Social Icons

Showing posts with label জানা-অজানা. Show all posts
Showing posts with label জানা-অজানা. Show all posts

Saturday, March 9, 2019

পুরুষরা প্রেমে পড়তে ভয় পান এই সুন্দরীর! কেন এই বিপত্তি


ছবি দেখেই যে কেউ প্রেমে পড়তে বাধ্য। কিন্তু ইনি এখন ‘মাস্‌ল বার্বি’ নামে খ্যাত। ২১ বছর বয়সি রাশিয়ান এই যুবতীই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছেন। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মাত্র ১৫ বছর বয়সেই জিমে যাওয়া শুরু করেন জুলিয়া। কয়েকদিন আগে এই সুন্দরী বডিবিল্ডারের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।
ভিডিও-তে ১৮০ কেজি ওজন নিয়ে লিফটিং করতে দেখা যায় তাঁকে। নিয়মিত শরীরচর্চা ও সময় করেই খাওয়াদাওয়া করলেই ভাল শরীর গঠন করা যায় বলে মনে করেন জুলিয়া। এখন সপ্তাহে পাঁচদিন জিমে যান বলে জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি বডি বিল্ডিং-এর বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাতেও অংশগ্রহণ করেছিলেন জুলিয়া।
তবে জুলিয়াকে নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে বিভিন্ন মহলে। তবে এসবে গুরুত্ব দিতে নারাজ জুলিয়া। উলটে সমালোচনা করা হলে মানসিক ভাবে শক্ত হওয়া যায় বলে জানিয়েছেন জুলিয়া। তাঁর মত, চেষ্টা করলে মহিলারাও পুরুষদের পাল্লা দিতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিদিনই ভাইরাল হচ্ছে জুলিয়ার ছবি। দিন দিন বাড়ছে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা। এখন তাঁর ফেসবুকে ৩ লক্ষ ও ইনস্টাগ্রামে ৬ লক্ষ ফলোয়ার রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।  

বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী নারীর বাস যে দেশে, বাঁচে ১৬০ বছরেরও বেশি!

সারাবিশ্বে ভালো বা মন্দসহ বেশকিছু কারণেই অনেক সম্প্রদায় বা উপজাতি বিশেষভাবে পরিচিত। তবে হানজা সম্প্রদায়ের নাম পরিচিত বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী নারীর কারণে। হানজা উপত্যকায় বাস করে বলে তারা ‘হানজা সম্প্রদায়’ নামে পরিচিত।
সাধারণ মানুষের তুলনায় এই সম্প্রদায়ের মানুষ বেশিদিন বাঁচে বলেও একটা কথা প্রচলিত আছে। বলা হয়, একজন সাধারণ নারী যেখানে ৬০ বছর বাঁচার কথা চিন্তাভাবনা করে, সেখানে হানজা সম্প্রদায়ের নারীরা ১৬০ বছরেরও বেশিদিন বাঁচে।
হ্যাঁ, এটিই পৃথিবীর একমাত্র সম্প্রদায় যারা গড়ে ১০০ বছরেরও বেশিদিন বাঁচে। আরও একটি বিস্ময়কর তথ্য হলো এই সুন্দরী নারীরা ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত সন্তান জন্মদানে সক্ষম। গ্রীক বীর আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট এই সম্প্রদায়ের পূর্বপুরুষ বলে দাবি করে তারা।
আফগানিস্তান ও চীনের সীমান্ত লাগোয়া পাকিস্তানের একেবারে উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত হানজা উপত্যকায় বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী নারীদের এই সম্প্রদায়ের বাস। তারা পাহাড়ের একটি ছোট অঞ্চলে বসবাস করে এবং নিজেদের মধ্যেই বিয়ে করে থাকে।
হানজা সম্প্রদায়ের সৌন্দর্য এবং আয়ু কেন এত বেশি তা জানার জন্য অনেক ধরনের গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, তারা ধরাবাঁধা জীবনযাপন করে। দিনে দুই বেলা খায় এবং অনেক কায়িক পরিশ্রমের কাজ করে।
এই সম্প্রদায়ের ৯৯ শতাংশ মানুষই ভেজিটেরিয়ান এবং তাদের খাদ্যদ্রব্যগুলোর বেশিরভাগই তৈরি পনির, দুধ, বাদাম এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য থেকে। শিশুকাল থেকেই এই সম্প্রদায়ের মেয়েদের সৌন্দর্য বিকশিত হতে শুরু করে।
এসব নারীর সৌন্দর্যের একটি গোপন রহস্য হলো তারা পানির চেয়ে মদ পান করে বেশি। এছাড়া তারা তাদের অবিশ্বাস্য সৌন্দর্যের আরেকটি কারণ হলো যোগব্যায়াম। দিনের কাজ শুরু করার আগে সকালে তারা কমপক্ষে ৩ ঘণ্টা যোগব্যায়াম করে।
উপত্যকায় বাস করা এই হানজা সম্প্রদায়ের মানুষ নিয়মিত শ্বাসক্রিয়ার ব্যায়াম করে, যা তাদের চর্ম ও শরীরকে নানাভাবে উপকৃত করে। তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার হার ৯০ শতাংশের ওপরে বলে শোনা যায়। সূত্র: ভারতীয় গণমাধ্যম ডেইলি হান্ট।

Tuesday, March 5, 2019

পুরুষদের ব্যাচেলর সমস্যা দূর করতে আসছে রোবট ‘বধূ’

চীনে নারীর তুলনায় পুরুষের সংখ্যা বেশি হয়ে যাওয়ায় গবেষকরা তৈরি করেছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআই) সম্পন্ন রোবট 'বধূ'। চীন ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম সোহুর দাবি, 'এই 'এআই ওয়াইফ' রোবট উদ্ভাবনে ভবিষ্যতে আর আসল মানুষকে বিয়ে করার প্রয়োজন হবে না'। তবে রোবটটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের নাম এখনও জানানো হয়নি।
চীনা গবেষকদের তৈরী এই রোবটের মুখ ও অভিব্যক্তি হবে সত্যিকারের নারীর মতো। এমনকি তার ত্বকের তাপমাত্রাও হবে সাধারণ মানুষের মতোই। তবে এই 'এআই ওয়াইফ' মূলত সেক্স রোবট হলেও ঘরের নিত্যদিনের সব কাজের পাশাপাশি মানুষের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে সক্ষম বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। ভবিষ্যতে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী তৈরি করা হবে এই রোবট যার জন্য ক্রেতাদের গুনতে হবে প্রায় ৩ হাজার মার্কিন ডলার বা আড়াই লাখ বাংলাদেশি টাকা।
বেইজিংয়ে অবস্থিত ক্যাপিটাল নরমাল ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন অধ্যাপক লি ইউয়ানহুয়া জানান, 'চীনে নারীর তুলনায় পুরুষের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রধান কারণ এক-সন্তান নীতি। চীনে বর্তমানে প্রতি ১০০ নারীর জন্য রয়েছে ১০৪.৬৪ জন পুরুষ। এ কারণে অনেক পুরুষ বিয়ে করার জন্য কাউকে খুঁজে পাচ্ছেন না। প্রায় ৬০ লাখ অবিবাহিত পুরুষ সম্মুখিন হচ্ছেন এই সমস্যার'।
পাশাপাশি দেশটির অবিবাহিত পুরুষদের বিয়ের জন্য মেয়ে খুঁজে না পাওয়ার বিষয়ে চাইনিজ একাডেমি অব সোশ্যাল সায়েন্সেস জানায়, '২০২০ সাল নাগাদ চীনে ২৪ মিলিয়ন সিঙ্গেল পুরুষ থাকবে, যারা বিয়ে করার জন্য মেয়ে পাবে না। তাদের কথা মাথায় রেখেই এই 'রোবট ওয়াইফ' তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে'।
তবে অবিবাহিত পুরুষদের সমস্যা সমাধানের জন্য নির্মিত 'রোবট ওয়াইফ' নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। অনেকেই মনে করছেন এই রোবট তৈরির পেছনে চীন সরকারের অসাধু উদ্দেশ্য থাকতে পারে। এ বিষয়ে চীনা পর্যবেক্ষক গু হে নিজের মতামত জানিয়ে বলেন, 'এই রোবট একজন মানুষের ঘরের ভেতরের ছবি, ভিডিও, এমনকি কথোপকথন রেকর্ড করতে পারে এবং গুপ্তচরের কাজ করতে পারে'। আবার অনেকের আশঙ্কা, এমন রোবট মানব জাতির বিলুপ্তির কারণও হয়ে উঠতে পারে।

এইডসমুক্ত হলেন দ্বিতীয় ব্যক্তি, সাফল্যে আলোড়ন

ব্রিটেনের এক ব্যক্তি বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টের মাধ্যমে এইডস থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পেয়েছেন। তার নাম দেয়া হয়েছে, ‘লন্ডন পেশেন্ট’। এইচআইভি প্রতিরোধী বোন ম্যারো স্টেম সেল প্রতিস্থাপনের প্রায় তিন বছরের মাথায় তার শরীর থেকে এইচআইভির জীবাণু সম্পূর্ণরূপে দূর করার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন চিকিৎসকরা। বিবিসি, আল-জাজিরা।
চিকিৎসক দলের এক সদস্য রবীন্দ্র গুপ্তা জানান, নানা রকম পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে ওই ব্যক্তিকে এইচআইভি মু্ক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ১৮ মাস পার হলেও ওই ব্যক্তি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন।
২০০৭ সালে টিমোথি ব্রাউন নামক এক আমেরিকান ব্যক্তি এইচআইভি-তে আক্রান্ত হন এবং তিনি চিকিৎসার মধ্যে দিয়ে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যান। তিনিই বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি যিনি এইচআইভি থেকে নিষ্কৃতি পান এবং এখনও পর্যন্ত তিনি রোগমুক্ত আছেন। তবে এরপর দ্বিতীয় কোন ব্যক্তিকে একই পদ্ধতি চিকিৎসা দিয়েও দীর্ঘদিন সাফল্য পাচ্ছিলেন না চিকিৎসকরা।
এই মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী ৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ এইচআইভি-তে আক্রান্ত। ১৯৮০ সাল থেকে আজ পর্যন্ত সাড়ে ৩ কোটি মানুষ মারা গেছেন এই রোগে। তবে কয়েক বছর আগে উদ্ভাবিত জটিল ভাইরাস দিয়ে তৈরি ওষুধ দ্বারা এইচআইভি নিয়ন্ত্রণে রেখে স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব হচ্ছে।
এইডসমুক্ত হলেন দ্বিতীয় ব্যক্তি, সাফল্যে আলোড়ন

এইচআইভিকে নিয়ন্ত্রিত বা ফ্রিজ করে রাখার ওষুধ উদ্ভাবনের পর রোগটিকে মরণব্যাধির তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে এটি ক্রনিক ডিজিস বা স্থায়ী রোগ। নতুন করে ‘লন্ডন প্যাশেন্ট’ এইচআইভি থেকে সম্পূর্ণ নিরাময় হওয়ার পর উম্মোচিত হয়েছে নতুন দিগন্ত।
ডাক্তার গুপ্তা জানিয়েছেন, ২০০৩ সালে ‘লন্ডন পেশেন্ট’ এইচআইভি-তে আক্রান্ত হন এবং ২০১৭ সালে তিনি হজকিন্স লিম্ফোমা নামক এক ধরনের ব্লাড ক্যান্সারেও আক্রান্ত হন। ২০১৬ সালে তিনি অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তার বাঁচার আশা ক্ষীণ হয়ে পড়ে। সেই সময় চিকিৎসকরা তার বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টের সিদ্ধান্ত নেন।

Monday, December 24, 2018

ভিনগ্রহীরা পৃথিবী ঘুরে গেছে!

ভিনগ্রহীরা পৃথিবী ঘুরে গেছে? আমরা দেখতে পাইনি এমনটিই দাবি করেছেন নাসার বিজ্ঞানী সিলভানো পি কলম্বানো। কেন দেখতে পাইনি, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নাসার এইমস রিসার্চ সেন্টারের এ কম্পিউটার বিজ্ঞানী বলেন, ভিনগ্রহীদের যে ছবি আমরা এত দিন ভেবেছি, এঁকেছি, সেই সবের সঙ্গে ভিনগ্রহীদের চেহারা মেলে না বলে।
কলম্বানোর বক্তব্য, ভিনগ্রহীদের শরীরটা যেন কোনো কার্বন যোগ দিয়ে গড়া বলে আমরা ভেবে এসেছি। হয়তো তা আদৌ সঠিক নয়। তাই পৃথিবী ঘুরে গেলেও আমরা ভিনগ্রহীদের দেখতে পাইনি।
ওই গবেষণাপত্রে কলম্বানো লিখেছেন, ভিনগ্রহীদের সম্পর্কে আমাদের ধ্যানধারণায় ভুল রয়েছে। আমরা মহাকাশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি। যাচ্ছি। অথচ, ভিনগ্রহীরাও যে এই ব্রহ্মাণ্ডে ঘুরে বেড়াতে পারে বা তাদের সেই ভ্রমণ যে আমাদেরও আগে শুরু হয়ে থাকতে পারে, এটা আমরা মাথায় রাখছি না।

Monday, May 21, 2018

শিক্ষিত স্বাবলম্বী নারীরাই ডিভোর্সের শীর্ষে

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী ছিলেন রোকেয়া ও আফজাল (ছদ্মনাম)। তাদের মধ্যে ছিল প্রেমের সম্পর্কও। স্বপ্ন ছিল বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে ভালো সরকারি চাকরি পেয়ে ঘর বাধবেন। বিসিএস-এ রোকেয়ার প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি হয়। কিন্তু আফজালের সেবার ভাগ্য খোলেনি। এরপরও রোকেয়ার উৎসাহে বিয়ে করেন তারা। দুঃসময়ে সঙ্গী ও নিজের সংসারের ভার একাই কাঁধে নেন রোকেয়া। এরপর আবার বিসিএস-এ বসেন আফজাল। পুলিশ ক্যাডারে চাকরিও পান। কিন্তু এবার পুড়ে রোকেয়ার ভাগ্য। তার সঙ্গে আর সংসার করতে চান না আফজাল। দুজনের সম্মতিতেই ইতি ঘটে একটি ভালোবাসার সংসারের। শুধু রোকেয়া আর আফজাল নয়, ভালোবাসার অনেক সংসার এখন মুহূর্তেই ভেঙে যাচ্ছে।
ভুক্তভোগী ও সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, আগের চেয়ে কর্মক্ষেত্রে নারীদের কাজ করার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় নারীরা সামাজিকতা ও লোকলজ্জার চেয়ে নিজের আত্মসম্মানকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। আর তাই সংসারে অশান্তি নিয়ে থাকার পরিবর্তে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তই বেশি নিচ্ছেন।

জানা গেছে, ঢাকায় গত এক দশকে বিবাহ বিচ্ছেদের হার আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এক্ষেত্রে বিচ্ছেদের বেশি আবেদন করছেন শিক্ষিত ও সাবলম্বী নারীরা। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন দুই এলাকাতেই নারীরা বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য পুরুষের চেয়ে বেশি আবেদন করছেন।
জরিপের তথ্যে, বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করছেন ৭০ দশমিক ৮৫ ভাগ নারী আর পুরুষের হার মাত্র ২৯ দশমিক ১৫ ভাগ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৬ সালে যেখানে বাংলাদেশে প্রতি হাজারে বিচ্ছেদের হার ছিল দশমিক ৬ জন। বর্তমানে এই হার বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে এক দশমিক এক জন। বিচ্ছেদের আবেদনকারীদের মধ্যে যারা উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন তারা হাজারে এক দশমিক ৭ জন বিচ্ছেদের আবেদন করেন। আর অশিক্ষিতদের মধ্যে এই হার হাজারে শূন্য দশমিক ৫।

রাজধানীর গত পাঁচ বছরের বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত শালিসি পরিষদের বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, পাঁচ বছরে রাজধানীতে তালাকের মোট আবেদনের ৬৬ দশমিক ১৬ শতাংশ স্ত্রী এবং ৩৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ স্বামীর পক্ষ থেকে করা হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তথ্যে, চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত তালাকের নোটিস পাওয়া গেছে ১৯৮টি। এর মধ্যে নারীরা দিয়েছেন ১৪২টি নোটিস।
উত্তর সিটি করপোরেশনও তাদের তথ্য বিশ্লেষণ করে জানায়, নারীদের তালাক দেওয়ার হার পুরুষের চেয়ে অনেক বেশি। পেশাগত উন্নয়ন, আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন এবং সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা আগের চেয়ে বেশি সচেতন। নারীরা লোকলজ্জার ভয়ে এখন আর আপস করছেন না। বরং অশান্তি এড়াতে বিচ্ছেদের আবেদন করছেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আইন বিভাগের কর্মকর্তা এস এম মাসুদুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সামাজিক জটিলতার জন্য সমাজে বিচ্ছেদের ঘটনা এক দশকে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে সন্তানের মঙ্গল ও হত্যাকাণ্ডের মতো অপরাধ রোধে বিচ্ছেদে যাওয়ার মধ্যে নেতিবাচক কিছু নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা থাকায় একজন নারী এখন তার পরিবারকেও আর্থিক সহায়তা করতে পারছে। পারিবারিক বন্ধনের চেয়ে অনেক নারী নিজের পেশা জীবনকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। আর মনস্তাত্ত্ব্বিক পরিবর্তন ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতার ফলে নারী নিজেই এখন বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী ১০ মুসলিম নারী


সৌন্দর্য নারীর শক্তি এবং এটি সবাইকে অনুপ্রাণিত করে। নারীর গ্ল্যামার, সৌন্দর্য, প্রতিভা এবং ব্যক্তিত্ব অনুসারে বিশ্বের ১০ শীর্ষ সুন্দরী মুসলিম নারীর একটি তালিকা করা হয়েছে।বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই ১০জন নারীকে নির্বাচিত করা হয়েছে। তারা প্রত্যেকেই কোন না কোন পেশায় জড়িত।
তারা আকর্ষণীয়, অনুপ্রেরণীয় এবং খুব বুদ্ধিমান। এই ১০মুসলিম নারী শুধুমাত্র সুন্দর তা নয়, তারা খুবই প্রতিভাবানও। সামাজিক কাজের জন্যও তারা বিখ্যাত।
১০. মানাল বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম সংযুক্ত আরব আমিরাতের একজন বিখ্যাত নারী। দুবাইয়ের ক্ষমতাসীন পরিবারের সদস্য। তিনি দুবাই মহিলা সংস্থার (ডিডব্লিউইউ) সভাপতি হিসেবে সবচেয়ে পরিচিত। মানাল নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করেন। তিনি ইউএই এর অর্থনৈতিক, সামাজিক, ক্রীড়া, কলা এবং রাজনৈতিক অনাচারে নারীদের সাফল্য অর্জনে সহায়তা করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
০৯. ফাহরিয়া তুরস্কের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তাকে সবাই মার্জিত বলেই জানে। তার চোখ সবার কাছেই লোভনীয়।ফাহরিয়ার বিশাল ফ্যান রয়েছে। তুরস্কের প্রায় সব শ্রেণির কাছেই তার অভিনয় ও ব্যক্তিত্বের প্রশংসা রয়েছে।
০৮. মাহির খান একজন বহুমুখী পাকিস্তানি অভিনেত্রী। তিনি পাকিস্তান বিনোদন শিল্পের উজ্জ্বল তারকা এবং পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সর্বোচ্চ বেতনভোগী অভিনেত্রীদের একজন। তিনি টেলিভিশন নাটক হুমসফারে অসাধারণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে খ্যাতি অর্জন করেছেন। এই প্রোগ্রামে, মাহির অভিনয় দক্ষতা খুব সুন্দরভাবে প্রকাশ করেন। তার পারফরমেন্স শক্তি এবং দক্ষতা প্রশংসনীয় সবাই। ২০১৭ সালের প্রথম দিকে তিনি হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ শুরু করেন। মহির রাহুল ধোলাকিয়া’র ছবি ‘রাইশে’ শাহরুখ খানের সঙ্গে অভিনয় করেন।
০৭. শেখ মাহরা বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম। হালকা বাদামী চুল, বাদাম চামড়া এবং বাদামী চোখ তার। তিনি আমিরাতের রাজকুমারী। মাহরা শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের মেয়ে। তিনি একজন ভালো ক্রীড়াবিদও। শীর্ষ ১০ বিখ্যাত মুসলিম মহিলা ক্রীড়াবিদদের একজন।
০৬. লেবাননি আবদেলনার মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে সুন্দরী নারী ও বিশ্বে মুসলিম সুন্দরী নারীদের মধ্যে ৬ নাম্বার। তিনি একইসঙ্গে সংগীত শিল্পী, মডেল ও অভিনেত্রী। তার একাধিক অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে, যা আরব বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। তার একক নাম “আইন বেস ফি অিনি (যদি সে আমার চোখে দেখতে পায়)”।
০৫. সৌদি সুন্দরী মুনা আবু সুলাইমান। তবে মুনার জন্ম আমেরিকায়। তিনি মুসলিম মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। মুনাকে একজন আরব, আত্মবিশ্বাসী এবং চিত্তাকর্ষকর ভদ্রমহিলা হিসেবেই সবাই চেনে। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়াতে ফিলাডেলফিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। সৌদি আরব, মালয়েশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রে বড় হয়েছেন বিশ্বের মুসলিম সুন্দরী নারীদের মধ্যে ৫ নাম্বার এই সুন্দরী।
০৪. ভারতীয় জারিন খান সবচেয়ে সুন্দর মুসলিম নারীদের মধ্যে অন্যতম। তিনি ভারতীয় অভিনেত্রী এবং মডেল। ভারতের মহারাষ্ট্রে একটি পাথর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। জারিন খান বিভিন্ন টিভি সিরিজ, বাণিজ্যিক এবং চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। সুপারস্টার সালমান খানসহ ভারতের নামকরা অনেক অভিনেতার সঙ্গে জারিন সিনেমায় অভিয়ন করেছেন।
০৩. মুসলিম বিশ্ব সুন্দরীদের ৩ নাম্বার তালিকায় আছেন ফিলিস্তিনি সুন্দরী নাসরিন তাফিস। সিরিয়ার আলেপ্পোতে জন্ম গ্রহণ করেন নাসরিন। সিরিয় কবি এবং লেখক ইউসেফ তাফেস এবং আলজেরীয় মায়ের ঘরে জন্ম নেন তিনি । তার সুন্দর চোখ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
০২. পাকিস্তানি রেহাম খান, সবচেয়ে সুন্দরী মুসলিম মহিলাদের মধ্যে ২ নাম্বার স্থানে আছেন। তিনি সাংবাদিক, উপস্থাপক, এবং একটি চলচ্চিত্রে প্রযোজক। ২০১৫ সালে বিখ্যাত পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ এবং সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খানকে বিয়ে করে সবার নজরে আসেন।
০১. বিশ্বসেরা ১০ মুসলিম সুন্দরী নারীদের তালিকায় এক নাম্বারে আছেন সৌদি রাজকুমারী আমেরাহ বিনতে আইডান বিন নায়েফ আল তাওয়ীল আল ওতাইবি। সৌদি আরবে নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য তিনি সুপরিচিত। নিউ হ্যাভেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজকুমারী আমিরাহ ব্যবসা প্রশাসন ডিগ্রী নিয়েছেন। তিনি আল-ওয়ালেদ বিন তালাল ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান এবং সিলতেচ এ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য। আমিরাহকে মধ্যপ্রচ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী মহিলাদের মধ্যে একজন মনে করা হয়।

Sunday, May 20, 2018

মহাকাশে মৃত্যু হলে লাশের কি হয় ?


প্রত্যেক মানুষই মৃত্যুর মিছিলের নীরব যাত্রী। ইচ্ছা-অনিচ্ছায় সবাইকে সেই শুভযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে হচ্ছে। কেউ জানে না কার, কোথায়, কিভাবে মৃত্যু হবে। মানুষের মৃত্যুর স্থান ও সময় জানেন শুধু রাব্বুল আলামিন।
মৃত্যুকে নিয়ে মানুষ অনেক ভেবেছে; কিন্তু কেউই এ থেকে রেহাই পায়নি। মৃত্যুকে ঠেকানো পৃথিবীর কারো মতা নেই মহান আল্লাহ ব্যতীত। দুনিয়ার সব দার্শনিক ও বিজ্ঞানীরা এক বাক্যে স্বীকার করেছেন মানুষ মরণশীল।
তবে মৃত্যুর পর আমাদের মৃতদেহ পচে-গলে যায় এটা আমরা সবাই জানি, কিন্তু মহাকাশে মৃতদেহের কি হয় তা কি আমরা জানি? কারণ মহাকাশে অল্প ঘনত্বের বস্তু বিদ্যমান। অর্থাৎ শূন্য মহাশূন্য পুরোপুরি ফাঁকা নয়।
প্রধানত, অতি অল্প পরিমাণ হাইড্রোজেন প্লাজমা, তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ, চৌম্বক ক্ষেত্র এবং নিউট্রিনো এই শূন্যে অবস্থান করে। তাত্ত্বিকভাবে, এতে কৃষ্ণবস্তু এবং কৃষ্ণশক্তি বিদ্যমান। মহাশূন্য এমন অনেক কিছু আছে যা মানুষ এখনও কল্পনা করতে পারেনি। তাই পৃথিবীর মত মহাকাশে মৃতদেহ পচে না। তবে কি হয়?
মহাকাশে লাশটা পচার সুযোগ পাবেনা। কারণ রেডিয়েশন ও বায়ুশূন্যতায় শরীরের যত ব্যাকটেরিয়া আছে, ওগুলো মারা যাবে বা শীতনিদ্রায় চলে যাবে। লাশটা যদি পৃথিবীর কক্ষপথের সাথে চলে তবে তা কম চাপের কারণে সিদ্ধ হয়ে মমিতে পরিণত হবে। অনেকটা ইতালির পম্পেইতে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে ধ্বংস হওয়া নগরীতে যেমন লাশ উদ্ধার হয়েছিল তেমন।
আবার যদি লাশটা পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে সৌরজগতের বাইরের দিকে থাকে, যেখানে তাপমাত্রা শূন্যের নীচে, লাশটা জমে শক্ত হয়ে যাবে। যেহেতু বায়ুশূন্যতায় তাপের পরিবহনও দ্রুত হয়না তাই এরকম হতে কয়েকদিন এমনকি কয়েক সপ্তাহও লেগে যেতে পারে।
মাউন্ট এভারেস্ট বা আল্পস পর্বতমালার হিমবাহের মাঝে লাশ যেমন বছরের পর বছর ভাল থাকে, তেমনি মহাকাশেও লাশটা কয়েক মিলিয়ন বছর পরেও চেনা যাবে, যতক্ষণ না এটা কোন জ্যোতিষ্কে পতিত হচ্ছে। তথ্য সূত্র: স্ল্যাট, নিউ অ্যামেরিকা

আমেরিকান বিজ্ঞানীদের দৃষ্টিতে রোজা রাখার ৫টি শারীরিক উপকারিতা

রোজা রাখা শুধু ধর্মীয় অনুভূতির জন্য নয়, স্বাস্থ্য রক্ষাতেও কার্যকরী৷ উচ্চ রক্তচাপ কমাতে বা শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে ভূমিকা রাখে রোজা। এর উপকারিতা সম্পর্কে জার্মানিতে একটি সমীক্ষার ফলাফলে জানা গেছে, শতকরা ৫৫ জন জার্মান একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত না খাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। একটি অ্যামেরিকান গবেষণা থেকে জানা যায়, রোজা রাখলে তা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
দূষিত পদার্থ বের করে দেয়
ফাস্টফুড, সাদা রুটি, পিৎসা জাতীয় তৈরি খাবার শরীরের ভেতরে ঢুকে ‘টক্সিন’ বা দূষিত পদার্থে রূপান্তরিত হয়৷ এগুলো শরীর থেকে বের হওয়া জরুরি৷ আর সে ক্ষেত্রেই কাজে আসে উপোস করা৷ সারাদিন না খেয়ে থাকার ফলে শরীরে জমে থাকা ফ্যাট এবং দূষিত ও ক্ষতিকারক পদার্থগুলো বিভিন্ন অঙ্গের মাধ্যমে বের হয়ে যায়৷ তাছাড়া রোজা রাখলে অনেকটা সময় না খাওয়ার ফলে পাকস্থলীর অ্যাসিড নিঃসরণও কিছুটা কমে, ফলে গ্যাসট্রিকের ব্যাথাও কম হয়।
ডায়বেটিস প্রতিরোধে সহায়ক
সারাদিন না খেয়ে থাকার কারণে শরীরের ‘গ্লুকোজ’ বা শর্করা জাতীয় খাবারের দ্রুত ক্ষয় হয় এবং তা দেহের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি যোগায়৷ এর ফলেই ‘ইনসুলিন’-এর উৎপাদন কমে যায় এবং তা প্যানক্রিয়াসকে খানিকটা বিশ্রাম দেয়৷ গ্লুকোজ ক্ষয়ের ফলে শরীরে ‘গ্লাইক্লোজেন’ তৈরি হয় এবং ‘ব্লাডসুগার’ কমে ডায়বেটিস প্রতিরোধে সহায়ক হয়।
রক্তচাপ হ্রাস করে
না খেয়ে থাকা অবস্থায় শরীরে গ্লুকোজ ও চর্বিকণাগুলোর ক্ষয় হয়ে শক্তি উৎপাদন হয় এবং ‘মেটাবলিক রেট’ কমে৷ তাছাড়া অন্যান্য হরমোনের মতো ‘স্ট্রেস হরমোন’-ও কমে, ফলে রক্তচাপও কমতে পারে৷ এছাড়াও রোজার মাসে ধূমপান কম করা হয়৷ তাই এটা ধূমপান একেবারের মতো ছেড়ে দেবারও একটা পরীক্ষা হতে পারে বলে মনে করেন অনেকে৷ সারাদিন রোজা রাখলে শরীরে ‘কোলেস্টোরল’-এর পরিমাণও কিছুটা কমে, ফলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে।
ওজন কমে
রোজা বা সংযমের মাসে সারাদিন না খাওয়াতে পাকস্থলী কিছুটা ছোট হয় তাই ওজন কমানো হয় সহজ৷ এই অভ্যাস রোজার পরে অব্যাহত রাখলে ওজন নিয়ে আর কোনো চিন্তাই থাকে না৷ অনেক জার্মান কোনো উৎসব বা উপলক্ষ্যে বেশি খাওয়া-দাওয়ার পর অথবা বছরে এক বা দু’বার নিয়ম করে কয়েকদিন উপোস করেন৷ এই উপোসের সময় খাবারের তালিকায় থাকে সেদ্ধ শাক-সবজি, সবজির স্যুপ, গ্রিন টি, অর্থাৎ প্রচুর পানি জাতীয় খাবার৷ যা শরীরকে হালকা ও পরিষ্কার করে।
রোজার পরেও সুন্দর ও ফিট থাকুন
রোজা যেহেতু এখন গরমের সময় হচ্ছে, তাই বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে শরীরে পানিশূন্যতা না হয়৷ তাই ইফতারের সময় ভাজা, পোড়া কম খেয়ে বিভিন্ন মৌসুমি ফল, ডাবের পানি ও তরমুজ খাওয়া স্রেয়৷ তরমুজ হার্ট, ধমনী, কিডনির জন্য খুব উপকারী৷ তাছাড়া আম, কাঁঠাল, আনারস, বাঙ্গি থাকতে পারে ইফতারের টেবিলে৷ এগুলোতে রয়েছে ভিটামিন এ আর সি, যা ‘অ্যান্টি অক্সিডেন্ট’ হিসেবে কাজ করে এবং রোজার পরেও ত্বক সুন্দর ও আকর্ষণীয় রাখে।

Friday, May 11, 2018

সর্বপ্রথম পোর্টেবল দ্বীপ


যারা বিশাল ধনী ব্যক্তি তারা চাইলেই এখন একটি ব্যক্তিগত দ্বীপের মালিক হতে পারবেন। শুধু পছন্দের লোকেশন জানিয়ে দিলেই তৈরি করা দেয়া হবে আপনার ব্যক্তিগত দ্বীপ। এমনটি স্বপ্ন মনে হলেও এখন আর তা স্বপ্ন নয়। কারণ বাস্তবেই জানা গেছে বিশ্বের প্রথম পোর্টেবল দ্বীপ তৈরির পরিকল্পনার কথা।
এই পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্বীপগুলো হবে পরিবেশ বান্ধব এবং নিজে নিজেই টিকে থাকতে সক্ষম। ফলে যারা অত্যন্ত ধনী, তারা পৃথিবীর যেকোন স্থানে তাদের অবসর যাপনের স্থান তৈরি করে নিতে পারবে।
দ্বীপের প্রতিটি বাড়ি তার গ্রাহকের সুযোগ-সুবিধায় পরিপূর্ণ থাকবে। যেমন সুইমিং পুল, নৌকার পোতাশ্রয়, সবুজ বাগান এসব কিছুই থাকবে সেখানে। এছাড়া প্রতিটি দ্বীপের পরিবেশগত প্রভাব সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
এই পরিকল্পনা বা উদ্যোগের পেছনে রয়েছে আমিল্লারাহ প্রাইভেট আইল্যান্ড। এর তত্ত্বাবধানে রয়েছে ডাচ ডকল্যান্ডস নামের একটি নির্মাণ (ভাসমান স্থাপনা) কোম্পানি। যারা আপনাকে যেকোন আকার ও আকৃতির দ্বীপ অফার করবে।
ডাচ ডকল্যান্ডস এই প্রোজেক্টের জন্য ক্রিস্টিস ইন্টারন্যাশনাল রিয়াল এস্টেটের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে কাজ করছে।
ক্রিস্টিস ইন্টারন্যাশনাল রিয়াল এস্টেটের প্রধান নির্বাহী ড্যান কন বলেন, ‘সত্যি সত্যিই পানির উপর ব্যক্তিগত দ্বীপ তৈরির সুযোগ এই ক্ষেত্রে ডাচ ডকল্যান্ডসের দক্ষতার প্রমাণ বহন করে।’
তিনি বলেন, ‘বিস্তৃত পরিসরের বিভিন্ন লোকেশনে ক্রেতারা তাদের বাসস্থানের আকার, আকৃতি ও ধরণ পরিবর্তন করতে পারবে। শুরুতেই মালদ্বীপে তারা এই সুযোগ পেতে যাচ্ছে।’
কোম্পানিটি ইতোমধ্যে মালদ্বীপ সরকারের সহায়তায় ১০টি স্থাপনা তৈরির কাজ শুরু করেছে। দ্বীপগুলোর ডিজাইন করেছেন বিখ্যাত ডাচ আর্কিটেক্ট কোয়েন অলথিয়াস।
পৃথিবীর যেকোন স্থানে দ্বীপ তৈরির কথা বললেও সংশ্লিষ্ট দেশের জলসীমায় এরূপ স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি বা আইনগত দিক সম্বন্ধে কোন কিছু জানায়নি কোম্পানিটি।

Saturday, April 14, 2018

কে আবিষ্কার করেছিলো আমেরিকা মহাদেশ ?

অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সোমবার মানেই আমেরিকানদের জন্য বিশেষ এক ছুটির দিন। ‘কলম্বাস দিবস’ উদযাপন করা আমেরিকানরা ইতালিয়ান অভিযাত্রী ক্রিস্টোফার কলম্বাসের অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতেই জাঁকজমকভাবে দিনটি অতিবাহিত করে। কলম্বাস যখন আমেরিকার মাটিতে পা রেখেছিলেন, তারিখটি ছিল ১২ অক্টোবর ১৪৯২।

“কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেছিলেন” বলার চেয়ে “কলম্বাস আমেরিকাকে পশ্চিম ইউরোপের সাথে পরিচিত করিয়ে দিয়েছিলেন” বলাটাই আরও বেশি যুক্তিযুক্ত। কারণ ১৪৯২ থেকে ১৫০২ সাল পর্যন্ত তার বিখ্যাত চারটি অভিযানের পথ ধরেই কানাডার উত্তর প্রান্ত থেকে চিলির দক্ষিণ প্রান্ত পর্যন্ত সব জায়গাতেই নিজেদের উপনিবেশ স্থাপন করেছে স্প্যানিশ-পর্তুগিজ-ডাচ-ব্রিটিশ-ফ্রেঞ্চরা। জেনোয়ার এই অনুসন্ধানকারীর অনেক আগেই যে মানুষ আমেরিকায় পা রেখেছিল তা এখন সর্বজনবিদিত। কিন্তু মূল প্রশ্নটি থেকেই যায়, “আমেরিকার প্রথম আবিষ্কারক কে বা কারা”? সেই প্রশ্নটির উত্তরই খোঁজা যাক।

পলিনেশিয়ান

পলিনেশিয়া! সে তো আমেরিকা থেকে কয়েক হাজার মাইল দূর। মাঝখানে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তাল ঢেউ। কিন্তু সাগরের সাথে যাদের জীবন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িত তাদের কি আর অথৈ নীলাভ সিন্ধু বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে? প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে বিশাল পলিনেশিয়ান ত্রিভূজের এক পাশে রয়েছে কিউইদের নিউজিল্যান্ড, বাকি দুই কোণায় ইস্টার আইল্যান্ড এবং হাওয়াই দ্বীপ। বলা যায়, প্রশান্ত মহাসাগরে ডুবে থাকা এই দুইটি দ্বীপই আমেরিকা মহাদেশের সবচেয়ে কাছের দুইটি সবুজ প্রান্তর। তো যাই হোক, পলিনেশিয়ানরা আমেরিকায় সত্যিই পা দিয়েছিল কিনা তার একেবারে নিখুঁত প্রমাণ না মিললেও আমেরিকায় যে তাদের নিয়ে আসা অনেক কিছুর প্রমাণ মিলেছে তা বলাই বাহুল্য।
যেমন মিষ্টি আলুর কথাই ধরা যাক। আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগেও মনে করা হতো মিষ্টি আলু দক্ষিণ আমেরিকায় পৌঁছেছে ইউরোপিয়ান ঔপনিবেশিকদের হাত ধরে, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বিজ্ঞানীদের গবেষণালদ্ধ প্রমাণ থেকে নিশ্চিন্তভাবে বলা যায়, মিষ্টি আলু দক্ষিণ আমেরিকায় পৌঁছেছে আরও অনেক আগে, প্রায় ১৩০০ থেকে ১৫০০ সালের মধ্যবর্তী সময়ে এবং তা হলো প্রশান্ত মহাসাগরের দিক থেকে, মোটেই আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে নয়। একইভাবে মুরগির হাড় পরীক্ষা করেও প্রমাণ মিলেছে পলিনেশিয়ানদের সাগর পাড়ি দেওয়ার সত্যতা। দক্ষিণ আমেরিকান আদিবাসী চুমাশ ইন্ডিয়ানদের সাথে পলিনেশিয়ানদের নৌকা তৈরি করার সাদৃশ্য, বিভিন্ন উপজাতিদের সাথে তাদের ভাষাগত মিলের কারণেও ধারণা করা হয় পলিনেশিয়ানরা আমেরিকা আবিষ্কার করেছিল ইউরোপিয়ানদের অনেক আগেই।
পলিনেশিয়ান তে’পুকে; ছবিসূত্রঃ The Vata Taumako Project
তবে অনেকেই মনে করেন পলিনেশিয়ানদের এ সকল সংস্কৃতি-রীতিনীতি কিংবা কৃষি উপাদান সরাসরি দক্ষিণ আমেরিকায় পৌঁছায়নি। পলিনেশিয়ানরা পিটকেয়ার্ন এবং ইস্টার আইল্যান্ডে বসবাস শুরু করার কিছুদিন পরেই সেখানে উপস্থিত হয়েছিল দক্ষিণ আমেরিকার আদিবাসীরা। পরে এই আদিবাসীরাই নিজেদের এলাকায় এ সকল জিনিসপত্র নিয়ে যান। তবে বেশিরভাগ বিজ্ঞানীই মনে করেন পলিনেশিয়ানদের প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দেওয়া অসম্ভব কিছু নয় এবং সেটি তারা করেছিল। চিলির উপকূলে নেমে আদিবাসীদের সাথে নিজেদের সহায়-সম্বল, সংস্কৃতির আদান-প্রদান করেছিল এবং পলিনেশিয়ায় ফিরে গিয়েছিল আমেরিকান নারীদের নিয়ে।
শিল্পীর তুলিতে হাওয়াইয়ের পলিনেশিয়ানরা; ছবিসূত্রঃ Ars Technica

আবু রায়হান আল বিরুনী

যীশু খ্রিষ্টের জন্মের পর তখনো এক সহস্র বছর পার হয়নি, আরাল সাগরের প্রাণখোলা বাতাসে আল বিরুনীর জ্ঞানের ভান্ডার ক্রমেই উপচে পড়ছে। কী পারেন না এই উজবেক জ্ঞানসন্ধানী? গণিত, জ্যামিতি, ত্রিকোণমিতি? হ্যাঁ। জ্যোতির্বিদ্যা, ভূগোল? হ্যাঁ, সাথে মানচিত্র আঁকাটাও খুব ভালোভাবে রপ্ত করেছেন ইসলামের সোনালী যুগের এই কিংবদন্তী। যুবক বয়সেই নিজের বাসার অক্ষাংশ- দ্রাঘিমাংশ বের করে ফেলেছিলেন! তারপর জোগাড় করলেন টলেমির বই, প্রাচীন গ্রিসের জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের জ্ঞানের সাহায্য নিলেন, কম্পাসের সাহায্যে ঘুরতে থাকলেন মধ্যপ্রাচ্যের আনাচে কানাচে। এভাবেই মাত্র ৩০ বছর বয়সে বের করে ফেললেন পৃথিবীর পরিধি! আর অবাক হলেও সত্যি, বর্তমান আধুনিক বিশ্বের অতি আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে যে পরিধি বের করা হয়েছে, এক হাজার বছর আগে আল বিরুনীর বের করা পরিধি থেকে তার পার্থক্য মাত্র ১০.৪৪ মাইল!
আল বিরুনী কখনো সাগরপথ পাড়ি দিয়ে আমেরিকা মহাদেশে পা ফেলেননি। কিন্তু পরবর্তীতে ইউরোপীয় বণিকদের যাত্রাপথে তার মানচিত্র বেশ কাজে লেগেছিল। পৃথিবীর পরিধি মাপার সময়েই তিনি খেয়াল করেন এশিয়ার পূর্ব প্রান্ত থেকে ইউরোপের পশ্চিম প্রান্তের মধ্যে বিশাল ব্যবধান এবং এর মধ্যে আরেকটি মহাদেশ লুকিয়ে থাকাও বিচিত্র কিছু নয়। Codex Masudicus বইয়েও নতুন মহাদেশের উল্লেখ করেন আল বিরুনী।
বিরুনীর তৈরি করা মানচিত্র; ছবিসূত্রঃ Geocities
বই-খাতাপত্রে তার আবিষ্কার লুকিয়ে থাকলেও তিনিই কি আমেরিকার প্রথম আবিষ্কারক? নাহ, আমেরিকার প্রথম আবিষ্কারকের পরিচয় খুঁজতে আরও বহুদূর যাওয়া বাকি। বিরুনী আমেরিকা মহাদেশের কথা উল্লেখ করেছিলেন ১০৩৭ সালে; এর ৩৭ বছর আগেই শীতল আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে আমেরিকা কাঁপিয়ে দিয়ে এসেছিল উত্তরের বরফের রাজ্যে টিকে থাকা ভাইকিংরা।

ভাইকিং

পলিনেশিয়ানরা প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিয়ে দক্ষিণ আমেরিকায় পৌঁছানোর আরও অনেক আগেই উত্তর আমেরিকায় নিজেদের পা রাখে ভাইকিংরা। বিখ্যাত ভাইকিং এরিক দ্য রেড (৯৫০-১০০৩)-কে নির্বাসন দেওয়ার পর আনুমানিক ৯৮২ সালের দিকে তিনি পশ্চিম দিকে যাত্রা শুরু করেন এবং খুঁজে পান বর্তমান গ্রিনল্যান্ড। তার ছেলে লেইফ এরিকসন(৯৭০-১০২০) আরও ভাল কোনো জায়গা খুঁজে পাওয়ার আশায় গ্রিনল্যান্ডের উপকূল ধরে খোঁজা শুরু করেন এবং চলে যান আরও দক্ষিণে। ধারণা করা হয়, গ্রিনল্যান্ড থেকে স্ক্যান্ডিনেভিয়ায় ফিরে আসার সময় তার জাহাজ ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়ে আরও দক্ষিণে চলে আসে এবং উত্তর আমেরিকার নোভা স্কটিয়া নামক জায়গাটি খুঁজে পান! ঝড় থেকে বেঁচে যাওয়ার কারণে তিনি ‘লেইফ দ্য লাকি’ উপাধিও পেয়ে যান তার স্বদেশী লোকজনের কাছ থেকে। পরবর্তীতে লেইফ ভিনল্যান্ড নামের জায়গায় বসতি স্থাপন করেন এবং ঐখানেই লা’নসে অক্স মিডৌ নামের স্থাপনাটিতেই ভাইকিংদের তৈরি ঘরবাড়ির নিদর্শন পাওয়া যায়, যা এখনো সেখানে রয়েছে। ১৯৬০ সালের দিকে নরওয়ের অভিযাত্রী হেলগে ইংস্টাড তার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে এই স্থাপনাগুলো খুঁজে বের করেন।
লা’নসে অক্স মিডৌ; ছবিসূত্রঃ Wikimedia Commons
সামান্য কিছু ইতিহাসবিদের মতে লেইফ এরিকসনের আগেও ৯৮৫-৮৬ সালের দিকে বিয়ার্নি হেরলুফসন ভিনল্যান্ডে পা রাখেন, কিন্তু নিখুঁত কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় তা নিয়ে আর উচ্চবাচ্য করা হয়নি। ভাইকিংরা আমেরিকায় বসতি স্থাপন করলেও আমেরিকান আদিবাসীদের তাড়া খেয়ে ভিনল্যান্ড থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে স্ক্যান্ডিনেভিয়াতেই ফিরে যায়।
গ্রিনল্যান্ডের পাড়ে লেইফ এরিকসনের মূর্তি; ছবিসূত্রঃ BBC
এদিকে লেইফ এরিকসনের অভিযানের গল্প লোকমুখে ছড়িয়ে পড়তে থাকে স্ক্যান্ডিনেভিয়া থেকে ইউরোপের উত্তরাঞ্চলে। ভাইকিংদের বেশিরভাগই নিরক্ষর হওয়ায় এসব ঘটনা কেউই লিখে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি। অবশেষে উত্তর জার্মানির অ্যাডাম অফ ব্রেমেন এসব গালগল্প একজায়গায় করে লিখে ফেলেন Gesta Hammaburgensis Ecclesiae Pontificum এবং এভাবেই শেষ রক্ষা হয় ভাইকিংদের আমেরিকা আবিষ্কারের জয়যাত্রার গল্প।
ভাইকিং জাহাজ; ছবিসূত্রঃ Spangenhelm Publishing

সাইবেরিয়ান

আমেরিকা আবিষ্কার মোটেই ৫০০-১০০০ বছরের ঘটনা নয়; আমেরিকা আবিষ্কার হয়েছিল আজ থেকে কম করে হলেও ২৩ হাজার বছর আগে! বলা যায়, ভাইকিংরা যাদের তাড়া খেয়ে পালিয়েছিল; ইউরোপিয়ানদের আনা প্লেগ যাদের সবংশে উজাড় করে দিয়েছিল; সেই মায়া-অ্যাজটেক-ইনকা সভ্যতাসহ আমেরিকার সব প্রাচীন আদিবাসীরা এসেছিল বেরিং প্রণালী পাড়ি দিয়ে শীতল সাইবেরিয়া থেকে!
দক্ষিণ সাইবেরিয়ার আলতাই পর্বতমালার লোকজনদের সাথে নেটিভ আমেরিকানদের ডিএনএ পরীক্ষা করে অবশেষে বিজ্ঞানীরা এ ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন যে সাইবেরিয়ানরাই সর্বপ্রথম আমেরিকা আবিষ্কার করেছিল। গবেষণার জন্য আমেরিকা মহাদেশের প্রতিটি দেশ এবং প্রশান্ত মহাসাগরে অন্যান্য দেশসহ প্রায় ৯০টি দেশের লোকজনের প্রায় ২৫ হাজার স্যাম্পল পরীক্ষা করা হয়।
প্রায় তের হাজার বছর আগে আমেরিকায় আলাদা আলাদাভাবে বিভিন্ন উপজাতির উদ্ভব ঘটে যাদের পূর্বপুরুষরা এসেছিল সুদূর সাইবেরিয়া থেকে।
সাইবেরিয়া থেকে আমেরিকায় আসার সম্ভাব্য মানচিত্র; ছবিসূত্রঃ Siberian Times

বজ্রপাত থেকে বাঁচার উপায়

বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ হিসেবে পরিচিত। ধান আমাদের প্রধান খাদ্যশস্য। প্রতি বছর বৈশাখের শুরু থেকেই ধান কাটার ধুম পড়ে দেশের গ্রামাঞ্চলে। সবার মধ্যে স্ফীত হাসি লেগে থাকে উৎপাদিত ফসল দেখে।
একদিকে হরেকরকম মৌসুমি ফল, অন্যদিকে উৎপাদিত সোনালি ধানে কৃষকের হৃদয় জুড়িয়ে যায়। সেই হাসি অনেক সময় কালবৈশাখী ও বজ্রপাতের কারণে মুহূর্তেই উবে যায়। এতে কিছু মানুষকে প্রিয়জন হারানোর বেদনা সারা জীবনের জন্য বয়ে বেড়াতে হয়। সেই সময় বজ্রপাত নামের যমদূতে কৃষক-শ্রমিকসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
পৃথিবীর যে ক’টি দেশে বজ্রপাত বেশি হয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি আর জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই বাড়ছে বজ্রপাতের ঘটনা। তাছাড়া পরিবেশ দূষণের কারণেও বজ্রপাত হয়ে থাকে।
তাপমাত্রার পরিমাণ যত বাড়বে বজ্রপাতের ঘটনাও তত বৃদ্ধি পাবে। আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নানের ভাষ্যমতে ১৯৮১ সাল থেকে বজ্রপাতের ঘটনা বাড়তে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা জরিপে উঠে এসেছে ঝড় ও বজ্রপাতের কারণে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটেছে বাংলাদেশে।
যেভাবে বাঁচবেন বজ্রপাত থেকে- উঁচু জায়গায় বা খেলার মাঠে দাঁড়িয়ে থাকবেন না। খোলা জায়গা থাকলে ছাতা ব্যবহার করবেন না। গাছের নিচে আশ্রয় নেবেন না।
বাইরে হাঁটার সময় বজ্রপাত দেখা দিলে দ্রুত মাটিতে বসে পড়ুন। বাড়িতে আশ্রয় নিন। মোটরসাইকেল বা বাইসাইকেল আরোহীরা দ্রুত নেমে পড়–ন এবং নিরাপদ আশ্রয় নিন।
পুকুর, জলাশয়, খাল, নদী জাতীয় স্থানে অবস্থান করবেন না। তীব্র বজ্রপাতের সময় ঘর থেকে বাইরে যাবেন না। মোবাইল ফোনের ব্যবহার মানুষের ওপর বজ্রপাতের আশঙ্কা বাড়ায়। চামড়ার ভেজা জুতা ও খালি পায়ে থাকা বিপজ্জনক। এগুলো মেনে চললে বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ হবে।
শিব্বির আহমদ আরজু সম্পাদক, সাহিত্য পত্রিকা তরঙ্গ

Wednesday, April 4, 2018

সাবধান! বাসায় বাসায় গ্যাস বোমা


আপনি হয়তো জানেনই না যে, আপনার প্রিয় বাসাটি একটি বড় ‘গ্যাস চেম্বার বা বোমায়’ পরিণত হয়ে আছে। এই বোমাটি একটি ইলেক্ট্রিক স্পার্কিং কিংবা যুতসই থার্মাল সোর্স (আগুন) পেলেই বিস্ফোরিত হয়ে কেড়ে নিতে পারে আপনার পুরো পরিবার। অবাক হচ্ছেন? না, অবাক হবেন না। কারণ, এদেশের বর্তমান ত্রুটিপূর্ণ নগর ব্যবস্থার অসংখ্য বাসাবাড়ির ক্ষেত্রেই এই কথাটি প্রযোজ্য। ইদানীং কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনা থেকে বিষয়টি হয়তো অনেকের নজরে এসেছে। কিন্তু, আমরা (বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সিটিটিসি, ডিএমপি) দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এই ঢাকা শহরেই প্রায় অর্ধশত বাসা, দোকান এবং অফিস কক্ষে এই ধরনের বিস্ফোরণ ঘটতে দেখেছি।
এসব ঘটনায় মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়ে নিহত এবং আহত মানুষের সংখ্যা এই শহরের সন্ত্রাসী বোমা হামলায় হতাহতদের মোট সংখ্যার থেকেও অনেক বেশি।
কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেন এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এভাবেই সতর্ক করেছেন ‘গ্যাস বোমার’ ব্যাপারে। সম্প্রতি গ্যাস বোমায় একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বড় বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে গত ২৪শে মার্চ রাতে ময়মনসিংহের ভালুকায়। গ্যাস থেকে ঘটা ওই বিস্ফোরণে মারাত্মক দগ্ধ হন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তাওহীদুল ইসলাম, শাহীন মিয়া, হাফিজুর রহমান ও দীপ্ত সরকার। তাওহীদুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই মারা যান। বাকিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এই চার মেধাবী শিক্ষার্থীর মৃত্যু সারা দেশের মানুষকেই নাড়া দিয়েছে। শোকের সাগরে ভাসিয়েছে তাদের সহপাঠীদের।
গত ২৭শে মার্চ পল্লবীর মুসলিমবাগ এলাকায় একটি বাড়িতে পানির ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণের ঘটনায় শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধ হয়। ওই বাড়ির নিচতলায় থাকা পানির ট্যাঙ্কে পানি আছে কিনা, তা দেখার জন্য দেশলাই জ্বালাতেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে আগুন ধরে যায়। এতে দগ্ধ হন পাঁচ জন। তাদের মধ্যে হাসিন আরা বেগম, হাসান এবং ৩ বছর বয়সী শিশু রুহী মারা যান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল জানান, দগ্ধদের মধ্যে হাসিন আরা খানমের ৯৫ শতাংশ, রুহির ৯০ শতাংশ ও হাসানের ৮৫ শতাংশ পুড়ে যায়। জানা যায়, ঘটনার দিন ১১টার দিকে ওই বাড়ির রিজার্ভ ট্যাংক পরিষ্কার করার জন্য হাসান নামে একজন শ্রমিক ট্যাঙ্কের ঢাকনা খুলে টর্চলাইট দিয়ে আর্বজনা দেখছিলেন। এসময় তিনি ট্যাঙ্কের মধ্যে গ্যাসের গন্ধ পান। সেটা দূর করতে তিনি সেখানে মোম জ্বালান। তখনই বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়। এতে সেখানে থাকা পাঁচজনই দগ্ধ হন।
পুলিশ কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেনের স্ট্যাটাসে দেয়া তথ্যে আরো বেশকিছু দুর্ঘটনার বিবরণ পাওয়া যায়। ২০০৯ সালে গুলশানের একটি বাসায় এমন একটি বিস্ফোরণের ফলে বিল্ডিং-এর দেয়াল প্রায় ১০/১২ ফুট দূরে গিয়ে একটি গাড়ির ওপর পড়ে। টয়লেটে গিয়ে সিগারেট ধরাতেই এই ঘটনাটি ঘটে। এতে ওই ব্যক্তি মারাত্মকভাবে দগ্ধ হওয়ার পর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেয়ার পথে মারা যান। ২০১১ সালের দিকে কোতোয়ালি এলাকায় একটি সেলুনে বিস্ফোরণ ঘটে। একই বছর এলিফ্যান্ট রোডের একটি শোরুমে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ২০১২ সালে মিরপুরের একটি বাসায় বিস্ফোরণ হয়। ২০১৩ সালে ভূতেরগলির একটি বাসায় এ ধরনের ঘটনা ঘটে। ২০১৫ সালে হাজারীবাগে একটি টয়লেটে বসে সিগারেট ধরাতে গেলে বিস্ফোরণ ঘটে। অনুসন্ধান করে দেখা যায় যে, বাসার টয়লেটের লাইনের একটি ছিদ্র গ্যাস লাইনের একটি ছিদ্রের সঙ্গে কাকতালীয়ভাবে একটি জায়গায় মিশে গেছে। সেই ছিদ্র দিয়ে গ্যাস প্রবেশ করায় দু’তলার ঐ টয়লেটটি একটি ‘গ্যাস চেম্বার’-এ পরিণত হয়। এতেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ২০১৮ সালে ভালুকা এবং পল্লবী ছাড়াও কুমিল্লায় একটি ঘটনা ঘটেছে। এভাবে গত ১০ বছরে প্রায় একশ’টি ঘটনা বা বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ঢামেকের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, প্রতিদিন ইনডোরে গড়ে ৩০-৪০ জন দগ্ধ রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এছাড়া আউটডোরে প্রায় ১০০-১৫০ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে আসে। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি আগুনে দগ্ধ হয় রান্না করতে গিয়ে। তিনি বলেন, ৮০%, ৯০% বার্ন আমরা কোনোদিন বাঁচাতে পারবো না। আমরা প্রতিদিনই আপনাদের বলবো যে রোগীর শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। এটা কোনো সমাধান নয়। মানুষ যাতে না পোড়ে সেদিকে আমাদের নজর দিতে হবে। এটা হচ্ছে আমাদের সকলের এখন মেইন কাজ। নির্দিষ্ট একটি মনিটরিংয়ের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করতে হবে। গতকাল রাতে ও আজ সকালে তিনজন এসেছে। এভাবে আসতেই থাকবে। চারটা ব্রিলিয়ান্ট ছেলে যারা মারা গেল তাদেরকে বাবা-মা কতো কষ্ট করে পড়াশোনা করিয়েছে। অনেক চেষ্টা করেও তাদের বাঁচানো গেল না। কারণ একজন মানুষের শরীরের ৯০% যখন পুড়ে যায় সেই রোগী আর বাঁচে না। এ বিষয়ে সোচ্চার না হলে শুধু আমরা কি চিকিৎসা করলাম আর আপনারা কি প্রতিবেদন লিখলেন এটা কোনো সমাধান নয়।
সামন্ত লাল বলেন, আমাদের দেশের অধিকাংশ দুর্ঘটনার বিষয় আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সত্ত্বেও আমরা দুর্ঘটনার শিকার হই। এর প্রধান কারণ হচ্ছে সচেতনতার অভাব। এক্ষেত্রে ওয়াসা, বিদ্যুৎ বিভাগ, তিতাস প্রত্যেকেরই উচিত গণ ও জনসচেতনতা তৈরি করা। পোশাক কারখানার দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাবো মালিকরা কোনোদিন ব্রয়লার ঠিকমতো চেক করে দেখে না। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৬ লাখ মানুষ আগুনে দগ্ধ। যদি একটু সচেতনতা তৈরি করা যায় তাহলে এই ৬ লাখ মানুষের বেশিরভাগকেই সুরক্ষা দেয়া সম্ভব।
এদিকে শ্রমিক অধিকারবিষয়ক সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস)-এর তথ্যমতে, ২০১৭ সালের প্রথম ১০ মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে ৩১ জন শ্রমিক মারা গেছেন, যা বিগত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
সাবধানতার পরামর্শ পুলিশ কর্মকর্তার: নিজের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্পেশাল অ্যাকশন ডিভিশন, কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম, ডিএমপি মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে আরো লিখেছেন, গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত গ্যাসের ত্রুটিপূর্ণ চুলা বা সরবরাহ লাইনের ত্রুটির কারণে গ্যাস লিকেজ হয়ে ঘরের আনাচে কানাচে তা জমে থাকে। জমে থাকা এই গ্যাস কোনো আগুন কিংবা ইলেক্ট্রিক শর্টসার্কিটের সংস্পর্শে আসা মাত্র প্রজ্বলিত (ওমহরঃবফ) হয়ে প্রচুর তাপ, চাপ ও শব্দের উৎপত্তি করে বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে। এভাবেই কিছু বুঝে ওঠার আগে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে অগণিত শহুরে মানুষের প্রাণ।
এ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া প্রতিটি ঘটনাই সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশ পেলেও ত্রুটিবিচ্যুতি নির্ণয় করে পুরোপুরি সচেতন করা সম্ভব হয়নি। সেই সঙ্গে কোনো সমন্বিত উদ্যোগও চোখে পড়েনি। গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা ত্রুটিবিচ্যুতিগুলো তুলে ধরায় কিছু কিছু মানুষ জানলেও তা মোট নগরবাসীর তুলনায় অপ্রতুল। ফলে অনেকের অগোচরেই একেকটি বাসা একটি ‘বৃহৎ গ্যাস বোমা’য় পরিণত হয়ে যাচ্ছে। এতে মারাত্মকভাবে ঝুঁকির মধ্যে পরে যাচ্ছে আমাদের আধুনিক, তবে ত্রুটিপূর্ণ নগর সভ্যতার অসংখ্য বাসাবাড়ি, অফিস-আদালত এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। শুধুমাত্র একটু সচেতন হলেই সবাই সপরিবারে সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ। আমি কাউকে আতকিঙ্কত করছি না, আবার একেবারে নিরাপদ আছেন তাও বলছি না। বরং সচেতন হতে পরামর্শ দিচ্ছি।
আর করণীয় সম্পর্কে একটু ধারণা দিচ্ছি: ১. ত্রুটিমুক্ত গ্যাসের চুলা এবং মানসম্মত গ্যাস পাইপ ব্যবহার করে তা নিয়মিতভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। ২. বাসার আর্কিটেকচারাল ডিজাইন প্রস্তুত করার সময় নিশ্চিত রাখতে হবে যেন পুরো বাসার আনাচে কানাচে বাতাস অবিরাম যাতায়াত (ঈরহংঃধহঃ ঋষড়-িঈঋ) করতে পারে। ৩. বাসা দীর্ঘ সময় ধরে বদ্ধ থাকলে দরজা- জানালা খুলে এয়ার ফ্লো নিশ্চিত করে বিদ্যুতের সুইচ চাপতে হবে, কিংবা চুলায় আগুন জ্বালাতে হবে। ৪. রান্নাঘরে সর্বোচ্চ পরিমাণ ভেন্টিলেশন সিস্টেম নিশ্চিত করতে হবে। ৫. বাসার ভেতর কোনো গ্যাস সিলিন্ডার রাখা যাবে না। পাইপের মাধ্যমে দূর থেকে চুলায় গ্যাস সংযোগ নিতে হবে। ৬. বাসার ইলেক্ট্রিক ওয়ারিং-এ ভালো মানের তার ব্যবহার করতে হবে। তারের মধ্যে কোনো প্রকার জোড়াতালি থাকা যাবে না। ত্রুটিমুক্ত সুইচ ব্যবহার করতে হবে। ৭. বাসায় ত্রুটিপূর্ণ কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস না রাখাই ভালো। কেননা, ইলেক্ট্রিক এবং থার্মাল- এই দুটো ইগনিশন সোর্সই যেকোনো ত্রুটিপূর্ণ ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস থেকে সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি খোদ ডিভাইসটিও বিস্ফোরিত হতে পারে। ২০১০ সালে রামপুরায় একটি মাইক্রোওয়েভ ওভেন বিস্ফোরিত হয়ে ব্যবহারকারী দগ্ধ হয়ে মারা যায়। ৮. বাসার ভেতর আবদ্ধ জায়গায় মোমবাতি জ্বালানো এবং ধূমপান করা থেকে বিরত থাকাই উত্তম। ৯. বাসার ভেতর জমে থাকা গ্যাসের অস্তিত্ব নিশ্চিত করার জন্য স্বল্প মূল্যের এক ধরনের ‘গ্যাস ডিটেকশন ডিভাইস’ পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনারা সবাই সপরিবারে সুস্থ থাকুন এবং অন্যদের সুস্থতাও নিশ্চিত করুন। 

Tuesday, March 20, 2018

অবশেষে জানা গেল বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার স্থাপনের গোপন রহস্য!


অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক’সীমানা পিলার স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার বলে আখ্যায়িত করছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন এর মাধ্যমে বৃটিশরা আসলে এদেশের সব গোপন তথ্য চুরি করে নিয়ে যায়।
তবে আসল ঘটনা হচ্ছে- এদেশে বৃটিশদের শাষনের সময়কালে সীমানা পিলারগুলো ফ্রিকুয়েন্সি অনুযায়ী একটি থেকে আরেকটির দুরত্ব মেপে মাটির নীচে পুতে রাখা হয়েছিলো। যেগুলোর মধ্যে পিতল, তামা, লোহা, টাইটেনিয়ামসহ ধাতব চুম্বক

সমন্বয়ে গঠিত হওয়ার কারনে বজ্রপাত হবার সময়ে ইলেকট্রিক চার্য তৈরী হয় সেটি সরাসরি এই পিলারগুলো শোষন করে আর্থিং এর কাজ করতো। এতে করে বজ্রপাত হতো কিন্তু মানুষ মারা যেতোনা। অসাধু কিছু লোক এই পিলারগুলো অনেক দামে বিক্রি করা যায় এরকম গুজব ছড়ায়। এ কারনে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পিলারগুলো নিষ্চিন্ন হয়ে গেছে। কিছু লোক এগুলোকে মহামুল্যবান বলে অপপ্রচার করে খুজে বের করে চুরি করে নিয়ে গেছে।
সীমান্ত পিলারগুলোর মধ্যে থাকা তামা পিতল, টাইটেনিয়াম জাতীয় ধাতবের সমন্বয়ে তৈরী বলে এগুলো বিদ্যুৎ সুপরিবাহি হয়ওয়াতে একে মহামুল্যবান বলে অপপ্রচারের ফলে এসব পিলার চুরি হতে থাকে।

বৃটিশ শাষন আমলে বজ্রপাত থেকে বাঁচার জন্য এই প্রযুক্তির পিলার গুলো সারা দেশ জুড়ে মাটির নিচে পুতে রাখা হয়েছিল একটি নির্দিষ্ট দুরত্ব পর পর ফ্রিকুয়েন্সি মেপে মেপে। এখন যেমন মোবাইল ফোনের টাওয়ার বসানোর সময় একটা থেকে আরেকটার দুরত্ব আর ফ্রিকুয়েন্সি মেপে ম্যাপ করে বসানো হয় । আগেকার আমলে বজ্রপাতে নিহত হবার সংখ্যা ছিল অনেক কম যেটি এখন এতটা বেড়ে গেছে যে, মানুষ রীতিমতো চিন্তায় পড়ে গেছে । এখন সবাই বুঝতে পারছে কেন বৃটিশ আমলে এগুলো মাটির নিচে পুতে রাখা হয়েছিলো।
বজ্রপাতে মৃত্যু রোধকল্পে সরকারকে বৃটিশদের মতো করে পিলার স্থাপনের উদ্দোগ আবার গ্রহণ করা উচিৎ বলেও মতামত দিচ্ছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।

Monday, March 19, 2018

যে দ্বীপে নিষিদ্ধ নারীদের প্রবেশ!

বিশ্বায়নের এই যুগে এসেও জাপানে একটি পুরনো প্রথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয়। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমের একটি দ্বীপ ওকিনোশিমা। যেখানে রয়েছে মুনাকাতা তাইশা ওকিটসুমিয়া নামে একটি মন্দির, যা সমুদ্রের দেবীর সম্মানে নির্মিত। সমুদ্রগামী জাহাজের নিরাপদ যাত্রার উদ্দেশে এখানে পালিত হয় নানান আচার অনুষ্ঠান। এর মধ্যে একটি হল এ দ্বীপে প্রবেশের ক্ষেত্রে নারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা।
এ দ্বীপকে কেন্দ্র করে আরো নানা রকমের নিষেধাজ্ঞা চালু আছে। তবে সেখানে নারীরা যেতে পারবেন না এটা সবচেয়ে ব্যতিক্রম ও মান্ধাতার আমলের ধারণা। এছাড়া যে পুরুষরা ওই দ্বীপে যান, তাদেরকেও প্রথমে উলঙ্গ হয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হতে হয়। এছাড়া এ দ্বীপে যাওয়ার বিবরণ তারা কাউকে কখনো বলতে পারবেন না।
জাপানের গণমাধ্যম দৈনিক আশাহি শিম্বুন জানায়, ওই দ্বীপে যারা যাবেন তারা সেখান থেকে কোনো স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে আসতে পারবেন না, একটি ঘাসের টুকরোও নয়।
সম্প্রতি ইউনেস্কোর একটি উপদেষ্টা দল দ্বীপটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে আগামী জুলাইয়ে। অনেকেই ভেবেছিলেন, বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত হলে হয়তো দ্বীপটিতে নারীদের প্রবেশাধিকারও পাওয়া যাবে।
তবে নারীদের যাওয়ার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে- এমন সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন ওই মন্দিরের এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘এটি বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হলেও এ নিষেধাজ্ঞা উঠবে না।’

Sunday, March 11, 2018

৪০ রানী নগ্ন না হলে গোসল করতেন রাজা কিষণ সিংহ!

৪০ রানী নগ্ন না হলে- আলাউদ্দিন খিলজির হাত থেকে সম্মান রক্ষার্থে স্বামীর চিতায় জ্যান্ত আত্নাহুতি দিয়েছিলেন রাজস্থানের রানী পদ্মাবতী। তার এই কাহিনি আজও ভারতীয় নারীদের অনুপ্রেরণা জোগায়।
আবার সেই রাজস্থানের রাজা কিষণ সিংহের কাহিনি অবাক করে সবাইকে। ইতিহাসে আজও কুখ্যাত হয়ে আছেন এই রাজা। কেন? দেওয়ান জারামানি দাসের লেখা বই থেকে রাজা কিষণ সিংহের কুকর্মের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়।
১৮৮৯ সালে জন্ম রাজা কিষণ সিংহের। নারীসঙ্গ উপভোগের জন্য এমন কোন কাজ নেই যা করেননি এই রাজা। এ কারণে আজও তাকে ধিক্কার দেন রাজস্থানবাসী।
রাতের অন্ধকারে সুইমিং পুলে নগ্ন হয়ে স্ত্রীদের সঙ্গে গোসল করতে নামতেন কিষণ সিংহ। এটা ছিল তার প্যাশন। তার রাজমহলে ৪০ জন রানি থাকতেন। রাজার গোসলের সময় এই রানিদের নগ্ন হয়ে পুলে নামতে হতো। না হলে গোসল করতেন না রাজা!
বিলাসবহুল এই জীবনকে আরও রঙিন করতে রাজমহলের সামনে গোলাপি মার্বেলে সুইমিং পুল বানিয়েছিলেন কিষণ সিংহ। এমনকী, সেই সুইমিং পুলে যাওয়ার রাস্তা বাঁধানো হয়েছিল চন্দন কাঠে।
সুইমিং পুলে নামার জন্য চন্দন কাঠের সিঁড়িও বানানো হয়েছিল। পুলের মধ্যে ২০টি চন্দনকাঠের পাটাতন এমনভাবে রাখা হয়েছিল যে, এক একটি পাটাতলে ২জন করে রানি আরামসে দাঁড়াতে পারতেন।
রাজা কিষণ সিংহের নির্দেশে প্রত্যেক রানিকেই হাতে মোমবাতি নিয়ে পুলের সিঁড়ি থেকে একদম সিড়ির শেষ ধাপ পর্যন্ত দাঁড়াতে হতো। মোমবাতি হাতে রানিরা পুলে এসে হাজির হলে নিবিয়ে দেওয়া হত রাজপ্রাসাদের সমস্ত আলো।
রানিরা পুলের সামনে এসে দাঁড়ানোর পরে রাজা পুলে আসতেন। সুইমিং পুলে নামার সময়ে এক এক করে রানিদের পুলে ছুড়ে দিতেন রাজা। কেবল একজন রানিকে বাহুডোরে নিয়ে নিতেন। রাজা পুলে নামলে নগ্ন অবস্থায় হাতে মোমবাতি নিয়ে নৃত্য পরিবেশন করতে হত রানিদের।
রানিদের উদ্দেশে কিষণ সিংহের কঠোর নির্দেশ ছিল, মোমবাতি যেন না নেবে। নাচের শেষমুহূর্ত পর্যন্ত যে রানির হাতের মোমবাতি জ্বলত, তাকে নিয়ে নিজের খাসমহলে যেতেন রাজা। এর মানে, ওই রানি সেই রাতে রাজার সঙ্গে রাত কাটানোর সুযোগ পেতেন।
 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates