জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ব্রাজিলে ট্রাক-লরিচালকদের ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। চালকদের ধর্মঘটের কারণে জ্বালানি, খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দেশটিতে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। সড়ক থেকে ব্যারিকেড সরিয়ে নিতে সরকার এরই মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে। খবর এএফপি ও রয়টার্স।
ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা ধর্মঘটে দেশটিতে ব্যাপক মাত্রায় জ্বালানি ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে শহরের পরিবহন ব্যবস্থা। শিল্প খাতে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে এবং খাদ্য ও জ্বালানি মূল্য বাড়তে শুরু করেছে।
প্রাতিষ্ঠানিক নিরাপত্তা-বিষয়ক মন্ত্রী সার্জিও ইেচগোয়েন জানান, ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তবে দ্রুত পরিবর্তন আশা করা যাচ্ছে না। এর আগে শুক্রবার ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট মিশেল তেমার সড়ক অবরোধ সরিয়ে নিতে নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়ার কথা জানান। তিনি বলেন, জনগণ প্রয়োজনীয় পণ্য পাচ্ছে না, হাসপাতালগুলোতে জীবন বাঁচানোর মতো ওষুধ নেই— বিষয়টি আমরা মেনে নিতে পারি না।
শনিবার এক বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব কার্লোস মারুন জানান, যেসব পরিবহন কোম্পানি কর্মী ছাঁটাই করেছে, তাদের গ্রেফতারে ওয়ারেন্ট ইস্যু করবে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার রিও ডি জেনিরোর কাছাকাছি সেনাবাহিনীর পাহারায় শোধনাগারগুলোতে জ্বালানিবাহী ট্রাক যেতে দেখা গেছে। সারা দেশের ৫১৯টি ব্যারিকেডের মধ্যে ১৩২টি সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। তবে স্টেশনগুলোতে তেল শেষ হয়ে গেছে এবং দোকানগুলোর সরবরাহ ব্যাপক মাত্রায় কমতে শুরু করেছে।
No comments:
Post a Comment