মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা রবিবার এক ঐতিহাসিক সফরে কিউবা যাচ্ছেন। সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র কিউবার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করাই হবে তার সফরের প্রধান লক্ষ্য। ১৯২৮ সালের পর এই প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট কিউবা সফর করছেন।
৯০ মাইল দূরের প্রতিবেশী রাষ্ট্র কিউবার সঙ্গে গত প্রায় এক শতাব্দী ধরে যুক্তরাষ্ট্রের শীতল সম্পর্ক বিদ্যমান। ২০১৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর দুই দেশের প্রেসিডেন্টের এক ঘোষণায় উষ্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার অঙ্গীকার করা হয়। এদিকে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি চিঠি যোগাযোগ গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খবর দ্য ইকোনোমিস্ট ও সিলন ডেইল নিউজের।
৮৮ বছর আগে ১৯২৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কুলিজ প্রথমবারের মতো কিউবা সফর করেন। ১৯৫৯ সালে কিউবায় অভ্যুত্থান ঘটে। ওই সময় যে সরকার আসে সেই সরকারের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এতদিন সেই ধরনের সম্পর্কই বিদ্যমান ছিল। এই সফরে ওবামা কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রোর সঙ্গে বৈঠক করবেন। তবে তিনি কিউবার সাবেক নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে বৈঠক করবেন না।
এছাড়া তিনি বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। তিনি কিউবার মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নের ব্যাপারে গুরুত্ব দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। দুই দেশের গণমাধ্যমে এই সফর ব্যাপক গুরুত্ব পাচ্ছে। দুই দেশের জনগণই চায় তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে। যুক্তরাষ্ট্র ধীরে ধীরে কিউবার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারে। এরকম ঘোষণা প্রেসিডেন্ট ওবামার বক্তব্যেও আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে কিউবার ওপর থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সফরে প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে স্ত্রী মিশেল ওবামা, মেয়ে শাসা এবং মালিয়াও যাচ্ছেন।
No comments:
Post a Comment