জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ব্রাজিলে ট্রাক ও লরিচালকদের সপ্তাহব্যাপী ধর্মঘটের চাপে নতি স্বীকার করে নিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মিশেল তেমার। রোববার আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নিয়ে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন তিনি। সাতদিন ধরে চলা পরিবহন ধর্মঘটে দেশটিতে ব্যাপক জ্বালানি ও খাদ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। খবর এএফপি।
রোববার প্রতি লিটারে ১৩ সেন্ট কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন তেমার। আগামী ৬০ দিন এ মূল্যহ্রাস বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট। তেমার বলেন, সমস্যা ও দুর্ভোগ প্রশমনে আমরা আমাদের তরফ থেকে সবকিছু করেছি। তিনি জানান, সংকট সমাধান না হলে কয়েক লাখ পশু ক্ষুধায় মারা যেতে পারে বলে জানতে পেরেছেন তিনি। জ্বালানির মূল্যহ্রাসের পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের আরো চারটি দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। রোববার প্রাতিষ্ঠানিক নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী সের্গেই ইেচগোয়েন দ্রুত না হলেও দেশের অবস্থা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে মন্তব্য করার পর চালকদের দাবি মেনে নেয়ার সিদ্ধান্ত জানালেন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাকচালকদের দেশব্যাপী ধর্মঘটে ব্রাজিলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হয়ে পড়ে। ব্যারিকেড দিয়ে দেশের বেশির ভাগ সড়ক অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। টানা ধর্মঘটে দেশের স্টেশনগুলো তেলশূন্য হয়ে পড়ে। দোকানে তাকগুলোও খাবারশূন্য হয়ে যেতে দেখা গেছে।
এদিকে ব্যারিকেড অপসারণে শুক্রবার সেনাবাহিনী মোতায়েন ও সেনা প্রহরায় তেলবাহী ট্রাক শোধনাগারগুলোয় পাঠানো শুরু করা হয়। সেনাবাহিনী মোতায়েন করার পরও শনিবার রাতে সারা দেশের প্রায় ৬০০ সড়ক আংশিকভাবে হলেও বন্ধ থাকতে দেখা গেছে বলে কেন্দ্রীয় পুলিশ জানায়।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডিজেলের গড় মূল্য ছিল ৯৯ সেন্ট। ধর্মঘটের আগে তা বেড়ে ৯৯ সেন্টে দাঁড়ায় ২৬ মে জ্বালানির দাম আরো বেড়ে ১ দশমিক শূন্য ৪ ডলারে গিয়ে ঠেকে। ধর্মঘটের প্রথম পাঁচদিনে বিশ্বের অন্যতম উদীয়মান অর্থনীতিটির ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২৮০ কোটি ডলার।
No comments:
Post a Comment