সৌদি আরবে নারীদের গাড়ী চালানোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর উচ্ছসিত দেশটির নারীরা। এদিকে, সৌদি বাদশাহর এই ঘোষণা আন্তর্জাতিক মহলেও বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। বাদশাহ সালমানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তাঁর মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প।
কিন্তু বাদশাহর এই ঘোষণায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে দেশটিতে চালক হিসেবে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের মধ্যে। নারীরা গাড়ি চালানো শুরু করলে চাকরি হারানোর শঙ্কায় এখন লাখো শ্রমিক।
সৌদি আরবের বাসাবাড়ির জন্য লাখ লাখ অভিবাসী চালক রয়েছে। দেশটির এক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু সৌদি নারীদের যাতায়াতের জন্য দেশেটিতে প্রায় ৮ লক্ষ চালক কাজ করে থাকেন। এদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বাংলাদেশি। অধিকাংশ বাংলাদেশি মধ্যপ্রাচ্যেও দেশগুলোতে গাড়ি চালানোকেই প্রথম পছন্দ হিসেবে নেয়।
পরিসংখ্যানে জানা গেছে, গৃহকর্মে কাজের জন্য নতুন করে লোক নিয়োগের ভিসা দেওয়া শুরুর পর গত দেড় বছরে বাংলাদেশ থেকে অন্তত ৫০ হাজার শ্রমিক চালক হিসেবে সৌদি আরব গেছেন। অনেক বাড়িতে একাধিক চালক কাজ করেন। বর্তমানে একজন গাড়ি চালকের মুজুরি নুন্যতম ১৫’শ রিয়াল। অনেক সময় দেখা যায় তিনটি বাচ্চা তিনটি ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে যায়, তাদের তিনজনের জন্যই আলাদা তিনজন গাড়ি চালক নিয়োগ দেয়া হয়। এদের অধিকাংশই বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান বা শ্রীলঙ্কার।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সৌদি নারীরা গাড়ি চালানো শুরু করলে বিপুল সংখ্যক প্রবাসীর চাকরি হুমকিতে পড়বে। সেই সঙ্গে ওই চালকের ওপর নির্ভরশীল পরিবারগুলোও বিপাকে পড়বে।
এরইমধ্যে সৌদীতে সুপার মার্কেটগুলোতেও মেয়েদের কাজে অংশগ্রহণ বেড়েছে। এতে বহু শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন। এবার মেয়েরা গাড়ি চালানো শুরু করলে এর প্রভাব শ্রমবাজারে পড়বে বলেও শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
No comments:
Post a Comment