আমরা প্রতিদিনই জেনে বা না জেনে কোন না কোন পাপ কাজে জড়িয়ে পড়ি। যার নিশ্চিত শাস্তি হচ্ছে জাহান্নাম। কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে নিচের দোয়াগুলো পড়ে আমল করলে আল্লাহ তায়ালা নিজেই আমাদের নিরাপদে রাখবে। আর আমরা যদি পাপ থেকে নিজেদের দূরে রাখতে পারি তাহলে নিশ্চিত ভাবেই দুনিয়া এবং আখিরাতে শান্তিতে নয় বরং প্রশান্তিতে থাকতে পারব। চলুন দোয়াগুলো জেনে নিই।
শয়তান থেকে নিরাপদে থাকার দোয়া
শয়তান থেকে নিরাপদে থাকার জন্য প্রত্যেহ ফজরের পর নিম্নের দোয়াটি পাঠ করলে শয়তান তার ওপর কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। দোয়াটি হলো- দোয়া : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ইয়ুহয়ি ওয়া ইয়ামুতু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।’
শয়তান থেকে নিরাপদে থাকার জন্য প্রত্যেহ ফজরের পর নিম্নের দোয়াটি পাঠ করলে শয়তান তার ওপর কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। দোয়াটি হলো- দোয়া : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ইয়ুহয়ি ওয়া ইয়ামুতু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।’
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি এক। তার কোনো শরিক নেই, সার্বভৌমত্ব তারই, সব প্রশংসা তারই জন্য, তিনিই জীবন ও মৃত্যুদান করেন আর তিনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান। (তিরমিজি)। হজরত আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামাজের পর দুই পা ভাজ অবস্থায় কারো সঙ্গে কথা বলার পূর্বে দশ বার উপরোক্ত দোয়াটি পাঠ করে- তার আমলনামায় দশটি নেকি লেখা হয়, দশটি গুনাহ বিলুপ্ত করা হয় এবং দশগুণ মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়। সে ওই দিন সব রকমের বিপদ থেকে মুক্ত থাকে, তাকে শয়তানের ধোঁকা থেকে নিরাপদে রাখতে পাহারার (ফেরেশতাদের দিয়ে) ব্যবস্থা করা হয়। তবে ওই দিন শিরক ছাড়া অন্য কোনো গুনাহ তাকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে না। -তিরমিজি
বাড়ী থেকে বের হওয়ার সময় পড়ার দোয়া হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার বাড়ী থেকে বের হওয়ার সময় এই দোয়াটি বলবে, তাকে বলা হয়- তোমাকে হেদায়েত দেয়া হয়েছে, যথেষ্ট দেয়া হয়েছে এবং হেফাজতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর শয়তান তার থেকে দূরে চলে যায়। -তিরমিজি
দোয়া : বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহি লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ। অর্থ : আল্লাহর নামে বের হলাম এবং আল্লাহর ওপর ভরসা করলাম। আল্লাহ ছাড়া অকল্যাণরোধ বা কল্যাণ হাসিল করার শক্তি অন্য কারো নেই। গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার দোয়া
গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার জন্য সর্বদা আল্লাহতায়ালার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে। কারণ আল্লাহতায়ালার সার্বক্ষণিক সাহায্য ও অনুগ্রহ ছাড়া কারও পক্ষে গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। গোনাহ থেকে বেচেঁ থাকার জন্য পড়া যায়- এমন দোয়া হলো— ১. ‘রাব্বানা লা তুযিগ কুলুবানা বা’দা ইজ হাদাইতানা ওয়াহাব লানা মিল্লাদুনকা রাহমা- ইন্নাকা আনতাল ওয়াহহাব।’ এ দোয়া বেশি বেশি পাঠ করলে দ্বীনের পথে ও হেদায়েতের ওপর টিকে থাকা সহজ হয়। দোয়াটি পবিত্র কোরআনের একটি আয়াত। যা সূরা আল ইমরানের ৮ নম্বর আয়াতে বর্ণিত হয়েছে।
অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক! হেদায়েত প্রদান করার পর আপনি আমাদের অন্তঃকরণকে বক্র করবেন না এবং আপনার নিকট থেকে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান করুন! নিশ্চয়ই আপনি সবকিছুর দাতা।
২. ‘ইয়া মুকাল্লিবাল কুলুব- সাব্বিত কালবি আলা দিনিক।’
এই দোয়াটি পবিত্র হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। উম্মত জননী হজরত উম্মে সালমা (রা.) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বেশিরভাগ সময়ে এই দোয়াটি পাঠ করতেন। এটা রাসূলের শিখানো দোয়া বিশেষ। অর্থ : হে অন্তরসমূহের ওলট-পালটকারী! আমার অন্তরকে আপনার দ্বীনের ওপর অবিচল রাখুন। -তিরমিজি
৩. হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এই দোয়াটি বেশি বেশি পাঠ করতেন— ‘আল্লাহুম্মা মুসাররিফাল কুলুব সাররিফ কুলুবানা আলা ত-আতিক।’ অর্থ : হে আল্লাহ! (আপনি) হৃদয়সমূহের পরিবর্তনকারী! আমাদের হৃদয়গুলোকে আপনার আনুগত্যের দিকে ঘুরিয়ে দিন। -সহিহ মুসলিম
৪. হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এই দোয়াটিও করতেন— ‘আল্লাহুম্ম ইন্নী আসআলুকাল হুদা ওয়াততুকা ওয়াল আফাফা ওয়াল গিনা।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে হেদায়েদত, তাকওয়া, সচ্চরিত্রতা ও প্রাচুর্য্যতার প্রার্থনা করছি। -সহিহ মুসলিম
No comments:
Post a Comment