কানাডার ওন্টারিও প্রদেশের রাজধানী টরেন্টো শহরে বাস করছে অসংখ্য বাংলাদেশি। উন্নত জীবন আর আধুনিকতার সংস্পর্শে তারা বেশ ভালো আছে সেখানে। এই শহরের বিভিন্ন নামী-দামি মার্কেটে বাংলাদেশিদের দোকান রয়েছে। এসব দোকানে পাওয়া যায় বাংলাদেশি পণ্য। এর মধ্যে বেশি রয়েছে তৈরি পোশাকের দোকান। আর এসব দোকানের ক্রেতা যে শুধু বাংলাদেশি তা নয়, বিদেশিরাও ওইসব দোকান থেকে বাংলাদেশের তৈরি কাপড় কেনে। কারণ ইউরোপের তৈরি পোশাকের বাজারে বাংলাদেশের কাপড়ের বিশেষ কদর রয়েছে। কানাডার শহর টরেন্টোতে বিভিন্ন মার্কেটে বাংলাদেশি নারীদের ছোট ছোট পোশাকের দোকান দেখা যায়। এসব পোশাক তারা সাধারণত দেশ থেকে বিক্রির উদ্দেশ্যে সেখানে নিয়ে যায়। আর এভাবে ছোট ব্যবসার মাধ্যমে তারা যথেষ্ট লাভবান বলে জানান স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিরা। টরেন্টোর বাসিন্দা প্রবাসী বাংলাদেশি অরুণা হায়দার জানান, টরোন্টোর বড় বড় দোকানে বাংলাদেশের কাপড় কিনতে পাওয়া যায়। বাংলাদেশিদের পাশাপাশি বিদেশীদের কাছেও এসব কাপড় অনেক পছন্দের। ফলে যেসব দোকানে শুধু বাংলাদেশি পোশাক পাওয়া যায় সেসব দোকানেও ক্রেতার কোন অভাব নেই।
অরুণা বলেন, ‘নবলস’ নামে একটি দোকান রয়েছে। অনেক পরিচিত ও স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয়। এখানে শুধুমাত্র বাংলাদেশি পোশাক বিক্রি হয়। এছাড়া টরোন্টোতে বাংলাদেশি নারীরা পোশাকের দোকান দিয়ে নিজস্ব ব্যবসা পরিচালনা করেn। এর মাধ্যমে তারা বেশ ভালোভাবেই ব্যবসা করছেন। অরুণা জানান, বড় বড় শপিংমল গুলোতে বাংলাদেশের তৈরি জামা-কাপড় পাওয়া যায়। যেমন বেসিয়ারস’এ সব বাংলাদেশের তৈরি পোশাক বিক্রি করা হয় এবং দেশের চেয়ে অনেক চড়া মূল্যে কিনতে হয় বলেও জানান অরুণা। অরুণা আরও বলেন, টরোন্টোতে আমরা বাংলাদেশের তৈরি গ্রামীণ চেকের একটা শার্ট ন্যূনতম ৫০ বা ৬০ ডলার দিয়ে কিনে থাকি। যে দামে আমাদের দেশে ওই একই শার্ট ৫টা কেনা সম্ভব। অরুণা বলেন, কিছু নারী উদ্যোক্তা আছে যারা ওইখানে ব্যাক্তিগতভাবে ছোট ছোট দোকান নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে। ওইসব দোকানের ভাড়াও খুব বেশি নয়। তারা বাঙ্গালি এরিয়াগুলোতে পোশাক বিক্রির পাশাপাশি বিদেশিদের কাছেও বিক্রি করেন বলে অরুণা জানান। অরুণা আরও জানান, কাপড়ের কোয়ালিটি ভালো হওয়ায় স্থানীয়দের কাছেও এসব ছোট ছোট দোকানগুলো বেশ জনপ্রিয়।
অরুণা বলেন, এসব ক্ষুদ্র নারী ব্যবসায়ীরা সাধারনত কন্টেইনারের মাধ্যমে ছো্ট্ট পরিসরে তৈরি পোশাক নিয়ে যায়। টরেন্টোতে এসব ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে পারলে হয়তো তারা রেমিটেন্সের পাশাপাশি দেশের রপ্তানিতেও বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে।
No comments:
Post a Comment