নতুন বছরে বাংলাদেশ থেকে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রিটেন সরকার নিয়ম-নীতি আরও শিথিল করেছে। এতদিন সেখানকার ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ব্রিটিশ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারত। তবে এখন থেকে আবেদন করা যাবে ২৭টিতে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে ব্রিটেনে আগের তুলনায় বাইরের দেশের শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ বাড়ার পাশাপাশি, কাজের ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাবে।
বাংলাদেশিসহ এশিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পরই ব্রিটেন স্বপ্নের দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এবার সেই স্বপ্নই পূরণের পথ আরও সুগম হতে চলেছে। আগে সেখানকার মাত্র চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা দেয়া হলেও, চলতি বছর এ সংখ্যা বাড়িয়ে ২৭ করা হয়েছে। এছাড়া মাস্টার্স শেষে ব্রিটেনে চাকরি খোঁজার জন্যও সুযোগ মিলবে আরও ৬ মাস।
আইনজীবী ব্যারিস্টার তারেক চৌধুরী বলেন, 'শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ অন্যান্য বিষয়াদি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই যাচাই করবে। মনোনীত হলে তারা ভর্তির আবেদন গ্রহণ করবে। ভর্তি চূড়ান্ত করতে পারলেই এই পাইলট প্রজেক্টের নিয়ম অনুযায়ী ভিসা প্রাপ্তি অনেকটাই নিশ্চিত বলে জানান এই আইনজীবী।'
তবে এই সুযোগের যেন অপব্যবহার না হয়, সে দিকেও খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। স্টুডেন্ট এডমিশন কনসালটেন্ট শামস খান সুমন বলেন, 'সারাবিশ্বে বিদেশি শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় পছন্দের দেশ ব্রিটেন। ২০১০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী হার বেড়েছে ২৪ শতাংশ। আর ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ৪৬ শতাংশই আসে মাস্টার্স পড়তে।'
No comments:
Post a Comment