টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লড়াই করে হারল আফগানিস্তান। ম্যাচের শুরুতে আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানরা ঝড়ো ব্যাটিং করে জয়ের আশা জাগিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা আর পেরে ওঠেনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান তোলে আফগানিস্তান। ফলে ৩৭ রানে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এবি ডি ভিলিয়ার্সের তাণ্ডবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৯ রান সংগ্রহ করে ফাফ ডু প্লেসিসের দল।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ম্যাচের মতো দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন কুইন্টন ডি কক। হাশিম আমলার সঙ্গে ২.৪ ওভার স্থায়ী উদ্বোধনী জুটিতে ২৫ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। আমলা (৫) তৃতীয় ওভারে প্যাভিলিয়নে ফেরার পর ফাফ ডু প্লেসিসের সঙ্গে সাত ওভারে ৬৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন ডি কক। তবে ৭ রানের ব্যবধানে এই দুই ব্যাটসম্যান ফিরে গেলে কিছুটা চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। আমির হামজার বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৪৫ রান করেন ডি কক। ৩১ বলের ইনিংসে ৬টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন তিনি। আর ২৭ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪১ রান করেন অধিনায়ক ডু প্লেসিস।
বাকিটা সময়ের প্রায় পুরোটাই বোলাদের শাসন করেন ডি ভিলিয়ার্স। চতুর্থ উইকেটে জেপি ডোমিনির সঙ্গে ৫.৫ ওভারে ৭৬ রানের জুটি গড়েন তিনি। এই জুটিতে ডোমিনির অবদান মাত্র ১৪ রান, ডি ভিলিয়ার্স একাই করেন ৫৯।
মোহাম্মদ নবির বলে আরেকটা ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে নুর আলি জাদরানের হাতে ধরা পড়েন ডি ভিলিয়ার্স। ২৯ বলে ৪টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৬৪ রান করেন। শেষ দিকে দুইশ ছাড়ানো ইনিংসে অবদান রাখেন ডেভিড মিলার (৮ বলে ১৯) ও দুমিনি (২০ বলে অপরাজিত ২৯)।
এ্দিকে ২১০ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দুর্ধর্ষ ব্যাটিং করে আফগানরা। ওপেনিং জুটি পাওয়ার প্লের প্রথম ৪ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে সংগ্রহ করে ৫২ রান। এরপর উইকেট পড়তে থাকলেও রানের গতি থেমে থাকেনি। শেষ পর্যন্ত দ্রুত কিছু উইকেটের পতন ঘটলে ২০ ওভারে ১৭২ রানে শেষ হয় আফগানদের ইনিংস।
ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন ক্রিস মরিস। আফগানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন মোহাম্মদ সেহজাদ।
No comments:
Post a Comment