Social Icons

Tuesday, October 31, 2017

বাংলাদেশের সমুদ্র অর্থনীতির উন্নয়নে রোল মডেল হতে পারে নেদারল্যান্ডস


ওয়াটার ডেমোক্রেসি বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে নেদারল্যান্ডেস’র সর্ম্পক উন্নয়নের  রয়েছে ব্যাপক সম্ভাবনা। এছাড়াও তৈরি পোশাকের মান এবং কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নেদারল্যান্ডসের গুরুপ্তপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন গবেষনা কর্মে যুক্ত নেদারল্যান্ডস প্রবাসী মহিদুল ইসলাম। সমুদ্র সম্পদসহ সমুদ্র উপকূলকে কাজে লাগিয়ে নেদারল্যান্ডস যেভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশেরও সেই সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
ভূ-কেন্দ্রিক উন্নয়ন কার্যক্রমের পাশাপাশি সমুদ্রভিত্তিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের সামনে খুলে দিতে পারে উন্নয়নের নতুন দিগন্ত। যথাযথ পরিকল্পনা, উপযুক্ত জ্ঞান ও প্রযুক্তির যে ঘাটতি রয়েছে, তা দূর করতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডেস হতে পারে বাংলাদেশের অন্যতম সহযোগী বন্ধু। বাণিজ্য সম্প্রসারণ, জ্বালানি নিরাপত্তায় সমুদ্রের খনিজ সম্পদের ব্যবহার, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, সমুদ্রের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরকে উন্নয়নের নিয়ামক হিসেবে ব্যবহার করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তবে এটা স্বীকার করতেই হবে, সমুদ্রসম্পদ ব্যবহারে বাংলাদেশের যথেষ্ট প্রযুক্তির ঘাটতি রয়েছে।

ঘাটতি রয়েছে সমুদ্রসম্পদের প্রাপ্যতা, উত্তোলন ও ব্যবহার সম্পর্কে বাংলাদেশের পর্যাপ্ত দক্ষ জনবলের। তবে দক্ষ জনবল তৈরিতে এরইমধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা চালু হয়েছে। তবে তা বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট নয়। এর পাশাপাশি শিল্পোন্নত দেশ নেদারল্যান্ডস সহায়তা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে সহযোগী হতে পারে। মহিদুল ইসলাস আরো বলেন, ‘দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলাসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সমুদ্রসম্পদের ভূমিকা অপরিসীম। বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, যে দেশ সমুদ্রকে যত বেশি ব্যবহার করতে পেরেছে, সে দেশ তার অর্থনীতিকে তত এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে।’ নেদারল্যান্ডস ব-দ্বীপ ব্যবস্থাপনায় বিশ্বের সবচেয়ে অগ্রসরমান দেশ।

ব-দ্বীপ রাষ্ট্র হিসেবে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় নেদারল্যান্ডেসর কর্মপদ্ধতি বাংলাদেশের জন্য সমানভাবে ব্যবহার উপযোগী হবে। এ ক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডসের অভিজ্ঞতা ও উদ্ভাবনী কৌশল বাংলাদেশ ডেল্টা প্লান ২১০০ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে প্রয়োগ করে যেতে পারে। যা বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনে বিরূপ প্রভাবের সাথে খাপ খাইয়ে এ ব-দ্বীপকে নিরাপদ ও উৎপাদনশীল রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখতে সহায়ক হবে। এ বিষয়গুলিকে সামনে রেখে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ডাচ সরকারের শিক্ষা আন্তর্জাতিকীকরণ প্রতিষ্ঠান নাফিকের সঙ্গে বাংলাদেশ দূতাবাসের সমুদ্র প্রযুক্তির নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। মূলত বাংলাদেশ দূতাবাস ও নাফিক গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশ এবং নেদারল্যান্ডসের মধ্যে কি কি ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করা যেতে পারে তার উপর কাজ করে আসছে। মহিদুল ইসলাম বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের উন্নয়নের বিষয়েও ভয়েস বাংলার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, ‘ডাচ প্রযুক্তি ও কর্মপন্থা প্রয়োগ করতে পারলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প আরো উচ্চ পর্যায়ে যেতে পারবে তা নিঃসন্ধেহে বলা যায়। কেননা
নেদারল্যান্ডেস তাদের ফ্যাশন ডিজাইন, প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, বিপণন, ব্রান্ডিং-এ যে উৎকর্ষ সাধন করেছে তা বাংলাদেশে প্রয়োগের মাধ্যমে তৈরি পোশাক খাতকে উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।’ পানি কূটনীতি, সমুদ্র অর্থনীতি ও চামড়া শিল্পের আধুনিকায়নে নাফিকের সহযোগিতা বাংলাদেশের জন্য উন্নয়নের অন্যতম মাধ্যম হতে পারে। পানি ব্যবস্থাপনায় ডাচদের যে বিশ্বজোড়া খ্যাতি রয়েছে তা প্রয়োগ করতে পারলে বাংলাদেশ ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলের পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হবে। যেহেতু বাংলাদেশের জন্য সমুদ্র অর্থনীতির গুরুত্ব অপরিসীম। তাই টেকসই পদ্ধতিতে সমুদ্র সম্পদ আহরণের জন্য সমুদ্র অর্থনীতিতে নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডস হতে পারে বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্যতম সহযোগী।

ব্রাজিলিয়ান মার্শাল আর্টসসহ তলোয়ার যুদ্ধও জানেন রাহুল!

শুধু জাপান নয়, ব্রাজিলিয়ান মার্শাল আর্টসেও বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রাহুল গান্ধী! তলোয়ার যুদ্ধেও কুপোকাত করতে পারেন প্রতিপক্ষকে! নয়াদিল্লিতে স্পোর্টস ডেভেলপমেন্টের এক অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের উত্তরে রাহুল জানান যে তিনি আইকিডোতে ব্ল্যাক বেল্ট। ভারতীয় রাজনীতির মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলরের এই গুণটির কথা বেশিরভাগেরই অজানা ছিল।
বক্সার বিজেন্দ্র সিংহের এক প্রশ্নের জবাবে রাহুল ব্ল্যাক বেল্ট জানার পর তাই অবাক অনেকেই। রাহুল ভক্তদের আরো অবাক করে দিলেন তাঁর আইকিডো কোচ পরিতোষ কর।
রাহুল গান্ধী শুধু ব্ল্যাক বেল্টই নয়, ব্রাজিলিয়ান জুজুত্‌সু এবং তলোয়ার যুদ্ধেও সমান পারদর্শী। ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাঁর এ কথা জানান পরিতোষ। ওই সাক্ষাৎকারে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে কাটানো কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেন তিনি। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে পরিচয়, প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং তার পর ক্রমশ ইচ্ছাশক্তির জোরে কীভাবে রাহুল ব্ল্যাক বেল্ট হলেন তা শেয়ার করেন কোচ পরিতোষ।
তিনি জানান, ২০০৯ সালে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে পরিচয় তাঁর। রাহুল তাঁর আরো দুই বন্ধুর সঙ্গে রোজ প্র্যাকটিস করতে আসতেন। রাহুলের প্র্যাকটিস দেখতে মাঝে মধ্যে এসে হাজির হতেন মা সোনিয়া এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও।
২০১৩ সালে ব্ল্যাক বেল্ট হন রাহুল। এর জন্য জাপান থেকে ভারতে আসা এক আইকিডো মাস্টারের সামনে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়েছিল তাঁকে। তিনি আরো জানান, শুধু আইকিডোতে ব্ল্যাক বেল্ট হয়েই থেমে যাননি তিনি। এর পর মার্শাল আর্টসে হাত পাকাতে জাপানে চলে যান রাহুল। জাপান হেডকোয়ার্টারে ১০ দিন থেকে মার্শাল আর্টসে আরো প্রশিক্ষণ নেন।
শুধু তাই নয়, স্পোর্টস প্রেমী রাহুল লন্ডন থেকে ব্রাজিলিয়ান জুজুত্‌সুও শেখেন। তলোয়ার যুদ্ধেও প্রশিক্ষণ নেন, জানান কোচ পরিতোষ। তবে এটাও জানান, নিজের ফিটনেস নিয়ে ভীষণভাবে সচেতন রাহুল গত তিন-চার মাস ধরে শরীরচর্চা করতে পারছেন না। গত তিন মাস ধরে যে তিনি বিভিন্ন কারণে শরীরচর্চা করতে পারছেন না, নয়াদিল্লির অনুষ্ঠানে রাহুলও এ কথা জানিয়েছিলেন।

ব্রাজিলিয়ান এই তারকা নেইমার চুল দিয়ে আলোচনায়

নেইমার দ্য সিলভা জুনিয়র। ব্রাজিলিয়ান এই তারকা যেন আলোচনার বাইরে থাকার পাত্র নন। সম্প্রতি লাল কার্ড দেখে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর হয়ে মাঠে নামার অপেক্ষায়। কিন্তু এমন সময় আবারো আলোচনায় তিনি। তবে এবার আলোচনায় ভিন্ন বিষয়ে। চুল রাঙিয়ে। 

চুলের রঙ সাদা হতে পারে, বাদামি হতে পারে, হালকা খয়েরি হতে পারে। কেউ কেউ লালও করতে পারেন। কিন্তু নেইমার আলোচনায় উঠে এসেছেন চুলের রং সবুজ করে! হ্যালোইন ডে উপলক্ষ্যে চুলের রং সবুজ করেছেন নেইমার। সেই চুলের ছবি তুলে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন। আর সেটা নিয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়েছে।

ফুটবলের দল বদলের ইতিহাসে সর্বকালের সর্বোচ্চ মূল্যের রেকর্ড গড়ে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেন নেইমার। পিএসজির হয়ে শুরুটা দুর্দান্ত হয় ব্রাজিলিয়ান তারকার। ১০ গোল ও ৭ অ্যাসিস্ট নিয়ে পিএসজিতে স্বপ্নের মতো সূচনা পান তিনি। কিন্তু এরপর এক কিংবা একাধিক কারণে আলোচিত-সমালোচিত তিনি। কাভানির সঙ্গে পেনাল্টি নেওয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব ও সবশেষ সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। নিষিদ্ধ হন এক ম্যাচ। অবশ্য আজ রাতে আন্ডারলেখটের বিপক্ষের ম্যাচে পিএসজির হয়ে মাঠে নামবেন তিনি। 

হার্টের রোগীদের সকালে হাঁটতে মানা

সুস্থ থাকতে নিয়মিত হাঁটার বিকল্প নেই। নিয়মিত হাঁটা শরীরের অনেক রোগবালাই দূর করে শরীর সতেজ ও চাঙ্গা রাখে। কিন্তু হার্টের রোগীদের জন্য হাঁটার সবচেয়ে ভালো সময় বিকাল। কারণ হার্টের রোগীদের ক্ষেত্রে সকালে বেশি হাঁটলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
 
হার্ট অ্যাটাক কী?
মূলকথা হার্ট অ্যাটাক হল- হার্ট ঠিকমতো কাজ না করা। করোনারি আর্টারি নামে হৃৎপিণ্ডের গায়ে থাকে দুটি ছোট ধমনী।এরাই হৃৎপিণ্ডের পুষ্টির জোগান দেয়। কোনো কারণে এই করোনারি আর্টারিতে যদি ব্লক সৃষ্টি হয়, তা হলে যে এলাকা ওই আর্টারি বা ধমনীর রক্তের পুষ্টি নিয়ে চলে সে জায়গার হৃৎপেশি কাজ করে না। তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে। এর কেতাবি নাম মায়োকার্ডিয়াল ইনফেকশন। 
 
বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়। এই ব্যথা ২০-৩০ মিনিট স্থায়ী হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগী হাসপাতালে পৌঁছার আগেই মৃত্যুবরণ করে। তাই এটি একটি মেডিকেল এমার্জেন্সি। যাদের হার্টে ব্লক রয়েছে, ওই সব রোগীর হাঁটার ক্ষেত্রে অনেক সচেতন হতে হবে। হার্টের রোগীরা কখনই সকালে হাঁটবেন না। কারণ সারারাত ঘুমানোর পর শরীর বিশ্রামে থাকে। হঠাৎ সকালে উঠে হাঁটা শুরু করলে শরীরের রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। মুহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। অর্থাৎ হতে পারে হার্ট অ্যাটাক।
 
হার্টের রোগীদের আরও যেসব বিষয় মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন ডা. এম ইয়াছিন আলী। আসুন জেনে নিই বেশ কিছু পরামর্শ।
 
সকালে হাঁটা 
হার্টের রোগীরা অবশ্যই হাঁটবেন। তবে সকালে নয়; বিকালে। কারণ হার্টের রোগীরা সকালে হাঁটলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
 
অ্যালকোহলজাতীয় খাদ্য পরিহার করা 
হার্টের রোগীদের অ্যালকোহলজাতীয় খাদ্য পরিহার করতে হবে। যদি কারো মদ্যপান করার অভ্যাস থাকলে তা ছেড়ে দিন। নিতান্তই না পারলে তা পরিমাণে কমিয়ে আনুন।
 
ধূমপান থেকে বিরত থাকা 
 
প্রত্যক্ষ ধূমপায়ীরা তো বটেই পরোক্ষ ধূমপায়ীদেরও হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আপনি যদি ধূমপান ত্যাগ করেন, তা হলে ২ বছরের মধ্যেই আপনার হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমে যাবে এক-তৃতীয়াংশ।
 
খাবারের ক্ষেত্রে সচেতনতা 
 
কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ ও সম্পৃক্ত (saturated) ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে। ডিমের কুসুম (ডিমের সাদা অংশ খাওয়া যাবে), কলিজা, মাছের ডিম, খাসি-গরুর চর্বিযুক্ত মাংস, হাঁস-মুরগির চামড়া, হাড়ের মজ্জা, ঘি, মাখন, ডালডা, মার্জারিন, গলদা চিংড়ি, নারিকেল উপকরণ দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়া যাবে। এ ছাড়া ভাতের সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া যাবে না। এটি মারাত্মক ক্ষতিকর। তবে প্রচুর ফল ও টাটকা সবজি খান। খাবারের তালিকায় আঁশযুক্ত খাবারের পরিমাণ বেশি রাখুন।
 
ওষুধ সঙ্গে রাখুন 
হার্টের রোগীরা সবসময় ওষুধ সঙ্গে রাখুন। হার্টের রোগীদের বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়। এই ব্যথা ২০-৩০ মিনিট স্থায়ী হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগী হাসপাতালে পৌঁছার আগেই মৃত্যুবরণ করে।
 
লেখক : ডা. এম ইয়াছিন আলী
চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট, সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ঢাকা

লিখিত অনুমতি নিয়েই কেবল দ্বিতীয় বিয়ে!


সম্প্রতি বেড়ে গেছে দ্বিতীয় বিয়ের প্রবণতা। প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়েই হরহামেশাই ঘটছে দ্বিতীয় বিয়ের ঘটনা। তবে অনেক নারীর জানে না যে, প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, আর বিয়ে যদি করতেই হয় তবে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি আবশ্যক। প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করলে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে স্বামীকে।
মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১-এর ৬ ধারা মতে, দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে সালিশি পরিষদের কাছে অনুমতি না নিলে বিয়ে নিবন্ধন হবে না। অনুমতির জন্য ফি দিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করতে হবে এবং আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিয়ের অনুমতি দিতে যেসব বিষয়ের প্রতি বিবেচনা করা হবে, তার মধ্যে অন্যতম হলো: ১. বর্তমান স্ত্রীর বন্ধ্যাত্ব, ২. শারীরিক মারাত্মক দুর্বলতা, ৩. দাম্পত্য জীবন-সম্পর্কিত শারীরিক অযোগ্যতা, ৪. দাম্পত্য অধিকার পুনর্বহালের জন্য আদালত থেকে প্রদত্ত কোনো আদেশ বর্জন, ৫. মানসিকভাবে অসুস্থতা ইত্যাদি।

দ্বিতীয় বিয়ে সম্পর্কে আইনে আসলে কী আছে। সে সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই বেশিরভাগ নারীদের। দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়ে যুগান্তরের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও হাইকোর্টের সিনিয়ন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু।

আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু যুগান্তরকে বলেন, বিয়ে করতে হলে অবশ্যই প্রথম স্ত্রীর অনুমতি প্রয়োজন। প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া কোনোভাবেই দ্বিতীয় বিয়ে করা যাবে না। তবে যদি কেউ তা করে থাকে, তবে তার জন্য শাস্তি আবশ্যক। 

সালিশি পরিষদের অনুমতি
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা পৌরসভার মেয়র দুই পক্ষের প্রতিনিধি নিয়ে সালিশি পরিষদ গঠন করে থাকেন। সালিশি পরিষদের লিখিত অনুমতি নিয়েই কেবল দ্বিতীয় বিয়ে করা যাবে। সালিশি পরিষদে যদি বর্তমান স্ত্রী অনুমতি না দেন, তাহলে কোনোভাবেই দ্বিতীয় বিয়ে করা যাবে না।

মামলা ও বিবাহবিচ্ছেদ
কোনো স্বস্বামী যদি প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করেন তবে প্রধম স্ত্রীর আশু বা বিলম্বিত দেনমোহরের সম্পূর্ণ টাকা তৎক্ষণাৎ পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া প্রথম স্ত্রী আদালতে মামলা করে বিবাহবিচ্ছেদ করতে পারেন।

প্রথম স্ত্রী ও সন্তানের ভরণপোষণ
দ্বিতীয় বিয়ে করার কারণে  প্রথম স্ত্রী যদি সন্তানদের নিয়ে আলাদাভাবে বসবাস করেন তবুও স্বামীকে প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণপোষণ দিতে হবে। স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণপোষণ দিতে স্বামী আইনত বাধ্য থাকিবে। ভরণপোষণ ছাড়াও স্ত্রী ও সন্তানরা উত্তরাধিকারীর অধিকার লাভ করবেন এবং  মোহরানার টাকা পরিশোধ করা না হলে বকেয়া ভূমি রাজস্ব আদায়ের মতো আদায় করা হবে।

এক বছর পর্যন্ত জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা
দ্বিতীয় বিয়ের পরে স্বামী যদি তার প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের দায়িত্ব পালন না করেন এবং তিনি যদি দোষী সাব্যস্ত হন, তবে এক বছর পর্যন্ত জেল ও ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।

আবার দণ্ডবিধি আইন ১৮৬০-এর ৪৯৪-এর বিধানমতে, স্বামী যদি স্ত্রীর জীবনকালে পুনরায় বিয়ে করেন, তবে সেই ব্যক্তি যে কোনো বর্ণনার কারাদণ্ডে যার মেয়াদ সাত বছর পর্যন্ত হতে পারে, তদুপরি অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন। তবে একটি বিষয় পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা উচিত, বহু বিয়ের মামলায় বাদীকে সফল হতে হলে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে, দ্বিতীয় বিয়ের সময় প্রথম বৈধ বিয়ের অস্তিত্ব ছিল।


মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণায় ফের বাধা চীনের

জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করার বিরুদ্ধে ফের বাধা দিতে যাচ্ছে চীন।
পাঠানকোটসহ ভারতের বিভিন্ন জঙ্গি হামলার মূল হোতা মাসুদকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা দিতে প্রায় দুই বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত।

এ জন্য ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের মতো দেশগুলো।

কিন্তু এ বিষয় নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের দেশগুলোর মতভেদ রয়েছে- এমন অজুহাতে এর বিরোধিতা করে আসছে চীন।

মাসুদকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণা করা নিয়ে প্রস্তাবটি গত আগস্ট মাসের বৈঠকে তিন মাসের জন্য আটকে দিয়েছিল চীন।

আগামী বৃহস্পতিবার  প্রস্তাবটি ফের নিরাপত্তা পরিষদের ১২৬৭ কমিটিতে উত্থাপিত হবে।

এর আগে সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেন, ‘মাসুদকে নিয়ে যে প্রস্তাব আনা হচ্ছে, তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে।’

চীনের এ মুখপাত্রের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, মাসুদকে নিয়ে যে পুরনো অবস্থান চীনের, তা থেকে কোনোভাবেই সরে আসছে না তারা।

যার সহজ মানে হল- নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন কিংবা ফ্রান্স জঙ্গি মাসুদকে নিয়ে চাপ বাড়ালেও চীন একইভাবে তার বিরোধিতা চালিয়ে যাবে।  আনন্দবাজার পত্রিকা।

খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের পাশে দুটি বাসে বোমা হামলা

কক্সবাজার থেকে ত্রাণ বিতরণ করে ফেরার পথে ফেনীতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের পেছনে রাস্তার উল্টো পাশের দুটি বাসে পেট্রল বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
এতে ওই বাস দুটিতে আগুন ধরে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

মঙ্গলবার বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরটি মহিপাল এলাকা অতিক্রম করার সময় ওই পেট্রল বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।

তবে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে থাকা কোনো গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, কেউ হতাহতও হয়নি। নেতাকর্মীরাসহ পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে গাড়িবহর ফেনী পার করে দিয়েছে।

আলাউদ্দিন ঘটন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী যুগান্তরকে বলেন, খালেদা জিয়ার গাড়িবহর মহিপাল পেট্রল পাম্প পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার উল্টো পাশে দুটি গাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। একইসঙ্গে বিকট শব্দও শোনা যায়।

খালেদা জিয়ার বহরের পেছনের গাড়িতে থাকা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ যুগান্তরকে বলেন, চেয়ারপারসনের গাড়িবহর পার হওয়ার কিছুক্ষণ পর উল্টো পাশে দুটি বাসে আগুন জ্বলতে দেখি। এ সময় বহরে থাকা কিছু নেতাকর্মী দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা সিনিয়র নেতারা গাড়ি থেকে নেমে ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক পুরো রাস্তা অবরোধ করে ফেলি। এ সময় আশপাশের বিএনপি নেতাকর্মীরা ছুটে আসেন।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পুলিশ সদস্য বলেন, আমরা একটু পেছনে ছিলাম। ঘটনার কয়েক মিনিট পরেই আমরা স্পটে ছুটে যাই। বাস দুটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

তবে কীভাবে এ আগুন লাগানো হয়েছে- তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তবে অপর একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, দুটি বাসেই পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করলে সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি দুটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

বিএনপির বহরে থাকা সহসাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান বলেন, দুর্বৃত্তরা দুটি বাসে আগুন দিলেও চেয়ারপারসনের গাড়িবহরে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

ফেনীর হামলা সরকারের বর্বরতম পরিকল্পনারই অংশ: খালেদা জিয়া

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে কক্সবাজার থেকে ফেরার পথে মঙ্গলবার ফেনীর মহিপালে গাড়িবহরের উল্টোপাশে দুটি বাসে আগুন লাগানোর ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ  জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
পুনরায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলাকে কাপুরুষোচিত আখ্যায়িত করে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, আজও (মঙ্গলবার) আমার গাড়িবহর ঢাকা যাওয়ার পথে ফেনী শহর অতিক্রম করার সময় পেট্রল বোমা নিক্ষেপসহ দুটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে সন্ত্রাসী আতংকের পরিবেশ সৃষ্টি করে। এটি সরকারের বর্বরতম পরিকল্পনারই অংশ। গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতিকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহবান জানান তিনি।

খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ  কোনো আধুনিক রাজনৈতিক দল নয়, এটি সন্ত্রাসীদের আখড়া। এরা সবসময় রক্ততৃষ্ণায় কাতর থাকে। এই দলটি দেশকে হত্যা, দখল, হাঙ্গামা, রক্তারক্তি ও খুনোখুনিতে ভরিয়ে দিতে চাচ্ছে। এই দলটির পরতে পরতে জড়িয়ে আছে মানবাত্মার অবমাননার বিভিন্ন দিক। জনগণের হাড়গোড় চিবিয়ে এরা ভয়ঙ্কর নরপিশাচে পরিণত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দেশব্যাপী এই পিশাচদের পদচারণার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে ফেনী জেলাকে। ফেনী শহর এখন বিবেকবর্জিত সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য। রোহিঙ্গাদের মানবিক বিপর্যয়ে সহায়তা দিতে বাধাদানের উদ্দেশ্যে তারা আমার গাড়িবহরে চৈতন্যহীন বর্বর আক্রমণ চালাতে দ্বিধা করেনি। শুধু অসংখ্য গাড়ি কিংবা দলের নেতাকর্মীদের আঘাত করা নয়, তারা দায়িত্বরত গণমাধ্যমে সাংবাদিকদের ওপরও নৃশংস আঘাত করেছে এবং তাদের যানবাহন ভাংচুর করেছে।

এদিকে গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে পৃথক বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

Monday, October 30, 2017

হার্ট অ্যাটাক কমাতে কলা খান ‌

ভিটামিন বা খনিজ উপাদান গুণে সমৃদ্ধ সুস্বাদু ফল কলা। বিশেষজ্ঞরা জানান, মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে কলা।
 
বিশেষজ্ঞদের মতামত- যারা নিয়মিত কলা খান তাদের হৃদরোগ ও স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়। দিন কয়েক আগে ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের একদল গবেষক জানিয়েছেন, পটাশিয়াম হৃদযন্ত্রের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি খনিজ উপাদান। এ ছাড়া রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ভূমিকা রয়েছে এই পটাশিয়ামের।
 
গবেষকরা আরো জানিয়েছেন, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়া যারা নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় ২৭ শতাংশ কম থাকে। কলার মধ্যে এই খনিজ উপাদানের গুণ পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে।
 
বিশেষজ্ঞদের তথ্য মতে, একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দিনে ৩ হাজার ৫০০ মিলিগ্রাম থেকে ৪ হাজার ৭০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম প্রয়োজন। একটি কলায় কম করে ৪৫০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত পটাশিয়াম থাকে। অর্থাৎ দৈনিক পটাশিয়ামের চাহিদা মেটাতে পারে একটি কলা। কলা ছাড়াও আলু, অঙ্কুরিত ছোলা, মাছ, পোল্ট্রিজাত দ্রব্যে পটাশিয়াম থাকে। কলার পাশাপাশি নিয়মিত খাদ্য তালিকায় এইসব খাবার খেলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।  
 
এছাড়া পটাশিয়ামের যোগানের পাশাপাশি কলা হজম করতে সাহায্য করে। ফাইবার সম্বৃদ্ধ কলা ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বেশি কলা খেলে পেটে ব্যথা বা ডায়রিয়াজনিত সমস্যা হতে পারে।

প্রেমিককে খুঁজে পেতে ধর্ষণের অভিযোগ তরুণীর

বয়ফ্রেন্ড ফোন ধরছিলেন না। তাকে খুঁজে পেতে সোজা থানায় গিয়ে প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনলেন এক তরুণী। সমস্ত জেনে হতবাক পুলিশ। তবে ওই তরুণ-তরুণীর ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
 
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের লাতুর জেলার বাসিন্দা ওই তরুণীর সঙ্গে দিন কয়েক আগে তার বয়ফ্রেন্ডের ঝগড়া হয়। মেয়েটির ফোন ধরা বন্ধ করে দেন তার প্রেমিক। বন্ধ হয়ে যায় দেখা সাক্ষাৎ। প্রেমিকের খোঁজ না পেয়ে সোজা পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই তরুণী।  তার প্রেমিক ও কয়েকজন বন্ধুর বিরুদ্ধে গণধর্ষণের গল্প ফেঁদে বসেন। দিন কয়েকের মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে হাজির করে পুলিশ। তখনই সব সত্যি কথা জানাজানি হয়।  
 
ওই যুবক জানিয়েছে, মেয়েটিকে সে ভালোবাসে। শুধু অভিমান করে তিনি দূরে সরেছিলেন। তবে ভবিষ্যতের জন্য ওই তরুণীকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। 

নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ: ট্রাম্পের সহযোগীর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী ১২ অভিযোগ

যুক্তরাষ্ট্রের গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ সংযোগের ঘটনায় এবার অভিযুক্ত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার সাবেক ব্যবস্থাপক পল মানাফোর্ট। এতে মানাফোর্ট এবং তার ব্যবসায়ী সহযোগী রিক গেটসের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং অর্থপাচারসহ ১২টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
 
এর মধ্যে, মানাফোর্ট ও রিক গেটস এফবিআই এর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে বলেও নিশ্চিত করেছে দেশটির স্পেশাল কাউন্সিল। স্পেশাল কাউন্সিলের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তাদের বিরুদ্ধে যে ১২ দফা অভিযোগ আনা হয়েছে তাহল- যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, অর্থ পাচারের ষড়যন্ত্র, বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে অনিবন্ধিত এজেন্ট হিসেবে কাজ করা, মিথ্যে ও অপপ্রচারমূলক ফরেন এজেন্টস রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট সংক্রান্ত বিবৃতি, মিথ্যে বিবৃতি এবং বিদেশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য দিতে সাতবারের ব্যর্থতা।’
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০৬ সাল থেকে ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে মানাফোর্ট ও গেটস ইউক্রেনের রাজনৈতিক দল ও নেতাদের জন্য কাজ করে তাদের কাছ থেকে লাখ লাখ ডলার আয় করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও বিদেশি অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে সে অর্থ তারা পাচার করেছেন। ইউক্রেনের রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করা এবং আয় করার তথ্য তারা দুজনই গোপন করেছিলেন। 
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা- বিবিসি জানাচ্ছে, মার্কিন বিচার বিভাগের বিশেষ উপদেষ্টা রবার্ট মুলারের নেতৃত্বে মার্কিন নির্বাচনে রুশ সংযোগ বিষয়ে তদন্ত চলছে। এর আগে ট্রাম্পের জামাতাসহ হোয়াইট হাউজের সাবেক ও বর্তমান অনেক কর্মকর্তাই এই তদন্তদলের জেরার মুখে পড়েছেন। যদিও শুরু থেকেই রাশিয়া এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। বিবিসি ও সিএনএন।

মালিকে হারিয়ে তৃতীয় ব্রাজিল

ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের স্থান নির্ধারণী ম্যাচে সন্ধ্যায় মুখোমুখি হয় ব্রাজিল ও  মালি। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ম্যাচে প্রথমার্ধে সুযোগ সৃষ্টি করেও গোল পায়নি কোনো দল। দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিল দুটি গোল করে। তাতে ২-০ ব্যবধানে মালিকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে তৃতীয় হয়ে দেশের বিমান ধরতে যাচ্ছে কিশোর সেলেকাওরা।

শনিবার কলকাতায় ব্রাজিলের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে মালি। বলের দখলের দিক দিয়েও ব্রাজিলের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছিল আফ্রিকার দেশটির কিশোররা। ব্রাজিল যেখানে ৫২ শতাংশ বলের দখল নিয়েছিল, মালি সেখানে নিয়েছিল ৪৮ শতাংশ বলের দখল। আক্রমণের দিক দিয়ে ব্রাজিলের চেয়ে বেশ এগিয়ে ছিল মালি। ব্রাজিলের গোলপোস্টে ২৭টি আক্রমণ শানায় মালির কিশোররা। তার মধ্যে ১০টি গোলমুখে শট নেয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে সেগুলোর একটিও জালে আশ্রয় নেয়নি। অন্যদিকে ব্রাজিল গোলপোস্টে ৮টি শট নেয়। তার মধ্যে গোলমুখে ছিল ৩টি। গোল হয়েছে দুটি। তাই গোলের খেলা ফুটবলে ভালো খেলেও হারতে হয়েছে মালিকে।

শনিবার প্রথমার্ধের খেলা গোলশূন্যভাবেই শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যায় ব্রাজিল। এ সময় ব্রাজিলের অ্যালান গোল করে এগিয় নেন দলকে। অবশ্য মালির গোলরক্ষকের ভুলেই গোলটি হয়েছে। ব্রাজিলের ডি বক্সের একটু সামনে মালির খেলোয়াড়দের ভুল পাস থেকে বল পেয়ে টেনে নিয়ে যান অ্যালান। মালির গোলরক্ষক গোলপোস্ট থেকে একটু সামনে চলে আসেন। অ্যালান শট নেন। বলটি মালির গোলরক্ষের পায়ে লেগে গতিপথ পরিবর্তন করে জালে আশ্রয় নেয়। এরপর ৮৮ মিনিটে ইউরি আলবার্তো গোল করে ব্যবধান ২-০ করেন। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ব্রাজিলের কিশোররা।

জার্মানিকে হারিয়ে সেমিফাইনালে আসলেও ইংল্যান্ডের কাছে হেরে ফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ হয় ব্রাজিলের। অন্যদিকে স্পেনের কাছে হেরে মালির কিশোরদের প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। আজ ব্রাজিলের কাছে হেরে চতুর্থ হয়ে দেশে ফিরছে তারা।

টরেন্টোতে পোশাক শিল্পে বাংলাদেশি নারী উদ্যোক্তাদের সম্ভাবনা

কানাডার ওন্টারিও প্রদেশের রাজধানী টরেন্টো শহরে বাস করছে অসংখ্য বাংলাদেশি। উন্নত জীবন আর আধুনিকতার সংস্পর্শে তারা বেশ ভালো আছে সেখানে। এই শহরের বিভিন্ন নামী-দামি মার্কেটে বাংলাদেশিদের দোকান রয়েছে। এসব দোকানে পাওয়া যায় বাংলাদেশি পণ্য। এর মধ্যে বেশি রয়েছে তৈরি পোশাকের দোকান। আর এসব দোকানের ক্রেতা যে শুধু বাংলাদেশি তা নয়, বিদেশিরাও ওইসব দোকান থেকে বাংলাদেশের তৈরি কাপড় কেনে। কারণ ইউরোপের তৈরি পোশাকের বাজারে বাংলাদেশের কাপড়ের বিশেষ কদর রয়েছে। কানাডার শহর টরেন্টোতে বিভিন্ন মার্কেটে বাংলাদেশি নারীদের ছোট ছোট পোশাকের দোকান দেখা যায়। এসব পোশাক তারা সাধারণত দেশ থেকে বিক্রির উদ্দেশ্যে সেখানে নিয়ে যায়। আর এভাবে ছোট ব্যবসার মাধ্যমে তারা যথেষ্ট লাভবান বলে জানান স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিরা। টরেন্টোর বাসিন্দা প্রবাসী বাংলাদেশি অরুণা হায়দার জানান, টরোন্টোর বড় বড় দোকানে বাংলাদেশের কাপড় কিনতে পাওয়া যায়। বাংলাদেশিদের পাশাপাশি বিদেশীদের কাছেও এসব কাপড় অনেক পছন্দের। ফলে যেসব দোকানে শুধু বাংলাদেশি পোশাক পাওয়া যায় সেসব দোকানেও ক্রেতার কোন অভাব নেই।
অরুণা বলেন, ‘নবলস’ নামে একটি দোকান রয়েছে। অনেক পরিচিত ও স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয়। এখানে শুধুমাত্র বাংলাদেশি পোশাক বিক্রি হয়। এছাড়া টরোন্টোতে বাংলাদেশি নারীরা পোশাকের দোকান দিয়ে নিজস্ব ব্যবসা পরিচালনা করেn। এর মাধ্যমে তারা বেশ ভালোভাবেই ব্যবসা করছেন। অরুণা জানান, বড় বড় শপিংমল গুলোতে বাংলাদেশের তৈরি জামা-কাপড় পাওয়া যায়। যেমন বেসিয়ারস’এ সব বাংলাদেশের তৈরি পোশাক বিক্রি করা হয় এবং দেশের চেয়ে অনেক চড়া মূল্যে কিনতে হয় বলেও জানান অরুণা। অরুণা আরও বলেন, টরোন্টোতে আমরা বাংলাদেশের তৈরি গ্রামীণ চেকের একটা শার্ট ন্যূনতম ৫০ বা ৬০ ডলার দিয়ে কিনে থাকি। যে দামে আমাদের দেশে ওই একই শার্ট ৫টা কেনা সম্ভব। অরুণা বলেন, কিছু নারী উদ্যোক্তা আছে যারা ওইখানে ব্যাক্তিগতভাবে ছোট ছোট দোকান নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে। ওইসব দোকানের ভাড়াও খুব বেশি নয়। তারা বাঙ্গালি এরিয়াগুলোতে পোশাক বিক্রির পাশাপাশি বিদেশিদের কাছেও বিক্রি করেন বলে অরুণা জানান। অরুণা আরও জানান, কাপড়ের কোয়ালিটি ভালো হওয়ায় স্থানীয়দের কাছেও এসব ছোট ছোট দোকানগুলো বেশ জনপ্রিয়।
অরুণা বলেন, এসব ক্ষুদ্র নারী ব্যবসায়ীরা সাধারনত কন্টেইনারের মাধ্যমে ছো্ট্ট পরিসরে তৈরি পোশাক নিয়ে যায়। টরেন্টোতে এসব ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে পারলে হয়তো তারা রেমিটেন্সের পাশাপাশি দেশের রপ্তানিতেও বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে।

অবৈধ ওষুধ বহনে ওমানের জেলে আটক পাঁচশ বাংলাদেশি

 আরব উপদ্বীপের দক্ষিণ-পূর্বে মরুময় ও সুউচ্চ পর্বতমালায় ঘেরা দেশ ওমান। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) ’র পরিসংখ্যান অনুসারে বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম শ্রমবাজার এটি। ওমানের সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে দেশটিতে বাংলাদেশি প্রবাসীর সংখ্যা প্রায় সাত লাখ। কিন্তু বিরাট জনশক্তির এ দেশটিতে খুব ছোট একটি কারণে অনেক বাংলাদেশি আজ কারাগারে আটক। ওমানে নতুন আইনে বর্হিরগমন পাসর্পোটধারী কোনো ব্যক্তি সেদেশে প্রবেশের সময় কোনো প্রকার ওষুধ বহন করতে পারবে না। কিন্তু এ তথ্য না জেনে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি নিজেদের প্রয়োজনীয় ওষুধ বহন করায় ওমান বিমানবন্দরের আটক হয়েছেন তারা। দেশ থেকে ফেরার সময় ওষুধ বহন করায় এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচশত বাংলাদেশি জেলে আটক হয়েছে।
প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিক রফিকুল ইসলাম জানান, ওমানে বাহিরের দেশে সকল প্রকার ওষুধ বহন করা নিশিদ্ধ। কিন্তু এ বিষয়ে দূতাবাস আমাদের কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। যার কারণে ওমানের বিমানবন্দরে অবৈধ ওষুধ বহনকারীকে আটক করছে ওমান ইন্টেগেশন পুলিশ। রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি বাংলাদেশ থেকে ওমানে আসার সময় জ্বরের ওষুধ সাথে করে নিয়ে এসেছিলো। ওমানে পৌছানোর পর ওষুধ বহন করার জন্য তাকে আটক করা হয়। এবং সঙ্গে সঙ্গে তাকে জেলে পাঠানো হয়। তবে এ বিষয়ে দূতাবাস কোনো প্রকার পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
একই অবস্থা প্রবাসী শ্রমিক রায়হান হকের। তিনি জানান, বাংলাদেশ থেকে ওষুধ নিয়ে যাওয়ার জন্য তাকে বিমানবন্দরে আটক করে পুলিশ। ওমানে বাহিরে থেকে ওষুধ নিয়ে আসার অবৈধ ঘোষণাটি তিনি জানতেন না। তবে বিক্রির জন্য নয়, নিজের প্রয়োজনীয় ওষুধ নিয়ে এসেছেন বললেও ছাড় পায়নি পুলিশের কাছে। তিনি বলেন, নিজের প্রয়োজনীয় ওষুধ বহন করার জন্য তাকে প্রায় ৬ মাস জেল খাটতে হয়েছে। এসময় বিভিন্ন ভাবে দূতাবাসের সাথে যোগযোগ করার চেষ্টা করেছে রায়হান। কিন্তু দূতাবাস কোনে ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। রায়হান আরও জানায়, কারাগারের থাকা অবস্থায় মাসে একবার ফোন করার সুযোগ দেয় সকল কারাবন্দিদের। তিনি প্রায় ছয়বার ফোন করেছে ওমনের বাংলাদেশ দূতাবাসে। তারপরও তারা কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেননি। এভাবে দূতাবাস বাংলাদেশি প্রবাসীদের সহযোগিতা না করলে প্রবাসীরা অনেক বিপদে পড়তে বলেও মনে করেন এ প্রবাসী শ্রমিক।
এদিকে ওমানে বাংলাদেশি দূতাবাস জানিয়েছে, কোন প্রবাসী শ্রমিক অবৈধ কাজের সাথে জড়িত থাকলে তাদের কোনো প্রকার সাহায্য করা হবে না। এমনকি তারা জানিয়েছে ওমানের অবৈধ ওষুধ বহন করার তথ্য দূতাবাস থেকে বেশ কয়েকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু প্রবাসীরা তারপরও বিভিন্নভাবে অবৈধ ওষুধ বহন করছে। এ ধরণের কাজ চলতে থাকলে ওমানে বাংলাদেশের ভাবপূর্তি অনেকখানি নষ্ট হবে। তাই দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, ওমানে অবস্থানরত প্রবাসীরা যেনো কোনো প্রকার অবৈধ কোনো কাজের সাথে জড়িত না থাকে।
কিন্তু দূতাবাসের এ ধরনের বক্তব্যে নারাজ প্রবাসী রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, দূতাবাস আমাদের ওষুধ বহনের বিষয়টি ভালো ভাবে জানায়নি। যদি জানানো তাহলে এতো পরিমানের প্রবাসীরা কখনোই অন্যদেশ থেকে আসার সময় নিজেদের সাথে প্রয়োজনীয় ওষুধ নিয়ে আসতো না। তিনি আরও বলেন, দূতাবাস এ বিষয়টি খুব একটি দায়িত্ববোধ ছিলো না। এছাড়াও আমারা ওমানে ব্যবসা করার জন্য ওষুধ নিয়ে আসছি না। নিজেদের প্রয়োজনে খুব অল্প সংখ্যক ওষুধ নিয়ে আসলেও আমাদের আটক করছে ওমান পুলিশ। এমনকি অনেকে তাদের ওষুধ বিমানবন্দরেই রেখে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তাদের আটক করছে ওমান পুলিশ। এবিষয়ে অবশ্যই দূতাবাসের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না করলে অনেক ওমান প্রবাসী ভুল তথ্যতে ওমানের কারাগারে আটক হবে। যা কোনো ভাবেই একটি দেশের জন্য কাম্য নয়।

Thursday, October 26, 2017

রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে বাতিল হচ্ছে ব্যাংক চার্জ

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১ কোটিরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছে। দেশে তাদের স্বজনদের কাছে টাকা পাঠাতে এসব প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেল ছাড়াও অবৈধ বা হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করে থাকে। তুলনামূলক সহজ ও ঝামেলামুক্ত হওয়ায় এ পথ সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছে শ্রমিকরা। এছাড়া ব্যাংকিং লেনদেনে চার্জ বা মাশুল বেশি খোয়াতে হয় বলে এ চ্যানেলে লেনদেনে অনেকটাই অনাগ্রহী প্রবাসীরা। যার কারণে রেমিটেন্স প্রবাহ কমছে বলে মনে করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাই প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠাতে এবং বৈধ চ্যানেলে ব্যাংকিং সেবা দিতে এখন থেকে আর কোনো চার্জ বা মাশুল গ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছে ব্যাংকগুলো। ব্যাংকগুলোর খরচ সরকারের তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্ব ব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম দিনে আইএমএফের ডিএমডি মিতসুহিরো ফুরুসাওয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর এমন তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, “আমরা (সরকার) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রেমিটেন্স পাঠাতে প্রবাসীদের কাছ থেকে কোনো চার্জ নেবে না ব্যাংকগুলো। ব্যাংকগুলোর চার্জ সরকার দিয়ে দেবে। “অর্থ মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ব্যাংককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই তারা এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করবে।” অর্থমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়বে কিনা তা এখন দেখার বিষয়। তবে হুন্ডি ব্যবসায়ীরা অন্য কোন ছক একে প্রবাসীদের টাকা পাঠানোর এই অবৈধ পথকে আরও প্রসারিত করবে কিনা সেটি এখন চ্যালেঞ্জ।
তবে যারা বেশি রেমিটেন্স পাবেন তার কাছ থেকেও কি কোনো মাশুল নেওয়া হবে না- এ প্রশ্নের উত্তরে অর্থ সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বলেন, “না, সে ক্ষেত্রে হয়ত চার্জ নেওয়া হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ নিয়ে অনেক দিন কাজ করেছে। তারা সার্কুলার জারি করলেই পরিষ্কার হবে’।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, প্রবাসীদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহে ভাটা পড়েছে; মাসের হিসেবে সর্বশেষ সেপ্টেম্বর মাসে সাড়ে পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিটেন্স এসেছে। সেপ্টেম্বর মাসে মাত্র ৮৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এর আগে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৯২ কোটি ৮৮ লাখ ডলার রেমিটেন্স এসেছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিটেন্স সংক্রান্ত হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ব্যাংকিং চ্যানেলে ৩৩৮ কোটি ৭৮ লাখ ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ এক হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ (১৫.৩১ বিলিয়ন) ডলারের রেমিটেন্স বাংলাদেশে আসে। এরপর প্রতিবছরই রেমিটেন্স কমেছে।
রেমিটেন্সের উৎস দেশগুলোতে অর্থনৈতিক মন্দা এবং মোবাইল ব্যাংকিংসহ অন্যান্য মাধ্যমে হুন্ডি প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় রেমিটেন্স কম আসছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে গত পাঁচ বছরে রেমিট্যান্স কম আসার অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং এর সেবায় বিশ্বাসযোগ্যতা ও সহজলভ্যতা। কারণ অবৈধ অভিবাসীদের বিদেশের ব্যাংকগুলোতে এ্যাকাউন্ট খোলার কোন সুযোগ না থাকায় এপথ ব্যবহার করছে তারা। সরকারের রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে নানামুখী উদ্যোগ কার্যকর করতে হবে। এ সেবা প্রবাসীরা তখনই গ্রহণ করবে যখন হুন্ডির চেয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে সেবা ও সহজলভ্যতা বাড়ানো সম্ভব হবে।

মালদ্বীপে অসহায় বাংলাদেশিরা


হাজারো দ্বীপের দেশ মালদ্বীপে ভালো নেই বাংলাদেশিরা। বেসরকারি হিসাবে, এ দেশে ৬০ থেকে৭০ হাজার বাংলাদেশি আছেন এবং তাঁদের বেশির ভাগেরই কাজের জন্য বৈধ নিবন্ধন নেই। ফলে হাড়ভাঙা খাটুনির পরও তাঁরা প্রাপ্য বেতন ও বিশ্রামের অধিকার থেকে হতে হয় বঞ্চিত। মূলত মালদ্বীপে আছে প্রায় সাড়ে তিন লাখ জনসংখ্যা। এর বাইরে অনেক বিদেশি এখানে বিভিন্ন কাজের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন। তবে বিদেশি হিসেবে শুধু বাংলাদেশেরই সবচেয়ে বেশি।
ভয়েস বাংলার সঙ্গে কথা হয় মালদ্বীপ প্রবাসী কুমিল্লার নাজির আহমদের। তিনি জানান, বাংলাদেশিদের অনেকেই মালদ্বীপে নানা ধরনের সমস্যার মধ্যে আছে। তিনি আরো বলেন, মালের কবুতর পার্কে প্রতি শুক্রবার অনেক বাংলাদেশি আসে। তাঁদের দুঃখের শেষ নেই। মাসের পর মাস কাজ করেও বেতন মেলে না। অথচ এ দেশে অন্য কোনো দেশের নাগরিকদের এমন অবস্থা নেই। এখানে বাংলাদেশিদের কেউ কেউ দেশে ফিরতে চাইলেও পারছেন না। ফেরার বিমান টিকিট জোগাড়ের সামর্থ্যও অনেকের নেই। নাজির বলেন, মালদ্বীপে বাংলাদেশিদের বেশির ভাগই আতিথেয়তা ও পর্যটন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের বেতনও খুব বেশি নয়। তবু একদিন সুদিন ফেরার প্রত্যাশায় তাঁরা প্রতিকূলতার মধ্যেও মালদ্বীপে আছেন।
কয়েকজন বাংলাদেশির সঙ্গে কথা হয়, তাঁদের বেশির ভাগই কয়েক লাখ টাকা খরচ করে মালদ্বীপে এসে বৈধতা পাচ্ছেন না। ফলে তিন মাস চাকরি করলে তাঁদের এক মাসের বেতন জোটে। এর কোনো প্রতিকারও পাওয়া যায় না। মালদ্বীপ ও অন্য দেশের নাগরিকদের কাজের সময় এখানে দৈনিক আট ঘণ্টা। ব্যতিক্রম কেবল বাংলাদেশিরাই। তাঁদের কাজের কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। একজন বাংলাদেশি কর্মী জানান, সারা দিন কাজ করার পরও রাত ৩টায় তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে হোটেলে রুমগুলোর দরজা খুলে দেওয়ার জন্য। বাংলাদেশি বলেই তাঁরা এত অবহেলিত, তাঁদের এত কষ্ট।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের ক্ষোভ মালেতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বিরুদ্ধেও। তাঁদের অভিযোগ, হাইকমিশন থেকে কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায় না। ট্রাভেল পাসের জন্য দূতাবাসের কাছে ২০-২৫ দিন ধরনা দিতে হয়। তারা কোনো কথা শুনতে চায় না। বাংলাদেশি তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী আবুল বাসার ভয়েস বাংলাকে বলেন, কিছু দিন আগে আমি মালদ্বীপে গিয়েছিলাম। বিমানবন্দরে নামার পর থেকেই অনেক বাংলাদেশি ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়। তারা অনেক সমস্যার কথা বলে। বিশেষ করে তাদের দেশে টাকা পাঠাতে খুব সমস্যা হয়। ব্যাংকগুলো অনিবন্ধিত বাংলাদেশিদের কাছে ডলার বিক্রি করতে চায় না, স্থানীয় মুদ্রা রুপিয়াও দেশে পাঠানো যায় না। ফলে বাইরে থেকে কম দামে ডলার কিনে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।
বেশ কয়েকজন মালদ্বীপ প্রবাসী বলেন, বাংলাদেশ থেকে যেন এত সহজে সবাই এখানে আসতে না পারে। বাংলাদেশিদের আসার হার কমলে তাদের কর্মী সংকট হবে এবং এর ফলে বাংলাদেশিদের বেতন ও সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে দরকষাকষির সুযোগ সৃষ্টি হবে। অন অ্যারাইভাল ভিসার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশিদের বেশির ভাগই পর্যটক হিসেবে মালদ্বীপে এসে থেকে গেছে বলে তারা উল্লেখ করেন। দেশে ফিরতে আগ্রহীদের আউট পাস ইস্যু করতে দেরি হওয়ার কারণের ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা গেছে, বাংলাদেশিদের আউট পাস দেওয়ার পর তাঁর নিয়োগকারী হাইকমিশনে এসে পাওনা টাকা দাবি করেছেন।
এ কারণে আউট পাস ইস্যু করার আগে খোঁজ নেওয়া হয় এবং জনবল সংকটের কারণে এতে কিছুটা সময় লাগে। মালদ্বীপে বাংলাদেশিদের কেউ কেউ লাখ টাকা পর্যন্ত বেতন পান এটা যেমন সত্য। তেমনি বেশির ভাগই কাজ করেন নিম্নপদে ও নিম্ন বেতনে। আর তাঁদের নিয়োগকারীরাও শিক্ষিত নন। ফলে তাঁদের কাছে প্রত্যাশিত আচরণ অনেক ক্ষেত্রেই পাওয়া যায় না। এর পরও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করার ব্যাপারে মালদ্বীপ সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

চাকরি নবায়ন ফি’র নামে সিঙ্গাপুরে সর্বস্বান্ত হচ্ছে বাংলাদেশিরা

প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে ২০১২ সালে সিঙ্গাপুরে কাজ করতে যান মুন্সিগঞ্জের ইলিয়াস আলী। চাকরির মেয়াদ ছিল এক বছর। যে কোম্পানিতে মামুন কাজ করতেন, মেয়াদ শেষে সেখানে আর কাজ না থাকায় তার চাকরি নবায়ন হয়নি। ফলে দেশে ফিরে আসেন তিনি। কিন্তু যে পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে তিনি সিঙ্গাপুরে কাজ করতে গেলেন, চাকরি করে আর্থিক উন্নতি করা তো দূরের কথা, বিদেশ যাওয়া খরচের টাকাও পুরোপুরি উঠিয়ে আনতে পারেননি ।

এরপর আবারও কিছুদিন পর তিন লাখ টাকা খরচ করে সিঙ্গাপুরে কাজ করতে গেলেন ইলিয়াস। এবার অবশ্য এক বছর পরই বিশেষ শর্ত সাপেক্ষে চাকরি নবায়নের সুযোগ পেলেন তিনি। শর্তটি হলো- চাকরি নবায়ন করার জন্য কোম্পানিকে এক হাজার ডলার দিতে হবে। কিন্তু দু:খের বিষয় হচ্ছে এই নবায়ন ফি ইলিয়াসের দুই মাসের বেতনের সমপরিমাণ। এই প্রবাসীর জানান, সিঙ্গাপুরে চাকরি নবায়নের জন্য কোম্পানিকে কোনো ফি দেওয়ার নিয়ম না থাকায় কোম্পানিগুলো কিছুটা কৌশলের আশ্রয় নেয়। তারা কাগজে-কলমে দেখায় সেই কর্মীটি কোম্পানির কাছ থেকে নবায়ন ফি’র সমপরিমাণ ঋণ নিয়েছে। চাকরি নবায়নের পরে ওই বেতন থেকে ওই পরিমাণ অর্থ কেটে রাখা হয়।
এভাবে বারবার কর্মীদের চাকরির মেয়াদ নবায়নের ফি নিয়ে থাকে কোম্পানি। কোম্পানির এই অসৎ উদ্দেশ্য বুঝতে পেরেও কর্মীরা সেখানে কাজ করতে বাধ্য থাকে। কারণ, এক কোম্পানি ছেড়ে অন্য আরেক কোম্পানিতে কাজ করতে গেলে সে ক্ষেত্রে নবায়ন ফি’র দুই-তিন গুণ বেশি টাকা খরচ হবে। আবার চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে আসলেও কোনো লাভ নেই। যে টাকা খরচ করে সে সিঙ্গাপুরে গিয়েছে, সেই টাকা উঠিয়ে আনতে পারবে না। অন্যদিকে, বাংলাদেশি শ্রমিকরা যাতে চাকরির মেয়াদ নবায়ন ফি নেওয়ার কারণে কোম্পানির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করতে না পারে সেজন্য কোম্পানিগুলো আগেই ঋণ নামক ছলচাতুরীর আশ্রয় নেয়।

শ্রমিকরা জানান, কেউ যদি অভিযোগ করে যে কোম্পানি তার কাছ থেকে চাকরির মেয়াদ নবায়নের জন্য ফি নিয়েছে, সেক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো কাগজে-কলমে দেখায় যে ওই শ্রমিক কোম্পানির কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিল।

বন্ধ হচ্ছে ই ইউ নাগরিকদের ব্রিটেনে অবাধ যাতায়াত

২০১৯ সালের মধ্যে বন্ধ হচ্ছে ই ইউ নাগরিকদের ব্রিটেনে অবাধ যাতায়াত। ব্রিটেনের অভিবাসন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ব্র্যান্ডন লিউয়িস বিবিসিকে বলেছেন ২০১৯ এর মার্চের মধ্যে ইইউ নাগরিকদের অবাধ যাতায়াত বন্ধ হবে। কারণ, তার ভাষায়, গত বছর ব্রেক্সিটের ওপর গণভোটের অন্যতম প্রধান ইস্যুই ছিল অবাধ যাতায়াত বন্ধ। ব্রিটেনের অভিবাসন বা ইমিগ্রেশন প্রতিমন্ত্রীর এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এল যখন ইউরোপীয় অভিবাসীদের মাধ্যমে ব্রিটেন কতখানি উপকৃত বা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা খতিয়ে দেখার জন্য সরকার একটি সমীক্ষা চালানোর আদেশ দিয়েছে।
ব্রেক্সিট অর্থাৎ ইউরোপ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার ছয় মাস আগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই সমীক্ষার ফলাফল জানা যাবে। বিবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারে ইমিগ্রেশন প্রতিমন্ত্রী ব্র্যান্ডন লিউয়িস ব্যাখ্যা করেছেন ব্রেক্সিটের আগে ব্রিটেন কেন এই সমীক্ষা চালাচ্ছে। লিউয়িস বলেন, ” মাইগ্রেশন অ্যাডভাইজরি কমিটি গঠন করা হলো। এর দায়িত্ব হবে শ্রম বাজারের প্রয়োজন সম্পর্কে সরকারকে অবহিত করা, ইউ মাইগ্রেশনের প্রভাব কী হতে পারে তা দেখা, যার ওপর ভিত্তি করে সরকার ভবিষ্যতে তার নীতিমালা তৈরি করতে পারে”।
তবে ব্রেক্সিটের পর অভিবাসন কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে মি. লিউয়িস সে সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে কিছুই বলতে রাজি হননি। তিনি শুধু এটুকুই বলেছেন যে চলতি বছরের শেষ নাগাদ সরকার এ সম্পর্কে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে যাতে বিস্তারিত থাকবে। ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশ হয়ে থাকবে কি না, তার ওপর গত বছর যে গণভোট হয়, তার একটি মূল বিষয় ছিল অভিবাসন।
ব্রেক্সিট নিয়ে দরকষাকষি চলার ওই সময়েই সরকারের মন্ত্রীরা বলেছেন, যুক্তরাজ্যের সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ তার নিজেদের হাতে ফিরিয়ে আনতে চান। বর্তমানে প্রতিবছর প্রায় আড়াই লাখ অভিবাসী ব্রিটেনে ঢোকে। ইমিগ্রেশন প্রতিমন্ত্রী লিউয়িস জানান তারা সেটাকে কয়েক হাজারে নামিয়ে আনতে চান।

সাইপ্রাসে উচ্চশিক্ষার নামে প্রতারিত হচ্ছে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা

ভালো প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া। পড়াশোনার বাইরে অতিরিক্ত সময়ে ভালো চাকরি। সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করে ২০-২৫ হাজার টাকা আয়। ইউরোপের যেকোনো দেশে যাওয়ার সুযোগ। ছাত্র পরামর্শকসহ দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এমন সব প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্র পাঠাচ্ছে সাইপ্রাসে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ক্ষুদ্র ইউরোপীয় দেশটিতে এখন কাজের সুযোগ নেই। ইউরোপজুড়ে মন্দার প্রভাব সেখানেও পড়েছে। তাই সাইপ্রাসে থাকা বাংলাদেশি ছাত্ররা এখন চরম অর্থকষ্টে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে কাজের দাবিতে তাঁরা আন্দোলনও শুরু করেছেন।
সাইপ্রাসে থাকা বাংলাদেশি ছাত্ররা জানান, নিয়ম অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ছাত্ররা সে দেশে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন। ওই নিয়মে কাজ করার জন্য প্রত্যেককে সরকারের শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেশটি কোনো বিদেশি ছাত্রকে কাজ করার অনুমতি দিচ্ছে না। অনুমতি ছাড়া কেউ কোথাও কাজ করলে তাঁকে আটক করে জরিমানা করা হচ্ছে। এ জন্য বেশির ভাগ বাংলাদেশি ছাত্র চরম বিপাকে পড়েছেন। বাসা ভাড়া, খাওয়া দাওয়ার খরচ তো বটেই, তুলনামূলকভাবে অসচ্ছল এ বাংলাদেশিরা টিউশন ফিও এখানে কাজ করেই উপার্জন করে থাকেন। এ কারণে তাঁদের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেকের লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার জোগাড়।
উত্তর-দক্ষিণ মিলিয়ে দ্বিধাবিভক্ত দ্বীপ সাইপ্রাসের আয়তন মাত্র নয় হাজার ২৫১ বর্গকিলোমিটার। লোকসংখ্যা মাত্র আট লাখ ৭৯ হাজার। তবে লোকসংখ্যা কম থাকা ও উচ্চ আয়ের কারণে দেশটির মাথাপিছু আয় প্রায় ২৭ হাজার ডলার।
সাইপ্রাসের ফিলিপস কলেজের অোরেক ছাত্র নুরুল বলেন, সাইপ্রাসে অন্তত চার হাজার বাংলাদেশি ছাত্র আছেন। তাঁরা মূলত রাজধানী নিকোশিয়া, লিমাসল, পাপোস, লারানসা এলাকায় থাকেন। বাংলাদেশি ছাত্ররা বলেছেন, সাইপ্রাসে ছাত্ররা সাধারণত যেসব কাজ করেন, তাতে ঘণ্টাপ্রতি চার থেকে পাঁচ ইউরো পাওয়া যায়। মাসের সব সপ্তাহে কাজ করতে পারলে ৪০০ থেকে ৫০০ ইউরো পাওয়া যায়। কিন্তু এর অর্ধেকই চলে যায় বাসা ভাড়া ও খাওয়ায়। বাকি টাকা জমিয়ে ছাত্ররা টিউশন ফি দেন। কাজেই কাজ করতে না পারলে এখানে টিকে থাকাই কষ্টকর।
বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও তাদের নিযুক্ত দালালেরা এখনো মধুর মধুর কথা বলে ছাত্রদের এখানে পাঠাচ্ছে। এ জন্য নতুন ছাত্ররা এসে বিপদে পড়ছেন।বাংলাদেশ থেকে একজন ছাত্রের সাইপ্রাসে আসতে সর্বোচ্চ চার হাজার ইউরো (চার লাখ টাকা) লাগার কথা। কিন্তু বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো সাত থেকে সাড়ে সাত হাজার ইউরো নেয়।
সাইপ্রাস থেকে দেশে ফিরে আসা ছাত্র নুরুল হক বলেন, মোটা টাকা আয় তো দূরের কথা, উল্টো দেশ থেকে টাকা নিয়ে তিন বছরের মাথায় দেশে ফিরে এসেছি। আমি মনে করি এখন আর কারও সাইপ্রাসে যাওয়া উচিত নয়।

Monday, October 23, 2017

শ্রমশক্তি রপ্তানির পাশাপাশি বাণিজ্য সম্ভাবনাময় দেশ সিঙ্গাপুর

বাংলাদেশের তুলনায় অনেক ছোট দেশ সিঙ্গাপুরে কাজের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। আর সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি শ্রমিকের চাহিদাও অনেক। স্বপ্নের এই সিঙ্গাপুরে কাজের সন্ধান করতে বাংলাদেশি বেকার যুবকরা মাসের পর মাস প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করার উপযুক্ত হয়ে সিঙ্গাপুরে যাচ্ছে; যাতে ওই দেশে কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয় সিঙ্গাপুর প্রবাসী খালেক হোসাইন জানান, সিঙ্গাপুরের মানুষ বাংলাদেশিদের খুবই পছন্দ করে। কারণ তারা খুবই দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করেন।
বাংলাদেশিরা কাজের বাইরে কিছুই বোঝে না। একটি হোয়াসিং কোম্পানির কর্মকর্তা জানান, তাদের কোম্পানিতে শতকরা ৬০ ভাগই বাংলাদেশি শ্রমিক। তবে অনেকেই বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বলেও কারো কারো অভিযোগ রয়েছে। যারা সিঙ্গাপুরে আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান স্থানীয় প্রবাসীরা। পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশ থেকে দক্ষতা অর্জন করে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার কর্মী বর্তমানে সিঙ্গাপুরে নির্মাণ ও জাহাজ শিল্পসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে কাজ করছেন। সিঙ্গাপুরের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশি কর্মীদের অবদান সবসময় স্থানীয়ভাবে স্মরণ করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশে শীর্ষ দশ বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী দেশের মধ্যেও সিঙ্গাপুর অন্যতম।
সিঙ্গাপুর থেকে বৈধভাবে গতবছর বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর পরিমাণ ছিল ৪০৭.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ ৯৭.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সিঙ্গাপুর একাধারে বাংলাদেশের শীর্ষ পাঁচ রপ্তানিকারক দেশের একটি। ২০১৩ সালে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বিগত বছরের তুলনায় শতকরা ২০ ভাগ বেড়ে ৩.৩ বিলিয়ন সিঙ্গাপুর ডলারে উন্নীত হয়। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে ১৬৭ মিলিয়ন সিঙ্গাপুর ডলারের পণ্য রপ্তানির বিপরীতে সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে আমদানির পরিমাণ ছিল ৪.১ বিলিয়ন সিঙ্গাপুর ডলারের পণ্য। বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে রপ্তানিকৃত পণ্যের তালিতায় রয়েছে তৈরি পোশাক, নাফতা, পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, জুতা, ব্যাগ, তাজা সবজি ও হিমায়িত মাছ।
অন্যদিকে সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে আমদানীকৃত পণ্যের তালিকায় রয়েছে পেট্রোলজাত পণ্য, শিল্পে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদান, কাপিটাল মেশিনারি, কম্পিউটার এবং এর যন্ত্রাংশ, নন-ফেরাস মেটাল, ইলেকট্রিকাল ও ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রাংশ। এর আগে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সিঙ্গাপুর ১৪০.৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে বলে জানান হাইকমিশনার মাহবুব উজ জামান। বর্তমান সময় পর্যন্ত মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এখনোও উপেক্ষিত দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসীরা

অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ কথাটি আজ এটা স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। এই সমৃদ্ধি অর্থনীতি গড়তে সর্বাধিক ভাবে সহায়তা করছে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা লাখো প্রবাসী। যাদের পাঠানো অর্থে একটু একটু করে সেই সফলতা ধরা দিচ্ছে।সর্বশেষ সরকারি হিসাব অনুযায়ী সারা বিশ্বের ১৫৯ দেশে বাংলাদেশি প্রবাসীর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭০ জন। তবে বেসরকারি হিসাবে এই সংখ্যা আরও বেশি। আর এই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমান প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১৪ থেকে ১৬ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যংকের হিসাব অনুযায়ী রেমিটেন্স পাঠানোর পরিমান এ বছরের প্রথম দিকে কিছুটা কমলেও, এখনোও তা বাড়ছে । আগে যেভাবে গার্মেন্টস খাত দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখেছে ঠিক একইভাবে গত পাঁচ-দশ বছর ধরে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স দিন দিন অর্থনীতির মূল চাকাতে পরিণত হয়েছে। অথচ গার্মেন্টস খাতকে সরকার যেভাবে মনিটর করছে, সেভাবে কোন নজর দিচ্ছে না প্রবাসীদের প্রতি। বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিদের ভিসা বন্ধ হয়ে পড়েছে, সৌদি আরব-মালয়েশিয়ার মতো দেশ থেকে প্রচুর প্রবাসীদের ফেরত আসতে হচ্ছে। অনেক দেশে প্রবাসীরা কোন প্রকার সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না, আবার কিছু দেশে সাহায্য সহযোগিতা পেলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। যেখানে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার জন্য সরকার গার্মেন্টস খাতকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে ; সেই সাথে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাসহ র্আথিক প্রণোদনা দিচ্ছে, সেই তুলনায় প্রবাসীদের নিয়ে তেমন কোন চিন্তাই করছে না সরকার।
প্রবাসী কল্যাণ মণন্ত্রালয় প্রবাসীদের জন্য কিছুটা কাজ করলেও, বাংলাদেশের কূটনৈতিক দুর্বলতার কারণে দিন দিন মধ্যপ্রাচ্যেসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশীদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। যেখানে অনান্য দেশ হাজারো প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তাদের অবস্থান সুসংহত করছে , সেখানে আমাদের কূটনৈতিক র্ব্যথতার কারণে আমরা পিছিয়ে পড়ছে ক্রমান্বয়ে। সরকার দেশের এজেন্সি গুলোর দুর্নীতি এবং অপতৎপরতা ঠেকাতে মালেশিয়ায় জি টু জি ভিসা র্সাভিস চালু করে । কিন্তু এ পর্যন্ত মাত্র কয়েক হাজার শ্রমিক যেতে পেরেছে এই সুবিধায়। অপরদিকে প্রতিদিন দালালের মাধ্যমে শত শত অসহায় বাংলাদেশী সমুদ্র বা নদী পথে মালেশিয়ায় যাচ্ছে। যাদের শেষ পরিনতি কত করুন ও অমানবিক তা মিডিয়ার কল্যাণে আমরা জানতে পারছি । বাংলাদেশের মোট প্রাসীর ৬৫ ভাগ কাজ করে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। আর বাকি ৩৫ ভাগ কাজ করে ইউরোপ আমেরিকা সহ অন্যান্য দেশে । কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের মতো এতো বড় শ্রমবাজারে আজ বাংলাদেশিরা অনেকটাই উপেক্ষিত। সৌদির নতুন আইনে এ বছর প্রায় চারে চার লাখ প্রবাসী দেশে ফিরেছে। এদিকে কুয়েতের লামানা ভিসায় প্রচুর খরচে যেতে পারছে না বাংলাদেশিরা। কাতারের বাণিজ্যিক অবরোধে খুব একটা ভালো নেই বাংলাদেশিরা। আর এর প্রধান কারণ মধ্যেপ্রাচ্যে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোর কাযক্রমের ব্যর্থতা।
দূতাবাসগুলো শ্রমিকদের উন্নয়নে বা বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের সঠিক ভাবে পরিচয় করিয়ে দিতে পারছে না মধ্যেপ্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে। যার কারণে অন্যান্য দেশের থেকে ভালো অবস্থানে থাকলেও দূতাবাসের ব্যর্থতায় বাংলাদেশি প্রবাসীরা ভালো করতে পারছে না এদেশগুলোতে। যে কারণে দিনে দিনে রেমিটেন্স প্রবাহের পরিমাণ কমতে শুরু করেছে । শুরু মধ্যপ্রাচ্য নয় ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতেও একই অবস্থা বাংলাদেশের। ইংল্যান্ডে একচেটিয়া রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় জড়িত ছিলো বাংলাদেশিরা। কিন্তু আজ সেই অবস্থা নেই। ইউরোপের ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, পতুর্গাল, গ্রীসের মতো দেশগুলোতে আগের তুলনায় অনেক কম আয় করছে বাংলাদেশিরা। দালালদের দৌরাত্মে প্রচুর অবৈধ বাংলাদেশির বসবাস গড়ে উঠেছে এ দেশগুলোতে। যা নিয়ন্ত্রণে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না সরকার। দালালদের আটক করা ও তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার আইনি ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে সরকার। ফলে দিন দিন এই দেশগুলোতে বাংলাদেশিদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, যতশীঘ্র সম্ভব সরকারের উচ্চ পর্যায়ে শক্তিশালী কমিটি গঠনের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমিক রপ্তানি সমস্যার সমাধান করা দরকার। এছাড়াও যেসকল দেশে বেশী পরিমান প্রবাসী আছে সেইসব দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের কার্যক্রম দ্রুত এবং স্বচ্ছতার করা দরকার। তিনি বলেন, শুধুমাত্র প্রশিক্ষণ নয় , যেসকল বাংলাদেশী প্রবাসীর চাকরির জন্য যাবে তাদের প্রত্যেকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দেশের আইন কানুন সর্ম্পকে যেন আলাদা কোর্স করা হয়। কেননা তারা যেনো সেদেশে কোনো অপর্কমে জড়িত না হয়। এমনকি হুন্ডির প্রবণতা বন্ধের জন্য প্রত্যেক প্রবাসীর বা তার পরিজনের ব্যাংক এ্যাকাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক বলেও মনে করেন তিনি। প্রবাসীরা যতবেশী স্বাচ্ছন্দ্যে থাকবে ততবেশী রেমিটেন্স দেশে আসবে।আর বেশী রেমিটেন্স মানেই দেশর অর্থনীতির দ্রুত উন্নতি।তাই দেশের সুন্দর অর্থনীতির কথা চিন্তা করে সরকারের উচিত এখনই প্রবাসীদের নিয়ে সঠিক নীতিমালা প্রনয়ন করা। যে নীতিমালার ফলে প্রবাসীরা সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করে দেশের অর্থনীতির চাকা সচলে সর্বাধিক ভূমিকা পালন করতে পারে।

জার্মান-বিভীষিকা মানসিক শক্তিতেই জিতল ব্রাজিল


বিশ্বকাপ, নক আউট পর্ব, প্রতিপক্ষ জার্মানি। পাউলিনহো, ওয়েভারসনদের মনে কি বেলো হরিজন্তে উঁকি দিয়েছিল? দেওয়াটা অবশ্য অস্বাভাবিক নয়। ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে স্বাগতিক ব্রাজিলকে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল জার্মানি। যা ব্রাজিল ফুটবলের দীর্ঘ ইতিহাসে কালো দাগ হয়ে থাকবে। এরপর আর কোনো পর্যায়েই জার্মানির মুখোমুখি হয়নি ব্রাজিল। ২০১৪-এর সেই হারের ক্ষুদ্র প্রতিশোধ কিন্তু কাল নিয়েছে হলুদ জার্সিরা। অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে তারা।
ম্যাচের ধরন, ব্রাজিলের পিছিয়ে থেকে দুর্দান্ত জয়, ম্যাচে ও ম্যাচের পর ব্রাজিলের উল্লাস, জার্মানির শেষ মুহূর্তে প্রাণপণ চেষ্টা রুখে দেওয়া...প্রতি মুহূর্তেই ব্রাজিলের যুবারা মনে করিয়ে দিচ্ছিল, বেলো হরিজন্তের ভূত তাড়াতে তারা কতটা মরিয়া। ম্যাচ শেষে ব্রাজিল কোচও বলেন, এই জয় ছিল দলের মানসিক শক্তির।
শুরুতে জার্মানির হাতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ইয়ান ফিয়েতে আর্প পেনাল্টি থেকে এগিয়ে দিয়েছিলেন দলকে। সেই গোলে ৭০ মিনিট পর্যন্ত সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখেছে জার্মান কিশোরেরা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে উজ্জীবিত ব্রাজিলকে সমতায় ফেরান বদলি খেলোয়াড় ওয়েভারসন। আর এই টুর্নামেন্টে এর মধ্যেই নজর কাড়া পাউলিনহোর গোলে জয় নিশ্চিত হয় ‘জোগো বনিতো’র দেশের। ৭১ ও ৭৭ মিনিটের দারুণ দুটি গোল ব্রাজিলকে নিয়ে গেল ফাইনাল থেকে এক ধাপ দূরে।
রোমাঞ্চকর এক জয়ের পর দলকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন কোচ আমাদু। তিনি বলেন, ‘আজ আমরা কষ্টকর একটি জয় পেয়েছি। আজ আমাদের আনন্দ করার দিন, মুহূর্তটা উদ্‌যাপন করার সময় এটা।’ জার্মানি ব্রাজিলের চেয়ে দুই দিন সময় বেশি পেয়েছে বিশ্রামের। তা ছাড়া ছিল প্রচণ্ড গরম, ৬৬ হাজার দর্শকের সামনে খেলার চাপ। এর সবই জয় করেছে এই ব্রাজিল।
দল নিয়ে আজই গুয়াহাটি রওনা হয়েছেন আমাদু। ২৫ অক্টোবর এখানেই ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। অনূর্ধ্ব-১৭ পর্যায়ে চতুর্থ বিশ্বকাপপ্রত্যাশী ব্রাজিল নিশ্চয়ই সেমিফাইনালেই থামতে চাইবে না। ২০০৩ সালের পর অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ জেতা হয়নি ব্রাজিলের। ২০১১ সালে সর্বশেষ জিতেছিল অনূর্ধ্ব-২০ ফিফা বিশ্বকাপ। 

সূত্র: পিটিআই।

ওভারব্রিজ সংস্কারে ২ কোটি টাকা দিলেন শচিন

মুম্বাইয়ের এলফিনস্টোনে স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শহরে রেলের ফুট ওভারব্রিজ সংস্কারের জন্য নিজের সংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে ২ কোটি টাকা মঞ্জুর করলেন রাজ্যসভা সদস্য শচিন টেন্ডুলকার। 
 
রেলমন্ত্রী পিযুষ গোয়েলকে লেখা চিঠিতে শচিন টেন্ডুলকার জানান, এই কাজের জন্য ২ কোটি টাকা বরাদ্দের অনুমোদন চেয়ে তিনি মুম্বাই সাবার্বান ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টরকে অনুরোধ করেছেন।
 
প্রসঙ্গত, গত ২৯ সেপ্টেম্বর ভারী বর্ষণ চলাকালে এলফিনস্টোন ও পারেল সাবআর্বান স্টেশনের মধ্যে সংযোগকারী ফুট ওভারব্রিজে পদপিষ্ট হয়ে ২৯ জনের মৃত্যু হয়।
 
শচিন জানান, রেলের ফুটব্রিজ সংস্কারের জন্য ওয়েস্টার্ন ও সেন্ট্রাল রেলওয়েকে এক কোটি টাকা করে দেয়া হবে। এলফিনস্টোন স্টেশনের সাম্প্রতিক দুর্ঘটনা ছিল খুবই ভয়াবহ।
 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates