Showing posts with label সংস্কৃতি. Show all posts
Showing posts with label সংস্কৃতি. Show all posts
Wednesday, February 3, 2016
নানা আয়োজনে ‘সংস্কৃতি মঞ্চ’র প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
গত ৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে ‘সংস্কৃতি মঞ্চ’ এর প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শিশু-কিশোর সংগীত প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণীসম্পন্ন হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাঙালির শেকড়মুখি মৌলিক ও বিশুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, বাঙালি জাতিস্বত্ত্বার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা আমাদের এই সংস্কৃতি হাজার বছরের পুরানো। সামাজিক বন্ধন, পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ, ভ্রাতৃত্ববোধ, অসাম্প্রদায়িকতার মত মহৎ চিন্তা-চেতনায় সমৃদ্ধ এই সংস্কৃতি। বাঙালি সংস্কৃতি আমাদের আত্ম-পরিচয়ের স্মারক। আমাদের জীবনে নিত্য প্রাসঙ্গিক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট সুরকার স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগীত পরিচালক ও শব্দসৈনিক সুজেয় শ্যাম বলেন, বাংঙালি সংস্কৃতি আমাদের অহংকার। ঐতিহ্যের স্মারক এই সংস্কৃতি আমাদের জাতীয় জীবনের সকল অন্ধকার সময়ে আলোর পথ দেখিয়েছে। ইতিহাসের প্রতিটি বাঁক বদলে আমরা সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে জাতীয় জাগরণ ঘটিয়ে পরাজিত করেছি সকল অশুভ শক্তিকে। ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের গান, কবিতা, নাটক অসামান্য ভূমিকা রেখেছে। সংগঠনের আহবায়ক বিশিষ্ট গীতিকার, সুরকার সেলিম রেজা সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য-সচিব তজম্মুল হোসেন আখতার, রাগেবুল রেজা, হোসনে আরা রীমা প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এ কে আজাদ। আলোচনা শেষে সংগীত প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ এবং সংগঠনের শিল্পীদের অংশগ্রহণে সংগীতানুষ্ঠান ও ‘টাকার রঙ কালো’ নামে একটি নাটক মঞ্চত্ব হয়। সংগঠনের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গত ১২ ডিসেম্বর -২০১৫ তারিখে শিশু-কিশোর সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল সংগঠনটি। বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতি বিকাশের লক্ষ্য নিয়ে ২০১৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর গঠিত হয় এই সংগঠন।
Labels:
সংস্কৃতি
বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক চাষী নজরুল ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক চাষী নজরুল ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল আজ সোমবার। চাষী নজরুল ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত রাজধানীর কমলাপুর কবি জসিম উদ্দীন রোডে তাঁর নিজ বাসভবনে কোরআনখানি, দোয়া মাহফিল ও দরিদ্র ভোজ এবং অনুরূপ কর্মসূচি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থানার সমষপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চাষী নজরুল ইসলামের দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি একাধারে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রের প্রথম পরিচালক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও একুশে পদকজয়ী নির্মাতা ছিলেন। সকাল ১১ টায় বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রীনগর থানাধীন সমষপুরস্থ চাষী নজরুল ইসলামের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পন ও দোয়া করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পন করে চাষী নজরুল ফাউন্ডেশন, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোট, জাতীয়তাবাদী চলচ্চিত্র পরিষদসহ অন্যান্য সংগঠন। পরে কবর প্রাঙ্গণে সকাল ১১ টায় জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোট আয়োজন করে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা। এতে সভাপতিত্ব করেন জোটের মহাসচিব মো. রফিকুল ইসলাম। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চাষী নজরুলের দুই ভাই মফিজুল ইসলাম স্বাধীন, চাষী সিরাজুল ইসলাম, কন্যা চাষী আন্নী ইসলাম, চলচ্চিত্রকার সাজেদুর ইসলাম সাজু, নাসির উদ্দিন মিলন, ওয়াজেদ আলী বাবলু , ফিরোজ বাবু, নাট্য নির্দেশক কাজী আসাদুজ্জামান সামুন, ভাতিজা কাজী আহমেদ হোসেন চন্দন প্রমূখ। চাষী নজরুলের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামীকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাব কনফারেন্স লাউঞ্জে চাষী নজরুল ইসলামের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা সভা হবে। এর পরের দিন (১৩ জানুয়ারি) সকালে এফডিসিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। চাষী নজরুল ইসলাম ১৯৪১ সালের ২৩ অক্টোবর মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার সমষপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬১ সালে সৈয়দ মোহাম্মদ আওয়ালের মাধ্যমে চলচ্চিত্র অঙ্গণে পদার্পণ করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের ও মুক্তিযুদ্ধের প্রথম চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১জন’ নির্মাণের মাধ্যমে ১৯৭২ সালে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০০৪ সালে তিনি একুশে পদক পান। চাষী নজরুল ইসলাম চারবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে ছিল- মুক্তিযুদ্ধের ছবি সংগ্রাম, হাঙ্গর নদীর গ্রেনেড, মেঘের পরে মেঘ, সাহিত্য নিভৃর চলচ্চিত্র দেবদাস, শুভদা, চন্দ্রনাথ, সুভা, শাস্তি, বিরহ ব্যথা, হাছন রাজা ইত্যাদি।
Labels:
সংস্কৃতি
Sunday, December 13, 2015
ক্রিকেটের সবচেয়ে আবেদনময়ী পাঁচ নারী উপস্থাপিকা
একসময় ক্রিকেট ছিল সাদাকালো ম্যাড়ম্যাড়ে পাঁচ দিনের খেলা। লিভারপুলের তৎকালীন কোচ রাফা বেনিতেজ এবার এ নিয়ে তীক্ষ্ম কৌতুকও করেছিলেন। রঙিন পোশাকের অডিআই’ও খুব একটা পরিবর্তন আনতে পারেনি। কিন্তু হালের ধুমধাড়াক্কা টি-টুয়েন্টি সব পাল্টে দিয়েছে। ক্রিকেট শুধু এখন রঙিনই নয়, বরং একটু বেশিই মশলাদার। শুধুমাত্র সাবেক ক্রিকেটার কিংবা ক্রিকেট ধারাভাষ্যকারের বদলে মাঠে এসেছে নারী উপস্থাপিকা ও চিয়ার্স লিডাররা। তাদের অনেকেই নিজেদের সৌন্দর্য কিংবা আবেদন দিয়ে জয় করেছেন অসংখ্য ক্রিকেট ভক্তের মন। ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকট্র্যাকার বেছে নিয়েছে বিশ্বজুড়ে সেরা পাঁচ আবেদনময়ী নারী ক্রিকেট উপস্থাপিকাকে। এরা হলেন, অস্ট্রেলিয়ার মেল ম্যাকলফলিন, ভারতের মায়ান্তি ল্যাঙ্গার, নিউ জিল্যান্ডের লরা ম্যাকগোল্ডরিক, বাংলাদেশের আমব্রিন ও ইংল্যান্ডের বাঙ্গালী বংশোদ্ভূত সাবেক ক্রিকেটার ও উপস্থাপিকা ইশা গুহা। আমব্রিন ২০০৭ সালের লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টারের শীর্ষ ১০ প্রতিযোগির একজন ছিলেন। বিপিএল’র তৃতীয় আসরে তিনি উপস্থাপনা করছেন।
Labels:
সংস্কৃতি
Monday, December 7, 2015
অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার ২০১৫ 'অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার' পেলেন সোনিয়া নিশাত আমিন
দেশের গবেষণা ও প্রবন্ধসাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ‘অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার ১৪২২’ পেয়েছেন বিশিষ্ট গবেষক ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক সোনিয়া নিশাত আমিন। আজ শনিবার সন্ধ্যায় ধানমণ্ডির শংকরে অবস্থিত সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্র ছায়ানট ভবনের অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁর হাতে এই পুরস্কারের সম্মাননা পদক ও সম্মাননা অর্থ ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন ও বিশেষ অতিথির আসনে ছিলেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন অনন্যা সম্পাদক তাসমিমা হোসেন।
অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী তামান্না ডেইজি এবং সঙ্গীত পরিবেশন করেন দেশের দুই জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী চন্দনা মজুমদার ও মেহরীন।
অনুষ্ঠানটি শুরু হয় জাতীয় সঙ্গীতের ভেতর দিয়ে। পুরস্কার প্রদান পর্বে পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ও গবেষক ড. সোনিয়া নিশাত আমিনকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, তাঁর হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সনদ তুলে দেন সেলিনা হোসেন, পুরস্কারের অর্থমূল্য হিসেবে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন তাসমিমা হোসেন।
পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ও গবেষক ড. সোনিয়াকে সম্পর্কে ইতিহাসবিদ প্রফেসর সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি আজকের অনুষ্ঠানের মধ্যমণি, পুরস্কৃত লেখক সোনিয়ার শিক্ষক। এই কারণে এটা আমার জন্যে বিরল সৌভাগ্য। পাক্ষিক অনন্যাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। গুণিমানুষের মূল্যায়ন করলে সমাজ এগিয়ে যায়। আর সেটি না করতে পারলে সমাজ অন্ধকারের দিকে চলে যায়। এ কারণে এই ধরণের পুরস্কারের গুরুত্ব অনেক।
ড. আমিন সম্পর্কে বলতে গিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, এটি খুব সম্মানীয় পুরস্কার। অনেকে এই পুরস্কার পেতে চান, তাঁর কাজের স্বীকৃতি হিসেবে। সোনিয়া এই পুরস্কারের যোগ্য দাবিদার বটে। আমি তাঁকে শুভেচ্ছা জানাই।
ড. আমিনের কাজ নিয়ে সেলিনা হোসেন বলেন, পুরুষনির্মিত ইতিহাসে নারীর ইতিহাস বরাবরই উপেক্ষিত হয়েছে। যদি ‘হিস্ট্রি সারভাইবাল অব ফ্যাক্টস’ হয় তাহলে নারীর ইতিহাস ছাড়া সেটি সম্পূর্ণ হতে পারে না। সোনিয়া মননশীলতা ও সৃজনশীলতা এক করেছেন তাঁর গবেষণার কাজে। 'বাঙালি মুসলিম নারীর আধুনিকায়ন' শীর্ষক তাঁর যে গবেষণা গ্রন্থ, সেখানে সোনিয়া ভিন্নধর্মী বিশ্লেষণ দিয়ে নারীর বিবর্তনের ইতিহাস তুলে এনেছেন।
১৮৭৬ সাল থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত এই দীর্ঘ সময়ে নারীর ইতিহাসের নানা দিক, নানা অনুষঙ্গ তুলে এনেছেন। ইতিবাচক পরিবর্তন কিভাবে ইতিহাস গ্রহণ করেছে, সেটি সোনিয়া তাঁর গবেষণার মধ্য দিয়ে উপস্থাপন করেছেন। এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে সোনিয়ার ঢাকার নগরজীবনে নারী শীর্ষক একটি সম্পাদিত গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। চারশো বছরে নারীর বিবর্তনমূলক ইতিহাস তিনি লিপিবদ্ধ করেছেন। বিচিত্র বিষয় নিয়ে এখানে ২১টি প্রবন্ধ আছে। সোনিয়া সম্পাদক হিসেবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বিষয়বস্তু নির্বাচন থেকে শুরু করে লেখক নির্বাচনে তিনি তাঁর বিচক্ষণতার পরিচয় রেখেছেন। সোনিয়া এখানে বলেছেন, নারীর ইতিহাস একটি নতুন শাস্ত্র, তাঁর এই বলার স্বরটি আমার ভালো লেগেছে।
সভাপ্রধানের বক্তব্যে তাসমিমা হোসেন বলেন, আজ অনন্যার ২১তম সাহিত্যপুরস্কার দেয়া হল। প্রথম পেয়েছিলেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। তিনি আজ উপস্থিত আছেন। আমাদের কার্যক্রম খুব ছোট পরিসরে হলেও, কাজটি গুরুত্ব দিয়ে করতে চেয়েছি। প্রতিবছরের মতো এবারও আমরা পুরস্কার দেয়ার জন্যে অনেকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সোনিয়ার নামটি আসাতে আমি নিজে তার বইগুলো সংগ্রহ করে পড়েছি। আমি নিজে ঋদ্ধ হয়েছি। আমার মনে হয়েছে, এই গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর মূল্যায়ন হওয়া দরকার।
আমরা নারীরা প্রতিনিয়ত নানাভাবে হোঁচট খাচ্ছি। কিন্তু সেটি তো কোনোভাবে কাঙ্ক্ষিত নয়। তাই কোনো না কোনোভাবে আমাদের বক্তব্য বা প্রতিবাদ নিয়ে দাঁড়াতে হয়। সোনিয়া দাঁড়িয়েছেন। তাঁকে অভিনন্দন।
Labels:
সংস্কৃতি
থিয়েটারের পরিবেশনায় 'মায়ানদী'
নাটকের দল থিয়েটার এর সপ্তাহব্যাপী আয়োজন 'থিয়েটার সপ্তাহ' চলছে বাংলাদেশ শিল্পকলায়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় সন্ধায় জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে 'মায়ানদী' নামে একটি নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন করে থিয়েটার। নাটকটির রচনা ও নির্দেশনা করেছেন মারুফ কবির।
মায়ানদী নাটকে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, রামেন্দু মজুমদার, ত্রপা মজুমদার, পরেশ আচার্য, রাশেদ শাওন, গোলাম শাহরিয়ার সিক্ত, রবিন বসাক, নুর জামান রাজা, নুরে খোদা মাসুক সিদ্দিক, তামান্না ইসলাম, নাফিজ বাঁধন, কল্যাণ চৌধুরী, সাইফ জোয়ারদার, তানভীর হোসেন সামদানী, আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ। দীর্ঘ বিরতির পর নতুন নাটক মঞ্চে এনেছে দেশের প্রথম শ্রেণীর নাটকের দল থিয়েটার। শুধু শিল্পীদের দক্ষ অভিনয়শৈলী নয়, 'মায়ানদী'র মনকাড়া সেট নাটকের দর্শকদের আকৃষ্ট করেছে দারুনভাবে। গল্পের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সেট ডিজাইন নাটকটিকে দর্শক প্রশংসায় এগিয়ে রেখেছে একধাপ ।
যারা অন্তরের অন্ত:স্থল থেকে প্রকৃতিকে গভীরভাবে ভালোবাসেন তাদের প্রত্যেকের হৃদয়ের গহীনেই একটি নদীর বসবাস। পানির দেশের মানুষ হিসেবে বাঙালি পানির কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা খুব সীমিত, কিন্তু প্রকৃতি এবং নদী ধবংশের ফল একসময় নিদারুনভাবে ভোগাবে পুরো বাঙালি জাতিকে । সেই অনাগত দুঃসহ বিভীষিকাময় বিষয়টি এ নাটকে উপস্থাপন করেছেন নাট্যকর্মীরা। নাটকটিতে নদীর সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের গভীরতা ফুটিয়ে তুলেছেন তারা।
Labels:
সংস্কৃতি
লাকী আখন্দকে ‘অগ্নিবীনা’র আজীবন সম্মাননা
ক্যান্সারে আক্রান্ত বাংলাদেশের শিল্পী লাকী আখন্দকে আজীবন সম্মাননা জানালো অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি সিরিজ ও অগ্নিবীণা। বর্তমানে তিনি ক্যান্সারের চিকিত্সার জন্য ব্যাংককে থাকায় তার পক্ষে এ সম্মাননা গ্রহণ করেছেন শিল্পীর বড়বোন জেসমীন আখন্দ ও ভাতিজা দীপ।
টিসিবি অডিটোরিয়াম মিলনায়তনে গত শনিবার সন্ধ্যায় তাদের হাতে এ সম্মাননা ক্রেস্ট ও এক লাখ টাকার চেক তুলে দেন এই আয়োজনের প্রধান অতিথি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এ সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পী খালিদ হোসেন, পাপিয়া সারোয়ার, ফকির আলমগীর, জি সিরিজ ও অগ্নিবীণার কর্ণধার নাজমুল হক ভূঁইয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘লাকী আখন্দ দেশের গুরুত্বপূর্ণ একজন শিল্পী। তিনি গায়ক হলেও সঙ্গীতের পিছনের কারিগর হিসেবে সুর ও সঙ্গীতায়োজনের কাজ করে গেছেন। তার সৃষ্টি অমর। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ৩০টি এলবামের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন জি সিরিজ ও অগ্নিবীণার তারকা শিল্পীরা।
হেঁটে বাংলাদেশ ভ্রমণ
এ বছরের ২০ এপ্রিল দেশের সবচেয়ে উত্তরের স্থান বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট থেকে পায়ে হেঁটে বাংলাদেশ ভ্রমণ শুরু করে অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় তরুণ এম জেড রহমান। তার এই অভিযানের নাম ছিল ‘এক্সপ্লোর বাংলাদেশ’। মাত্র ৪৪ দিনে দেশের সর্বদক্ষিণে টেকনাফে পৌঁছান জেড রহমান। তার এই অভিযানের উদ্দেশ্য - বাংলাদেশের তরুণদের বাংলাদেশ ভ্রমণে উদ্বুদ্ধ করা। এই যাত্রায় তাকে সহায়তা করেছে ঢাকা ক্লাব লি. ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড। পায়ে হেঁটে বাংলাদেশ অভিযাত্রায় জেড রহমানের সঙ্গী ছিল তার ক্যামেরা। তিনি সেই ক্যামরায় বাংলাদেশের প্রকৃতি, গ্রামীণ জীবনাচার, ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ফ্রেমবন্দি করেছেন। পাশাপাশি ভিডিওতেও ধারণ করেছেন ভ্রমণের উল্লেখযোগ্য অংশগুলো। গতকাল রবিবার বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে ‘পর্যটনবিষয়ক আলোকচিত্র এবং ভ্রমণ বিষয়ক ডক্যুমেন্টরি প্রদশর্নী’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রদশর্নীটির উদ্বোধন করেন বেসমারিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অখতারুজ জামান খান কবির। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন সরকারি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু হায়দার আহমেদ নাসের। জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনের লবিতে শুরু এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে ৪০টি ছবি। এছাড়াও দুটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হবে। প্রদর্শনী চলবে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
মুল্লুক নাটকের মঞ্চায়ন
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে ৬৪ জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ৬৪টি মূল্যবোধের নাট্য নির্মাণ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা জেলার প্রযোজনা ‘মুল্লুক’ নাটকের মঞ্চায়ন হলো গতকাল রবিবার। গতকাল সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হয় এ নাটক। একাডেমির মহাপরিচালক নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকীর ভাবনা ও পরিকল্পনায় নাটকটির রচনা ও নিদের্শনা দিয়েছেন বাকার বকুল। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রবিউল ইসলাম শশী, শশাংক শাহা, রুনা কাঞ্চন, সোহেল মন্ডল, শারমীন আক্তার শর্মী, শফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, সোহেল রানা, নায়ীমী নাফসীন, হাফিজা আক্তার ঝুমা, ইন্দ্রানী ঘটক, মেবিন হাসান, শামীম শেখ, আকাশ সরকার, তানবীর লিমন ও শান স্বপন।
তারেক মাসুদ চলচ্চিত্র উত্সব
বরেণ্য চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদের জন্মবার্ষিকী ছিল গতকাল রবিবার। গত দুই বছর ধরে তাঁর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে চলচ্চিত্র উত্সবের আয়োজন করে আসছে ‘তারেক মাসুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’। এবারও তৃতীয় বারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে উত্সব। তারেক মাসুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, এবারের উত্সবটি ডিসেম্বরে না হয়ে, মার্চে অনুষ্ঠিত হবে। উত্সবকে ঘিরে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ‘তারেক মাসুদ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা’র কার্যক্রম। এবারের বিষয় ‘ন্যায় বিচার আমার অধিকার’। সর্বোচ্চ ১০ মিনিট সময়সীমার মধ্যে চলচ্চিত্রটি হতে পারে কল্পচিত্র, প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ও অ্যানিমেশন। ১৬-২৫ বছর বয়সী যে কেউ এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন। অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রতিযোগীকে আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে নির্ধারিত ফরম পূরণ করে চলচ্চিত্র জমা দিতে হবে। প্রতিযোগিতায় জমা দেয়ার জন্য চলচ্চিত্রগুলো হতে হবে ২০১৪ সালের ১ জুলাইয়ের পর নির্মিত। নির্বাচিত সেরা ১০টি চলচ্চিত্র আগামী মার্চে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘তারেক মাসুদ চলচ্চিত্র উত্সব’-এ প্রদর্শিত হবে। প্রতিযোগিতার সেরা চলচ্চিত্র নির্মাতাকে দেয়া হবে ‘তারেক মাসুদ তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা এওয়ার্ড’।
Labels:
সংস্কৃতি
Subscribe to:
Posts (Atom)