Social Icons

Thursday, May 31, 2018

ইসরায়েলের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ নিয়ে নাখোশ আর্জেন্টিনা

যুগ যুগ ধরেই ফিলিস্তীনিরা ইসরায়েলের সেনা বাহিনীর হাতে নিপিড়িত হচ্ছে। হামলায় মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হওয়া ইসরায়েলের জেরুজালেমেই প্রীতি ম্যাচ নিয়ে তাই আর্জেন্টিনার ভিন্ন মত পোষন। সে কথাই প্রকাশ করেছে মেসির আর্জেন্টিনা।
বিশ্বকাপের ঠিক আগ দিয়ে জুনের ৯ তারিখে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দেশের বিপক্ষে জেরুজালেমে এক প্রীতি ম্যাচ খেলবে সাম্পাওলির দল। আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশন ইসরায়েলকে সবুজ সংকেত দিলেও সেখানে খেলতে দ্বিমত পোষন করছে দলের কোচ হোর্হে সাম্পাওলির।
হাইতির বিপক্ষে এক প্রীতি ম্যাচে ৪-০ গোলের জয়ের পর বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে মেসি বাহীনি। সে ম্যাচ শেষেই জানিয়ে দেন ইসরায়েলে ম্যাচ খেলতে অনিইচ্ছুক তারা। সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমি ম্যাচটি বার্সেলোনায় খেলতে চেয়েছিলাম। বিশ্বকাপের আগে কম ভ্রমণ করতে চেয়েছিলাম আমরা।

অসৎ নারী চেনার উপায় কী? জেনে রাখুন বিয়ের পর অবশ্যই কাজে লাগবে


পুরুষের একটা খারাপ লক্ষন আছে। কোনও নারী যদি তার দিকে চেয়ে একফোটাও হাসে, ধরেই নেয় কাজ হয়ে গেছে । মেয়ে ইমপ্রেসড্! অনেক সহজেই রাজি হয়ে যাবে। এক-কে একশো ভেবে ফেলে সেই নির্বোধ পুরুষ। তাই নারীকে একটু বাধ্য হয়েই অতিমাত্রায় ব্যক্তিত্ব ধরে রাখতে হয় পুরুষের সামনে। ইচ্ছে না থাকলেও জোর করে দুর্ব্যবহার করতে হয় অনেক সময়। কোনও পুরুষ যেচে আলাপ করতে এলে, এমন অ্যাটি দেখায়, যেন বাকিংহাম প্যালেসের রানি! মুখ ঘুরিয়ে চলে যায়। খারাপ কথা বলে দেয়। হাবেভাবে বোঝায়, “তোমাকে আমার চাই না”। পুরুষ পড়ে ধন্দে। মনে করে নারী খুব জটিল প্রাণী। …এবং জেনে রাখুন, এই শ্রেণির নারীর সংখ্যাই আমাদের সমাজে বেশি। ঘরে-বাইরে দীর্ঘদিনের ট্রেনিংয়ের ফলেই এই প্রকার নারীর আবির্ভাব।
আরও একটা নির্বোধ টাইপ আছে, যার কোনও ইগোফিগো নেই। যে নারী কোনও ছকে চলে না, তাকে নিয়েই যত জ্বালা। সে হাসলে পুরুষ ভেবে নেয় অনেককিছু। খেতে দিলে, শুতে চায়। এই নারী নিতান্ত সরল টাইপ। এই টাইপটাকে মানুষ সহজেই ভুল বোঝে। সে যদি ভালো মনে কিছু করতেও যায়, খারাপটাই ভেবে নেয় সকলে। মনে করে অন্য কোনও মতলব আছে তার। কিন্তু এই দুই প্রকার নারীর বাইরেও আরও একপ্রকার নারী আছে, যে ফ্লার্টিংকে শিল্পের পর্যায় নিয়ে গেছে। আলাপের প্রথম প্রথম এমন হাবভাব করে, যেন ভাজা মাছটা উলটেই খেতে শেখেনি। পৃথিবীর রং, রূপ, গন্ধ – সবই প্রথম দেখছে। শিহরিত হচ্ছে পলকে পলকে। সেই মেকি সারল্যের প্রেমে পড়ে পুরুষ।
তখনই অনেকটা জিতে যায় ছলনাময়ী। ক্রমে সুতো ছাড়তে শুরু করে। এই ধরনের নারী কিন্তু খুব ধীরস্থির। হড়বড় করে কথা বলে না। খুব মার্জিত চালচলন। মিষ্টি হাসিটাও ফেক। দীর্ঘদিনের হোমওয়ার্ক করে আনা। সাধারণত কমিটমেন্টে বিশ্বাস করে না। একই সময় বহুপুরুষের সঙ্গে সদ্ভাব রাখতে পারে। এমন নারী বিশ্বাসের অযোগ্য হলেও, সবাই তাকে বিশ্বাস করে নেয়। সে আসে, দেখে, জয় করে। কী করে চিনবেন এমন নারীকে, কী করে বুঝবেন তিনি ফ্লার্ট করছেন আপনার সঙ্গে। জেনে নিন –
১. লজ্জাই নারীর ভূষণ। এই ধরনের নারীরা আপাত ভদ্র হলেও তাদের মধ্যে নির্লজ্জ হাবভাব প্রকাশ পায়। পুরুষের চোখের দিকে চেয়ে থেকে এমনভাবে, যেন তার ভিতরটা পড়ে ফেলছে। নারীর ওই দৃষ্টি পুরুষের সর্বনাশের কারণ।
২. মাথার চুল নিয়ে নাড়াচাড়া করতে শুরু করে কথা বলার সময়। পুরুষকে বাধ্য করে তার রূপের দিকে নজর দিতে। ইচ্ছে করে ইঙ্গিতবাহী পোশাক পরে আসে তার সামনে। যাতে সহজেই আকৃষ্ট করতে পারে।
৩. পুরুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে প্রথমে। তারপর তার বাড়ির ব্যাপারে খোঁজ নিতে থাকে। যেহেতু এই নারীকে পুরুষ সহজেই বিশ্বাস করে নেয়, নিজের সম্পর্কে সবই তাকে বলে ফেলে। এমন নারী কিন্তু পুরুষকে ফাঁদে ফেলতে ওস্তাদ। নানাভাবে বিশ্বাস অর্জন করে, ব্ল্যাকমেইল করতেও পিছপা হয় না।
৪. নানা ছুতোয় কথা বলার সুযোগ খোঁজে এই নারী। এড়িয়ে গেলে বাড়ি চলে আসে। যেহেতু ততদিনে বাড়ির লোকের সঙ্গেও সদ্ভাব করে নেয়, তাই বাড়ির লোকের নজরেও সে বিশ্বাসযোগ্য।
৫. বারংবার দেখা করার ফাঁক খোঁজে। সেই দেখা হওয়া কিন্তু একান্তে। অন্য কাউকে ডাকে না তখন।
৬. মাঝরাতে মেসেজ করে। রাত ১টা, ২টোর সময় মাখোমাখো মেসেজ পাঠাতে থাকে।
৭. এমন নারীর সঙ্গে কখনওই মদ্যপান করা উচিত নয়। হতেই পারে অচৈতন্য মুহূর্তের সুযোগ নিয়ে পরবর্তীকালে সমস্যায় ফেলে দিল।
৮. এই নারী নানা অছিলায় যৌনতাকে নিয়ে আসে আলোচনার মধ্যে। পুরুষকে যৌনভাবে উত্তেজিত করার চেষ্টা করে। সেই উত্তেজনার বশে পুরুষ যদি মাত্রাতিরিক্ত কিছু করেও ফেলে, বিপদ কিন্তু পুরুষেরই। এই নারী কিন্তু অবলীলায় দোষ চাপিয়ে দিতে পারে পুরুষের ঘাড়ে।

নারীর যে জিনিসে পুরুষের আগ্রহ বেশি!

প্রকৃতগতভাবেই নারী-পুরুষের মাঝে আকর্ষণ থাকাটা স্বাভাবিক। একজন নারীর শুধু সৌন্দর্যই পুরুষকে আকর্ষণ করে না। সৌন্দের্যের পাশাপাশি আরো বেশ কিছু বিষয় নারীদের প্রতি পুরুষদের আগ্রহী করে তোলে।
নারীর যে ৭ টি বিষয় ভীষণ আগ্রহী করে তোলে পুরুষদেরকে!
১. হাসি:
নারীদের হাসি খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয় যা পুরুষের মন জয় করার জন্য যথেষ্ট। নারীরা খুব রহস্যজনকভাবে হাসতে পারে। আর সেটি একজন পুরুষকে করে তুলতে পারে অধীর। নারীর সেই রহস্যময়ী হাসিটি দেখতেই তার ভালো লাগে। আর মুগ্ধ সেই পুরুষটির তখন প্রথম কথাই থাকে "তোমার হাসি অনেক সুন্দর"।
২. সৌন্দর্য:
এটা অবশ্যই স্বীকার করতেই হবে যে প্রত্যেক নারীই আপন স্বীয় সৌন্দর্যে মোহনীয়। অনেক কালো একটা মেয়ের মধ্যেও নিজস্ব কোনো মোহনীয় সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকতে পারে। আর সেই মোহনীয় সৌন্দর্যই যেকোনো পুরুষকে করে তুলতে পারে মনমুগ্ধ। বাড়িয়ে দিতে পারে তার প্রতি আকর্ষণ।
৩. বাচন ভঙ্গি:
একজন নারী খুব সুন্দরভাবে একটি কাজ করতে পারেন আর তা হলো গুছিয়ে কথা বলা রপ্ত করে ফেলা। আর তার সেই কথা বলার ভঙ্গিই মুগ্ধ করে ফেলেতে পারে একজন পুরুষকে। নারীরা বেশিরভাগ সময়েই বেশ গুছিয়ে কথা বলেন। এর ফলে নারীদের কথা পুরুষদের কাছে মনে হয় যেন মধুমাখা। ফলে আকর্ষণবোধ করতে পারে।
৪. চুলের ধরণ:
একটি নারীর সকল সৌন্দর্যই যেন লেগে থাকে তার চুলের বাঁধনে। নারীটি চুল বেঁধে রাখুক বা খুলে রাখুক হালকা বাতাসে চুলের দোদুল্যমানতা দেখতে প্রত্যেক পুরুষেরই বেশ ভালো লাগে। নারীর ঝলমলে চুল সব পুরুষের পছন্দ।

৫. সরলতা:
নারী শব্দটির সাথে সরলতা শব্দটি যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। নারী মানেই যেন সরল হবে। আর এই সরলতাই প্রত্যেক পুরুষের তার প্রতি আকর্ষণ বাড়িয়ে দেয়। একজন নারী যদি কুটিল ও হিংস্র প্রকৃতির হয় তাহলে তার প্রতি কোনো পুরুষেরই আকর্ষণবোধ হবে না। পুরুষরা এমন নারীর প্রতি আকর্ষণবোধ করে যে হবে সরল এবং মায়াবতী।
৬. ছেলেমানুষি ভাব:
অনেকের নারীর মাঝেই ছেলেমানুষি ভাব থাকে। এই ছেলেমানুষি ভাবই আকর্ষিত করে তোলে একজন পুরুষকে।
৭. চোখের ভঙ্গি:
আরেকটি বিষয়ে একজন পুরুষ একজন নারীর প্রতি আকর্ষণবোধ করতে পারেন। সেটি হল তার চোখের ভঙ্গি বা চোখের ভাষা। একজন নারীর চোখে অনেক ভাষা থাকে। আর পুরুষরা সেই ভাষা পড়তে খুব ভালোবাসেন। এভাবেও একজন পুরুষ একজন নারীর প্রতি আকর্ষিত হতে পারেন।

তথ্যসূত্র: বিডি২৪লাইভ

নারীরা যে কারণে বয়স্ক পুরুষে আকৃষ্ট হন


নারী-পুরুষের আকর্ষণ জনম জনমের। বয়স বা জাত-ধর্ম কখনো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। তবুও নারীরা বয়স্ক পুরুষের প্রতিই বেশি আকৃষ্ট হন। এ আকর্ষণের প্রধান কয়েকটি কারণও রয়েছে। আসুন জেনে নেই কারণগুলো সম্পর্কে-
১. বয়স্ক পুরুষদের মধ্যে যথেষ্ট ম্যাচিওরিটি থাকে, আকর্ষণের জন্য এটাই সবচেয়ে বড় কারণ।
২. বয়স্ক পুরুষ মানেই জীবনে প্রতিষ্ঠিত। তাদের আয় ও ভবিষ্যৎ নিশ্চিত। 
৩. বয়স্ক পুরুষের ম্যানার্স বহু কমবয়সী নারীকে আকর্ষণ করে। রাশভারি ব্যক্তিত্বও অনেকের পছন্দ। 
৪. অভিজ্ঞতার আলোকে বয়স্ক পুরুষ প্রেমিক হিসেবে একেবারে ভিন্ন মাত্রার। 
৫. বয়স্কদের প্রেম একেবারে অন্যরকম, অনেক বেশি বাস্তবসম্মত। ফলে সম্পর্কও টিকে থাকে।
৬. বয়স্ক পুরুষের বোঝাপড়া অনেক গভীর। তার কাছে শরীরের চেয়ে অগ্রাধিকার পায় মন। 
৭. বয়স্ককে বিয়ে করলে বিচ্ছেদের সম্ভাবনা অনেক কম। বয়স্ক পুরুষরা সম্পর্কে থিতু হতে চান। 
৮. ব্যক্তিত্ব, অভিজ্ঞতা, চার্ম মিলিয়ে যে ব্যক্তিত্ব সামনে আসে, তার কোনো তুলনা হয় না। 
৯. যে কোনো বিপদে-আপদে পরামর্শ পাওয়া যায় তাদের কাছ থেকে। 
১০. বয়স্কদের কথাবার্তা প্রেম-শরীর-সংসারের বাইরেও যায়। তাই সব বিষয়ে মেলে সুচিন্তিত মতামত। 
১১. আবেগের ক্ষেত্রে বয়স্ক পুরুষরা অনেক বেশি পরিণত। ফলে সম্পর্কের স্থায়িত্ব বেশি।
১২. তরুণী পেলে বয়স্কদের মধ্যে শিশুসুলভ ব্যাপার চলে আসে, এটিও নারীরা বেশ পছন্দ করেন।

‘সৌদি যুবরাজ’ পরিচয় দেওয়া এই প্রতারক আসলে কে?

নিজেকে পরিচয় দিতেন সৌদি যুবরাজ বা রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে। মায়ামির রাস্তায় তাকে দেখা যেত দামি স্পোর্টস কার নিয়ে ঘুরতে। হাতে রোলেক্স ঘড়ি। নাম বলতেন ‘সুলতান বিন খালিদ আল সৌদ’। ফিশার আইল্যান্ডে মায়ামি সমুদ্রসৈকত লাগোয়া অভিজাত পেন্টহাউস অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন। সেখানে যাতায়াতই করতে হয় ফেরি অথবা হেলিকপ্টারে। মূল দরজাতে লেখা রয়েছে ‘সুলতান’।
ক্ষমতাসীন সৌদি আরবের রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে পরিচয় দেওয়া এই ‘সুলতান’ আসলে কে? যে পরিচয় দিয়ে লাখ লাখ ডলার তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন।

‘সৌদি যুবরাজের’ আসল নাম অ্যান্থনি জিনিয়াক (৪৭)। তার জন্ম কলম্বিয়ায়। ১৯৭০-এর দশকে গৃহযুদ্ধের সময় তিনি ও তার ভাই ড্যান দুই বছর রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতেন। ১৯৭৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ন্যান্সি ও জেমস জিনিয়াক দম্পতি তাদের দত্তক নেন। তাদের সাহচর্যে বেড়ে ওঠেন জিনিয়াক। স্কুলেও সহপাঠীদের বলতেন, তাদের অভিজাত রিসোর্ট বা অবকাশযাপনের স্থান রয়েছে। এমনকি নিজেকে জনপ্রিয় অভিনেতা ডম ডিলুইসের সন্তান হিসেবেও পরিচয় দিতেন।
অষ্টম গ্রেডে পড়ার দত্তক নেওয়া বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এর পর থেকে মানসিক সমস্যা দেখা দেয় জিনিয়াকের। এক বছর মানসিক হাসপাতালেও কাটাতে হয়েছে তাকে। ১৭ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন তিনি।

সৌদি আরবের কূটনৈতিক নম্বর প্লেট ফেরারি বা রোলস রয়েসে লাগিয়ে এত দিন ঘুরতেন।
শেষ পর্যন্ত এই প্রতারক নিজেকে আর লুকিয়ে রাখতে পারেননি। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ফেডারেল আদালতে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নির কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, ‘মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে অন্যদের বলতেন যে তিনি কূটনৈতিক নিরাপত্তা পান এবং কয়েক ঘণ্টা অন্তর তাকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেখা করতে হয়।’ জিনিয়াককে দামি চিত্রকর্ম, অলঙ্কার উপহার দিত লোকজন। আগামী ২৭ আগস্ট তার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার কথা রয়েছে।
১৯৯০-এর দশকের শুরু থেকেই জিনিয়াক ফ্লোরিডায় বসবাস করছেন। গত নভেম্বরে ভুয়া পাসপোর্ট নিয়ে তিনি লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক ভ্রমণ করলে ধরা পড়েন।
অ্যাপার্টমেন্টে তল্লাশি করে বিভিন্ন কার্ড পেয়েছে তদন্তকারী দল। এসব কার্ডে, ‘হিজ রয়্যাল হাইনেস’, ‘প্রিন্স’ ও ‘সুলতান’ লেখা রয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর জিনিয়াককে মায়ামির কারাগারে রাখা হয়েছে।

ব্রাজিলের সর্বকালের সেরা একাদশ

কাফু ব্রাজিলের একজন কিংবদন্তি ডিফেন্ডার। তিনি এমনই একজন ফুটবলার, যিনি ১৯৯৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনবার বিশ্বকাপ খেলে দুইবার ফিফা বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলীয় দলের সদস্য হওয়ার গৌরব আর্জন করেছেন। আর চারবার কোপা আমেরিকায় অংশ নিয়ে দুইবার চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য হওয়ার খ্যাতি পান। তিনি ব্রাজিলের ২০০৬ বিশ্বকাপ দলের অধিনায়ক ছিলেন। ২০০৪ এর মার্চ মাসে পেলে কাফুকে সেরা ১২৫ জন জীবিত ফুটবল খেলোয়াড়ের একজন হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তবে তারই সাজানো সর্বকালের সেরা ব্রাজিলিয়ান একাদশে তিনি নিজেকে রাখেননি। 
তিনি যে একাদশ দিয়েছেন সেখানে তার পজিশন সেই রাইট ব্যাকের জায়গায় নাম রয়েছে কার্লোস আলবার্তোর। ব্রাজিলের ১৯৭০ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক কার্লোস আলবার্তোকে সর্বকালের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার বলা হয়। একাদশে আরও রয়েছে পেলে, জিকো, রোনালদো, রিভালদো, রবার্তো কার্লোসের মতো নাম। যারা দুটি করে বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিল দলের সদস্য ছিলেন। তবে নেই দুইবারের ফিফা বর্ষসেরা রোনালদিনহো কিংবা ২০০৭ সালের বর্ষসেরা ফুটবলার কাকার নাম।
সেরা একাদশ:
গোলকিপার: টাফফেয়ারেল
ডিফেন্ডার: রবার্তো কার্লোস, আলদেয়ার, লুসিও, কার্লোস আলবার্তো
মিডফিল্ডার: ফ্যালকাও, রিভেলিনো, রিভালদো, জিকো
ফরোয়ার্ড: পেলে ও রোনালদো
সূত্র: গোল ডট কম

লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় মসজিদের দেশ আর্জেন্টিনা


বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ক্যাথলিক রাষ্ট্র আর্জেন্টিনায় ইসলাম ধর্মের গোড়াপত্তন হয় ১৬ শতাব্দীতে স্প্যানিশ উপনিবেশীকরণের মাধ্যমে। তবে পরবর্তী সময়ে দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় অংশটির আগমন ঘটে সিরিয়া, লেবানন ও তুরস্ক থেকে।
বর্তমানে আর্জেন্টিনায় মুসলিমের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। সংখ্যাটা বেশ কম মনে হলেও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে আর্জেন্টিনাতেই মুসলমান জনগোষ্ঠীর মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
এবারের রমজানে (২০১৮ সাল, ১৪৩৯ হিজরি) আর্জেন্টিনায় চলছে শীতকাল। রাশিয়া, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ডসহ কিছু কিছু দেশের মুসলিমদের রোজা রাখার জন্য যেখানে ২০ ঘণ্টারও বেশি না খেয়ে কাটাতে হচ্ছে, সেখানে আর্জেন্টিনার মুসলিমদের না খেয়ে থাকতে হচ্ছে মাত্র ৯ থেকে ১১ ঘণ্টা।
প্রায় চার কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে মুসলিমের সংখ্যা খুব কম হলেও, দক্ষিণ আমেরিকা বা লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় মসজিদটি এখানেই অবস্থিত। রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের ‘কিং ফাহ্‌দ ইসলামিক কালচারাল সেন্টার’ মসজিদকে বলা হয় আর্জেন্টিনার মুসলিম সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় কেন্দ্রবিন্দু।
রমজান, ঈদ ও ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো এই মসজিদকে ঘিরেই আবর্তিত হয়। এ মসজিদে একসঙ্গে ১২০০ পুরুষ ও ৪০০ নারী জামাতে নামাজ আদায় করতে পারেন। কয়েকশ রোজদারের জন্য একত্রে ইফতারের ব্যবস্থা ও তারাবি পড়ানো হয় এখানে।
আর্জেন্টাইন মুসলিমদের রমজান পালনের মূল প্রতিপাদ্য থাকে মহানবীর আদর্শ অনুসরণ ও সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভ। একে অপরকে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু হয় সিয়াম সাধনার মাস।
আর্জেন্টিনার মুসলিমদের অনেকেরই আদি নিবাস মধ্যপ্রাচ্যে হওয়ায় আরবি পড়তে জানেন অনেকে। তারা কোরআন তেলাওয়াত করেন এবং অন্যজনেরা তা শোনেন। যারা আরবি পড়তে জানেন না তারা হাতে তুলে নেন কোরআনের স্প্যানিশ অনুবাদ।
আর্জেন্টিনার মুসলিমদের একটি বড় অংশই সেখানে অভিবাসী হিসেবে বসবাস করেন। ঈদটা জন্মভূমিতে উদযাপনের ইচ্ছা থাকে অনেকেরই। তাই ঈদের ছুটিটা আগেভাগে ব্যবস্থা করার জন্য রমজান মাস জুড়ে চলে কর্মব্যস্ততা। বুকিং চলে প্লেনের অগ্রিম টিকিটের। রমজান মাস শেষ হলেই আগমন ঘটে মুসলিম বিশ্বের আনন্দ উৎসব ‘ঈদুল ফিতর’।

খুলনা ও যশোরে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়াই মিলবে ভারতের পর্যটক ভিসা

ভারতের ভিসা পেতে খুলনা ও যশোরে পর্যটক বা টুরিস্ট ভিসার আবেদনকারীদের আর অগ্রীম অ্যাপয়েন্টমেন্ট লাগবে না। বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভিসা পাওয়া আরও বাধাহীন, সুষ্ঠু ও সহজলভ্য করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় হাইকমিশন। হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় বাংলাদেশিদের জন্য ভারতের ভিসা প্রাপ্তির বিষয়টি আরও সহজ ও বাধাহীন করার চলমান উদ্যোগের অংশ হিসেবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, পর্যটক ভিসার জন্য আবেদনকারীদের অগ্রিম অ্যাপয়েন্টমেন্ট প্রয়োজন নেই।
আবেদনকারীরা ১১ জুন ২০১৮ থেকে খুলনা ও যশোর ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (আইভিএসি)-তে সরাসরি আবেদন জমা দিতে পারবেন। ওই আইভিএসিগুলোতে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে।
পর্যটক ভিসা ছাড়া চিকিৎসা, ব্যবসা, সম্মেলন এবং অন্যান্য ভিসা আবেদন আগের মতোই সরাসরি জমা দেয়া যাবে। এছাড়া প্রবীণ নাগরিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরাসরি অন্য কাউন্টারে আবেদনপত্র জমাদান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
নতুন এই ব্যবস্থা চট্টগ্রামে ৯ জুলাই ২০১৭, রাজশাহী ও রংপুরে ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, মিরপুর রোড, ঢাকায় ১০ অক্টোবর ২০১৭ এবং ২০ মে ২০১৮ সিলেট, ময়মনসিংহ ও বরিশাল আইভিএসি-তে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া একটি উদ্যোগের অংশ। এবার তা একইভাবে খুলনা ও যশোর আইভিএসি-তে চালু করা হচ্ছে।

সৌদি আরবে অপরাধ হিসেবে গণ্য হলো যৌন হয়রানি

সৌদি আরবে যৌন হয়রানিকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। কাউকে যৌন হয়রানি করলে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩ লাখ রিয়াল বা ৮০ হাজার ডলার জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার সৌদি আরবের মন্ত্রিসভায় এ সংক্রান্ত নীতি অনুমোদন করা হয়েছে।

মন্ত্রিসভায় প্রস্তাবটি   ওঠার আগে সোমবার দেশটির উপদেষ্টা কমিটি শুরা কাউন্সিলে অনুমোদিত হয়। এখন সৌদি রাজপ্রাসাদ ডিক্রি জারি করলে আইনে পরিণত হবে এই নীতি। শুরা কাউন্সিল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসলামি আইনে একজন ব্যক্তিকে যে মর্যাদা এবং স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে তা রক্ষায় এই আইনটি করা হচ্ছে। এর ফলে কেউ কাউকে যৌন হয়রানি করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত গোপনীয়তাও রক্ষা পাবে।

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান কট্টরপন্থী সমাজে আধুনিকতার ছোঁয়া দিতে চাচ্ছেন। তিনি নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে দেন এবং ফ্যাশন শো’রও আয়োজন করেন। নারীদের মাঠে খেলা দেখারও অনুমতি দেন সৌদি যুবরাজ। তিনি দেশের অর্থনীতিকে কেবল তেল নির্ভরতা থেকে বাঁচাতে অর্থনৈতিক বিভিন্ন কৌশলও গ্রহণ করছেন। দেশটিতে বিনোদন পার্কেরও উদ্বোধন করা হয়েছে।-খবর রয়টার্সের।

নিকারাগুয়ায় সহিংসতায় নিহত ৫

নিকারাগুয়ায় বুধবার সরকার সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। গত মাস থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ ও সহিংসতার এটি সর্বশেষ ঘটনা। পুলিশ ও বিরোধী দলের সমর্থকরা একথা জানান। সহিংসতায় ২০ জনেরও বেশি লোক আহত এবং বিরোধী দলীয় সংবাদপত্রের দুটি আউটলেটে হামলা চালানো হয়েছে।
 
পুলিশের উপপরিচালক ফ্রান্সিসকো দিয়াজ বলেন, রাজধানী মানাগুয়ায় সরকারের সমর্থনে আয়োজিত জনসভায় যারা অংশ নিয়েছেন তাদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলা হামলা চালানো হয়। এতে পাঁচ পুলিশসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। ক্ষমতাসীন সান্দিনিসতা পার্টির যুব শাখার আহত ১২ সদস্যের মধ্যে দুইজন পরে মারা যান।
 
নিকারাগুয়ান হিউম্যান রাইটস সেন্টার জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলীয় এস্টেলি এলাকায় সংঘর্ষে দুই জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। সরকার সমর্থকরা মানাগুয়ার একটি সমাবেশে হামলা চালালে একজন নিহত হন। সহিংসতায় সন্তানহারা মায়েদের সমর্থনে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এএফপি।

ভেনেজুয়েলায় নতুন নির্বাচনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ বিরোধী নেতা


ভেনেজুয়েলায় নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন নিকোলাস মাদুরোর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হেনরি ফ্যালকন।নতুন নির্বাচনের দাদি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধী এই নেতা। এ  খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
 
খবরে বলা হয়, এই মাসে ভেনেজুয়েলায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন নিকোলাস মাদুরো। কিন্তু অনিয়মের অভিযোগ তুলে এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছেন ফ্যালকন।আন্তর্জাতিক মহলও এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে।

নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে মাদুরো সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরিকল্পনা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বেশিরভাগ বিরোধীদলই নির্বাচন বর্জন করেছে।
 
বুধবার নতুন নির্বাচনের আহবান জানিয়েছেন ফ্যালকন। তিনি বলেন, আমরা সুপ্রিম কোর্টের কাছে আমাদের অভিযোগ উপস্থাপন করছি। এই অভিযোগ এটা প্রমাণ করে যে, এমন নির্বাচনী প্রক্রিয়া অবৈধ।
 
তিনি বলেন, এই অভিযোগের সুযোগে অবশ্যই নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। ২০ মে’র ব্যালটের কোন অস্তিত্ব নেই। সেটাকে বাতিল ও শূন্য বলে ঘোষণা দেয়া উচিত।
 
নির্বাচনে ভোট কেনা হয়েছে বলে অভিযোগ করে ফ্যালকন আরো বলেন, ঘুষ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আইনের অধীনে এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আপনি চাইলেই একটি রাষ্ট্রের সামাজিক নীতিমালায় ভোট কেনার আবেদন করতে পারেন না।
 
উল্লেখ্য, ফ্যালকন আবেদন করলেও ভেনেজুয়েলায় নতুন নির্বাচনের সম্ভাবনা কম। সুপ্রিম কোর্ট সচরাচর মাদুরোর বিরুদ্ধে কোন রায় দেয়না।

Wednesday, May 30, 2018

যে কাজটি করতে গিয়ে স্ত্রীকে ভয় পান মেসি!

লিওনেল মেসি ফুটবলের বরপুত্র। তার চমৎকার সব ড্রিবলিং ও পাসিংয়ে মুগ্ধ গোটা দুনিয়া। আর তিনি মুগ্ধ শৈশবের বান্ধবী অন্তোনেলা রোকুজ্জুতে। বউয়ের সঙ্গে সম্পর্কটা খুবই মধুর মেসির। কারণ জাদুকরী ফুটবলের বাইরে ব্যক্তিজীবনের অত্যন্ত সাংসারিক একজন মানুষ, একজন প্রেমিক, একজন স্বামী হলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে রোকুজ্জোর সঙ্গে তার মধুর দাম্পত্যের সাক্ষী নিয়মিতই হচ্ছেন ভক্তরা। দাম্পত্য মধুর হলেও একটা জায়গায় বউকে বেশ ভয় পান ফুটবল জাদুকর!
কোনো উপলক্ষ সামনে রেখে কিংবা উপলক্ষ ছাড়াই বউকে নিয়ে শপিংয়ে গেছেন কখনও? মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্ম মধ্যবিত্ত হলে তো বুক ঢিপঢিপ করবেই। বউ কী কিনতে চায়; কত দাম হবে; টাকায় কুলাবে কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি। আবার সংসারে শান্তির স্বার্থে বউকে অসন্তুষ্ট করাও যাবে না। সব মিলিয়ে পুরুষের অবস্থা কিছুটা হলেও করুণ। পাঁচবারের ব্যালন ডি'আর জয়ী মেসির ভয়টাও এই জায়গায়। বউকে নিয়ে শপিংয়ে যাওয়া। কিন্তু মেসির তো টাকার অভাব নেই; তাহলে তার ভয়টা কীসের?
এক সাক্ষাৎকারে আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর বলেছেন, 'আমি জামাকাপড় কিনতে পছন্দ করি। কিন্তু বাজারে গিয়ে নয়। অনলাইনেই কেনাকাটার কাজটা সেরে ফেলি। আর এটাই আমাকে বাইরে যেতে নিরুৎসাহিত করে। আসলে আমি যখন আন্তোনেলার সঙ্গে বাইরে যাই, তখন বেশ অসহায় বোধ করি। মানুষের ভিড় জমে যায়। আমি দ্রুততার সঙ্গে সবকিছু করার চেষ্টা করি। কিন্তু সন্তানরা সঙ্গে থাকলে সেটাও সম্ভব হয় না।'

গুজরাটের 'লেডি ডন' অস্মিতা, নাম শুনলেই কাঁপে এলাকা!


অস্মিতা গোহিল (ডিকো)। ভারতের গুজরাটের সুরাট এলাকার বাসিন্দা এ তরুণী। বয়স বড় জোর উনিশ-কুড়ি হবে। স্বামী বিবেকানন্দ স্কুলের একজন শিক্ষার্থী। এ অস্মিতাই এখন গুজরাটের 'লেডি ডন'। সুরাটের সবাই তাকে এক নামে চেনেন। অবশ্য শুধু চেনেন বললে ভুল হবে, এলাকা কাঁপে তার নামে।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশের খাতায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার নামে। কয়েকবার গ্রেপ্তারও হয়েছেন অস্মিতা। কিন্তু পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে যান।
তবে সম্প্রতি এই ‘লেডি ডন’ ফের শিরোনামে এসেছেন। ভারতের গুজরাট রাজ্যের সুরাতের একটি পানের দোকানে তলোয়ার নিয়ে ঢুকে ৫০০ টাকা ‘চাঁদা’ চাওয়ার অভিযোগে ফের গ্রেপ্তার হয়েছে অস্মিতা ও তার বন্ধু রাহুল। ভাইরাল হয়েছে গোটা ঘটনার ভিডিও।
গত মার্চে দোলের দিনও ধারালো অস্ত্র হাতে কয়েকজনের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান অস্মিতা। ভাইরাল হয়েছিল সেই ভিডিওটিও।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় এই লেডি ডন। ফেসবুকে নিজেকে স্বনির্ভর বলে পরিচয় দিয়েছেন তিনি। তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নিজের প্রচুর ছবিও রয়েছে। এমনকি সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বা তলোয়ার নিয়েও নিজের ছবি পোস্ট করেছেন অস্মিতা।
নামিদামি বাইক এবং গাড়ি চালানোর শখ রয়েছে তার। ফেসবুকে আড়াই হাজার বন্ধু ও ১২ হাজার ফলোয়ার রয়েছে ডনের।
ফেসবুক-বায়োতে অস্মিতার স্বীকারোক্তি, ‘আমি জীবনটা অন্যভাবে বাঁচতে পছন্দ করি, আশায় ভরসা করে নয়, নিজের শর্তে বাঁচি।’ 

এখনও আমার কাছে আমাকে তরুণ মনে হয়: সিলভা

বিশ্বকাপ ফুটবল মানেই উন্মাদনা। ভক্তদের বাধ ভাঙা উচ্ছ্বাস। প্রিয় দল ও তারকাদের নিয়ে বাড়তি প্রত্যাশা। শহর থেকে গ্রাম এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এই উন্মাদনা প্রত্যক্ষ করা যায়। আর রাশিয়া বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিটদের তালিকায় রয়েছে ব্রাজিলের নাম। নেইমার, জেসুস, অস্কার, কৌতিনহো, উইলিয়ান, মার্সেলো ও থিয়াগো সিলভাদের নিয়ে গড়া তিতের ব্রাজিল হুঙ্কার দিচ্ছে প্রতিপক্ষকে। আর দলের রক্ষণসেনা ও সাবেক অধিনায়ক থিয়াগো সিলভাও বলেছেন এবারের বিশ্বকাপে সেরাটাই দিতে যাচ্ছেন তারা।
এক সাক্ষাৎকারে থিয়াগো বলেন, ‘আমরা নিজেদেরকে বিশ্বকাপের জন্য তৈরি করেছি। প্রথমে দুঙ্গার সঙ্গে আর এখন তিতের অধীনে। আর এই দুই বছরে আমরা নিজেরদের অনেক উন্নতি করেছি। আরেকটি বিশ্বকাপে খেলার দ্বারপ্রান্তে আর নিজেদের ইতিহাস নতুন করে লেখার সুযোগ পাচ্ছি। আমরা শিরোপার নিশ্চয়তা দিতে পারছি না তবে দারুণ কিছু ম্যাচ দর্শকদের উপহার দেওয়ার নিশ্চয়তা দিতে পারব। পরের ম্যাচে আমাদের সেরাটাই দেখতে পারবেন আপনারা, আর বিশ্বকাপের সময়ে সেরা কিছু অপেক্ষা করছে আপনাদের জন্য।’
বর্তমান তারুণ্য নির্ভর দলটি প্রসঙ্গে সিলভা বলেন, ‘প্রত্যেক প্রজন্মেরই আলাদা আলাদা খেলার ধরন, ইতিহাস এবং শিরোপা আছে। আমরা তাদের চেয়ে আলাদা, তাই আমি তুলনা করতে চাচ্ছি না। আমরা আমাদের মত আমাদের খেলোয়াড় দিয়ে ইতিহাস তৈরি করতে যাচ্ছি। আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে চেষ্টা করছি এবং আমরা তার কাছাকাছিই আছি। এখন প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং সামনে আমাদের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ আছে যা আমাদেরকে বিশ্বকাপের আগে আরও প্রস্তুত করে তুলবে।’
৩৩ বছরে পা রেখেছেন এ নির্ভরতার প্রতীক এ পিএসজি তারকা। বয়স সম্পর্কে তার মন্তব্য, ‘আমার কাছে আমি আমার ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটাচ্ছি সেরাদের সাথে থেকে। আমি ৩৩ বছরে পৌঁছে গিয়েছে তা ঠিক, তবে এখনও আমার কাছে আমাকে তরুণ মনে হয়। বিশ্বকাপে আমি আমার সর্বোচ্চটাই দেওয়ার চেষ্টা করব।’

Tuesday, May 29, 2018

অভিযানের মধ্যেও থেমে নেই মাদক কারবার

দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের মধ্যেও মাদক সরবরাহ ও বেচাকেনা থামছে না। বরং কোনো কোনো এলাকায় অভিযানের অজুহাতে মাদকের দাম বেড়েছে। খোদ রাজধানীর বিভিন্ন স্পটগুলো এখনো মাদকে সয়লাব হয়ে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঝামেলা এড়াতে মাদক কারবারিরা কৌশল পরিবর্তন করছে। এরা বিচ্ছিন্নভাবে কঠোর গোপনীয়তায় মোবাইলের মাধ্যমে মাদক কেনাবেচা করছে। 
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানে এরই মধ্যে প্রায় এক শ’ নিহত হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে চার হাজারের মতো। কিন্তু মাদক কারবার এখনো বন্ধ হয়নি। রাজধানীর প্রায় সব থানা এলাকায় কয়েক শ’ মাদকের স্পট রয়েছে। এর মধ্যে পুরান ঢাকার লালবাগের শহীদনগর, শ্মশানঘাট, কিল্লার মোড় টেম্পো স্ট্যান্ড, চকবাজারের ইসলামবাগ, কামালবাগ, আলীরঘাট বেড়িবাঁধ বাগানবাড়ি, কোতোয়ালির ওয়াইজঘাট, বাবুবাজার ব্রিজের নিচে পরিবহন স্ট্যান্ড, বাদামতলী, কামরাঙ্গীরচরের পূর্ব রসুলপুর রনি মার্কেটসংলগ্ন মাদক সম্রাজ্ঞী বিউটির বাড়ি, ৫ নম্বর গলির ফরমা কালুর বাড়ি, দক্ষিণ রসুলপুর মাদক সম্রাজ্ঞী সুরাইয়ার মাদক স্পট, ৮ নম্বর গলির ৩টি গ্যারেজে সিরাজ তালুদারের মাদকের হাট, বড়গ্রাম ইসলাম চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে, আলীনগর, রূপনগর, কুড়ারঘাট মেডিক্যাল চত্বর, পূর্ব রসুলপুর ১ নম্বর গলির দক্ষিণে, ৫ ও ৬ নম্বর গলির উত্তরে কুখ্যাত মাদক বিক্রেতা রানা, বিল্লাল, শাকিলসহ ৫-৬ জন, কোম্পানীঘাট ট্যানারি পুকুরপাড়, ঝাউচর, ঝাউলাহাটি, হাসাননগর, ব্যাটারিঘাট, নুরার গাড়া, চাঁদ মসজিদ রোড, মুন্সিহাটি, আচারওয়ালা ঘাট, লোহারপুল, কয়লাঘাট, মুসলিমবাগ ঠোঁটা, বুড়িগঙ্গা পাঠাগারসহ অন্তত ৫০টি মাদক স্পটে প্রতিদিনই অবাধে মাদকদ্রব্য বেচাকেনা হয়। এসব মাদক স্পট নিয়ন্ত্রণ করেন পারভেজ হোসেন বিপ্লব, শাকিল, জাবেদুল ইসলাম জাবেদ ওরফে সমিতি জাবেদ, মজিদ, মুসা, জসিম, মাউচ্ছা দেলু, ফেরদৌস মোল্লাসহ আরো অনেকে। জেনেভা ক্যাম্প থেকে এক অভিযানে ৭৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু সেখানকার চিহ্নিহ্নত মাদক ব্যবসায়ী মো: ইমতিয়াজ, পঁচিশ নাদিম দম্পতি, পাচু, তানভীর, পাপিয়া ও শামীমের স্ত্রী রানী গ্রেফতার হয়নি। তারা মাদক বিক্রি করেই যাচ্ছে। নারী মাদক কারবারি গ্রুপের প্রধান শাহিনা আক্তার সাথী। তার গ্রুপে রয়েছে মোহাম্মদ পুল কসাইয়ের স্ত্রী সিমা, সুলতানের স্ত্রী নার্গিস, আসগরের স্ত্রী সয়রা, আলী নেওয়াজের স্ত্রী গান্নী, মৃত মনির বেগের মেয়ে কালী রানী, জামিলের স্ত্রী বেচনী, মোস্তাকিমের স্ত্রী সকিনা, মৃত সাকিলের স্ত্রী কুলসুম ও মহিউদ্দিনের মেয়ে রেশমা। গাঁজা বিক্রির সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে শামীমের স্ত্রী রানী ও মুন্না। তরুণ গ্রুপের মধ্যে রয়েছে মোহাম্মদ পুল কসাইয়ের ছেলে ফরিদ, আরিফ, আসিফ, আলী নেওয়াজের ছেলে সাগর ও সালমান, মৃত মনির বেগের ছেলে মুন্না। বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে পাখি, আসলাম, টেরু সেলিম বাবা, ছোট আরশাদ, মাসসা রাজু, সামসের, নাঈম, আরমান ও ছে মুণ্ডী; পাচু গ্রুপের পাচু, পাপিয়া, রাহি, জুম্মান, নুরা, ঢাকাইয়া নাদিম, নাসির, কালু, তেলী জাহিদ, সনু, টিপু তাহেরী; রাজিয়া গ্রুপের রাজিয়া ইভা, ফয়সল, কুরবান, ইমরান, মোন, ফরিদা, ছোট সাকিল, নবাব, ওয়াসিম, রানী, কুরবান, অপু, টিপু, মানিয়া, রানা, জাহিদ, জাবেদ ও বারেক। নিয়ন্ত্রক বা শেল্টার গ্রুপে আছে এস কে গোলাম রাব্বানী, সামদানী, নাসিম, মামুন, পটল মাহমুদ, শান্তি গ্রুপের শানু, আনোয়ার, রসুল, আজম, আন্ডে আলমগীর, নাঈম, আফতাব, নওশাদ, ইমরান, চুয়া ওরফে চোরা সেলিম, হানিফসহ চার শতাধিক মাদক বিক্রেতা। সূত্র জানায়, মিরপুর, পল্লবী, কাফরুল, রামপুরা, বাড্ডা, গুলশান, বারিধারা, উত্তরা, তুরাগ, শ্যামপুর, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, সবুজবাগ, কমলাপুর, কদমতলী, গাবতলী, কাওরানবাজার, তেজগাঁও, মহাখালীর সাততলা বস্তি, শাহবাগ, বুয়েট চত্বর, ঢাবির চারুকলা, টিএসসি চত্বর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ফুলবাড়িয়া, বঙ্গবাজার, চাঁনখারপুল, আনন্দবাজার, ফুলার রোড, ঢাকেশ্বরী মন্দির, নিউমার্কেট, গুলিস্তান, মতিঝিল, শাহ আলী, শেরেবাংলা নগর, হাজারীবাগ, যাত্রাবাড়ী, গেন্ডারিয়াসহ গাজীপুরের টঙ্গী স্টেশন রোড, নিমতলী, এরশাদনগরসহ বিভিন্ন মাদক স্পটে এখনো ইয়াবার বড় বড় চালান ঢুকছে। 
এ দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা বলছেন, নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এরই মধ্যে অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেলের ডিসি মাসুদুর রহমান নয়া দিগন্তকে বলেন, প্রতিদিনই অভিযান চলছে। স্পট ও তালিকা ধরে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছে। আশা করা যায় কেউ গ্রেফতার এড়াতে পারবে না।

এরদোগানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে জার্মান

তুরস্কের নির্বাচনের পর জার্মানের বার্লিনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল। খবর আনাদলু এজেন্সি।
মঙ্গলবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২৪ জুন তুরস্কের নির্বাচনের পর জার্মানের বার্লিনে এরদোগানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
উত্তর জার্মানির ডসেলডর্ফের সলিংগেন শহরে বর্ণবাদী অগ্নিসংযোগের ২৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে ডাসেলডর্ফ সফরকালে সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতিতে তার ভাষণে তুর্কি প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানান।

ভেনেজুয়েলার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে ইইউ

ভেনেজুয়েলায় নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আহবান জানিয়েছে  ইউরোপীয় ইউনিয়ন(ইইউ)। এছাড়া দক্ষিণ আমেরিকান দেশটির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কথা চিন্তা করছে ইউরোপের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক এই জোট সংগঠন। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
 
খবরে বলা হয়, সম্প্রতি ভেনেজুয়েলায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন নিকোলাস মাদুরো। তবে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বেশিরভাগ বিরোধীদলই নির্বাচন বর্জন করেছে। অংশগ্রহণকারী বিরোধীদল অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে। নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্রও।
 
গতকাল সোমবার ব্রাসেলসে ইইউ’র পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা এক নিয়মিত বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে দেয়া এক বিবৃতিতে ভেনেজুয়েলার নির্বাচন নিয়ে তারা বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া সর্বব্যাপী ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে না পাড়ায় এটি গ্রহণযোগ্য নয়।
 
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়া মেনে ইইউ, দ্রুত অতিরিক্ত ও প্রতিবর্তনযোগ্য নিষেধাত্মক পদক্ষেপ নেবে। এই পদক্ষেপগুলো ভেনেজুয়েলার জনগণের ক্ষতি করবেনা। ইইউ তাদের সঙ্কটাপন্ন অবস্থা উপশম করতে চায়।
 
ধারণা করা হচ্ছে আগামী মাসের ২৫ তারিখ লুক্সেমবার্গে অনুষ্ঠেয় এক বৈঠকে নিষেধাজ্ঞাগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে আরোপ করা হবে। শুক্রবার ইইউ কূটনৈতিকরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, সংগঠনটি ভেনেজুয়েলার মোট ১১ কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কথা ভাবছে।
 
প্রসঙ্গত, এই বছরের জানুয়ারিতে ভেনেজুয়েলার সাত নাগরিকের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইইউ। পাশাপাশি তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়।

ইতালির মিলানে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত স্বপনের গ্রামের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমেছে


ইতালির মিলানে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত প্রবাসী বাংলাদেশি শামছুল হক স্বপনের লাশ দেশে এসেছে  রবিবার (২৭ মে)। সকালে তুর্কি এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে মিলানোর মালপেনছা বিমানবন্দর থেকে তাঁর লাশ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে। সেখান থেকে এ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ নিয়ে আসা হয় নবাবগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে। গ্রামে শামসুল হকের লাশ নিয়ে যাওয়ার পর শোকের ছায়া নেমে সেখানে। নিহত স্বপনতে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ ছুটে যায় তাঁর বাড়িতে।
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বারুয়াখালী ইউনিয়নের ব্রাহ্মণখালী গ্রামের যুবক শামসুল হক একজন ইতালি প্রবাসী। গ্রামের সৎ ও ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত স্বপনকে একনজর দেখতে শত শত মানুষ বাড়িতে জড়ো হয়। এসময় ছেলের লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন মা সালমা বেগম ও বাবা আব্দুস সালাম। আর মৃত্যুর খবরের পর থেকে অসুস্থ স্ত্রী আইভি আক্তার কফিনে মোড়ানো স্বামীর লাশ দেখেই বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
কান্নাজড়িত কন্ঠে স্বপনের মা সালমা বেগম বলেন, ‘গত মাসের ২৬ তারিখে আমার বাবাটার সাথে কথা হইল। বৃষ্টির কারণে কথা বুঝতাছিলাম না। আমার বাবা কইলো, মা কাইল সকালে ফোন দিমু। সকাল বিকাল সন্ধ্যা, এরপর কতদিন কাইটা গেল আমার বাবা তো আর ফোন দিলো না। আমার এহনো মনে হয় এই বুঝি আমার বাবাডা ফোন দিব। ও এভাবে চইলা যাইতে পারে না। তোমরা আমার সোনাটারে আইনা দেও।’
স্বপনের বাবা আব্দুল সালাম জানান, পাঁচ ছেলের মধ্যে স্বপনই সবার বড়। সে পরিবারের হাল ধরায় এখনো পুরোপুরি ধার-দেনা শোধ করে উঠতে পারেনি। তারপরও একপাশ থেকে আগলে রেখে ছোট ভাইদের দাঁড় করানোর চেষ্টা করে আসছিলো। সমস্ত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ওঠার আগেই এই দূর্ঘটনায় আমাদের সর্বশান্ত করে দিলো।
প্রতিবেশিরা জানান, ২০০৫ সালে এইচএসসি শেষে ঢাকার তেজগাঁও কলেজ পড়ালেখা শুরু করেন স্বপন। পরিবারের কথা চিন্তা করে ২০০৯ সালে প্রথমে ইংল্যান্ড, পরে ইতালিতে প্রত্যাবর্তন করে রেস্টুরেন্টে কাজ করছিলেন। স্থানীভাবে অত্যন্ত স্বজ্জন, মিশুক, পরোপকারী যুবক হিসেবে পরিচিতি ছিলো তাঁর। বছরখানেক হয়েছে বিয়ে করেছে স্বপন। হাতের মেহেদির রং না শুকাতেই স্বামীর এমন মৃত্যু কিছুতেই মানতে পারছেন না স্ত্রী আইভি। রোববার লাশ দেখার পর থেকেই বাকরুদ্ধ তিনি।
বেলা সাড়ে ১২টায় নিহতের কফিনে মোড়ানো মরদেহ বাড়ির সামনে এসে পৌঁছায় শামসুল হক স্বপনের লাশ। জোহরের নামাযের পর নিজ বসতভিটায় জানাযা শেষে চিরদিনের জন্য শায়িত করা হয় স্বপনকে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল (শুক্রবার) ইতালির বাণিজ্যিক নগরী মিলান সেন্ট্রাল স্টেশন সংলগ্ন সেত্তেমবিরিনি নামক রাস্তায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে বাংলাদেশি যুবক শামসুল হক স্বপন নিহত হন। দীর্ঘ এক মাস পর তুর্কি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে মিলানোর মালপেনছা বিমানবন্দরে থেকে তার লাশ রোববার (২৭ মে) সকালে বাংলাদেশ বিমান বন্দরে এসে পৌছায়।

সৌদিতে ইকামা জটিলতায় বাংলাদেশিরা


মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। নতুন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর তাঁর ঘোষিত ভিশন ২০৩০ কর্মসূচির অধীনে দেশটির অর্থনীতিতে রূপান্তরের পালা চলছে । শ্রমবাজারে শতভাগ সৌদি নাগরিকদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে দেশটির অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি জ্বালানি খাতের ওপর অর্থনীতির নির্ভরতা কমানোরও উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি।
সৌদি আরব তাঁদের এই অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে চোরাবালিতে ফেলেছে দেশটিতে কর্মরত প্রবাসীদের। তবে সবচেয়ে বেশি বিপাকে
আছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। শ্রমিক নির্ভর এই বাজারে আয়ের চেয়ে যখন জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে, তখন স্বইচ্ছায় দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছেন এসব বাংলাদেশিরা। সৌদি আরবের নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগকর্তার দেয়া অনুমতিপত্র বা ইকামা হারিয়ে বর্তমানে অবৈধ হয়ে পড়েছেন বহু বাংলাদেশি অভিবাসী। অনেকে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে দেশে ফিরে আসছেন।
জ্বালানি খাতকেন্দ্রিক ও অভিবাসী শ্রমনির্ভর অর্থনীতির চাকা হঠাৎ ঘোরাতে গিয়ে স্থবির হয়ে পড়েছে সৌদি আরবের বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান খাত। বিশেষত নির্মাণ খাতের সৌদি কোম্পানিগুলো পড়েছে আর্থিক বিপর্যয়ে। সৌদি সরকারের ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নের টাইমলাইনে যুক্ত হতে কৌশল নিয়েছেন সেখানকার বহুজাতিক কোম্পানিগুলো। কড়াকড়ির ভিতর বিদেশি কর্মী ছাঁটাই করছে এসব কোম্পানীগুলো। নির্মাণ ও সরবরাহ খাতের ছোটখাটো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোও একই কৌশল নিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি। বৈধভাবে সে দেশে গেলেও নিয়োগকর্তা ইকামা নবায়ন না করায় তাঁরা অবৈধ হয়ে পড়ছেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক এড়াতে অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আকামা সমস্যা সমাধানে প্রতিদিনই সৌদির বাংলাদেশ দূতাবাসে শ্রমিকরা অভিযোগ করছেন। দূতাবাস থেকে এ বিষয়ে ঢাকায় লিখিত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব সমস্যা দূতাবাসের পক্ষে একা সমাধান করা সম্ভব নয়। এজন্য সৌদি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সৌদি আরবে কাজের ক্ষেত্রে বিদেশিদের সে দেশে বসবাসের অনুমতিপত্র বা ওয়ার্ক পারমিট থাকতে হয়। আরবিতে এ অনুমতিপত্রের নাম ‘ইকামা’। সৌদি কোম্পানিগুলো তাদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশি শ্রমিকের নামে ইকামা ইস্যু করার পরই সেটি দেখিয়ে দূতাবাস থেকে ভিসা নিতে হয়। প্রবাসে থাকাকালেও কর্মীদের ইকামা নিয়ে চলতে হয়। কোনো কারণে ইকামা হারিয়ে গেলে ওই দেশে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে। যেকোনো সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নাজেহাল হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই ইকামা হারালে সংগে সংগে নিয়োগকর্তাকে জানাতে হয়। পরবর্তীতে নিয়োগদাতা নতুন আকামার ব্যবস্থা করে দেন। এছাড়া পেশা পরিবর্তন করতে চাইলেও নতুন করে আকামা বা অনুমতিপত্রের প্রয়োজন পড়ে।
জানা গেছে, বর্তমানে সৌদি আরবে জীবনযাত্রার মানে পরিবর্তন ঘটছে। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় বিদেশী শ্রমিকরা এখন স্বেচ্ছায় দেশটি ছেড়ে যাচ্ছেন। ইকামা ইস্যুর ফি কোম্পানির বহন করার কথা। একজন কর্মীর আকামা ফি বাবদ ৮-৯ হাজার সৌদি রিয়াল ব্যয় হয়, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পৌনে দুই লাখ টাকা। তবে কোম্পানিতে কাজ না থাকলে মালিকরা আকামার খরচ দিতে চান না, যার পরিপ্রেক্ষিতে বৈধ শ্রমিকরাও অবৈধ হয়ে পড়েন।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিয়েছেন দুই লাখ ২৭ হাজার ৩০৪ বাংলাদেশী শ্রমিক। এর মধ্যে কেবল সৌদি আরবেই গেছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৯৩৫ জন।
সুত্র - ভয়েস বাংলা 

তারকাদের বিশ্বকাপ ভাবনা

স্বপ্নের বীজ রোপণ করতে হয় শৈশবেই। কৈশোরে তা অঙ্কুরিত হয়। তারুণ্যে রূপ নেয় চারা গাছের। যৌবনে মহীরুহ। আজকের নেইমার কিংবা পল পগবার বিশ্বকাপের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন ছেলেবেলায়। যখন তারা স্কুলের আঙ্গিনাতেই পা রাখেননি। আধো আধো উচ্চারণে কথা বলতেন। ছেলেবেলার সেই স্বপ্নটাই লালন করেছেন এতদিন। বিশ্বকাপ খেলার। বিশ্বকাপ জেতার। নেইমার, জেসুস, পগবা, লুকা মডরিচ, হ্যারি কেইনরা শৈশবের সেই বিশ্বকাপ স্মৃতিই বর্ণনা করলেন ফিফা ডট কমের কাছে।
নেইমার তখন সবে হাঁটতে শিখেছেন। মুখে ফুটছে এক আধটা কথাও। ব্রাজিলে হাঁটতে শেখা মানেই ফুটবল নিয়ে খেলা করা। নেইমারও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না। ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে রোমারিও আর বেবেতোর খেলতে দেখেছিলেন তিনি। নেইমার বলেন, ‘বিশ্বকাপ নিয়ে আমার প্রথম স্মৃতি ১৯৯৪ সালে। আমি তখন মাত্র দুই বছরের শিশু। তবে আমার খুব মনে পড়ে, হল্যান্ডের (নেদারল্যান্ডস) বিরুদ্ধে রোমারিওকে গোল করতে দেখেছিলাম টিভিতে। আমার মনে আছে বেবেতোর ক্রস। এটা ছিল গোলাজো।’ রোমারিও আর বেবেতোদের খেলতে দেখেই নেইমারের শিশু মনে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন জেগেছিল। বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন জেগেছিল। সেই স্বপ্ন আজও মনের গভীরে যত্ন করে রেখেছেন তিনি। রাশিয়া বিশ্বকাপে নেইমারের স্বপ্ন পূরণ হবে কি! ফ্রান্স দলের অন্যতম তারকা পল পগবা। ফরোয়ার্ড লাইনে তিনি জুটি বাঁধবেন আঁতোয়ান গ্রিজমান এবং কিলিয়ান এমবাপ্পেদের সঙ্গে। পগবার ছেলেবেলার স্মৃতিতেও ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ের দৃশ্য। পগবা বলেন, ‘আমার স্পষ্ট মনে আছে ১৯৯৮ সালে ব্রাজিলকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ের দৃশ্যটা। তখন আমি খুবই ছোট ছিলাম। সম্ভবত ৬ কিংবা ৭ বছরের। বাড়িতে বসে অন্যদের সঙ্গে ম্যাচটা দেখছিলাম। ফ্রান্স ম্যাচটা জিতে যাওয়ার পর আমরা রাস্তায় বেরিয়ে আসি। সেখানে বাজনা বাজছিল আর আমরা সবাই খুব উচ্ছ্বসিত ছিলাম।’ আরও একবার ফরাসিদের এমন আনন্দে ভাসানোর উদ্দেশ্যেই রাশিয়া যাত্রা করবেন পগবারা।
হ্যারি কেইন ২০০২ বিশ্বকাপের সময় ছিলেন আট বছরের বালক। সেবার কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে ২-১ গোলে হেরে বিদায় নেয় ইংল্যান্ড। কেইনের স্মৃতির পাতায় এখনো জ্বলজ্বল করছে ইংল্যান্ডের সেই পরাজয়। ২৪ বছর বয়সী ইংলিশ ফুটবলার কেইন বলেন, ‘আমার ২০০২ বিশ্বকাপের কথা মনে আছে। রোনালদিনহোর সেই ফ্রি কিক গোলটা ভুলতে পারি না। এটা এখনো আমাকে ব্যথিত করে। এটাই আমার প্রথম বিশ্বকাপ স্মৃতি। এরপর থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল বিশ্বকাপে খেলা।’ রাশিয়ায় ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক হিসেবে খেলতে যাচ্ছেন হ্যারি কেইন। এবারেও কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের সামনে পড়ার সম্ভাবনা আছে ইংল্যান্ডের। কেইন কী প্রতিশোধটা নিতে পারবেন এবার! ২০০২ সালের পরাজয়ের! গ্যাব্রিয়ের জেসুস গত বিশ্বকাপের সময় ছিলেন ১৭ বছরের তরুণ। নিজ দেশে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপটা উদযাপন করেছিলেন একজন দর্শক হিসেবে। এর আগেও দুটি বিশ্বকাপে মজা করেছেন তিনি। জেসুস বলেন, ‘গত তিনটি বিশ্বকাপে আমার দায়িত্ব ছিল, আমাদের এলাকার রাস্তায় রঙ করা। আমাদের এখানে বিশ্বকাপটা এভাবেই উদযাপন করা হয়। এটা একটা গুরুদায়িত্ব ধরা হয়। আশা করি এবার রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাব। ফুটবল আমাকে যে আনন্দ উপহার দিয়েছে, তার কিছুটা শোধ দিতে পারব এবার।’ লুকা মডরিচ ১৩ বছরের বালক তখন। ক্রোয়েশিয়া ১৯৯৮ বিশ্বকাপ খেলতে গেল ফ্রান্সে। বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে ক্রোটরা পৌঁছে গেল সেমিফাইনালে। ফ্রান্সের কাছে হেরে ফাইনাল খেলা হয়নি তাদের। তবে বিশ্ব জেনেছি ক্রোটদের সম্পর্কে। লুকা মডরিচ বলেন, ‘আমি ১৯৯৮ বিশ্বকাপের সময় আমি ছিল ১৩ বছরের। বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খেলা দেখতাম। ক্রোয়েশিয়ার প্রতিটা জয়ের পরই আমরা উচ্ছ্বসিত হতাম। সারা বিশ্ব সে সময় ক্রোয়েশিয়াকে জানছিল। আমার মনে আছে, সে সময়ই আমি স্বপ্ন দেখতে শুরু করি একদিন বিশ্বকাপ খেলব।’

Monday, May 28, 2018

চালকদের দাবি মেনে জ্বালানির দাম কমাল ব্রাজিল


জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ব্রাজিলে ট্রাক ও লরিচালকদের সপ্তাহব্যাপী ধর্মঘটের চাপে নতি স্বীকার করে নিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মিশেল তেমার। রোববার আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নিয়ে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন তিনি। সাতদিন ধরে চলা পরিবহন ধর্মঘটে দেশটিতে ব্যাপক জ্বালানি ও খাদ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। খবর এএফপি।
রোববার প্রতি লিটারে ১৩ সেন্ট কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন তেমার। আগামী ৬০ দিন এ মূল্যহ্রাস বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট। তেমার বলেন, সমস্যা ও দুর্ভোগ প্রশমনে আমরা আমাদের তরফ থেকে সবকিছু করেছি। তিনি জানান, সংকট সমাধান না হলে কয়েক লাখ পশু ক্ষুধায় মারা যেতে পারে বলে জানতে পেরেছেন তিনি। জ্বালানির মূল্যহ্রাসের পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের আরো চারটি দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। রোববার প্রাতিষ্ঠানিক নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী সের্গেই ইেচগোয়েন দ্রুত না হলেও দেশের অবস্থা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে মন্তব্য করার পর চালকদের দাবি মেনে নেয়ার সিদ্ধান্ত জানালেন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাকচালকদের দেশব্যাপী ধর্মঘটে ব্রাজিলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হয়ে পড়ে। ব্যারিকেড দিয়ে দেশের বেশির ভাগ সড়ক অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। টানা ধর্মঘটে দেশের স্টেশনগুলো তেলশূন্য হয়ে পড়ে। দোকানে তাকগুলোও খাবারশূন্য হয়ে যেতে দেখা গেছে।
এদিকে ব্যারিকেড অপসারণে শুক্রবার সেনাবাহিনী মোতায়েন ও সেনা প্রহরায় তেলবাহী ট্রাক শোধনাগারগুলোয় পাঠানো শুরু করা হয়। সেনাবাহিনী মোতায়েন করার পরও শনিবার রাতে সারা দেশের প্রায় ৬০০ সড়ক আংশিকভাবে হলেও বন্ধ থাকতে দেখা গেছে বলে কেন্দ্রীয় পুলিশ জানায়।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডিজেলের গড় মূল্য ছিল ৯৯ সেন্ট। ধর্মঘটের আগে তা বেড়ে ৯৯ সেন্টে দাঁড়ায় ২৬ মে জ্বালানির দাম আরো বেড়ে ১ দশমিক শূন্য ৪ ডলারে গিয়ে ঠেকে। ধর্মঘটের প্রথম পাঁচদিনে বিশ্বের অন্যতম উদীয়মান অর্থনীতিটির ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২৮০ কোটি ডলার।

যেসব খাবার খেলে বাড়বে না ওজন

সিদ্ধ আলু, ছবি সংগৃহীত
সিদ্ধ আলু, ছবি সংগৃহীত
ওজন কমানোর জন্য কতই না চেষ্টা আপনার। জানেন কি?ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে খাবার থাকতে হবে নিয়ন্ত্রণে।পছন্দের খাবার দেখলে মন অবাধ্য হয়ে উঠে।এমন কিছু খাবার রয়েছে যে গুলি যতই খান ওজন থাকবে একেবারে নিয়ন্ত্রণে।
সিদ্ধ আলু
ওজন কমাতে বিশেষজ্ঞেরা আগেই আলু খাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। জানেন কি, সিদ্ধ আলুতে থাকে স্টার্চ যা সহজেই হজম হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে স্টার্চ সহজপাচ্য ফাইবারের মতো কাজ করে যা দীর্ঘ সময় পেট ভর্তি রাখে এবং ওজনও বাড়তে দেয় না।
ডিম
হেলদি ডায়েটের জন্য ডিমের বিকল্প কিছু হয় না। ডিমে প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেল সঠিক মাত্রায় থাকে। ডিম খেলে শরীরে খুব ক্যালোরি প্রবেশ করে। রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
মাছ
মাছে থাকে উচ্চমাত্রায় ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। ওবেসিটিতে আক্রান্ত মানুষদের ক্ষেত্রে মাছ খুবই উপকারি। বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্যান্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের থেকে মাছ শতগুণে ভাল।
পনির
নিরামিষ রান্না পনির ছাড়া ভাবাই যায় না। প০নিরে রয়েছে অধিক পরিমাণ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি, এবং ফসফরাস। কিন্তু, পনিরে ক্যালোরি খুব কম থাকে। তাই সুষম ডায়েটের জন্য ডিমের মতোই পনিরের খুব চাহিদা রয়েছে।
পপকর্ন
টিভি দেখতে দেখতে বা খুচরো খিদে মেটাতে মুখরোচক অথচ স্বাস্থ্যকর খাবার হল পপকর্ন। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, পপকর্নে খুব কম ক্যালোরি থাকে। তাই যত খুশি খান, ওজন বাড়ার ভয় নেই।
চর্বি ছাড়া মাংস
প্রোটিন ডায়েটে অভ্যস্ত যারা তাদের জন্য চর্বি চাড়া কম ক্যালোরির মাংস খুবই উপকারি। অধিক প্রোটিন, কিন্তু খুব কম ক্যালোরি থাকায় স্বাস্থ্য সচেতনদের ডায়েট তালিকায় এটি জায়গা করে নিয়েছে।
স্যুপ
চিকেন স্যুপ হোক বা সব্জি দিয়ে স্যুপ—হেলদি ডায়েটের জন্য একদম পারফেক্ট। নিয়মিত ডায়েট চার্টে স্যুপ রাখুন। যতবার খুশি খান ওজন নিয়ন্ত্রণেই থাকবে।

সেহরিতে গরুর কালা ভুনা


গরুর মাংস দিয়ে রান্নাযোগ্য পদগুলোর মধ্যে গরুর কালা ভুনা অনেকের কাছেই বেশ জনপ্রিয়। রাতে সেহরিতে থাকতে পারে মুখরোচক এ খাবারটি। পোলাও থেকে শুরু করে সাদা ভাত, রুটি, পরোটা, পাউরুটি সব দিয়েই খেতে পারেন।
আসুন জেনে নেই কীভাবে তৈরি করবেন গরুর কালা ভুনা
উপকরণ
গরুর মাংস ১ কেজি, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, টক দই আধা কাপ, মরিচ গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, ভাজা মেথি গুঁড়া ১ চা চামচ, তেল ১০০ গ্রাম, পাঁচফোড়ন
১ টেবিল চামচ, কালো গোল মরিচের গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণ মতো, পেঁয়াজ কুচি এক কাপ, এলাচ
৬-৭টা, দারুচিনি ৩-৪ টুকরা, তেজপাতা ২-৩টি। গরম মশলা গুঁড়া।
যেভাবে করবেন
প্রথমে মাংস ধুয়ে নিন। এরপর পানি ঝরিয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে মাংস নিয়ে এর সঙ্গে সব উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিন।
মেথি, গোল মরিচ, পাঁচফোড়ন বাদে। এরপর অল্প আঁচে চুলোয় ৩০ মিনিট রান্না করুন। এবং মেথি, কালো গোলমরিচ, পাঁচফোড়ন-মাংসে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
কিছুক্ষণ রাখুন। তেল মাংসের উপরে উঠে এলে পরিবেশন ডিশে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

ইফতারে ডিমের চপ

পবিত্র রমজান মাসে ভাজাপোড়া ছাড়া কি ইফতার জমে। পেঁয়াজু, আলুর চপ, পাকোড়া, বেগুনি ছাড়াও অনেক ভাজাপোড়া খাবার দৈনিক ইফতার মেন্যুতে থাকতে দেখা যায়।
ইফতারে খেতে পারেন ডিমের চপ। ডিম দিয়েও তৈরি করা যায় মজাদার চপ। খেতে ভীষণ সুস্বাদু আর তৈরি করতে সময়ও লাগে কম।
আসুন জেনে নেই কীভাবে তৈরি করবেন ডিমের চপ।
উপকরণ
আলু ৫০০ গ্রাম, সেদ্ধ ডিম ২টি, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, কাঁচামরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, পুদিনাপাতা কুচি ১ চা-চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ (টেলে নেওয়া মরিচ), ধনে গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, বিস্কুটের গুঁড়া প্রয়োজনমতো, একটি ডিম ফেটানো এবং তেল ভাজার জন্য।
প্রণালি
প্রথমে আলু সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে ভর্তা করে নিন। ডিমও একইভাবে সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে ভর্তা করে নিন।
তারপর ভর্তা করা ডিম ও আলুর সঙ্গে একে একে সব মসলা ও পেঁয়াজ কুচি ভালো করে মাখিয়ে হাত দিয়ে গোল গোল বা চ্যাপ্টা করে প্রথমে ফেটানো ডিমে মাখিয়ে নিন।
তারপর বিস্কুটের গুঁড়ায় গড়িয়ে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন। তারপর চপগুলো গরম গরম ডুবন্ত তেলে ভেজে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates