মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেতা অং সান সু চি তার ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমক্রেসি (এনএলডি) দলের আসন্ন সরকারে আনুষ্ঠানিক কোনো পদে না গিয়ে দলীয়প্রধান হিসেবেই সরকারের হাল ধরবেন বলে জানা গেছে। রোববার এনএলডির পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
মিয়ানমারের পার্লামেন্ট গেল সপ্তায় থিন কিয়াওকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছে। শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চির ঘনিষ্ঠবন্ধু এবং আস্থাভাজন ব্যক্তি কিয়াও। এর মধ্যদিয়ে ১৯৬০-এর দশকের পর প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনীর বাইরে সাধারণ মানুষ থেকে কাউকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পেল দেশটির জনগণ।
গেল নভেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডি ঐতিহাসিক বিশাল জয় অর্জন করে। কিন্তু সাবেক জান্তা সরকার প্রণীত সংশোধিত সংবিধান অনুযায়ী কারো সন্তান কিংবা স্বামী বিদেশি নাগরিক হলে সেই ব্যক্তি দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। সু চির দুই সন্তান এবং স্বামী কারোরই মিয়ানমারের নাগরিকত্ব নেই। এ কারণেই তিনি প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি।
ইতোপূর্বে সু চি ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট পদের উপরে থেকেই দেশ পরিচালনা করবেন। তবে সেটি কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, এনএলডির পক্ষ থেকে এই বিষয়ের কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। এ কারণেই ১ এপ্রিল থেকে নতুন সরকার ক্ষমতাগ্রহণের পর সরকারে সু চির জন্য অবশ্যই কোনো না কোনো পদ রক্ষিত হবে বলে ব্যাপকভাবে জল্পনা-কল্পনা হচ্ছিল।
এনএলডির মুখপাত্র জ মিনত মাউঙ্গ রোববার রয়টার্সকে বলেন, কোনো পদগ্রহণ আর গুরুত্বপূর্ণ নয়। যুক্তরাষ্ট্রে অনেক প্রখ্যাত আইনপ্রণেতা রয়েছেন যারা খুবই প্রভাবশালী কিন্তু তারা মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত নন। তিনি আরো বলনে, এখানেও একই বিষয়। তিনি ক্ষমতাসীন দলকে নেতৃত্ব দেবেন। সুতরাং এই দলের দ্বারা গঠিত সরকারের নেতৃত্ব দেবেন তিনিই।
তবে এরবাইরে ওই মুখপাত্র বিস্তারিত আর কোনো পরিকল্পনা প্রকাশ করেননি। এনএলডির একজন শীর্ষনেতা উইন থেইন নভেম্বরে বলেছিলেন, সু চির অবস্থান হতে পারে অনেকটা “সোনিয়া গান্ধির মতো।”
তবে অক্টোবরে সু চি বলেছিলেন, তার পরিকল্পনা ‘ওইরকম (সোনিয়া গান্ধির মতো) নয়’। অবশ্য পরিকল্পনার বিস্তারিত কিছু তিনি প্রকাশও করেননি। ইতালি বংশোদ্ভূত সোনিয়া ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধির স্ত্রী। কংগ্রেস পার্টির প্রধান হিসেবে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর সরকারে ব্যাপকমাত্রায় প্রভাব রেখেছিলেন। রয়টার্স।
No comments:
Post a Comment