বিশ্বকাপ, নক আউট পর্ব, প্রতিপক্ষ জার্মানি। পাউলিনহো, ওয়েভারসনদের মনে কি বেলো হরিজন্তে উঁকি দিয়েছিল? দেওয়াটা অবশ্য অস্বাভাবিক নয়। ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে স্বাগতিক ব্রাজিলকে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল জার্মানি। যা ব্রাজিল ফুটবলের দীর্ঘ ইতিহাসে কালো দাগ হয়ে থাকবে। এরপর আর কোনো পর্যায়েই জার্মানির মুখোমুখি হয়নি ব্রাজিল। ২০১৪-এর সেই হারের ক্ষুদ্র প্রতিশোধ কিন্তু কাল নিয়েছে হলুদ জার্সিরা। অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে তারা।
ম্যাচের ধরন, ব্রাজিলের পিছিয়ে থেকে দুর্দান্ত জয়, ম্যাচে ও ম্যাচের পর ব্রাজিলের উল্লাস, জার্মানির শেষ মুহূর্তে প্রাণপণ চেষ্টা রুখে দেওয়া...প্রতি মুহূর্তেই ব্রাজিলের যুবারা মনে করিয়ে দিচ্ছিল, বেলো হরিজন্তের ভূত তাড়াতে তারা কতটা মরিয়া। ম্যাচ শেষে ব্রাজিল কোচও বলেন, এই জয় ছিল দলের মানসিক শক্তির।
শুরুতে জার্মানির হাতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ইয়ান ফিয়েতে আর্প পেনাল্টি থেকে এগিয়ে দিয়েছিলেন দলকে। সেই গোলে ৭০ মিনিট পর্যন্ত সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখেছে জার্মান কিশোরেরা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে উজ্জীবিত ব্রাজিলকে সমতায় ফেরান বদলি খেলোয়াড় ওয়েভারসন। আর এই টুর্নামেন্টে এর মধ্যেই নজর কাড়া পাউলিনহোর গোলে জয় নিশ্চিত হয় ‘জোগো বনিতো’র দেশের। ৭১ ও ৭৭ মিনিটের দারুণ দুটি গোল ব্রাজিলকে নিয়ে গেল ফাইনাল থেকে এক ধাপ দূরে।
রোমাঞ্চকর এক জয়ের পর দলকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন কোচ আমাদু। তিনি বলেন, ‘আজ আমরা কষ্টকর একটি জয় পেয়েছি। আজ আমাদের আনন্দ করার দিন, মুহূর্তটা উদ্যাপন করার সময় এটা।’ জার্মানি ব্রাজিলের চেয়ে দুই দিন সময় বেশি পেয়েছে বিশ্রামের। তা ছাড়া ছিল প্রচণ্ড গরম, ৬৬ হাজার দর্শকের সামনে খেলার চাপ। এর সবই জয় করেছে এই ব্রাজিল।
দল নিয়ে আজই গুয়াহাটি রওনা হয়েছেন আমাদু। ২৫ অক্টোবর এখানেই ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। অনূর্ধ্ব-১৭ পর্যায়ে চতুর্থ বিশ্বকাপপ্রত্যাশী ব্রাজিল নিশ্চয়ই সেমিফাইনালেই থামতে চাইবে না। ২০০৩ সালের পর অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ জেতা হয়নি ব্রাজিলের। ২০১১ সালে সর্বশেষ জিতেছিল অনূর্ধ্ব-২০ ফিফা বিশ্বকাপ।
সূত্র: পিটিআই।
No comments:
Post a Comment