Social Icons

Tuesday, December 29, 2015

ভারতের প্রথম মদমুক্ত রাজ্য হচ্ছে কেরালা

আগামী ১০ বছরে মদমুক্ত রাজ্য হতে যাচ্ছে কেরালা। রাজ্য সরকারের এই পরিকল্পনা আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ার পর মঙ্গলবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এই পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছে। এর ফলে ভারতের প্রথম মদমুক্ত রাজ্য হওয়ার খেতাব পেতে চলেছে কেরালা।
গত বছরের আগস্ট মাসে রাজ্যকে মদমুক্ত করতে ১০ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা নেয়া হয়। এর মাধ্যমে রাজ্যে ক্রমান্বয়ে মদ বিক্রির লাইসেন্স বাতিল করে দেয়া হবে। আর ২০২৫ সালের পর কেরালার পাঁচ তারা হোটেলগুলো ছাড়া আর কোথাও মদ বিক্রির অনুমতি থাকবে না।
এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় রাজ্যটির বারের মালিকেরা। তারা এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেখানে তাদের বিরুদ্ধে রায় পাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টও বিমুখ করলো তাদের। সূত্র: এনডিটিভি

ঢাকায় হামলার আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের

ঢাকায় খ্রিস্টীয় নববর্ষ বরণের অনুষ্ঠানে হামলা হতে পারে বলে নিজ দেশের নাগরিকদের সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের ওয়েবনসাইটে বলা হয়, ৩১ ‍ডিসেম্বর বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে রাজধানীর অভিজাত হোটেল ও ক্লাবে হামলা হতে পারে।
 
মঙ্গলবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এই সতর্ক বার্তা দেয়ার পর নিজ দেশের নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলেছে যুক্তরাজ্য। বিডিনিউজ।

Monday, December 28, 2015

যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোতে ৪৩ জনের প্রাণহানি

 যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিস্টমাসের ছুটিকালীন সময়ে ঝড় ও টর্নেডোতে কমপক্ষে ৪৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। দেশটির দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিম ও মধ্য পশ্চিমে রোববার এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানে।
 খারাপ আবহাওয়ার কারণে মিসৌরি ও নিউ মেক্সিকোর গভর্নর অঙ্গরাজ্য দুটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। ঝড়ের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় মিসৌরি ও ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
 মিসৌরির গভর্নর জে নিক্সন জানান, ‍উদ্ধারকর্মীরা বহু বাসিন্দাকে তাদের বাড়ি থেকে ও পানিতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেন। ঝড়ে কমপক্ষে আটজন নিহত হয়েছেন। বহু রাস্তা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ইলিনয়ের পাটোকায় তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ও দুই শিশু গাড়িতে করে যাওয়ার সময় বন্যার প্রবল স্রোতে ভেসে যেতে দেখা যায়। 
 টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাসে টর্নেডোতে কমপক্সে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় ওই স্থানে প্রায় ২০০ মাইল বেগে বাতাস প্রবাহিত হয়। গারল্যান্ড সিটিতে টর্নেডোতে প্রায় আটজনের মৃত্যু হয়। এ সময় প্রায় ৮০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ ছাড়া, অন্যান্য স্থানে ঝড় ও টর্নেডোতে আরো আটজনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে।

ফের মালয়েশীয় বিমান বিপর্যয়ে, একঘণ্টা ভুল পথে...

আবার রহস্য মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সে। এবার নিউজিল্যান্ড থেকে কুয়ালালামপুর যাওয়ার পথে প্রায় এক ঘণ্টা ভুল পথে ঘোরে মালয়েশিয়ার এমএইচ১৩২। যাত্রী ও বিমানের কর্মীরা সবাই নিরাপদে আছেন। তবে কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স। ২৫ ডিসেম্বর রাত স্থানীয় সময় ২-২৩ মিনিটে কুয়ালালামপুর যাওয়ার জন্য নিউজিল্যান্ড থেকে টেক অফ করে এমএইচ১৩২। কুয়ালালামপুর যাওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পশ্চিম দিক দিয়েই যায় বিমান। কিন্তু এমএইচ১৩২ টেক অফের পরই দক্ষিণ-মুখী যাত্রা শুরু করে। বিষয়টি নজরে পড়তেই পাইলটকে সতর্ক করে এয়ার ট্র্যাফিক কনট্রোল। প্রায় এক ঘণ্টা উড়ানের পর নিজের গতিপথ ঠিক করেন পাইলট। আতঙ্ক যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য যাত্রীদের এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। এর আগেও একাধিকবার দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের বিমান। ২০১৪-র ৮ মার্চ মাঝ আকাশেই হারিয়ে যায় মালয়েশিয়ার এমএইচ ৩৭০। ভারত মহাসাগরে যাত্রী বোঝাই বিমানটি ভেঙে পড়ে বলে অনুমান। বিমানের ২৩৯ জন যাত্রী ও কর্মীদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু কয়েক দেশ মিলে ভারত মহাসাগরে তল্লাশি চালিয়েও কোথাও বিমানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ বছরের গোড়ায় ইউক্রেনে মালয়েশিয়ার এমএইচ ১৭-কে মিসাইল ছোঁড়ে সন্ত্রাসবাদীরা। মাঝ আকাশেই টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে যায় ২৯৮ জন যাত্রী সমেত বিমানটি। বারবার এই ধরনের দুর্ঘটনার পর চূড়ান্ত আর্থিক ক্ষতির মুখে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স। কোনও রকমে দেউলিয়া হওয়া আটকাতে চাকরি গিয়েছে কয়েক হাজার কর্মচারীর। এই নতুন ঘটনা আবার কতটা আর্থিক ক্ষতির সামনে দাঁড় করায় মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সকে, সেটাই এখন দেখার।

কোরীয় যৌন দাসীদের ক্ষতিপূরণ দেবে জাপান

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যেসব কোরীয় যৌন দাসী জাপানী সেনা কর্মকর্তা ও জওয়ানদের মনোরঞ্জনে বাধ্য হয়েছিলেন, তাদের ক্ষতিপূরণ দেবে জাপান। এজন্য দক্ষিণ কোরিয়াকে প্রায় সাড়ে আট মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেবে জাপান। সিউলে অনুষ্ঠিত দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত এলো আজ। বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের বৈরিতা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই চলছে। ধারণা করা হয়, প্রায় দুই লক্ষ নারীকে সেসময় যৌন দাসত্বে বাধ্য করা হয়েছিল, যাদের একটি বড় অংশ ছিলেন কোরিয়ায় অধিবাসী। দক্ষিণ কোরিয়া বরাবরই এজন্য জাপানকে ক্ষমাপ্রার্থনার দাবী জানিয়ে আসছে। আর সেই সঙ্গে, ক্ষতিগ্রস্ত নারী যাদের মাত্র ছেচল্লিশ জন এখন বেঁচে আছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ দেবার দাবী জানিয়ে আসছে। এ দাবীতে সরকারের সাথে যুক্ত হয়েছে দেশটির নারীবাদী সংগঠনগুলোও। দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে জাপানের মূল বৈরিতার দুটি কারণের মধ্যে এটি অন্যতম। আর অপর কারণ নানজিং গণহত্যা। আর এই দীর্ঘ দ্বন্দ্বে সমাপ্তি ঘটাতে দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠকে বসেছিলেন আজ। আগেই ধারণা করা হচ্ছিল, এ বৈঠক থেকে ভালো কোন ঘোষণা আসতে পারে। কারণ, জাপান আগেই জানিয়েছিল, কোরীয় যৌন দাসীদের ক্ষতিপূরণ দিতে তারা একটি সরকারী বরাদ্দ স্থাপনের কথা ভাবছে।

চলন্ত ট্রেনে সেনাসদস্যদের দ্বারা ধর্ষিত নাবালিকা

ভারতে চলন্ত ট্রেনে সেনাবাহিনীর কামরায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছে দমদমের এক নাবালিকা। বাড়ি থেকে পালাতে চেয়েছিল মেয়েটি। লুধিয়ানা যাবে বলে হাওড়া স্টেশন পৌঁছেছিল। হাতের কাছে পেয়ে যায় অমৃতসরমুখী একটি ট্রেন। কিন্তু, ট্রেনের কোনও কামরাতেই জায়গা নেই। কাজেই সে এক কামরা থেকে অন্য কামরায় খুঁজে বেড়াচ্ছিল বসার জায়গা। শেষে একটা কামরা একটু ফাঁকা পায়। সে দিকে তাকাতেই কামরায় থাকা সেনা-জওয়ানরা তাকে উঠে আসতে বলে। কামরাতে উঠেও যায় নাবালিকা ওই মেয়েটি। এর প্রায় ৬ ঘণ্টা পর সেনা-জওয়ানদের জন্য সংরক্ষিত ওই কামরা থেকে ঝাড়খণ্ড রেল পুলিশ উদ্ধার করে তার অচৈতন্য দেহ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ট্রেনের সেনা-কামরাতেই সংঘবদ্ধধর্ষণ করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে। আপাতত স্থানীয় মধুপুর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন আছে মেয়েটি। এই ঘটনায় মঞ্জরিশ ত্রিপাঠি নামে এক সেনাসদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনুসন্ধান চলছে আরও দুই সেনাসদস্যের। রেল পুলিশ সূত্রে খবর, কামরায় ওঠার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ওই সেনাসদস্যরা একটা বোতলে পানীয় খেতে দেয় নাবালিকাকে। তার পরেই অচৈতন্য হয়ে পড়ে সে। ওই পানীয়ে মদ মেশানো ছিল। অন্য মতও শোনা যাচ্ছে। তাঁরা বলছেন, পানীয়ের মধ্যে মাদক মেশানো ছিল। ওই বেহুঁশ অবস্থাতেই তাকে গণধর্ষণ করা হয়। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রথম অভিযোগটা করেছিল কলকাতার এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। রেল পুলিশ (জিআরপি)-এর কাছে এক নাবালিকার ছবিসহ ওই অভিযোগে তারা জানায়, দমদম এলাকার এই মেয়েটি বাড়ি থেকে পালিয়ে লুধিয়ানা যাচ্ছে। এমনকী, সে যে আপ অমৃতসর এক্সপ্রেসে চেপে পালাচ্ছে এই কথাও জানানো হয়। এর পরেই নড়েচড়ে বসে রেল পুলিশ। রবিবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে হাওড়া থেকে ছেড়ে যাওয়া অমৃতসরমুখী ওই ট্রেন জুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। কিন্তু, কোথাও ওই নাবালিকার খোঁজ পাওয়া যায়নি। এর পর এ রাজ্যের রেল পুলিশের পক্ষ থেকে ঝাড়খণ্ড পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। নাবালিকার ছবিও পাঠানো হয়। ঝাড়খণ্ড পুলিশ এবার সে রাজ্যের জিআরপিকে ওই বার্তা পাঠায়। রেল রক্ষী বাহিনী (আরপিএফ)-র সঙ্গে যৌথ ভাবে রেল পুলিশ ফের তল্লাশি শুরু করে অমৃতসর এক্সপ্রেসে। শেষে মধুপুরের কাছে এসে সব কামরা পেরিয়ে সেনা-জওয়ানদের জন্য সংরক্ষিত কামরায় এক নাবালিকার সন্ধান মেলে। মেঝেতে পড়ে থাকা অজ্ঞান ওই নাবালিকার সঙ্গে বার্তায় পাঠানো ছবি মিলিয়ে দেখা হয়। ওই কামরায় তখন মঞ্জরিশ ত্রিপাঠি নামে এক সেনাসদস্য ছিলেন। মুখ মিলে যাওয়ায় ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে রেল পুলিশ স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। রাত তখন প্রায় সাড়ে ৮টা। হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে ওই নাবালিকাকে সংঘবদ্ধধর্ষণ করা হয়েছে। মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও এসে পৌঁছায়নি।

ভোট গণনা পর্যন্ত থাকুন : খালেদার উদ্দেশে আশরাফ

খালেদা জিয়ার উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, আপনি নির্বাচনে থাকুন। নির্বাচন বর্জন করবেন না। ভোট গণনা পর্যন্ত থাকুন। কারণ, গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচন খুবই জরুরি। নির্বাচন বিতর্কিত করলে আপনার কোনো লাভ নেই। প্রধানমন্ত্রীরও কোনো লাভ নেই। এতে দেশের ক্ষতি হবে। আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সৈয়দ আশরাফ বলেন, পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সবগুলোতে জিতে গেলেও সরকারের কিছু আসবে বা যাবে না। আবার একটাতে না জিতলেও সরকারের পতন হবে না। নতুন সরকারের প্রশ্ন আসবে আগামী সাধারণ নির্বাচনের পর। তবে আওয়ামী লীগের নিজস্ব জরিপে দেখা গেছে, বেশির ভাগ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীরা জয়ী হবেন। এখন নির্বাচনের দিন বোঝা যাবে, কোন জরিপ সঠিক। সৈয়দ আশরাফ বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। আমি মনে করি কমিশন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবে। আর সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। সেটা সরকার শতভাগ পালন করবে। সৈয়দ আশরাফ প্রশ্ন তোলেন, বিএনপির নেত্রী মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদদের নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছেন, সেটা এখন কোনো ইস্যু না। পৌরসভা নির্বাচনের সঙ্গে এটা সম্পৃক্তও না। তাহলে তিনি কেন এই বিতর্ক তৈরি করলেন, এই বিতর্কের কারণ কি? নিশ্চয়ই এর পেছনে তাঁর কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আছে। সেটারই অংশ হিসেবে তাঁর এই বিতর্ক তৈরি করা। তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, তিনি পৌর নির্বাচনে থাকবেন কি না, সন্দেহ আছে। সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

দুর্নীতি করে ভোটের ফল পাল্টালে কঠোর আন্দোলন

দুর্নীতির মাধ্যমে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফল বদলানো হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি।

সোমবার দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই হুঁশিয়ারি দেন।

তিনি আবারো জোর দিয়ে বলেন, ‘পরিবেশ প্রতিকূল জেনেও বিএনপি গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন হিসেবে এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে না।

গাজীপুরে র‌্যাবের অভিযানে নিহতরা রোববার কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন: পুলিশ

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের জুগিরচালা এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ভবনে রোববার দিবাগত গভীর রাতে জঙ্গি আস্তানায় র‌্যাবের অভিযানে নিহত দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। র‌্যাব বলছে, নিহত দুজন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এর সক্রিয় সদস্য ছিল। তাদের কাছে খবর ছিল, জঙ্গিরা পরিত্যক্ত ভবনটিতে গোপন বৈঠক করছিল।

কিন্তু র‌্যাবের বক্তব্যের সঙ্গে পুলিশের বক্তব্যের মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। জয়দেবপুর থানা পুলিশ বলছে, নিহত দুই ব্যক্তি রোববারই গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

রোববার রাত ২টার দিকে র‌্যাবের পক্ষ থেকে অভিযান নিয়ে তেমন কিছু না বলা হলেও টিভি চ্যানেলগুলোতে সরাসরি দেখানো হচ্ছিল পুরো অভিযান। মাঠের ওপর বিশেষ লাইটিং ইউনিট দিয়ে ব্যবস্থা ছিল পর্যাপ্ত আলোর। ওই ভবনটিতেই জঙ্গিরা আস্তানা গেড়েছিল বলে টিভি চ্যানেলগুলোর সরাসরি প্রতিবেদনে বলা হচ্ছিল।

গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশিদ জানান, রোববারের অভিযানে নিহত দুজনের নাম মিনহাজুল ও মাহবুব। তারা কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে বন্দি ছিলেন। রোববার দুপুরে তাদের দুজনের জামিন হয়। তারা কারাগার থেকে জামিনে বের হলে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা তাদেরকে নিজেদের হেফাজতে নেন। কিন্তু রাতের অভিযান বিষয়ে র‌্যাব তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের বিষয়টি তিনি পরে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছ থেকে শুনেছেন।

অন্যদিকে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার উপ-পরিচালক মেজর মাকসুদ আলম বলেন, ‘গাজীপুরের বাইপাস চৌরাস্তা থেকে ভোগড়া মোড় সংলগ্ন যোগীতলা গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে জঙ্গি আস্তানায় র‌্যাব সদস্যরা অভিযান চালাতে যায়। এসময় ভবনটির ভেতর থেকে র‌্যাবকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করা হয়। র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়লে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।’

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান রাত সোয়া ২টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিফিং করে জানান, জায়গাটি নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির একটি আস্তানা। ঘটনাস্থল থেকে চারটি অবিস্ফোরিত হাতে তৈরি গ্রেনেড (ইমপ্রোভাইসড এক্সপেল্টাসিভ ডিভাইস-আইইডি) উদ্ধার করে নিক্রিয় করা হয়েছে। আর জঙ্গিদের বিস্ফোরিত বোমায় দুই র‌্যাব সদস্য আহত হয়েছেন। জঙ্গিদের কাছে থাকা একটি ব্যাগ থেকে বেশ কিছু বিস্ফোরক, ডেটোনেটরসহ গ্রেনেড তৈরির উপকরণ উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি জানান, সড়কের পাশের পরিত্যক্ত ওই জায়গায় জঙ্গিরা সভা করতো বলে তাদের কাছে খবর ছিল। ঘটনাস্থলে শুধু ওই দুজনই ছিল দাবি করে র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেন, র‌্যাব সদস্যরা জায়গাটি ঘেরাও করে অভিযান শুরু করে। এখান থেকে কেউ পালাতে পারেনি। তারা নাশকতার পরিকল্পনা করছিল বলে ধারণা মুফতি মাহমুদের।

পৌর ভোটে থাকছে বিএনপি : খালেদা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, পৌরসভায় ভোটযুদ্ধে থাকছে বিএনপি।
 
সোমবার গুলশানে নিজের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
 
সরকার ও ইসির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ জানিয়ে আসা বিএনপি পৌর নির্বাচনে এলেও সরে দাঁড়ানোর ‘ছুতো’ খুঁজছে বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বলে আসছিলেন। এ পরিপেক্ষিতে সোমবার খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমরাও নির্বাচনী যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত অবিচল থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
 
দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর এই বছরের এপ্রিলে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এলেও কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোটগ্রহণের মাঝপথে সরে দাঁড়িয়েছিল। 
 
পৌর নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা পাওয়ার অভিযোগ তুলে খালেদা বলেন, নানা ধরনের চাপ ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অনেক জায়গায় বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেয়া হয়নি, প্রত্যাহারেও বাধ্য করা হয়েছে। সেনা মোতায়েনের দাবি করেছি। নির্বাচনে কমিশন বলেছে, সে ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। আমরা জানি না, আর কত ভয়াবহ পরিস্থিতি হলে সেনা মোতায়েনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।
 
নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হওয়ায় সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী দলটির নেত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছি।
 
আমরা দেশবাসীকে অনুরোধ জানাই, আসন্ন পৌর মেয়র নির্বাচনে আমাদের মনোনীত প্রার্থীদের ধানের শীষে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। আপনাদের অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে ভূমিকা রাখবেন।
 
আট মাস পর গুলশানে নিজের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন খালেদা। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে সর্বশেষ গত ২৫ এপ্রিল এখানে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন তিনি। তবে এর মাঝে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
 
বিকাল ৪টা ২৪ মিনিটে শুরু হওয়া সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেয়ার সময়ে খালেদা জিয়ার টেবিলের সামনে ধানের শীষ প্রতীক ছিল। সংবাদ সম্মেলনের পর তিনি সেই প্রতীক হাতে তুলে নেন।
 
৩০ মিনিটের বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসন আসন্ন পৌর নির্বাচন ছাড়াও বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন। তবে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন নেননি তিনি।
 
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, আ স ম হান্নান শাহ, মুহম্মদ জমিরউদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, খালেদা জিয়ার প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
 
জামায়াতে ইসলামীর আবদুল হালিম, বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, ইসলামী ঐক্যজোটের মজিবুর রহমান পেশোয়ারী, জাগপার শফিউল আলম প্রধানসহ ২০ দলীয় জোটের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
 
স্থানীয় সরকারের আইন সংশোধনের পর পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক নিয়ে অংশ নিচ্ছেন। ফলে সাত বছর পর ৩০ ডিসেম্বরের এই ভোটে ব্যালটে ধানের শীষ প্রতীক থাকছে।
 
২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার পর ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করে সংসদ থেকে ছিটকে পড়ে বিএনপি। এরপর এই বছরের শুরুতে সরকার হটানোর আন্দোলন শুরু করলেও ব্যর্থ হওয়ার পর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গিয়েছিল দলটি।
 
সোমবারের সংবাদ সম্মেলনের একদিন আগেও খালেদা জিয়া এক অনুষ্ঠানে বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীদেরই জয় হবে, ভরাডুবি হবে ক্ষমতাসীনদের।

‘থার্টি ফার্স্টে সন্ধ্যার পর উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান নয়'

ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, নিরাপত্তার স্বার্থে থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাকা মহানগরে সন্ধ্যার পর উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান করতে দেয়া হবে না। সোমবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি তথ্য জানান।
 
আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ইনডোরে যে যার মতো তাদের অনুষ্ঠান ও আনন্দ করতে পারেন। কিন্তু সন্ধ্যা ছয়টার পর বাইরে কোনো অনুষ্ঠান করতে দেয়া হবে না। নাশকতার কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলেও নিরাপত্তার স্বার্থেই এই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬টা এবং  গুলশান, বারিধারা, বনানীতে রাত ৮টার পর বাইরের কোনো ব্যক্তি বা যানবাহনকে ঢুকতে দেয়া হবে না। এছাড়া হাতিরঝিল এলাকায় সন্ধ্যা ছয়টায় পর কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
 
ডিএমপি কমিশনার বলেন,  রাজধানীতে ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টা থেকে পরদিন ভোর ৫টা পর্যন্ত সব ধরনের লাইসেন্স আগ্নেয়াস্ত্র বহন নিষিদ্ধ থাকবে।
 
তিনি বলেন, নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে গিয়ে কোথাও আতশবাজি বা পটকা ফোটানো যাবে না। উন্মুক্ত স্থানে নাচ-গান- আনন্দ করাও মানা। মাদকের বিষয়েও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারি থাকবে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চেকপোস্ট বসবে।

থার্টিফার্স্টে সন্ধ্যার পর অনুষ্ঠান না করার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

সন্ধ্যার পর থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন না করার পরামর্শ  দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে দেশে যেন কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন তিনি। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
 
শেখ হাসিনা বলেছেন, কেবল রাতেই করতে হবে এমন কথা নেই, দিনেও এই অনুষ্ঠান করা যায়। রাতে আনন্দ করতে গেলে যদি সমস্যা তৈরির আশঙ্কা থাকে তাহলে রাতে না করাই ভালো। কোনো সমস্যা যাতে না হয় এজন্য সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।
 
তিনি বলেন, থার্টিফার্স্টের অনুষ্ঠান কর্মসূচি একটি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশের মধ্যে যেন উদযাপন হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। কোনো বিশৃঙ্খলা বা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয় সে ব্যাপারেও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমাদের দেশকে নিয়ে দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চলছে।

Sunday, December 27, 2015

১৫ টি বিমান দুর্ঘটনার ভিডিও -তবে হার্ডে সমস্যা তারা ভিডিও টি দেখবেন না ।

ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা

ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় শনিবার প্রবল বর্ষণের কারণে বন্যা দেখা দিয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগটির কারণে কয়েক হাজার মানুষ অন্যত্র চলে গেছে এবং সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বন্যায় ইংল্যান্ডের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে ল্যাঙ্কাশায়ার ও উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে ইয়র্কশায়ার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিবেশ কর্মকর্তারা ওই এলাকাগুলোতে ৩০০টি’র সতর্কতা বার্তা জরি করেছেন। এদের মধ্যে ২০টি সম্ভাব্য ভয়াবহ বন্যার সতর্কতা বার্তা। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র। দুর্যোগটিতে বিদ্যুতের একটি সাবস্টেশনের ক্ষতি হওয়ায় ওই অঞ্চলের প্রায় ১০ হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বন্যার পানিতে নিমজ্জিত বাড়িঘর থেকে বহু বয়স্ক ও বিপদগ্রস্থ মানুষকে লাইফবোটে করে উদ্ধার করা হয়েছে। কোন কোন এলাকার পানি বাড়িঘর ও দোকানের নিচের দিকের জানালার কাছে পৌঁছেছে। এতে মহাসড়কগুলো কাদাপানির জলপথে পরিণত হয়েছে। সংকীর্ণ কাউন্টির পথগুলোতে পানির তোড় থাকায় মানুষ গাড়িগুলোকে পরিত্যক্ত রেখে পালিয়ে গেছে। বন্যার ভয়াবহতার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সোমবার বন্যা উপদ্রুত এলাকাগুলো সফর করার কথা রয়েছে। সেখানে যাওয়ার আগে রোববার তিনি জরুরি সরকারি কমিটি কোবরা’র এক বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। বড়দিনে একটি জরুরি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইংল্যান্ডের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে চলতি মাসের গোড়ার দিকে এ ধরনের একটি বন্যার পর কর্মকর্তারা চাপের মধ্যে রয়েছেন। কাম্ব্রিয়ায় বন্যায় কোটি কোটি পাউন্ডের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বন্যায় অনেক শহর ও গ্রামের বাড়িঘর ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। সরকারি বন্যায় প্রতিরোধ ব্যবস্থায় পর্যাপ্ত অর্থ ব্যয় করতে ব্যর্থ হওয়ায় জনগণের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়।

চীনে খনি মালিকের আত্মহত্যা

চীনে একটি জিপসাম খনি ধ্বসে ১৭ জন শ্রমিক আটকা পড়ার পরে ওই খনির মালিক আত্মহত্যা করেছেন। গত শুক্রবার তার এই খনিতে ভূমিধ্বসের পরে একজন নিহত হয়েছেন এবং চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ইউরোং কোম্পানির চেয়ারম্যান মা কংবো রবিবার একটি খনির কূপে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এর আগে গত শুক্রবার পিংই কাউন্টির লিনি শহরে এই কোম্পানির মালিকানাধীন জিপসাম কারখানায় আকস্মিক ভূমিধ্বস ঘটে। এখনো অবশ্য জানা যায়নি, ঠিক কী কারণে এই ভূমিধ্বসের ঘটনা ঘটে। আটকা পড়া ১৭ জনকে উদ্ধারে প্রায় ৭০০ উদ্ধারকর্মী কাজ করছে এবং একটি ছিদ্র তৈরি করে খাদ্য ও পানি পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।   এর আগে গত সপ্তাহে চীনের দক্ষিণাঞ্চলের শেনজেন শহরে নির্মাণ বর্জ্যরে ভূমিধ্বসে প্রায় ৭৫ জন নিখোঁজ আছেন। ধারণা করা হচ্ছে তাদের সবাই মারা গেছেন।  বার্তা সংস্থার এপি-র হিসাব অনুযায়ী গত বছর খনি দুর্ঘটনায় চীনে ৯৩১ জন নিহত হয়েছেন।  আগের তুলনায় অবশ্য এই মৃত্যুহার অনেক কমে এসেছে। শুধু ২০০২ সালে ৭০০০ খনি কর্মী চীনে নিহত হয়েছিল।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আবেদন

মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে কটূক্তি করায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছে। আজ রবিবার সকালে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি মশিউর মালেক বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদেশ পরে দেবেন বলে জানান আদালত। একই দিন সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমানের আদালতে মামলার গ্রহণ বিষয়ে শুনানি হয়। উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে নিউ ইয়র্কের অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশি আমেরিকান। নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তারা। পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে ১৯৫ জন পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীকে বিচারের আওতায় আনারও দাবি জানান তারা।

বড়দিনে বোকো হারামের হামলায় নাইজেরিয়াতে নিহত ১৪

নাইজেরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলের একট গ্রামে বড়দিনে বন্দুকধারী বোকো হারাম জঙ্গিদের হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। শুক্রবার বোর্নো রাজ্যের কিম্বা গ্রামে সাইকেলে করে এসে হামলাকারীরা এ হামলা চালায়। তারা গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালায় ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে। গ্রামটিতে জিহাদীদের ব্যাপক তৎপরতা রয়েছে।   মুস্তফা কারিম্বে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, বন্দুকধারীরা ১৪ জনকে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার আগে পুরো গ্রামে আগুন ধরিয়ে দেয়।' তিনি বোকো হারামের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সেনাবাহিনীকে সহায়তা করছেন। পাহারা পরিষদের অপর সদস্য মুসা সুলেইমান বলেন, একটি বাড়িও অগ্নিসংযোগ থেকে রক্ষা পায়নি।   এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কিম্বার কয়েকশ বাসিন্দা পার্শ্ববর্তী বিউয়ে পালিয়ে গেছে। সেখানে ইতোমধ্যেই বোকো হারামের হামলায় বাস্তুচ্যুত শরণার্থীরা আশ্রয় নিয়েছে। নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জঙ্গি গোষ্ঠীটিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার ঘোষণা দিয়েছেন। ওই দিনক্ষণের মাত্র কয়েকদিন আগেই এই হামলাটি চালানো হল।   চলতি বছরের মে মাসে বুহারি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি বোকো হারামের জঙ্গি তৎপরতা অবসানের অঙ্গীকার করেছেন। ৬ বছর ধরে চলা এই জঙ্গি তৎপরতায় এখন পর্যন্ত ১৭ হাজারের বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছে। এক সপ্তাহ আগে বোকো হারামের সদস্যদের হামলায় নাইজেরিয়ার সেনা প্রধানের বাড়ির কাছেই অবস্থিত তিনটি গ্রামের ৩০ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়।

দক্ষিণ আমেরিকায় আকস্মিক বন্যায় গৃহহীন দেড় লাখ

পঞ্চাশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় দক্ষিণ আমেরিকার প্যারাগুয়ে, আরজেণ্টিনা, ব্রাজিল ও ওরোগুয়ের দেড় লক্ষাধিক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। প্রবল বর্ষণে ওই অঞ্চলের প্রধান তিনটি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ওই আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। এরমধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা প্যারাগওয়ের। দেশটিতে জরুরি অবস্থা করা হয়েছে। বন্যায় দেশটির ১ লাখ ৩০ হাজার  মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। উত্তর আর্জেণ্টিনায় বিশ হাজার লোক ও ব্রাজিলের এক হাজার আটশ পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। খবর বিবিসির। বৃষ্টির সঙ্গে প্রচন্ড ঝড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ব্যপক ক্ষতি হওয়ায় বন্যা কবলিত এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। দুই শতাধিক বিদ্যুতের খুঁটি ঝড়ের কারণে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। দেশগুলোর আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে ওই অঞ্চলটিতে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে সীমান্ত নদীগুলোর পানি বিপদসীমার উপর থেকে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রাজিলের প্রেসিডেণ্ট ডিলমা রোসেফ শনিবার বিমানে করে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা ঘুরে দেখেন।

অপহরণ করেছিল আইএস, উদ্ধার করেছে তালিবান

আফগানিস্তানের জাবুল প্রদেশ থেকে অপহৃত হবার নয় মাস পর উদ্ধার পাওয়া এক তরুণ এখন তার কাহিনি গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরছেন। নবী নামের ঐ তরুণসহ বেশ কয়েকজনকে আইএস জিম্মি করে এবং একপর্যায়ে তালিবানরা তাদের মুক্ত করে। তার গল্প থেকে আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেটের কর্মকাণ্ড বিষয়ে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়। ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীতে কাজ খুজতে যাবার সময় বাস থেকে ২৫ বছর বয়স্ক নির্মাণশ্রমিক নবীসহ আরো কয়েকজনকে অপহরণ করা হয়। কালো মুখোশ পড়া বন্দুকধারীরা যাত্রীদের মধ্য থেকে সংখ্যালঘু শিয়া হাজারা সম্প্রদায়ের ৩০ জনকে আলাদা করে এবং তাদের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে নিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে এই অপহরণের পেছনে তালিবানরা রয়েছে বলে ধারণা করা হলেও কিছুদিনের মধ্যেই নবী এবং অন্যান্য জিম্মিরা জানতে পারে যে তাদের অপহরণকারীরা ইসলামিক স্টেটের সদস্য। "তারা চাইছিল আমাদের বিনিময়ে আফগান সরকারের হাতে তাদের বন্দী নারী এবং শিশুদের মুক্ত করতে" বলেন নবী। অপহরণকারীরা জানায় যে তারা পার্শ্ববর্তী উজবেকিস্তান থেকে এসেছে 'জিহাদে অংশ নেয়ার জন্যে'। চোখ বেঁধে রাখা হয়েছিল জিম্মিদের অপহরণকারীরা জিম্মিদের ভিডিওচিত্র ধারণ করে এবং কিছুদিন পর তাদের দুটি দলে ভাগ করে। নবী এবং তার দলকে একটি পশুর খামারে আটকে রাখা হয়। "আমাদের চোখ বেঁধে রাখা হয় এবং হাত পিছমোড়া করে বাঁধা থাকতো" তিনি বলছেন। "কিন্তু আমাদের কান খোলা ছিল, আমরা বুঝতে পারছিলাম কোন আবাসিক এলাকায় আমাদের আটকে রাখা হয়েছে কারণ আমরা নারী ও শিশুদের গলার স্বর শুনতাম এবং আজানও শুনতে পেতাম"ৎ প্রথমদিকে সরকারী বাহিনীও তাদেরকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েছিল। "আমাদের মাথার ওপর হেলিকপ্টার উড়ছিল" নবী বলছিল। "গুলির শব্দও পরিষ্কার শুনতে পারছিলাম।" যদিও সরকার বলছে, অপহরণকারীরা বারবার স্থান পরিবর্তন করায় তারা সফল হতে পারেনি, কিন্তু নবী বলছে নয় মাসে তাদের মাত্র চারবার স্থানান্তর করা হয়েছিল। উদ্ধারকৃত জিম্মিরা জানিয়েছে তাদের নিয়মিত নৃশংসভাবে নির্যাতন করা হতো এবং একপর্যায়ে একজন জিম্মিকে শিরচ্ছেদও করা হয়। "আল্লাহ ছাড়া সবার ওপর থেকে আমরা আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলাম" নবী বলছিল। অপ্রত্যাশিত উদ্ধার শেষপর্যন্ত স্থানীয় তালিবানরা আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলা চালানোর পরই জিম্মিদের মুক্তি ঘটে। জিম্মিদের চোখ বাঁধা অবস্থাতেই ভিন্ন একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় তারা প্রবল গোলাগুলির শব্দ শুনতে পায়। তিনদিন পর পাশতো ভাষায় কথা বলতে বলতে কিছু সশস্ত্র লোক ঐ বাড়িতে উপস্থিত হয়। "যখন চোখের কাপড় খোলা হয়, তখন আমি সামনে বিশালাকৃতির দাড়িওয়ালা এক লোককে দাড়িয়ে থাকতে দেখি," বলেন নবী। "আমি বুঝতে পারি যে এরা তালিবান এবং কিছুটা আস্বস্ত হই।" জিম্মিদের স্থানীয় তালিবান কমান্ডারের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। "চার থেকে পাঁচ'শ মানুষ আমাদের অভিনন্দন জানায়" বলেন নবী। "কমান্ডার আমাদের আলিঙ্গন করতে নিষেধ করেন কারণ দাড়ানোর মতো শক্তিও আমাদের ছিল না।" নবী বলছেন, উজবেক যোদ্ধা এবং তাদের পরিবার প্রাণপণে যুদ্ধ করে। শেষপর্যন্ত তাদের কয়েকজন নিহত হয় এবং অনেকে আটকও হয়। এখন কাবুলে বাবা-মা, তিন ভাই এবং দুই বোনের কাছে ফিরে এসেছে নবী। তবে এখনো পুরো ধাক্কা সে কাটিয়ে উঠতে পারেনি। নির্যাতনের কারণে তার কিডনিও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এখন তার চিকিৎসা চলছে। বিবিসিকে নবী জানিয়েছে যে সে এখনো সরকারের কাছ থেকে কোন ধরণের অর্থনৈতিক সাহায্য পায়নি।

শিশুঘাতী মশার ভাইরাসে আক্রান্ত ব্রাজিল, জরুরি অবস্থা জারি

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে বিপদসংকেত পেয়ে ব্রাজিলে জরুরি অবস্থা জারি করল সরকার। প্রায় আড়াই হাজার সদ্যজাত শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় দেখা গেছে, প্রত্যেকেরই মস্তিষ্ক মারাত্মকরকমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মস্তিষ্ক নিয়েই তারা জন্মেছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মশা থেকে জন্ম নেওয়া বিশেষ ভাইরাসের কারণেই শিশুদের মস্তিষ্ক এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে কারণে বিষয়টিকে হালকা ভাবে নিচ্ছে না ব্রাজিল সরকার। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, এই প্যাথোজেনের নাম জিকা। ৭০ বছর আগে আফ্রিকার জঙ্গলে বাঁদরদের মধ্যে প্রথম এই ভাইরাসের সন্ধান মেলে। মশাজাত এই ভাইরাসের কারণে স্নায়বিক জটিলতা দেখা যায়। এমনকি আক্রান্তের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সদ্যোজাতরা যে জিকা ভাইরাসের শিকার হচ্ছে, গত নভেম্বরেই তা খেয়াল করে ব্রাজিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। একমাস আগে সতর্কও করা হয়েছিল। কিন্তু, এই ক'দিনের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সরকারি হিসেবে, আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ২,৪০০। এর মধ্যে ২৯টি শিশু ইতিমধ্যেই মারা গেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের প্রতিক্রিয়া, জিকার কারণে দেশে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যারা ইতিমধ্যেই আক্রান্ত, বাকি জীবনটা তাদের স্পেশাল কেয়ারে রাখতে হবে। সে কারণে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছুদিন নারীদের গর্ভধারণ না-করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। 

সূত্র: এই সময়

Saturday, December 26, 2015

খালেদা জিয়ার গুরুত্ব পূর্ণ ভাষণ

পুলিশকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করছে মন্ত্রী-এমপিরা : মাহবুব উদ্দিন খোকন

বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, সুষ্ট নির্বাচন হলে পৌরসভা নির্বাচনে ধানের শীর্ষে বিএনপির প্রার্থী ৮০ ভাগ সিটে বিজয়ী হবে।
শনিবার বিকেল ঢাকা সাভার পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী বদিউজ্জামান বদির পক্ষে এক নির্বাচনী প্রচারনায় সাংবাদিকদের সাথে আলাপ কালে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন,আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপিরা তাদের প্রার্থীকে জোরপুর্বক ভাবে বিজয়ী করতে পুলিশ প্রশাসনকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করছে। জাতীয় নির্বাচনের মত পৌরসভা নির্বাচনে সরকার যদি বিনা ভোটে সিট নিয়ে যায় তাহলে জনগন এবার বসে থাকবে না সরকারের পতন ঘটিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরবে। সুষ্ট নির্বাচন করতে তিনি নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের প্রদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সাবেক এমপি ফজলুল হক মিলন, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান, ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভা আব্দুর রহমান বাবুলসহ আরো অনেকে।

তিন নারী ধর্ষণ করলেন একজন পুরুষকে ।

 দক্ষিণ আফ্রিকার বন্দরনগরী পোর্ট এলিজাবেথের একটি এলাকা খজাখেল। সেখান থেকে ৩৩ বছর বয়সী এক যুবককে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করেন তিন নারী। পরে একটি কালো বিএমডব্লিউ গাড়িতে হাত বেঁধে যুবককে নিয়ে ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন তাঁরা।
দীর্ঘ এ ভ্রমণে তিন নারী প্রথমে ফুঁসলিয়ে যৌনকর্মে লিপ্ত করতে চান যুবকটিকে। কিন্তু তিনি কিছুতেই রাজি না হওয়ায় এক ধরনের রস পান করিয়ে ওই তিনজন একে একে ধর্ষণ করেন যুবককে। এর পর যুবকের বীর্য একটি প্লাস্টিকের থলেতে ধারণ করে ঠান্ডা বাক্সে রাখেন তাঁরা। পরে যুবকটিকে গাড়ি থেকে ফেলে দেন ওই তিনজন।
মেইল অনলাইনের খবরে বলা হয়, চলতি বছরের ৭ মে এ ধরনের একটি অভিযোগ পায় দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ। সম্প্রতি তারা মামলার তদন্ত শুরু করেছে।
ওই মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়, তিন নারী এক যুবককে অপহরণের পর ধর্ষণ করে বীর্য সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে।   
এ বিষয়ে পোর্ট এলিজাবেথ পুলিশের সদস্য মেনসেদি বোম্বো বলেন, তিনি এ ধরনের ঘটনা আগে কখনো শোনেননি।
বোম্বো আরো বলেন, ভুক্তভোগী ওই যুবক এখনো ভয় পাচ্ছেন। ঘটনার সময় তিনি পুরোপুরি সজাগ ছিলেন। এ ঘটনায় তিনি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছেন।

পুরুষের ধূমপানে হতে পারে নারীর বন্ধ্যাত্ব

পুরুষের ধূমপানের কারণে ‘পরোক্ষ ধূমপায়ী’ হিসেবে নারীদের নানাবিধ স্বাস্থ্য জটিলতা দেখা যায়। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিজে ধূমপায়ী না হলেও সঙ্গী পুরুষটি যদি ধূমপায়ী হন, তাহলে তার কারণে বন্ধ্যাত্বের শিকার হতে পারেন নারী। যুক্তরাষ্ট্রের  নিউইয়র্ক কলেজ ফর মেডিক্যাল সায়েন্সে পরোক্ষ ধূমপান এবং বন্ধ্যাত্ব সংক্রান্ত বিষয়ক একটি জার্নালে এই তথ্য প্রকাশ করেছেন গবেষকরা।
গবেষণায় উল্লেখ, স্বাভাবিক নিয়মে মহিলাদের ঋতুচক্রের প্রক্রিয়া ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত চলে। পরোক্ষ ধূমপানের কারণে ঋতুচক্রের প্রক্রিয়া এই নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও দেখা দিতে পারে। গবেষকদের দাবী, প্রত্যক্ষ ধূমপানের মত একই ক্ষতি হয় পরোক্ষ ধূমপানেও।
এই গবেষণায় মহিলাদের ধূমপানের বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করার কথা বলা হয়েছে। নিউইয়র্ক কলেজ ফর মেডিক্যাল সায়েন্সের ওয়েবসাইটের পাশাপাশি একটি তামাক নিয়ন্ত্রক অনলাইন জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশ করা হয়েছে।

কমপক্ষে ৩০০ নেতা-কর্মীকে গুম করেছে সরকার : ফখরুল

বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে দেশে ফিরব : মোনালিসা

 দেশের জনপ্রিয় মডেল, নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী মোজেজা আশরাফ মোনালিসা। এখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। সেখানে কিকো মিলানো নামে একটি কসমেটিকস ব্র্যান্ডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করছেন তিনি।
মোনালিসার যুক্তরাষ্ট্রে থাকার ঘটনা কারো অজানা নয়। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ফাইয়াজ শরীফের সঙ্গে ২০১২ সালের জুনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। একই বছরে ডিসেম্বরের ১২ তারিখে তাঁদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর কিছুদিন না যেতেই গণমাধ্যমকে মোনালিসা জানান, তাঁরা বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন। পারস্পরিক বোঝাপড়া না হওয়ায় বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।



 তবে মোনালিসার বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিকতা এখনো শেষ হয়নি। তাই এখনো তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আছেন। কবে মোনালিসা দেশে ফিরতে চান, কীভাবে কাটছে তাঁর প্রবাস জীবন—এসব বিষয় নিয়ে আজ  টেলিফোনে কথা বলেছেন মোনালিসা।
প্রশ্ন : কেমন আছেন আপনি?
উত্তর : জি, ভালো আছি।
প্রশ্ন : যুক্তরাষ্ট্রে সময় কেমন কাটছে?
উত্তর : ভালোই। সারাক্ষণ কাজে ব্যস্ত থাকি। যতটুকু অবসর পাই, এখানে আমার প্রবাসী বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দিই। এসব বন্ধু আমার পূর্বপরিচিত। ঢাকায় থাকার সময় তাঁদের সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল। তাঁরা প্রত্যেকে অনেক ভালো। গতকাল বড়দিনে সবাই মিলে আমরা অনেক মজা করেছি। কাজের কোনো চাপ ছিল না। তাই ইচ্ছামতো ঘোরাঘুরি করেছি।
প্রশ্ন : বিদেশে থেকে বাংলাদেশের চ্যানেলগুলো কি দেখা হয়?
উত্তর : নিয়মিত দেখি। আমার করা অনেক পুরাতন বিজ্ঞাপন, নাটক প্রচারিত হয়, যা দেখতে আমার ভালোই লাগে। অন্যদের কাজও দেখি।
প্রশ্ন : দেশে তো আপনার অসংখ্য ভ্ক্ত রয়েছেন। তাঁদের কথা মনে কি পড়ে?
উত্তর : সত্যি বলতে কি, আমি ভক্তদের অসম্ভব মিস করি। এখানে যাঁরা বেড়াতে আসেন, তাঁরা আমাকে দেখলে ছবি তোলেন, কথা বলেন। আমার ভীষণ আনন্দ হয়। আমিও আমার ভক্তদের ভক্ত। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া, আমি অনেক মানুষের কাছ থেকে ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছি।
প্রশ্ন : দেশের সহকর্মী ও বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আপনার যোগাযোগ আছে কি?
উত্তর : খুব ভালো যোগাযোগ রয়েছে। ফোনে, ফেসবুকে তাঁদের সঙ্গে কথা হয়। অনেকে আমার খোঁজখবর রাখেন। এ ছাড়া যাঁরা এখানে ঘুরতে ও শুটিং করতে আসেন, তাঁরা সবাই আমার সঙ্গে দেখা করেন। আর এখানে তো টনি ডায়েস ভাইয়া, রোমানা ও মিলা আপু আছেন। তাঁদের সবার সঙ্গে মাঝেমধ্যে দেখা হয়।
প্রশ্ন : বাইরে চাকরি করতে কেমন লাগছে?
উত্তর : খারাপ নয়। আমি মনে করি, আমার অভিজ্ঞতা বাড়ছে। আর শেখার তো কোনো শেষ নেই। চাকরিতে আগের চেয়ে আমার পজিশন হাই হয়েছে। কিকো মিলানো ইতালিয়ান একটা কসমেটিকস ব্র্যান্ড। ১৯৯৯ সাল থেকে এই ব্র্যান্ড ভালোভাবে চলছে। আমি এই ব্র্যান্ডের পণ্য বাংলাদেশেও ব্যবহার করেছি। যুক্তরাষ্ট্রে ব্র্যান্ডটি ধীরে ধীরে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
প্রশ্ন : দেশে ফেরার ইচ্ছা আছে কি?
উত্তর : দেশকে অনেক মিস করি। আমার বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে দেশে ফিরব। এখানে স্থায়ীভাবে থাকার ইচ্ছা নেই। দেশ ফিরে আবারো অভিনয়ে ফিরব।
প্রশ্ন : বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিকতা কবে নাগাদ শেষ হতে পারে?
উত্তর : সেটা এখনো জানি না। কাজ খুব ধীরে ধীরে এগোচ্ছে।

কেমন ছিল বিন লাদেনের আস্তানা?

 দিগন্ত বিস্তৃত পর্বত। জনবসতি নেই বললেই চলে। নিকটবর্তী পিচঢালা রাস্তায় কদাচিৎ দেখা মেলে দু-একটা গাড়ির। তীব্র শীতে জমে বরফের স্তূপ। সেই পরিবেশে কাদামাটি আর ইট-পাথরের কয়েকটি সাদামাটা ঘর। দেখে মনে হতে পারে, আফগান কোনো আদিবাসীর বাসস্থান। কিন্তু বাস্তবতা বলে ভিন্ন কথা।

 আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে ১৫৫ কিলোমিটার দূরে নানগরহর প্রদেশের জালালাবাদের সেই তোরা বোরা পাহাড়ের পাদদেশেই থাকতেন আল-কায়েদার সাবেক প্রধান ওসামা বিন লাদেন।
সিএনএনের প্রতিবেদনে জানা যায়, পর্বতের পাদদেশে স্থাপিত ঘরগুলোতে পরিবার নিয়ে থাকতেন ওসামা বিন লাদেন। সেখানে নিয়মিত যাতায়াত ছিল তালেবানের জ্যেষ্ঠ নেতাদের। সেখানে বসেই গোপন কার্যক্রম চালাতেন আল-কায়েদার প্রধান।
 সিএনএনে প্রকাশিত ছবিগুলো থেকে দেখা যায়, ঘরের ভেতরটায় আসবাব ছিল খুবই কম। মাটির দেয়ালে ঝুলতে দেখা যায়, একটি হারিকেন কিংবা দরকারি কোনো সামগ্রী।
কোনো কক্ষের মেঝেতে বিছানো থাকত মাদুর। নিজের কিংবা অতিথিদের ব্যবহারের জন্য সেগুলোই ব্যবহার করতেন আল-কায়েদার সাবেক প্রধান।
বাড়ির একটি কক্ষের শেলফে ছিল সারি সারি বই। সেখানে একটি চৌকিতে বসেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে কয়েকবার সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বিন লাদেন। কথা বলার সময় ব্নি লাদেনের পাশে রাখা হতো এক বা একাধিক বন্দুক।
সিএনএনের অনুসন্ধানে জানা যায়, বিশ্বজুড়ে আল-কায়েদা আতঙ্ক ছড়ানোর আগেই এ ছবিগুলো তোলা হয়। এ ছবিগুলো তোলার কয়েক বছর পর আফ্রিকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে হামলা চালায় আল-কায়েদা। এরও পরে যুক্তরাষ্ট্রের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় যুক্ত করা হয় বিন লাদেনকে।
২০০১ সালের শেষ দিকে ওই বাড়িগুলোর কাছাকাছি চলে গিয়েছিল মার্কিন সেনারা। সে সময় পালিয়ে রক্ষা পেয়েছিলেন ওসামা বিন লাদেন।
বাড়িটির পাশে ছিল গোপন সুড়ঙ্গপথ। বিপদে এই গুহা ব্যবহার করে নিরাপদে সরে যেতে পরিবার-পরিজনকে পরামর্শ দিতেন বিন লাদেন।
পর্বতবেষ্টিত ওই আস্তানায় দীর্ঘদিন নিরাপদে থাকলেও ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার পর সেটি বিপজ্জনক হয়ে যায় বিন লাদেনের জন্য। এরপরও তিনি দীর্ঘদিন সেখানে ছিলেন। পরে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের একটি দোতলা বাড়িতে আশ্রয় নেন আল-কায়েদার প্রধান। সেখানেই ২০১১ সালের ২ মে মার্কিন যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিহত হন বিন লাদেন।

ভিসা ছাড়া মোদি কীভাবে পাকিস্তানে?’

শুধু ভারত-পাকিস্তানবাসীকেই নয়, গোটা বিশ্ববাসীকেই রীতিমতো চমকে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কোনো আগাম কর্মসূচি বা আমন্ত্রণ ছাড়াই হঠাৎ পাকিস্তান সফর করেছেন তিনি। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে এক সম্মেলন শেষে ভারতে ফেরার পথে লাহোরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ৬৬তম জন্মদিনে তাঁর সঙ্গে দুপুরের খাবার খেয়েছেন মোদি।
দশ বছর পর পাকিস্তানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আকস্মিক সফরে খুশি পাকিস্তানও। তাঁরা এটিকে আখ্যায়িত করেছে, ‘বড়দিনের অলৌকিক উপহার’ নামে। দুই দেশের সংঘাতপূর্ণ অতীতকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে এটি একটি বড় পদক্ষেপ বলে বয়ান করেছে বিশ্ব মিডিয়াও।
দুই দেশের আনন্দের এই মুহূর্তটিতে খুশি হতে পারেননি পাকিস্তানের এক সাংবাদিক। দেশটির জাতীয় একটি টিভি স্টেশনের ওই সাংবাদিক খুব অবাক হয়ে তাঁর রিপোর্টে উল্লেখ করেন, ‘তওবা, তওবা! মোদি নওয়াজ শরিফকে অবাক করে দেবেন এটা ঠিক আছে। তবে তিনি কীভাবে ভিসা ছাড়াই পাকিস্তানে ঢুকলেন? ’
নিউজ ৪২-এর ওই প্রতিবেদক তাঁর প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, এই প্রথম পাকিস্তানে কোনো ভিসা ছাড়াই ১২০ জন লোক ঢুকল। এটা একটা অপরাধ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন উল্লেখ করে ওই টেলিভিশন রিপোর্টার দেশটির প্রশাসন ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

ব্রাজিলে এ মুহূর্তে আতঙ্কে - গর্ভবতী হবেন না, ভাইরাস ছড়াতে পারে!

ব্রাজিলে এ মুহূর্তে আতঙ্কের নাম জিকা ভাইরাস। এইডিস ইজিপটি মশা থেকে ছড়ানো এ ভাইরাসের নির্মম বলি হয় শিশুরা। একবার আক্রান্ত হলে জন্মের সময় থেকেই শিশুর মাথা ছোট হতে পারে। মৃত্যুর শঙ্কাও অনেক বেশি। এমন পরিস্থিতিতে আপাতত গর্ভধারণ পরিকল্পনা থেকে সরিয়ে আসার বিষয়টি বিবেচনা করতে দম্পতিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির চিকিৎসকরা।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, জিকা ভাইরাসে ব্রাজিলের ২০টি প্রদেশে আক্রান্ত হয়েছে দুই হাজার চারশর বেশি মানুষ। সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে রিও ডি জেনিরো প্রদেশে। সেখানে বিপুলসংখ্যক আক্রান্ত মানুষকে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
চিকিৎসকদের মতে, মা-বাবার কাছ থেকে ভাইরাস যেতে পারে শিশুর শরীরে। আর তাতে করে জন্ম হতে পারে বিকলাঙ্গ শিশুর। তাই অনাগত সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে গর্ভধারণ না করার বিষয়টি ভেবে দেখতে বলা হয়েছে।
রিও ডি জেনিরোর ওসওয়ালদো ক্রুজ হাসপাতালের শিশু সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ আনহেলা রোচা বলেন, ‘এটা খুবই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে অনিশ্চয়তার এ সময়ে পরিবারগুলো চাইলে গর্ভধারণ পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে পারে। আমরা সেই পরামর্শই দিচ্ছি।’

পড়তে যাওয়ার পথে কিশোরীকে ধরে নিয়ে গণর্ধষণ, হত্যা

নবম শ্রেণির এক ছাত্রী সাইকেলে চড়ে যাচ্ছিল এক শিক্ষকের বাড়িতে পড়তে। পথে তাকে সাইকেল থেকে ফেলে দিয়ে, টেনেহিঁচড়ে পাশের আখক্ষেতে নিয়ে গণধর্ষণ করেছে চার দুর্বৃত্ত। পরে ওই কিশোরীকে তার ওড়া দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের আলীগড়ের হারদুগঞ্জ এলাকায়। সংবাদমাধ্যম ডেকান ক্রনিকল জানিয়েছে, বুধবার শিক্ষকের কাছে পড়তে পাওয়ার পথে চার দুর্বৃত্ত দুটি মোটরসাইকেলে করে গিয়ে এ ঘটনা ঘটায়। কয়েক ঘণ্টা পর আখক্ষেত থেকে ওই কিশোরীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার পর পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকাবাসী ফুঁসে উঠেছে। চার পুলিশ সদস্যের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। গ্রামবাসী প্রথমে পুলিশকে কিশোরীর লাশ সরাতেও দেয়নি। পরে পুলিশের একটি বড় দল গিয়ে লাশটি সরিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে পুলিশের আলীগড় বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক গোবিন্দ আগারওয়াল জানিয়েছেন, দায়িত্বে অবহেলার জন্য এক পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ব্রাজিল রিও দা জানেরিও

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বন আমাজন


সারাবিশ্বের প্রায় অর্ধেক অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে এই বন। আর এই বিশাল বনে রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বিচিত্র, ভয়ঙ্কর আর সুন্দর অসংখ্য প্রাণী। এদের মধ্যে এমন কিছু প্রাণী আছে, যাদের রয়েছে বেশ কিছু বিশেষত্ব-- যা কিনা তাদের করে তোলে আরও ভয়ঙ্কর সুন্দর।তেমনই কিছু প্রাণীর কথা জানানো হল আজ।
 ১। জাগুয়ার
অনেকটা চিতা এবং লেপার্ডের মতো দেখতে জাগুয়ারকে বলা হয় আমাজন বনের রাজা। দৈর্ঘ্যে ২৫-৩০ ইঞ্চি উঁচু এবং ৫ থেকে ৬ ফুট লম্বা বিশালাকার এই প্রাণীটির ওজন প্রায় ৫০ থেকে ১০০ কেজি হতে পারে। চিতাবাঘের জ্ঞাতিভাই জাগুয়ার নিশাচর প্রাণী। রাতের অন্ধকারে অকস্মাৎ পেছন দিক থেকে সরাসরি শিকারের মাথায় আক্রমণ করে জাগুয়ার।
এমনিতে পুরো আমাজনেই দেখা পাওয়া যায় এদের। তবে আমাজনের ঝরনার পার্শ্ববর্তী ‘পাম্পাস তৃণভূমি’তে সবচেয়ে বেশি জাগুয়ার বসবাস করে।
সাধারণ জাগুয়ার ছাড়াও আমাজনে দেখা পাওয়া যায় বিশেষ ধরনের কালো জাগুয়ারের। ত্বকে যদি ‘মেলানিননের পরিমাণ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি থাকে, তবে সাধারণ জাগুয়ারই হয়ে ওঠে কালো। প্রকৃতি এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে টিকে থাকার জন্য অনেক সময় জাগুয়ারদের ত্বকে মেলানিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। তবে সাধারণ জাগুয়ারদের সঙ্গে তাদের পার্থক্য শুধুমাত্র রংয়েই। 
 ২। অ্যানাকোন্ডা
এই প্রাণীটির নাম শুনলেই অনেকের চোখের সামনে ভেসে ওঠে হলিউডি সিনেমার সেই ভয়ঙ্কর ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিনেমাটি। কিন্তু বাস্তবে মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করে ওরা। পৃথিবীর বৃহত্তম সাপ হল অ্যানাকোন্ডা। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিচিত হল গ্রিন অ্যানাকোন্ডা। ভারি সাপ হিসেবেও গ্রিন অ্যানাকোন্ডাই বেশি পরিচিত। প্রায় ১৫০ থেকে ২২৭ কেজি ওজনের গ্রিন অ্যানাকোন্ডা লম্বায় ২৭ থেকে ৩০ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে।
শীতল রক্তবিশিষ্ট এই প্রাণীটি রাতে শিকারে বের হয়। যদিও এটি মোটেও বিষধর নয়; তবে শিকারকে পেঁচিয়ে ধরে হত্যা করার জন্য বিশেষ কুখ্যাতি আছে অ্যানাকোন্ডার।
৩। ব্ল্যাক কেইম্যান কুমির
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কুমির হল ব্ল্যাক কেইম্যান কুমির, যার দেখা পাওয়া যায় আমাজন নদীতে। দৈর্ঘ্যে প্রায় ৯ থেকে ১৬ ফুট পর্যন্ত লম্বা ব্ল্যাক কেইম্যানের ওজন হতে পারে প্রায় ৪০০ কেজি। কেইম্যান জাতের অন্যান্য কুমিরেরা যেখানে দিনে শিকারে ব্যস্ত থাকে, সেখানে ব্ল্যাক কেইম্যান বের হয় রাতে।
বিজ্ঞানিরা বলেন, এমনিতে সাইজে সবচেয়ে বড় হলেও বুদ্ধির দিক থেকে কিন্তু আমেরিকান অ্যালিগেটরের তুলনায় অনেকটাই বোকা ব্ল্যাক কেইম্যান কুমির।
 ৪। টাইটান বিটল
‘বিটল’ শব্দটির অর্থ হল গুবরেপোকা এবং ‘টাইটান বিটল’ হল ‘দৈত্যাকার গুবরেপোকা’। আমাজনের অন্যতম বাসিন্দা টাইটান বিটল হল কীটপতঙ্গের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা পতঙ্গ, যার দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ছয় ইঞ্চি।
বলা হয় টাইটান বিটলের চোয়ালের নিচের অংশ এতটাই শক্ত যে এটি চাইলেই কোনো পেন্সিলকে দুভাগ করে ফেলতে পারে; কিংবা সহজেই মানুষের শরীরে ঢুকে যেতে পারে। তবে ভয়ের কিছু নেই-- কারণ বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা এই পোকাটি সবচেয়ে নিরীহ প্রাণীও বটে।
আমাজনের অধিবাসী উপজাতি শিশুরা টাইটান বিটলকে একটি মজার খেলনা হিসেবেই ব্যবহার করে। আরও একটি মজার ব্যাপার হল, নিজের জীবদ্দশায় কখনও কোনো খাবার খায় না টাইটান বিটল।
 ৫। দৈত্যাকার সেন্টিপিড
‘ক্যাটারপিলার’ অর্থাৎ শুঁয়োপোকা জাতের প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় হল আমাজনের জায়ান্ট সেন্টিপিড। লম্বায় প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে এরা। বলা হয় আমাজনের ভয়ঙ্কর বিষাক্ত প্রাণীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে জায়ান্ট সেন্টিপিড, যার বিষক্রিয়ায় মুহূর্তের মধ্যে শিকারের সমস্ত শরীর অবশ হয়ে যেতে পারে।
শুঁয়োপোকাবংশের হলেও এরা মাংসাশী প্রাণী এবং নিজের চেয়ে দ্বিগুণ বড় প্রাণীদের শিকার করতেও সক্ষম জায়ান্ট সেন্টিপিড।
৬। দৈত্যাকার ককরোচ
অনেকটা চড়ুইপাখি সাইজের জায়ান্ট ককরোচ হল পৃথিবীর দীর্ঘতম তেলাপোকা। তেলাপোকা শুনলে অনেকেই নাক সিটকাবে। তবে সত্যি কথা হল হাল্কা ধরনের সোনালি রংয়ের এই প্রাণীটি কিন্তু দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনই ভদ্র স্বভাবের। তার তাই আমেরিকাতে অনেকেই ‘এক্সোটিক পেট’ হিসেবে এদের নিজের বাড়িতে রাখে। দক্ষিণ আমেরিকান জায়ান্ট ককরোচ লম্বায় প্রায় এক হাতের সমান অর্থাৎ সাড়ে তিন ইঞ্চির মতো হয়ে থাকে।
৭। গোলাপি ডলফিন
আমাজন নদীর গোলাপি রংয়ের ডলফিন হল মিঠাপানির সবচেয়ে বড় সাইজের ডলফিন। প্রায় সাড়ে আট থেকে সাড়ে নয় ফুট লম্বা এই গোলাপি ডলফিনকে নিয়ে বহু গল্পকথাও প্রচলিত আছে আমাজন এলাকায়।
গোলাপি ডলফিনের ওজন হয় একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সমান। আর এদের মস্তিষ্কের আয়তন মানুষের মস্তিষ্কের চেয়ে শতকরা ৪০ ভাগ বেশি! হালকা গোলাপি রংয়ের এই ডলফিনগুলোকে আমাজন নদী ছাড়াও পুরো দক্ষিণ আমেরিকায় দেখা যায়।
৮। বৈদ্যুতিক ঈল
নিজের শরীরে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে এমন অনেক মাছের নামই শোনা যায়। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে আমাজনের ইলেকট্রিক ঈল।
লম্বায় প্রায় ৬ ফুট এবং ২০ কেজি ওজনের ইলেকট্রিক ঈল প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ ভোল্ট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে, যা মুহূর্তের মধ্যে তার শিকারকে ‘কাবাব’ বানিয়ে ফেলতে সক্ষম। বলা হয় আমাজনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর শিকারিদের মধ্যে একটি ইলেকট্রিক ঈল।
 ৯। পিরানহা
আমাজনের আরেক ভয়ঙ্কর সুন্দর প্রাণী হল পিরানহা মাছ। সাইজে ছোটখাটো হলেও মাংসাশী পিরানহারা তাদের হিংস্র স্বভাবের জন্য বরাবরই পরিচিত। একঝাঁক পিরানহা যখন একসঙ্গে নদীতে সাঁতরে চলে, তখন তাদের ধারালো দাঁত যে কোনো সাইজের প্রাণীদের মুহূর্তের মধ্যে নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে পারে।
মাত্র ১৮ ইঞ্চি লম্বা পিরানহাদের প্রায় ৬০ রকমের প্রজাতি শুধুমাত্র আমাজন নদীতেই দেখা যায়। এছাড়াও কয়েক বছর আগে বাংলাদেশের কাপ্তাই লেকেও পিরানহা মাছের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল।
পিরানহা মাছের চোয়াল এবং দাঁত এতটাই শক্ত এবং ধারালো যে আমাজনের আদিবাসীরা এদের দাঁত দিয়ে হাতিয়ার তৈরি করে।তবে বলা হয়, শুধুমাত্র দুটি পিরানহা একসঙ্গে থাকলে ক্ষুধার্ত অবস্থায় নিজের সঙ্গীকেও খেয়ে ফেলতে পারে এরা!
১০। লিফ ফিশ
লিফ ফিশ-- বাংলায় বলা যায় ‘পাতামাছ’, দেখতে আসলেই শুকনো পাতার মতো। আমাজনের নদীতে এরা এমনভাবে শুকনো পাতার ভেতর লুকিয়ে থাকে যে এদের খোঁজ মেলা ভার। পাতামাছের এভাবে লুকিয়ে থাকাকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘ক্যামোফ্লেজ’।
মাত্র চার ইঞ্চি লম্বা পাতামাছ তার চেয়ে দ্বিগুণ বড় মাছকেও সহজেই গিলে ফেলতে পারে। কারণ এদের মুখের হা বেশ চওড়া। লুকিয়ে থাকার জন্য পাতামাছ মাঝে মাঝে শরীরের রংও পাল্টাতে পারে।

মহাবন আমাজনের এই চমৎকার প্রাণীদের তালিকা কিন্তু এখানেই শেষ নয়। আরও রয়েছে বেশ কিছু অদ্ভুত প্রাণী, রূপ, গুণ এবং বৈশিষ্ট্য-- সব মিলিয়ে যারা অন্যরকম সুন্দর। এদের জন্যই বেঁচে আছে আমাজন, আর আমাজনের জন্যই টিকে আছে আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী।
 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates