Social Icons

Thursday, March 31, 2016

ইরানের ভবিষ্যতের জন্য ক্ষেপণাস্ত্রও গুরুত্বপূর্ণ:খামেনি

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি দেশের প্রতিরক্ষা শক্তি আরও বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্রই ইরানের ভবিষ্যতের চাবিকাঠি। বুধবার খামেনি বলেন, কেবল আলোচনা নয় ইরানের ভবিষ্যতের জন্য ক্ষেপণাস্ত্রও গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে গতবছর হওয়া ইরানের পারমাণবিক চুক্তি খামেনি সমর্থন করলেও তখন থেকেই ইরানকে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের সঙ্গে ভবিষ্যতে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়ে আসছেন তিনি। বুধবার তার দেশে এক ভাষণে খামেনি বলেন, ‘আলোচনাই ইরানের ভবিষ্যত্ বলে যারা বুলি আউড়ায় তারা হয় অন্ধ নয়তো বিশ্বাসঘাতক।’

শক্তিধর দেশগুলো সামরিক শক্তির ওপরই সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল এবং তারা ইরানে আঘাত হানতে সব পন্থাই অবলম্বন করবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইরানের প্রতিরক্ষা শক্তি না থাকলে এবং তারা শুধু সংলাপকে গুরুত্ব দিলে বিশ্বের ছোট দেশগুলোও ইরানের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে।

ভিয়েতনামে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে প্রথম নারী চেয়ারপার্সন

কমিউনিস্ট রাষ্ট্র ভিয়েতনামে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে এই প্রথম নারী চেয়ারপার্সনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এটি দেশটির সবচেয়ে চতুর্থ ক্ষমতাময় পদ। বৃহস্পতিবার সরকার পরিচালিত ভিটিভিতে এ কথা বলা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ৫শ’ সদস্য বিশিষ্ট আইন পরিষদে ভোটাভুটিতে অভিজ্ঞ আইনপ্রণেতা ও কমিউনিস্ট পার্টির কর্মকর্তা নগুয়েন থি কিম নগান ৯৫.৫ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।

নির্বাচিত হওয়ার পর নগান (৬১) সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমি দেশ, জনগণ ও সংবিধানের প্রতি আমার দৃঢ় আনুগত্য প্রকাশ করছি।’ ভোটাভুটিকালে ব্যালট পেপারে আর কোনো প্রার্থীর নাম ছিল না। ৪৮৪ জন আইনপ্রণেতার মধ্যে ৪৭২ জনই নগানকে ভোট দেয়। তার এ নিয়োগের মধ্যদিয়ে পার্টিতে কোনো নারী কর্মকর্তার সর্বোচ্চ পদে আসীন হওয়ার ঘটনা ঘটলো।

ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টিতে পুরুষরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবে প্রায় ২৫ শতাংশ নারী ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বিভিন্ন পদে রয়েছেন।

পাকিস্তানকে সহযোগিতার আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের লাহোরে হামলার ঘটনায় নওয়াজকে ওবামার ফোন

গত সপ্তাহে লাহোরে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে ফোন করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি সন্ত্রাসবাদের ভয়াবহ বিপদ কমাতে পাকিস্তানকে সম্ভাব্য সব সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। বুধবার দেশ দুইটির দুই নেতার মধ্যে ওই ফোনালাপ হয় বলে পাকিস্তান রেডিওর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। খবর দ্য ডনের।

ওবামাকে উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘নওয়াজ শরীফের নেতৃত্বের অধীনে সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াইয়ে পাকিস্তান তাত্পর্যপূর্ণ অগ্রগতি করেছে’। পাকিস্তান সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে সফল হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর মতে, সন্ত্রাসীদের উদ্দেশ্য হলো ‘আমাদের বিশ্বাস দুর্বল করা’ এবং যাদের চেহারা আলাদা কিংবা যারা অন্যভাবে প্রার্থনা করে, তাদের বিরুদ্ধে মানুষকে দিয়ে হামলা চালানো।

অপরদিকে নওয়াজ ওবামাকে বলেন, প্রতিটি অতিবাহিত দিনে সন্ত্রাসের সঙ্গে যুদ্ধে জনগণের সংকল্প আরো শক্তিশালী হচ্ছে। তিনি আরো জানান, সেনাবাহিনী দেশজুড়ে সন্ত্রাসীদের অবকাঠামো এবং আশ্রয়স্থল ধ্বংস করে দেয়ার পর, এই শত্রুটি নিরীহ জনগণকে লক্ষ্যবস্তু করছে।

উল্লেখ্য, গত রবিবার সন্ধ্যায় লাহোরের জনাকীর্ণ গুলশান-ই-ইকবাল পার্কে আত্মঘাতী বোমা হামলায় কমপক্ষে ৭২ জন নিহত হন। ওই হামলার পর জঙ্গি, তাদের মদদদাতা ও তাদের লুকিয়ে থাকার জায়গাকে লক্ষ্য করে পাঞ্জাবজুড়ে একটি ব্যাপক-বিস্তৃত অভিযানের ঘোষণা দিয়েছিল সেনাবাহিনী ও র্যাঞ্জার্স। সেনাপ্রধান রাহেল শরীফের সভাপতিত্বে জেনারেল সদর দপ্তরে উচ্চ পর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তাদের বৈঠকের সময় এই সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়।

ভারতের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি অমিতাভ!

অমিতাভ বচ্চনের সাফল্যের কোনো বাকি নেই হয়তো। শুধু উপমহাদেশেই তার জনপ্রিয়তা নেই। পুরোবিশ্বে সিনেমাপ্রেমীদের কাছে তার জনপ্রিয়তার কমতি নেই।

এবার অভিনেতা থেকে রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছেন তিনি। ভারতের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেখা যেতে পারে বলিউডের শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চনকে। কারণ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরই যে রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথম পছন্দ এই তারকা অভিনেতাকে! বিহারের এক সভায় অমিতাভকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেখতে চান দাবি করে মোদী বলেছিলেন যে, যদি অমিতাভ বচ্চনের মতো একজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব দেশের রাষ্ট্রপতি হন, তবে তা খুবই গর্বের বিষয়। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তিনি অনেকদূর সাফল্য ছুঁয়েছেন। তাই তিনি রাষ্ট্রপতি হলে দেশের নাম আরও উজ্জ্বল হবে।

তাছাড়া মোদীরও ব্যক্তিগতভাবে অমিতাভ বচ্চনকেই নাকি ভারতের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথম পছন্দ! এমনটা জানিয়েই খবর প্রকাশ করেছে ভারতে গণমাধ্যমগুলো।

ভারতকে কাঁদিয়ে ফা্ইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে উঠল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের গুয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টসে েহেরে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৯৩ রানের টার্গেট দেয় ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে সিমনসের ঝড়ো ৮২ রানের উপর ভর করে দুই বল হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় ক্যারিবিয়ানরা।
ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে বিরাট কোহলির ৮৯ রানের উপর ভর করে ১৯২ রান করে ভারত। এছাড়া রোহিত শর্মা করেন ৪৩ রান ও রাহানে করেন ৪০ রান।
বৃহস্পতিবার টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী হয়ে উঠেন দুই ব্যাটসম্যান রোহিত ও রাহানে। তাদের জুটি তেকে আসে ৬২ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে প্রথম আঘাত আনে বাদরি। রোহিত শর্মাকে এলবিডব্লিউ করেন তিনি। তবে আউট হওয়ার আগে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৩১ বলে ৪৩ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন রোহিত। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে তাণ্ডব শুরু করেন বিরাট কোহলি। ব্যক্তিগত ৪০ রানে রাহানে ফিরে গেলেও কোহলি ব্যাটিং চালিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত তার অপরাজিত ৮৯ রানের সুবাদে বড় সংগ্রহ পায় ভারত।
 
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দলের সবচেয়ে বড় তারকা ক্রিস গেইলকে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু এরপরও তাণ্ডব চালিয়ে যান আরেক ওপেনার চার্লস। ৪৬ বলে ৫২ করার পর থামে তার ইনিংস। তবে তাণ্ডব অব্যাহত রাখেন সিমন্স। মূলত তার  ৫১ বলে ৮৩ রানের ইনিংসে জয় নিশ্চিত করে ড্যারেন স্যামির দল। তার ইনিংসে ছিল ৭ চার ও পাঁচটি ছক্কা।

ফার্নেস তেলের মূল্য ৬০ থেকে কমিয়ে ৪২ টাকা

বিভিন্ন মহলের দাবির মুখে অবশেষে কমল ফার্নেস তেলের দাম। এখন থেকে প্রতি লিটার ফার্নেস তেলের দাম ৬০ টাকা থেকে কমিয়ে ৪২ টাকা করে বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
 
নতুন এই খুচরা দর রাত ১২টা থেকে কার্যকর হবে বলে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন জানিয়েছেন। ফার্নেস তেল মূলত বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
 
তবে অন্যসব জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবি থাকলেও সেসব বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। বিশ্ব বাজারে গত দেড় বছর ধরে জ্বালানি তেলের দরপতন চললেও ভর্তুকির লোকসান থেকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে তুলতে দাম অপরিবর্তিত রাখে সরকার। বিডি নিউজ।

গণক ও জ্যোতিষীদের কথা বিশ্বাস করার বিধান

এ প্রসঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি গণক ও জ্যোতিষীদের নিকট গেল অতঃপর তারা যা বলল, তা বিশ্বাস করল, সে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে অর্থাৎ কুরআনুল হাকীমের সাথে কুফরী করল (পক্ষান্তরে সে আল্লাকেই অস্বীকার করল)। (সুনান আবূ দাঊদ ৩৯০৪)

প্রশ্ন : গণক ও জ্যোতিষীদের কথা বিশ্বাস করার বিধান
উত্তর: গণক বা জ্যোতিষী তো দূরের কথা, নবী-রাসূলগণও গায়েব সম্পর্কে কিছুই জানেন না। আল্লাহ তাআলা বলেন:
قُل لَّا يَعۡلَمُ مَن فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ ٱلۡغَيۡبَ إِلَّا ٱللَّهُۚ
“(হে রাসূল!) আপনি বলে দিন, একমাত্র মহান আল্লাহ ছাড়া আসমান ও যমীনে আর যারা আছে তাদের কেউই গায়েবের খবর জানে না।” [সূরা আন-নামল ২৭:৬৫]
এ প্রসঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি গণক ও জ্যোতিষীদের নিকট গেল অতঃপর তারা যা বলল, তা বিশ্বাস করল, সে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে অর্থাৎ কুরআনুল হাকীমের সাথে কুফরী করল (পক্ষান্তরে সে আল্লাকেই অস্বীকার করল)। (সুনান আবূ দাঊদ ৩৯০৪)
“যে ব্যক্তি কোনো গণক তথা ভবিষ্যদ্বক্তার কাছে গেল, অতঃপর তাকে (ভাগ্য সম্পর্কে) কিছু জিজ্ঞেস করল- চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার সালাত কবূল হবে না।” (সহীহ মুসলিম ২২৩; মুসনাদ আহমাদ ৪/৬৭)
গণক বা জ্যেতিষীদের কথা বিশ্বাস করা আল্লাহর সাথে কুফরী করার নামান্তর।

আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন, এই সাথে থাকার অর্থ কী?

প্রশ্ন : পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে যে, ‘‘আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন”-[সূরা আল বাকারাহ্ ২:১৫৩], ‘‘আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে আছে-[সূরা আল-বাকারাহ্ ২:১৯৪), ‘‘আর আমরা গ্রীবাদেশ/শাহারগের থেকেও নিকটে”- [সূরা ক্ব-ফ :১৬], ‘‘যেখানে তিনজন চুপে চুপে কথা বলেন সেখানে চতুর্থজন আল্লাহ” [সূরা আল-মুজাদালাহ্:৭] -তাহলে এই আয়াতগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা কী?
উত্তর: মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর জ্ঞান, শ্রবণ, দর্শন ও ক্ষমতার মাধ্যমে সকল সৃষ্টির সাথে আছেন। অর্থাৎ তিনি সপ্ত আসমানের উপর অবস্থিত ‘আরশের উপর থেকেই সব কিছু দেখছেন, সব কিছু শুনছেন, সকল বিষয়ে জ্ঞাত আছেন। সুতরাং তিনি দূরে থেকেও যেন কাছেই আছেন।
সাথে থাকার অর্থ, গায়ে গায়ে লেগে থাকা নয়। মহান আল্লাহ মূসা ও হারূন আলাইহিমাস সালামকে ফির‘আওনের নিকট যেতে বললেন, তারা ফির‘আওনের অত্যাচারের আশংকা ব্যক্ত করলেন। আল্লাহ তাদের সম্বোধন করে বললেন,
قَالَ لَا تَخَافَآۖ إِنَّنِي مَعَكُمَآ أَسۡمَعُ وَأَرَىٰ
‘‘তোমরা ভয় পেও না। নিশ্চয় আমি তোমাদের সাথে আছি। (অর্থাৎ) শুনছি এবং দেখছি।” [সূরা ত্ব-হা ২০:৪৬]
এখানে ‘‘সাথে থাকার অর্থ এটা নয় যে, মূসা আলাইহিস সালাম-এর সাথে মহান আল্লাহ তা‘আলাও ফির‘আওনের দরবারে গিয়েছিলেন। বরং ‘‘সাথে থাকার ব্যাখ্যা তিনি নিজেই করছেন এই বলে যে, ‘‘শুনছি এবং দেখছি।”
অতএব আল্লাহর সাথে ও কাছে থাকার অর্থ হলো জ্ঞান, শ্রবণ, দর্শন ও ক্ষমতার মাধ্যমে, আর স্ব-সত্তায় তিনি আরশের উপর রয়েছেন।

ঈমান ধ্বংসকারী ১০ বিশ্বাস ও কাজ

এ বিশ্বাস করা যে, অন্যের আদর্শ নবী (সা.) এর আদর্শের চেয়ে অধিক পূর্ণাঙ্গ। কিংবা এ বিশ্বাস করা যে, অন্যের বিধান নবী (সা.) এর বিধান অপেক্ষা অধিক উত্তম। যেমন কেউ কেউ যদি তাগুতের বিধানকে নবীর বিধানের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়ে থাকে সে ব্যক্তি কাফের বলে গণ্য হবে।
১. আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা। আল্লাহ বলেন, 'নিশ্চয় আল্লাহ তার সঙ্গে শিরক করাকে ক্ষমা করেন না। তা ব্যতিরেকে এর নিম্নপর্যায়ের পাপ সবই তিনি যাকে ইচ্ছে ক্ষমা করেন।' (সূরা নিসা : ১১৬)। আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন, 'নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি শিরক করবে আল্লাহ তার ওপর জান্নাত হারাম করে দেবেন এবং তার বাসস্থান হবে জাহান্নাম, আর এসব জালেমের জন্য কোনো সাহায্যকারী থাকবে না।' (সূরা মায়িদা : ৭২)। উল্লেখ্য, এই শিরকের অন্তর্ভুক্ত হলো : মৃতকে আহ্বান করা, তাদের কাছে ফরিয়াদ করা, তাদের জন্য নজর-নেওয়াজ মানা ও পশু জবেহ করা।
২. নিজের ও আল্লাহর মধ্যে মধ্যস্থতা সাব্যস্ত করে তাদের উপরেই ভরসা রাখা। এ ধরনের ব্যক্তি সর্বসম্মতিক্রমে কাফের বলে গণ্য।
৩. মোশরেককে মোশরেক বা কাফেরকে কাফের না বলা বা তাদের কুফরিতে সন্দেহ পোষণ করা কিংবা তাদের ধর্মকে সঠিক ভাবা।
৪. এ বিশ্বাস করা যে, অন্যের আদর্শ নবী (সা.) এর আদর্শের চেয়ে অধিক পূর্ণাঙ্গ। কিংবা এ বিশ্বাস করা যে, অন্যের বিধান নবী (সা.) এর বিধান অপেক্ষা অধিক উত্তম। যেমন কেউ কেউ যদি তাগুতের বিধানকে নবীর বিধানের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়ে থাকে সে ব্যক্তি কাফের বলে গণ্য হবে।
৫. রাসুল (সা.) আনীত কোনো বস্তুকে ঘৃণার চোখে দেখা। এ অবস্থায় সে কাফের বলে গণ্য হবে যদিও সে ওই বস্তুর ওপর বাহ্যিকভাবে আমল করে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'তা এজন্যই যে, তারা আল্লাহর নাজিলকৃত বিষয়কে ঘৃণা করেছে, সুতরাং আল্লাহ তাদের আমলগুলোকে পন্ড করে দিয়েছেন।' (সূরা মুহাম্মদ : ৯)।
৬. দ্বীনের কোনো বিষয় নিয়ে বা তার পুরস্কার কিংবা শাস্তিকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা। আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'আপনি বলুন, (হে রাসুল) তোমরা কি আল্লাহর সঙ্গে, স্বীয় আয়াতগুলোর সঙ্গে এবং রাসুলের সঙ্গে ঠাট্টা করছিলে? কোনো প্রকার ওজর-আপত্তির অবতারণা করো না। তোমরা ঈমান আনয়নের পর আবার কুফরি করেছ।' (সূরা তওবা : ৬৫-৬৬)।
৭. জাদু-টোনা করা। জাদুর অন্যতম প্রকার হলো তন্ত্রমন্ত্রের সাহায্যে দুইজন মানুষের বন্ধন তৈরি করা বা তাদের মাঝে সম্পর্ক ছিন্ন করা। সুতরাং যে ব্যক্তি জাদু করবে বা তাতে রাজি হবে সে কাফের বলে বিবেচিত হবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'ওই দুইজন (হারুত-মারুত ফেরেশতা) কাউকে জাদু শিক্ষা দিতেন না যতক্ষণ পর্যন্ত এই কথা না বলতেন- নিশ্চয় আমরা (তোমাদের জন্য) পরীক্ষাস্বরূপ। সুতরাং আমাদের কাছে জাদু শিখে কাফের হইও না।' (সূরা বাকারা : ১০২)।
৮. মুসলমানদের বিরুদ্ধে মোশরেকদের সাহায্য সহযোগিতা করা। আল্লাহ বলেন, 'তোমাদের মধ্য হতে যে ওদের (অর্থাৎ বিধর্মীদের) সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে সে তাদেরই দলভুক্ত বলে গণ্য হবে। নিশ্চয় আল্লাহ জালেমদের হেদায়েত দান করেন না।' (সূরা মায়িদা : ৫১)।
৯. এ বিশ্বাস করা যে, কারও জন্য মুহাম্মদ (সা.) এর শরিয়তের বাইরে থাকার অবকাশ রয়েছে। যেমন- (এক শ্রেণীর ভ্রান্ত সুফির ধারণা অনুপাতে) অবকাশ ছিল খিজির (আ.) এর জন্য মুসা (আ.) এর শরিয়ত হতে বাইরে থাকার। এ বিশ্বাসেও সে কাফের হয়ে যাবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য ধর্ম অন্বেষণ করবে তার থেকে তা গ্রহণ করা হবে না এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের দলভুক্ত হবে।' (সূরা আলে ইমরান : ৮৫)।
১০. সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর দ্বীন থেকে বিমুখ থাকা। সে ব্যাপারে জ্ঞানার্জন না করা, তদনুযায়ী আমল না করা, এ ধরনের মনমানসিকতার ব্যক্তিও কাফের বলে পরিগণিত হবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'ওই ব্যক্তি অপেক্ষা কে বেশি জালেম (অত্যাচারী) হতে পারে, যাকে উপদেশ দেয়া হয়েছে স্বীয় প্রতিপালকের আয়াতগুলো দ্বারা, অতঃপর সে তা থেকে বিমুখ হয়েছে? নিশ্চয় আমি অপরাধীদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণকারী।' (সূরা সাজদা : ২২)।

তাদের কাছে ক্ষমতায় থাকাটাই বড় কথা : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘৯৬ সালে সরকার গঠনের সময় আমাদের ভাবনা ছিলো নিজেদের টাকায় চলবো। আর ৭৫'র পরে যারা ক্ষমতা দখল করে তাদের উদ্দেশ্য ছিলো বাংলাদেশে যেন বেশি অভাব থাকে, দারিদ্র্যতা থাকে, তাহলেই বিদেশে হাত পাতা যাবে। তাদের কাছে ক্ষমতায় থাকাটাই বড় কথা, দেশের মানুষ নয়।'
 
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ৬০তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
 
বাংলাদেশ ‍স্বাধীন হয়েছে বলেই বাঙালিরা উচ্চ পদে যেতে পারছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সিভিল-মিলিটারি কোনো জায়গায় বাঙালিরা উচ্চ পদে যেতে পারতো না। বঙ্গবন্ধু ছয় দফা ঘোষণার পরে কিছুটা হয়েছিলো। দেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই এখন সব উচ্চ পদে বাঙালিরা জায়গা পাচ্ছে।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে আমরা আবার সিভিল সার্ভিসের উন্নয়নে কাজ শুরু করি। কর্মকর্তাদের দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন রিফর্ম কমিশন (পিএআরসি) গঠন করি। কমিশনের বেশ কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন করি। পরবর্তী বিএনপি-জায়ামাত জোট সরকার দেশের সিভিল সার্ভিসের উন্নয়নে আমাদের নেওয়া পদক্ষেপগুলো আর বাস্তবায়ন করেনি।

ফারুকের একাল আর সেকাল

ঢাকাই চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক ফারুক। একসময়ের পর্দা কাঁপানো এ নায়ক একজন মুক্তিযোদ্ধা। সম্প্রতি তিনি চলচ্চিত্রের একাল সেকালের গল্প শুনিয়েছেন 



আমার কিন্তু কখনই চলচ্চিত্রে আসার কোনোরকম পরিকল্পনা ছিল না। পাকিস্তান আমলেই আমার বিরুদ্ধে নানা কারণে ৩৭টি মামলা হয়েছিল। এক সময় এগুলো থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য চলচ্চিত্রে কাজ করা শুরু করি। মুক্তিযুদ্ধ করলাম, দেশ স্বাধীন হল। আবার পুরোদমে চলচ্চিত্রে কাজ করছি আমি। তখন ‘ওরা ১১ জন’, ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ছবির শুটিং চলছিল। সেই সময় বঙ্গবন্ধুর কাছে যেতে আমার কোনো প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হতো না। কারণ আমার চেহারাই ছিল বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার সিল। তো একবার আমি ধানমণ্ডি ৩২-এ বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে প্রবেশ করলাম। তিনি দূর থেকে আমাকে দেখেই বলে উঠলেন, ‘কিরে তুই নাকি এখন রং মাইখ্যা ঢং করা শুরু করছোস?’ মনটা আমার এত খারাপ হল যে, মুখ লুকিয়ে ফেললাম। পেছন থেকে কোনোরকম শব্দ ছাড়া তিনি আমার কাঁধে হাত রাখলেন। আর বললেন, ‘আরে পাগল আমি কী একটু হাসিঠাট্টাও করতে পারব না।’ এরপর তিনি আমাকে বললেন, ‘তুই আসলে এমন একটি জায়গায় আছিস যেখান থেকে তুই অনেক বিপ্লব ঘটাতে পারবি।’ তার সেই কথা আজও কানে ভেসে আসে প্রায়শই। অনেকের কাছে আমাকে বলতে হয় কেন আমি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার একবার পাওয়ার পর আর পাইনি। আজ সবাইকে বলছি সে ঘটনা। বঙ্গবন্ধুই কিন্তু মূলত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রবর্তন করেছিলেন ১৯৭৫ সালে। জীবদ্দশায় তিনি সেটা দেখে যেতে পারেননি। ১৯৭৬ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রথা চালু হল। ‘লাঠিয়াল’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য আমি পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাই। তখন থেকে সেই যে পাশে থাকা শুরু হল আমার, আমি আর পুরস্কারই পেলাম না। একটি কথাই শুধু বলব ‘লাঠিয়াল’ ছবির প্রধান লাঠিয়াল ছিলাম আমি। কী করে আমি পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্য পুরস্কার পাই! লবিং না করার কারণে পরবর্তীতে ভালো ভালো ছবিতে অভিনয় করেও আমার ভাগ্যে আর কোনোদিনই জুটলো না জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। গত কয়েক বছরে এমন অনেক ছবিই নির্মিত হয়েছে যা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আওতাধীন আনাও অযোগ্য। আমাদের দেশের ছবির উন্নতি হয় না কেন? এমন প্রশ্ন আমাকে প্রায়ই শুনতে হয়। কখনই কাউকে কিছু বলিনি। সিনিয়র শিল্পী কিংবা সিনিয়র পরিচালকদের একের পর এক চলে যাওয়ার কারণে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে তা কোনোদিনই পূরণ হওয়ার নয়। কারণ সিনিয়র শিল্পী-পরিচালকদের মধ্যে পারস্পরিক যে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, সময়ের প্রতি সচেতনতা ছিল তার কোনোকিছুই এখনকার শিল্পী-পরিচালকদের মধ্যে নেই। চলচ্চিত্র আর ভালো হবে কীভাবে? এখন আর মৌলিক গল্প নেই। পাশের দেশ ভারতের বিভিন্ন ছবি দেখে দেখে একটি গল্প দাঁড় করানোর চেষ্টা চলে। কাহিনীকারই যদি চোর হয় তাহলে ভালো ছবি তৈরি করা কখনোই সম্ভব নয়। 

স্বামী মরলেই আঙুল 'কাটা'

ভারতীয় উপমহাদেশে এককালে প্রচলিত ছিল স্বামীর মৃত্যু হলেই জ্বলন্ত চিতাতে ঝাঁপ দেবেন বিধবা স্ত্রীরা। খুব বেশি দিন আগের কথা নয় কিন্তু এটা। আজ থেকে একশ' বছর বা তার একটু বেশি পেছনে তাকালে দেখা যাবে হাজারে হাজারে এই সতীদাহের খবর। তবে রাজা রামমোহন রায়দের মতো ক্ষণজন্মাদের কল্যাণে এ অনাচার ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে বিদায় হয় অনেক আগেই। তবে ইন্দোনেশিয়ানদের পাপুয়ার দানি সম্প্রদায়ের লোকেরা এ ধরনের কুসংস্কার থেকে আজও মুক্ত হতে পারেনি। দেশটির সংবাদ মাধ্যমের বরাতে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, সে দেশের দানি সম্প্রদায়ের লোকেরা স্বামী মারা গেলেই স্ত্রীর আঙুল কেটে ফেলে। শোক প্রকাশের অজুহাতেই দুর্ভাগা নারীদের এ বিসর্জনে বাধ্য করা হয়। তাদের ধারণা, এতে নাকি মৃতের আত্মার শান্তি হয়! পাপুয়া প্রদেশের প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী, যখনই পরিবারের কর্তা মারা যান, শোক পালনের জন্য স্ত্রীর দুই হাতের বেশ কয়েকটি আঙুল কেটে দেয়া হয়। আঙুল কাটার আগে মহিলার হাত কষে বেঁধে দেয়া হয় যাতে হাতে রক্তের প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। তারপর কুড়ল দিয়ে আঙুল কেটে দেয়া হয়। যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে এই প্রথা সহ্য করতে হয় সেখানকার নারীদের। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী দীর্ঘদিন ধরে দানি সম্প্রদায়ের মধ্যে নিষ্ঠুর এই প্রথা চলে আসছে। ওই দ্বীপে গেলেই আঙুলহীন মহিলাদের দেখা মিলবে। তবে আশার কথা হলো- সম্প্রতি এই বর্বর প্রথার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইন্দোনেশিয়ার সরকার।

'আমেরিকায় আমার যৌন দাসত্বের দিন'

ভালো কাজের আশায় মেয়েকে মায়ের কাছে রেখে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন সান্দ্রা ওয়োরান্তু। কিন্তু সেখানে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষণ ও যৌন দাসত্বের শিকার হন তিনি। ২০০১ সালের জুন মাসে ইন্দোনেশিয়া থেকে তিনি আমেরিকায় আসেন। তার কাছে মনে হয়েছিল আমেরিকা হচ্ছে প্রতিশ্রুতি আর সম্ভাবনার একটি দেশ। যে রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে তিনি আমেরিকায় যান, তাদের এক প্রতিনিধি নিউইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দরে তাকে গ্রহণ করেন। কিন্তু তিনি জানতে পারেন,নিউইয়র্ক থেকে ৮০ মাইল দূরে শিকাগোর একটি হোটেলে তার কাজ ঠিক করা হয়েছে। ওয়োরান্তু বলছেন, আমি আমেরিকায় একেবারেই নতুন। আমার বয়স মাত্র ২৪, তাই আমি বুঝতেও পারছিলাম না কিসের মধ্যে আমি জড়িয়ে পড়ছি। ফ্রান্সে পড়াশোনা করার পর, ইন্দোনেশিয়ার একটি ব্যাংকে এনালিস্ট হিসাবে কাজ করতেন সান্দ্রা ওয়োরান্তু। গত দশকে দেশটি মন্দায় পড়লে আরো অনেকের মতো তিনিও চাকরি হারান। তখন সংবাদপত্রে বিদেশী চাকরির একটি বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন আমেরিকার হোটেল খাতে এই চাকরিটি তাকে প্রস্তাব করা হয়। এজন্য তাকে ২৭০০ মার্কিন ডলার দিতে হয়। তাকে মাসে পাঁচহাজার ডলার বেতন দেয়ার কথা বলা হয়। ফলে নিজের ছোট মেয়েকে মায়ের কাছে রেখে আমেরিকার উদ্দেশ্যে রওনা হন সান্দ্রা ওয়োরান্তু। ওয়োরান্তু বলেন, বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে প্রথমে তারা আমাকে একটি গাড়িতে তোলে। এরপর আরেকজন ড্রাইভারের আরেকটি গাড়িতে আমাদের তোলা হয়। এভাবে আরো দুইবার গাড়ি বদলে শেষে এমন একজন ড্রাইভারের হাতে আমাদের তুলে দেয়, যে একটি পিস্তল দেখিয়ে আমাদের ব্রুকলিনের একটি বাসায় নিয়ে যায়। তখনি আমি বুঝতে পারি, আমি একটি চক্রের হাতে পড়েছি। কিন্তু তাদের হাতে অস্ত্র থাকায় আমাদের করার কিছু ছিল না। তিনি আরো বলেন, ওই বাসায় ঢুকেই আমি দেখতে পাই, একটি ছোট মেয়েকে কয়েকজন মিলে মারধর করছে। এটা হয়তো আমাদের জন্যই একটি সতর্কবার্তা ছিল ওয়োরান্তু বলেন, আমেরিকায় প্রবেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাকে জোর করে যৌন কাজে বাধ্য করা হয়। আমাকে ত্রিশ হাজার ডলার দিয়ে তারা কিনেছে বলে আমাকে জানায়। এরপর তারা আমাকে নানা স্টেটের নানা হোটেল, ব্রোথেল, বাসা আর ক্যাসিনোতে নিয়ে যায়। একেকটি জায়গায় আমাকে সব্বোর্চ্চ দুইদিন আটকে রাখে। তিনি বলেন, গ্রাহকদের অপেক্ষায় প্রায় চব্বিশ ঘণ্টায় আমাদের নগ্ন করে আটকে রাখা হতো। কোন গ্রাহক না এলে তখন আমরা কিছুটা ঘুমানোর সময় পেতাম। প্রায় তাকে বিভিন্ন হোটেল বা ক্যাসিনোতে নিয়ে যাওয়া হতো। সেখানে সবসময়েই পিস্তল নিয়ে একজন তার পাহারায় থাকতো। আমি যেন অনেকটা পুতুলের মতো হয়ে গিয়েছিলাম। মারধরের ভয়ে তারা যা বলতো, তাই করতাম। শুধুমাত্র টিকে থাকার চেষ্টা করছিলাম, বলেন ওয়োরান্তু। একদিন এই চক্রের কাছ থেকে পালিয়ে একটি পুলিশ স্টেশনে গিয়ে নিজের কাহিনী খুলে বলে সান্দ্রা ওয়োরান্তু। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তা তাকে বিশ্বাস করেননি। ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাসে গিয়েও তিনি কোন সহায়তা পাননি। পরে রাস্তায় রাস্তায় অনেকদিন ঘুরে বেড়ান। পার্কে দেখা হওয়া একজন নাবিক এফবিআইকে খবর দিলে তারা তার তথ্য যাচাই করে দেখে। পরে ডিটেকটিভরা ব্রুকলিনের সেই বাসায় অভিযান চালিয়ে চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করে। সেই দিনটা ছিল সান্দ্রা ওয়োরান্তুর কাছে যেন স্বাধীনতার একটি দিন। সূত্র: বিবিসি বাংলা

ঠিকাদারকে ছাড়িয়ে নিতে রাতভর থানায় মেয়র আইভী

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের এক ঠিকাদারকে গ্রেফতারের পর তাকে ছাড়িয়ে নিতে বুধবার সারা রাত থানায় অবস্থান নেন মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী। এ সময় আইভীর সমর্থকরাও থানা চত্ত্বরে অবস্থান নেন।

সারা রাত অবস্থান শেষে সমর্থকদের নিয়ে বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে থানা ত্যাগ করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র।

পুলিশ জানায়, ঠিকাদারকে ছাড়িয়ে নিতে এলে বুধবার রাতেই সদর থানায় পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মেয়র আইভীর তুমুল বাকবিতন্ডা হয়। মেয়র ওই ঠিকাদারকে ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করলেও পুলিশ জানায় রেলওয়ের দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিকে তারা ছাড়তে পারেন না।

পুলিশ আরো জানায়, এ সময় আইভী পুলিশকে ওই ঠিকাদারকে ছেড়ে তাকে গ্রেফতার করতে বলেন।

গ্রেফতার হওয়া ঠিকাদারের নাম জাকির হোসেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ শহরের জিমখানা এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের চলমান ৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের ঠিকাদার ও রতœা এন্টাপ্রাইজের কর্ণধার।

বুধবার সন্ধ্যায় রেলওয়ের কানুনগো ইকবাল মাহমুদ বাদী হয়ে নাসিকের ঠিকাদার ও রতœা-মুনিয়া কনসোটিয়ামের মালিক আবু সুফিয়ানকে প্রধান আসামি করে এবং রতœা এন্টারপ্রাইজের মালিক জাকির হোসেনসহ ৭-৮ জনের নামে মামলা করেন।

জানা গেছে, রেলওয়ের নিজস্ব জমিতে কোন প্রকার লিজ বা অনুমতি না নিয়েই ওই প্রকল্পের কাজ করছিল সিটি কর্পোরেশন।

গত ২৭ জানুয়ারি রেলওয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা লেক ও পার্ক নির্মাণের কাজ বন্ধ করতে গেলে ঠিকাদারের লোকজন তাদের ধাওয়া করে। এনিয়ে রেলওয়ে মন্ত্রীর সঙ্গেও গত মাসে দেখা করেছিলেন মেয়র আইভী, কিন্তু ওই জায়গায় পার্ক বা কোনো প্রকল্প করার অনুমতি মিলেনি। উল্টো রেলওয়ের মহাপরিচালক বিষয়টিকে জোর পূর্বক ও বেআইনী বলে মন্তব্য করেন।

সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মালেক জানান, বুধবার সন্ধ্যায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলার আসামি ঠিকাদার জাকির হোসেনকে রাত পৌনে ১০টার দিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টা দিকে সদর মডেল থানায় হাজির হন মেয়র আইভীসহ আওয়ামী লীগ যুবলীগের নেতাকর্মীরা।

ওই সময় আইভীর সঙ্গে সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ওবায়দুল্লাহ, কাউন্সিলর অসিত বরণ ,কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির, জেলা যুবলীগ সভাপতি আবদুল কাদির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মালেক পিপিএমকে উদ্দেশ্য করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র আইভী বলেন, ‘আমি থানার ভেতর থেকে এক পাও নড়বো না। কার নির্দেশে এই মামলা হয়েছে সেটা জানতে চাই। কাল থেকে আর উন্নয়ন কাজ চলবে না। এই শহর শামীম ওসমানের শহর। শামীম ওসমানই থাকুক।’ এসময় তাদের সঙ্গে থানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তুমুল বাকবিতন্ডা হয়। তিনি তাকে গ্রেফতার করে ঠিকাদারকে ছেড়ে দিতে বলেন।

পরে মেয়র আইভী সাংবাদিকদের বলেন, কোনও অপরাধ ছাড়া আমাদের ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে। ঠিকাদার জাকিরকে কাজ আমি দিয়েছি। গ্রেফতার করতে হলে আমাকে করেন।

তিনি বলেন, একটি বিশেষ মহলের নির্দেশে মামলা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে আমি সারা রাত থানায় থাকবো। প্রয়োজনে সকালে আমাকেও আদালতে চালান করা হোক।
উল্লেখ্য নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) উদ্যোগে শহরের জিমখানায় রেলওয়ের নিজস্ব জমিতে রেলের কোন অনুমতি বা লীজ না নিয়েই পার্ক নির্মাণের জন্য ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকার টেন্ডার আহ্বান করা হয়।

টেন্ডারের পর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এই প্রকল্পের কাজ করছিলেন। এমন অবস্থায় রেলওয়ে বিভাগের অভিযোগের পুলিশ জাকির হোসেন নামের ওই ঠিকাদারকে গ্রেফতার করে। এদিকে ঠিকাদার জাকির হোসেনকে সকালে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়ারি ম্যাজিস্ট্রেট চাদনী রূপমের আদালতে  তোলে সদর থানা পুলিশ। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানের নির্দেশ দেন। কোর্ট পুলিশের এস আই গোলাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Wednesday, March 30, 2016

মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের একাংশ খুলল

মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের তেজগাঁও থেকে হলিফ্যামিলি হাসপাতাল পর্যন্ত অংশটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। বুধবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে ফ্লাইওভারের ডব্লিউ-ফোর নামের অংশটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রকল্প পরিচালক নাজমুল আলম জানান, নির্মাণাধীন মগবাজার-মৌচাক পুরো ফ্লাইওভার তিন ধাপে চালু হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রথম ধাপে আজ ফ্লাইওভারটির হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত ২.১১ কিলোমিটার অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হলো।
মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৩ সালে। এরপর কয়েকদফা মেয়াদ বৃদ্ধির পাশাপাশি এর নির্মাণ ব্যয়ও ৩৪৩ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাড়ায় ১২শ কোটি টাকা।

কারাগারে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল

নাশকতার তিন মামলার মধ্যে দুই মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে বিএনপির নতুন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। অন্য মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি। বুধবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম নবী এই আদেশ দেন। 
 
এর আগে সকালে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন মির্জা ফখরুল।  শুনানি শেষে দুই মামলায় জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
 
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি মির্জা ফখরুলকে ১৫ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে ৫ সদস্যের আপিল বিভাগ।
 
২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে ২০ দলীয় জোটের আন্দোলনের সময় পল্টন থানার নাশকতার ওই তিন মামলায় মির্জা ফখরুলকে হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়ে রুল জারি করেছিলেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলে গেলে আপিল বিভাগ রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন এবং জামিনের মেয়াদ শেষে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন। এছাড়াও হাইকোর্টকে রুল নিষ্পত্তি করতে বলেন।
 
হাইকোর্ট গত বছরের ২৪ নভেম্বর রুল নিষ্পত্তি করে ওই তিন মামলায় মির্জা ফখরুলকে তিন মাসের জামিন দেন।

দুবাইয়ে বহুতল আবাসিক ভবনে আগুন

সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাইয়ে দুটি বহুতল ভবনে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। 
  
সোমবার রাতে দুবাইয়ের সোয়ান এলাকার আজমান এমিরেটস টাওয়ার ওয়ান আবাসিক প্রকল্পের দুটি ভবনে আগুন লাগে। মঙ্গলবার ভোরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। খবর বিবিসির। 

আগুন লাগার পর আজমান দুটির সব বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হয়। তবে ধোঁয়ায় দম আটকে অসুস্থ হয়ে পড়া কয়েকজনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
  
দুবাইয়ের উত্তরের ওই আবাসিক প্রকল্পের আট নম্বর টাওয়ারে প্রথম আগুন লাগে বলে একটি অসমর্থিত সূত্র উল্লেখ করেছে। ধীরে ধীরে আগুন পার্শ্ববর্তী অপর একটি ভবনেও ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
  
গত এক বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে আরব আমিরাতে সুউচ্চ ভবনে আগুন লাগার এটি তৃতীয় ঘটনা।

গত ৩১ ডিসেম্বর 'থার্টি ফার্স্টের রাতে' দুবাইয়ের ৬৩ তলা অ্যাড্রেস হোটেলে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল।

সমর্থন হারিয়ে বেকায়দায় ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট

ব্রাজিলে প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফের ক্ষমতাসীন সরকার থেকে সরে গেছে তার কোয়ালিশনের সবচাইতে বড় দল ব্রাজিলিয়ান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট পার্টি।

দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত ব্রাজিলের ক্ষমতায় থাকা এখন দিলমা রুসেফের সরকারের জন্য কঠিন হয়ে পড়তে পারে। কারণ কোয়ালিশন ভাঙায় প্রেসিডেন্ট রুসেফের বিরোধীদের হাতে তাকে অভিশংসনের ক্ষমতা আরো বাড়ল। খবর বিবিসির। ব্রাজিলিয়ান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট পার্টি এক ভোটে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা দিলমা রুসেফের সরকারের সঙ্গে আর থাকছে না।
যার অংশ হিসেবে কোয়ালিশন থেকে বের হয়ে যাওয়া পার্টির মন্ত্রীরা সবাই পদত্যাগ করবেন। সরকারি ছয়শ মতো কর্মকর্তাও সরে যাবেন।

দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফ এর মাধ্যমে খুব গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন হারালেন।আর তাতে শক্তিশালী হলো তার বিরোধীদের হাত। তারা দিলমা রুসেফকে অভিশংসনের চেষ্টা করবেন বলে আশংকা বাড়ছে।

এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়েই সেনিয়ে ভোটাভুটি হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। দেশটির সিনেট এতে সমর্থন দিলে দিলমা রুসেফ ১৮০ দিনের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন।

ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট পার্টির আর এক নেতা লিওনার্দো কোয়ানতাও বলেছেন দিলমা রুসেফের সরকার পরিচালনার নিতির কারণে তারা সরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। তিনি বলেছেন, ব্রাজিলের নানা উৎপাদন ও আর্থিক খাত এখন আর দিলমা রুসেফকে সমর্থন করে না। তার নিতির কারণে দেশে ব্যাপক ভাবে বেকারত্ব বাড়ছে, দুর্নীতি বাড়ছে। বেকার ভাতা পেয়ে দেশের অনেকেই বেকার দিন কাটাচ্ছেন।দেশটিতে বেপক কর্ম সংস্থানের বেবস্থা রয়েছে।

ব্রাজিলের দিন গত কয়েক বছর ধরেই ভাল যাচ্ছে না। একে তো যিকা ভাইরাস নিয়ে বিপদে রয়েছে দেশটি। সেই সঙ্গে মাত্র চার পর আসছে অলিম্পিকসের প্রস্তুতি শেষ হয়নি। কিন্তু প্রতারণার অভিযোগে তার নানা ভেন্যু নির্মাণের ৩৫ মিলিয়ন ডলার আটকে দিয়েছেন একজন বিচারক।

এর মধ্যেই দিলমা রুসেফের সরকারের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা দুর্নীতির অভিযোগ। রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন সবমিলিয়ে বেশ বড় বিপদেই পড়লেন দিলমা রুসেফ।

বাবার শেষকৃত্যে যাওয়ার পথে প্রাণ গেল মন্ত্রীর

বাবার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার পথে ব্যক্তিগত বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মারা গেছেন কানাডার সাবেক পরিবহনমন্ত্রীসহ ৭ জন।

মঙ্গলবার কানাডার কুইবেক প্রদেশের পূর্ব উপকূলের অদূরে একটি ছোট্ট দ্বীপে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সাবেক পরিবহনমন্ত্রী জেন ল্যাপিরি (৫৯) সিটিভি ও কানাডার অন্যান্য গণমাধ্যমে রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করতেন।
  
নিহতদের মধ্যে ল্যাপিরির স্ত্রী, দুই ভাই ও বোনও রয়েছেন।
  
কর্তৃপক্ষ বলছে,ঝড়ো হাওয়া ও তুষারপাতের মধ্যে ইলেস-ডি-লা-ম্যাডিলিন বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টাকালে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

ব্রাজিলের নাটকীয় ড্র [ভিডিওসহ]


বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাই ম্যাচের পুরো সময়েই ২-০ শূন্য গোলে এগিয়েছিল প্যারাগুয়ে। কিন্তু শেষ ১০ মিনিটে নাটকীয় দুই গোলে ড্র করে মুখ রক্ষা করল ব্রাজিল। বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে আসুনসিওনের এস্তাডিও ডিফেন্সোর্স ডেল চাচো স্টেডিয়ামে স্বাগতিক প্যারাগুয়ে ও ব্রাজিল মুখোমুখি হয়।

শুরু থেকেই ব্রাজিলকে চাপের মুখে রাখে প্যারাগুয়ে। তবে ম্যাচের ষোড়শ মিনিটে প্যারাগুয়েকে গোল বঞ্চিত করে পোস্ট। অরিৎসের ফ্লিক গোলরক্ষক আলিসনের হাতে লেগে বারে লাগে।দুই মিনিট পর গোমেসের শট দুর্দান্ত সেভ করে ব্রাজিলকে রক্ষা করেন অ্যালিসন।তবে দুর্দান্ত খেলতে থাকা প্যারাগুয়েকে ঠেকিয়ে রাখা যায়নি।

৪০তম মিনিটে এদগার বেনিতেসের ক্রস থেকে গোল করেন দারিও লেসকানো। দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলে স্বাগতিকরা। শুরুটা করেছিলেন সান্তা ক্রুস, দারুণ কিছু ছোঁয়ায় বল নিয়ন্ত্রণে রেখে তিনি বল বাড়ান অরিৎস বুস্ত্রোকে। ডি-বক্সে তার বাড়ানো বল পা বাড়িয়ে দারুণ ভাবে নামিয়ে গোল করেন বেনিতেস। 

এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার জন্য তারকা ফরোয়ার্ড নেইমারকে ছাড়া খেলতে নেমে ভালো কোনো আক্রমণ করতে না পারায় মনে হচ্ছিল গত কোপা আমেরিকার মতো এবারও বুঝি প্যারাগুয়ের কাছে হারতে যাচ্ছে ব্রাজিল। তবে শেষ দিকে হাল্করা জ্বলে ওঠায় সমালোচনার হাত থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাবেন কোচ দুঙ্গা।৭৯তম মিনিটে বদলি হিসেবে নামা হাল্কের দুর্দান্ত শট কোনো মতে ঠেকান গোলরক্ষক। ফিরতি বল পেযে জালে জড়ান রিকার্দো অলিভিয়েরা। 

 

আর খেলার অতিরিক্ত সময়ে ব্রাজিলকে সমতায় ফেরান দানি আলভেস। ডি-বক্সের ভেতর থেকে ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় কোনাকুনি শটে গোল করেন বার্সেলোনার এই ডিফেন্ডার। বাছাই পর্বের ষষ্ঠ রাউন্ড শেষে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ব্রাজিল আছে এখন ষষ্ঠ স্থানে। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে প্যারাগুয়ে আছে সপ্তম স্থানে।দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাই পর্বের অন্য ম্যাচে লিওনেল মেসি ও গাব্রিয়েল মেরকাদোর গোলে বলিভিয়াকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। ৬ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে জেরার্দো মার্তিনোর দল। অন্য ম্যাচে নিজেদের মাঠে এদিনসন কাভানির একমাত্র গোলে পেরুকে হারিয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে উরুগুয়ে।বাছাইপর্বে প্রথম হারের মুখ দেখেছে ইকুয়েডর। তবে কলম্বিয়ার কাছে ৩-১ গোলে হেরে শীর্ষস্থানও খুইয়েছে দলটি। উরুগুয়ের সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে আছে তারা। এদিকে ভেনেজুয়েলাকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে আগের ম্যাচে আর্জেন্টিনার কাছে হারা চিলি। দুটি করে গোল করেন আর্তুরো ভিদাল ও মাউরিসিও পিনিয়া। ১০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে কোপা আমেরিকার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। সমান ১০ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে কলম্বিয়া আছে পঞ্চম স্থানে। দক্ষিণ আমেরিকার ১০টি দেশের মধ্যে প্রথম চারটি দল সরাসরি খেলবে ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে। বাছাইপর্বে পঞ্চম হওয়া দলটি প্লে-অফ খেলার সুযোগ পাবে।

শেষ পর্যায়ে এইডসের প্রতিষেধক তৈরির কাজ

প্রাণঘাতী রোগ এইডসের টিকা আবিষ্কারের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেছেন বিজ্ঞানীরা। কিছুদিনের মধ্যেই বিশ্ব বিশেষত আফ্রিকায় লাখও মৃত্যুর কারণ এ রোগের প্রতিষেধক তৈরি হয়ে যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, দ্য স্ক্রিপস রিসার্চ ইন্সটিটিউট, জোলা ইন্সটিটিউট ফর অ্যালার্জি অ্যান্ড ইমিউনোলজি এবং ইন্টারন্যাশনাল এইডস ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভ এ তিনটি সংস্থা একযোগ এ দুরারোগ্য ব্যাধির টিকা আবিষ্কারের জন্য লড়ছে অনেকদিন ধরেই। সাম্প্রতিক প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়েছে, সেই কাজে অনেকটাই এগিয়েছে। আপাতত যে টিকাটি তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে, সেটি মানব শরীরেই স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় অ্যান্টিবডি তৈরির কাজ চালাবে, যা এইডস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে। দ্য স্ক্রিপস রিসার্চ ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানী উইলিয়াম স্কিফ বলেন, ‘জার্মলাইন নামে এক ধরনের কোষ রয়েছে, যারা মানবদেহে ওই অ্যান্টবডি তৈরি হওয়াকে বাধা দেয়। অধিকাংশ মানুষের শরীরেই এ কোষটি উপস্থিত। বিশেষ এক ধরনের প্রোটিন দিয়ে এ কোষটিকে অক্ষম করে রাখা সম্ভব, যাতে তারা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়াকে আটকাতে না পারে।’ আপাতত এ সূত্র ধরেই টিকা তৈরির কাজে সাফল্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

রাবি: সেই তুহিনসহ ছাত্রলীগের তিন নেতা স্থায়ী বহিষ্কার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলীসহ দুই কর্মচারীকে মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগের তিন নেতাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান বলেন, শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে সিন্ডিকেটের সভায় ওই তিনজনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।

বহিষ্কৃত তিনজন হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের বিবিএ-র শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের অব্যহতি পাওয়া সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ আল হোসেন তুহিন, মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ও ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি তন্ময় আনন্দ অভি এবং একই বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ও শহীদ হবিবুর রহমান হলের বর্তমান কমিটির সভাপতি মামুন-অর-রশিদ। 

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে তৌহিদ আল হোসেন তুহিনকে অব্যাহতি দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি।

ওই বছর ২৮ অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তুহিনের নেতৃত্বে ১০-১২ জন ছাত্রলীগকর্মীর সঙ্গে প্রকৌশলী সিরাজুম মুনীরের বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর মারধরের শিকার হন ওই প্রকৌশলী।

ওই দপ্তরের অফিস সহকারী সুমন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের প্রহরী আবুল কাশেমকেও মারধর করা হন।

এই অভিযোগের ভিত্তিতে দুই দিন পর উপাচার্য ওই তিন ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তুহিনসহ তিনজনের নামে মতিহার থানায় চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগে একটি মামলাও করে।

এরপর চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে তিন ছাত্রলীগ নেতাকে স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। ওই সুপারিশ সিন্ডিকেটে তোলার পর তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।

২০১২ সালে জুলাই মাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনাতেও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তখনকার সাংগঠনিক সম্পাদক তুহিনের বিরুদ্ধে। ওই বছর জুন মাসে পদ্মা সেতুর নামে চাঁদাবাজির অর্থ ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষেও তার জড়িত থাকার কথা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

ফখরুল মহাসচিব, রিজভী সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব, সিনহা কোষাধ্যক্ষ

অবশেষে বিএনপির পূর্ণাঙ্গ মহাসচিব হলেন ‘পরিচ্ছন্ন, ভদ্র, বিনয়ী ও দৃঢ় মনোবলসম্পন্ন’ রাজনীতিক মির্জা ফখরুল ইসলাম। সেই সঙ্গে অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী আহমেদকে সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এবং মিজানুর রহমান সিনহাকে কোষাধ্যক্ষ পদেও ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ নিজে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গেল সম্মেলনে কাউন্সিলররা চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সব ক্ষমতা দিয়ে রেখেছিল। সেই ধারাবাহিকতায় তিনি এই তিনজনকে পদ দিয়েছেন।
২০১১ সালের ১৬ মার্চ সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন। এরপর ২০ মার্চ চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সৌদি আরবে যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে মির্জা ফখরুলকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়ে যান। তখন থেকেই দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বর্তমানে সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে বিএনপি। বিরোধী দলের দুর্যোগপূর্ণ রাজনীতিতে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’র হাল ধরে রয়েছেন বিএনপির ‘ভারপ্রাপ্ত’ মহাসচিব মির্জা আলমগীর। ‘প্রশ্নবিদ্ধ ও হাস্যকর’ বিভিন্ন মামলায় ইতোমধ্যে সাত দফায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলও খেটেছেন দলের ‘ক্লিনম্যান’ খ্যাত এই নেতা।
গেল দুই বছরের মধ্যে দীর্ঘ সময় তাকে কারাগারেই থাকতে হয়েছে। সর্বশেষ গত ১ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পান তিনি। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ৮৪টি মামলা রয়েছে। দলের প্রতি এত ত্যাগ সত্ত্বেও এখনো ‘ভারপ্রাপ্তই’ রয়ে গেছেন ফখরুল।

Saturday, March 26, 2016

ফ্রান্সে সড়ক দুর্ঘটনায় ১২ পর্তুগিজ নিহত

ফ্রান্সে এক সড়ক দুর্ঘটনায় ১২ পর্তুগিজ নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সকালে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়. সুইজারল্যান্ড থেকে পর্তুগাল যাচ্ছিল মিনিবাসটি। সেন্ট্রাল ফ্রান্সে একটি লরির সঙ্গে সংঘর্ষ হলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 
 
প্যারিস থেকে দুর্ঘটনস্থল ৩০০ কিলোমিটার দূরে। তবে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। এপি

পালমিরার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সিরিয়া

সিরিয়ার পালমিরার শহর পুনরুদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, নগরীর রোমান আমলের ধ্বংসাবশেষের পশ্চিম দিকের একটি পাহাড়ের উপর পুনর্নির্মিত ১৩শ শতকের একটি দূর্গের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সরকারি বাহিনী।
 
ত বছরের মে মাসে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ পালমিরা ও সংলগ্ন আধুনিক শহরটি দখল করে নিয়েছিল জঙ্গি সংগঠন আইএস। দখল করার পরপরই গোষ্ঠীটি শহরটির রোমান ধ্বংসাবশেষের মধ্যে অবস্থিত দুই হাজার বছরের পুরনো দুটি মন্দির, একটি তোরণ ও কয়েকটি স্তম্ভ গুঁড়িয়ে দেয়।
 
জানা যায়, সকালের মধ্যেই সরকারি বাহিনী শহরের পশ্চিম প্রান্তের সিরিয়াতেল পাহাড় দখল করে নেয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যে কাছের কালাত শিরকুহ বা কালাত ইবন মান দূর্গটির নিয়ন্ত্রণ নেয় সরকারি বাহিনী।
 
এদিকে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, লড়াই প্রাচীন নগরীর প্রান্তে পৌঁছে গেছে। পালমিরা শহরে আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সিরীয় ও রুশ যুদ্ধবিমানগুলো অন্ততপক্ষে ৫৬টি লক্ষ্যে হামলা চালিয়েছে। বিবিসি

সিরিয়ায় মার্কিন অভিযানে আইএসের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা নিহত

সিরিয়ায় মার্কিন অভিযানে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সেকেন্ড ইন কমান্ড আবদুল রহমান মুস্তফা আল কাদুলি ওরফে হাজী ইমাম নিহত হয়েছেন। 
শুক্রবার তার নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশটন কার্টার।
 
তিনি বলেন, এই অভিযানে আবদুল রহমান মুস্তফা আল কাদুলিসহ আইএসের বেশ কিছু নেতা নিহত হয়েছেন। এর ফলে সংগঠনটির অভিযান চালানোর সক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে কাদুলি কখন কীভাবে নিহত হয়েছেন, তা উল্লেখ করেননি কার্টার।
 
মার্কিন কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর অভিযানে নিহত হন আবদুল রহমান মুস্তফা আল কাদুলি। এর আগে আবদুল রহমান কাদুলিকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সাত মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। এএফপি ও বিবিসি

ঘুষ নেয়ার অভিযোগে মার্কিন সাবেক নৌ কর্মকর্তার কারাদণ্ড

ঘুষের বিনিময়ে মালয়েশীয় এক প্রতিরক্ষা ঠিকাদারের কাছে গোপন তথ্য ফাঁস করার দায়ে ড্যানিয়েল ডুসেক নামে  নৌবাহিনীর এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে প্রায় চার বছর কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত।
 
বিচারে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ডুসেককে ৭০ হাজার ডলার জরিমানা ও নৌবাহিনীকে ৩০ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়েগো আদালতের বিচারক জ্যানিস স্যামমার্তিনো বলেন, ‘আদালতের কাছে এটি সত্যি অকল্পনীয় যে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীতে আপনার অবস্থানে থাকা একজন, হোটেল রুম, এন্টারটেনমেন্টে এবং যৌনকর্মীদের বিনিময়ে তথ্য পাচার করেছেন।’
 
অভিযুক্ত কর্মকর্তা বিলাসবহুল হোটেলে অবস্থান ও যৌনকর্মীদের সেবার বিনিময়ে ওইসব তথ্য ফাঁস করেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ইতিহাসে এটি অন্যতম বড় ধরনের অবৈধ লেনদেনের ঘটনা। এ ধরনের ঘটনায় জড়িয়ে পড়া সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে ডুসেকই সবচেয়ে উচ্চপদস্থ।
 
ঘুষের বিনিময়ে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে ২০১৫ সালে দোষী সাব্যস্ত হন ডুসেক। আদালতকে তিনি বলেন, নিজের কৃতকর্মের জন্য তিনি কোনোদিন নিজেকে ক্ষমা করবেন না। বিবিসি

বাগদাদে আত্মঘাতী হামলায় মেয়রসহ নিহত ৩০

ইরাকের রাজধানী বাগদাদে একটি ফুটবল স্টেডিয়ামে আত্মঘাতী বোমা হামলায় শহরের মেয়রসহ অন্তত ৩০জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক। ইতোমধ্যে হামলার দায়ভার স্বীকার করেছে আইএস।
 
স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় বাগদাদের দক্ষিণে অবস্থিত আলেকজান্দ্রিয়ার একটি স্টেডিয়ামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই স্টেডিয়ামে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ চলছিল।
 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates