তিউনিসিয়ায় শুধুমাত্র নারীদের জন্য তৈরি একটি কারাগার রয়েছে। তবে নারীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হলেও কারাগারটি খুব দ্রুতই জনাকীর্ণ হয়ে পড়ছে।
বিশেষ করে তিউনিসিয়ার কঠোর মাদকবিরোধী আইনের কারণে, যে আইন অনুযায়ী যে কোন মাদক অপরাধের জন্য নিদেনপক্ষে এক বছর কারাগারের বিধান রয়েছে। তিউনিসের উপকণ্ঠে মেনুবা কারাগারের অভ্যর্থনা কক্ষ। অভ্যর্থনা কক্ষ থেকে সামান্য দূরেই রয়েছে শিশুদের নার্সারি। নার্সারির সামনের কক্ষে টিভি রয়েছে, অনেক খেলনা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। অনেক শিশু তাদের প্রথম পা ফেলছে এই নার্সারিতেই। এখানে উন্নয়নের একটি চিহ্ন হচ্ছে এই নার্সারিটি। যেটি সন্তানসহ মা এবং সন্তানসম্ভবা নারীদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় দিচ্ছে।
নারীদের এই কারাগারে বিভিন্ন অপরাধীর মিশ্রণ রয়েছে, কেউ হয়তো সামান্য অপরাধেই বন্দী আবার কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য কারাগারে। আনাল নামের এক বন্দী সই জাল করার অভিযোগে গত ৫ মাস যাবত সে এই কারাগারে বন্দী রয়েছে। তাঁর দাবী, সে নির্দোষ। বিচার মন্ত্রণালয়ের উচিত সই জালের মতো মামলা দ্রুত বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে সমাধান করা। ধীরগতির বিচারপ্রক্রিয়া আমাদের ওপর প্রভাব ফেলে। তিনি বলেন, আমার সন্তান কেন এখানে জন্ম নেবে? তারা বলছে, এই জায়গাটি তৈরি হয়েছে সমস্যা সমাধানের জন্য। কিন্তু তারপরও এটি কারাগার।
নারীদের কারাগারটিতে প্রায় ৪২০ জন বন্দী রয়েছে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। এই কারাগারে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীর মিশ্রণ তৈরি হয়েছে। কেউ হয়তোবা এখানে আছেন চুরির মতো সামান্য অপরাধে, আবার অনেকে গুরুতর অপরাধে। কোন কোন কক্ষে জঙ্গিবাদের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দীরাও রয়েছে।
কারাগারটির পরিচালক জামিলা স্মিদা বলছেন, নারীদের জন্য নির্মিত এই কারাগারটি কারা ব্যবস্থা সংস্কারের একটি বড় উদাহরণ। তবে একইসাথে বলছেন, তাদের কিছু করার সুযোগও খুব সীমিত। সমস্যা শুধু কারা প্রশাসনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বিচারব্যবস্থা এবং শাস্তির বিধানেও সমস্যা রয়েছে। কারাবন্দী করার পরিবর্তে আরো বেশি মানুষকে পুনর্বাসনের জন্য তিউনিসিয়ার সরকারের ওপর চাপ রয়েছে কিন্তু অনেকে বলেন, যদি আইনের সংস্কার না হয়, তবে কারাব্যবস্থার সংস্কার খুব বেশি প্রভাব রাখতে পারবে না। বিবিসি।
No comments:
Post a Comment