অবশেষে বিএনপির পূর্ণাঙ্গ মহাসচিব হলেন ‘পরিচ্ছন্ন, ভদ্র, বিনয়ী ও দৃঢ় মনোবলসম্পন্ন’ রাজনীতিক মির্জা ফখরুল ইসলাম। সেই সঙ্গে অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী আহমেদকে সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এবং মিজানুর রহমান সিনহাকে কোষাধ্যক্ষ পদেও ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ নিজে এ তথ্য জানান। তিনি জানান, গেল সম্মেলনে কাউন্সিলররা চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সব ক্ষমতা দিয়ে রেখেছিল। সেই ধারাবাহিকতায় তিনি এই তিনজনকে পদ দিয়েছেন। ২০১১ সালের ১৬ মার্চ সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন। এরপর ২০ মার্চ চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সৌদি আরবে যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে মির্জা ফখরুলকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়ে যান। তখন থেকেই দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বর্তমানে সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে বিএনপি। বিরোধী দলের দুর্যোগপূর্ণ রাজনীতিতে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’র হাল ধরে রয়েছেন বিএনপির ‘ভারপ্রাপ্ত’ মহাসচিব মির্জা আলমগীর। ‘প্রশ্নবিদ্ধ ও হাস্যকর’ বিভিন্ন মামলায় ইতোমধ্যে সাত দফায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলও খেটেছেন দলের ‘ক্লিনম্যান’ খ্যাত এই নেতা। গেল দুই বছরের মধ্যে দীর্ঘ সময় তাকে কারাগারেই থাকতে হয়েছে। সর্বশেষ গত ১ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পান তিনি। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ৮৪টি মামলা রয়েছে। দলের প্রতি এত ত্যাগ সত্ত্বেও এখনো ‘ভারপ্রাপ্তই’ রয়ে গেছেন ফখরুল।
No comments:
Post a Comment