Social Icons

Tuesday, March 22, 2016

সহিংস ইউপি নির্বাচনে পিরোজপুরে ৬ জনসহ সারাদেশে নিহত ১১, বর্জন ও স্থগিতের হিড়িক

কেন্দ্র দখল, ব্যালটে সিল, গোলাগুলি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় এ পর্যন্ত ১১ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে পিরোজপুরের ধানিসাপায় পুলিশ ও বিজিবি’র গুলিতে মারা যায় ৬ জন। এছাড়া টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীর সমর্থক ও পুলিশ-বিজিবি’র ত্রিমুখি সংঘর্ষে আরো মারা যায় ২ জন। আবার নেত্রকোনা জেলার খালিয়াঝুড়ি ইউনিয়নে আবু কাউসার নামে আরেকজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তবে এই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় অন্তত ৭ শতাধিক আহত হয়েছে। এ যেন এক দূরের তারা। মানুষ শত চেষ্টা করেও তার কাছে যেতে পারছে না। না অন্য কিছুর কথা নয়। বলছি ভোটের কথাই। এ ভোটের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছে বাংলাদেশের মানুষ। পাকিস্তানি বর্বর শাসকদের কাছ থেকে আমরা ৭০ এর নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায় করে নিয়েছিলাম। যে নির্বাচনে জনগন বাংলাদেশের ‘স্বাধীনতা ঘোষণা’ করেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম ভোট কালিমামুক্ত ছিল না। জিয়া-এরশাদের জমানায় ‘হ্যা’ ‘না’ ভোটের মতো আজগুবি ভোটের সাক্ষী হয়েছে এ দেশের জনগন। বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদই সর্বপ্রথম বাংলাদেশের মানুষকে শান্তিপূর্ণ ভোট দেয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন। ১৫ই ফেব্রুয়ারির গায়েবি ভোট বাদ দিলে ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনও মোটাদাগে অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি বাংলাদেশ আবার ফিরে যায় ভোটের কলঙ্কজনক অধ্যায়ে। শাসক নির্বাচনের জন্য কারও ভোটের প্রয়োজন হয়নি। যায় দিন ভালো যায়- বহু পুরনো বাংলা প্রবাদ। বাংলাদেশ এখন সে প্রবাদের যুগে বাস করছে। ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনে প্রধান বিরোধী শক্তিগুলো অংশ নেয়নি। যে কারণে জবরদস্তির চিত্র পরিষ্কার ছিল না। ছিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার জয় জয়কার। কিন্তু এরপরের স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে অংশ নিচ্ছে বিএনপি এবং অন্য দলগুলো। দলীয় প্রতীকে হওয়া এসব নির্বাচন এখন পরিণত হয়েছে জোর যার মুল্লুক তার টাইপের নির্বাচনে। এবং সবাই জানেন জোরটা এখন কার। যাদের জোর আছে তারাই নির্বাচনে জয়ী হচ্ছেন। ভোট এখন পরিণত হয়েছে নিছক আনুষ্ঠানিকতায়। বেশিরভাগ কাজ হয়ে যাচ্ছে আগেই। ভোটের দিন ভোটাররা কেন্দ্রে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। তাদের হয়ে ‘বালকেরা’ ভোট দিয়ে দিচ্ছেন। যারা একটু প্রতিবাদী হওয়ার চেষ্টা করছেন নিজ দলের হলেও রেহাই নেই তাদের। কারও ঠাঁই হচ্ছে কারাগারে। কেউ হামলার শিকার হচ্ছেন। মঙ্গলবার সকাল থেকেও যথারীতি একইধরনের খবর পাওয়া গেছে। ইউপি নির্বাচনে সকাল সকালই কায়েম হয়েছে দখলের রাজত্ব। এ যেন ভোট জালিয়াতির উৎসব। ঘটেছে নানারকম ঘটনা। গুলির শিকার হয়েছেন নির্বাচনি কর্মকর্তারাও। কোথাও কোথাও ব্যালট পেপারে সিল মারা হয়েছে রাতেই। যেসব এলাকায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে সেখানে কিছুটা ঝামেলা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ এলাকায় জাল ভোট চলেছে নির্বিঘেœ। ভোটের ফলাফল কি তা ভোট শুরুর পরপরই নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ ভোটের আগের দিন নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু ভোটের পরে তিনি কি বলবেন তা অনুমান করা যায়। তিনি হয়তো বলবেন, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। কাজী রকিব তা বললে মিথ্যা হবে না। কারণ এটা সত্য বাংলাদেশে এখন, ভোট বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ভোটার থেকে। ব্যালটের ওপর নিজের অধিকার হারিয়ে ফেলেছেন জনতা। নির্বাচন কমিশন জেলার ৩টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে। জালভোট ও কারচুপির অভিযোগে পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী ও কাচিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট বর্জন করেন। পিরোজপুরে পুলিশ-বিজিবির গুলিতে নিহত ৬: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ধানীসাফা ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন শাহাদত (৩০), সোহেল (২৫), বেলাল (৩০), সোলায়মান (২০) ও কামরুল মৃধা (২৫)। মোতাহের নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ধনীসাফা ইউনিয়নের কলেজ কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ফলাফল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু ওই কেন্দ্রের আওয়ামী লীগ প্রার্থী গোপন সূত্রে খবর পান যে তিনি পরাজিত হতে যাচ্ছেন। এ খবর শোনার পর তার সমর্থকরা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সমর্থকদের অনেক বোঝানোর পরেও তারা শ্লোগান দিতে থাকেন এবং ইট পাটকেল ছুড়েন। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা গুলি ছোড়ে এবং ঘটনাস্থলেই ছয়জন মারা যান। টেকনাফে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ২: কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নে ত্রিমুখী সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন।মঙ্গলবার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর রাত পৌনে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নির্বাচিত চেয়ারম্যান নুরুল হোসেনের ভাই আব্দুল গফুর (২৮) ও ৭নং ওয়ার্ডের মাঝেরপাড়া গ্রামের মো. সফিক। ঝালকাঠি: সদর উপজেলায় এক ইউপি সদস্য প্রার্থীর ভাই আবুল কাশেম সিকদার (৫৫) নামে একব্যক্তি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে নবগ্রাম ইউনিয়নের একটি ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। নোয়াখালী: হাতিয়ার চরকিং বিদ্যালয় কেন্দ্রে সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারকে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। নেত্রকোনায় আ.লীগ প্রার্থীর ছোট ভাই নিহতঃ নির্বাচনী সংহিসতায় নেত্রকোনার ৩নং খালিয়াজুরি উইনিয়নের আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ছোট ভাই গোলাম কাউসার (২৮) নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। খালিয়াজুরি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঝালকাঠিতে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ১ঃ ঝালকাঠিতে নির্বাচনী সহিংসতায় এক ইউপি সদস্য প্রার্থীর ভাই নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত আবুল কাশেম সিকদার (৫৫) ইউপি সদস্য প্রার্থী চুন্নু সিকদারের ভাই। নিহতের ছেলে সোহাগ সিকদার এ অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের কালিয়ান্দার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইউপি সদস্য প্রার্থী সজীব হোসেনের সমর্থকরা দলবল দিয়ে জাল ভোট দিচ্ছিল। এতে বাঁধা দেন চুন্নু শিকদারের সমর্থকরা। এমন সময় সজীব হোসেনের সমর্থকরা লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলা চালান চুন্নু শিকদারের সমর্থকদের উপর। এতে আবুল কাশেম সিকদার নিহত হন। আহত হয় কমপক্ষে ৫ জন। মঙ্গলবার বিকেলে সদর হাসপাতালে নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়াও গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র (আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী) চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম লিটনের ছোট ভাই প্রিন্সকে কুপিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। স্থানীয়রা জানায়, সকাল সাড়ে ৯টায় ইউনিয়নের রমজানকাঠি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট প্রদানে বাধা দেয় প্রিন্স। এতে প্রতিপক্ষ ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে কুপিয়ে আহত করে। আহতের স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসাপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বরিশাল শেরে-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। তিনি বর্তমানে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ইউপি নির্বাচন: ত্রিমুখি সংঘর্ষে পুলিশসহ গুলিবিদ্ধ ১০ : কুতুবদিয়ায় ইউপি নির্বাচনে ত্রিমুখী সংঘর্ষে পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৪ জন। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে বড়ঘোপ ইউনিয়নের মনুয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ সদস্যসহ আহতদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি। আহতদের কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অংসা থোয়াই বলেন, কিছু দুর্বৃত্ত দখলের জন্য ভোট কেন্দ্র এলাকার ভেতর আসতে চাইলে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বাধা দেন। এতে দুর্বৃত্তরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও বিএনপির প্রার্থী মোবারক হোসেন এর সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকরা সংঘর্ষে পরস্পরের দিকে গুলিবর্ষণ করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। তিনি আরও বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় ৪জন পুলিশ সদস্যসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১০ জন গুলিবিদ্ধ রয়েছেন। তবে গুলিবিদ্ধদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্ককাজনক। বর্তমান পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সিলেটে বিজিবি-ছাত্রলীগ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ: সিলেটের আখালিয়া এলাকায় জাল ভোট দেয়া ও কেন্দ্র দখল নিয়ে বিজিবির সঙ্গে ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় বিডিআর ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ফলে আতঙ্কে ভোটাররা ভোটকেন্দ্র থেকে চলে গেছেন। বর্তমানে একপাশে বিজিবির সদস্যরা অন্যপাশে ছাত্রলীগ রাম দাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নিয়ে আছে। এতে ওই এলাকা চরম আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। সহিংসতা: ৪০ কেন্দ্রে ভোট স্থগিত: অনিয়ম ও সংঘর্ষের ঘটনায় ৪০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ তথ্য জানিয়েছে। ইসির তথ্যমতে, বিচ্ছিন্নভাবে ৪০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করার ঘোষণা দেয়া হলেও গোটা ইউনিয়নের অন্য কেন্দ্রগুলোতে যথারীতি ভোগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। চট্টগ্রাম, বরিশাল আর খুলনা বিভাগসহ অন্য অনেক জেলায় ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, কেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। আর এর মধ্য দিয়েই বিকেল ৪টার দিকে শেষ হয় ভোটগ্রহণ। পরে কেন্দ্রে কেন্দ্রে চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ সাধারণ ও সংরক্ষিত মেম্বার পদের ভোট গণনা শুরু হয়। সাতক্ষীরা: ভোটে কারচুপি, নির্বাচনে অনিয়ম ও সহিংসতার কারণে জেলার ৫ উপজেলার ১২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- তালা উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের ভাগবাহ, অভয়তলা ও দাতপুর, সদর উপজেলার আলীপুর, মাহমুদপুর, ভাড়ুখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমিনিয়া দাখিল মাদরাসা, কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের কলাটুপি, দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের খেজুরবাড়িয়া, শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের মেহেদী নগর, মাহজানপুর ও পূর্বখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। কারচুপির অভিযোগে বিদ্রোহী ও বিরোধীদের ভোট বর্জন : ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সারাদেশে ৭১৭ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণের শুরু থেকে কারচুপি ও কেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপারে সিল দেয়ার অভিযোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলেন বিদ্রোহী ও বিরোধী দলের প্রার্থীরা। বরিশাল : কারচুপির অভিযোগ তুলে বিএনপিসহ ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ১২ চেয়ারম্যান প্রার্থী। সকাল ৯টার দিকে কারচুপি এবং নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে হিজলা উপজেলায় বিএনপির ৪ প্রার্থী একযোগে বর্জনের ঘোষণা দেন। এরা হলেন- উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নে আফসার উদ্দিন হাওলাদার, হরিনাথপুর ইউনিয়নে মনজুর কবীর, গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নে আলী আহমেদ হাওলাদার এবং বড়জালিয়া ইউনিয়নে খলিলুর রহমান। সেইসাথে বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মজিবুর রহমান, উজিরপুর উপজেলার শাপলা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন এবং আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকলি ইবুনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী লাবনী আক্তারও ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। এদিকে, বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দড়িজর খাজুরিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। বেলা সোয় ১২টার দিকে বানারীপাড়ার বাইশারী ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী নাসির উদ্দিন রাঢ়ীও ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। পাবনা : পাবনার বেড়া উপজেলার মাসুমদিয়া ইউনিয়নের বিএনপির দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী শামসুর রহমান সমেজ নির্বাচন বর্জন ঘোষণা করেছেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় তার নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। তিনি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী মিরোজ হোসেন ও তার সমর্থকরা জোর করে নৌকা প্রতীকে সিল মারছে, বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকদের মারপিট করছে, এজেন্টদের বুথ, কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া পটুয়াখালী : বগা ইউনিনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএস ইউসুফ, ঝুলিয়ার বিএনপি সমর্থিত জব্বার মৃধা, কেশবপুরের স্বতন্ত্র প্রার্থী তসলিম তালুকদার, কালাইয়ার বিএনপি মনোনীত নূর হোসেন, কনকদিয়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমর্থিত প্রার্থী, গজালিয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী নাইমূল ইসলাম ও কালিসুরির বিএনপির রায়হান জব্বার। ভোলা : জেলা সদরের বাপ্তা ও বোরহানউদ্দিনের কাচিয়া ইউনিয়নে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- ভোলা সদরের বাপ্তা ইউনিয়নের বিএনপি প্রার্থী হাসান তৌফিক রিহিন, বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী নুরুল আমিন নীরব ও একই ইউনিয়নের বিএনপির প্রার্থী শেখ সাদী হাওলাদার। খুলনা : জেলার রূপসা উপজেলার আইচগাতি ইউনিয়নে পুলিশি পাহারায় ভোটকেন্দ্র দখলের অভিযোগ করে ভোট বর্জন করেছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জুলফিকার আলী খান জুলু। তিনি অভিযোগ করেন, ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আশরাফুজ্জামান বাবুল সকাল ৮টা ৫ মিনিটের মধ্যে সব কেন্দ্র দখল করে নেন। বিএনপির এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পুলিশ বাইরে থেকে তাদের পাহারা দিচ্ছে। নরসিংদী : জেলায় অনিয়মও কেন্দ্র দখলের অভিযেোগ ডাঙ্গা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ মো. সৈয়দ ইকবাল ভোট বর্জন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। ঝালকাঠী : ব্যাপক অনিয়ম, কারচুপি, ভোটকেন্দ্র দখল এবং এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়ার অভিযোগে রাজাপুরের তিন ইউনিয়নে বিএনপিসহ ৩ প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। নির্বাচন বর্জনকারীরা হলেন- ২নং শুক্তাগড় ইউনিয়নের বিএনপি প্রার্থী তালুকদার আবুল কালাম আজাদ, ৩নং রাজাপুর সদর ইউনিয়নের প্রার্থী জি এম কামরুল আলম (সগির মাতুব্বর), এবং ১নং সাতুরিয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী হেমায়েত হোসেন নুরু মিয়া। লক্ষ্মীপুর : জেলার কমলনগর উপজেলার ৪ ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেছেন। বর্জনকারী বিএনপির প্রার্থীরা হলেন- হাজিরহাট ইউনিয়নের ফরহাদ হোসেন মিয়া, চরফলকন ইউনিয়নের আবদুল ওদুদ হাওলাদার, পাটোয়ারীরহাট ইউনিয়নে অধ্যাপক জামাল উদ্দিন তালুকদার ও তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নে মো. মোসলেহ উদ্দিন। কক্সবাজার : কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল ইউপি নির্বাচনে কেন্দ্র দখল করে কারচুপির অভিযোগে ভোট বর্জন করেছেন বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে কেন্দ্র দখলের অভিযোগে ভোট বর্জন করেন বলে নিশ্চিত করেছেন ধানের শীষের প্রার্থী ফিরোজ খান চৌধুরী।

 

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates