত্তির সুযোগ মেলে জাপান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি ও সুইডেনে। 

কোরিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী প্রফেসর ফান্ডের মাধ্যমে বৃত্তি পেয়ে দেশটিতে পড়াশোনা করছেন।
বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা বৃত্তির ঘোষণা দেয়। বিভিন্ন দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট কিংবা দূতাবাসের ওয়েবসাইটে খোঁজ নিলে ঘরে বসেই মিলতে পারে বৃত্তির তথ্য। বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটও (www.moedu.gov.bd) নিয়মিত বিভিন্ন দেশের বৃত্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

বাংলাদেশ থেকে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে বিদেশে পাড়ি দেওয়া শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশের গন্তব্য যুক্তরাজ্য। দেশটিতে ভর্তি, পড়াশোনার তথ্য পাওয়া যাবে এসব সাইটে-
www.educationuk.org
www.ucas.com
www.ukba.homeoffice.gov.uk,
http://ukinbangladesh.fco.gov.uk/bn/visas,
www.ukcisa.org.uk, www.britishcouncil.org/bangladesh

ইউরোপের অন্য দেশগুলোতেও পড়তে যায় অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। এসব দেশে উচ্চশিক্ষার তথ্য পাওয়া যাবে নিচের সাইটগুলোতে-
www.studyineurope.eu
www.scholarshipportal.eu
http://eacea.ec.europa.eu/index_en.php
http://ec.europa.eu/education/study-in-europe

অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনার তথ্য পাওয়া যাবে দেশটির সরকারি এই সাইটে- www.studyinaustralia.gov.au

কানাডায় উচ্চশিক্ষার তথ্য মিলবে সাইট দুটিতে
www.cic.gc.ca/english/study
www.cic.gc.ca/english/information/applications/student.asp

অনলাইনে একটু চোখ রাখলেই অন্যান্য দেশের তথ্যের খোঁজ মিলবে সহজে, তবে সঠিক তথ্য পাবেন সরকারি সাইটগুলোতে।


 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates