ডেটিং ওয়েবসাইট, অ্যাপ-এর রমরমায় দাম্পত্যে বাড়ছে তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশ। পরকীয়ার জেরে ফাটল দেখা দিচ্ছে একের পর এক সম্পর্কে। সম্পর্ক ভাঙছেও আখছার। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে যে বিশ্বের কত মানুষ মজে রয়েছেন, তার প্রমাণ গত বছর অ্যাশলে ম্যাডিসন নামে একটি ডেটিং ওয়েবসাইট হ্যাকড হওয়ার খবরে থরহরিকম্প অবস্থা। আতঙ্কের ঘাম মুছতে শুরু করেন ভারতেরও কয়েকলক্ষ নারী-পুরুষ।
মনোবিদদের মতে, আসলে সমস্যাটার সমাধান লুকিয়ে আছে কয়েকটি সম্পর্কের মধ্যেই। একজন নারী বা পুরুষ বিবাহিত অবস্থায় অন্য কারও সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক স্থাপন কেন করছে, তার কয়েকটি নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। ওই কারণগুলি খতিয়ে দেখলেই সমাধানের হদিশ মিলে যায়। কেন একজন ব্যক্তি পরকীয়া করে? মনোবিদরা ৭টি কারণ চিহ্নিত করেছেন।
১. কোনও সম্পর্ক মিথ্যেকে আঁকড়ে টিকে থাকতে পারে না। একটি দাম্পত্যে তখনই তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশ ঘটে, যখন একে অপরের প্রতি উপলব্ধিতে মিথ্যের জাল বোনা হয়। অর্থাৎ, গোটাটাই অভিনয়ের পর্যায়ে চলে যায়।
২. যারা পরকীয়া করে, তারা আসলে পরকীয়ার মোহে ভুলে যায় দাম্পত্য সম্পর্কে তার ভূমিকাটা। তাই বিবেকের কাছে নিজেকে বারবার ঠিক প্রমাণ করার তাগিদে সঙ্গী বা সঙ্গিনীর একগুচ্ছ ভুল ধরতে শুরু করে। একটা মজবুত সম্পর্কে দুই ব্যক্তি একে অপরের সঙ্গে ভুল শুধরে নেয় আলোচনার মাধ্যমে।
৩. একে অপরকে সময় দিতে না পারা পরকীয়ার অন্যতম কারণ। ফলে ধীরে ধীরে তৈরি হয় দূরত্ব। ফাটল। একে অপরের প্রতি টান কমতে থাকে। তখনই না পূরণ হওয়া ইচ্ছেগুলো খুঁজতে শুরু করে তৃতীয় ব্যক্তির মধ্যে। লালিত হতে থাকে পরকীয়া।
৪. কিছু ব্যক্তি সমস্যাটি নিয়ে বিস্তর ভাবলেও, সমাধানের পথ খোঁজার চেষ্টা করে না। একটা মানুষের মধ্যে দোষ-গুণ, দুটোই থাকে। তাই শুধু সমস্যা নিয়ে ভাবলে একে অপরের প্রতি সমবেদনার বদলে তৈরি হয় অবজ্ঞা। যার নির্যাস পরকীয়া।
৫. কোনও সম্পর্কে সঙ্গী বা সঙ্গিনী যদি দিনের পর দিন শারীরিক ও মানসিক ভাবে বঞ্চিত হতে থাকে, তখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি স্বাভাবিক ভাবেই নিজেকে হেয় মনে করেন। ফলে পৃথক একটি সম্পর্কে নিজেকে সঁপে দেন অচিরেই।
No comments:
Post a Comment