আগামী ১ জানুয়ারি থেকে আরব আমিরাতে নতুন কর আইন চালু হতে যাচ্ছে। এতে করে বাড়বে পণ্য ও সেবার দাম। এ নিয়ে উৎকন্ঠায় দিন কাটছে বিভিন্ন দেশের প্রবাসীসহ বাংলাদেশিদের মধ্যে। জানা গেছে, নতুন কর আইনে সব ধরনের সিগারেট ও তামাকজাত পণ্য এবং এনার্জি ড্রিঙ্কের উপর ৫০ শতাংশ কর বাড়ানো হবে। এ কর বৃদ্ধি দেশটির ফেডারেল আইন নং ৭ অনুযায়ী কার্যকর হতে যাচ্ছে।
ফেডারেল ট্যাক্স কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী, যেসব ব্যবসায় তিন লাখ পঁচাত্তর হাজার দিরহাম বা তার বেশি আয় হয় সেসব প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাটের আওতায় আনা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নতুন বছর থেকে খুচরা বাজারে বিভিন্ন পণ্যের উপর ৫% কর আরোপ করা হবে। তবে প্রাথমিকভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যকে এ আইনের আওতার বাইরে রাখার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছেন, কর বাড়ালেও সাধারণের উপর খুব বেশি তার প্রভাব পরবে না।
আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশি আব্দুস সালাম জানান, নতুন এই কর আইনে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস আওতার বাইরে থাকার কথা বলা হলেও কর বৃদ্ধির পরোক্ষ প্রভাব সাধারণ মানুষের উপর থেকে যাবে। এই প্রবাসীর মতে, যেহেতু আমিরাতে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশির কর্মসংস্থান রয়েছে । তাই নতুন ট্যাক্স আইনের প্রভাব তাদের জীবিকার উপর পড়বে এটাই স্বাভাবিক। সালাম জানান, আমিরাতে একজন প্রবাসী গড়ে আড়াই হাজার দিরহাম বেতন পান। বাসস্থান ও খাবার মিলে অর্ধেকের মত চলে যায়। বাকিটা হয়তো দেশে পাঠান।
অন্যদিকে, যাদের আয় একেবারে নিম্ন পর্যায়ের তারা সর্বোচ্চ পাঁচ’শ থেকে এক হাজার দিরহাম আয় করেন। এই প্রবাসী আরো জানান, অনেক প্রবাসী তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় বহন নিয়ে শঙ্কিত। যাদের উচ্চ আয় তাদের হয়তো খুব বেশি কষ্ট হবেনা। তবে বেশিরভাগ প্রবাসীর যে গড় আয় তা নিয়ে নতুন করারোপে শঙ্কার কারণ থেকে যায়। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে যাওয়া মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ কর্মীর মাথায় থাকে বড় অঙ্কের ঋণের বোঝা। সেখানে তারা খেয়ে না খেয়ে থেকেও দেশের ঋণের টাকা পরিশোধের চিন্তা করেন। কিন্তু নতুন এই কর বৃদ্ধিতে প্রত্যক্ষ না হলেও পরোক্ষ প্রভাব থেকে বাদ পড়বে না প্রবাসীরা।
No comments:
Post a Comment